নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
এক
পয়ষট্টি বছরের বিপত্নীক সোলায়মান সাহেব গত কয়েক দিন ধরে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথ্যা নিয়ে। এই মহামারীতে কেউ কাছে আসছে না, দুই মেয়েই বিদেশে স্বামী সন্তান সহ, তারাও ভীষন উদ্বিগ্ন, কিন্তু অত দূর থেকে কিছুই করার নেই, মেয়েরা নিজেরাও আছে বিরাট শঙ্কায়। এত উন্নত দেশ মানুষ মারা যাচ্ছে টপ টপ করে। সোলায়মান সাহেব অনেকটা কোমায় চলে গেছেন, অসহায় মৃত্যুকে বরন করার জন্য প্রস্ততি নিয়ে ফেলছেন। এমন এক সময় –
“স্যার, আস সালামুয়ালাইকুম, আমি আশরাফুল ইসলাম, আপনাকে ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য এসেছি। কোন চিন্তা করবেন না। আপনার সুচিকিৎসা হবে” সোলায়মান সাহেবের বিছানার পাশ দিয়ে কেউ একজন বলে উঠল।
সোলায়মান সাহেব বুঝে উঠতে পারছেন না, আসলেই আশরাফুল নামক কেউ কি এসেছে, নাকি জ্বরের ঘোরে অলীক কল্পনা, এর থেকেও খারাপ হল তিনি কি মৃত্যুর অপর পাশে চলে গিয়ে এই সব কল্পনা করছেন কিনা? “তুমি আমার বাসায় আসলে কিভাবে?” কোন রকম উচ্চারন করলেন।
“স্যার আমি রহমান গ্রুপের মালিক সাব্বির রহমান স্যারের নির্দেশে আপনাকে নিতে এসেছি, বাসার দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বাসায় ঢুকছি, এগুলো নিয়ে আপনি ভাববেন না, আপনার চিকিৎসা দরকার, আমি আপনার চিকিৎসার জন্য রহমান গ্রুপের হাসপাতাল ইউনিভার্সালে নিয়ে যাব” পরম মমতায় আশরাফুল নামক ছেলেটি বলল।
“যা ভালো মনে কর, তাই কর বাবা” সোলায়মান সাহেব নিশ্চিন্তে জ্ঞান হারাবার আগে বুজলেন এখনো তিনি জীবিত এবং কোন এক আশরাফুল নামক ছেলে তাকে ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে এসেছে। আচ্ছা ইউনিভার্সেল হাসপাতালটা যেন কোথায়………
দুই
মহামারীতে সরকারী ত্রান দেবার জন্য, সরকার থেকে যে চাল ডাল দেয়া হয়েছে, স্থানীয় জন প্রতিনিধি মালেক উকিল তার প্রায় পুরোটাই নিজস্ব গোডাউনে ঢুকিয়ে রেখেছে পরে কালো বাজারে বিক্রি করবেন। মনে মনে হিসাব করছেন কত লাখ টাকা বিনা শ্রমে পাচ্ছেন –
“স্যার, একটু আলাপ ছিল” মালেক সাহেবের দিবা স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল সামনে দাঁড়ানো যুবককে দেখে।
“এই ছেলে তুমি কে? এখানে কি চাও? কিভাবে ঢুকলে” চিৎকার করে উঠলেন মালেক সাহেব।
“স্যার আমার নাম আশরাফুল, আমি রহমান গ্রুপের সাব্বির স্যারের নির্দেশে এসেছি” যুবকটি নিজের পরিচয় দেয়।
মালেক সাহেব এই রহমান গ্রুপের সাব্বির স্যারকে কোন ভাবেই স্মরন করতে পারলেন না, “কি চাও তুমি?” অনেকটা আতংকিত হয়েই জিজ্ঞাস করলেন।
“স্যার চাওয়ার বেশী কিছু নাই আপনার ব্যাক্তিগত গোডাউনে যে চালের আর ডালের বস্তাগুলো আছে তার সব ছবি এই যে আমার হাতে, আপনি যদি আগামী আধা ঘন্টায় এই চাল যাদের প্রাপ্য তাদের না দিয়ে দেন তবে সব ছবি বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ায় এবং স্যোসাল মিডিয়ায় চলে যাবে, সেটা কি ঠিক হবে?” আশরাফুল খুব ধীরে ধীরে উচ্চারন করল।
মালেক উকিল চোখের সামনে অন্ধকার দেখা শুরু করলেন তার সামনের ছবি গুলো দেখে। এই ছবি তো এই ছেলের পাওয়ার কথা না, এমন কি একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি চালের বস্তা তদারকি করে নিজের গোডাউনে ডুকাচ্ছেন। “তুমি এই ছবি কোথায় পেলে?” অনেকটা চি চি করে জিজ্ঞাস করলেন।
“স্যার আপনার হাতে আর সাতাশ মিনিট উনিশ সেকেন্ড সময় আছে এরপর এই ছবি সব জায়গায় প্রচারিত হবে। আমি কোথায় পেয়েছি সেটা বড় ব্যাপার না” আত্মবিশ্বাসের সাথে জবাব আশরাফুল।
এত সহজে হার মানলে আজকের মালেক উকিল হতে পারতেন না, হাতের কাছে বড় সড়কিটা তুলে আশরাফুলের পেটের মাঝে ঢুকিয়ে দিলেন মালেক সাহেব। সড়কিটা শুধু টং করে একটা শব্দ তুলল এবং মালেক সাহেব নিজের চোখে যা দেখলেন তাতে নিজের ওপর সমস্ত নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ওই অবস্থায় পরবর্তী সাতাশ মিনিট উনিশ সেকন্ড বসে ছিলেন এবং যথারীতি ছবি গুলো সব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় এবং মালেক উকিল কে পুলিশ গ্রেফতার করে তার গুদাম থেকে দুই হাজার বস্তা ত্রানের সামগ্রী উদ্ধার করে। মালেক উকিল তখন মানসিক ভারসম্য হারিয়ে ফেলছে।
তিন
কাশেম ড্রাইভার, বাস চালাত। সর্দি কাশি আর জ্বরে মারা গেছে। কেউ এগিয়ে আসছে না লাশ দাফন করতে। কাশেম ড্রাইভারের বউ তার তিন বছরের ছেলেটাকে নিয়ে ঘরের এক কোনে বসে আছে আর কিছুক্ষন পর পর এত দিনের জীবন সঙ্গীর নিথর দেহটা দেখছে।
আধা বস্তি টাইপের ঘরের দরজা ঠেলে টুপি মাথায় এক যুবক ঘরে ঢুকল, “বোন আপনি ভাববেন না, আমরা এসেছি আপনার স্বামীকে দাফন করার জন্য।” টুপি মাথার যুবক বলে উঠল।
“আপনি কেডা?” কাদতে কাদতে আচলে মুখ লুকাতে লুকাতে কাশেম ড্রাইভারের বউ জিজ্ঞাস করল।
“আমি আশরাফুল, বাইরে আরো কয়েকজন আছে, আমাদের কে রহমান গ্রুপের মালিক সাব্বির স্যার পাঠিয়েছেন আপনার স্বামীকে দাফন করার জন্য।” যুবকটি নিজের পরিচয় দেয়
কাশেম ড্রাইভারের বউ কিছুই বুঝতে পারছে না কি বলবে, দেখতে দেখতে ওই যুবকের মত আরো তিন জন যুবক ঘরের মধ্যে একটা খাটিয়া নিয়ে ঢুকে কাশেম ড্রাইভারের লাশ তাতে তুলে দিয়ে কাধে নিয়ে বের হয়ে গেল।
চার
রহমান গ্রুপ এর ইনিষ্টিটিউট অভ সায়েন্টিফিক ডিভিশানের বোর্ড মিটিং চলছে সেখানে সাব্বির রহমান ছাড়া আরো পাঁচ জন উপস্থিত। এদের চার জন পরিচালক একজন হেড অভ রোবোটিক ডিভিশান মানব ভট্টাচার্য্য।
“মানব বাবু রিপোর্ট দিন” গম গম করে উঠল সাব্বির রহমানের কন্ঠ।
“স্যার, আশরাফুল-৫ সিরিজের তৃতীয় প্রজন্মের রোবট অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে তাদের কাজ করছে, তবে তারপরো কিছু দুর্বলতা চোখে পড়ছে, ত্রান চোর মালেক উকিল যখন তার কাছে পাঠান আশরাফুলকে আঘাত করে তখন আশরাফুল সেটা প্রতিহত করেনি, অনেকটা চোরের মত পালিয়ে এসেছে। রোবোটিক্সের থার্ড নিয়ম অনুযায়ী এরা কাউকে পাল্টা আঘাত করতে পারে না। অত্যান্ত ধারালো কিছুর আঘাতে ওই আশরাফুল যার সিরিয়াল নাম্বার SRA-19 এর পেটের কৃত্রিম চামড়ার আবরন উঠে যায় যাতে তার ভেতরের শক্ত আবরন উন্মুক্ত হয়ে কাশেম উকিলের দৃষ্টি গোচর হয় এবং সে তা মানসিক ভাবে সহ্য না করতে পেরে মানসিক ভারসম্যহীনতার শিকার হয়।” এক নিঃশ্বাসে বলে গেল হেড অভ রোবোটিক্স মানব ভট্টাচার্য্য।
“সেক্ষেত্রে প্রতিটা মডেলকে নতুন করে প্রোগ্রামিং করুন রোবোটিক্সের চতুর্থ নিয়ম ইন পুট করে, আর চতুর্থ নিয়মটা তো জানেন নিশ্চয়ই কোথাও আক্রান্ত হলে সে যেন প্রতিরক্ষার জন্য যেটুকু দরকার ততটুকু শক্তি খাটাতে সমর্থ হয়।” আস্তে আস্তে বলে গেলেন সাব্বির রহমান সাহেব নিজের কাচা পাকা চুলে হাত চালাতে চালাতে। “ এবং এই মুহুর্তে রোবোটিক্সের শেষ এবং পঞ্চম নিয়ম মানে প্রতি আক্রমনের প্রোগ্রামিংটা চালু করতে চাচ্ছি না, তবে ভবিষ্যতে অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা, আর প্রতিটা জায়গায় আশরাফুলরা আমার পরিচয় দিয়ে আসছে, আমি চাই না, এই মুহুর্তে কেউ জানুক প্রজেক্ট আশরাফুল চালু হয়েছে আমাদের দ্ধারা। তাই আমাদের পরিচয় যেন প্রকাশ না পায়।”
“পাশাপাশি আমি আশরাফুলদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আরো উন্নতি চাই যেন আরো মানবিকভাবে এরা মানুষের বিকল্প হিসাবে কাজ করে, শুধু মাত্র যন্ত্রর মত কাজ করলে চলবে না, অচিরেই পৃথিবী থেকে মানবিকতা উঠে যাবে আমি ওই মানবিকতার একচেটিয়া বাজারটা ধরতে চাই মানব বাবু, আমি কি আপনাকে বুঝিয়ে বলতে পেরেছি?” সাব্বির সাহেব সামনে ঝুকে এলেন নিজের কথার ওজন বোঝানোর জন্য।
মানব বাবু ভাবছেন এই মানুষটার অগোচরে কি কিছুই থাকে না? নিশ্চয়ই প্রতিটা আশরাফুলের ডিটেইলস এ্যাকশান রিপোর্ট পড়ছেন। তবে এগুলো খুব বড় কোন ব্যাপার না, সামনে হাতে অনেক কাজ। আশরাফুলদের আরো মানবিক বানাতে হবে, এবং মানবিকতার বাজারটা ধরতে হবে।
(একটি গল্প লেখার অপচেষ্টা মাত্র)
অতীতের অপচেষ্টাঃ একটি অলৌকিক প্রেম কাহিনী
জাতিস্মর
ভাই
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই,
আসলে গল্প আমি খুব একটা লিখি না, যার কারনে এই ব্যাপারে একদম নবীশই ধরতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি লিখছেন একদম খারাপ হয়নি গল্পটি। অনেক বড় পাওয়া আমার জন্য কৃতজ্ঞতা জানুন।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৮
আরোগ্য বলেছেন: আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে,
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
মশাই অভিনব চিন্তার পোস্ট। এরকম হলে ভালোই হতো। মানুষ হয়েছে পশু আর রবোট হবে মানবিক।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২
শের শায়রী বলেছেন: মানুষ হয়েছে পশু আর রবোট হবে মানবিক। অশেষ ধন্যবাদ ভাই।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে আশরাফুল মাখলুকাত। চারদিকে মানুষের কাণ্ড কীর্তি ভুলিয়ে দেয় বিষয় টি। তাহলে কি এখন আশরাফুল রবোট দিয়ে আশরাফুল মাখলুকাতের ঘাটতি পোষানো লাগবে?
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৪
শের শায়রী বলেছেন: পরিস্থিতি তাই মনে হচ্ছে প্রিয় কবি।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা গল্পের মতো হয় নি।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৫
শের শায়রী বলেছেন: সেক্ষেত্রে কিসের মত হয়েছে রাজীব ভাই?
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেবা প্রকাশনীর কুয়াশা সিরিজের একটা বইয়ে এভাবে কিছু মানুষরুপী রোবটের কথা আছে। নায়ক কুয়াশা রোবট গুলি বানিয়েছিল এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেছিল।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
শের শায়রী বলেছেন: মাসুদ রানা প্রায় সব পড়া কিন্তু কুয়াশা খুব একটা পড়া হয়নি, মানব রোবট নিয়ে অসংখ্য গল্প আছে, এব্যাপারে আসিমভ সেরা, তার গল্পগুলো পড়ে দেখবেন। অবশ্য সাইন্স ফিকাশান লেখায় সে একজন মাষ্টার।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্পের থিম চমৎকার। পড়তে মোটামুটি লাগল। লিখতে থাকুন অবিরাম।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই
৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাসুদ রানার চেয়ে কুয়াশা ভালো লাগত। কারণ কুয়াশা ছোটদের উপযোগী ছিল। বড়রা মাসুদ রানা পড়তে দিত না। তাই ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।
১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: ব্যাসিক্যালি ছোট থেকেই অকালপক্ক হয়ে গিয়েছিলাম, তাই লুকিয়ে চুড়িয়ে মাসুদ রানা শুরু করি ক্লাশ ফাইভ থেকে, সেই আদ্যিযুগে।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মাসুদ রানা আর কুয়াশার অনেক বই ছিল আমাদের বাশায়। জীবনেও একপাতা উল্টে দেখিনি।এখন ভাবছি কি ভুলইনা করেছি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২০
শের শায়রী বলেছেন: আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সেবা প্রকাশনী। কুয়াশা খুব একটা পড়া হয়নি, কিন্তু মাসুদ রানার পুড়ানো বইগুলো অসাধারন। এখনো ট্রাই করতে পারেন।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৯
মা.হাসান বলেছেন: ভালো থিম। মানব জাতির বিলোপ চাই। ম্যাট্রিক্সে এজেন্ট স্মিথ যথাযথ বলেছিলো - হিউমেন রেস একটা প্লেগ বা ভাইরাস, যা পায় শেষ করে দেয়। মানব জাতির বিলোপ হোক, বিবর্তনে সুন্দর কিছু উঠে আসুক।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২২
শের শায়রী বলেছেন: মানবজাতির বিলোপ হোক, বিবর্তনের উল্টা ধারায় আবার যদি বান্দর হয় তাইলে কেমন হবে? প্লানেট অভ দ্যা এপস টাইপের কিছু। মন্তব্যে অশেষ শুকরিয়া।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা। খুবই ভালো লাগলো।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা নেওয়াজ ভাই।
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৪
আশাবাদী মানব বলেছেন: মানবিকতার বাজারটা ধরতে হবে! সত্যিই, অদূর ভবিষ্যতে মানবিকতার ক্রয় বিক্রয় বেশ সৃজনশীল ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে। গল্পটা বেশ মানানসই বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে। লেখককে ধন্যবাদ!!!
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে ভাই।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৭
নীল আকাশ বলেছেন: গল্প কিন্তু ভালো থীমের উপর লেখা হয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতে এইরকম কিন্তু হতেও পারে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: আমার মত নবীশ গল্প লেখকদের আপনাদের মত পুরানো গল্প লিখিয়েদের কাছ থেকে উৎসাহ পাওয়া অনেক কিছু প্রিয় ভাই। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ চমৎকার হয়েছে। আশরাফুলদের আরো মানবিক বানাতে হবে, এবং মানবিকতার বাজার ধরতে হবে। ++
শুধু গল্প লেখার প্রচেষ্টা নয়, একটা বার্তাও বটে। আমাদের মধ্যে মৃতপ্রায় আশরাফুলের সত্ত্বার বিকাশ ঘটুক। পৃথিবীটা আরো সুন্দর হোক।
শুভকামনা প্রিয় শায়রী ভাইকে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, এই ধরনের মন্তব্য আমার মত নবীশদের যে কি পরিমান উদ্দীপনা দেয়া তার কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আন্তরিক ভালোবাসা গ্রহন করুন।
১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানবতার পতন দেখেও
নৈতিকতার স্খলন দেখেও ও গঙ্গা
তুমি বইছো কেন???
গানটাই মনে পড়লো.. গল্প শেষে
মানুষের মানবতা হারিয়ে গেলে রোবট যদি মানবিক হয়ে ওঠে . . .
চমকানোর সময় বুঝি শেষ হয়ে আসছে...
পদাতিকদার কথায় সহমত .... আমাদের মধ্যে মৃতপ্রায় আশরাফুলের সত্ত্বার বিকাশ ঘটুক। পৃথিবীটা আরো সুন্দর হোক।
দারুন গল্পে +++
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: রোবটরা মানবিক হোক আমাদের অমানবিকতার সময়। ১০ টাকা কেজি চালের বিশেষ ওএমএস স্থগিত করলো সরকার চোরের দায় নিতে হচ্ছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের।
১৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর সবার কাম্য। একটি সুন্দর জীবনও। মানুষ মানবিকতায় পূর্ণ হউক।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: আমাদের মানবিকতা গুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে সুজন ভাই। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো পড়ে। তবে এখনো কিন্ত সব মানুষ অমানবিক হয়ে যায়নি। আশ্রাফুল রবোটের মত এখনও অনেক মানুষ এই ভয়াবহ মহামারীর সময়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে। পত্রিকা, সোস্যাল মিডিয়ায় তাদের ্কাজকর্ম দেখে চোখে জল এসে যায় , অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া নির্গত হয়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: হ্যা ঢাবিয়ান ভাই আশরাফুল রোবটদের মত কিছু মানুষ এখনো আছে, কিন্তু তারা দিনে দিনে সাপের মাথার মনির মত দুস্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। তাদের জন্য দোয়া। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: গল্পে ভালো লাগা । করোনা মুক্ত হোক পৃথিবী। মানবতার জয় হোক।
শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৪
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ভালো লাগা প্রিয় কবি।
১৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ওমেরা বলেছেন: চমৎকার গল্প !
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৪
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
নতুন বলেছেন: অনেক মানুষই আশরাফুল থেকে অমানুষ হয়ে গেছে তাই রোবট আশরাফুলই মানবিকতা ধারন করবে....
অবশ্য আমার কাছে মনে হয় ভালো আর মন্দের একটা ব্যাল্যান্স সব সময়ই দুনিয়াতে থাকে।
মাহাত্বমা গান্ধী কিন্তু এডল্ফট হিটরারের সময়েই ছিলেন।
আর দুনিয়াতে আসলে ভালো < মন্দ নতুবা দুনিয়ার উন্নতি হতো না। ভালো মানুষের চেয়ে মন্দ মানুষ সংখ্যায় কম বেশি না।
এই কারনেই দুনিয়া এগিয়ে যাবে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৯
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে দুনিয়াতে মন্দের থেকে ভালোর সংখ্যা বেশী। কিন্তু প্রায় সময়ই মন্দ ভালোর ওপর চড়াও হয়, যাতে দেখা যায় সাময়িক ভাবে মন্দ বিজয়ী হচ্ছে, কিন্তু ইন দ্যা লং রান ভালোই বিজয়ী হয়। সাময়িকভাবে অন্ধকার থাকলেও আলোই কিন্তু বিজয়ী।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা নতুন ভাই।
২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: প্রথম বার পড়ে ভাল বুঝি নাই, যাই আবার পড়ে আসি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩১
শের শায়রী বলেছেন: এ আমার একান্ত লেখনির ব্যার্থতা ধরে নেবেন প্রথমবার না বোঝায় সাহাদাত ভাই।
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এখন রোবটই হবে মানুষের একমাত্র কাছের বন্ধু ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩১
শের শায়রী বলেছেন: তাই হচ্ছে দিন দিন মামা
২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সফল হোক মানবিকতার বাজার ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩২
শের শায়রী বলেছেন: আমাদের লাভ নাই তাতে আপা, আমরা যেই সেই হয়ে থাকব
২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৩
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
অনেক মন্দের ভেতর এখনো কিছু ভালো মানুষ আছে
তাই আমার বিশ্বাস আপনার গল্পের মতোই মানবিকতার
জয় হবেই হবে। গল্প ও লেখায় ভালোলাগা ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৫
শের শায়রী বলেছেন: বোন মন্দের থেকে ভালোর সংখ্যা বেশী। হয়ত সাময়িক ভাবে মন্দ জিতে যায় কিন্তু দিন শেষে কিন্তু ভালোর বিজয়ই ঘটে।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন।
২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: সব সময়ের মতই ভালো
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৬
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
২৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার গল্প। প্রায়ই দিবাস্বপ্নে আমি এই ধরনের ঘটনা দেখি!
অনেক দিন থিকাই ভাবতেয়াছিলাম এমন কিছু একটা লেখুম। তয় আমার আইডিয়াটা আছিল, অদৃশ্য হওন নিয়া। যাউক গা, লেইখা ফালাইছেন.......অহন আর কি করতাম!!
ব্যাসিক্যালি ছোট থেকেই অকালপক্ক হয়ে গিয়েছিলাম, তাই লুকিয়ে চুড়িয়ে মাসুদ রানা শুরু করি ক্লাশ ফাইভ থেকে, সেই আদ্যিযুগে। গল্পটা আপনে আমার আগে লেখলেও মাসুদ রানা আমি শুরু করছিলাম ক্লাশ ফোরে। তখন 'ভরত নাট্যম' পড়তে গিয়া বড়বইনে আমার কাইনশা বাড়ায়া যেই একখান চটকানা দিছিল......ব্যাথা বহুতদিন আছিল। যতোদিন আছিল, আর মাসুদ রানা ধরি নাই.......এরপরে যহন ধরলাম, সহজে আর ছাড়ি নাই!!
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৯
শের শায়রী বলেছেন: ভরত নাট্যমের মিত্রা সেনের সাথে মাসুদ রানা অনেক অসভ্য কাজ করছে। ছিঃ ছিঃ আপনি সেই বয়সেই এই সব শিখছেন? আমি পাইভে উইঠা পড়ছি। মাসুদ রানা আমি এখন আর পড়ি না, যত্তসব ফালতু গল্প, আধুনিকা সাই ফাই গল্পগুলারে মাসুদ রানা বানাইছে তার থেকে পুরানো বইগুলা রিভাইস দেই। আহ কি সব বই এক একখান মাষ্টার পিস, অগ্নিপুরুষ, আই লাভ ইউ ম্যান, সেই উ সেন, হাইজ্যাক, জিম্মি, সংকেত। কালকেই আবার একটা পড়ুম।
২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারণ গল্প। রহমান গ্রুপ দেখে ভেবেছিলাম হয়ত সর্বশক্তিমান হয়ত আশরাফুল নামক কোন মানুষকে পাঠিয়েছেন, যে শুধু নামে নয়, কাজেও আশরাফুল মাখলুকাত। তাই চার নম্বর চ্যাপ্টারে এসে একটা ধাক্কা খেয়েছি।
আমার কাছে চমৎকার লাগল গল্পটি।প্রিয়তে নিলাম।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৩
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে, মন্তব্যে এবং প্রিয়তে নেয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
২৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
Rajibrpsoft বলেছেন: অতিব চমৎকার....মানবতা হারাবেনা যতদিন আপনার মত আশরাফূল থাকবে ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাই এত বড় সন্মান আমাকে দিলেন! জানিনা আমি এর যোগ্য কিনা। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
২৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯
Rajibrpsoft বলেছেন: ভাই যোগ্য তারাই হয় যারা এটাকে কমে' রুপান্তর করে আর সেইটা রুপান্তর করার আগে চিন্তাটা জরূরি আপনি চিন্তা করেছেন এটার বাস্তবায়ন করেছেন কিনা জানিনা তবে যদি করে থাকেন ...আল্লাহ আপনাকে আরো করার শক্তি দান করূক আমিন ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: শুধু এটুকু জানি ভাই আপনাদের দোয়া আমার পাথেয়, যাই করিনা কেন বা যেটুকু করিনা কেন সব টুকুই সবার দোয়ার মিলিত ফল। অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
একদম খারাপ হয়নি গল্পটি।
রক্ত-মাংশের রোবটগুলি যেখানে অমানবিক সেখানে যান্ত্রিক রোবটেরা আরো মানবিক হোক।