নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
সময়টা ১৯ শতকের প্রথমদিক, এই ধরুন ১৮৩৪ সাল বহরম জমাদারের নেতৃত্বে প্রায় ৭০/৮০ জন মানুষ ঝাসী, ভিলা, রেলি হয়ে ভুপালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অনেকটা তীর্থযাত্রীর মত। দলটা ভুপালে ঢুকল না, ভুপালকে পাশে রেখে চিপানেরেতে নর্মদা নদী পার হয়ে একটা বড় গাছ তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিল। অদুরেই ১৭ জনের ভুপালীয় ব্যাবসায়ী তাদের ব্যাবসার কাজে ভুপাল থেকে বের হয়েছে। কথায় কথায় দুই দলের মাঝে অন্তরঙ্গতা জমে উঠল। এক পর্যায়ে ভুপালের ব্যাবসায়ী দল আবিস্কার করল তারা যেদিকে ব্যাবসার জন্য যাচ্ছে বহরম জমাদারের নেতৃত্বে ওই ৭০/৮০ জন একই দিকে যাচ্ছে, ঠিক হল দুই দল একই সাথে যাবে।
নির্দিষ্ট স্থানে পৌছাতে প্রায় তিন দিন লাগবে, এর মাঝে প্রথম রাতে উভয় পক্ষ যার যার খাবার একে অপরকে দিয়ে খেল, এদিকে বহরম জমাদারের দলের একজন দারুন গান গায়, খাওয়া দাওয়ার পর সে গলা ছেড়ে গান ধরল। আকাশে বিরাট চাঁদ উঠছে। সবাই মগ্ন হয়ে গান শুনে এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়ল, পরদিন যথারীতি সারা দিন যাত্রা করে সন্ধ্যায় এক বিরাট বাগানের কাছে সবাই যাত্রা বিরতি করল, এর মাঝে উভয় দল উভয় দলের হাড়ির খবর, পরিবারের সুখ দুঃখের সব খবর নিয়ে নিয়েছে। ঘনিষ্টতা তখন অন্তরঙ্গতায় পর্যবসিত। সন্ধ্যায় খেয়ে দেয়ে ভুপালের ব্যাবসায়ীরা আবার যখন গানে মগ্ন হতে যাচ্ছে বহরম অনুচ্চ কন্ঠে পাশের জনকে আদেশ দিল “চুকা দেনা”। গান চলছে। প্রতি জন ব্যাবসায়ীর দুই পাশে বহরমের দুই জন এবং পেছনে একজন বসে পড়ল গানের তালে তালে মাথা দোলাতে দোলাতে। বহরম আবার হাল্কা গলায় পাশের জনকে বলল “পান কা রুমাল লেও!” ব্যাবসায়ীরা ভাবল হয়ত পানের রুমাল চাওয়া হচ্ছে পান খাবে। এর কিছুক্ষন পরই জমাদার বহরমের মুখ দিয়ে শেষ আদেশ যাকে “ঝিরনী দেয়া” বলা হয়, উচ্চারিত হল “তামাকু লেও!”
বলতে যেটুকু দেরী প্রতিটা ব্যাবসায়ীর দুই পাশে বসা দুই জন নিখুত ভঙ্গিমায় একজন হাত আর একজন পা চেপে ধরল। যে হাত বা পা চেপে ধরল তাকে বলে “চুমোসিয়া” বা “সামসিয়া” বাকী জন হলুদ এক টুকরা রুমাল যা একভাজ দিলে সর্বোচ্চ ত্রিশ ইঞ্চি লম্বা হবে এক পাশে একটা রূপার পয়সা গিঠ দেয়া, সেটা শিকারের গলায় পেচিয়ে দু’দিক দিয়ে সর্বশক্তিতে টেনে চলল। কয়েক মুহুর্তে মানুষটি নিস্তেজ হয়ে গেল। গলায় যে রুমাল পেচায় তাকে বলা হয় “ভুকুত”। ভুকুত আস্তে করে বলে ওঠে “বাজিত খান” মানে কাজ শেষ। জমাদার বহরম খা এইবার হাক দিল “এই বিচালী দেখ” মানে মৃতদেহ গুলোর ব্যাবস্থা কর।
একদল তখনি মৃতদেহ গুলো নিয়ে আগে থেকে প্রস্ততকৃত কবর বা গর্তে রওনা হল এদেরকে বলা হয় “ভোজা”। কবরের কাছাকাছি নিয়ে এসে মৃতদেহগুলো রেখে আর একদল হাটু ভেঙ্গে থুতনীর সঙ্গে মিলিয়ে তারা দেহ গুলো কবরে রাখবে তবে কবরে রাখার আগে মৃতদেহগুলোকে পেটে, বুকে এবং চোখে ছুরি চালিয়ে কবরকে পাকা করবে। এদের নাম “কুথাওয়া”। এই পেট, বুক, চোখে ছুরি চালানোর কারন মৃত দেহ গুলো যেন ফুলে ফেপে উঠে কবর থেকে বের হয়ে না আসে। এই সব কাজ যখন চলছে তখন দূর থেকে দুই জন বিভিন্ন দিকে নজর রাখছে অবাঞ্চিত কেউ এসে যেন এই ঘটনা না দেখে, কাউকে আসতে দেখলেই তারা একটুকরা সাদা কাপড় নেড়ে বাকীদের সাবধান করবে। এদের কে বলা হয় “ফুরকদেনা”। এরপর “ফুরজানা” নামক একজন সব কিছু পরিস্কার করে, কবরের ওপর দেখতে দেখতে ভোজসভা বসিয়ে দেবে। এই ভোজের মুল উপাদান “গুড়”। কিন্তু ঠগীরা একে গুড় বলেনা একে বলে “তুপোনী” বা অমৃত। ঠগীদের ভাষার নাম “রামসী”।
কারা এই ঠগী? এদের ধর্ম বিশ্বাস কি? এরা কোথায় থাকত? কিভাবে এদের বিনাশ হয়ে? কার হাতে?
ঠগীদের ইতিহাস যদি খুজতে যান তবে অনেক প্রাচীনকালেই এদের উল্লেখ্য আছে। গ্রীক ঐতিহাসিক হেরোডেটাস এদেরকে পারসিক বলে বর্ননা করে গেছেন, এদের অভিনবত্ব হচ্ছে এদের অস্ত্রে, যাদের মুল অস্ত্র হচ্ছে চামড়ার তৈরী একটি ফিতা যা দিয়ে যে কোন মানুষকে মুহুর্তে গলায় পেচিয়ে হত্যা করতে পারত। তার মতে এদের আদি পুরুষ হচ্ছে “সাগার্তি”, যিনি জারেক্সাসকে আট হাজার অশ্বারোহী দিয়ে সাহায্য করছিলেন। পশ্চিমী ঐতিহাসিকরা অনেক খুজে পেতে সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় ঠগীরাও এই সাগার্তির উত্তরপুরুষ। পশ্চিমের মুসলিম বিজেতাদের হাত ধরে এরা এক দিন এই ভারতবর্ষে প্রবেশ করে।
ফিরোজ খাঁর সময়ের ঐতিহাসিক জিয়া-উদ-বারনি ১৩৬৫ সালে তার তুঘলক কাহিনীতে এদের উল্লেখ্য করছেন – ১২৯০ সালে জালালুদ্দীন রাজত্বকালে দিল্লীতে প্রায় এক হাজার ঠগ ধরা পড়ে। বাদশাহের এক চাকরকে হত্যা করার অপরাধে এদের ধরা হয় এবং মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, পরে এদের মৃত্যুদন্ড রদ করে সবার পেছন লোহার ছাপ দিয়ে পূর্ব ভারতের লক্ষ্মৌতে পাঠিয়ে দেন। নিজামুদ্দীন আউলিয়াকে নিয়ে যে মীথ প্রচলিত যে সে নাকি আগে বিরাট ডাকাত ছিল তার সাথেও জড়িত আছে ঠগী ইতিহাস। কিন্তু এটার পেছনে কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই।
এর পর মুসলিম ভারতে ঠগীর উল্লেখ্য পাওয়া যায়, সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিঃ) সেবার প্রায় ৫০০ ঠগী ধরা পরে এবং সব এটোয়া জেলায়। সেই সুলতানী আমলে ঠগীরা সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পরে, পরে ইংরেজ কোম্পানীর আমলে ঠগী সম্প্রদায়ের বিনাশ যার হাতে ঘটে সেই “উইলিয়াম স্লীম্যান” যখন এদের নিয়ে গবেষনা করেন তখন দেখেন তাদের সাকুল্যে আদি গোত্র মাত্র সাতটি। বাহলিম, ভিন, ভুজসোত, কাচুনী, হুত্তার, গানু এবং তুনদিল। সারা ভারতের নানা বর্নের নানা ধর্মের যত হাজার হাজার ঠগী কিন্তু উৎপত্তি ওই সাত পরিবার থেকে।
স্লীম্যান লিখছেন সে সময় অযোধ্যায় জনপথ ছিল সাকুল্যে চৌদ্দশ’ ছ’ মাইল তার প্রতি মাইলে তখন ঠগ, অবস্থা এমন যে “ঠগ বাচতে গা উজাড়ের অবস্থা”। স্লীম্যান হিসাব করে পরবর্তীতে দেখান যে, অযোধ্যার ঠগীদের দশভাগের নয় ভাগই মুসলমান, দোয়াবে আবার হিন্দু সংখ্যা গরিষ্ঠ্, নর্মদা নদীর দক্ষিনে আবার মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ। এভাবে হিসাবে করলে দেখা যায় সারা ভারতবর্ষে হাজার হাজার ঠগী, ধর্মে তারা যে সম্প্রদায়েরই হোক না কেন। কোথাও তাদের নাম “ফাসুড়ে”, কোথাও “ফাসীগীর” কোথাও “আরিতুলুকর” কোথাও “তন্তাকালেরু” নামে পরিচিত। নাম যাই হোক তারা “ঠগী”। তাদের হাতিয়ার এক, ভাষা এক, জীবন এক, পেশা এক, ধর্ম এক।
কালীঘাট মন্দির
এ এক অদ্ভুত ধর্ম। দুটো আপাত বিপরীত ধর্ম হিন্দু এবং ইসলাম কোন এক বিস্ময়করভাবে এক বিন্দুতে এসে মিলছে এই ঠগী বিশ্বাসের কারনে। ঐতিহাসিকরা যাই বলুক না কেন হাজার হাজার ঠগী ধরা পরার পর আদালতে দাড়িয়ে সগর্বে ঘোষনা করেছে তারা “মা ভবানী” বা কালীমাতার সন্তান। তাদের তীর্থ বাংলার কালীঘাট মন্দির এবং এরপর বিন্ধ্যাচলের ভবানী মন্দির।
কিভাবে ঠগীরা কালীর সন্তান হয়েছিল, তারও এক গল্প আছে, পৃথিবীতে তখন আবির্ভুত হয়েছে মহাদানব “রক্তবীজ”। এই দানবের উপদ্রবে সৃষ্টি লয় হবার উপক্রম। রক্তবীজ কে শায়েস্তা করতে পৃথিবীতে আসল জগদম্বা কালী এবং রক্তবীজের সাথে লড়াইতে অবতীর্ন হয়, কিন্তু রক্তবীজের সামনে তিনিও অসহায়। কারন রক্তবীজের প্রতিফোটা রক্ত থেকে নতুন রাক্ষস উৎপন্ন হচ্ছে। ক্লান্ত বিধ্বস্ত ভবানী চিন্তিত। সেই মুহুর্তে তার দেহনিঃসৃত ঘাম থেকে সৃষ্টি হল দুটি মানুষের। ভবানী তার হাতের রুমালটি তাদের দিয়ে বললেন “বৎসগন এই তোমাদের অস্ত্র। এ নিয়ে শত্রু নিধনে তৎপর হও।” ওরা দুই জন সেই রুমাল দিয়ে ফাস তৈরী করল এবং একের পর এক দানবদের ফাস দিয়ে হত্যা করল এক ফোটা রক্ত না ঝড়িয়ে। সেই থেকে ঠগীদের ধর্মে রক্ত ঝড়ানো নিষিদ্ধ।
এরপর ওই দু’জন মা ভবানীকে রুমাল ফেরত দিতে গেলে মা ভাবানী সে রুমাল না নিয়ে ওই মানবদের তা দিয়ে দেয় এবং এদ্ধারা হত্যার মাধ্যমে তাদের রুটি রুজির পথ করে নিতে বলে। এই হল শর্টকাটে ঠগীদের উদ্ভবের কাহিনী। এই কাহিনী শুধু গল্পেই না এটা হিন্দু, মুসলমান বা অন্য যে কোন ধর্মের লোক ঠগী হোক না কেন, তারা অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করত।
এই ঠগীদের বিনাশ যার হাতে হয়, তার নামের আগেও “ঠগী” বিশেষানটি বিশেষ কারনে যোগ হয়ে যায়। ইনি একজন ফিরিঙ্গী ঠগী। নাম উইলিয়াম হেনরী স্লীম্যান। শীত শেষে ভারতের নানা রাজ্যের মা ভবানীর শিষ্যরা যখন হাজার হাজার প্রানের অর্ঘ্য মায়ের পায়ে নিবেদন করে যাচ্ছে তখন ওদিকে ফিরিঙ্গী ঠগী কিভাবে এদের বিনাশ করা যায় তার ছক কাটছেন।
১৮২৬ সালে সর্ব শক্তি নিয়ে এই ঠগীদের নিধনে নামেন স্লীম্যান, ১৮৩০ সালের মাঝে ধৃত ঠগীদের জবান বন্দীদের মাধ্যমে মানচিত্র, বংশ তালিকা সব তৈরী করে ফেলেন। ওদিকে ১৮২৮ সালে বাংলার গভর্নর জেনারেল হয়ে আসেন লর্ড বেন্টিঙ্ক। ঠগী দমন এতদিনে যার নেশায় পরিনত হয়েছে সেই উইলিয়াম স্লীম্যানকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়ে শুধু ঠগী দমনের দায়িত্ব দেয়া হয়। এক ধাক্কায় জব্বলপুরের জেলা প্রশাসক স্লীম্যান হয়ে গেলেন গভর্নর জেনারেল বেন্টিঙ্কের ঠগী দমন বিভাগের “সুপারিন্টেণ্ডেন্ট জেনারেল” ১৮৩১ সালে। যে বিভাগটি তৈরী হয়েছে স্লীম্যানের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায়। ততদিনে মোটামুটি এক হিসাবে স্লীম্যান দেখতে পেলেন এই সম্প্রদায়ের হাতে বিগত তিনশত বছর প্রায় বিশ লক্ষ মানুষ কোন রকম রক্তপাত ছাড়া জীবনের অর্ঘ্য দিয়ে মা ভবানীর পায়ে নিবেদিত হয়েছে।
আজকের মত তখন দেশে কোন রেল লাইন নেই, নেই কোন রাস্তা। স্লীম্যান তখন কখনো ঘোড়ার পিঠে, কখনো উটের পিঠে, কখনো গরুর গাড়ীতে ধাওয়া করে বেড়াচ্ছেন ইতিহাসের সব থেকে বড় হত্যাকারী কাল্টের সদস্যদের যারা কখনো নিজেদের প্রকাশ করত না, অত্যান্ত সাধারন মানুষের বেশে সাদাসিদে ভাবে মিশে থাকত কারো প্রিয়তম স্বামী হিসাবে, কারো ভালোবাসার বাবা হিসাবে, কারো আদরের সন্তান হিসাবে।
এত এত সীমাবদ্ধতার মাঝেও অসাধ্য সাধন করলেন ফিরিঙ্গী ঠগী স্লীম্যান। ১৮৪০ সালে এক হিসাবে দেখা যায় গত দশ বছরে তার হাতে ধরা পড়ছে ৩৬৬৯ জন ঠগী যার মধ্যে ৪৬৬ জনের ফাসী, দ্বীপান্তর ১৫০৪ জন, যাবজ্জীবন ৯৩৩ জন, রাজসাক্ষী ৫৬ জন, রোগে মারা গেছে ২০৮ জন এবং পালিয়ে গেছে ১২ জন। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও নিস্তার পায়নি, ঠিক কয়েক দিনের মধ্যে স্লীম্যান আবার তাদের ধরে আনলেন। ততদিনে স্লীম্যানের ভাবমুর্তি মা ভবানীর মত। মুর্তিমান আতংক হিসাবে অথবা ঠগীদের ভাষায় মা ভবানীর অভিশাপ হিসাবে তাকে তারা দেখতে শুরু করছে। পরবর্তী সাত বছরে ধরা পড়ল আরো ৫৩১ জন, ফাসিকাঠে ঝুলে পড়ল ৩১ জন, দ্বীপান্তর ১৭৪, যাবজ্জীবন ২৬৭ জন, রাজসাক্ষী হল ৪৬ জন। পরের বছর ধরা পড়ল ১২০ জন। হিন্দুস্তানের শত শত বছরের নিষ্ঠুরতম কলঙ্কময় ইতিহাসের এখানেই সমাপ্তি। দুর্ধর্ষ ঠগীরা এরপর শুধুই ইতিহাস। এরপরো ফাকে ফাকে এদের কথা শোনা যেত কিন্তু তাদের মেরুদন্ড যে স্লীম্যান ভেঙ্গে দিয়েছিল তা আর কোন দিন সোজা হয় নি।
অনেকেই হয়ত ভাবছেন, যেসব ঠগী ফাসির দড়ি গলায় দিয়ে ঝুলে পড়ছে তারা বোধ হয় মৃত্যুভয়ে ভীত ছিল, মোটেই না। জীবনে যেমন তারা হাসতে হাসতে অন্যের জীবন নিতে এক বিন্দু হাত কাপায় নি, তেমনি ফাসির দড়ি গলায় দেবার সময় গান গাইতে গাইতে, কেউ কেউ জল্লাদের সাথে ইয়ার্কি মারতে মারতে ঝুলে পড়ছে নিজে থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ফাসির মঞ্চে, শুধু টার্গেট থাকত কোন নীচু জাতের জল্লাদ যেন তার গলায় রশি না পরায়, সেক্ষেত্রে নিজে থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঠিক ঠাক মত বেধে নিজে থেকেই ঝুলে পড়ত, কারন ঠগীরা বিশ্বাস করত, মা ভবানীর আদেশে তাদের রুটি রুজির জন্য যেমন আর একজনের জীবন নিয়েছে তেমনি নিজেও এখন মা ভবানীর সন্তান হিসাবের তার কাছে তার ইচ্ছায় ফিরে যাচ্ছে, এতে দুঃখের কিছু নাই, বড় আনন্দের ব্যাপার।
ঠগী বহরম
রোসন জমাদার, রুস্তম খাঁ, এনায়েৎ, দুর্গা, কল্যান সিং, ফিরিঙ্গীয়া, বহরম জমাদার এই নামগুলা এখন আর আতংক তৈরী করে না, কিন্ত এক বহরম জমাদারের হাতেই নিহত হয়েছিল ৯৩১ জন। যেসব ঠগী ফাঁসি কাঠে জীবন দিয়েছিল বা যাদের যাবজ্জীবন হয়েছিল তাদের পরিবারের পূর্নবাসনের দিকে খেয়াল ছিল স্লীম্যানের। যার কারনে ওই সব পরিবারের সদস্যদের লাগিয়ে দিলেন কার্পেট তৈরীতে। দেখতে দেখতে তৈরী হল ৮০ ফুট দীর্ঘ এবং ৪০ ফুট চওড়া কার্পেট এ কার্পেট যাবে বিলাতে মহারানীর খাস কামড়ায়। ঠগীদের নিয়ে যার ছিল প্রবল আগ্রহ কারন ততদিনে জনৈক ফিলিপ মিডাস টেলরের “ঠগীর জবানবন্দী” নামক বইর প্রথম পাঠিকা এবং প্রুফ কপি পড়তে পড়তেই তন্ময় (কিছু দিন আগে সেবা প্রকাশনী থেকে এটা অনুদিত হয়েছে)। প্রায় দুই টন ওজনের সে কার্পেট মহারানীর উইন্ডসর ক্যাসেলের ওয়াটারলু চেম্বারে আজো রক্ষিত আছে, স্লীম্যান দেখিয়ে দিয়েছেন, খুনের শ্রেষ্ঠতম শিল্পীদের হাত দিয়ে সমান দক্ষতায় ফুল ফুটাতে পারে।
যারা “থাগস অভ হিন্দুস্থান” দেখে ফিরিঙ্গীয়া নামক আমীর খানের অভিনয় দেখে ঠগীদের ব্যাপারে রোমান্টিক চিন্তা করছেন, তাদের জন্য সাবধানবানী, ঠগীরা মোটেই অমন কিছু ছিল না, তবে ইতিহাসে প্রসিদ্ধ একজন ঠগীর নাম ছিল ফিরিঙ্গীয়া যে কিনা স্লীম্যানকে সব থেকে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছিলো। তবে এক সময় সেও আত্মসমর্পন স্লীম্যানের রাজসাক্ষী হিসাবে স্বজাতির সাথে বেঈমানী করে। তাই ফিরীঙ্গীয়া কোন নায়কতো নয়ই ডাবল খল নায়ক।
কৃতজ্ঞতাঃ শ্রীপান্থ র লেখা “ঠগী”, ফিলিপ মিডোস “ঠগির জবানবন্দী” (দুটো বইর বাংলা অনুবাদ লিঙ্কে দিয়ে দিলাম, ডাউন লোড করে পড়ে ফেলুন, গ্যারান্টি সময়টা বৃথা যাবে না, নতুন এক পৃথিবীর সন্ধান পাবেন) এবং অনলাইনের বিভিন্ন প্রবন্ধ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১১
শের শায়রী বলেছেন: হুম আন্ডারষ্টুড। মারাঠাদের নিয়ে আমার কেমন যেন ইন্টারেষ্ট পাই না, যে শিবাজীকে ভারতীয়রা এখন পুজো করে বাস্তবিক সে ছিল একটা তৃতীয় শ্রেনীর সুবিধাবাদী নীতিহীন নেতা। লিখতে গেলে এখন কিছু অপ্রিয় বিষয় টানতে হবে যা হয়ত কারো কারো ভালো লাগবে না
তবে রবি বাবুকে নিয়ে কোন দিন....
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: চমতকার একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩২
শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ভাই।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৭
এইচ তালুকদার বলেছেন: স্লীম্যানকে ভারতের অনেক জায়গায় এখনো দেবতা জ্ঞানে পুজা করা হয়।আমি যতদুর জানি অনেক দেশীয় রাজা মহারাজারা ঠগীদের ব্যাবহার করতো স্পাই হিসেবে।৯০ দশকের শেষে ও ০দশকের শুরুর দিকে ভারতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা বাওয়ারিয়া গ্যাং এর এদের থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হয়।স্লীম্যান সাহেবের মতই তামিল পুলিশ সারা ভারত ঘুরে ঘুরে এদের আটক করেছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
শের শায়রী বলেছেন: ভ্রাতা, আপনার সব প্রশ্নের জবাব এই বইতে পাবেন ঠগী, এবং আপনার কথা ঠিক আছে।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩২
গেছো দাদা বলেছেন: বাহ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
শের শায়রী বলেছেন: জ্বি।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৪
একজন আরমান বলেছেন:
দারুন তথ্যবহুল পোস্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই, অনেক দিন পর দেখা। ভালো আছেন তো?
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:১৩
আশাবাদী মানব বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠগীদের সম্পর্কে কোন কিছুই জানতাম না। জানতে পারলাম অনেক কিছু। কত যে বিচিত্র সব মানুষ রয়েছে এই ভুবনমাঝে......
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬
শের শায়রী বলেছেন: কারেক্ট ব্রাদার, বড় বিচিত্র এই দেশ তার থেকেও বিচিত্র এই দেশের মানুষ
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৭
গ্রীনলাভার বলেছেন: মোঘলরা ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হবার পর ব্রিটিশরা মোঘল অফস্প্রিংদেরকে যেখানে যেখানে পাচ্ছিল সেখানেই কুচকাটা করছিল। তখন তারা বন-জংগলে পালাতে লাগল। এই ঠগীদের একটা অংশ হলো মোঘল অফস্প্রিংরা। পরে ১৯৩০ এর পর যখন বড় কয়েকজন ঠগী নেতা ধরা পড়ল, ততদিনে ভারতবাসী মোঘলদের শৌর্য বীর্য ভুলে গেছে, ব্রিটিশদের দেয়া ভুল জ্ঞানে জ্ঞনী হয়ে চাকর হতে শিখেছে আর ধরাপরা ঠগীদের ফাসী চেয়েছে। ওইদিন রাস্তায় রাস্তায় ভারতবাসীরই কন্ঠে ফাসীর সুর শোনা গিয়েছিল। আর ব্রিটিশরা একে অপরের কানে কানে ফিসফিস করেছিল "কাম হোগা"
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাই আপনার এই মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারছি না, স্লীম্যান ঠগীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করার আগে কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঠগীরা ধরা পড়ত, কিন্তু তারা যখন আদালতে দাঁড়িয়ে বলত তারা মা ভবানীর সন্তান এবং তার নির্দেশে এগুলো করছে, তখন প্রায় ক্ষেত্রেই আদালত তাদের মুক্তি দিয়ে দিয়েছে কারন ব্রিটিশ আদালত চাইত না এদেশের মানুষের ধর্মীয় কোন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে তাদের বিরাগ ভাজন হতে, এরপর দেখুন ঠগীদের আপনি কিছু মোগলের অফস্প্রিং হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন, মজারা ব্যাপার কি জানেন, এই সব মোগল অফস্প্রিংদের হাতে নিহত হাজার হাজার মানুষদের সবাই কিন্তু এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে ব্যাবসায়ী ছিল, এমনকি নারী শিশুও এদের হাত থেকে রেহাই পেত না। একজনও সাদা চামড়ার ফিরীঙ্গী ছিল না।
এই স্লীম্যানের নাম কিন্তু আরো একটা বড় ব্যাপারের সাথে জড়িত সেটা হল সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে এই লোকের অবদান অনস্বীকার্য। ১৮৩০ সালের পর স্লীম্যানের হাতে যখন এই সব খুনে ডাকাতদের ধরা শুরু হল এবং সব গন কবর আবিস্কৃত হতে থাকল সাধারন মানুষ আতকে উঠল। আবার এটাও ঠিক ওই সময় কিছু প্রভাবশালী এদের কে সাহায্য দিত লুঠের বখরা পাবার আশায়।
ভারতের নব্য উগ্র হিন্দুবাদীরা এই ডাকাতদের ধর্মীয় লেবাস দিয়ে মোগল ফোগল বানানোর চেষ্টা করছে। আসলে ব্যাপারটা এত রোমান্টিক না
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫৬
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: স্কুল জীবনে প্রথম পরিচিত হয়েছিলাম ‘ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ কথাটির সাথে। আজ এর ইাতহাস জানলাম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
Rajibrpsoft বলেছেন: ভাই ঠগি নিমূল হয়নি...এখনও আছে তবে কালের পরিবতনে এরাও রূপ পাল্টেছে
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শের শায়রী বলেছেন: এনিয়ে কোন দ্বিমত নেই ভাই
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৪
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম, ধন্যবাদ বই দুটোর জন্যে
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শের শায়রী বলেছেন: ঠগীদের ওপর লেখা এর থেকে ভালো বই বাংলায় আমি আর দেখিনি ভাই
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভংঙ্কর এক কাহিনী পড়লাম। ++++++
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১০
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫১
পুকু বলেছেন: আপনিতো শ্রীপান্থের "ঠগী"র কার্বন কপি করেছেন মশাই !স্কুলে পড়ার সময় বইটি পড়েছিলাম।আরেকটি বই ছিল বাজারে ঐসময়।ঠগী যুগের বিভীষিকা।লেখকের নাম মনে নেই।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৭
শের শায়রী বলেছেন: জনাব আপনি বোধ হয় খেয়াল করেন নি, লেখার শেষে কৃতজ্ঞতায় আমি শ্রীপান্থের "ঠগী" এবং ফিলিপ মিডোসের "ঠগীর জবানবন্দী" বইদুটোর নাম এবং লিঙ্ক সহ উল্লেখ্য করছি। চাইলে আপনিও বইদুটো লিঙ্ক থেকে নামিয়ে আর একবার পড়ে দেখতে পারেন। আর আপনি উইকিতেও যা পাবেন সব ওই সব বই থেকেই নেয়া মুলতঃ । আর শ্রীপান্থের বই এবং মিডোসের বই থেকেই এগুলো নেয়া যা পোষ্টে পরিস্কার করে উল্লেখ্য করা আছে যদি পান্থের বই ২২৪ পৃষ্ঠা। আর মিডোসের বাংলা অনুবাদ ৪৮৯ পৃষ্ঠা। শুকরিয়া জনাব।
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫২
মা.হাসান বলেছেন: অত্যন্ত তথ্যবহুল লেখা। ভারতে ইংরেজদের সবচেয়ে বড় অবদান সতীদাহ বন্ধ করা এবং ২য় ভালো কাজ আমার হিসেবে ঠগি দমন। আজকে আমরা পুলিশে যে সি আই ডি দেখি এটার শুরু হয়েছিলো ঠগি দমনের মাধ্যমে। ১৮৩০ সালে ঠগি অ্যান্ড ডকয়েটি ডিপার্টমেন্ট চালু করা হয়, ১৯০৪ সালে এর নাম পাল্টে সি আই ডি রাখা হয়।
আপনার লেখা পড়ার সময়ে মনে হচ্ছিলো যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।
ঠগিদের বিভিন্ন গ্রুপে খুন করার পদ্ধতির পার্থক্য ছিলো। কেউ কেউ গামছা বা বড় রুমাল ল্যাসোর মতো ছুড়ে খুন করতো শুনেছি। আবার বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারার কথা শুনেছি, তবে সোর্স নির্ভরযোগ্য না।
ব্লগার গ্রীনলাভার এর মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করছি। মোঘল বংশধরদের কেউ কেউ কালী পূজারী ঠগি ছিল এমন ঘটনার কোন রেফারেন্স দাবি করছি , না থাকলে ওনার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহবান করছি। শেষ মোঘল বাদশা আবু জাফর ১৮৬২ সালে বার্মায় নির্বাসনে থাকা অবস্থায় মারা যান। তিন রাজপুত্রকে এর পাঁচ বছর আগেই, ১৮৫৭ সালে, সিপাহি বিদ্রোহের পর, ইংরেজরা নাঙা করে কারবাইন দিয়ে গুলি করে প্রকাশ্য রাজপথে হত্যা করে। দিল্লির যে জায়গায় এটা করা হয় সেখানকার নাম খুনি দরওয়াজা। এটা ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের কাছেই, দিল্লি গেট বলে যে জায়গায় রাজিব গান্ধি-সোনিয়া গান্ধির আইসক্রিম খাবার বিখ্যাত ছবি তোলা হয় তার থেকে কয়েকশত মিটার দূরে।
বাদশাহর মেয়েদের খবর পুরোপুরিভাবে ট্রেস করা যায় না, তবে বিভিন্ন এনজিও ৭০ এর উপরে বংশধর এর তালিকা তৈরি করেছে যারা বাহাদুর শাহ জাফরের খান্দানের লোক বলে দাবি করা হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ বস্তিতে মানবতার ভাবে জীবন যাপন করছেন। ইন্ডিয়ান টিভিতে একজন মহিলার সাক্ষাৎকার দেখিয়েছিল, উনি সরকারি ভাবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত মোঘল বংশধর, মাসে ৪০০ টাকা ভাতা পেতেন সে সময়ে।
মোঘল রাজবংশের সূচনা ষোল শতকে, কিন্তু ভারতে তের শতকেও থাগি ছিলো বলে প্রমান আছে - দেখুন History of India - by HM Elliot. মোঘল বংশধরদের ঠগি হবার ঘটনা আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য বলে মনে হয় না।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৬
শের শায়রী বলেছেন: দারুন মন্তব্য
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২
নতুন বলেছেন: ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়’ কথাটির সাথে। আজ এর ইাতহাস জানলাম।
ধন্যবাদ ভাই।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৪
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা নতুন ভাই।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪০
হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: সিম্পলি গ্রেট
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১০
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৩
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: শুনলেই ভয়ানক মনে হয়--কি নিষ্ঠুরতা!
সেবার একটা বই আছে থাগস অব হিন্দুস্থান নামে।বইটি কয়েক পেজ পড়েছিলাম।এবার মনে হচ্ছে পুরোটা পড়ে ফেলব।ইতিহাস জানানোর জন্য ধন্যবাদ
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০৬
শের শায়রী বলেছেন: থাগস অভ হিন্দুস্থান এর থেকে আমি আপনাকে সাজেষ্ট করব শ্রীপান্থর লেখা ঠগী বইটি পড়ার। ঠগীদের ওপর এর থেকে ভালো বই নেই।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৭
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকরতম গোপন খুনিদের দল এই ঠগিরা। ঠগিরা দলবেঁধে কখনো ব্যবসায়ী, কখনো তীর্থযাত্রী, আবার কখনো সেনাদের বেশে চলত। চেহারায়, পোশাক-আশাকে আর দশজনের সঙ্গে মোটেই তাদের পার্থক্য করা যেত না। তাদের সাধাসিধে মুখ দেখলে কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করতে পারত না এরা এমন ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারে। শুধু স্থলে নয়, জলেও কিন্তু ঠগিদের আনাগোনা ছিল। বিশেষ করে বাংলায় জলের ঠগিদের দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। পশ্চিম বাংলার বর্ধমানে ছিল তাদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি। এদের বলা হতো ‘ভাগিনা’ বা ‘পাঙ্গু’। তারাও যাত্রীবেশেই নৌকায় উঠত, পরে সুযোগ বুঝে গলায় ফাঁস দিত।
কিন্তু তারা আসলে কে? আর কেনই বা তাদের এই ভয়ংকর নেশা? এক অর্থে পেশাই বটে। কারণ, তারা মানুষ মেরে লুট করে নিত। তবে তাদের একটা সাধারণ ধর্মবিশ্বাস ছিল। ঠগিরা সবাই ছিল মা ভবানী বা কালীদেবীর উপাসক। তাদের মধ্যে হিন্দু, মুসলিমসহ অনেক ধর্মের লোক ছিল। কিন্তু সবাই করজোড়ে মানত মা ভবানীকেই। তারা বিশ্বাস করত, তারা যা করছে সব দেবীকে সন্তুষ্ট করার জন্য। অদ্ভুত সব কুসংস্কারও ছিল তাদের। রওনা হওয়ার আগে কোদাল মন্ত্রপূত করা, ঘুঘু বা প্যাঁচার ডাকের জন্য অপেক্ষা করা। তবে কালী সাধকদের সবাই ঠগি ছিল না। খুব ছোট একটা অংশই ঠগি হয়ে গিয়েছিল। ১৮৩০ থেকে ১৮৪১ সালের মধ্যেই প্রায় তিন হাজার ৭০০ ঠগি ধরা পড়ে। তাদের প্রায় সবাইকে পরে ঝুলতে হয় ফাঁসিতে, যে ফাঁস দিয়ে তারা মেরেছিল লাখ লাখ পথিককে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দারুন এক মন্তব্যে নূরু ভাই ।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪১
নতুন বলেছেন: ঠগীদের বিভিন্ন লেখাগুলি পড়ে কেন জানি তাদের কাহিনি গুলি একটু বেশি অতিরন্জিত মনে হচ্ছে।
ব্রিটিসটা ঠগীদের নাম নিয়ে অভিযান চালিয়েছে এবং তাদের কাহিনি বননা` করেছে।
ততকালিন সময়ে জনসংখ্যা এতো বেশি ছিলো না তাই ৩৭০০ ঠগীদের ধরা হলে আরো বেশি সংখ্যায় ঠগী ছিলো।
৩-৪ হাজার ঠগী ধরা পড়লে বাস্তবিকে ৫-১০ হাজার বা আরো বেশি মানুষ এই ঠগীতে থাকার কথা।
কিন্তু ঐ সময়ের ভারতে জনসংখ্যা এতো বেশি ছিলো না যে ৫-১০ হাজার মানুষ ডাকাতি করে বেড়াতো।
এটা মনে হয় ইস্টইন্ডিয়া কম্পনারী একটা ক্লিনজিং অপারেসন ছিলো যেটা ঠগীদের নামে তারা চালিয়েছিলো।
তারা অল্পকিছু ঠগীর নামে আরো অনেক বেশি মানুষকে সায়েস্তা করেছিলো এই ঠগী অপারেসনের নামে।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২২
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই পোষ্টের শেষে দুটো বইর লিঙ্ক দিয়েছি, বইদুটো পড়লে বুজতে পারবেন সে সময় ঠগী বা খুনী কালচার কিভাবে বেড়ে গিয়েছিল। সাধারন মানুষের ওপর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ক্লিঞ্জিং অপারেশান সে সময়ের ইতিহাসে সাপোর্ট করে না, যদি আপনি সে সময়ের ইতিহাস দেখেন। বাস্তবিক ঠগী আরো কিছু ছিল কিন্তু তাদের কোমড় ভেঙ্গে দেয় স্লীম্যান। বিভিন্ন বই টি দেখে আমার এই ধারনা তৈরী হয়, এছাড়া এই স্লীম্যান সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতেও অগ্রনী পুরুষ ছিল, যার কারনে তার ওপর আমার রেসপেক্টটা অন্য লেভেলে। ইদানিং অবশ্য নব্য ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা এই সব ঠগীদের দেশ প্রেমিক হিসাবে দেখানোর একটা পায়তাড়া করছে এর কারন আর কিছু না স্রেফ গোড়া ধর্মীয়। কারন ঠগীরা ছিল কালীর অন্ধ উপাসক।
২০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৯
মা.হাসান বলেছেন: এত খুন-খারাবি-মৃত্যুর কথা লিখলে কোমলমতি প্রেমিকারা কাছে আসবে কেমন করে? আপনি বরং আফ্রোদিতি/কিউপিড/হ্যাথোর এদের নিয়ে একটা জমজমাট প্রেমের লেখা দিয়ে দেখেন না!
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:২৮
শের শায়রী বলেছেন: আপনার তালে আমি আর পরুম না, দেখছেন কেমুন অভিমান করছে ও! আসেই না আমার পোষ্টে এই সব কিছুর পেছনে আপনারা দায়ী। আমাদের সবে মাত্র শুরু হয়েছিল এর মাঝেই আপনারা সব কিছু ভন্ডুল করে দিলেন। আপ্নাগো তালে পইড়া আমিও না হয় দু চারটা কথা বলছি, অথচ শুনছিলাম ও নাকি পাষান হৃদয়, ওকে নাকি কেউ হ্যান্ডেল করতে পারে না, এখন তো দেখি সব মিথ্যা, অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের অধিকারী। আমি না বুঝে কষ্ট দিয়েছি, ইচ্ছা করে গান গাই
ও প্রিয়া তুমি কোথায়............
হাসান ভাই সব কিছুর জন্য আপনারা দায়ী। আমার আর কিচ্চু ভাল লাগে না...... ওকে এনে দিন........ আর পারছি না....
২১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:০০
সোহানী বলেছেন: অসাধারন। টুকরো টুকরো অনেক কিছুই জানতাম কিন্তু একেবারে সাজানো গোছানোভাবে এই প্রথমই পড়লাম।
আবারো হ্যটস্ অফ!!
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: বহুত বহুত শুকরিয়া বহিন। অনেক মেহেরবানী।
২২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পুরানো পড়া বিষয় !
আবার ঝালিয়ে নেওয়া গেল।
বেশ বেশ
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভ্রাতা।
২৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: শ্রীপান্তের ঠগী পড়েছি অনেকদিন আগে,বেশ রোমাঞ্চকর ও বেধনাদায়।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: এই পোষ্টের নীচে লিঙ্কে শ্রীপান্থের ঠগীর লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি ভাই। ডাউন লোড করে আবারো একবার চোখ বুলাতে পারেন। দারুন বই। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেই আমলের ঠগীগো তাও একটা নীতি আছিল। এই আমলের ঠগীগো তো তাও নাই। এগুলা বেশরম ঠগী। ঠিকমতোন ঠগীও হইতে পারে না।
কালীর পুজা করনেওয়ালা মুসলমান ঠগীরা ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার। এরা কেমন মুসলমান ছিল আল্লাহ মালুম। তয় বলিউডের খানগো দেখলে কিছুটা আন্দাজ করন যায় হ্যাগো মুসলমানীর ধরন।
এদের নিয়া জানতাম, তয় ছাড়াছাড়াভাবে। আপনের লেখায় অর্গানাইজড ওয়েতে জানলাম। এইভাবে বিনাপয়সায় আমাগো জ্ঞান বাড়ানোর যে গুরুদায়িত্ব আপনে নিজের ঘাড়ে নিছেন, হ্যার লাইগা আপনেরে লাল সালাম দিলাম। আর কিছু করনের থাকলে জানায়েন.......লজ্জা কইরেন না।
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: লাল সালাম সুলাম সব তো পাইলাম...... ইয়ে মানে দেশে আসার সময় এক খান লাল মার্কা (লেবেল) নিয়া আইসেন লজ্জা মজ্জা ফালাইয়াই কইলাম
২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ......এইটা কি হুনাইলেন! আপনেরে তো সুফী মানুষ হিসাবেই জানতাম। আপনের মনের মইদ্দে শেষ কালে এই ছিল!!
আপনে তো দেহি ঠগীগো থিকাও খারাপ!!!!
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪
শের শায়রী বলেছেন: হুনেন গান বাজনা হারাম, তয় সবার জন্য না, এর মাইধ্যে মারেফতির ফানাফিল্লাহ স্তরে যারা পৌছাইয়া গেছে তাগো অনেক কিছু সাধারন মানুষ বুজবে না, যাউজ্ঞা সেটা ব্যাপার না, ব্যাপার হইল, আলেকজান্ডার কইয়া গেছে বড় বিচিত্র এই দ্যাশ তার থিক্কাও বিচিত্র এই দ্যাসের মানুষ, আবার ওদিকে শেক্সপীয়ার লিক্ষা গ্যাছে There are more things in heaven and Earth, Horatio রবীন্দ্রনাথ বইলা গ্যাছে ......... আবার........
২৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ হ.......বুইজ্জা হালাইছি। আর কইতে হইবো না!!!
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২০
শের শায়রী বলেছেন: এই জন্যই আমি আপনার সাথে একই প্রজাতি আবার এত মিল, দ্যাখেন কত অল্পতেই ব্যাপারটা ধইরা ফালাইছেন এই জন্যই লালন ফকির বইলা গ্যাছে, "ওয়াইজ মেন থিংক এলাইক"
২৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫১
অপু তানভীর বলেছেন: ঠগী নিয়ে ইমন জুবায়ের ভাইয়ের একটা চমৎকার লেখা পড়েছিলাম অনেক আগে । আপনার লেখাটা সেই লেখার কথা মনে করিয়ে দিল । চমৎকার তথ্য নিয়ে লেখা এই পোস্ট । ঠগী নিয়ে একটা তামিল মুভি দেখেছিলাম বেশ কিছু দিন আগে । আপনিও দেখতে পাবেন । মজা পাবেন আশা রাখি ।
ঠগী নিয়ে আপনার রেফারেন্স দেওয়া দ্বিতীয় বইটা আগেই পড়েছি । আমার এই ব্যাপারে কৌতুহলের শেষ নেই । প্রথম বইটাও পড়ে ফেলবো ।
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ শের সাহেব !
ভাল থাকুন সব সময় !
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৩
শের শায়রী বলেছেন: ব্রাদার, ইমন ভাইর ঠগী নিয়ে লেখাটা আমার পোষ্টে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি ১২৯০ সালে জালালুদ্দীনের সময় যে ১০০০ ঠগী ধরা পড়ছিলো সেই লাইনে। মুভিটার নাম দিলে দেখতে পারতাম অপু ভাই। অবশ্যই প্রথম বইটা পড়বেন শ্রীপান্থের লেখা। ঠগীদের ওপর লেখা বেষ্ট বই।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।
২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩০
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আগেও কোথায় যেন পড়েছিলাম, এবার আবারো আপনার লেখা পড়লাম। চমতকার। আমাদের সবার তথ্য জানা দরকার।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৮
শের শায়রী বলেছেন: দারুন মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় সাহাদাত ভাই।
২৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩২
অপু তানভীর বলেছেন: এই মুভিতা দেখতে পারেন । একেবারে হুবাহু ঠগীর খাহিনী না হলেও সেই থিম বেজ করেই বানানো । সময় কাটবে ভাল আশা রাখি ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস অপু ভাই, বুকড মার্ক।
৩০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯
আরোগ্য বলেছেন: ঠগীদের ব্যাপারে জানার খুব আগ্রহ ছিল। অবশেষে দুই দিন ধরে পড়ে শেষ করলাম। আমি ওই মুভি দেখিনি। এখন আর নতুন করে হিন্দি মুভি দেখা হয় না।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
৩১| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: শ্রীপান্থের বইটা পড়া হয়েছিলো অনেক আগে।ঠগীদের মত আরো কত কত সংঘবদ্ধ সংগঠন ভারত বর্ষে ছড়িয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো তা পড়ে বিস্মিত হয়েছিলাম।আমার আফসোস হচ্ছিলো ঠগীদের মত এত অসাধারণ গল্পের প্লট থাকতে বড় কোন সাহিত্যিক এটা নিয়ে লেখে নি কেন!সিনেমার প্লট হিসেবেও এই ইতিহাস সোনার খনি।
২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি ভাই, মিডোসের বই দিয়ে তো ডাইরেক্ট একটা সিনেমা বানানো যায়, অথচ দেখেন আমীর খান "ঠাগস অভ হিন্দুস্থান" নাম দিয়ে কি একটা অখাদ্য বানাইছে, উদ্ভট এক ড্রেস পড়ে। আর ঠগীদের নিয়ে তেমন কোন উপন্যাস, গল্পও লেখা হয় নাই, অথচ ঠিক বলছেন ওদের জীবন যাত্রাই ছিল গল্প উপন্যাসের খনি।
পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩২| ১৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:০৭
রাকু হাসান বলেছেন:
শ্রীপান্থের ঠগী বইটি পড়েছি। ঠগী কাহিনী পড়া হয় নি । বইটি নিলাম । ধন্যবাদ ভাই। ভাবছিলাম এ বিষয়ে লিখবো এখন দেখছি আপনার মত শক্তিমান ব্লগার দারুণ পোস্ট দিয়ে রাখছেন । প্রয়োজন নেই ।
১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: রাকু ভাই, আপনি আপনার মত করে লিখুন, অনেক তথ্যই আমি স্থানাভাবে বাদ দিয়ে গেছি আপনি জানেন যেহেতু এবিষয়ে আপনার পড়াশুনা আছে। দয়া করে লিখুন প্লীজ। আর মোটেই শক্তিমান জাতীয় কিছু না, বয়স ৫০ ছুই ছুই এই বয়সে আর যাই হোক শক্তি থাকে না
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: "Thug Life" কথাটির সাথেও জড়িত এই ঠগী ডাকাতেরা। ভালো পোষ্ট। মারাঠা দস্যুদের নিয়েও লিখবেন আশা করি। রবিবাবুকেও বাদ দিয়েন না। আশা করি, বক্তব্য ধরতে পেরেছেন।