নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু ভীতিকে জয় করুন, এক অপার আনন্দের এক সন্ধান পাবেন

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৯



মৃত্যুকে নিয়ে কেন মানুষ এত ভয় পায়? এই ব্যাপারটা আমার মাথায় কখনো বুঝে আসে না। তবে যাদের অঢেল টাকা পয়সা আছে জীবনের বর্তমান সুখকে উপভোগ করতে পারছে তারাই হয়ত মৃত্যুকে ভয় পায়। অথচ এক বারো কি ভাবছেন জীবনের সুন্দর সমাপ্তি কিন্তু মৃত্যুতেই নির্বাপিত। ধরুন কিছু কাল আগে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন মারা গেল, খুব কিন্তু বেশী বয়সে না, জীবন কে অত্যাধিক ভালোবাসত, সেই ভালোবাসা থেকে জীবন প্রলম্বিত করার ইচ্ছায় অক্সিজেন টেন্ট বানিয়ে তার মাঝে নিয়ম করে ঘুমাত, যেন জীবনের কোষগুলো টেন্টের মাঝে থেকে অক্সিজেন গ্রহন করে সজীব থাকে আর মাইকেল যেন অন্ততঃ দেড়শ বছর বেঁচে থাকতে পারে। নিয়তির পরিনতি! কি হয়েছিল, কত বছর বেঁচে ছিল সবাই জানেন।

মৃত্যু তো খারাপ কিছু না, অন্তত আমার কাছে। আপনার আমার আগে কয়েক বিলিয়ন মানুষ এই পৃথিবীর বুকে হেটে গেছে, হেসে খেলে সন্তান সন্তানি নিয়ে বেঁচে গেছে আবার নিয়ম মাফিক মাটির নীচে অথবা আগুনে পুড়ে বিলীন হয়ে গেছে।



মৃত্যুর মত অবিসংবিদিত সত্য এই ধরাধামে আর কিছুই নাই, অথচ প্রতি মুহুর্তে আমরা এটাকে অস্বীকার করে জীবনকে টেনে লম্বা করার ইচ্ছা রাখি। কিন্তু একটা উদাহরন দেখান তো যেখানে কেউ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বেঁচে ছিল! না কোন উদাহরন আপনার সামনে নাই।

মৃত্যুকে কেন আপনি জীবনের অংশ হিসাবে ভাবতে পারছেন না? কেন একে আলাদা একটা ভয়াবহ সত্ত্বা হিসাবে দেখছেন? যে মানুষটা এই মুহুর্তে মারা যাচ্ছে বা গেল, সেও কিন্তু আপনার মত জীবনকে ভালোবেসে একে চেয়েছিল আরো অন্তত এক মুহুর্ত বেশী বেঁচে থাকতে, কিন্তু সে কি পেরেছে? না পারে নি। তবে এনিয়ে আপনি আমি কেন এত ভাবব? অবশ্যাম্ভাবী এই ব্যাপারটাকে আতংক না জীবনের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবেই মেনে নিই না কেন?

হ্যা মৃত্যুর প্রকারভেদ আছে, কেউ খুব স্বাভাবিক ভাবে কোন এক সময় হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হয়ে অনন্তলোকে যাত্রা করে, আবার কেউ কেউ অনেক দিন রোগে ভুগে কষ্ট পেয়ে ওই একই লোকে যায়, আবার কেউ কেউ কোন দুর্ঘটনায় অদেখা ভুবনে যাত্রা করে, হ্যা আমার যদি কোন চাওয়া থেকেই থাকে তবে সেটা হোক যেন খুব বেশী কষ্ট না পেয়ে বা আপনজনদের কষ্টে না ফেলে পরপারে চলে যাওয়া।



কেন আপনি মৃত্যুটাকে একটা অদেখা কোন জায়গায় ভ্রমনের সুযোগ হিসাবে দেখছেন না? না, সেই অদেখা ভুবন দেখতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেবার মানে নেই, যত দিন “জীবন” নামক কিছু একটা বয়ে বেড়াতে হবে ততদিন সেটাকে বয়ে এই দুনিয়ায় ভালোভাবে বেঁচে থেকে মৃত্যুকে ভয় না পাওয়ার মাঝেই আমার কাছে স্বার্থকতা।

আপনি কোথা থেকে এসেছেন? একটা ডিম্বানু অথবা শুক্রানুর মিলনের মাঝে দিয়ে, তার আগে কোথায় ছিলেন? কিভাবে ছিলেন? “জীবন” নামক বস্তুটা কি অতি ক্ষুদ্র কোন শুক্রানু ডিম্বানুর মিলনের মাঝে নিহিত? কি অদ্ভুত! জীবন যদি এত অদ্ভুত হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে আমি তো দেখি মৃত্যুটা অতি সাধারন। কোন উত্তেজনা নেই, ধুকপুক করে চলতে থাকা হৃদযন্ত্র নামক একটা শারীরিক অঙ্গ থেমে যাওয়ার নামই মৃত্যু।



মৃত্যুকে নিয়ে আমিও একটা সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম, হয়ত কিছুটা ভীতিও আর সবার মত। কিন্তু জীবনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সময় এই মৃত্যুকে নিয়ে ভাবার সময় পেলাম, খুব কাছ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবার সুযোগ আসল, প্রতি মুহুর্তে আতংক বিরাজ করত, এই বোধহয় মৃত্যু হয়, কিন্তু এক পর্যায়ে ভীতিটা কেটে গেল। জীবনের মানেটা মনে হয় সে মুহুর্তে বুঝে গেলাম।

আমি কেন ভয় পাচ্ছি? এটাতো এমন না যে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী বা পরিস্থিতিতে মানুষের মৃত্যু হয়, মৃত্যু মানুষের অমোঘ সত্য। ভয়ের কিছু নেই। আমার আগে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ এই স্বাধ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেবে। তার মাঝে ভালো, মন্দ, চোর, ডাকাত, সাধু, সন্ত সবাই আছে। তবে কেন এই অহেতুক ভীতি? কেন আমি স্বাভাবিক ভাবে একে আমন্ত্রন জানাচ্ছি না? জানি এখানে এসে কেউ কেউ হয়ত বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছেন। মৃত্যুকে আমন্ত্রন! না ঠিক আমন্ত্রন হয়ত হবে না, আসলে সঠিক শব্দটা আমি এই মুহুর্তে চয়ন করতে পারছি না। তবে এই উপলদ্ধি পেতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে যেতে হবে। অথবা পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে।

আপনি কি জানেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসীরা কিভাবে যুদ্ধ বন্দীদের অত্যাচার করত তা উপলদ্ধি করার জন্য কেউ কেউ টাকা দিয়ে সে অত্যাচার অনুভব করার জন্য এ ব্যাপারে সার্ভিস দেয় এমন নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অত্যাচারের সেবা নেয়। না আমি আপনাকে টাকা দিয়ে মৃত্যু বা অত্যাচারের সেবা কিনতে বলছি না। সুযোগ বা নিজে থেকে সে অবস্থায় পতিত হলে অল্প কিছু মানুষ সে অনুভুতির কাছাকাছি যেতে পারে। অনুভব করতে পারে।

মৃত্যু আপনাকে আমাকে এমন এক নতুন অনুভুতির স্বাধ দেবে যে স্বাধ আপনি একবারই নিতে পারবেন। মাত্র একবার, এবং সে স্বাধের অনুভব আপনি বলার জন্য আর ফিরে আসবেন না। কি অসাধারন একটা ব্যাপার তাই না? আচ্ছা মৃত্যুর পর কি স্বর্গ, নরক, দোযখ, বেহেশত এগুলো দেখা যাবে? মৃত্যু কি নিকষ অন্ধকার?



হ্যা এই নিকষ অন্ধকার অনুভুতি থেকেই মৃত্যুভীতি মানুষকে চালিত করে। তবে আমার কেন যেন মনে হয় মৃত্যু মানে নিকষ কোন অন্ধকার অনুভুতি না, তা সে অন্য যে কোন অনুভুতিই হোক।

সে কি অন্য কোন জগৎ? যে জগতে আপনি আবার এই জগতের মত অন্য কোন অনুভুতিতে সেটা হয়ত আমাদের চেনা কোন অনুভুতি থেকে আলাদা সেই অনুভুতিতে বাস করবেন?

মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে অনেক বড় বড় মানুষের অপার কৌতুহল ছিল, যাদের জীবনাচার বা মানব সভ্যতায় তাদের অবদান আমাদের কৌতুহলী করে, রবীন্দ্রনাথ, স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, নিউটন, ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছাড়াও অনেক মনীষী জীবনের অপর যাত্রা যাকে আমরা মৃত্যু নামে অভিহিত করি তা নিয়ে অপার কৌতুহলী ছিলেন।

মৃত্যু ভীতিকে জয় করুন। অপার রহস্যের এক সন্ধান পাবেন। তবে মৃত্যু ভীতির সব থেকে বড় কারন দুটো। মানুষ ভেদে একঃ অঢেল টাকা পয়সা জীবন কে ভোগে মত্ত রেখে মৃত্যুকে ভয় পাওয়ায় দুইঃ ভালোবাসা, প্রিয়জনদের ছেড়ে যাবার মায়া। সামান্য চেষ্টা করলে এই দুটোর কোনটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটু ভাবুন, অথবা অন্য কিছু কিনা সেক্ষেত্রে অতি অল্প চেষ্টায়ই এথেকে মুক্ত হয়ে মৃত্যু ভীতিকে উপেক্ষা করতে পারবেন, পারবেন সময় হলে শান্ত শিষ্ট ভাবে স্মিত হেসে সবাইকে ভালোবেসে অনন্ত যাত্রায় গমন করতে। ভয় কি, আপনার আমার আগে কোটি কোটি মানুষ ওই যাত্রায় গিয়েছে, তাদের যা হয়েছে আপনার আমারো তাই হবে, নতুন কিছু না।

সময়ের সাপেক্ষে জীবনের তুলনায় মৃত্যু অনেক বেশী মহিমান্বিত, অনেক বেশি রহস্যময়। অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: দশ /এগারো বছর বিবাহিত জীবন যাপন করার পর বলতে পারি, জীবন থেকে অনেক ভয়ই দূর হয়ে গেছে।

পয়সার বিনিময়ে ব্যথা পাওয়ার সার্ভিস বিলাতে পাওয়া যায় শুনেছি। হয়তো ভুয়া মফিজ ভাই বিস্তারিত জানাতে পারবেন।

ইমাম গাজ্জালীর ইহইয়াই উলুমুদ্দিন বইতে হজরত আয়েশা হতে দিন ২০ বার মৃত্যু স্মরণের হাদিস বর্নিত আছে। অন্যান্য বিভিন্ন ধর্মেও মৃত্যুর স্মরনের কথা আছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ভুইলাই গেছিলাম ভাই পৃথিবীতে মানুষ আছে দুই ধরনের জীবিত আর বিবাহিত :P

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টা মন দিয়ে দুইবার পোড়লাম।
মৃত্যু নিয়ে আমার চিন্তা ভাবনার শেষ নেই। ব্লগে মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েকবার লিখেছি।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৯

শের শায়রী বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে একটা সিষ্টেমিক ওয়েতে ভাবুন দেখবেন ভয়টা কেটে গেছে রাজীব ভাই। তবে এটাও প্রাক্টিস।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৩

গোধূলি বিকেল বলেছেন: আজ হোক কিংবা কাল হোক! এই মৃত্যু নামক চিরন্তন সত্য থেকে আমারা কেউই পালিয়ে বাঁচতে পারবো না। সুতরাং আমাদের কে ফিরে যেতেই হবে।


কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে,
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত, এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ,

__কবি----"আল মাহমুদ"

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:০৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। কবিতা ভালো লেগেছে

কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে,
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত, এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ,

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে আমার তেমন একটা ভীতি কাজ করে না।
আমার এ্যক্রোফোবিয়া আছে। প্লেন টেইক অফ করলে আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। সেজন্যেই বোধহয় জন্মের আগে থেকেই আমাকে প্লেনে ভ্রমন করতে হয়েছে, সত্যি! সারা জীবনে অসংখ্যবার বিমান ভ্রমন করেও আমার এই ভয় কাটলো না। আমার ধারনা, আমার মৃত্যু হবে বিমান দুর্ঘটনায়। সমস্যা সেখানে না। সমস্যা হলো, মারা যাওয়ার পর যে শাস্তি শুরু হবে, সেটা নিয়ে। :(

@মা.হাসানঃ এমন কিছু আমার জানা নাই। তবে শুনেছি, বিকৃত যৌনাচারের অংশ হিসাবে অনেকে নাকি টাকা-পয়সা খরচ করে সুন্দরীদের চাবুক পেটা খায়! সুন্দরীরা হ্যাগোরে বাইন্ধা চাবুক মারে!!! এমনিতে আমি খেতে খুবই পছন্দ করি, তবে এই ধরনের খাদ্যে আগ্রহ না থাকায় কখনও খোজাখুজি করি নাই। =p~

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:১৮

শের শায়রী বলেছেন: আমার আছে উচ্চতা ভীতি, যাউজ্ঞা, মাইর মুইর যাতে কম খান তার জন্য ব্যাবস্থা নেন। দ্যাশে অনেক পীর আছে যাগো ফুতে নাকি নিশ্চিত বেহেশত, আসেন দ্যাশে আসেন, দুই ভাই মিল্লা খুইজ্জা বাইর করুম নে এমুন পীর।

আর দুই পাপী বান্ধা (আপ্নে আর মা হাসান ভাই) কি সব নিয়া আলাপ করছেন, আমাগো নাহান সুফীরা তা বুজতেও পারছে না। :-B :-B

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ২০১৪ অবধি যখন ব্লগিং করেছিলেন, তখন আমি আপনাকে জানতাম না; এবার যখন লেখা শুরু করেছিলেন, শুরু থেকেই আমার মনে হয়েছিলো যে, আপনি উদ্দেশ্যহীন লেখক; মনে হয়, আমার ধারণা ঠিক আছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০

শের শায়রী বলেছেন: আহ মুরুব্বী বুকটা ভরে গেছে আপনার প্রসংশা পেয়ে, যেটা ব্লগে খুবই বিরল। যাউজ্ঞা আসি আপনার উত্তরে, আপনি লিখছেন আপনি ২০১৪ অবধি যখন ব্লগিং করেছিলেন, তখন আমি আপনাকে জানতাম না; জানার প্রশ্নই আসে না, কারন আপনি তখনো ব্লগে ভুমিষ্ঠ হন নাই। আবার লিখছেন এবার যখন লেখা শুরু করেছিলেন, শুরু থেকেই আমার মনে হয়েছিলো যে, আপনি উদ্দেশ্যহীন লেখক; মনে হয়, আমার ধারণা ঠিক আছে। এই সামান্য ব্যাপারটা বুজতে আপনার যদি চার/ পাঁচ মাস সময় লাগে, সেক্ষেত্রে আপনি কিভাবে লিজেন্ডারি ব্লগার হিসাবে দাবী করবেন? কারন অনেকেই আপনাকে লিজেন্ডারি ব্লগার দাবী করে :)

আচ্ছা আপনি ব্যাতীত আমাকে একজন লেখক বা ব্লগারের উদাহরন দেখান তো যে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে লেখে। আবার কার্ল মার্ক্স ফার্ক্সের উদাহরন টাইনেন না :P

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দ্যাশে অনেক পীর আছে যাগো ফুতে নাকি নিশ্চিত বেহেশত, আসেন দ্যাশে আসেন, দুই ভাই মিল্লা খুইজ্জা বাইর করুম নে এমুন পীর। দ্যাশে আইলে আমার পীর খুজনের টাইম থাকে না। আপনে খুইজ্জা পীররে রেডী কইরা রাইখেন। লগে মা.হাসানরেও নিমুনে। হ্যায় ডিটেইল আলাপটা ভালো পারে। :P

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: বুজচ্ছি পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে শ্যাষ ম্যাশ ফু দেবার দায়িত্ব টা আমারই নিতে হবে, যদিও আমি চাই না, কিন্তু কি করুম আপনাগো তো আর যার তার হাতে ছাড়তে পারি না...... :( মা.হাসান ভাইরে কইয়েন ডিটেইলস যেন রেডি রাখে সাথে সামান্য হাদীয়া) তবে হাদীয়া নিয়ে চিন্তা কইরেন না, নিজেগো লোক না হইলেও..... আসেন দেখি কতদুর কি করতে পারি..... আমার হইছে জ্বালা, কইলাম কেউরে বাইর করেন, এখন সে যায়গায় বাইর তো করলেনই না, আমার দায়িত্ব নিয়া ফু...... :|

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি লিখেছেলম, "এবার যখন লেখা শুরু করেছিলেন, শুরু থেকেই আমার মনে হয়েছিলো যে, আপনি উদ্দেশ্যহীন লেখক; মনে হয়, আমার ধারণা ঠিক আছে। "

-ব্যাপার বুঝতে ৪/৫ লাগেনি; আমি বলেছি, "শুরু থেকেই"।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬

শের শায়রী বলেছেন: রাইট আমারই বুজতে ভুল হয়েছে, আপনি এক দম শুরুতেই বুলস আইতে হিট করছেন, যাউজ্ঞা উদ্দেশ্য পূর্ন ব্লগারদের নাম বললেন না যে /:) ?

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৮

রাফা বলেছেন: যার জন্ম আছে তার মৃত্যু অবধারিত। জন্ম হয়ই মৃত্যুর জন্য। মানুষ'কে সৃষ্টিকর্তা এমন ভাবে ষৃষ্টি করেছেন তার মূল লক্ষই হলো বেচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে যাওয়া।প্রতিটি মানুষই নিরন্তর চেষ্টা করে যায় আরো কত ভালোভাবে বেচে থাকা যায়।শুধু সেটুকুই নয় প্রকৃত মানুষ তার আপনজন এবং আশেপাশের মানুষের জন্যও কাজ করে।

তো এখন ভাবুন এই সাজানো গোছানো সাম্রাজ্য ছেড়ে যেতে চাইবে কেনো মানুষ।এমনকি জিবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত মানুষ ভাবে তার কাজ সে শেষ করতে পারেনি ।তাই তার বেচে থাকার আকুলতা থেকেই মৃত্যু ভয় গ্রাস করে মানুষকে।আপনি আমার ধারনার সাথে একমত নাও হোতে পারেন ।একটু চিন্তা করে দেখুন'তো আপনার হাতে যে মোবাইল বা ল্যাপটপ রয়েছে সেটা বিকল হয়ে গেলে আপনি কি করেন? নিশ্চই সেটা ছুড়ে ফেলে দেবার পুর্বেও ওটাকে সচল করার চেষ্টা করেন।তারপর আবার জিবনের মতই নতুন আরেকটি ডিভাইস সংযোজিত করেন আপনার প্রয়োজনের জন্যই।

তাই মৃত্যকে ভয় পাওয়ার অর্থ আমার কাছে বেচে থাকার আকুলতা।মৃত্যুকে মানুষ জিবনের শেষদিন পর্যন্ত এড়িয়ে যেতে চায়।কিন্ত ঐ যে বললাম "জন্মিলে মরিতে হয় এই কথা সকলে কয়"।ঐটা আমাদের ফাইনাল ডেস্টিনেশন।

ধন্যবাদ,শে.শায়রী।

বেচে থাকুন ভালো থাকুন।করোনা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে নিজে ও অন্যকে ভালো থাকতে ও রাখতে সহায়তা করুন।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভ্রাতা, কোন সন্দেহ নাই, বেঁচে থাকার সময়টুকু আমাদের কে সেভাবেই ব্যায় করা উচিত যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আর এক জনের কল্যানে। আপনি লিখছেন তাই তার বেচে থাকার আকুলতা থেকেই মৃত্যু ভয় গ্রাস করে মানুষকে।আপনি আমার ধারনার সাথে একমত নাও হোতে পারেন ।একটু চিন্তা করে দেখুন'তো আপনার হাতে যে মোবাইল বা ল্যাপটপ রয়েছে সেটা বিকল হয়ে গেলে আপনি কি করেন? নিশ্চই সেটা ছুড়ে ফেলে দেবার পুর্বেও ওটাকে সচল করার চেষ্টা করেন।তারপর আবার জিবনের মতই নতুন আরেকটি ডিভাইস সংযোজিত করেন আপনার প্রয়োজনের জন্যই। এখানে আপনার সাথে আমার কিছুটা দ্বিমত আছে রাফা ভাই,

আপনি যেমন লিখছেন, হাতের মোবাইল ল্যাপটপ বিকল হলে সেটা ছুড়ে ফেলার আগে সচল করার চেষ্টা করেন, অবশ্যই করি। একদম শেষ পর্যন্ত করি, তেমনি আমাদের অসুখ, বিষুখ হলেও আমরা আমাদের সাধ্যের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেই, এটাই স্বাভাবিক, এটা কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক সহজাত প্রক্রিয়া, যেমন ওই যে মোবাইল ঠিক করানোর উদাহরন, কিন্তু এটাও আপনি আমি জানি, এই মোবাইল ঠিক হলেও এক সময় এটা শত চেষ্টায় ঠিক হবে না তখন.......... তখন সেটা আমরা মেনে নেই, একটু খারাপ লাগলেও। আমিও এই পয়েন্টে জোর দিতে চেয়েছি, ভয়ের কিছু নেই, যেটা অমোঘ পরিনতি সেটাকে ভয় পাবার কিছু নেই। চব্বিশ ঘন্টায় কিছুক্ষনের জন্য হলেও আমাকে ঘুমাতে হবে স্বাভাবিক নিয়মে। তেমনি মৃত্যু নিয়ে ভীতিটা আমাদের কাটিয়ে উঠলে হাসি মুখে এটাকে মেনে নিতে পারলে ভীতি কেটে যাবে।

যেহেতু "জন্মিলে মরিতে হয় এই কথা সকলে কয়" আমাদের ফাইনাল ডেষ্টিনেশান, আমি সেটাকে অস্বীকার বা ভয় পেতে চাই না। ভয় পেলেই মৃত্যুর আগে কয়েকবার মরতে হবে, তার থেকে যতদিন বেঁচে আছি ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা করার তাই করি, আর যখন আসবে, তাকে হাসি মুখে মেনে নেব। হয়ত একটু বাগাড়ম্বর মনে হতে পারে, কিন্তু এটাই আমার চিন্তাধারা ব্রাদার।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:০১

রাফা বলেছেন: মানুষও কিন্তু সেটা মেনে নেয় ।যদি মেনে না নিতো তাহলে মানুষ তার একান্ত আপনজন'কে হারিয়েও আবার জিবনকে স্বাভাবিক গতিতে নিয়ে আসে কিভাবে! আমার আম্মা যখন মৃত্যু বরণ করে তখন জিবনটা আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়েছিলো।আমার মনে হয়েছিলো বেচে থাকার কোন অর্থ নেই।সেই আমি কিন্তু খুব স্বাভাবিকভাবেই জিবনকে পরিচালিত করছি।

আর মানুষের কাছে তার জিবনের মূল্য সকল কিছুর চাইতে বেশি।সেটা যখন চলে যাওয়ার কথা ভাবে তখনি মৃত্যু ভয় গ্রাস করে মানুষ'কে।আর ঐ যে বললাম মানুষ তার সাঁজানো গোছানো সাম্রাজ্য ছেড়ে যেতে চাইবে কোনো ! যখন সে জানেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে মৃত্যুর পর।(অবশ্য নাস্তিক হলে ভিন্ন কথা)। মানে করেন আগামিকাল আমি নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন যাচ্ছি তখন কিন্তু আমি ভয় পাইনা।কারণ গন্তব্যটা আমার জানা আছে বলেই।মৃত্যুর পর কো্থায় যাচ্ছি সেটা জানিনা বলেই এত ভয়।

ধন্যবাদ,প্রতিউত্তরের জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২৮

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি এই কথাটিই আমি বলতে চেয়েছি রাফা ভাই, মৃত্যু আসবেই, নিজের বাবা মারা যাবার পর খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, তেমনি কষ্ট পেয়েছি আরো কিছু প্রিয় মানুষের মৃত্যুতে কিন্তু জীবন থেমে থাকেনি। মৃত্যুকে আমরা ভয় পাই কারন আমাদের গন্তব্য সন্মন্ধ্যে আমাদের ধারনা নেই, যদি সে ধারনাটা পেয়ে যাই তবে কিন্তু এই যে মৃত্যু ভয় সেটা আর থাকবে না, কেউ যদি সামান্য কিছু দিন, কিছু সময় ভাবে তবে নিশ্চয়ই সে তার মত করে গন্তব্য দেখতে পাবে, তবে এক অর্থে এটা মানে মৃত্যুর পরবর্তী গন্তব্য অনুভব করা বা দেখা খুব একটা সোজা ব্যাপারও না, তাহলে তো কারো মৃত্যু ভীতি থাকত না। তবে খুব যে কঠিন তাও মনে হয় না, আমরা আসলে মৃত্যুর ব্যাপারটা মনেই আনতে চাই না, তাই যত ঝামেলা।

অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আবারো ফিরে এসে সুন্দর মন্তব্যে ভ্রাতা

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ভাইজান খুব ভালো একটা পোষ্ট দিছেন ।
আসলে মৃত্যু নিয়ে আমার কোন ভাবনা নাই! সত্যি সত্যি নাই। যে কয়দিন বাঁচবো বাঁচার মতো বাঁচবো।
এই তো এখন গান শুনছি। আপনি কি শুনতে পারছেন প্রিয় ব্লগার?
তাহলে লিখেই প্রকাশ করি :P
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
শাখে শাখে পাখি ডাকে
কত শোভা চারিপাশে
শাখে শাখে পাখি ডাকে
কত শোভা চারিপাশে
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
আজকে মোদের বড়ই সুখের দিন
আজকে মোদের বড়ি সুখের দিন
আজ ঘরের বাধন ছেড়ে মোরা হয়েছি স্বাধীন
আজ ঘরের বাধন ছেড়ে মোরা হয়েছি স্বাধীন
আহা হয়েছি স্বাধীন
আজ আবার মোরা ভবঘুরে
মুলুক ছেড়ে যাবো দূরে
আবার মোরা ভবঘুরে
মুলুক ছেড়ে…

ভালো থাকবেন

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি মৃত্যু নিয়ে অত ভাবনার বয়সও হয় নাই, জীবনটাকে উপভোগ করুন পরিবার নিয়ে, আমি বুড়া মানুষ পুরানো দিনের গানের ভক্ত। ইদানিং ঘুম কমে গেছে সারা রাত সজাগ থাকি কবি কেন যেন ঘুম হয় না।

সুখে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: মৃত্যুকে ভয় পেয়ে কি লাভ ?
একদিন না একদিনতো চলে যেতে হবেই ।
তাই আসুন ধনী,গরিব সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলেমিশে জীবনটাকে উপভোগ করি পাশাপাশি পরের জীবনের জন্য
ভালো কিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা করি ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

শের শায়রী বলেছেন: দ্যাটস রাইট ভ্রাতা এই কথাটিই আমি ইনিয়ে বিনিয়ে বলছি।

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:০২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ক্ষণিকের এই অবণীতে কে মরিতে চায় হে কে মরিতে চায়।

তবু যেহেতু মৃত্যু অবধারিত তাই আমি ও বলি মৃত্যু খুব স্নিগ্ধ শাশ্বত সুন্দর একটা বিষয়। হোম কোয়ারেন্টাইন এক প্রকার কবরের মত বিষয়। তা আমরা তো বেশ আছি নাকি?

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি একটা জিনিস খেয়াল রাইখ, মানুষের ভাবনা চিন্তায় এই দুই সপ্তাহ অনেক প্রভাব ফেলছে। অন্ততঃ আমি দেখতে পাচ্ছি। যাই হোক মৃত্যু যেহেতু অবধারিত, তাই একে নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, মানসিক ভাবে যেন সবাই মেনে নেই তবেই প্রশান্তি পাব, অহেতুক মানসিক ভীতি থেকেও রক্ষা।

হ্যা আমরা তো বেশ আছি প্রিয় কবি!

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: তবে মৃত্যু টা আনন্দময় কিছু না। কারন দেখেন না কেউ মরতে চায় না।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, একটু উদাহরন দিয়ে বলি, এই যে হোম কোয়ারেন্টাইন চলছে এর মাঝেও কিন্তু এক দল মানুষ বাইরে ঘুরছে, নিয়মিত আড্ডা দিচ্ছে, এরা আসলে জানেই না, কি কারনে কি হচ্ছে? বা এর পরিনতি কত ভয়াবহ হতে পারে? এদের জ্ঞান অতি নাই বা থাকলেও অতি সীমিত। আবার আর এক দল আছে সব কিছু মেনে জীবন যাপন করছে সতর্কতার সাথে।

মৃত্যুর ব্যাপারটাও এমনি দুটো দল আছে, এক দল যারা বুজতেই পারছে মৃত্যু অনিবার্য এথেকে মুক্তি নাই, তারা কিন্তু নিয়ম মেনে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে এবং অত ভীত না এবং যারা এ নিয়ে আরো ভাবে তারা কোন কোন ক্ষেত্রে যখন মৃত্যু আসে তখন এক রকম স্বাগতই জানায় যদিও তাদের সংখ্যা অতি সীমিত। আর এক দল আছে যেমন ওপরে রাফা ভাই বলছে " মানুষের কাছে তার জিবনের মূল্য সকল কিছুর চাইতে বেশি।সেটা যখন চলে যাওয়ার কথা ভাবে তখনি মৃত্যু ভয় গ্রাস করে মানুষ'কে।আর ঐ যে বললাম মানুষ তার সাঁজানো গোছানো সাম্রাজ্য ছেড়ে যেতে চাইবে কোনো ! যখন সে জানেনা তার জন্য কি অপেক্ষা করছে মৃত্যুর পর।(অবশ্য নাস্তিক হলে ভিন্ন কথা)। মানে করেন আগামিকাল আমি নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন যাচ্ছি তখন কিন্তু আমি ভয় পাইনা।কারণ গন্তব্যটা আমার জানা আছে বলেই।মৃত্যুর পর কো্থায় যাচ্ছি সেটা জানিনা বলেই এত ভয়।"

আমি আসলে একটা ধারনা দেবার চেষ্টা করছি একটু গভীর ভাবে ভাবলে কিন্তু অনস্বীকার্য্য মৃত্যু এত ভীতিকর না :)

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

নীল আকাশ বলেছেন: আগে এত ভয় পেতাম না। কিন্তু কিছুদিন আগে জান কবজ করার উপর একটা ইস্লামিক লেখা পড়েছিলাম।
মনের মধ্যে ভয় একটাই, মৃত্যুর সময় যেভাবেই হোক কলেমা যেন উচ্চারণ করতে পারি।
এই শেষ সময় শয়তান এসে ভয়ংকর ধোকা দিয়ে সারা জীবনের আমল নষ্ট করে দিয়ে যায়।
লেখা ভালো ইন্টেলেকচুয়াল টাইপের হয়েছে।
আপনার ধৈর্য্য অসীমের কাছাকাছি। এক নির্বোধের পিছনে এত সময় দেন আপনি?
হাসান ভাই আর মফিজ ভাইয়ের কেজ্জা বেশ কিছুদিনের।
এদের দুইজনকে একসাথে ঢাকা স্টেডিয়ামের মাঠে নামিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না।
এরা দুইজন পীর ফকীর যা আছে দেশে লন্ডনে খুজে বের করুক অসুবিধা নেই।
তবে পড়া পানি খাবার আগে যেন আমাদের কিছু ভাগ দেয়।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: আর কইয়েন না এগো কাইজ্জার মাইধ্যে পইড়া তো আমার জান যায় যায়।
আল্লাহর কাছে শুধু বলি যেন ক্ষমা করে তার কাছে নেয়।
আর পানিতে ফু দেয়া খাইতে যাইয়েন না, হেগো যে পানি পড়া দেব হে পীর যে কোন কিসিমের এখনো বুজেন নাই!

১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: চারিদিকে মৃত্যূর খবরে এমনিতেই বিধস্ত , তাই শিরোনাম দেইখাই ভয় পাইসি। পড়ার সাহস আর হয় নাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: থাকুক তাইলে এইডা পড়ার আর দরকার নাই, এই জায়গায় খালি মৃত্যু আর মৃত্যু। বাদ দেন :)

১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৬

নতুন বলেছেন: মানুষ জীবনের যখন কোন উদ্দেশ্য না থাকে, কোন নিজেস্ব জীবন দশ`ন না থাকে তখন বেচে থাকা বা মারা যাওয়া দুটোই তাদের জন্য সমস্যা এবং ভীতিকর।

জীবন যাপেন জন্য ঠিক করেছি প্রতিটি দিনের যতটা সম্ভব যেন সুখী থাকতে পারি।

মৃত্যু হইলো নতুন পথ চলা, ৪০ বছরে পৃথিবির কম কিছু দেখিনাই। তাই মৃত্যু নতুন একটা বিষয়।

যখন সময় হবে তখন যেন স্ত্রী, সন্তান, ভাই বোন বন্ধুদের বলতে পরি আমার সময় শেষ সবাইকে ধন্যবাদ এতোটা সময় সাথে থাকার জন্য। হাসি মুখে যেন মারা যেতে পারি। :)

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২২

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, হ্যাটস অফ, এই অনুভুতিটা কেন মানুষ নিতে পারে না? আপনি যেমন বললেন মৃত্যু হইলো নতুন পথ চলা আবার যখন সময় হবে তখন যেন স্ত্রী, সন্তান, ভাই বোন বন্ধুদের বলতে পরি আমার সময় শেষ সবাইকে ধন্যবাদ এতোটা সময় সাথে থাকার জন্য। হাসি মুখে যেন মারা যেতে পারি।

এই উপলদ্ধি টুকু যখনি কারো মাঝে আসবে আমার বিশ্বাস মৃত্যু নিয়ে ভীতি কেটে যাবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ নতুন ভাই।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ম্যা'ভাই
আপনার পোষ্ট পইড়া ২০১৭ তে ফেরত যেতে হলো!
শুক্রানু জীবন, গর্ভ জীবন শেষ আর মানব জীবন এর শুরু নিয়ে ত্রয়ী (সিরিজ) কবিতা খূঁজে বের করলাম :)

সাতারে শেষ পরিণতি
অদৃশ্য, অচেনা ইশ্বরের ইচ্ছায় কত কোটি কোটি প্রাণ
কোথায় হারিয়ে গেল কেউ জানি না!
সাতরাতে সাতরাতে তারা আর কখনোই ফিরে আসেনি ---
এমনই একদিন- যেদিন কেয়ামত শুরু হলো –

প্রচন্ড প্রলয়ের উত্তাপে, উন্মাতাল প্রচন্ড গতি
সনিক বুম, ব্রহ্মান্ড উথাল পাতাল, দিগ্বীদিক
এলোমেলো সুতীব্র টান অপ্রতিরোধ্য- -
ছিটকে পড়লাম এক অচেনা জগতে!
ভাগ্যগুনে আঁকড়ে ধরা খড়কুটো আশ্রয়ের উষ্ণ গহবরে
হারিয়ে যেতে যেতে অচেতন হলাম! আমি কি মৃত?

সহসা খূলে যায় ভুবন চুরাশির গুপ্ত ওহিভেদ
পলকে প্রলয়ে-সৃস্টি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রানু সময়
আলোক গতির চেয়ে দ্রুততায় ফায়সালা
উৎক্ষেপনের পর যেন সাত সমুদ্র তের নদী....

পুলসিরাত – নীচে ‍মৃত্যু পার হলেই জীবন
তীব্র ঝলক গতিতে ছুটছি কোটি কোটি
ভাবনা ক্লান্ত হতে–হতে-হতাশার মূখেই আলোকিত দরজা
এক পল মাত্র। ঝূপ করে নেমে এল আঁধার!


স্বপ্ন যখন আকাশ ছুঁয়ে যায়
পূর্নতা যেন পুরোনোর প্রলয়েই শুরু হয়
এক অদম্য মুক্তি কামনায় খোলস ছাড়তে চাই
জনম জনমের ছায়া যেন খেলে যায়
সেই একই খেলা ভাঙ্গা গড়া, লয়-প্রলয়, মৃত্যু-জন্ম!

চীৎকার করে উঠি! হাত-পা ছুড়তে থাকি
কান্না, ছোটাছুটি, তীক্ষ্ণ সাইরেন, দ্রুত গতি
আত্মার কান্না, ভগবানের কান্না ওভারল্যাপ হয়ে যায়
যতটা দ্রুততায় চাই ততটাই বাঁধা যেন আটকে ধরে-
মুক্ত হতেইঃ অসীম শূন্যতা ঘিরেধরে সহসা; তারস্বরে কেঁদে ‍উঠি!

ম্যা'ভাইর জন্য উপরে তিনটা থেকে শেষাংশ কপি করেই দিলাম :)

নিত্য মৃত্যুর মাঝে সাতরে বেড়াই। কোষ কলা নিত্য মৃত্যুতেই বেঁচে থাকি .. তবু অর্থহীন মৃত্যুভীতি আকড়ে থাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে...
মোহাবিস্টতা, আর কামনা, আকাংখা আর অজ্ঞানতা, সারাজীবন ক্ষয়িষ্ণু জীবনের জন্য অর্থহীন জীবনপাতের মতো ...
অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়ে উদাসীনতাই শেষ বেলাতে জাগিয়ে তোলে ভয়!!!!

পোষ্টে +++++


০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই "ত্রয়ী"তে আমার মন্তব্য আছে। সেই যে "জাতিস্মর" এর সময় পেয়েছিলাম।

আর ম্যা'ভাই ঠিকই বলেছেন মোহাবিস্টতা, আর কামনা, আকাংখা আর অজ্ঞানতা, সারাজীবন ক্ষয়িষ্ণু জীবনের জন্য অর্থহীন জীবনপাতের মতো ...
অবশ্যম্ভাবী পরিণতি নিয়ে উদাসীনতাই শেষ বেলাতে জাগিয়ে তোলে ভয়!!!!
তবে একটু সাবধানতা একটু ভাবনা আমাদের দিতে ভয়ের পরিবর্তে নতুন যাত্রার আনন্দ।

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

মা.হাসান বলেছেন: @শের ভাই, @ কুমির ভাই- দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া । অথবা চোখ থাকিতেও কেহ কেহ অন্ধ । ব্লগে লক্ষ-লক্ষ মুরিদ ওয়ালা কামেল পীর থাকিতে আপনারা অন্য কোথাও পীর খোঁজেন কেন? আজকালকার পীরেরা মাইকের মাধ্যমে ই ফু দিতে পারেন। কাজেই পীর সাহেবের খানকায়ে ফিজিক্যালি হাজির হওয়ার প্রয়োজন নাই। পীর সাহেবের নজরানা সামান্য- জি হুজুর জি হুজুর আপনার ন্যায় জ্ঞানী কামেল পীরের সোহবতে আমাদের মুক্তি হইল- এই মন্ত্র জিকির করিতে হৈবে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫২

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই আমি অতিশয় সোজা সরল অনেকটা মুখ্য এটা অবশ্য আমার কাছে মুরুব্বী চাদ্গাজীও এক মত। যাই হোক ব্লগে এই রকম পীর আছে নাকি :D একটু নামটা বলেন ভাই, আমি সোজা সরল মানুষ অনেক কিছু বুজিনা আবার অনেক দিন পর ব্লগে আসায় অনেক কিছু জানিও না। একটু যদি বলেন উপকার হয় আমিও না হয় জি হুজুর জি হুজুর বলব, কুন সমেস্যা নাই। পীর পাইলেই হয়........ তার পর........ :D

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি আগেই কইছিলাম, ব্লগার মা.হাসান হইলো এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র মাধ্যম। কোন কিছুর ডিটেইলে যাওনের ক্ষমতা উনারই আছে। =p~

@মা.হাসানঃ আপনে ফু বিশেষজ্ঞ বুঝতে পারছি। একটু কষ্ট করে খোজখবর করেন ব্লগের পীরগন তাদের মুরিদদের জন্য 'ফু' পোষ্টাইতে পারেন কিনা; অথবা ডিজিটাল বাংলাদেশের এই যুগে ডিজিটাল ফু ডেলিভার করতে পারেন কিনা (যেমন ই-মেইলের মাধ্যমে)। তাহলে আমার মতো প্রবাসী পাপী বান্দাদের ফু নিয়া টেনশান করতে হয় না। বিশেষ করে ফু এর জন্য দেশে আসারও দরকার পড়ে না। ;)

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২২

শের শায়রী বলেছেন: কিচচু বুজি না আমি সোজা সরল মানুষ টাকে কি ঝামেলায় ফালাইলেন আপ্নারা কিছুই বুজতাছি না। :(( কারে যে ডাকি ব্লগে একজন মুরুব্বী আছে তারে ডাইক্কা কিন্তুই নালিশ দিমু এমুন করলে X(

২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহর নির্দেশিত পথে চললে
তার হুকুম আহকাম মেনে চললে
মৃত্যুভয় থাকবেনা। কারণ তাদের
জানা প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ
করতে হবেই।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আল্লাহর নির্দেশিত পথে চললে
তার হুকুম আহকাম মেনে চললে
মৃত্যুভয় থাকবেনা। কারণ তাদের
জানা প্রত্যেককেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ
করতে হবেই।

ধন্যবাদ ভাই

২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: মৃত্যু নিয়ে তেমন কোন আবেগ অনুভব করি না

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: দ্যাটস দ্য স্পিরিট, এটাকে ধরে রাখুন। দ্যাটস অল।

২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি মরে যাই।
তাহলে সকল কিছু থেকে মুক্তি পাবো।
আবার ভাবি মরেই গেলেই যে সকল কিছু থেকে মুক্তি একথা তো কেই বলে নাই।
যদি ধর্ম গ্রন্থ গুলো সত্যি হয় তাহলে- মৃত্যুর পর শুরু হবে আযাব।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই আরো কিছু দিন ভাবুন দেখবেন সব কিছু উপলদ্ধি করতে পারবেন। ধর্মগ্রন্থের কথা বাদ দিন এমনিই ভাবুন কিছুক্ষন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে।

২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৩

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: জন্মিলে মরিতে হবে এই সত্য মানুষ জানে। তারপরও মানুষ মরতে চায় না। কারণ মানুষের ভেতরে রয়েছে আশা।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাই ঠিক আশা না, অনেকটা ভীতি কাজ করে যার কারনে মানুষ মরতে চায় না।

২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০০

সোহানী বলেছেন: ভাইজান, মৃত্যু আতংক দিনে আপনার এ ধরনের পোস্ট মৃত্যুকে সকলে সহজভাবে গ্রহন করবে বলে মনে করি। যাহোক আপনার আধ্যাত্বিক লিখায় নিজের ক্ষুদ্র মতামত জানাই।

মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে যেমন দেখেছি তেমনি মৃত্যুপথযাত্রীর মানসিকতাও দেখেছি। অনেক কথা বলা সহজ যেমন আমি বরাবরেই বলতাম, মৃত্যুকে ভয় করি না। কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখার পর মনে হয়েছে এটা এখন আমি চাই না কারন আমার এখনো অনেক কাজ বাকি।

মৃত্যু এমন একটি জিনিস যা জয় করার জন্য যে শক্ত মনোবল থাকার কথা তা অর্জন করা খুব কঠিন। যার অঢেল আছে সেও যেমন মরতে চায় না যার কিছুই নেই সেও মরতে চায় না। সবারই নিজস্ব কিছু যুক্তি আছে এর পিছনে।

যাহোক, এসব চিন্তা ভাবনা ছেড়ে জীবন অর্জনই বড় কথা। সেটা একেক জনের কাছে একেক রকমের।

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

শের শায়রী বলেছেন: বোন কোন দিন যদি আল্লাহ বাচিয়ে রাখে, এবং আপনার সাথে দেখা হয় তবে সেদিন হয়ত আলাপ করব, কিভাবে মৃত্যু ভীতিকে জয় করতে পেরেছি। মরা মানুষ কে আপনি মৃত্যুর ভয় দেখানোর কিছু নাই :P

২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মৃত্যু এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের (যদি থাকে) ব্যাপারে আমার কোন আগ্রহ নাই। অনিবার্য বিষয় নিয়ে ভাবতে রাজি নই। সবাই মরেছে ও মরবে, আমিও মরবো। এ নিয়ে ভাবার কী আছে?

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

শের শায়রী বলেছেন: তাও ঠিক হেনা ভাই, কিন্তু আমার কাছে মৃত্যু ব্যাপারটা ভীষন এক কৌতুহলের, কেন ঠিক জানি না।

২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:



মোর দেন টু উইকস শায়রীকে দেখা যাচ্ছে না । ইউ ওকে? তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন নতুন কিছু শায়রী নিয়ে । থ্যাংকস লিংকটা শেয়ার করার জন্য । দিজ ইজ হোয়াট আই’ম লুকিং ফর । কবর পোষ্টে বলেছিলাম কয়েক বছর ট্রাই করে যাচ্ছি । ইটস নট ইজি কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই ।

কমেন্ট এতো বড় হয়েছে যে আলাদা পোষ্ট করে দিলাম

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৯

শের শায়রী বলেছেন: বোন আমি কিছুটা আবেগী মানুষ। আমার মত মানুষের আপনি খোজ নিয়েছেন এ কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আমি কিন্তু এখনো শিওর না আপনি কি ট্রাই করে যাচ্ছেন? কিছুটা অনুমান করি, তবে আপনার মুখ দিয়ে জানলে খুশী হব।

২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মৃত্যু ভয় বেশিরভাগ মানুষের কাজ করে।

যারা ইসলামী পারসন বুর্জুগ টাইপের তাদের এই ভয় নেই। তারা মরে গেলে যে জগতে যাবে সেটা এটার চেয়ে ভাল বলে মৃত্যুর জন্য সন্তুষ্ট চিত্তে অপেক্ষা করে।

ঈমান নিয়ে মরতে না পারার ভয়ও কম নয়।

++++

ভাল আছেনতো। অনেক দিন দেখা যাচেছ না।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১১

শের শায়রী বলেছেন: মাইদুল ভাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আমার খোজ নেবার জন্য, আসলে একটা অসুস্থ্য সময়ের মাঝে দিয়ে যাচ্ছি সবাই। তাই অনেক ঝামেলা পার করতে হচ্ছে। মুলতঃ মানসিক। তাই কিছুই ভালো লাগে নাই। একা একা ছিলাম। এমনি ভালো আছি। মৃত্যুর জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন।

অশেষ ভালো লাগা আর কৃতজ্ঞতা পাঠে এবং মন্তব্যে

২৮| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:

কিছুটা অনুমান যেটা, সেটা আগে শুনি , তারপর আমি বলছি ।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৮

শের শায়রী বলেছেন: বুজতে পারছিলাম আপনি এই লাইনটাই ধরবেন :) । আমার ধারনা, আপনি মেডিটেশান টাইপ অথবা নিজেকে অটো সাজেশান দেয়া টাইপের কিছু করে মৃত্যুটাকে স্বাভাবিক ভাবে নেবার চেষ্টা করছেন বিভিন্ন পরিস্থিতির কারনে।

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



বিষয়টা পোষ্টের সাথে খুব রিলেভেন্ট না যদিও । নাহ কোনও মেডিটেশন করছিনা কিন্তু মোহমুক্তি চাচ্ছি । সবকিছু থেকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যেন যে কোনও আকর্ষণ ফিরিয়ে দিতে পারি । অনেকটা নো স্ট্রিং এটাচড বলা যায় । তার মানে এই না যে লাইফ এঞ্জয় করছিনা । এভরি সিঙ্গেল বিটস আই’ম এনজয়িং কিন্তু কন্ট্রোল রেখে যেন নাথিং ক্যান হোল্ড মি ব্যাক ।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনি অনেক বড় জিনিস চাচ্ছেন। বিষয়টা এত বড় আমার বিশ্বাস আপনি জেনে শুনেই চাচ্ছেন। "মোহমুক্তি" এই কথাটার ব্যাপ্তি এত বড় অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে। কথা দিচ্ছি এ নিয়ে সামান্য ভাবনায় যেদিন কিছু লিখব আপনাকে উৎসর্গ করে লিখব। আজকে দুটো প্যারা দিয়ে যাই আমার একটা পুরানো লেখা দিয়েঃ

আমরা কেউ চাই অগন্য, অচেনা, অজানা মানুশ জন আমাদের দেখুন মানে সাধারন জনগনের চোখ কান মনোযোগের সম্পৃত্ততায় সিক্ত হতে চান। আর এক দল আছে নিজের পরিচিত গন্ডির মাঝে নিজেকে প্রয়োজনীয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে, প্রয়োজন না থাকলেও শুধু মাত্র এই ইম্পরট্যান্সি প্রাপ্তির আশায় পয়সা খরচ করে ককটেল পার্টি ডিনারে অথবা কোন আত্মীয় স্বজনের বিবাহ বার্ষিকী মৃত্যু বার্ষিকীতে পরিচিত অপরিচিত বা অর্ধ পরিচিত অপরিচিতকেও নিমন্ত্রন দিয়ে যায় যাতে নিজেকে একটু পরিচিতি করা যায়। তৃতীয় এক দল আছে যারা অনুক্ষন নিজের ভালোবাসার মানুষের চোখে মনি হয়ে থাকতে চায় সেখানে সে বড় নির্মম কাউকে সেখানে প্রবেশাধিকার দেয় না প্রয়োজনের খাতিরে হলেও

এদের বাদেও চতুর্থ একদল মানুষ আছে যারা সাপের মাথার মনির মত বিরল, তারা কোন ইম্পর্ট্যান্সির তোয়াক্কা রাখেন না নিজের কল্পনায় অগনিত মানুষেকে কল্পনায় এনে তাদের মানসিক মধ্যমনি হয়ে থাকেন অথবা অগনিত মানুষ না দেখেও তাদের কল্পনায় সূক্ষ্ম দেহে ওই মানুষটার কল্পনায় বিরাজ করেন। কোনটা ঠিক? কে ঠিক? আমি কেন এত ভাবছি? আধুনিক মানুষ এক স্পর্ধাভোগী প্রানী মুই কি হনু রে ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না।

ভালো থাকুন।।

৩০| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



আর একটা বিষয় হচ্ছে আমি নিজের সব নিজেই সেট আপ করে যেতে চাচ্ছি , জানিনা কতখানি পারবো বাট ট্রায়িং । আমার মৃত্যু যেকোনো জায়গায় যে কোনও অবস্থায় হতে পারে । প্লেন একসিডেন্ট ও হতে পারে যে ডেড বডির খবর নেই । অনেক কিছুই হতে পারে যেটা জানিনা কিন্তু যেটা জানি আমি এখানেই থাকি, সবকিছু নরমাল হলে এখানেই মারা যাবো । তাই নিজেই গ্রেভ প্লট কিনে ঠিক করে যাওয়া যেন কিছু হলে ফ্রেন্ডসদের ইনভল্ভ না হতে হয় । আমি ফিউনেরাল ডিরেক্টরের সাথে কোথাও বলে রেখেছি । সময়ের সাথে সাথে বাকিটুকু জানা যাবে ।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: আমার অনুমান একদম বিফলে যায় নি। আমার ক্ষেত্রে আমি অসীম আগ্রহে অপেক্ষা করছি, কবে আসবে সেই মহেন্দ্রক্ষন সেদিন সমস্ত সত্য, মিথ্যা, সন্দেহের দোলাচাল থেকে মুক্ত হয়ে আমি এক অসীম সত্যের দেখা পাব, তা যাই হোক। ভালো থাকুন।

৩১| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



হ্যাঁ আমি জেনেশুনেই চাচ্ছি । আমি এও জানি এটা ইজি না কিন্তু চেষ্টা করছি । কনফিডেন্স আছে বাকিটা দেখা যাক । অনেকখানি হয়েছে সো ফার । আশা রাখি হয়তো পারবো ।

পুরনো লেখার যেই রেফারেন্স শায়রী দিয়েছে সেটা ভালো লেগেছে । কথাগুলো ধ্রুব সত্যি ।
হ্যাঁ অনুমান কাছাকাছিই ছিল । শায়রীর অসীম আগ্রহ আর অপেক্ষার কথা জেনেও ভালো লাগলো, ইন ফ্যাক্ট একরকম ভরসা পেলাম । ওভাবে ভাবতেই ভালো লাগে । থ্যাংকস শায়রী ।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: বোন একটা চারা গাছে যেমন ফল ধরে না, তেমনি মানুষের পরিপক্কতা আসতেও একটা সময়, সেই সময়কেই আমরা বয়স হিসাবে বলে থাকি। আবার সব গাছেই কিন্তু ফল ধরে না, আর ধরলেও সব ফল কিন্তু স্বাদু হয় না, আমি কি বোঝাতে চেয়েছি নিশ্চয়ই বুজতে পারছেন।

আমার অনেক আত্মীয় মাটির নীচে চলে গেছেন, তারা যদি সেখানে গিয়ে যে অবস্থায় থাকতে পারে আমি কেন না? সুতারাং মৃত্যুকে ভয় পাওয়া বাদ দিয়ে দিয়েছি, ভয় পাই একটা জিনিসকে তা হল মৃত্যুর আগে সৃষ্টিকর্তা যেন অসুস্থ্য করে বিছানায় ফেলে না রাখে, সেটা ভীষন মর্মান্তিক। অনেক দেখছি নিজ স্ত্রী, সন্তানও বিরক্ত হয়, এটা তাদের দোষও না আমিও হয়ত হব। তাই মৃত্যু যেন এক সাথে আসে। এটুকুই কামনা।

৩২| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:



এই একটা জায়গায় সবাই এক । কেউ ধুকে ধুকে মরতে চায়না ।

জোয়ানকে নিয়ে লেখা অনুতপ্ত । তাকে দেখেছিলাম ৯৫ বছর বয়সেও কি সুন্দর লাইফটা এঞ্জয় করতো আবার মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতো । তার সাথে অনেক গল্প হতো । তার অভিজ্ঞতার কথা, জীবনের গল্প শুনতাম । আর অবাক হয়ে দেখতাম কতো স্বাভাবিক ভাবেই সে ওয়েট করতো । তারপর হঠাৎ করেই চলে গেলো । মনে হয় আমি যদি তখন পাশে থাকতাম , দেখতে পেতাম তার অনুভূতিটা সেসময় কেমন ছিলো !

এটা এমনই একটা ভাস্ট চ্যাপ্টার যে এ কথার শেষ হবে না । পরে কখনও হয়তো আরও কথা হবে । ভালো থাকুক শায়রী ।


২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৮

শের শায়রী বলেছেন: হয়ত আবারো কথা হবে, তত দিন ভালো থাকুন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.