নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামারীর কাল, অমানবিকতার সময়

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৪


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মৃত সুমন চাকমা

চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ মারা যাবে যাদের করোনা হয় নি, এরা ধরুন, অতি সাধারন জ্বর জ্বারি, হার্টে সমস্যা আবার জটিল অন্য কোন রোগ অথবা ক্যান্সারে। পত্রিকায় এ ধরনের নিউজ ইদানিং অহরহ দেখছেন, তাই না? আবার পোলাপান পারেও বটে, ঘোষনা দিয়া মারা যায়,
নিজের মৃত্যুর ভবিষ্যতবানী নিজে করে এক দম অক্ষরে অক্ষরে ফলিয়ে যাচ্ছে (দেখুন করোনো হয়নি কিন্তু করোনার জন্যই মরতে হবে, ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়ে মারাই গেলেন সুমন) আমিও দেখছি, আর অমানুষের মত অন্য কোন নিউজে খুব মনোযোগ দেই। এগুলো নিয়ে ভাবি না, ভাবার মত মানসিকতা নেই, কারন চারিদিকে মহামারি নিয়ে হৈ চৈ, মৃত্যুর হিসাব।

চারিদিকে যানবাহন বন্ধ কারন দেশে সরকার ঘোষিত অঘোষিত লকডাউন চলছিলো, এর মাঝে বিশাল এক শ্রেনীর চাকুরীজীবিদের ওপর হুকুম আসল, আগামীকাল থেকে চাকুরীতে জয়েন কর। অনেকটা ছুটির আমেজে ওই মানুষ গুলো বাড়ী গিয়েছিল, তারা তখনো বুজতে পারেনি কি ভয়াবহ দিন আসছে। এর মাঝেই হুকুম চাকুরীতে আস। ওদিকে সরকারী ঘোষনা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখ। ছোটলোক মানুষগুলোর তখন "শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা"। যানবাহন বন্ধ। কিভাবে মানুষগুলো কাজে আসবে! তাও পেটের টানে কেউ পায়ে হেটে, কেউ কিছু টা ভ্যানে মানে যে যেভাবে পারছে রওনা দিল ঢাকার উদ্দেশ্যে। কারো সাথে বউ বাচ্চা। ছোটলোকগুলোকে বড়লোক মানুষ গুলা টেনে হিচড়ে ঢাকা এনে পরদিনই হুকুম দিল কাজে যেতে হবে না কারন মহামারী। ছোটলোকদের কারনে এটা আরো স্প্রেড হতে পারে

এইবার এই সব ছোটলোকগুলো পড়ল মারাত্মক ঝামেলায়, যেহেতু সংক্রামক মহামারী তাই তাদেরকে অনেক বাড়ী ওয়ালাই বাড়ীতে ঢুকতে দিচ্ছিল না, অনেক গুলো ভাবছে কালকে কি খাব? করোনা ধরলে নাকি ১০ / ১৫ দিন বাঁচা যায় কিন্তু খাদ্য, বাসস্থান ছাড়া কয়দিন বাঁচা যায়? এই সব মানুষ গুলো কি খাবে? কিভাবে আবার নিজ এলাকায় ফিরে যাবে? আবার গেলেও কি সুস্থ্যভাবে যাবে কিনা, তার প্রিয়জন কে অসুস্থ্য করবে কিনা তার দায় কে নেবে? আমি অবশ্য এনিয়ে খুব একটা ভাবিত না কারন আমি একজন তথাকথিত মধ্যবিত্ত এখনো পরিবার নিয়ে ভালো আছি।



রাস্তায় মানুষ মরে পরে থাকে (দেখুন চট্টগ্রামে রাস্তায় রিকশাচালক ও গার্মেন্ট কর্মকর্তার মৃত্যু) , আবার বাসা বাড়ি থেকে রাস্তায় ফেলেও দিয়ে যায় বুড়া, বুড়িগুলোকে (দেখুন পথে পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ নারী, কাছে যাচ্ছিলেন না কেউ) কেউ তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে সাহস করে না। মৃত্যু পথ যাত্রী ছট ফট করছে, দূরে দাড়িয়ে দেখছে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে কিন্তু ততক্ষনে তারা সাহায্যের উর্ধ্বে। রাস্তায় জন্ম নেয় নবজাতক (দেখুন অবশেষে রাস্তায় জন্ম নিলো নবজাতক) আমার কাছে এগুলো অতি সাধারন লাগছে কারন আমি বাসায় বসে খবরের কাগজে নিউজ দেখছি। সামনা সামনি এখনো দেখিনি। দেখবো কিভাবে আমি তো বাসার দরজা আটকে নিরাপদ থাকার প্রানান্তকর চিন্তায় ব্যাস্ত।

খারাপ লাগছে মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্য, তাকে বিভিন্ন বিব্রতকর প্রশ্ন বানে জর্জরিত করছে দেশী বিদেশী সাংবাদিকরা। উনি নিজেই স্বীকার করছেন এখন সদুত্তর দিতে পারছেন না (দেখুন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি, সদুত্তর দিতে পারি না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী)। হাতি কাদায় পড়লে চামচিকাও লাথি মারে। আজকে সুযোগ বুজে উনাকে এইভাবে বিব্রত করার তীব্র নিন্দা করা ছাড়া আমাদের করার কিছু নাই, কারন আমরা গোবেচারা সাধারন মধ্যবিত্ত।

প্রায় দুই মাস আগে সারা মুসলিম জাহানের মসজিদে জামায়াতে নামায পড়া এক রকম নিষিদ্ধ, হাদীসেও এনিয়ে পরিস্কার বার্তা আছে, আজকে যখন মহামারী আঘাত হানছে তখন বলা হয়েছে জামাতে যেন পাঁচ জনের বেশী না হয় আর জুমার নামাযে যেন দশ জনের বেশী না হয়, এই পাঁচ জন দশ জন কিভাবে নির্ধারিত হবে? জামাতে যদি পাঁচ জনের বেশি হয় তবে কি তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দেবে? কেন এখনো পাঁচ জন, দশ জনের নিয়ম (দেখুন কিছু দিন আগে পোষ্ট দিয়েছিলাম মহামারীতে জুমার নামায এবং জামাতে নামায হাদীসে কি বলে?) ? বুজিনা কিছু, বোধ বুদ্ধি ভোতা হয়ে যাচ্ছে কারন মহামারী আঘাত হানা শুরু করছে। মনে হয় পানিটা খাচ্ছে, কিন্তু একটু ঘোলা করে এই যা।

সারা বিশ্বের চিকিৎসা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে, সেখানে আমাদের চিকিৎসা ব্যাবস্থার ভীত কি এতই সুদৃঢ় যে, পরিস্থিতি আর একটু বেসামাল হলে মিনিমাম চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে? হবে হয়ত কারন কিছু দিন আগেও বিভিন্ন দায়িত্বশীলরা বলেছেন পরিস্থিতি এখনো বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছে। যদি অন্যান্য দেশের মত হয় তখন কিভাবে সামাল দেবে? আমি আসলে ভাবতে চাচ্ছি না কারন ভাবার দায়িত্ব আমার না। এর জন্য অনেক দায়িত্ববানরা আছে।

এদেশে সরকারী চাকুরীর বাইরে বিরাট একটা অংশের মানুষ বেসরকারী চাকুরী করে, মাস শেষে তাদের বেতন কে দেবে? পরিবারের সদস্যগুলো কি খাবে? এটা এখন আমারো ভাবনার বিষয়। ভাবছি কারন এই জায়গায় এসে আমাকে এখন ঠেকতে হয়েছে। কার কাছে হাত পাতব? আমি মধ্যবিত্ত, খুব শরম লাগে, আবার ইজ্জতও আছে। বড় মানুষদের মত কয়েক বছর নিশ্চিন্তে খাবার মত জমানো টাকা আমার নেই আবার ছোটলোকদের মত বড় মানুষদের কাছে ত্রানের নামে দয়ার দানও নিতে পারা যাবে না। কি যে করব তাই ভাবছি। মাস শেষে কে আমাকে টাকা দেবে?

বিশ্বের উদাহরন মহামান্যরা কথায় কথায় দিচ্ছেন, তাদের তুলনায় এখনো আমাদের অবস্থা খারাপ না, আল্লাহ যেন তাই করে। আপনাদের কথা যেন আল্লাহ শুনেন, কিন্তু বড় বড় ধনী রাষ্ট্র গুলোতে মহামারীর তান্ডব গত তিন মাস যাবত চলছে, যেভাবেই হোক তারা খাবার পাচ্ছে। যদি কোন কারনে আমাদের ওই রকম পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে যেতে হয় তবে তিন/ চার মাস খাব কি? বা তারপর? জানি আমাকে খাওয়ানোর দায়িত্ব আপনার না কারন এখন মহামারীর কাল, অমানবিকতার সময়।

ক্ষুধার কষ্ট কি জিনিস আপনি জানেন? না আমিও জানি না, তবে এটুকু জানি এই বয়সে এসে ক্ষুধার কষ্ট খুব বেশী আর লাগবে না, কিন্তু ক্ষুধার কষ্টে যখন আপনার বাচ্চা ছেলেটা কাঁদবে তখন আপনি কি করবেন? জানি তখনো আমার আহাজারি আপনার কানে যাবে না কারন আপনার অনেক টাকা আছে তখনো নিশ্চিত সময় পার করতে পারবেন, আর যারা বুজবে তারা কিছুই করতে পারবে না, কারন এই অমানবিকতার সময় কেউ কাউকে সাহায্যে আসবে না।



ভারতে চার মেয়ের বাবার খাটিয়া কাধে করে দাহ করতে নিয়ে যাবার হৃদয় বিদারক ছবি চারিদিকে ভাইরাল (দেখুন করোনা আতঙ্কে এগিয়ে আসেনি কেউ, চার মেয়ের কাঁধে বাবার লাশ)। এটাই স্বাভাবিক। এটাই মহামারী। এটাই অমানবিকতার সময়। দয়া করে ছোট লোক এবং মধ্যবিত্ত নামক আধা ছোটলোকগুলো কিভাবে খাবে তাই একটু ভাবুন। মহামারীতে মানুষ মারা যাবে, এটা অতি স্বাভাবিক। কিন্তু একটা মানুষও যেন না খেয়ে মারা না যায় এই অনুরোধটুকু করজোরে আপনাদের কাছে নিবেদন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলে সব দোষ জনগনের। তারা মন্ত্রীদের উপরে আস্থা রাখতে পারতেছে না। আমাগো মন্ত্রীরা যহন যেইটা বলে, মনোযোগ দিয়া শুনলে আর সেই মতো কাজ করলে কারো কোন বিপদ আসারই সুযোগ নাই।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৬

শের শায়রী বলেছেন: শুনতেইতো আছি আবার আস্থাও রাখছি, তারপরো কেন যে করোনা আসছে বুজতাছি না :(

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে কবিতা লিখিনি। অনেকে মনে করতে পারে এটা পড়ে কবিতা লেখার অপপ্রয়াস চালিয়েছি।
আসলে সময় টা এখন এমনই। কবিতা লিখেন গল্প লিখেন অথবা মনে ভাবনার প্রকাশ সব এখন এক রকম।
একি ট্রাজেডি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলা আর কি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি, এই সময়ে আমাদের ভাবনাগুলোতে খুব একটা পার্থক্য নেই। প্রায় এক কেন্দ্রিক হয়ে আসছে, এবং এটাই স্বাভাবিক, তাই বলে কি কবিতা থেমে যাবে? পাখিরা কি ডাকবে না? ভোরের মৃদু বাতাস কি প্রবাহিত হবে না? লিখে যাও।

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: করোনায় কিন্তু যুবরাজ (চার্লস), রাজকুমারী (স্পেন), প্রধানমন্ত্রী(লিবিয়া), মন্ত্রী (বৃটেন), সংসদ সদস্য(ইরান) এবং আমজনতা কাউকেই বাছবিচার করছে না। রাজকুমারী আর প্রধানমন্ত্রীতো মারাই গেছেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০১

শের শায়রী বলেছেন: এটা সত্যি কামাল ভাই, করোনা সাম্যে বিশ্বাসী। এনিয়ে আমি ভাবিত না। কিন্তু আমার কাছে যেটা ভীতিকর তা হল এর আফটার ইফেক্ট বা এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় খাদ্য মন্দায় আক্রান্ত না হই। যা হবে আরো বেশী মানবেতর।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৩

মা.হাসান বলেছেন:
শ্রমিকরা কি মানুষ? এদের মরে যাওয়াই ভালো। এদের বাসায় থাকার চেয়ে কাজ করাই নাকি বেশি নিরাপদ। শ্রমিক নেতারা এরকম কথাই তো বলেছেন ।

সূত্র- আজকের প্রথম আলো- হেডলাইন --পোশাক কারখানা বন্ধ করতে চাননি কেউই

ভারতে মসজিদের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকার কারণে তাবলীগ জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নিবে বলে ওই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে । বাংলাদেশের যারা এই কান্ড ঘটালো তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি ব্যবস্থা নেবে জানতে মন চায়।


ভারতের মতো অমানবিক ঘটনা বাংলাদেশেও একাধিক ঘটেছে । কয়েকটির বর্ণনা আপনি দিয়েছেন। আমি দুটোর কথা বলি। অসুস্থ লোকের চিকিৎসার জন্য দ্বারে দ্বারে সাহায্য চেয়ে সাহায্য পান নাই , মৃত্যুর পরে কবর দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। মারা যাওয়ার পর দেখা গেছে ওই লোকের করনা ছিলো না (থাকলেও কি এমন করা যায়?)

হোমো সেপিয়েন্স নামের এই প্রজাতি টা পৃথিবীজুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে । এটি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলে অন্য সব প্রজাতি অনেক ভালো থাকবে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এরকম হবে না। সামনে শুধু বাংলাদেশ না, গোটা পৃথিবীর জন্যই কঠিন সময় আসছে। সতর্ক থাকা দরকার। প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। মানবতাবোধ যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই মানবতাবোধ নষ্ট হয়ে গেছে, হতদরিদ্রের চাল কালোবাজারি করায় আ.লীগ নেতা কারাগারে মাত্র এক মাসের কারাবাস!! অথচ এই মুহুর্তে হত দরিদ্রের চাল কালোবাজারিতে। আরো দেখবেন হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ায় গাড়িতে সন্তান প্রসব । মানবতা এখন আর আমাদের জন্য না মনে হয়, হলে মানুষ এভাবে পশু হতে পারত না।

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই করোনার কারণে অনেক হ্রদয় ভাঙ্গা ঘটনা দেখতে হচ্ছে। তেমনি মন্ত্রী বোকা বলে নার্ভাস হচ্ছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

শের শায়রী বলেছেন: মানবতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই উপমহাদেশের জনসাধারণের বিশাল অংশ এখনো মানবিকতার স্তরে পৌঁছতে পারে নাই | মহামারীর পূর্বেও এই জাতি সময়ে সময়ে অনেক নিস্রংশতার পরিচয় দিয়ে আসছে | এখানে মানুষ ক্ষমতা ও অর্থের কারণে যে পরিমান হিংস্র হয়ে পড়ে তার জন্য মহামারীর প্রয়োজন পড়ে না |

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

শের শায়রী বলেছেন: এটা ঠিক স্বামীজী নৃশংসতা আমাদের রক্তে, এই মহামারী এখন শুধু প্রভাবক হিসাবে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে সেটাকে আর সামনে টেনে আনছে।

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০২

রাফা বলেছেন: আফটার ইফেক্ট আমরা ভালোভাবেই আমরা সামলে নেবো এই নিশ্চয়তা আমি আপনাকে দিতে পরি।কারন আমরা হইলাম যে কোন দুর্যোগপ্রুফ বাঙালী।
একদিকে মারলেও আরেকদিকে বাচাইতেছে সরকার ।সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুহার কমবে।সেটা ব্যালেন্স করতেই করোনার ভয়ে বিনা চিকিততসার মৃত্যু।(প্রচন্ড ক্ষোভ থেকেই কথাগুলো বললাম)।

প্রার্থণা করি সৃষ্টিকর্তা ঠিক যেমন ভাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন তেমনিভাবে যেনো এই মহামারী থেকেও রক্ষা করেন।
এটাই প্রথম ও শেষ কথা।কারন বাংলাদেশে আর কোথাও বলার যায়গা আমাদের নেই।

ধন্যবাদ,শে.শায়রী।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

শের শায়রী বলেছেন: ভ্রাতা আপনার মন্তব্য দিয়েই উত্তর দেই প্রার্থণা করি সৃষ্টিকর্তা ঠিক যেমন ভাবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন তেমনিভাবে যেনো এই মহামারী থেকেও রক্ষা করেন। এটাই প্রথম ও শেষ কথা।কারন বাংলাদেশে আর কোথাও বলার যায়গা আমাদের নেই।

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩০

আল ইফরান বলেছেন: অমানবিকতা অথবা স্বার্থপরতার চূড়ান্ত রুপটা কিন্তু আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থার বাইরে থেকে আসে নি। খুব সংক্ষিপ্ত আকারেও যদি বলি সামন্ততান্ত্রিকতার পথ ছেড়ে পুজিবাদের রাস্তায় আমাদের ট্রানজিশনটা ভূলভাবে হয়েছে। হঠাত করে একটা কৃষিভিত্তিক সমাজকে র‍্যাডিকাল ট্রান্সফর্মেশনের পথে ঠেলে দিলে (আই মিন পলিসি মেকিং লেভেল দ্বিধা, শ্রমিকে রুপান্তর, লুম্পেন শ্রেণীর উদ্ভব ইত্যাদি) তার ফলাফল ঠিক এমনই হয়। সত্যি করে বললে এখন আমার আর নিজের জন্য একটুও খারাপ লাগে না, বরং মনে হয় একটা ভূল সিস্টেমের মধ্যে বসবাস করলে এর চাইতে আর বেশি ভালো কিছু ঘটবে না। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময়টা আবার ইতিহাস পড়া শুরু করেছি, মনে হয় ব্লগার চাঁদগাজী '৭১ পরবর্তী ম্যালএডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে যা বলেন তার ফলাফল আমরা পেতে শুরু করেছি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪০

শের শায়রী বলেছেন: দারুন এক তাত্ত্বিক মন্তব্য, এবং মন্তব্যে ভালো লাগা।

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আত্মরক্ষা ও নির্মম মনে হতে পারে মানব দেহ যেখানে মারনাস্ত্র সতর্কতার দরকার আছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি আত্মরক্ষা আর অমানবিকতায় কিছু পার্থক্য আছে, বৃদ্ধা মা কে রাস্তায় ফেলে যাওয়া, বা প্রসূতিকে চিকিৎসা না দিয়ে রাস্তায় সন্তান জন্ম দেয়া এগুলো তো স্রেফ অমানবিকতা, তাই নয় কি?

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশটা দরিদ্র। কাজেই আমাদের সমস্যা বেশি। দেশের মানূষ গুলোও ভালো না। চুরী দূর্নীতি করে দেশতার বারোটা বাজিয়েছে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: চুরি দুর্নীতি সেটা না হয় এক সময় মেনে নেয়া যায়, কিন্তু এই দুর্দিনে!

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নির্মম!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: আসলেই নির্মম।

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: যে সব পুরুষ ডাক্তাররা এই মুহুর্তে চেম্বার, হাস্পাতালে যাওয়া বন্ধ করে ঘরে বসে আছে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিৎ । নারী ডাক্তার যারা বিবাহিত তাদের এই মুহুর্তে তাদের সন্তানদের জন্য ছাড় দেয়া যেতে পারে। কিন্ত পুরুষ ডাক্তারগুলোর লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া উচিৎ। মানব সেবার শপথ নিয়ে এরা কিভাবে এই সময়ে ঘরে বসে থাকে? এখনতো আর পিপিই সংকট নাই।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: এই মুহুর্তে এক মাত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছাড়া আর কারো কোন দায় আছে বলে মনে হয় না। সত্যি কথা বলতে মানবিক সার্ভিস যেটুকুই পাওয়া যাচ্ছে তা এক মাত্র আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের কাছ থেকে।

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভবিষ্যতে এমনি কতো হাজারো হৃদয় বিদারক ঘটনার
জন্ম দিবে করোনা তার ইয়ত্তানাই।
'আসুন আমরা সবাই মিলে সৃষ্টিকর্তার কাছে
আমাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে'
শুদ্ধ হই। একমাত্র তিনিই বান্দাদের রক্ষা করার মালিক।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: আমাদের কৃত পাপ কর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে'
শুদ্ধ হই। একমাত্র তিনিই বান্দাদের রক্ষা করার মালিক।

রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুক।

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: রাতে ঘুম আসে না।
ভয়াবহ সব স্বপ্ন দেখি।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: আর ভাই আমার কেন যেন ঘুম বেড়ে গেছে :| । মড়ার আগে নাকি ঘুম বেড়ে যায়, বুজতাছি না।

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৬

নতুন বলেছেন: অজ্ঞতার কারনে ডাক্তার , নাস` রোগীকে সেবা দিচ্ছেনা।

এদের কি রকমের পড়াশুনা করেছেন সেটা জিজ্ঞাস করা দরকার।

হাতে গ্লাভস, একটা মাস্ক পড়ে যে কোন মানুষকে সাহাজ্য করা যায়। পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিলে চলে।

দেশের অজ্ঞতা একটা অভিসাপ পযায়ে চলে যাচ্ছে।

এই সময়ে অনেক যবকরা সেচ্ছাসেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সবার সম্মান জানানো উচিত।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: এগ্রি নতুন ভাই, এই সময় যারা স্বেচ্ছাসেবা দিচ্ছেন তাদের নগদে সন্মান দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরী করা উচিত।

১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৯

ইসিয়াক বলেছেন: মানবতার মহা বিপর্যয়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: মানবতার সংজ্ঞা নতুন করে লিখতে হবে প্রিয় কবি।

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: কেবল তো শুরু। এইরকম আরও কত কিছু আসতে থাকবে!!!
দুঃখজনক বিষয়।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০০

শের শায়রী বলেছেন: কেবল মাত্র শুরু প্রিয় ভাই। রাইট।

১৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৫

আশাবাদী মানব বলেছেন: মানবতার বুলি শুধু কথার ফুলঝুরিতেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। যুগ যুগ ধরেই সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষগুলোই বঞ্চিত ও কষ্ট ভোগ করে আসছে। গার্মেন্টস কর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণের কোন সদুত্তর বিজিএমই এর কর্তাব্যক্তিরা দিতে পারবেন কি? অবশ্য এরা কারোই পরোয়া করে না। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বহুলাংশে সেইদিনের এই ঘটনাকে দায় দিলে নিশ্চয়ই অত্যুক্তি হবে না। যাই হোক মানবতা ফিরে পাক প্রকৃত ভাষা। মহামারীতেও যেন সেই মানবতা হারিয়ে যায় !!!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: এই দুর্দিনে আমাদের এক মাত্র আশা মানবতা। আশা রাখি সে মানবতা যেন সবার মাঝে জাগ্রত হয়। পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞত জানুন।

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৯

সোহানী বলেছেন: লিখাটা আগে পড়লেও কোন মন্তব্য করিনি বা বলা যায় মন্তব্য করার মতো সাহস হয়নি। এরকম অমানবিক পৃথিবী দেখতে ইচ্ছে করে না, কোনভাবেই ইচ্ছে করে না। ভালো লাগে না কোন কিছুই। এতোদিন ভাবতাম আহা একটু সময় পেলে কতকিছু লিখবো। এখন হাতে অপুরন্ত সময় কিন্তু এক বর্ণ ও কলম চলে না। আমিতো ভালো আছি কানাডার মতো একটি দেশে বাস করে কিন্তু ভালো আছে কি আমার দেশ। ফেলে আসা সবাই?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

শের শায়রী বলেছেন: বোন কিছুই ভালো লাগে না, আগে লিখতাম মনের আনন্দে, এখনো লিখি নিজেকে সব থেকে দূরে সরিয়ে সব কিছু ভুলে থাকার জন্য। কে চলে যাব, কে থাকব এক ওপরওয়ালা জানে। আপনার দোয়ায় আমাদের কে শরীক রাখুন। আপনার জন্যও দোয়া থাকল বোন।

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

মিরোরডডল বলেছেন: আই ডোন্ট নো হোয়াট টু সে । স্পিচলেস !!!!
এর সলিউশন কি ?

আমাকে যেটা সবচেয়ে ভাবায় এখনও কোন টেস্টিং কিট নেই বাংলাদেশে । আইডেন্টিফাই করাই যাচ্ছেনা আসল ইনফেক্টেড কতজন । ইভেন যতটুকু হচ্ছে সেই সত্যিটাও প্রকাশ হচ্ছে না । সত্যিটা জানা যে কি ভীষণ প্রয়োজন ইমারজেন্সি ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য । পাশের দুই দেশে যেখানে ৪৪১৪ আর ৫৯১৬ কেইস সেখানে বাংলাদেশ বলছে 218 জন কনফার্মড কেইস 20 জন মৃত্যু , এটা কি বিশ্বাসযোগ্য ?
নাথিং ইজ ওয়ার্কিং ওয়েল । This time transparency & proper communication is very important for the sake of life.

মানবিকতার ওপরে আর কিছু নেই । এখন দেখা যাক মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ কতটুকু পরিবর্তন আনতে পারে । এটাই এখন একমাত্র ভরসা ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন কিচ্ছু ভাবতে ভালো লাগে না, নিজেকে এক রকম গুটিয়ে বলতে পারেন বালিতে মুখ গুঝে বসে আছি, ঝড় কে সামাল দিতে গিয়ে। খুব খারাপ লাগে। নিজের জন্য অত ভাবি না, কিন্তু নিজ পরিবারের বা যখনি কোন অমানবিকতার কথা পড়ি নিজের অজান্তে মাঝে মাঝে চোখটা ভিজে ওঠে, কিন্তু আমি জানি আমি কোন নরম হৃদয়ের মানুষ না। নিজেকে নিয়ে কোন কালেই ভাবিনি, কিন্তু এখানে তো কেউই নিরাপদ না, শুধু চাই নিজ পরিবারের কারো কিছু হবার আগে আমি যেন চলে যাই যদি আল্লাহ তা ভালো মনে করে। অসাহত্ব আমাকে কষ্ট দেয়। এর বেশি কিছু না।

ভালো থাকুন।

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

করুণাধারা বলেছেন: কিছুদিন ধরে মন্তব্য করতে পারছি না, যদিও আপনার সবকটা পোস্ট পড়েছি।

শুধু ভাবছি মানুষ কিভাবে এমন অমানবিক হয়ে যাচ্ছে!! হাসপাতাল গুলো সাধারণ সময়ে রোগীর জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকে, অথচ এখন যেকোন রোগে অসুস্থকে ডাক্তার দেখে না, ষোল ঘণ্টা যাবত ছয় হাসপাতালে ঘুরে স্ট্রোকের রোগী এমবুলেন্সে মারা যান... আমার মায়ের যখন স্ট্রোক করেছিল, উনি অজ্ঞান ছিলেন কিন্তু দেখেছি জোরে শ্বাস নিচ্ছিলেন, অর্থাৎ শ্বাসকষ্ট মানেই করোনা না। এই সহজ কথাটা ডাক্তার জানে না? এখন এমন অনেক রোগীকে করোনা বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে।

আর আমাদের নেতারা- আজকে টিভিতে দেখছিলাম কয়েকশ' দরিদ্র মানুষ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে চাল পায়নি। এই লাইনে কয়েকজন মধ্যবিত্ত ছিল, ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাচ্ছিল...

এই মধ্যবিত্তদের জন্য বেশি কষ্ট হচ্ছে। আরেক খবরে দেখলাম বস্তা বদলে এই চার বাজারে বিক্রি করছে, কে?

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: বোন সালাম জানুন, খুব টেনশানে ছিলাম গত কিছুদিন আপনাকে না দেখে, ভাবছিলাম ভালো আছেন তো? যাক আলহামদুলিল্লাহ। বোন খুব কষ্টে আছি, সামনে যে কি দিন আসছে সে এক মাত্র ওপরওয়ালা জানে। দেখুন মনুষ্যত্ব মানবিকতা কোথায় নেমে গেছে ত্রাণ দিলেন এমপি, কেড়ে নিলেন যুবলীগ নেতা! অথবা ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৩০ বস্তা চাল আত্মসাৎ করল নারী ইউপি সদস্য । কাউকেই দোষ দেই না বোন এখন সময়টা অমানবিকতার।

খুব ভয় হয় নিজ সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের দিকে তাকালে, আল্লাহ যদি কিছু চায় তবে যেন আমাকেই নিয়ে যায় পরিবারের কিছু দেখার আগে। আপনার দোয়ায় আমাদের শরীক রাখুন। দোয়া রইল। এছাড়া আর কিইবা আছে এই পরিস্থিতিতে বোন।

২২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৯

মিরোরডডল বলেছেন: আমি বুঝতে পারছি হাউ ইমোশনাল ইউ আর রাইট নাউ । তারপরও বলবো কোন নেগেটিভ ভাবনা না । একটা খারাপ সময় যাচ্ছে এখন । পজিটিভ স্বপ্ন দেখতে হবে । একটা সময় সব ঠিক হয়ে যাবে । আর ওই যে ফ্যামিলির কথা বলছিলেন, তাঁদের জন্যই আপনাকে স্ট্রং থাকতে হবে । ভালো থাকবেন ।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: ভালো থাকুন, সাবধানে থাকুন বোন।

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
খুবই ভয়ানক সময়। পোস্ট ও মন্তব্য পড়ছিলাম সকালের গরম ভাত সাথে সবজি ও ডিমভাজা নিজের হাতে রান্না করে নাস্তা খাওয়ার সময় । ভাত খাব কি ? চোখে পানি চলে এলো। এই ভাতের জন্য মানুষ না খেয়ে মরছে। সে তুলনায় বাসায় একা থাকলেও ভালই আছি।

মানবিক হোক মানুষ আরও আর বিশ্ব হোক করনা ও মহামারি মুক্ত।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১১

শের শায়রী বলেছেন: অমানবিকতার সবে শুরু দেখুন মানুষ কতখানি পিচাশ হয়ে গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত যুবকের লাশ বহনে খাটিয়া দেয়নি গ্রামবাসী

২৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আফসোস ছাড়া আর কি করার আছে!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আসলেই সাহাদাত ভাই, আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.