নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাঃ ঐন্দ্রিল ভৌমিকের "মৃত্যুর রঙ কালো"

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৪৮



গল্প শুরুর আগেঃ

১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে প্লেগের এই মহামারীতে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় মারা গেছিলেন প্রায় কুড়ি কোটি মানুষ, যা ছিল এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের তিন ভাগের এক ভাগ। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা এতটাই কমে গেছিল যে পরবর্তী চারশ বছর লেগেছিল আগের জনসংখ্যা ফিরে পেতে।

যদিও মানুষ তখনও জানতনা রোগটা প্লেগ এবং এর জন্য দায়ী ইয়ারসেনিয়া পেস্টিস বলে একটি ব্যাকটেরিয়া। আর এই রোগ ছড়ানোতে বড় ভূমিকা আছে ইঁদুর ও ইঁদুরের গায়ে একরকম মাছির। তারা এই রোগের নাম দিয়েছিল কৃষ্ণ মৃত্যু বা ব্ল্যাক ডেথ। তাদের ধারণা ছিল রোগটি ছড়ায় মিয়াসমা বা বিষ বাষ্পের মাধ্যমে।

এতদিন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল ফেল কড়ি, মাখো তেল। এই প্লেগ মহামারীর সময়েই প্রথম সরকারি ডাক্তার দেখা গেল। তাঁরা বেতন পেতেন সরকারের থেকে। অথবা স্থানীয় লোকেরা চাঁদা তুলে তাঁদের বেতন দিত। বিচিত্র তাঁদের পোষাক, আরও বিচিত্র তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতি।

আমি গল্পওয়ালা। আর ইতিহাসের কচকচানির মধ্যে না গিয়ে বরঞ্চ এরকম একজন চিকিৎসকের দিনপঞ্জী থেকে কয়েকটা পাতা আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।

******★*********



প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ সবার হয়না। বিশেষ করে যার উপর প্রতিশোধ নিতে হবে সে যদি সামাজিক অবস্থানে অনেক উঁচুতে থাকে।

আমি পেয়েছিলাম। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ নিতে পারলাম না।


কাউন্টের দূর্গ থেকে আজ ডাক পেয়েছিলাম। কাউন্ট উইলফ্রেড। চিকিৎসকের পোষাক গায়ে চাপালাম। বড় অদ্ভুত এই পোষাক। মাথায় হ্যাট। গায়ে চামড়ার জ্যাকেট। চোখে রঙিন কাঁচের চশমা। সবচেয়ে অদ্ভুত হ’ল পাখির ঠোঁটের মত দেখতে মুখোশ। ঠোঁটের ভেতরে আছে নানা ঔষধি গাছগাছড়া, ফুল ও গন্ধতেল। নাকের ভেতরে থাকা এ উপাদানগুলো মিয়াসমা বা বিষবাষ্পকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেবে।



রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখছিলাম, অসংখ্য মৃতদেহ চারদিকে ছড়িয়ে আছে। রোজই হাজার হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা পড়ছে। তবে সবাই যে মৃত, তা নয়। অনেকগুলি দেহই হামাগুড়ি দিয়ে এগোনোর চেষ্টা করছে। তাদের আঙুলের ডগা কালো। নাকের উঁচু অংশ কালো। কুঁচকিতে, বগলে বড় বড় আব গজিয়ে উঠেছে। আব ফেটে গিয়ে পুঁজ, রক্ত গড়াচ্ছে। আস্তে আস্তে সমস্ত শরীরটাই কালো হয়ে যাবে।

অনেকেই আমাকে দেখে কাতর স্বরে ডাকছে। এদের কাউকে বাঁচানোর ক্ষমতা আমার নেই। আমি আমার সীমাবদ্ধতা জানি। হাতুড়ে চিকিৎসক ছিলাম। এই মহামারি শুরু হতেই ভালো চিকিৎসকেরা মারা পড়েছেন অথবা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমাদের মত অশিক্ষিত চিকিৎসকেরা এখন মানুষের বল ভরসা। এবং এর জন্য আমরা সরকার থেকে রীতিমতো মাইনে পাচ্ছি।

তবে এই মুহূর্তে আমি ওসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আমি শুধু প্রতিশোধ নিতে চাই। দুবছর আগে এমনই এক বসন্তের দিনে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী এলাবেস্টরকে কাউন্টের লোকজন জোর করে তুলে নিয়ে গেছিল ঐ দূর্গের ভেতরে। আমাকে আধমরা করে ফেলে দিয়েছিল পাহাড়ের খাতে। এলাবেস্টর আর ফেরত আসেনি। দূর্গের এক কর্মচারীকে অনেক অর্থ ঘুষ দিয়ে খবর পেয়েছিলাম অকথ্য অত্যাচারের পরে সেদিন রাত্রেই এলাবেস্টরকে হত্যা করা হয়েছে।

তারপর থেকে আমি বেঁচে আছি একটাই উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রতিশোধ নিতে হবে। আজ তাঁর সূবর্ণ সুযোগ।

দুর্গের মূল ফটক দিয়ে যখন ঢুকছি, তখন আমার রক্ত নাচছে। কিন্তু স্বয়ং কাউণ্টের জন্যই যে আমাকে ডেকে আনা হয়েছে বুঝিনি।



একি চেহারা হয়েছে নারী লোলুপ কাউন্টের। কনুই অব্দি দুই হাত কালো। সারা গায়ে বড় বড় আব। যন্ত্রণায় ছটফট করছে। আমাকে দেখে বলল, “ডাক্তার আমাকে সুস্থ্য করে দাও। যত টাকা লাগে দেব।”

আমার কাছে বিষ আছে। খুব সহজেই বিষ প্রয়োগে কাউন্টকে হত্যা করা যায়। কিন্তু সেটা কাউণ্টের পক্ষে আশীর্বাদ হয়ে যাবে। ঈশ্বরই ওকে শাস্তি দেবেন। তিল তিল করে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু। আমি নিজের চোখে সেই মৃত্যু প্রত্যক্ষ করতে পারব।

গম্ভীর হয়ে বললাম, “আপনি এক মনে ঈশ্বরকে ডাকুন। জীবনে যদি সৎ কার্য কিছু করে থাকেন, তিনি নিশ্চয়ই আপনাকে রক্ষা করবেন।”

***
১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৩৫০
+++++++++++++++


এই দুদিনে কাউন্টের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আমি আব গুলো কেটে জোঁক দিয়ে বদ রক্ত চুষিয়েছি। কিন্তু তাতে উন্নতি বিশেষ হয়নি। আমি জানি উন্নতি হবেও না। একমাত্র মৃত্যুই এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

চিকিৎসকদের হাতে এই রোগের কোনও ওষুধ নেই। তার জন্যই যে যার মত পারছেন, চিকিৎসা করছেন।



ধারালো ছুরি দিয়ে রোগীর যেই আব গুলিতে সবচেয়ে বেশি ব্যথা হচ্ছে, তার উপরের চামড়া কেটে ফেলা হয়। এরপর সেখানে জোঁক লাগিয়ে দেয়া হয় যেন সেগুলো বিষাক্ত রক্ত চুষে নিতে পারে। রক্ত পান করতে করতে জোঁকগুলো যখন খসে পড়লে ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়।



অ্যাঞ্জেলিকা (সুগন্ধি লতাবিশেষ), জুনিপার, ডুমুর ফল, জাফরান এবং ভিনেগার মিশিয়ে ওষুধ বানানো হয়। এটা রোগীকে গরম গরম খাওয়ানো হয়।

অনেকে রোগীকে অগ্নিকুণ্ডের কাছাকাছি নিয়ে বসিয়ে রাখেন। এভাবে প্রায় ঘণ্টা তিনেক রোগীকে রেখে দেয়া হয়, যাতে সে ঘামতে থাকে। তাঁদের ধারণা ঘামের সাথে রোগও শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। এরপর রোগীর পুরো শরীর মুছে তাকে আবার বিছানায় শুইয়ে দেয়া হয়।

অনেকেই ঘরে রোজমেরি, সেজ ও ল্যাভেন্ডার একত্রে ঝুলিয়ে রাখেন। এগুলোর সুগন্ধ মিয়াসমা বা বিষাক্ত বাতাসকে তাড়িয়ে দেয়।



এছাড়াও মানুষেরা নিজের মত চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। কেউ আক্রান্ত স্থানে মুরগি ঘষছে যাতে রোগ নিরীহ প্রাণীর দেহে স্থানান্তরিত হয়ে যায়। মুরগিতে কাজ না হলে পায়রা কেটে টুকরা টুকরা করে এর নাড়িভুঁড়ি সারা শরীরে মাখছে।



কেউ কৃষ্ণ মৃত্যুকে ঈশ্বরের অভিশাপ মনে করে নিজেকে ক্রমাগত চাবুক মারছে।

অনেকে ফোস্কা গলিয়ে সেখানে মানব মল, গাছের রজন ও মূল পিষে লাগিয়ে রাখছে। ধনী ব্যক্তিরা পান্না চূর্ণ করে সেটা তরকারি সিদ্ধ জলে মিশিয়ে এক ঢোকে গিলে নিচ্ছে।

মলমূত্রের গন্ধযুক্ত বাতাস মিয়াসমা বা দুষিত বাতাসকে তাড়িয়ে দেবে, এ আশায় মানুষজন পয়ঃপ্রণালীতে গিয়ে বসে থাকছে। এমনকি মানবমূত্র দিয়ে স্নান করছে।



কিন্তু কোনও চিকিৎসার ফলাফল সন্তোষজনক নয়। পোকা মাকড়ের মত মানুষ মরছে। দেশের আইন শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়েছে। চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, খুনোখুনিও যেন মহামারী হয়ে উঠেছে। কোনও এক যাজক বলেছেন, এই রোগের জন্য দায়ী ইহুদীরা। ব্যাস, লোকজন সংখ্যালঘু ইহুদী নিধনে মেতে উঠেছে। তাদের পিটিয়ে মারা হচ্ছে অথবা একটা ঘরের মধ্যে ইহুদীদের বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ তাই দেখে আনন্দে হাততালি দিচ্ছে।

আমি আরেকটি খাতায় সে সব বিস্তারিত লিখে রেখে যাচ্ছি। তাছাড়া চার্চ আমাদের অসুখে মৃত ব্যক্তির দেহ কাটা ছেড়া করার অনুমতি দিয়েছে। তার ফলাফলও আমি লিখে যাচ্ছি সেই খাতায়। যদি ভবিষ্যতের সত্যিকারের চিকিৎসকদের কোনও কাজে লাগে।



একটা অদ্ভুত জিনিস আমি লক্ষ করেছি। কৃষ্ণ মৃত্যু কোনও এলাকায় ছড়ানোর আগে সেখানে মেঠো ইঁদুরের মৃত্যু খুব বেড়ে যায়। বয়স্ক মানুষেরা আমার এই পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করেছেন। আমি ইঁদুরের দেহ কাটা ছেঁড়া করে আবের সন্ধান পেয়েছি। তাহলে কি মিয়াসমা নয়, ইঁদুর থেকেই এই রোগ ছড়ায়। ইহুদীদের না মেরে ইঁদুর মারলে কি এই মহামারী ঠেকানো যেতে পারে?

****
১৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৩৫০
++++++++++++++++

আজ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। কাউন্টকে দেখে চলে আসছি, একজন বৃদ্ধা দাসী এসে বলল, কাউন্টের স্ত্রী আমার সাথে দেখা করতে চান।

বৃদ্ধার সাথে দূর্গের অন্দর মহলে ঢুকলাম। আগে এটা ভাবাও অসম্ভব ছিল। কিন্তু রোগের কল্যাণে এখন বাঁধা নিষেধ শিথিল হয়েছে। আর স্বয়ং কাউন্টই মৃত্যু শয্যায়।

কাউন্টের স্ত্রীকে দেখে চমকে গেলাম। এরকম রূপসী মহিলা আমি আগে দেখিনি। যে সামনে থাকলে, চোখের পাতাও ফেলা কষ্টকর। ভাগ্যিস আমি এই বিচ্ছিরি মুখোসটা পরে আছি।

উনি বৃদ্ধাকে হাতের ইসারায় চলে যেতে বললেন। তারপর জিজ্ঞাসা করলেন, “আমার স্বামীকে কেমন দেখলেন?”



বললাম, “ভালো নয়। অসুখ অনেক ছড়িয়ে গেছে।”

মহিলার মুখের ভাব বিশেষ পরিবর্তন হল না। তিনি বললেন, “চিকিৎসকরা অন্যের কথা গোপন রাখেন। আমার জন্য গোপনে একটা কাজ করে দিতে পারবেন?”

আমি অন্যমনস্ক ছিলাম। ভাবছিলাম, এমন রূপসী স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও কি করে একজন অন্য নারীর প্রতি আসক্ত হয়? তার উপর অত্যাচার চালিয়ে তাকে হত্যা করতে পারে?

মহিলা বললেন, “হেই ডক্টর, আপনি কি ভাবছেন? স্বামীকে গোপন করে কোন কিছু করা অন্যায়, বিশেষ করে স্বামী যখন মৃত্যু শয্যায়? তাহলে জেনে রাখুন আমার পতিদেবতা একজন জানোয়ার।”

আমি বললাম, “সেটা আমি আগে থেকেই জানি।”

মহিলাদের অসীম ক্ষমতা। বিশেষত তিনি যদি রূপসী হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলা আমার স্ত্রীর খবর জেনে ফেললেন। বললেন, “আপনার জন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু বিশ্বাস করুন আমার কিছুই করার ছিল না। এই ঘটনার পর আপনি আমায় সাহায্য করবেন কিনা জানিনা। আমি এখান থেকে পালাতে চাই। আমার জন্য নয়। এই শিশুটির জন্য।”

এতক্ষণে আমি পালঙ্কে নিদ্রামগ্ন শিশুটিকে দেখলাম।

মহিলা বলল, “যত অর্থ লাগে দেব। আমাকে একটা ঘোড়ার গাড়ি যোগাড় করে দিন। ব্রিস্টলের সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলে আমার অনেক আত্মীয় স্বজন থাকে। আমাকে ওখানে যেতেই হবে। না হলে এই দূর্গে বদমাইশ লোকের অভাব নেই। স্বামী মারা গেলেই তাঁরা সবাই মিলে আমাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে।”

আমি বললাম, “আপ্রাণ চেষ্টা করব।"

***

১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৩৫০
+++++++++++++++



সবাই পালাচ্ছে। বাড়িতে অসুস্থদের ফেলে রেখে যে যার জীবন বাঁচানোর জন্য পালাচ্ছে। কিন্তু কোথায় পালাবে। সমগ্র ইউরোপ মহামারির কবলে। এমন কি খবর পাচ্ছি আফ্রিকার উত্তরাংশে, চিন ও সুদূর ভারতবর্ষেও নাকি এই মহামারিতে জনপদের পর জনপদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বরঞ্চ ঐ পালাতে চাওয়া লোকগুলি নতুন নতুন জনপদে মহামারি ছড়িয়ে দিচ্ছে।

কাউন্টের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। জ্বরে বেঘোর হয়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে প্রলাপ বকছে। আমি চাইছি ও আরও কটা দিন বেঁচে থাকুক। এই নরক যন্ত্রণা ভোগ করে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুক।



একটা এক্কাগাড়ি ঠিক করেছি। চালক বিশ্বস্ত। কিন্তু জানিনা শেষ অব্দি মরিয়ম তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে কিনা। সারাদেশেই আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। প্রায় অর্ধেক লোক মহামারিতে মারা গেছে। বাকি অর্ধেক লোক যেন আতঙ্কে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। চুরি, ডাকাতি, খুনো খুনি, ধর্ষণ এসব খুব সাধারণ বিষয়। শাস্তি দেওয়ারও কেউ নেই। তাহলে কি মানব সভ্যতার শেষদিন এসে গেল। একি তাহলে প্রকৃতির প্রতিশোধ।

*****
১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৩৫০
++++++++++++++++

রাত বারোটার সময় নদীর ধারে মরিয়ম হাজির হলেন। ওনার মুখ রেশমী রুমালে ঢাকা। কোলে ঘুমন্ত শিশু। আমি মশাল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। গায়ে আগে বলে রাখা কথামতো সবুজ জামা।

উনি আগে আমাকে প্রতিবারই দেখেছেন চিকিৎসকের উদ্ভট পোষাকে। মশালের আলোয় প্রথমবার আমার মুখ দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন। বললেন, “আপনারতো বয়স খুবই কম। ডাক্তারের যে এত অল্পবয়স্ক হতে পারে জানতাম না।”

আমি বললাম, “তাড়াতাড়ি করুন। জায়গাটা ভালো নয়। একদল ইহুদী তাড়া খেয়ে নদীর ধারের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের এখানে পেলে ওরাও ছেড়ে কথা বলবে না।”

আমি মরিয়মের হাত ধরলাম। যেন সদ্য ফোঁটা চাঁপা ফুলের পাপড়ি। অনেকদিন বাদে কোনও নারীর হাত ধরে হৃদপিণ্ডের গতি দ্বিগুণ হয়ে গেল। মশাল নদীর জলে ছুঁড়ে ফেললাম।

মরিয়ম এক্কা গাড়িতে উঠলেন। এখনও আমার হাত ধরে রেখেছেন। বললাম, “এবার রওনা দিন। হাতটা ছাড়ুন।”



“যদি না ছাড়ি?”

“কি পাগলামো হচ্ছে!”

“পাগলামো নয়। আপনিও চলুন আমার সাথে। আমি একা মেয়ে। কোথায় ভেসে যাব ঠিক নেই। আপনি সেই ঝড় আটকাতে পারবেন। কথা দিচ্ছি আপনার স্ত্রীর সাথে যে অন্যায় হয়েছিল, ভালোবাসা দিয়ে আমি তা ভুলিয়ে দেব।”

শেষ কথায় আমার ঘোর কেটে গেল। এত সহজে সেই অভাগিনীকে ভুলে যাব আমি। একজন স্বর্গের অপ্সরার জন্য আমি ভুলে যাব সেই সাধারণ দেখতে মাটির মেয়েটিকে। বললাম, “আপনি মারাত্মক লোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু তা সম্ভব নয়।”

“কেন?” মরিয়ম আরও জোরে আকড়ে ধরলেন আমার হাত।

“কারণ...” করুন হেসে বললাম আমি, “কারণ... আজ সকালেই আমার কুঁচকিতে কালো মত বেশ বড় একটা আব হয়েছে।”



সাথে সাথে মহিলা আমার হাত ছেড়ে দিলেন। চিৎকার করে চালককে বললেন, “গাড়ি ছোটাও।”

মনে মনে হাসলাম। তুমি ভালোবাসতে জানো না রূপসী। ভালোবাসা অত সহজ নয়। সামান্য মিথ্যে কথাতেই তুমি অমন চমকে উঠলে?

আমার এখন অনেক কাজ। বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকলাম। আবার চিকিৎসকের ঐ উদ্ভট পোষাক গায়ে চাপাতে হবে। তারপর বাড়ি বাড়ি যাব। বলব রোগাক্রান্ত মানুষটিকে আলাদা ঘরে রাখতে। ডাক্তার ছাড়া তার ঘরে যেন কেউ না ঢোকে। আরও বলব, ইহুদীদের মেরে কোনও লাভ নেই। বরঞ্চ তোমরা সবাই মিলে ইঁদুর মারো। মেরে মেরে মেঠো ইঁদুরের বংশ শেষ করে দাও। তাহলে হয়ত ঠেকানো যাবে এই মহামারীকে।

আমি চিকিৎসক। সকলে পালিয়ে যাক, আমাকে শেষ অবধি থাকতে হবে রোগীদের পাশে।

ভোর হয়ে এসেছে। হাঁটতে হাঁটতে শুনতে পেলাম কচি কণ্ঠের গান
“Ring-a-ring-a-roses
A pocket full of posies,
Ashes! Ashes!
We all fall down…”

গোলাপি দাগ চাকা চাকা (প্লেগের প্রথম লক্ষণ)
পকেট ভর্তি সুগন্ধি ফুল, (মিয়াসমার প্রভাব কাটাতে)
ছাই... ছাই...
আমাদের কারো নিস্তার নাই।


(লেখাটি ভারতীয় লেখক ডাঃ ঐন্দ্রিল ভৌমিকের লেখা, এত অসাধারন গল্প মহামারীর ওপর আমি পড়ি নি। সবার সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে না পেরে দিয়ে দিলাম)

ছবিঃ অন্তর্জাল

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: পড়বো ...। পড়ে মন্তব্য করবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২০

শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন এক গল্প প্রিয় কবি, না পড়লে মিস করবেন। আধুনিক লেখকদের মাঝে আমি খুব কম গল্পই পড়ছি এই পট ভুমিকায়।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৬

ইসিয়াক বলেছেন: আপনি লিখবেন আর আমি পড়বো না তা কি করে হয়। অবশ্যই পড়বো ভাইজান।
কিন্তু আজ থেকে আবার কাজে বের হবো। ঘরে থাকতে ভালো লাগছে না। আর বাচ্চাদের মায়েরাও অনবরত কল দিচ্ছে। আমাকে তারা নাকি খুব মিস করছে। এখন পড়াতে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যা হোক ভালো থাকবেন।
শুভকামনা

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩০

শের শায়রী বলেছেন: টেক ইয়োর টাইম ব্রাদার। আর এটা আমার লেখা না, এক ভারতীয় লেখকের লেখা, কিন্তু লেখার অভিনবত্বে আমি মুগ্ধ তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম।

পড়ে কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু।।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩৩

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অসাধারণ । আগে কখনো পড়া হয়নি।

অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: আমিও পড়ে বেশ কিছুক্ষন চুপ করে ছিলাম বোন। কি অসাধারন প্লট বর্তমান পটভুমিতে। এক কথায় এই টাইপের খুব অল্প কয়েকটা গল্প আমি পড়ছি, নিঃসন্দেহে এটা শ্রেষ্ঠ।

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম, অতুলনীয়

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক ভারতীয়? পাক-ভারতে গর্দভের অভাব ছিলো না কোন কালে!

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১৮

শের শায়রী বলেছেন: এটা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী। এখন আপনার আশে পাশে যদি কোন বাংলাদেশী থাকে তবে তার দিকে দেখুন আর না থাকলে আয়নায় দেখুন, কি দেখলেন? জ্বি ঠিকই দেখছেন, কিছু বাংলাদেশী আবার বুদ্ধির হেড অফিস :P

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যিনি জীবনের জয়গান গাইতে জানেন না, তিনি কোন সাহিত্যক (লেখক, কবি) নন; যারা পঁচা মাংসের কাহিনী খুঁজে বেড়ায়, সেগুলো হলো শকুন, সাহিত্যিক নন।

আমাদের দুখু মিয়া জীবনের জয়গান গেয়ে গেছেন; হাজার দু:খের মাঝেও মানুষকে জীবনের স্বপ্নে বিভোর করেছেন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনার কাছে মাফও চাই, দোয়াও চাই আপনি আর যাই লাগুক আপনার আমেরিকার কসম আপনি সাহিত্য নিয়া কোন আলোচনায় যাইয়েন না, আপনি নজরুলের বিখ্যাত কবিতাকে কন আমাগো নূরু ভাইর কবিতা, এই অইলো আপনার সাহিত্য জ্ঞান, আল্লাহ জানে কার কাছ থিক্কা দুখু মিয়া নামটা শুইনা মাইরা দিলেন চামে, জিগাইলে কিনা কইয়া বন বিখ্যাত লেখক মোকলেসের অপর নাম দুখু মিয়া।

এই বাংলা সাহিত্য মাহিত্য আবার আমেরিকার পেপারে নিউজ করে না, আবার আপনি নিজেই স্বীকার করছেন জীবনে কোন বই পড়েন নাই....... এখন যদি আপনার কাছ থিক্কা আমার সাহিত্যের পাঠ নিতে হয়..... হের থিক্কা এক গ্লাস করোনা দেন.......

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল কাহিনীটা । :||

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামা।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

যেমন মুগ্ধতা গল্প পাঠে তারচে বেশি মুগ্ধতা প্রতিমন্তব্যে ;)
ম্যা’ ভাই আপনিই ফিট

ডাক্তার সত্যি ভালবাসতো তার প্রেমিকাকে। মুগ্ধ হবার মতো। এমন রাজন্যর প্রেম-কামকে অবহেলা চাট্টিখানি কথা নয়।
হোক গল্পে তবু্ও এমন কিছু চরিত্র থাকা বড্ড প্রয়োজন।

+++++

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

শের শায়রী বলেছেন: কি করুম কন ম্যা'ভাই, মুরুব্বী যেভাবে সবাইকে উনার স্বগোত্রীয় ভাবে তাতে জবাব নিয়ে পারি না।

গল্পটা আমার কাছে অসাধারন লাগছে। সিম্পলি অসাধারন।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

ধন্যবাদ এ করোনা মহামারীতে হোমকোয়ারেন্টাইনে চমৎকার কিছু উপভোগ্য পাঠ উপহার দেয়ার জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " মুরুব্বী ... আপনি নজরুলের বিখ্যাত কবিতাকে কন আমাগো নূরু ভাইর কবিতা, এই অইলো আপনার সাহিত্য জ্ঞান, ..."

-কিছু ব্লগারের বেলায়, আমার মন্তব্য একটু অন্য রকম, উনারা জানেন, আমি কি বলেছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী সবাইকে কি আপনি আপনার পাল্লায় মাপেন? =p~ আপনি লিখছেন " -কিছু ব্লগারের বেলায়, আমার মন্তব্য একটু অন্য রকম, উনারা জানেন, আমি কি বলেছি। " কোন ব্লগারের ব্যাপারে আপনার কি রকম মন্তব্য তা সবার মুখস্থ কারন আপনার ভাঙ্গা টেপ কার প্রতি কেমন সবাই জানে :P আপনি ভাবেন যেন আপনি সবাইকে জাজ করছেন, কিন্তু আপনাকে যে সবাই খোলা বইর মত পড়তে পারে তা কি বুজেন ;)

কার প্রতি কি রকম মন্তব্য আপনি করেন এই এক্সপ্লানেশান দিয়া আপনি যদি নজরুলের কবিতাকে নূরু ভাইর কবিতা বলার মত ... (কি বলব বুজতাছি না :-P ) সাহিত্য জ্ঞান প্রকাশ কে জায়েজ করার চেষ্টা করেন, আর আমরা সেটা বিশ্বাস করব তবে এই ব্লগের সবাই লিলিপুটিয়ান (আপনার ভাষায় B-))

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি দুখু মিয়াকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: উনাকে নিয়ে অসংখ্য বই পত্র লেখা আছে, একটু কষ্ট করলেই ওই আমেরিকায়ও সহজেই পাবেন, সেগুলো পড়ে নিয়েন আমার লেখার থেকে সেগুলো অনেক ভালো হবে মুরুব্বী, খালি আমেরিকান পেপার আর সামু ব্লগ নিয়ে পড়ে থাকলে কি চলবে :-B

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ লেখা।

প্রিয়তে নিলাম।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।
কি খবর আপনার? কেমন আছেন? সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই। মাঝে কিছুদিন আপনাকে দেখিনি, কিছুটা চিন্তায় ই ছিলাম কি অবস্থায় আছেন? আছি মোটামুটি হাল্কা সর্দি নিয়ে।

সাবাধানে থাকবেন ভাই। আল্লাহ হেফাযত করুক।

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই খারাপ সময় একটা ভালো খবর দেই।
পদ্মা সেতুর সব কটি খুঁটি দাঁড়িয়ে গেছে। আর মাত্র ১৪ টা স্পেন উঠানো বাকি। তারপর রাস্তা আর রেলের কাজ হবে সেতুর উপরে। বড়ো কাজ শেষ। স্বপ্নের সেতু বাস্তব রূপ নেয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এই মুহুর্তে এমন এক খবর দিলেন আমার আনন্দে চোখে পানি চলে আসল, এই মুহুর্তে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে "মরনরে তুহু মম সম"। কি বলব ভাই ভাষাহীন, বাঁকরুদ্ধ। আসেন ভাই বুকে আসেন।

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: গল্পটা সত্যি অসাধারণ লাগলো।
শুভকামনা জানবেন প্রিয় ব্লগার।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া প্রিয় কবি। সাবধানে থাকুন। ভালো থাকুন।

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার গল্প।
অন্যের গল্প শেয়ার করছেন ভালো কথা। এইবার নিজের লেখা একটা গল্প দেন। এই করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রচুর গল্প আর সিনেমা হবে.....অন্যরা শুরু করার আগে আপনে শুরু করেন। ফাকা মাঠে গোল দেওনের মজাই অন্যরকম! :)

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: মাথায় একটা প্লট ঘুরতাছে, কোন সময় যেন নামাইয়া দেই, অল্প কিছু জায়গা জোরা দিতে হবে, প্লট কিন্তু রেডি।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে প্রিয় শায়রী ভাই, মহামারীর উপর লেখা সুন্দর গল্প।‌
ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে একটা বার্তা রইলো।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এখন আপনি ও আমাদের বন্দিত্বই একমাত্র কাম্য। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪১

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, নানাবিধ কারনে আমি অনেক আগে থেকেই বাসায় এক রকম বন্দি। জানিনা সেটা কতদিন চলবে, তবে কোন অভিযোগ নেই। :)

অশেষ কৃতজ্ঞতা। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকুন এই দোয়া রইল।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছুর রঙ ও গন্ধ আছে। সত্যি আছে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪১

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্যই আছে রাজীব ভাই।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪১

মা.হাসান বলেছেন: ডাঃ ঐন্দ্রিল ভৌমিক কিন্তু অরিজিনালি বাংলাদেশের লোক। ওনার বাবার বাড়ি সাতক্ষীরা (বাবাও ডাক্তার ছিলেন, পশ্চিম বঙ্গে স্থায়ী)। ডাঃ সাহেব ঐ অর্থে বিখ্যাত এখনো হন নি। তবে অসাধারণ লেখেন, মানবতার উপরে অনেক লিখেছেন। এই লেখাটা পড়া ছিলো না। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

গাজী সাহেব বিনয়ী মানুষ । ওনার পড়ার বিষয়টা ঢোল পিটিয়ে বলেন না। ওনার কমেন্ট পড়ে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আইনস্টাইন-রবীন্দ্রনাথ-কার্লমার্ক্স-আম্বেদকার সকলের মিলিত পুনর্জন্ম হয়েছে। ওনার জ্ঞানের গভীরতা মাপার যোগ্যতা সম্পন্ন লোক ব্লগে নাই। আপনাকে সেই অপচেষ্টা না করার অনুরোধ করবো।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: আমি আবার ডাঃ সাহেবের এই গল্প ছাড়া অন্য কোন লেখা পড়ি নি। ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যগুলো দেয়ায়।

মুরুব্বী, আসলেই জ্ঞানের সাগর আমি মাঝে মাঝে সেই সাগরের তীর থেকে দু একটা নুড়ি নেবার চেষ্টা করি সামান্য খোচাখুচি করে, তবে উনি কিছু মনে করেন না কারন মানুষ হিসাবে উনি বিশাল মানের যে কিনা নূরু ভাইকে নজরুল বানিয়ে দেয়, আবার কত নিদারুন যুক্তি দিয়ে বুজাতে চায় উনার বুদ্ধির হেড অফিস।

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

শাহাদাত নোমান বলেছেন: একটা মহামারী কেমন হতে পারে এরকম একটা দৃশ্য দেখতে পেলাম। আসন্ন মহামারী পৃথিবীকে কতটুকু বদলায় তা দেখার জন্যই বেঁচে থাকার চেষ্টা ছাড়া এখনও আমাদের কাছে কিছু নেই।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: মহামারী মানুষ কে মনুষ্যত্ব ভুলিয়ে দেয় ভাই। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

ফয়সাল রকি বলেছেন: তুমি ভালবাসেত জানো না রূপসী, ভালোবাসা অত সহজ নয়! লাইনটা দুর্দান্ত!
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩

সোহানী বলেছেন: গতরাতেই আপনার পোস্ট করার পরপরই পড়েছিলাম। কিন্তু অফলাইনে বলে কমেন্টস করা হয়নি। যাহোক, এবারের পর এমন আরো কিছু গল্প পাবো বিখ্যাত সব লেখকদের কাছ থেকে।

বরাবরের মতোই অসাধারন।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

শের শায়রী বলেছেন: আমারো বিশ্বাস আগামী সময়ের দেশি/ বিদেশি সাহিত্যে এই মহামারী একটা বড় অংশ জুড়ে থাকবে বোন।

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অসাধারন, চমতকার লেখনী আপনার । যতই পড়ি ততই মুগদ্ধতা উপভোগ করি । শুভকামনা ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা। তবে এটা আমার লেখা না, এক ভারতীয় ডাঃ এর লেখা। আমি শুধু শেয়ার করছি।

২৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:১৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: এক কথায় মার্ভেলাস।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ভ্রাতা।

২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনার লেখার সুবাদে মহামারীর সময়কার চমৎকার একটি গল্প পড়লাম। ডাক্তারের স্ত্রী এলাবেস্টরকে ভালবেসে প্রতিশোধ পরায়ন ও মরিয়মকে পলায়নের সাহায্য করে এক প্রকৃত মানবের চরিত্র পড়লাম ।
মহামারীর সময়ের এ গল্পটি জানা ছিল না, পড়ে ভালো লাগলো ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শের শায়রী বলেছেন: বোন পুরা গল্পের প্লট টাই আমার কাছে অসাধারন লাগছে। মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: Click This Link target='_blank' >গল্পঃ স্বাধীনতা আমার অহংকার!
প্রিয় ভাই, পড়ার আমন্ত্রণ দিয়ে গেলাম। এখন এটা নিয়েই ব্যস্ত আছি। ২য় পর্ব হচ্ছে। ১ম পর্ব রিরাইট করছি।
ধন্যবাদ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, লিঙ্ক কাজ করছে না।

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: গল্পঃ স্বাধীনতা আমার অহংকার!
https://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30266617

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ভাই, শিঘ্রীই পড়ে মন্তব্য দেব।

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

আনমোনা বলেছেন: মানুষতো এখন জানে কিভাবে রোগ ছড়ায়। তাও ঠেকাতে পারছেনা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

শের শায়রী বলেছেন: মানুষ যে কত অসহায় আর একবার প্রমান হল।

২৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৪

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: প্রচুর তথ্য। আনন্দ পেলাম।।। এটাই ব্লগে আসার সার্থকতা।। ধন্যবাদ জনাব।।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৭

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ শুকরিয়া জনাব।

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

Rajibrpsoft বলেছেন: বাহ ডা: সাহেব চমৎকার লিখেছেন .....আর আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের সাথে গল্পটি শেয়ার করার জন্ন্য

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:১৩

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ভাই পাঠে এবং মন্তব্যে।

৩১| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: ডাক্তার সাহেব চমৎকার লিখেছেন।আপনাকেও ধন্যবাদ এখানে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।না হলে হয়তো পড়াই হতো না।প্রিয়তে নিলাম।

২৫ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০০

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা গল্পটা পড়ে আমিও মুগ্ধ হয়েছিলাম। প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩২| ০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: অসাধারণ এক গল্প পাঠের সুযোগ করে দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ শের শায়রী। মহামারী নিয়ে এমন চমৎকার গল্প বাঙলা সাহিত্য কেন, বিশ্ব সাহিত্যে আছে কিনা কে জানে!!

অনেক আগেই পড়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি। এতদিন পর মন্তব্য করতে বসে মনে হচ্ছে এই গল্পের চরিত্ররা আমাদের খুব পরিচিত!

০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনি যে এত দিন পর মনে করে মন্তব্য দিয়েছেন এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানুন। আসলেই গল্পটা পড়ার পর আমাকে নাড়া দিয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.