নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্ডারগ্রাউন্ড হররঃ টানেল র‍্যাট

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০৭



অসম শক্তিশালী বাহিনীর সাথে আপনি যখন যুদ্ধ করবেন তখন তাদেরকে তাদের পছন্দ মত জায়গায় যুদ্ধ করতে দিলে আপনি নিশ্চিত পরাজয় বরন করবেন। সেক্ষেত্রে সব থেকে ভালো ট্যাক্টিস হল শত্রুকে নিজের সুবিধা মত জায়গায় টেনে আনা এবং সেখানে যুদ্ধ করা। ভুড়ি ভুড়ি উদাহরন আছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানকে নদী নালায়, ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকাকে মাটির নীচে অথবা আফগানরা তাদের পছন্দমত পাহাড়ের গুহায় মোকাবেলা করে অসম প্রতিপক্ষ আমেরিকা বা রাশিয়াকে। সব গুলো ক্ষেত্রে প্রবল পরাক্রান্ত প্রতিপক্ষ যুদ্ধে জেতা তো দূরে থাক অনেকটা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।



৭ ই জানুয়ারী, ১৯৬৬ অপারেশান ক্রিম্প শুরু হয়েছে, দক্ষিন ভিয়েতনামের আয়রন ট্রায়েঙ্গেলের কাছাকাছি হো বো জঙ্গলের কাছে। এর আগে ঐ এলাকায় আকাশ থেকে নাপাম বোমা সহ সে আমালে আমেরিকার যত ধরনের কনভেনশনাল বোমা আছে সব মেরে তার নিজের সেনাদের সুবিধা দিয়ে দেয় যাতে যেন কোন ভিয়েতকং, অপারেশান ক্রিম্পে অংশ গ্রহনকারী আমেরিকান এবং অষ্ট্রেলিয়ান সেনাদের ঝামেলা না করতে পারে।



মোটামুটি নিশ্চিন্তে এগিয়ে যাচ্ছে ইউ এস এবং ANZAC (Australian and New Zealand Army Corps) ফোর্স হঠাৎ নিকটস্থ রাবার বাগানের ভেতর দিয়ে ভিয়েতকংরা আমেরিকান এবং অষ্ট্রেলিয়ান ফোর্সের উদ্দেশ্যে গুলি চালায়, অথচ কিছুক্ষন আগে ওই এলাকায় আমেরিকান বিমান বাহিনী ভয়াবহ বোমা ফেলে গেছে। এ অবস্থায় ২৮ তম ইনফ্যান্ট্রি তাদের হেলিকপ্টার ডেকে পাঠায় এবং সাথে সাথে এয়ারবর্ন হয়ে ঐ রাবার বাগানের দিকে উড়ে যায়, কিন্তু যেতে যেতে সব ফাঁকা। কেউ নেই। যেন বাতাসে মিশে গেছে যারা গুলি করছিলো।



অপারেশান ক্রিম্প এগিয়ে যাচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ জঙ্গলের মাঝ দিয়ে ভিয়েতকংরা উদয় হচ্ছে দু একটা অব্যার্থ গুলি ছুড়ে যে কয়জন পারছে আমেরিকান এবং অষ্ট্রেলিয়ান সৈন্যদের পেড়ে ফেলছে আবার বাতাসে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এর মাঝেই কিছু ট্রেঞ্চ, ফক্স হোল, আর মাটির ওপর গর্ত আবিস্কার হচ্ছে, তখনো তারা বুজতে পারে নি কি জিনিস তারা আবিস্কার করতে যাচ্ছে। তিন দিন পর জানুয়ারী ১০, অপারেশান ক্রিম্প যখন শেষ হয় ভিয়েতকংদের কোন চিহ্ন তারা খুজে পায় না। শুধু থেকে যায় এর মাঝে স্রেফ ভুতের মত উদয় হয়ে মাঝে সাঝে গুলি করে আমেরিকানদের কিছু লাশের চিহ্ন। অবশেষে তিন দিন পর অপারেশান ক্রিম্প যখন শেষ হয় তখন ১৭৩ এয়ারবোর্ন ব্রিগেড এবং ২৮ ইনফ্যান্ট্রি তাদের রিপোর্টে এক দীর্ঘ টানেলের উল্লেখ্য করে। যেখান থেকে মুলতঃ আমেরিকানরা মাটির নীচের এক দুনিয়ার খবর পায়।

আমেরিকান এবং তাদের ধামাধরা দক্ষিন ভিয়েতনামি সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সোস্যালিষ্ট উত্তর ভিয়েতনামিজ সৈন্যদের ভিয়েতকং নামে অভিহিত করা হয়। এই ভিয়েতকংরা মাটির নীচে শত শত মাইল টানেল খোড়ে কয়েক যুগ ধরে যা সায়গনের উত্তর পশ্চিমের চু চি শহরের নীচ দিয়ে যায়। এই টানেলকে ভিয়েতকংরা তাদের গ্যারিসন, যাতায়াত, গেরিলাযুদ্ধের আদর্শতম স্থান হিসাবে তৈরী করে যা বিশ্বের পরাশাক্তি আমেরিকাকে এক দুঃস্বপ্ন উপহার দেয়। এখানে থাকার সুবিধার পাশাপাশি, ছোট খাট হাসপাতাল, এমন কি আস্ত একটি দখলদারি আমেরিকান ট্যাঙ্ক ও ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাটির নীচে।


হো চি মিন

১৯৪১ সালে জাপান এবং ফ্রেঞ্চ উপনিবেশবাদ থেকে মুক্তি পাবার জন্য চীন এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব থেকে অনুপ্রান্তিত হয়ে আঙ্কেল হো চি মিন গঠন করেভিয়েতমিননামক সংগঠন, এই সময় থেকেই জাপানী এবং ফরাসী দখলদারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল তৈরী শুরু করে দক্ষিন ভিয়েতনামের জংলা অঞ্চলে। প্রথম দিকে ছোট ছোট টানেল তৈরী করা হয়। পরে ১৯৪৯ সালে আবার ফ্রান্স তার পুতুল সরকার বাও দাইকে দক্ষিন ভিয়েতনামে বসালে আঙ্কেল হো র লোকজন এই টানেল গুলোকে আরো সম্প্রসারিত করতে থাকে। ১৯৫৫ সালে এক ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে প্রচন্ড কম্যুনিষ্ট বিরোধী দিন দিয়েম নো কে ক্ষমতায় বসায় আমেরিকা।



এক পর্যায়ে আমেরিকা ১৯৬১ সালে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দক্ষিন ভিয়েতনামে, ওদিকে প্রচন্ড নিষ্ঠুর দিন দিয়েম নো কে ঠেকানোর জন্য দক্ষিন ভিয়েতনামে কম্যুনিষ্ট অকম্যুনিষ্ট সব এক হয়ে গঠন করে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এনএলএফ)। আর আমেরিকান রা একে ব্যাঙ্গ করে ডাকা শুরু করে ভিয়েতকং (মানে ভিয়েতনামিজ কম্যুনিষ্ট, যদিও এই এন এল এফ বা ভিয়েতকং এ কম্যুনিষ্টদের থেকে অকম্যুনিষ্টই বেশী ছিল)। এদিকে এই সব যুদ্ধ আর রাজনীতির পাশাপাশি টানেলের দৈর্ঘ্য কিন্তু বেড়ে চলছে। এক পর্যায়ে এই টানেলের দৈর্ঘ্য ২৫০ কিলোমিটারের বেশি হয়ে দাড়াল।



আমেরিকানরা “অপারেশান ক্রিম্প” এবং এরপর “অপারেশান সিডার ফলস”এর পর এই টানেল সম্পর্কে যখন অবহিত হল ততদিনে এই চু চি টানেল দক্ষিন ভিয়েতনামের রাজধানী সায়গন কে ঘিরে এক জটিল আন্ডার গ্রাউন্ড স্থাপনা হিসাবে তৈরী হয়ে গিয়েছি। এযেন মাটির নীচে শহর তার নীচে শহর। কয়েকটি স্তরে ঘিরে এই চু চি টানেল তৈরী হয় ওপরের দিকে কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় চাষা ভুষোরা থাকত, আমেরিকান এবং অষ্ট্রেলিয়ান সৈন্যরা যারা এই টানেলে সাহস করে ঢুকত তাদেরকে “টানেল র‍্যাট” বলা হত। এই টানেল র‍্যাটরা জীবন হাতে করে এই টানেলে ঢুকত। তারা মুলতঃ ওপরের স্তরে অবস্থানরত চাষাভুষোদেরি বেশী পেত, মুল ভিয়েতকং গেরিলাদের খুব কমই ধরতে পেরেছে।



সামরিক বাহিনীতে সাধারনতঃ উচু লম্বা পেশি বহুল শক্ত সমর্থদেরই জয় জয়কার। কিন্তু এই টানেল র‍্যাট যারা কাজ করত তারা ছিল বাহিনীতে খর্বকায়। টানেল র‍্যাট হিসাবে যারা কাজ করত তাদের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল সাড়ে পাচ ফিট, হাল্কা পাতলা। এই বাহিনী ছিল অনেকটা ভলান্টিয়ার সার্ভিস, একই সাথে তাদের থাকতে হত দুর্জয় সাহস, যারা অনেকটা মৃত্যুকে মেনে নিয়েই এই টানেলে নামত। কারন মাটির ওপর আমেরিকান বাহিনী যত ক্ষমতা শালী হোক না কেন মাটির নীচে কোথাও দুই ফিট চওড়া, তিন ফিট উচু টানেলে ঠিক তত টাই অসহায়।



মাটির নীচে এই টানেল ছিল স্রেফ মৃত্যু কুপ। দু’জন দু’জন করে টানেল র‍্যাট নামত কোন মুখ খোলা পেলে বা হঠাৎ কোন টানেলের মুখ আবিস্কার হলে, একজন আর একজনের থেকে পাচ মিটার দূরে থেকে ক্রলিং করে এগোত। নিয়ম অনুযায়ী যার অভিজ্ঞতা বেশী সেই র‍্যাট-১ হিসাবে সামনে থাকবে, আবার ছয় মাস পরে র‍্যাট-২ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলে সে আর একজন নতুনকে সাথে নিয়ে টানেলে নামত র‍্যাট-১ হিসাবে। পুরো টানেল এই ভিয়েতকংদের তালুর মত পরিচিত ছিল, তার ওপর কিছু দূর পর পর থাকত বুবি ট্রাপ, সে বুবি ট্রাপের ধরনও থাকত ভিন্ন। হয়ত কোথাও টানেলের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে টানেল র‍্যাটরা এগোচ্ছে হঠাৎ সামনের জনের মরন চিৎকার পেছনের জন সামনে এগিয়ে দেখল সামনের জন ওই হামাগুড়ি দিতে দিতে না বুজে সামনের কোন গর্তে পড়ে গেছে যেখান নীচে চোখা বাশের লাঠি গাঁথা।



এছাড়াও ভিয়েতকংদের হাতে থাকত “ব্যাম্বো ভাইপার” নামে ভয়ঙ্কর সাপ যা এই টানেল র‍্যাটদের কছে পরিচিত ছিল “ওয়ান ষ্টেপ” “টু ষ্টেপ স্নেক” নামে কারন এই সাপ কামড় দিলে দুই পা’র বেশী আগানোর আগেই ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যেত, হয়ত টানেলের কোণ অন্ধকার কোনে চুপ করে বসে আছে ভিয়েতকং। সামনে দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে যাচ্ছে টানেল র‍্যাট, আস্তে করে পিঠের ওপর নামিয়ে দিল “ব্যাম্বো ভাইপার”। খেল খতম।



প্রথম দিকে এই টানেল থেকে ভিয়েতকংদের বের করার জন্য আমেরিকানরা প্রথমদিকে বিষাক্ত গ্যাস ছাড়ত কোন এক মুখ দিয়ে, কিন্তু স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবন বিসর্জন দেয়া ছিল ভিয়েতকংদের অন্যতম আদর্শ। তাই এক দিক দিয়ে গ্যাস চার্জ করলে বেশ কিছু ভিয়েতকং মারা গেলে সে জায়গা আবার অতি সত্ত্বর পুরন হয়ে যেত। এক পর্যায়ে টানেলে গরম পানি পাম্প করত সে পানির সাথে হলুদ রং মিশিয়ে দেয়া হত এবং ওপরে হেলিকপ্টার উড়ত, যদি কোন ভিয়েতকং গরম পানির কারনে বের হয়ে আসত তবে ওপর দিয়ে পাখি শিকারের মত ফেলে দেয়া হত। পরে এগুলো অকার্যকর বিবেচিত হয়।

এর পাশাপাশি প্রথম দিকে টানেল র‍্যাটদের খোজার জন্য টানেলে প্রথম দিকে কুকুর নামিয়ে দেয়া হত, কিন্তু ভিয়েতকংরা একই ধরনের সাবান রেখে দিত টানেলের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় যে সাবান আমেরিকান সৈন্যরা ব্যাবহার করে যাতে বিভ্রান্ত হয়ে যেত কুকুরগুলো, এবং অতি সহজেই ভিয়েতকংদের শিকার এবং খাদ্যে পরিনত হত। কিন্তু এক পর্যায়ে এই সব কার্যকরন সব বিফলে যায়। ফাইনালি তৈরী হয় “টানেল র‍্যাট ”।



টানেল র‍্যাটরা অপারেশানে যেত সাথে থাকত সুইস আর্মি নাইফ, একটা টর্চ এবং স্মিথ এ্যান্ড ওয়েসন .৩৮ রিভলবার। কেউ কেউ আবার .৪৫ কোল্ট ইউজ করত। তবে সাইলেন্সার সহ রিভলবারই টানেল যুদ্ধে ষ্ট্যান্ডার্ড ছিল কারন কোন কারনে পিস্তলের চেম্বারে গুলি আটকে গেলে মুহুর্তের ব্যাবধানেই জীবন মৃত্যুর ফয়সালা হয়ে যেত। টানেল যুদ্ধে যে নিয়ম কে বলা হত “গোল্ডেন রুল” সেটা হল কোন অবস্থাতেই এক বারে তিনটার বেশি গুলি করা যাবে না, কারন সেক্ষত্রে প্রতিপক্ষ ভিয়েতকংরা জেনে যেত আর কয়টা গুলি অবশিষ্ট আছে। তিনটা গুলি করেই সুযোগ মত প্রথম চান্সে আবার পিস্তল বা রিভলবার রিলোড করে নিত।



ভিয়েতকং যোদ্ধাদের মাঝে যারা টানেল যোদ্ধা তাদের মাঝে কেউ কেউ বছরের পর বছর টানেলের অপরিসর স্থানে অবস্থান করত এবং টানেল র‍্যাটদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। এই সব যোদ্ধারা যারা যুদ্ধ শেষে বেঁচে গিয়েছিল তাদের অনেকেরই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, তারা ঠিক মত স্বাভাবিক মানুষদের সাথে মিশতে পারত না, কেউ কেউ আবার সব সময় এত বেশী সতর্ক থাকত সামন্য শব্দেও সেও মনে করত শত্রু এসেছে, এদের পরে মানসিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ওদিকে টানেল র‍্যাটরাও সাধারন সৈন্যদের তুলনায় কিছুটা পাগলাটে ছিল, তাদের কে “ক্রেজি” হিসাবে অভিহিত করা হত, অনেক সময় টানেল র‍্যাটরা টানেলে নামলে ওপরের সাধারন সৈন্যরা বাজি ধরত সে জীবিত ফেরত আসবে কি, আসবে না। এই ছিল র‍্যাটদের জীবন!



ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকা তাদের নৃশংসতার চুড়ান্ত রূপ দেখায় দীর্ঘমেয়াদী রক্তাক্ষয়ী এই যুদ্ধে আমেরিকানরা রাসায়নিক অস্ত্র, এজেন্ট অরেঞ্জ ব্যবহার করেছিলো ভিয়েতনামকে পত্রশূন্য করার জন্য। শূন্য থেকে উত্তর ভিয়েতনামিদের ক্যাম্প, সেন্য এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে স্পষ্ট প্রত্যক্ষ করতে মার্কিনরা বন-জঙ্গলে ঘেরা ভিয়েতনামকে পত্রশূন্য করে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। দক্ষিণ ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট গেরিলাদের জব্দ করতে ভিয়েতনাম জুড়ে গ্যালন গ্যালন রাসায়নিক পদার্থ ঢালতে শুরু করে মার্কিন সেনা। দশ বছরে ভিয়েতনামে ঢালা হয়েছিল সাতরঙা বিষের মধ্যে সব থেকে কুখ্যাত ‘এজেন্ট অরেঞ্জ’। সবমিলিয়ে মোট সাড়ে চার কোটি লিটার ‘এজেন্ট অরেঞ্জ’। উপরের ছবিতে সেই নিষ্ঠুর চেহারাটি ফুটে উঠেছে। এগুলো ছিল সামান্য প্রভাব। এছাড়াও এই রাসায়নিক অস্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে এবং বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেওয়া শুরু হয়। এছাড়া নাপাম বোমার কথা তো আগেই বলেছি।



১৯৭২ সালে এই ছবি তোলা হয়েছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামের একটি গ্রামে। দূরে দেখা যাচ্ছে কুখ্যাত নাপাম বোমার ধোঁয়া। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে করতে নগ্ন হয়ে দৌড়ুচ্ছে নয় বছরের এক বালিকা। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক চিত্রসাংবাদিকের তোলা এই ছবি সারা বিশ্বকে নাড়া দেয়, বিব্রত হয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনও। ভিয়েতনাম জুড়ে তখন ‘নাপাম বোমা’ আর কুখ্যাত রাসায়নিক বিষ ‘এজেন্ট অরেঞ্জ’ ঢালছে মার্কিন সেনারা। গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে রওনা দিচ্ছিলেন মানুষেরা। বোমারু বিমান রেহাই দেয়নি তাদের। ওপর থেকে ফেলতে থাকে নাপাম বোমা এবং সেই বোমায় জ্বলে যায় তার দেহের একটা অংশ। “জ্বলে যাচ্ছে! জ্বলে যাচ্ছে!” এই চিৎকার করতে করতেই দৌড়তে থাকে শিশুটি শিশুটির নাম কিম ফুক (যোবাইর ভাইর দারুন এক লেখা আছে এনিয়ে চাইলে লিঙ্কে ক্লিক করে দেখে আসতে পারেন বিশ্ববিবেককে কাঁপিয়েছিল যে ছবি ) সেই মুহূর্তটিই লেন্সবন্দী করেছিলেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের চিত্র সাংবাদিক নিক উট।


শিকারের অপেক্ষায় বসে আছে ভিয়েতকং যোদ্ধা

টানেল র‍্যাট ইউনিট ছিল ভলান্টিয়ারি ইউনিট, শুধু ভলান্টিয়ারি হলেই হত না, সেই সাথে দরকার ছিল আমেরিকান অষ্ট্রেলিয়ান সৈন্যদের মাঝে খর্বাকৃতি (উচ্চতা ৫’৫” এর বেশি না), আবার শুধু উচ্চতা থাকলেই হত না, সেই সাথে থাকতে হত দুর্জয় সাহস। মাটির নীচে সুড়ঙ্গ পথে অচেনা পরিবেশে ওয়ান টু ওয়ান অথবা ওয়ান টু মেনি ফাইটের অভিজ্ঞতা, এর পাশাপাশি বুবি ট্রাপ, সাপ, বিছা, বিষাক্ত পিপড়া, গ্রেনেড হামলার আশংকা প্রতি পদে। তাই ১৯৬৫ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই ইউনিটে ৭০০ জন সদস্য ছিল, তার মাঝে ৩৬ জন নিহত এবং ২০০ আহত হয়, ক্যাজুয়ালিটি রেট ৩৩%, এমনকি ভিয়েতনাম যুদ্ধের তুলনায়ও অনেক বেশী। অপর দিকে আমেরিকানদের নিয়ম নীতি হীন যুদ্ধের কারনে এক টানেল যুদ্ধেই ১২০০০ এর বেশি ভিয়েতকং নিহত হয়।



ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকানদের পরাজয়ের অন্যতম কারন দেখানো হয় এই টানেল কং দের। যারা রাতের আধারে ভুতের মত উদয় হয়ে আমেরিকান সৈন্যদের গলা কেটে আবার হাওয়ায় মিশে যেত, ফ্রাঙ্ক গুইটেরেযের কথায় শুনুন, “আমরা রাতে ঘুমুতে যেতাম কিন্তু জানতাম না সকালে সবাইকে দেখব কিনা? ওরা আসত ভুতের মত, আমাদের সাথে যথেষ্ট টানেল র‍্যাট থাকত, কিন্তু ওদের টানেলের মুখ কোথায় থাকত সেটা খুজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল......”

ভিয়েতনাম যুদ্ধটি আমেরিকানদের জন্য রক্তাক্ত এক রণক্ষেত্র ছিল, যদিও ভিয়েতনামিদের চেয়ে বেশি ভয়ংকর নয়। আমেরিকার ৫৮,২০০ সৈনিক নিহত, ১৬,০৯০ জন নিখোঁজ, ৩,০৩,৬৩০ সৈনিক আহত হয়েছিলো ভিয়েতনাম যুদ্ধে। অন্যদিকে, প্রায় ২০,০০,০০০ লক্ষ অসামরিক ভিয়েতনামিসহ প্রায় ৪০,০০,০০০ লক্ষ ভিয়েতনামি শহীদ হয় টানা ২০ বছরের যুদ্ধে।



ছবিঃ অন্তর্জাল। লেখায় নীল রং এর শব্দগুলোতে ক্লিক করলে লিঙ্ক পাওয়া যাবে।

মন্তব্য ১২০ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:১৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মার্কিনিরা এখন তাদের ট্যাকটিকস পরিবর্তন করেছে | বাঘের সাথে সাথে যেমন ফেউ থাকে, যেকোনো দেশে যুক্তরাস্ট্র তার পাপেট সরকার অথবা প্রতিবেশী দেশের পাপেট সরকার ব্যবহার করে | সম্মুখ সমরে এই পাপেটদের যোদ্ধারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় | ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে অথবা ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে সৌদিকে, রাশিয়াকে রুখতে ব্যবহার করছে ইউক্রেনের পাপেট সরকারকে | ল্যাটিন আমেরিকাতে তার আছে বেশ কিছু পাপেট সরকার যার মাধ্যমে অন্য বিদ্রোহী দেশগুলোকে সাইজ করছে তারা | এমনকি প্রো-একটিভ ব্যবস্থা হিসাবে চীনকে প্রয়োজনে রুখতে এবং ভারত ও নেপালের মাওবাদী উত্থান রোধের জন্য দক্ষিণ এশিয়াতে রেখেছে ভারতের মতো অতি আজ্ঞাবহ একটি রাষ্ট্রকে |

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা সময়ের সাথে সাথে অভিযোজিত হয়ে এখন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি, তবে এই ছাগল ট্রাম্পটা আমেরিকাকে কতটা নীচে নামাবে তাই দেখার বিষয়। আমার ধারনা আমেরিকা তার পীক পয়েন্টে পৌছে গেছে এই বার নীচে নামার পালা এবং অন্য কারো পীকে যাবার টার্ম। আমেরিকার অবনমন টা হবে ট্রাম্পের মত পাগলের হাত ধরেই।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩২

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: বেশ সময় নিয়ে পড়লাম।। খুব ভাল লাগল।। একটি সুন্দর সকালের শুরু।।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: শুভ সকাল। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৯

রাফা বলেছেন: ভিয়েতনামিরাই একমাত্র জাতি যারা প্রকৃত অর্থে আমেরিকানদের কিছুটা হলেও শিক্ষা দিতে পেরেছে।বাধ্য হয়েছে লেজ গুটিয়ে চলে আসতে।
৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধটা এমন হওয়া উচিত ছিলো।মিনিমাম ১০ বছর যুদ্ধ করে বাংলাদেশটা স্বাধীন হলে স্বআধীনতার প্রকৃত মর্ম বুঝতে পারতো বাঙালীরা।

খুব ডিটেইলে সহজ করে উপস্থানের জন্য ধন্যবাদ,শে.শায়রী। :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: রাইট ভ্রাতা, নয় মাসে সন্তান জন্ম গ্রহন করায় আজো পঞ্চাশ বছরে আমরা এর মর্ম ঠিক উপলদ্ধি করতে পারলাম না। যদি ভিয়েতনামিজদের মত ৩৫ বছর যুদ্ধ করতে হত তবে বোঝা যেত এর মর্ম। আজকের ভিয়েত্নামিজ এবং আমাদের দিকে তাকালে পার্থক্যটা উপলদ্ধি করা যায়। যদিও পাকিদের একটা জন্মের শিক্ষা দেয়া গেছে :)

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আমার ধারনা আমেরিকা তার পীক পয়েন্টে পৌছে গেছে এই বার নীচে নামার পালা এবং অন্য কারো পীকে যাবার টার্ম। আমেরিকার অবনমন টা হবে ট্রাম্পের মত পাগলের হাত ধরেই। "

- আপনার ধারণা ভুল হতে পারে না, আমেরিকা শেষ, কাপুত, ফিনিতো, লা ফিনি; বাংলাদেশের বুয়েট, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও ইরান বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।

@রাফা,

বাংলার মুক্টিযুদ্ধ ১০ বছর চলতে পারতো, যদি আপনি বা আপনার পরিবার থেকে ২/৪ জন যুদ্ধে যেতেন; যুদ্ধের সিনেমা দেখেছেন তো, তাই সহজেই ফিল্ড মার্শাল হয়ে গেছেন। ৯ মাসে ২২ হাজার যোদ্ধা জাতির জন্য প্রাণ দিয়েছেন; ওঁদের২/১ জনের নাম টাম জানেন তো?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: হে হে হে মুরুব্বী খুব গায় লাইগা গেছে তাই না? তবে এটা কিন্তু অস্বীকার করতে পারবেন না ভিয়েতনামে আমেরিকানদের রাস্তার কুত্তার মত পিডাইছে



ভিয়েতনাম যুদ্ধের ছবিতে, মার্কিন বিমানবাহিনী ১ম লেফটেন্যান্ট জেরাল্ড সান্টো ভেনানজি উত্তর ভিয়েতনামি এক যুবতী, সৈনিকের দ্বারা বন্দী হন।

মুরব্বী বুয়েট কি দিল না দিল তাতে আমার কিছু আসে যায় না, আমার ধারনা আপনার লেখা পড়া যেটা আপনি দাবী করেন মানে ইঞ্জিনিয়ার সেটা ভুয়া :P শক্ত কারন আছে বলেই বললাম। =p~

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০০

শের শায়রী বলেছেন: এত দিন জানি ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে তার মাঝে আপনি হিসাব দিলেন ২২ হাজার যোদ্ধা বাকীরা কি এমনি এমনি নিহত!!! ব্লগে তো আপনি আবার মুক্তিযুদ্ধের ওপর এক মাত্র অথরিটি। হিসাবটা কি একটু বুজাইয়া দেবেন?

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "মুরব্বী বুয়েট কি দিল না দিল তাতে আমার কিছু আসে যায় না, আমার ধারনা আপনার লেখা পড়া যেটা আপনি দাবী করেন মানে ইঞ্জিনিয়ার সেটা ভুয়া :P শক্ত কারন আছে বলেই বললাম। "

-ব্লগে আমার নিক নেমটাও ভুয়া; সেইদিক থেকে আপনি ঠিক আছেন।
-আপনি যে বলেছেন, আমেরিকা পিকে, চলে গেছে, এবং আপনার মনে হচ্ছে আমেরিকার পতন হবে, সেটা সঠিক নয়; আপনি হয়তো বাংলাদেশ সরকারের চাকুরী করেন, সেজন্য আপনার ধারণাশক্তি এই রকম কিছু বলছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১৪

শের শায়রী বলেছেন: আমার শিক্ষা দীক্ষা, চাকুরী বাকুরী নিয়ে আপনার কোন ধারনা নেই, আপনার নামটা যে ভুয়া তা বুঝার জন্য আইনষ্টাইন হতে হয় না, কোন কমেন্টে যেন আপনার অরিজিন্যাল নাম দেখছিলাম, যেহেতু আপনি সেটা গোপন রাখতে চান তাই গোপনই থাকুক। আর আপনি ইঞ্জিনিয়ার হলেও খুব সম্ভবত আমাদের দেশের পলিটেকনিক টাইপের কিছু, যদিও আপনি আমাকে বলছিলেন কোন একটা কলেজের নাম। যাই হোক এগুলো বাদ দেই, মুরুব্বী। আপনার আমেরিকা প্রীতি অত্যন্ত নোংরা লাগে কেন যেন, ঠিক মানায় না, হ্যা দেশে আছেন তার প্রতি লয়াল থাকবেন এটা স্বাভাবিক, কিন্তু অতি ভক্তি .... বোজেন তো?

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০৮

রাফা বলেছেন: @চাঁদগাজী-উত্তর না দিয়ে আর পারলামনা। ৭১-এ আমার পিতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসা ১জন যোদ্ধা।নিজের মত নির্বোধরাই এমন ভাবনা ভাবে। আর বাকি যারা যুদ্ধ করছে তাদের কথা নাইবা বললাম।এর পরে আমি আপনার কাছ থেকে কোন রকম প্রশ্নের উত্থাপন হোক চাইনা।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


@রাফা বলেছেন, " @চাঁদগাজী-উত্তর না দিয়ে আর পারলামনা। ৭১-এ আমার পিতা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসা ১জন যোদ্ধা। "

-আপনার বাবার জন্য সন্মান রলো, বাবা যুদ্ধ করেছেন বলে তো আপনি 'ফিল্ড মার্শাল" হয়ে যাননি। আর পাকিস্তান কি ১০ বছর যু্দ্ধ করতে পারতো ১৩০০ মাইল দুরে এসে? ৯ মাসের যুদ্ধ কি জিনিষ সেটা বাবার থেকে জেনে নিয়েন।

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "মুরব্বী বুয়েট কি দিল না দিল তাতে আমার কিছু আসে যায় না, আমার ধারনা আপনার লেখা পড়া যেটা আপনি দাবী করেন মানে ইঞ্জিনিয়ার সেটা ভুয়া :P শক্ত কারন আছে বলেই বললাম। "

-আমি ভুয়া হলেও, আপনি আমার বেতন দেননি, আমি সঠিক হলেও আপনি আমার বেতন দেননি। তবে, আমেরিকার পতন হবে বলাতে, মনে হচ্ছে, আপনি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে চাকুরী করেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনার বেতন যেমন আমি দেইনি এটাও যেমন ব্রুব সত্য, তেমনি এই ব্লগের কারো বাজারও আপনি করে দেন না, তাই আমেরিকার পতন না উত্থান হবে এটা বলাতে আপনার গায়ে ফোস্কা পড়ার কারন দেখি না, আমার টাকায় আমি বাজার করি সো যা খুশী বলব :P আর আপনি যেভাবে পলিটেকনিক থেকে পাশ করে সব ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের এক হাত নেন তাতে আপনার জ্ঞানের গভীরতা বুজতে আইনষ্টাইন হতে হয় না।

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "আমেরিকা পিকে আছে, পতন হবে"।

-এগুলো টং চা'দোকানের চটুল বাকপটুতা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২০

শের শায়রী বলেছেন: ও হো আমি তো ভুলে গেছিলাম এই ব্লগে একজন সাদা চামড়ার (অ্যাালবিনো) বাঙ্গালী আমেরিকান আছে, যার কাছে আমেরিকার নিয়ে সামান্য কিছু বলাও অন্যায়। মাফি মাংতা হু জনাব এ বাঙ্গালী আমেরিকান। ;)

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " এত দিন জানি ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে তার মাঝে আপনি হিসাব দিলেন ২২ হাজার যোদ্ধা বাকীরা কি এমনি এমনি নিহত!!! ব্লগে তো আপনি আবার মুক্তিযুদ্ধের ওপর এক মাত্র অথরিটি। হিসাবটা কি একটু বুজাইয়া দেবেন? "

-যিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন, তিনি যোদ্ধা; এঁদের থেকে ২২ হাজার প্রাণ দিয়েছেন যু্দ্ধ করে। স্বাধীনতাকামী জনতা পাকী ও রাজাকারদের গণহত্যার শিকার হয়ে অস্ত্রহীন অবস্হায় প্রান হারায়েছেন; সবে কিলে ৩০ লাখ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: এই যে ২২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে এর রেফারেন্স দিন, নাকি আপনার কথাই রেফারেন্স? এবং ২৯ লাখ ৬৮ হাজার নিরীহ মানুষ আপনার হিসাবে তাই না?

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৫

জোবাইর বলেছেন: ভিয়েতনাম যুদ্ধ সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এক যুদ্ধ। এর কাহিনী, কৌশল, ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গ্রন্থ, নির্মিত হয়েছে অনেক ছায়াছবি। ভিয়েতনাম যুদ্ধে নাপাম বোমায় দগ্ধ নয় বছরের বালিকা কিম ফুকের ছবি নিয়ে অনেক আগে ব্লগে একটি পোস্ট লিখেছিলাম: বিশ্ববিবেককে কাঁপিয়েছিল যে ছবি

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখাটা আমি প্রিয় তে নিয়ে নিলাম, রাতে সময় করে পড়ে আবার কমেন্ট দেব। আমিও ওই ছবিটা ব্যাবহার করছি কিন্তু। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " ও হো আমি তো ভুলে গেছিলাম এই ব্লগে একজন সাদা চামড়ার (অ্যাালবিনো) বাঙ্গালী আমেরিকান আছে, যার কাছে আমেরিকার নিয়ে সামান্য কিছু বলাও অন্যায়। মাফি মাংতা হু জনাব এ বাঙ্গালী আমেরিকান। "

-আমি একা নই, ৬ লাখ বাংগালী মান সন্মানের সাথে আমেরিকায় কাজ করছেন, বসবাস করছেন; আরো ৭/৮ লাখ আসবেন আগামী ১৫ বছরে। এগুলো নিয়ে চটুল কথা বলে নিজকে বেকুব বানাচ্ছেন!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে আপনার যুক্তি শুনে। আমেরিকায় যারা কাজ করে তারা মান সন্মানের সাথে করে আর আপনি অসংখ্যবার বলছেন যারা মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে তারা অনেক টা গাধা গরু কত বড় বুদ্ধিমান হিসাবে নিজে প্রমান করছেন জানেন? এখন ছয় লাখ আগামী ১৫ বছরে ৭/৮ লাখ নেবে দেখে আমেরিকার পায়ে হাত দিয়া সালাম করতে হবে =p~ মুরুব্বী এই বুদ্ধিটুকুও কি নাই যে, ওই দেশের প্রয়োজনেই নেবে, যারা এক দেশ থেকে আর দেশে মানুষ নেয় প্রয়োজনে নেয় কোন দয়ার দানে নিচ্ছে না, এই সব কথা আপনার গ্রামে গিয়া বইলেন হাত তালি পাবেন, আর এই ধরনের চামচামির অন্য একটা নাম আছে..... সেটা না হয় নাই বলি এই মুহুর্তে =p~

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: কি বিভৎস! কি মর্মান্তিক!
মনটা খারাপ হয়ে গেলো,যদিও আগে কিছুটা জানা ছিলো,আরো বিস্তারিত জানলাম।
পোষ্টে ভালো লাগা।
#আপনার ওখানের কি খবর প্রিয় ব্লগার।নিশ্চয় ভালো আছেন?
ভালো থাকুন। সতর্ক থাকুন।
শুভকামনা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি বাসার পাশে যে মসজিদে নামায পড়তাম সেই মসজিদ বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে সেখান থেকে অল রেডি অফিশিয়াল লক ডাউন।

সাবধানে থাকুন প্রিয়জন নিয়ে। শুভ কামনা। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে হেফাযত করুক

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " এই যে ২২ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছে এর রেফারেন্স দিন, নাকি আপনার কথাই রেফারেন্স? এবং ২৯ লাখ ৬৮ হাজার নিরীহ মানুষ আপনার হিসাবে তাই না? "

-পাকিস্তানীরা ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার শহীদ হওয়া ও মোট ৩০ লাখ বাংগালীর শীদ হওয়া নিয়ে গত ৪৯ বছর প্রশ্ন তুলে আসছে, রেফারেন্স চেয়েছে, লিষ্ট চেয়ে আসছে; জামাতীরা পাকীদের সাথে যোগ হয়ে লিষ্ট চেয়ে আসছে; আজকে আপনিও পাকী ও জামাতীদের সাথে যোগ দিয়ে রেফারেন্স চাচ্ছেন, ভালো!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫০

শের শায়রী বলেছেন: কথা ঘুরানোর খেলা খেলবেন না আমার সাথে আর হিসাব করে কথা বলবেন প্রিয় মুরুব্বী কারন যে কথা আমাকে বলবেন পাল্টা উত্তর ও আপনি পাবেন, প্রথম বারের মত দিলাম না কারন বয়োজোষ্ঠ। আমি আপনার কাছে ২২ হাজার যোদ্ধার নিহত হবার রেফারেন্স চাচ্ছি কারন এর থেকে অনেক বেশী যোদ্ধ নিহত হয়েছে, আপনি মনগড়া হিসাব দিলে তো হবে না, আর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা আপনি এক মাত্র করেনি, সো কেয়ারফুল। রেফারেন্স দিন বাঙ্গালাদেশের সরকারের কোথায় আছে মাত্র ২২ হাজার যোদ্ধ নিহত হয়েছে। ফালতু বাত ছাড়েন।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০০

নিমো বলেছেন: লেখক : আমার ধারনা আমেরিকা তার পীক পয়েন্টে পৌছে গেছে এই বার নীচে নামার পালা এবং অন্য কারো পীকে যাবার টার্ম।

তা আপনার ধারণায়, কে / কারা পীকে যাবে?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১০

শের শায়রী বলেছেন: এই মুহুর্তে তা নিয়ে ভাবছি না কে বা কারা পীকে যাবে, তবে আমেরিকার পতন এই ট্রাম্প ডেকে আনছে এটা আমার মতামত।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "লেখক বলেছেন: কথা ঘুরানোর খেলা খেলবেন না আমার সাথে আর হিসাব করে কথা বলবেন প্রিয় মুরুব্বী কারন যে কথা আমাকে বলবেন পাল্টা উত্তর ও আপনি পাবেন, প্রথম বারের মত দিলাম না কারন বয়োজোষ্ঠ। আমি আপনার কাছে ২২ হাজার যোদ্ধার নিহত হবার রেফারেন্স চাচ্ছি কারন এর থেকে অনেক বেশী যোদ্ধ নিহত হয়েছে, আপনি মনগড়া হিসাব দিলে তো হবে না, আর বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা আপনি এক মাত্র করেনি, সো কেয়ারফুল। রেফারেন্স দিন বাঙ্গালাদেশের সরকারের কোথায় আছে মাত্র ২২ হাজার যোদ্ধ নিহত হয়েছে। ফালতু বাত ছাড়েন। "

-আমার হিসেব মতে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন; এর বেশী বা কম হলে, তা বাংলাদেশ সরকার বলতে পারবে। আপনি পাকীদের মতো, জামটের রাজাকরদ্বের সুরে রেফারেন্স চেয়েছেন। আপনি শিরিরও হতে পারেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২১

শের শায়রী বলেছেন: নাসিরুদ্দীন হোজ্জাকে একবার তৈমুর লং জিজ্ঞেস করে আচ্ছা হোজ্জা বলতো এই শহরে কাক কত? হোজ্জা বলে ৯৯৯৯৯৯ টি যদি বেশি হয় তবে হুজুর জেনে নেবেন পাশের শহর থেকে বেড়াতে এসেছে আর যদি দেখেন কম তবে পাশের শহরে বেড়াতে গেছে, আপনিও শহীদদের হিসাব দেবার সময় হোজ্জার ভুমিকা নিলেন "আমার হিসেব মতে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন; এর বেশী বা কম হলে, তা বাংলাদেশ সরকার বলতে পারবে।" কত্তবড় মুক্তিযোদ্ধা আপনি বুজতে পারছেন, সামান্য সহযোদ্ধাদের নিহতজন দের খবর রাখেন না আবার ব্লগ মুক্তিযোদ্ধা চালাচ্ছেন। সারাদিন তো আছেন আমেরিকা নিয়া আমার ধারনা আপনি আমেরিকায় জর্জ ওয়াশিংটনের সাথে গৃহ যুদ্ধ করছেন ;)

আপনার মত আমেরিকান রাজাকার যে আর একজন কে অবলীলায় শিবির বলবেন তাতে অবাক হবার কিছু নাই :P আর দয়া করে ম্যা ম্যা কইরেন না পোষ্ট সংক্রান্ত আলোচনায় থাকেন

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব বিষয়ে আপনার ধারণা নেই, সেইসব বিষয়ে চটুল, বাকপটুতা দিয়ে ব্লগিং করা সঠিক নয়; আপনার মনে হচ্ছে, আমেরিকার পতন হবে, এগুলো পাগলামীর সামিল; এসব পাগলামী করার জন্য ব্লগ সঠিক যায়গা নয়; ৩০ লাখ বাংগালীর শহীদ হওয়া নিয়ে, ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধার শহিদ হওয়া নিয়ে রেফারেন্স চাওয়া খারাপ ধারণা, এগুলো জামাত শিবিরের কাজ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়াও কি জামাত শিবিরের কাজ? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে, সারা জীবন আমেরিকায় থাইক্কা এত্তবড় মুক্তিযোদ্ধা?!! আর আমেরিকার পতন কি রাস্তায় গড়াগাড়ি খাবে আপনার এত কষ্ট কেন? আর অবশ্যই রেফারেন্স চাব যেখানে ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সেখানে আপনি নয়া থিওরির দিচ্ছেন ২২ হাজার অস্ত্রধারী বাকী ২৯ লাখ ৬৮ লাখ নিরীহ মানুষ মৃত। আমার তো সন্দেহ হচ্ছে আপনি মুক্তিযোদ্ধার নামে কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, আপনি রেফারেন্স দিন কোথায় পেলেন ২২ হাজার অস্ত্রধারী মুক্তিযোদ্ধা বাকীরা "স্বাধীনতাকামী জনতা পাকী ও রাজাকারদের গণহত্যার শিকার হয়ে অস্ত্রহীন অবস্হায় প্রান হারায়েছেন; সবে কিলে ৩০ লাখ। " আর আমি কোথায় বলছি "৩০ লাখ বাংগালীর শহীদ হওয়া নিয়ে রেফারেন্স চেয়েছি" এত সস্তা খেলা খেল্বেন না !:#P একটু বুদ্ধিমানের মত খেলুন।

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " আপনার মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়াও কি জামাত শিবিরের কাজ? "

-অবশ্যই এগুলো মুক্তিযোদ্ধা-বিরোধী কথা; আপনি কে যে, আপনাকে কোন মুক্তিযোদ্ধা তাঁর সার্টিফিকেট দেখাবেন? একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডারেরা তাঁর নিজের সোনিকদের সার্টিফিকেট বা দরকারী তথ্য চাইতে পারে, আপনি কে? বেকুবী করার যায়গা পাচ্ছেন না?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: রাগ করেন না মুরুব্বী? যা বুজার বুজে গেছি। আর একজন কে শিবির বলতে খুব ভালো লাগে তাই না? আপনি আমার সন্মন্ধ্যে কিছু জানেন না। সুতারাং সব কিছু নিয়ে খেলবেন না। যেখানে খেলার সেখানে খেলুন। আমার সাথে খেলতে আসলে কাগজপত্র নিয়েই আসবেন। আপাতত ঘুমান। আমিও ঘুমাব। আর নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন।

পোষ্ট টা আমার আবার রাগ দেখাচ্ছেন মনে হচ্ছে অভিমানী প্রেমিক। আপনাকে কি দাওয়াত দিয়ে আনছি? সন্মানহীনের মত কমেন্ট করেই যাচ্ছেন কৈ তাতে তো লজ্জা নেই।

১৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "পোষ্ট টা আমার আবার রাগ দেখাচ্ছেন মনে হচ্ছে অভিমানী প্রেমিক। আপনাকে কি দাওয়াত দিয়ে আনছি? সন্মানহীনের মত কমেন্ট করেই যাচ্ছেন কৈ তাতে তো লজ্জা নেই। "

-ব্লগে পোষ্ট দিলে কাউকে দাওয়াত দিয়ে আনতে হয় না; কমান্ডার ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট চাওয়ার কোন অথারিটি কারো নেই; এসব দরকারী বিষয়গুলো কমনসেন্স; চটুল বাকপটুতা বাদ দিয়ের ব্লগিং করেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:০৮

শের শায়রী বলেছেন: আমি দুঃখিত মুরুব্বী, তবু বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার সাথে তর্কে যাবার কোন রুচি আর নেই। ওপরে যা বাতচিত আছে কেউ এক নজর দেখলেই বুজবে রুচিবোধের অবক্ষয় একজন বয়স্ক মানুষের কিভাবে হয় এবং মিথ্যাচার। আমি কোন ব্লগিং করিনা, আমি বলতে পারেন অনেকটা অনুবাদক টাইপের অথবা জোড়াতালি দিয়ে টাইপ রাইটার জাতীয় কিছু একটা। আপনিই না হয় ব্লগিং করুন, হ্যাপী ব্লগিং ;)

আপনার ভাষ্যমতে কমান্ডার ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট চাওয়ার কোন অথারিটি কারো নেই সেক্ষেত্রে ব্লগে শুক্কুরে শুক্কুরে ৭ দিন আইসা যাকে তাকে শিবির, রাজাকার ট্যাগ দেয়ার অথরিটি আপনাকে কে দিল? ভদ্রতা ফ্যামিলি থেকে আসে, সেটা বোধহয় আপনি জানেন না।

২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১১

কোলড বলেছেন: There was a mistake in your article. North Vietnamese regular army was never called Vietcong. The term "Vietcong" was specifically reserved for NLF fighters mostly from South with some members of NVR. Vietcong was almost wiped out in Tet offensive.
Show me one example where US forces lost a battle in Vietnam or in Afghanistan.

But yes, US indeed lost the war in Vietnam.

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২২

শের শায়রী বলেছেন: আমি লিখছি "এক পর্যায়ে আমেরিকা ১৯৬১ সালে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে দক্ষিন ভিয়েতনামে, ওদিকে প্রচন্ড নিষ্ঠুর দিন দিয়েম নো কে ঠেকানোর জন্য দক্ষিন ভিয়েতনামে কম্যুনিষ্ট অকম্যুনিষ্ট সব এক হয়ে গঠন করে ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এনএলএফ)। আর আমেরিকান রা একে ব্যাঙ্গ করে ডাকা শুরু করে ভিয়েতকং (মানে ভিয়েতনামিজ কম্যুনিষ্ট, যদিও এই এন এল এফ বা ভিয়েতকং এ কম্যুনিষ্টদের থেকে অকম্যুনিষ্টই বেশী ছিল)।" আমার মনে হয় না এখানে নর্থ ভিয়েতনামিজ রেগুলার আর্মির কথা বলা হয়েছে।

আপনিই আমাকে প্রশ্ন করছেন, আপনিই উত্তর দিয়েছেন। "But yes, US indeed lost the war in Vietnam." আমার মনে হয় না আমার জবাবের জন্য কিছু বাকী রেখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "ভদ্রতা ফ্যামিলি থেকে আসে, সেটা বোধহয় আপনি জানেন না। "

-আমি তো দেখছি, আপনি মুখ খুললেই ভুল কিছু বের হয়; ব্লগিং'এ ফ্যামিলিকে টানতে হয়? আপনি আসলে অথর্ব!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪০

শের শায়রী বলেছেন:

২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কমেন্ট করতে এসেছিলাম।
কিন্তু কমেন্টে কাইজ্জা দেখে এখন আর ইচ্ছে করছে না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।

২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রেগে গেলে মানুষের আসন চরিত্র বের হয়ে পরে।মাফি মাংতা হু,এটা আপনার কোন তরফের ভাষা?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: মাফ করবেন আমার হিন্দী জ্ঞান ওই পর্যন্ত, যে কোন বাক্যের শেষে হু যোগ করলেই আমার ধারনা হিন্দী হয়, তো মুরুব্বীর কাছে হিন্দীতে ক্ষমা প্রার্থনা করছিলাম তো তাই ওই মাফি মাংতা হু বের হয়ে গেছে। ভুল হয়ে গেছে, নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।

২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিয়েতনাম যুদ্ধের দারুন এক কৌশলের কথা জানানোয় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সত্যি অসাধারন কৌশল ছিল বটে। একবারে নাকানি চুবানি খাওয়ানোর

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার প্রতি সশ্রদ্ধ অভিবাদন!

ম্যা'ভাই শাস্ত্রে একটা কথা আছে জানেন নিশ্চয়ই-
কুত্তা বাসনে মূখ দিলে মাটি দিয়ে ধূইতে হয়!
আতকা কথাডা মনে পড়লো ;)
আবার শুনলাম বিজ্ঞানিরাও নাকি পরীক্ষা কইরা দেখছে এইডা নাকি হাছা!
জানেন নিকি কিছু?

করোনায় নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: বিজ্ঞানীরা তো আর ভুল করতে পারে না। আমিও শুনছি তয় এই কোয়ারেন্টাইনে মাডি মুডি ব্যাবস্থা করা খুব কঠিন স্পেশালি ঢাকা শহরে, তাই ম্যা'ভাই বাসন ঢাইকা রাখাই উত্তম, কিন্তু চতুস্পদী জন্তু যে কোন জায়গায় মুখ ঢুকাইয়া দেয়। কি আর করা! প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে মাডি না পাইলে :(

২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভিয়েতনামে আমেরিকা পরাজয়ের স্বীকার হয়েছিল। ভিয়েতনামের টানেল যুদ্ধের ব্যাপারে জানতাম না। ভয়াবহ অবস্থা, ভিয়েতনাম বীরের জাতী, করোনার বিরুদ্ধেও তারা ভাল করছে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি ভ্রাতা, সেই আমলে আমেরিকারে সেই রকম মাইর দিছে, আবার দেখুন এই সময় যখন মহাশক্তিশালী আমেরিকা করোনায় টাল মাটাল তখন ভিয়েতনাম করোনা মোকাবিলায় ভিয়েতনামের সাফল্যের নেপথ্যে

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

মা.হাসান বলেছেন: সে কি এলো :`>


১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫২

শের শায়রী বলেছেন: :`> আমি পেয়েছি, উহাকে পেয়েছি।

২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আম্রিকা ভিয়েতনামে যেই প্যাদানী খাইছে, লজ্জা-শরম থাকলে আর কুনো দিকে তাকাইতো না। আবার আফগানিস্থানে সেই রকমের প্যাদানী খাইলো। এরা প্যাদানী খাওনের বিশেষজ্ঞ। :P ভিয়েতনামের উপরে হ্যারা মুভি বানায়, প্যাদানীখোর গো হিরো দ্যাখায়; আসল ঘটনার উপরে মুভি বানাইতে কইলজা লাগে, হেইডাই নাই। পুরা দুইন্নাডারে জ্বালায়া খাইতাছে এইগুলা।

করোনার পরে অগো অর্থনীতিতে যে ধ্বস নামবো, হেইডা ঠেকানোর লাইগা অস্ত্র বেচনের জন্য দ্যাশে দ্যাশে আরো যুদ্ধ লাগাইবো। আরো অস্থির বিশ্ব দেখনের জন্য আমাগো প্রস্তুতি নেয়ন লাগবো এখন থিকাই।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: আর অস্ত্র বেচা জায়েজ করার জন্য কিছু ক্যানভাসার তো রেডি আছেই বিভিন্ন জায়গায় :P গলা ফাডাইয়া চিক্কুর দিয়া কইবে যুদ্ধ লাগানো ঠিক আছে, অর দোষ এর দোষ। দেখবেন জেনুইন আমেরিকানরা এর প্রতিবাদ করবে, আর কিছু "উডুইরা" যারা এদিক উদিক দিয়া যাইয়া ওই দ্যাশে কুন রকম আছে তারাই চিল্লাইয়া গলা ফাডাইয়া হালাইবে। টাইম আইলো বইলা। :((

২৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

মা.হাসান বলেছেন: ভিয়েতনামে একখানা যুদ্ধ হইসিলো, এই রাম শুনছিলাম। আরো শুনছি আম্রিকানরা নাকি এখনো পেসিডেন নির্বাচনের সময় বিবেচনা করে ভিয়েতনামে কে কয়জন মহিলা আর শিশু হত্যা করতে পারসিলো, যে বেশি পারসিলো তারেই নাকি পেরসিডেন বানায়। ব্যতিক্রম হইলো ডানো, হে নাকি পাঁচবার চেষ্টা করসিলো, অনুমতি পায় নাই। বিস্তারিত এইহানে পাইবেন।
কিন্তু সেই যুদ্ধে যে ইরাম সুড়ঙ্গ হইসিলো জানা আছিলো না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০১

শের শায়রী বলেছেন: নিরীহ শিশু আর মহিলাগো মাইরা সব বীরত্ব। লাজ লজ্জার মাথা খাইয়া চোরের মার বড় গলা আর কি। আর এক হলিউড অগো ছবি দেখলে মনে হয় অরাই ভিয়েত্নামের যুদ্ধে জিতছিলো। এর লগে আবার জুটছে কিছু ....

২৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

মা.হাসান বলেছেন: আম্রিকান আর হেগো অ্যালাইরা ২য় মহাযুদ্ধের উপর প্রচুর মুভি বানাইছে। সব গুলাতেই দেখায় জাপানি-জার্মানিরা বেকুব। ভিয়েতনাম যুদ্ধের উপরেও অনেক মুভি বানাইছে। সেগুলাতে দেখায় আম্রিকানরা কতো ভালো আর ভিয়েতকংরা কত খারাপ। আম্রিকানরা না থাকিলে পৃথিবীর শৃঙ্খলা রাখা কঠিন হইয়া যাইতো। যাউকগা, খারাপ লোকেরা গুজব রটায় ১৯৭১এ নাকি আম্রিকানরা পাকিদের সাহায্য করসিলো। আমরা জানি এসবই গুজব।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

শের শায়রী বলেছেন: একটা নির্লজ্জ বেহায়া রাজনৈতিক জাতি। ইংল্যান্ডু দিয়া সব চোর গুন্ডা গিয়া ওই দ্যাশে গোড়া পত্তন করে আর কত ভালো হবে, এহন কিছু টেকার মুখ দেইখা ধরারে সরা জ্ঞান করে, আমাগো কুদ্দূস চেয়ারম্যান যেমন কিছু টেকা দেইক্কা..... আর এই গুলারে সাপোর্ট দেবার জন্য ভিন দেশি কিছু উড়ুইডা তো আছেই। তবে এইডাও ঠিক অরিজ্যিনাল আমেরিকানরা এই সব পছন্দ করে না। সেই ভিয়েতনামের যুদ্ধের হেগো দ্যাশেই এর প্রতিবাদ হইছিলো .........

৩০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৮

মা.হাসান বলেছেন: স্রাটেজিকালি শত্রুপক্ষকে সুবিধামতো যায়গায় নিয়ে আক্রমন করার উদাহরন কয়েকটা দিলেন। আমি আরেকটা যোগ করতে চাই। ২০০১ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে বিএসএফ বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে লুটপাট শুরু করলে প্রাথমিক ভাবে বিডিআর অনেক খানি পিছিয়ে আসে। পরে চারদিক থেকে বিএসএফকে ঘিরে ফেলে। কতজন বিএসএফ মারা গিয়েছিলো এ বিষয়ে অনেক ধোঁয়াশা আছে। আপনার পরিচিত কেউ ঐ সময়ে বিডিআর বা সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকলে তাদের কাছে একটা ধারনা পাবেন।

অনেকেই উইকিপিডিয়ার তথ্য বাইবেলের মতো বিশ্বাস করে। উপমহাদেশ সম্পর্কে উইকিপিডিয়ার প্রায় সমস্ত তথ্য বিকৃত। কারণ ভারতিয়রা আমদের চেয়ে শিক্ষা এবং দেশপ্রেমে এগিয়ে। এরা উইকিপিডিয়ার কন্টেন্ট ডেভেলাপে প্রচুর সময় দেয়। যাহোক উইকিপিডিয়া কত নির্ভরযোগ্য তা উইকিপিডিয়াতে একবার 2001 Bangladesh–India border clashes সার্চ করলে বুঝতে পারবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

শের শায়রী বলেছেন: পরিচিত থাকন লাগবে না ভাইজান, সে আমলের পেপার পত্রিকা তো আমরা পড়ছি, তখনি যা দেখার দেখছি।

৩১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৩

মা.হাসান বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে আম্রিকা জ্ঞান-বিজ্ঞান-অর্থনীতি-ডাক্তারি সেবা সব কিছুতেই বাংলাদেশের চাইতে পিছিয়ে পড়েছে বলেই তো শুনি। এমনকি ব্লগিঙেও নাকি পিছিয়ে আছে। ব্লগার ঢাবিয়ানতো ওনার শেষ পোস্টে বলছেন এই ব্লগ থেকে জ্ঞানি-গুনিদের লেখা ইন্জিরিতে অনুবাদ করে আম্রিকাতে ছাপাইবেন। আমি ইঞ্জিরি ভাষাটা কম বুঝি বলে এই চেষ্টা আর করলাম না।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১১

শের শায়রী বলেছেন: আমি কিন্তু উল্ডা শুনছি, টাম কাক্কু নাকি বাংলা শিখতাছে কিছু জ্ঞানী গুনীর বাংলা ব্লগ পড়ার জন্য :|

৩২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৭

মা.হাসান বলেছেন: ছোট বেলায় ইস্কুল পালাইয়া ধরা পড়ার পর হেডু সার বলিয়াছিলেন -স্কুল পালাইয়া রবীন্দ্রনাথ হইতে পারিবে না।
আপনি হয়তো বলিবেন -আট-দশ খানা মন্তব্য করিলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না।

তাই বলিয়া কি আমি জ্ঞানীদের অনুসরণ করা ছাড়িয়া দিবো?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: আপনি জ্ঞানী না আপনি মহাজ্ঞানীকে অনুসরন করছেন, তবে কি জানেন তো হেডু স্যার বলিয়া গেছেন স্কুল পালাইয়া রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না।

৩৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভিয়েতনাম আমেরিকাকে বাংলা বাঁশ দিয়ে ছিল। এখন করোনা দিচ্ছে বিশ্বকে । তবে আমেরিকাকে ভিয়েতনামের মত দিলে তাহলে বহু বুড়া লোক দেশে এসে ভিক্ষাও পাবে না কারণ তারা দেশ গঠনে কোন অবদান রাখিনি। তবে চা দোকানে বসে বক বক করলে ইয়াং ছেলেরা ঠিকই বাঁশ দিবে। ছেলেরা জানে এই লোকের সাথে মা মাটির সম্পর্ক নাই। মুখ আছে বলেই কথা বলে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: কি আর বলব নেওয়াজ ভাই সবই বলে দিলেন ;)

৩৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই যে মারামারি, খুন রক্ত, যুদ্ধ এসব আমার পছন্দ না। একেবারেই পছন্দ না।
মানূষ যুদ্ধ করবে দারিদ্রতার সঙ্গে। বন্যা, খরা, সুনামী, অভাব, ভাইরাসের সাথে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

শের শায়রী বলেছেন: এগুলো কারোই ভালো লাগে না রাজীব ভাই।

৩৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩২

পলাতক মুর্গ বলেছেন: অ, চাঁদগাজী সাহেব তাহলে পলিটেকনিক থেকে পাশ করা ইন্জিনিয়ার?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই শোনা কথা, প্রমান নাই, তবে উনি যদি উনার সার্টিফিকেট দিয়া একটা পোষ্ট দেয় তবে সকল বিবাদ ভঞ্জন হয়।

৩৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: কমেন্ট করতে এসেছিলাম। কিন্তু কমেন্টে কাইজ্জা দেখে এখন আর ইচ্ছে করছে না।
আমারও একই অবস্থা। নীচে নেমে কি বলবো ভুলে গেছি।
পলাতক মুর্গ বলেছেন: অ, চাঁদগাজী সাহেব তাহলে পলিটেকনিক থেকে পাশ করা ইন্জিনিয়ার?
না উনি প্রশ্ন ফাঁস করা অ-ইঞ্জিনিয়ার! কু-ইঞ্জিনিয়ারও বলতে পারেন।

ভাইডি! আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম। তখন তো শুনলেন না। এখন বুঝুন।
লেখা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে। অভিনন্দন রইলো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: ভাইডি বিকৃত রুচির পাল্লায় পড়ছি :( বলছিলেন তো তখন শুনি নাই এখন এত কষ্ট কইরা লেখাটার উনি দুর্গন্ধ বানাইয়া ছাড়ছে।

৩৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

আল ইফরান বলেছেন: টানেল যুদ্ধ নিয়ে থিওরেটিকাল অনেক নতুন কিছু জানা হলো। পোস্টে প্লাস :-B

ভিয়েতনাম যুদ্ধের সাথে পরিচিত হই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রেমের বদলে সিনেমা (প্লাটুন, ডিয়ার হান্টার, ফুল মেটাল জ্যাকেট ইত্যাদি) দেখে সময় কাটানোর সুবাদে। পরে পেটের তাগিদে পড়াশুনা করতে গিয়ে আবিষ্কার করি একটা প্রচন্ড জটিল বৈশ্বিক রাজনীতির খেলা। স্নায়ুযুদ্ধে পরাজয়ের কাছাকাছি থাকা সোভিয়েতদের একটা প্রুভিং গ্রাউন্ড ছিলো ভিয়েতনাম ফ্রন্ট যার মুল্য মার্কিনীরা সুদে আসলে তুলে নেয় আফগান যুদ্ধে। আবার আফগান যুদ্ধের ঝাল রাশিয়া তুলে নেয় নর্দার্ন এলায়েন্সকে তালিবানদের বিরুদ্ধে লাগিয়ে।
একটু জ্ঞান ঝেরে দিলাম, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাই লেখাটা যখন লিখি তখন ঠিক এভাবে না ভাবলেও একই রকম ভাবনা আমারো এসেছিল। দারুন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন।

৩৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি পলিটেকনিক পাশ নই; আমার পড়ালেখা সম্পর্কে ব্লগে আমি জানাইনি, আমার নামও জানাইনি। আপনারা নিজের থেকে যা অনুমান করবেন, সেটাই আপনাদের জন্য সঠিক।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী ঘুম দিয়া উইঠাই হাজিরা দিছেন! কে কি বলছে দেখার জন্য মনে হয় ঠিক ভাবে আজকে ঘুমও হয় নাই, যাই হোক মুরুব্বী, এগুলো দুষ্ট লোকেরা বলে, কারো ব্যাক্তিগত ধারনা না। এক কাজ করেন আপনার এম আই টি অথবা প্রিন্সটন যেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ কারছেন সেখানকার সার্টিফিকেট নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়ে জাতির বিবাদ ভঞ্জন করুন। না হলে এগুলোর ডাল পালা গজিয়ে আরো ভয়াবহ সব গুজব রটবে। আমি বিশ্বাস করি আপনার জ্ঞানের সীমা পরিসীমা নাই। আর দয়া কইরা আমার ব্লগ টাকে আর গ্যান্ধা করবেন না।

ভালো থাকবেন মুরুব্বী।

৩৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব ছোটবেলায় M*A*S*H নামে একটা টিভি সিরিয়ালের কথা মনে পড়ে গেল। যুদ্ধক্ষেত্রে আমেরিকান আর্মির ডাক্তারদের নিয়ে নির্মিত সেই সিরিয়ালে কমেডির পাশাপাশি আমেরিকান নানান পলিসির ক্রিটিসাইজ করা হত। গনতন্ত্রের মুল শক্তি কিন্ত এই জায়গাতেই যেখানে দেশের পলিসি মেকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা যায়। এই ব্লগের মুরুব্বী আমাদের বাংলাদেশের অগনতান্ত্রিক সরকারের সমর্থক বিধায় আমেরিকার বেলাতেও উনার একই অগনতান্ত্রিক মনোভাব অর্থাৎ আমেরিকার কোন সমালচনা করা যাবে না। জানেনতো ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে ।

যাই হোক এবারের পোস্টের বিষয়ে আসি । ভিয়েতনাাম যুদ্ধের উপড়ে একটি ইংলিশ মুভি দেখেছিলাম বহুকাল আগে । আপনার লেখাটা পড়ে সেই সিনেমাটার কথা মনে পড়ে গেল। ভিয়েতনাাম যুদ্ধের কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে টানেলের সামনে দাঁড়ানো গোরিলা যোদ্ধা। অসাধারন আপনার উপস্থাপনা ও সাবলীল বর্ননা। পোস্টে পাঁচ তারা।

অটঃ ভাল পোস্টের সৌন্দর্য্য অনেকখানি নষ্ট করে আজেবাজে মন্তব্য। এই ধরনের মন্তব্যকারী ব্লক করবেন কিনা ভেবে দেখতে পারেন। আমার পোস্টে আর দ্বীতিয়বার উক্ত ব্লগার আজেবাজে কমেন্ট করলে ব্লক করব বলে ভাবছি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫২

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই। আমার খুব অবাক লাগে একটা মানুষ কিভাবে এত বিকৃত মানসিকতার হতে পারে? আমেরিকা নিয়ে কিছু উচ্চারন করলেই মনে হয় উনার মনে হয় গায়ে ফোস্কা পড়ে। সকাল বেলায় এই পোষ্ট দেবার পরই যেভাবে হামলে পড়ছে তাতে আমি হতভম্ভ। অথচ উনি হতে পারতেন আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয়।

৪০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



@ঢাবিয়ান ,

আপনি মুভিতে আমেরিকা ও উহার গণতন্ত্র দেখেছেন, আমি ওখানে আরো ৬ লাখ বাংগালীসহ কাজ করি; আপনার সাথে আমার এই সামান্য পার্থক্যটুকু থেকেই যাচ্ছে!

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী ঢাবিয়ান ভাই কোথায় থাকে আপনার ধারনা আছে? আর ব্লগে আপনি একাই আমেরিকায় থাকেন না, কিন্তু আপনার মত দালালী কাউকে করতে দেখলাম না। পার্থক্য কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

৪১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

ঈশান মাহমুদ বলেছেন: বাহ ! দারুণ একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের ওপর কিছু পড়াশোনা এবং মুভি দেখার অভিজ্ঞতা থাকলেও এতো ডিটেইলস বিশেষ করে অনেক অজানা বিষয় বিশেষ করে টানেল যুদ্ধ কিংবা টানেল র‍্যাট সম্পর্কে তেমন জানা ছিলো না। আপনাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের একটি অজানা অন্ধকার দিক আলোতে নিয়ে আসার জন্য।

তবে আপনার পোস্টের গুরুত্ব অনেক খানি কমে গেছে এক ফালতু লোকের সঙ্গে কুতর্কে। এই লোকের কমেন্টকে এতো গুরুত্ব না দিলেও পারতেন। আমার দেখা বাংলা ব্লগের সবচে খবিশ এবং ইতর একটি লোক, যে খোঁচা মারা ছাড়া বলতে গেলে কোন কথাই বলতে পারে না। ব্লগে ব্লগে গিয়ে অহেতুক ক্যাচাল সৃষ্টি করাই তার একমাত্র কাজ। এই আবাল বৃদ্ধকে ইগনোর করাই হলো তার বিরুদ্ধে সবচে বড়ো ঔষুধ। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো ভাই। :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৬

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই পাঠে এবং মন্তব্যে। এই ভদ্রলোক প্রায় প্রতিটা ব্লগে গিয়ে নোংরা মন্তব্য করে এক বিকৃত রুচির বিকৃত আনন্দ পায়। এবং নিজের যোগ্যতার বাইরে গিয়ে যে কোন মন্তব্য দিয়ে ব্লগকে গন্ধ বানিয়ে ফেলে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

৪২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৮

এইচ তালুকদার বলেছেন: ব্যাপক তথ্য নির্ভর চমৎকার পোষ্ট,এইসব পোষ্টের লোভেই এখনো ব্লগে আসি,গত কাল রাতেই কিংবদন্তী অভিনেতা শিন পেনের অভিনীত ভিয়েত্নাম যুদ্ধের ছবি "ক্যাজুয়ালটিস অফ ওয়ার" দেখলাম এরকম নগ্ন বাস্তব যুদ্ধনির্ভর মুভি খুব কমই দেখেছি,ফুল মেটাল জ্যাকেটের পর ভিয়েতনাম নিয়ে এটাই আমার সবচেয়ে প্রীয় মুভি।ভিয়েতনামে মার্কিন সৈন্যদের নারী নির্যাতনের একটা খন্ডচিত্র পাও্যা যাবে এই মুভিতে।প্রসঙ্গত মাই লাই গনহত্যার একটা ছবি দিলাম,ছবিতে যে বাচ্চা কোলে যে মহিলাকে কাপড় ঠিক করতে দেখা যাচ্ছে তাকে কিছুক্ষন আগেই ধর্ষন আর এই ছবি তোলার পর পরই হত্যা করা হয়েছিলো
ব্যাপক তথ্য নির্ভর চমৎকার পোষ্ট,এইসব পোষ্টের লোভেই এখনো ব্লগে আসি,গত কাল রাতেই কিংবদন্তী অভিনেতা শিন পেনের অভিনীত ভিয়েত্নাম যুদ্ধের ছবি "ক্যাজুয়ালটিস অফ ওয়ার" দেখলাম এরকম নগ্ন বাস্তব যুদ্ধনির্ভর মুভি খুব কমই দেখেছি,ফুল মেটাল জ্যাকেটের পর ভিয়েতনাম নিয়ে এটাই আমার সবচেয়ে প্রীয় মুভি।ভিয়েতনামে মার্কিন সৈন্যদের নারী নির্যাতনের একটা খন্ডচিত্র পাও্যা যাবে এই মুভিতে।প্রসঙ্গত মাই লাই গনহত্যার একটা ছবি দিলাম,ছবিতে যে বাচ্চা কোলে যে মহিলাকে কাপড় ঠিক করতে দেখা যাচ্ছে তাকে কিছুক্ষন আগেই ধর্ষন আর এই ছবি তোলার পর পরই হত্যা করা হয়েছিলো

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩১

শের শায়রী বলেছেন: "ক্যাজুয়ালটিস অফ ওয়ার" দেখা হয় নি। দেখার ইচ্ছা জাগছে। দারুন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বলা হয়ে থাকে ভিয়েতনামে এমন কোন লোক ছিলনা যে যুদ্ধ করেনি, এমন কোন স্থান নেই যে খানে বোমা পড়েনি।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: সেই ১৯৪১ সাল থেকে যুদ্ধ শুরু হয় মাঝে সামান্য কিছুদিন বিরতি দিয়ে সেই ৭৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধ। কি কষ্টকর জীবন গেছে, নির্যাতন আর নিপিড়ন। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট।

পোস্টে ব্যবহৃত ছবি/স্কেচের সূত্রগুলো কি প্লিজ বলবেন? মুভির ছবি কি আছে কিছু?

Street Without Joy পড়েছেন নাকি?

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪২

শের শায়রী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আপনি গুগলে cu chi, Vietnam war এবং tunnel rats লিখে সার্চ দিলেই সব ছবি এবং স্কেচ পেয়ে যাবেন। টানেল র‍্যাটদের নিয়ে কোন মুভি আছে কিনা আমার জানা নেই ভাই।

না সোনাবীজ ভাই, Street Without Joy পড়া হয় নি। ঢাকায় পাওয়া যায় কোথায়, জানালে কেনার চেষ্টা করব। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১

শের শায়রী বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই এই ইউ টিউব ভিডিওটা দেখতে পারেন

৪৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪০

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: ফাইনালি মাষ্টারপিস প্রস্তুত হল।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভ্রাতা।

৪৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০২

সোহানী বলেছেন: ভিয়েতনামে ২০ বছর লেগেছে, ইরান ইরাক লিবিয়ায় কত বছর লাগবে? সবচেয়ে ভয় হচ্ছে এবারের অর্থনীতির ধ্বসের পর তারা আর কোন কোন দেশে অস্র বিক্রির টার্গেট করবে? ব্যবসায়ী ট্রাম্প কোন খেলা শুরু করবে সেটাই দেখার বিষয়।

চমৎকার একটি লিখা নিয়ে আসলেন।

(অফ টপিক: কি পড়ছিলাম তা মন্তব্য পড়তে পড়তে ভুলে গেছি B:-/ )

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনের কথা আর কি কমু, আমি নিজেই ভুইলা গেছিলাম আমি কি লিখছি শেষের দিকে কমেন্ট এর প্রতিউত্তর দিতে গিয়ে, হাজার টাকার বাগান যদি পাচ শিকার ছাগলে খায় মেঝাজ এমনিই খারাপ হইয়া যায় :(

৪৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:২৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আমাদের ধীশক্তিসম্পন্ন ব্লগার যদি বাংলার চিন্তার ইতিহাস, অথবা দর্শন , অথবা নৃতত্ত্ব , অথবা রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখতেন - তবে আমাদের অনলাইন জ্ঞানভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হত। আমরা কে, কোথা থেকে এসেছি, কোথায় আছি , কোথায় যাবো - এই বোঝাপড়াটুকু ছাড়া, প্রাসঙ্গিক জ্ঞানচর্চা ছাড়া - জাতিগতভাবে সামনে এগোনো মুশকিল।

আপনার মত লেখক এসমস্ত বিষয়ে না লিখলে কে লিখবে? আশা করি ভেবে দেখবেন।

শুভকামনা।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার। এদেশের রাজনীতির ব্যাপারটা আমি সজ্ঞানে এড়িয়ে যাই, বাকী গুলায় কিছুটা ইন্টারেষ্ট আছে, তবে খুব বেশী গভীর জ্ঞান কোনটায়ই রাখি না, তাই সব ব্যাপারে লেখা হয়ে ওঠে না, শখের বশে এই মাঝে সাঝে দু' চারটা লিখি :)

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার লেখার সাবজেক্ট আমার বেশ প্রিয়।

৪৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শায়রীভাই,

দুর্দান্ত একটা পোস্ট দিয়েছেন। গতকাল একবার চোখ বুলিয়ে গেছিলাম আজ লিংকগুলোও দেখলাম। এক কথায় অসাধারণ লাগলো। ছাত্রজীবনে কোন এক সময়ে স্পেশাল পেপার ছিল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। তখন ওই অঞ্চলের অনেকগুলো দেশের সঙ্গে ভিয়েতনামের ইতিহাস পড়তে হয়েছিল। আজএত কিছু মনে নাই তবে আপনার পোস্টের সৌজন্যে সেটিই আরো একবার ঝালিয়ে নিলাম।

দীর্ঘ কুড়ি বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভিয়েতনামের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল। বাড়িগুলো ছিল সম্পন্ন পুরুষ বর্জিত। যে পুরুষরা মার্কিন সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, আর তাদেরি নারীরা শুধুমাত্র পেটের জন্য বহুজাতিক সৈন্যদের বিভিন্ন ভাবে সেবাদানের কাজ করছে। কিন্তু তাদের অদম্য মনোবল, গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতি এবং আপনার অঙ্কিত টানেলের নিখুঁত ব্যবহার ও নেতৃত্বের জন্য আমেরিকার সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা বা অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে সক্ষম হয়েছিল।
কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে এ সময় একটা বিখ্যাত স্লোগান আকাশে বাতাসে মুখরিত হয়, তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম' ।
দীর্ঘ স্বাধীনতা যুদ্ধের সাফল্যের পরও আমেরিকার ক্ষত সমগ্র জাতিকে আজও বহন করতে হচ্ছে। সেভেন্টিন প্যারালাল রেখা দিয়ে দুই ভিয়েতনামকে পাকাপাকিভাবে পৃথক করার বন্দোবস্ত করা হয়। কমিউনিস্ট শাসিত উত্তর ভিয়েতনামের উপর পূর্বতন USSR এর সরাসরি খবরদারি ও মার্কিন মদদপুষ্ট দক্ষিণ ভিয়েতনামে পাপেট সরকার বসিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভিয়েতনাম গড়ার স্বপ্নকে ভিয়েতনাম বাসীদের জন্য চিরদিনের জন্য বানচাল করে দেয়। তবে ক্ষুদ্র আশার এটাই যে বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী হো চি মিনের নামানুসারে উত্তর ভিয়েতনামের রাজধানী শহর হ্যানয়ের নামকরণ হয় হো চি মিন সিটি।

ব্যাপক পরিশ্রমী এবং সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা প্রিয় শায়রী ভাইকে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: একটা সুন্দর মন্তব্য পোষ্টের মুল ব ক্তব্যকে অনেক অর্থবহ করে। আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।

৪৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

ওমেরা বলেছেন: ভিয়েতনাম বনাম আমেরিকা যুদ্ধ পড় শেষ না করতেই , শার শায়রী বনাম চাঁদগাজী যুদ্ধ দেখে আমি হাপিয়ে গেলাম। হি হি হি—

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দুই যুদ্ধ থেকেই অনেক কিছু জানলাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আমার পোষ্ট টারে গ্যান্ধা বানাইয়া দিয়া গ্যাছে উনি, :( বোন :((

৫০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি এভাবে চমৎকার ভাবে তুলে না আনলে হয়ত কখনোই এসব জানা হত না ; ধন্যবাদ :)
আশা করছি ভালো আছেন সবাই । নিরাপদে থাকুন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০০

শের শায়রী বলেছেন: এখনো ভালো আছি আপা কিন্তু কতদিন থাকব সে এক মাত্র উপরওয়ালা জানে। কিপ আউ ইন ইয়োর প্রে প্লীজ।

৫১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২০

আমার চিরকুট বলেছেন: ওহ.
দারুন একটা বাক যুদ্ধ পড়ে শেষ করলাম।
আমি নতুন সদস্য, সবটুকু পড়ে ভালো লাগল।

ধন্যবাদ লেখক।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১১

শের শায়রী বলেছেন: উনার সাথে আমার একটা মহব্বতের রিলেশান তো তাই এটাকে বাক যুদ্ধ না বলে বাক বাকুম বলতে পারেন, আবার রাগ না বলে অনুরাগ ও বলতে পারেন, মান না বলে অভিমান বললেও অসুবিধা নাই :P

ওয়েলকাম টু আওয়ার ওয়ার্ল্ড।

৫২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমরা এখন গুহা বন্দী শূধু চলাচলের টানেল নেই। তবুও জিতে যবো কোভিড নাইনটিন এর সঙ্গে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: কবি জিতবতো অবশ্যই আট বিলিয়ন মানুষ, করোনা কেন? দুনিয়ার সব দুর্যোগ এক হলেও এই আট বিলিয়ন মারা প্রায় অসম্ভব। সেক্ষেত্রেও বিজয় অবশ্যাম্ভাবী। কিন্তু মুল্য কত দিতে হবে, কাকে দিতে হবে এক বারো ভাবছ?

৫৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: দারুণ অনবদ্য একটা বিস্তারিত পোস্ট :D

সরাসরি প্রিয়তে চলে গেল !:#P

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩২

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয়তে নেয়ায় ভ্রাতা :)

৫৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

আখেনাটেন বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: ভিয়েতনাম বনাম আমেরিকা যুদ্ধ পড় শেষ না করতেই , শার শায়রী বনাম চাঁদগাজী যুদ্ধ দেখে আমি হাপিয়ে গেলাম। হি হি হি— ---- :P :((


চমৎকার একটি লেখা পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ বিষয় নিয়ে আমারও তেমন বিস্তারিত জানা ছিল না। প্রিয়তেই নিয়ে রাখলুম...... :D

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম। ওটা ছিল মুরুব্বী আর আমার যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে উনি আমাকে অত্যাধিক স্নেহ করেন ;)

৫৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমরা যখন পাকিদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ করছিলাম,তখন ভিয়েতনামী এক জেনারেলের(জেনারেল গিয়াপ)বই পড়েেছিলাম।শত্রু ঘেরাও করে ফেললে কিভাবে বের হয়ে আসতে হয় এই কৌশলটা কাজে দিয়েছিল।ছাত্র থাকা কালে বহুবছর ভিয়েতনামের পক্ষে ,মার্কিনের বিপক্ষে স্লোগান দিয়েছি।সেসব এখন ইতিহাস।সবাই ভাল থাকবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: দয়া করে লিখে ফেলুন না সে অভিজ্ঞতাটা। নিশ্চয়ই দারুন এক ব্যাপার হবে। ভালো থাকবেন।

৫৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০৩

রাফা বলেছেন: ভিয়েতনাম যুদ্ধের উপর অস্কার বিজয়ী ছবি প্লাটুন দেখতে পারেন। Rambo first Part Was also Vietnam War.

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: দুটোই দেখা ব্রাদার। তাও অনেক অনেক আগে। আমাদের যুবক বয়সে তো র‍্যাম্বোর নাম শুইনাই বড় হইছি, বাসায় ষ্ট্যালোনের হেড ব্যান্ড লাগানো পোষ্টার ও লাগাইছিলাম মনে আছে :)

৫৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০২

করুণাধারা বলেছেন: ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিনীরা হেরে গেছে জানতাম, কিন্তু অস্ত্রে দুর্বল ভিয়েতনামীরা বুদ্ধি আর পরিশ্রমের জোরে কিভাবে জিতেছিল সেটা এই লেখা পড়ে জানলাম। খুবই ভালো লেগেছে।

চমৎকার এই লেখায় এমন অর্থহীন মন্তব্য একেবারেই মানায় না, আর আপনি প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে নিজের শক্তিক্ষয় করছেন!!

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনি অনেক দিন পর পর ব্লগে আসেন এটা ভালো লাগে না, হয়ত কোন দিন দেখিনি, দেখা হবে কিনা জানিও না। কিন্তু এক আত্মিক বাধনে কিছু অদেখা মানুষের সাথে জড়িত হতে হয়, নিজের অজান্তে হলেও। এই পরিস্থিতি কয়েক দিন না দেখলেই উৎকন্ঠা হয়।

আপনার সিরিজটা আবার শুরু করছেন দেখে ভালো লাগছে। হ্যা অহেতুক কিছু ফালতু প্রতিউত্তর দিতে হয়েছে। এর জন্য আমি লজ্জিত।

৫৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: মার্কিনদের পরাজয়ের গল্প আমি আগে শুনেছিলাম । তবে এতো বিস্তারিত জানা ছিল না । ইভেন এই টানেলের ব্যাপারে কিছুই জানা ছিল না। পোস্ট পড়ে আরও জানার আগ্রহ জন্মালো !


আমি আপানকে কতদিন বলেছি ছাগলের কাজ হচ্ছে ম্যা ম্যা করা আর কাঠাল পাতাল খাওয়া । ছাগলের পেছনে শক্তিব্যয় করার কোন দরকার নেই । এর থেকে নতুন কোন পোস্টের পেছনের সময় ব্যয় করুন ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৪

শের শায়রী বলেছেন: খুব জ্বালাচ্ছিলো তাই হাল্কা কড়া মিঠে ডোজ দিয়ে দিছি ;) এখন আর পোষ্টে আসে না। তবে সম্ভবত লাজ লজ্জা নাই, আবার কোন দিন ঠিক এসে পড়বে :)

ভিয়েতনামের যুদ্ধ নিয়ে পড়ে দেখবেন প্রায় ৩৫ বছর বিশ্বের বড় বড় সাম্রাজ্যবাদীর বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে এই ছোট খাট উচ্চতার জাতিটির।

৫৯| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

Rajibrpsoft বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম....ধন্যবাদ ভাই

০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

৬০| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আগে মনে আছে শায়রী ভাই, দুর্দান্ত পোষ্টগুলোর কমেন্টগুলোও সেই রকম থাকত। আমরা উৎসাহী থাকতাম যে কমেন্টে কে কি নতুন তথ্য যোগ করেন।

কিন্তু কি যে বলব। প্রচন্ড হতাশ হলাম। আমি মনে হয় সত্যি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। ব্যক্তি আক্রমন বন্ধ করার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু কেউ কথা শোনে নি। ছাড় দেই অনেক ক্ষেত্রে, কিন্তু অবস্থার যে কোন উন্নতি হচ্ছে সেটা বুঝা যাচ্ছে। ব্লগিং শুধু একজন বুঝলে হবে না, সবাইকেই ব্লগিং বুঝতে হবে।

যাইহোক, উপরের কথাগুলো ক্ষোভ বলেন বা হতাশা বলেন যেখান থেকেই হোক বললাম। মুল কথা হচ্ছে - দুর্দান্ত লেখা। আমি ফেসবুকে সামুর অফিসিয়াল পেইজে এই লেখাগুলো প্রকাশ করব। অনেকেই নাকি মোবাইল থেকে ব্লগে ঢুকলে প্রথম পাতায় চলে যাচ্ছে। তাই এই ব্যাপারটা সমাধান করেই আমি লেখাগুলো শেয়ার করব।

০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৫:১৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কাভা আগে পোষ্ট দিয়ে মন্তব্যের জন্য বসে থাকতাম এবং কোন কোণ মন্তব্য পোষ্টের থেকে ভালো হত, আই মীন ইট। সেটাই ছিল সেকালে ব্লগিং এর স্বর্নালী দিন।

সন্মানিত বোধ করছি প্রিয় ভাই তুমি নিজে মন্তব্য করায়। শুকরিয়া।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.