নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা উত্তর ভবিষ্যত পৃথিবী

৩০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩


ঢাকা শহরের আজকের কোন এক জায়গায় ত্রান দানের চিত্র

ধরে নিন, কমপক্ষে আগামী ৭/৮ মাস যাবত পৃথিবীব্যাপী করোনা তার মৃত্যু ছোবল রাখবে, সারা বিশ্বে যেখানে এখন গড়ে প্রায় ৩০০০ মানুষ মারা যাচ্ছে সেখানে আমি কোন দিনই বিশ্বাস করিনি চীনের উহানে মাত্র ৩৩০০ মানুষ মারা গেছে। আজকে মানব জমিনে একটা ফিচার আসছে যেখানে লিখছে ১২ দিনেই উহানে মৃত্যু হয়েছে ৪২০০০ (দেখুন করোনা: উহানেই মারা গেছেন ৪২,০০০ মানুষ!)। ইউরোপ আমেরিকায় প্রতিটা মানুষের জীবন হিসাব কিতাবের মাঝে থাকায় মৃত্যুর সংখ্যাটা মোটামুটি ধারনা পাওয়া যায়।

আমাদের দেশের মত দরিদ্র দেশে (যদিও এখানে এই দরিদ্র শব্দটি নিয়ে কনফিউশান আছে সরকারী ভাষ্যমতে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ তাও ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ) করোনা বড় ব্যাপার না, এখানে বড় ব্যাপার ক্ষুধা। এটা অবশ্য এই মুহুর্তে বিশ্বের দরিদ্র বা মধ্যম আয়ের দেশের জন্য না উন্নত দেশের জন্যও প্রযোজ্য। উন্নত দেশ গুলোতে সরকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছে। এদিকে আমাদের দেশে মহল্লা ভিত্তিক কিছু ত্রান দেয়া হচ্ছে তবে সেটাও অনেকটা ঢাকা ভিত্তিক, মফঃস্বলে কতটুকু আমার ধারনা নেই। কারন হোম কোয়ারেন্টাইনে নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো রাস্তায় নামতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পেটের ক্ষুধায় করোনা ভীতি অনেকটাই তিরোহিত। আপনি কি দেখছেন যখন কোন এলাকায় ত্রান দেবার ঘোষনা দেয়া হয় তখন কি অবস্থা তৈরী হয়? যদিও সরকার থেকে বার বার বলা হচ্ছে এক জায়গায় বেশী মানুষ যেন না আসে, কিন্তু কোথাও ত্রান দেবার কথা শুনলে সেখানে অসংখ্য মানুষ ভীড় করছে, এবং প্রয়োজনের তুলনায় সে ত্রান প্রায় অপ্রতুল। ভাগ্যবান যারা দুই/ পাচ কেজি চাল পাচ্ছে তারা দুই চারদিন না খেয়ে মৃত্যুকে ঠেকিয়ে দিচ্ছে, এটাই আত্মতৃপ্তি। আর যারা পাচ্ছে না, তাদের সজল চোখ গুলো দেখলে হয়ত মৃত্যুদুতেরও মায়া হবে। আমি ধন্যবাদ দিচ্ছি যারা এই দুর্যোগের মাঝেও মানুষকে সহায়তা দিচ্ছে, কিন্তু যারা ত্রান নিচ্ছে তারা কতটুকু এই করোনা ভাইরাসকে কেয়ার করছে? দেখুন নীচের ছবি। আজকের ছবি। সঙ্গত কারনেই স্থানের নাম দিলাম না।



গত কাল নিউ ইয়র্কে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে ফোনে আলাপ হচ্ছিল, এই দুর্যোগেও সে মজা করতে ছাড়ে না, অবশ্য আমার নিজস্ব বন্ধু সার্কেলের সবাই মজার। সে বলল, বুরুন্ডির প্রধানমন্ত্রীকে নাকি জিজ্ঞাস করা হয়েছে সারাবিশ্ব করোনা আক্রান্ত কিন্তু আপনার দেশ কিভাবে করোনা মুক্ত? (দেখুন বিশ্বে করোনা মুক্ত দেশের তালিকা করোনা ভাইরাস মুক্ত যে ৪২ দেশ ) জবাবে বুরুন্ডির প্রাধানমন্ত্রী বলে আমাদের করোনা টেষ্টের কোন উপকরন নাই, তাই কেউ করোনায় মারা যায় না। আরো মজার ব্যাপার জানুন পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার কিন্তু করোনা মুক্ত!!



কোন সুখই চিরস্থায়ী না, আবার কোন দুঃখই চিরকাল থাকেনা। আজ হোক কাল হোক এই করোনা ভাইরাস নির্মুল হবেই ইনশাল্লাহ। তবে কবে হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কত জন বাচবে কত জন মারা যাবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমার ওই বন্ধুর কাছ থেকেই শুনলাম, জ্যাকসান হাইটসের একটা মসজিদের ইমাম করোনায় আক্রান্ত হবার হবার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এক পর্যায়ে রোগীর অবস্থা সিরিয়াস হলে তাকে ভেন্টিলেশানে (ভেন্টিলেটর হল ‘লাইফ সেভিং ডিভাইস’। একে বলা হয় সাপোর্টিভ চিকিৎসা। অনেক সময় রোগ জটিলতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে দেখা যায় রোগী নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন না। তাঁর শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে না। রেসপিরেটরি ফেলিওর হচ্ছে। তখন কৃত্রিম উপায়ে বাইরে থেকে মেশিনের সাহায্যে শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখার চেষ্টা করা হয়। এটাই ভেন্টিলেশন। আর যে যন্ত্রের সাহায্যে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেটি হল ভেন্টিলেটর) রাখা হয়। কিছুক্ষন পর ডাক্তার এসে তাকে জানায় “তোমার বয়স ৬৫+, তোমার থেকে কম বয়সীরা এই মুহুর্তে ভেন্টিলেশানের অপেক্ষায় আছে, অথচ আমাদের এই যন্ত্রের অপ্রতুলতা আছে, সর‍্যি ফর দ্যাট, গুড বাই”। ভেন্টিলেটর খুলে নেয়া হয়। এখানে আবার কেউ ধর্মীয় উদ্দীপনা খুজবেন না, ইউরোপ আমেরিকার অবস্থা এখন অনেকটা এই অবস্থাতেই আছে, পরিস্থিতির সাপেক্ষে বয়স বেশীদের চিকিৎসা না দিয়ে যাদের বেচে থাকার সম্ভাবনা বেশী তাদেরই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এই করোনা থমকে দিয়েছে সমস্ত অর্থনীতিকে। সারাবিশ্বের অবস্থা অল রেডি লেজে গোবর, করোনা নিয়ে হৈ চৈ বেশি হচ্ছে কারন এটা ইউরোপ আমেরিকাকে আক্রমন করছে। এই ভাইরাস যদি এশিয়া, আফ্রিকায় এভাবে মানুষ মারত তবে এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার প্রয়োজন ছিল না। এই দুই মহাদেশ মৃত্যুকে জীবনের অন্যতম সখা হিসাবে জানে, সমস্যা হল, ইউরোপ আমেরিকায় এই মহামারী দেখা দিল (আমাদেরকে আমি হিসাব দিয়ে বাদ দিয়ে নিচ্ছি মানে এশিয়া আফ্রিকা), এর লম্বা দায় টানতে হবে আমাদের মত গরীব দেশ গুলোর। কবে এর প্রকোপ কমবে জানি না, উন্নত বিশ্ব বা এশিয়ার সামর্থ্যবান দেশ গুলো এক্সট্রা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার এর পেছনে অতিরিক্ত ব্যায় করছে, সেক্ষেত্রে আমাদের মত সাহায্য প্রত্যাশী দেশ গুলো তাদের সাহায্য ছাড়া কিছু দিন কিভাবে চলবে?

মাত্র এক সপ্তাহ লক ডাউনেই বর্তমানে ত্রানের সহায়তা নিতে গিয়ে সমস্ত চিকিৎসা আইন কানুন ভেঙ্গে গেছে, মানুষ করোনা ছাড়াও অন্যান্য অষুখে যদি তার সাথে সামান্য জ্বর থাকে তবে বিনা চিকিৎসায় মরছে। এগুলো নিউজ পেপারে আসছে, ওদিকে হুশিয়ারি আছে করোনা্ নিয়ে কোন গুজব চলবে না। কোনটা গুজব আর কোনটা গুজব না পার্থক্য করাটাই বিরাট ব্যাপার। হাজার হাজার পিপিই আসছে, কিন্তু কয়জনে বুজতে পারে এই সব পিপিই সব ডিসপোজাবেল (যদি সেটা কারেক্ট পিপিই হয়েও থাকে)। মানে যে সব পিপিই পরে ডাক্তাররা চিকিৎসা দেবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর সেটা (প্রায় ক্ষেত্রেই ১২/২৪ ঘন্টা) আর সুরক্ষা দিতে সক্ষম না। আবার নতুন পিপিই লাগবে। এবং পিপিই নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই, কারন এটা জীবন মরন প্রশ্ন। আপনি যে মাস্ক পরে করোনা ভাইরাস ঠিকিয়ে দিচ্ছেন ভেবে নিশ্চিন্তে মনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সেটা কি ভাইরাস প্রোটেক্টেড না ধুলাবালি প্রটেক্টেড (দেখুন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরঞ্জাম সঙ্কট বাংলাদেশে)।

বিশ্ব অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক অবস্থা সামনের দিন গুলোতে সব চেঞ্জ হয়ে যাবে। এমনিই মানুষ এখন আত্ম কেন্দ্রিক হয়ে আছে, সামনে আরো হবে। বিদেশ মুখাপেক্ষী আমাদের মত দেশগুলোর অবস্থা ভয়াবহ হবে, যদি করোনা থেকে বেচেও যান। একটা জেনারেশান লাগবে এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে। বানের পানির মত বিদেশ থেকে মানুষ গুলো দেশে আসছে যাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর একটা বিশাল জন গোষ্ঠী বেচে থাকত। লক ডাউনের নামে বিত্তবানরা কিছুটা সুরক্ষা পাচ্ছেন মানে যাদের টাকা আছে, কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কি হবে ( দেখুন সাবেক এমপির ক্ষোভ)?

করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি আমাদের এখনি ভাবতে হবে কিভাবে পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে আমরা তাল মেলাব, না হলে তখন ভাবতে বসলে এর চড়া মুল্য আমাদের দিতে হবে।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

কুকরা বলেছেন: চীনের ৪২০০০ মৃতের ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাইলে তো হিসাব ভিন্ন রকম হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

শের শায়রী বলেছেন: পত্রিকায় তো তাই লিখল, ৪২০০০ লিঙ্ক দিয়েছি। তবে এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি মাত্র ৩৩০০ মারা যায় নি, চায়নিজরা আসল তথ্য প্রকাশ করেনি।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের ভাবনা আমাদের ভাবার দিন কি আছে? ম্যা'ভাই!

তাও ঐ যে যাত্রার বিবেকের পাঠ!
অনেকটা আত্মযাতনা মিটাতেই আমরা সেই পাঠ গেয়ে যাই :((
উত্তর কোরিয়ায় যেমন সব ভাবনা একজনের, তেমনি ছেড়ে দিন ম্যা'ভাই
এক্কবারে সে্ই সনাতন জমানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে- যা করে আল্লাতেই স্বস্তি এখন!

ক্ষমতাসীনরা কবে কেথায় আমজনতার জন্য কেঁদেছে? সবাই কি আর ট্রুডোর মতো মানুষ?
ইয়েমেন কংকাল সার শিশুর ছবি আর শেখদের অতিকায় ভুরিভোজের ছবিতো পুরানো!
আমাদের বাসন্তি বা মনন্তর স্মৃতি থেকে হয়তো জীবন্ত হয়ে উঠবে! তাতে থৌরাই বিত্তবানদের আসবে যাবে?
ওরা আমজনতার মাঝ থেকে টিপে টুপে শক্ত সমর্থ, জোয়ান গুলৌ খুঁজে নেবে! বাকীরা জাহান্নামে যাক!

বড় দু:খেই বলি ম্যা'ভাই। করোনা পূর্ব যে চাপাবাজি দেখেছি আর বাস্তবতায় যে সত্য দেখছি- তাতে আশার দেউটি নিভূ নিভূই বটে।

তারপরো, আশঅই ভরসা জীবন পথে। সোনালী ভোরের স্বপ্ন দেখি
একদিন ভোর হবে
রাতের আঁধার কেটে যাবে
মৌলিক মানবাধীকারে আমরা ফিরে যাবো সোনালী অতীতে
জনগনের মতামতের সম্মানে দশবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
মানুষ আর মানবতাই হবে প্রধান উপজীব্য।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই আশাই আমাদের এক মাত্র ভরসা, আপনিই আপনার মন্তব্যের জবাব দিয়ে দিয়েছেন

তারপরো, আশঅই ভরসা জীবন পথে। সোনালী ভোরের স্বপ্ন দেখি
একদিন ভোর হবে
রাতের আঁধার কেটে যাবে
মৌলিক মানবাধীকারে আমরা ফিরে যাবো সোনালী অতীতে
জনগনের মতামতের সম্মানে দশবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
মানুষ আর মানবতাই হবে প্রধান উপজীব্য।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গে মমতা ব্যানার্জি নিজে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। আর আমরা ভিডিও কনফারেন্স। চীন পুরো বিশ্ব কে ধোকা দিয়েছে। প্রথমত করোনা রোগে জান আর মালের যে ক্ষতি
তার দায় চীনের। তাদের আদালতের কাঠূ দাঁড় করানো উচিৎ।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০২

শের শায়রী বলেছেন: চীন প্রথম থেকেই ধোকা দিয়েছে সারা বিশ্বকে।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অহন পয্যন্ত যতোগুলি চাইনিজ পাইছি, সবগুলাই বিরাট বদ এবং বাটপার। এরা কোনটা সত্যি কয়, কোনটা মিথ্যা কয় বোঝা মুশকিল। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীও কইছে, চাইনিজ হালারা মিছা কতা কয়া দুইন্নার মাইনষেরে ধোকা দিছে! X(

আপনে জানেন বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের অংশ। হেরপরেও দরিদ্র কন, আপনে হইলেন বড় রাজাকার। দেশে থাকনের কোন অধিকার আপনের নাই। আম্রিকায় গাজীভাইয়ের যান গিয়া, চাইলে আমার কাছেও আইতে পারেন। :P যাগো নিম্ন আয়ের মানুষ কইতাছেন হ্যারাও রাজাকার। সরকার কইছে, কুন অসুবিদা নাই, ঘরে বয়া থাক! কিন্তু এইগুলা কথা হুনে না। আমাগো সরকারের উপ্রে ভরসা করা দেশপ্রেমের অঙ্গ।

বুরুন্ডির প্রধানমন্ত্রীরে নাগরিকত্ব দিয়া বাংলাদেশে নিয়া আসার জোর দাবী জানাই। নিম্ন আয়ের দেশগুলা (আম্রিকা, বৃটেন, ইওরোপ) করোনার ধাক্কা সামলাইতে পারবো না জানা কথা। অপেক্ষা করেন, অগো মন্ত্রীরা বাংলাদেশে আইসা আমাগো মন্ত্রীগো পয়ে ধইরা বইয়া থাকবো জানার জন্য যে, কেমনে বাংলাদেশের মতো উন্নত দ্যাশ এই ধাক্কা সামলাইলো।

আমাগো পুরা মন্ত্রী পরিষদের নাম বিশ্ব-ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখনের দিন অতি নিকটে। জয় বাংলা!!! =p~

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই, কিছু কিছু জায়গায় অতি সীমিত আকারে ত্রান দিচ্ছে, মানুষগুলোর চেহারার দিকে তাকানো যায় না, এখন তো তাও কিছু ত্রান দিচ্ছে কিন্তু আর কয়দিন এমন চললে কি হবে আল্লাহ জানে। আর চীন সারা দুনিয়ার কাছে মিথ্যা কথা বলছে।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৪

এইচ তালুকদার বলেছেন: একটু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি,করোনার কারনে কিছুটা অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দেবার সাথে সাথেই ক্ষুধার্ত মানুষের লাইন লেগে গেল,সরকারের খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন হবার দাবি কি তাহলে মিথ্যা?সরকারের দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এই দরিদ্র মানুষ গুলোকে খাও্যানোর দায়িত্ব সরকার কেন নিচ্ছে না।বর্তমান করোনায় স্থবির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আইসবার্গের টিপ এর মত আসল ধাক্কা তো অপেক্ষা করছে যেটা মাস দুয়েকের মদ্ধে রপ্তানি আয় আর রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসার সাথে সাথে বোঝা যাবে।আরেকটা বিষয় অবাক এবং শংকিত করছে সেটা হচ্ছে খুব সম্ভবত এখন আমন ধান রোপনের সময় লকডাউন আইসোলেশনের জন্য এই ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হবে কিনা বা এই সংক্রান্ত সচেতনতার জন্যও কোন উদ্দোগ চোখে পড়ছে না।সরকার তাহলে করছে টা কি?

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৬

শের শায়রী বলেছেন: বর্তমান পরিস্থিতি আইসবার্গের টিপ আপনি যেমন বলছেন, আর কিছু বলার নাই আমার। ওই এক কথায়ই সব প্রকাশ করে দিয়েছেন।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি গত কয়েকদিন একটা জিনিস ভেবে খুব অবাক হয়ে গেছি, সমগ্র বিশ্বকে যেভাবে করোলার করালগ্রাসে আক্রান্ত তাতে আমাদের মতো মানুষরা ব্লগাররা ব্লগে লেখা লিখতে পারে কিভাবে। তারমধ্যে আপনার পোস্টগুলো সহজ কথা রূঢ় বাস্তবধর্মী হওয়াতে আপনার মনের কাঠিন্য নিয়ে প্রশ্ন জাগছিল। আজ আপনার নিউইয়র্কের বন্ধুর কথোপকথন শুনে বিষয়টি উপলব্ধি হল।
বন্দিজীবন আমরাও কাটাচ্ছি আপনিও কাটাচ্ছেন কিন্তু আমরা আপনার মত ভাবতে পারছিনা। আপনার ভাবনা শক্তিকে স্যালুট জানাই।

শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩১

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, জীবনের কিছু কিছু সময় আমাকে বিভিন্ন পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে নিয়েছে, আমি জানি সবার জীবনে এরকম কঠিন পরিস্থিতি আসে, কিন্তু আমি যে সব পরিস্থিতি দেখে আসছি তার কোন কোনটা অবর্ননীয়। সেগুলো সামলে আমি একটা ব্যাপারই শিখছি, মৃত্যুটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার, ভাবতে শেখ মৃত্যুর মুখে দাড়িয়েও, সামনের দিন কি হবে তা নিয়ে, যদি বেচে থাক আগামীকাল।

অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ ভাই।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: করোণার সময় যে বিষয়টি আমার ভালো লাগছে তা হলো-

দানের বিষয়টি ফেসবুকে-টেলিভিশনে-পত্রিকায় আসা একদিক থেকে ভালো। একজনকে দেখে তো আরেকজন উৎসাহিত হতে পারে। বেশি জরুরি হলো সৎ ইচ্ছা।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: যে কোন দুর্যোগেই এদেশে দান করার প্রথা প্রচলিত রাজীব ভাই। কিন্তু সেই সব দুর্যোগ আর এই দুর্যোগ এক না, এই দুর্যোগে সাহায্য করতে গেলেও যথাযথ হিসাবে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করতে হবে, না হলে এই দানই দানব হিসাবে দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলদ্ধি করে নিয়ম মেনে দান না করলে সেটা বুমেরাং হয়ে আসবে। এব্যাপারে রাষ্ট্রই পারে যথাযথ ভুমিকা নিতে সাধারনের খুব বেশী কিছু করার নেই।

কারো যদি দানের ইচ্ছাই থাকে সেক্ষেত্রে সেটা যেন রাষ্ট্রের মাধ্যমেই হয় যথাযথ নিয়ম মেনে না হলে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা। এই যে এত গুলো মানুষ এক জায়গায় জমায়েত হচ্ছে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এটা কিন্তু মারাত্মক।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: করোনা উত্তর পৃথিবীটা কেমন হবে সেটা কমই দেখতে পেলাম আপনার লেখায়। এটা খুব দারুন বিষয়। কী হবে? করোনা উত্তর পৃথিবীতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছিল। এবারের যুদ্ধটাও কিন্তু কম না। রাষ্ট্রপ্রধানরা আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা গেলেও আশ্চর্য হবোনা। এটা যদি চলতে থাকে। পৃথিবীর ললাটে অর্থনৈতিক মন্দা অপরিহার্য। আসলে কী কোন পরিবর্তন হবে আগামীর সামাজিক অর্থনৈতিক ও পরিবেশের ক্ষেত্রে? আশা করি উত্তর খুঁজে আরেকটা লেখা দেবেন।
ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩

শের শায়রী বলেছেন: সায়েমুজজ্জামান ভাই আপনি এক দম ঠিক, আমি আসলে করোনা উত্তর পৃথিবীটা নিয়ে লিখতে বসেছিলাম, সব গুছিয়েও এনেছিলাম, মানে আমার ধারনা গুলো, কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখলাম এর একটা প্রাককথন দরকার, সেটা লিখতে গিয়ে দেখলাম একটা পোষ্ট হয়ে গেছে, আর লেখার হেড লাইনটা শুরুতে ছিল সেটাও আর চেঞ্জ করা হয়নি, মুলতঃ শেষের দুই প্যারায় এসে একটু টাচ করছি মুল ব্যাপারে। তবে লিখব করোনা উত্তর পৃথিবী যেমনটা আপনি বলছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবী সারা বিশ্বকে চেঞ্জ করে দিয়েছিল। আমার ধারনা এবারের পরিবর্তনটা হবে অন্য মাত্রায় আরো ব্যাপক ভাবে। আমি চেষ্টা করব আমার ভাবনা গুলো লিখে একটা পোষ্ট আকারে দিতে।

এই প্রাককথনটা দিলাম এই কারনে যে, এনিয়ে হয়ত এখন কেউ কেউ ভাববে, ভাবুক। ভাবনা থেকেই অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। হয়ত আমার ভাবনা থেকেও ভালো কিছু।

অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: উপর এর কমেন্টকারী কয়েকজন বিশেষজ্ঞ কে এখনই বাংলাদেশের অথবা তাবত বিশ্বের করোনা কে নির্মূল করার জন্য দ্বায়িত্ব দেওয়া হোক...যেখানে সারা বিশ্ব খাবি খাচ্ছে, মনে হচ্ছে তাদের কাছেই এর সমাধান জানা আছে...বিভিন্ন সরকার চাচ্ছে জনগন মারা যাক তাই তারা কোন কাজ করছে না......উপরের ব্লগার রা জানে সব সমাধান।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৬

শের শায়রী বলেছেন: ব্লগাররা আসলেই সব জানে :D !!!!

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশের মত বিশৃখল দেশে জনস্বাস্থ শৃক্ষলা বজায় রাখতে কিছু তথ্য গোপন রাখা অন্যায় মনে করি না।
চীনও একই পন্থা অবলম্বন করেছে।
চীন কঠিন ব্যাবস্থা নিতে পেরেছে, করোনা টেষ্টের নামে অযথা ছুটাছুটি না করে ৩ সপ্তাহের বেশি সময় মানুষকে পিটিয়ে গুলি করে কার্ফিউর মত ঘরবন্দি রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
যার ফলে যারা করোনা ক্যারিয়ার ৭দিনে হয় ইনফেক্টেড হয়ে বাকি দিনে ভাল হয়ে গেছে নতুবা অল্পকিছু মারা গেছে। কিন্তু এই ৩ সপ্তাহে মরে-বেচে সমগ্র কমুনিটি করোনা মুক্ত হয়েছে।
চীন বাকি বিশ্বকে করোনা মুক্তির পথ দেখাচ্ছে।

করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত চীন বর্তমানে সামলে উঠে ঘুরে দাড়িয়েছে।
নতুন কোন আক্রান্ত নেই বললেই চলে।
রাস্তায় মানুষ চলাচল শুরু, অফিস, কারখানা প্রডাকশান লাইনগুলো চালু হওয়া শুরু করেছে। তবে এখনো সাবধানে ৩ ফুট সামাজিক/দৈহিক দুরত্ব বহাল রেখে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আপনি চীনের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলেন!!!! আপনিই লিখছেন চীন কঠিন ব্যাবস্থা নিতে পেরেছে, করোনা টেষ্টের নামে অযথা ছুটাছুটি না করে ৩ সপ্তাহের বেশি সময় মানুষকে পিটিয়ে গুলি করে কার্ফিউর মত ঘরবন্দি রাখতে সক্ষম হয়েছিল। ভালো কথা। আপনি কি জানেন এই দেশে এখনো পাচ ওয়াক্ত নামায জামাতে হয়, আপনি কি জানেন ত্রান দেবার/ নেবার নামে বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়? চালান তাহলে এদের ওপর গুলি।

আর ৪২০০০ মানুষকে কিভাবে কি করছে উহানে তার কোন হিসাব নাই, আপনি বোধ হয় আমেরিকা থাকেন, সেখানকার কোন কর্তা ব্যাক্তিকে চীনের উদাহরন দিয়ে দেখতে পারেন। আর বাংলাদেশের কথা যদি বলেন, তবে আমাদের জন্য করোনার থেকেও বড় ভয় "পেটের ক্ষুধা"।

আর চীন কতদুর কি সামলে উঠছে তাও কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ! আপনার বিজ্ঞোচিত মন্তব্য আশা রাখি এদেশের সরকারের করোনা মোকাবেলায় পথ সুগম করবে। আর জন স্বার্থে সরকার যে কোন পদক্ষেপই নিতে পারে। কিন্তু পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো কেন যেন এটা পারে না বিধায় তাদের কে মানুষ বিশ্বাস করে। ধন্যবাদ আপনাকে। বড় অবলীলায় বলে গেলেন গুলি কার্ফিউ চালাতে। অথচ দেখুন সামান্য কান ধরা নিয়ে কি কান্ডটাই না হল!!! :P

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ত্রাণ নিয়ে অনেক দানশীল ব্যক্তি এগিয়ে এসেছে। তবে মনে হয় সরকারী তথ্যে লুকাচুরি আছে।

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা অনেকে ব্যাক্তিগত ভাবেও সহায়তা দিচ্ছে।

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:০০

সোহানী বলেছেন: এখনকার দিন নিয়ে যেমন চিন্তা করছি সামনের দিনগুলো নিয়ে চিন্তা আরো বেশী। খুব সহজ হিসাব, সারা বিশ্ব যেখানে নিজেদের জীবন বাচাঁতে লড়াই করে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দিকে তাকানোর সময় তাদের নেই। এবং এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়বে বিশ্ব অর্থনীতির উপর। আর আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধারা কাজ হারাবে। এর প্রভাব ডাইরেক্ট পড়বে দেশর অর্থনীতির উপর।

আর নিম্নবিত্ত মানুষগুলো কতদিন বসে থাকবে না খেয়ে। সরকারী পর্যায়ে কোন সাহায্য ঘোষনা এসেছে কিনা জানি না। আর ঘোষনা আসলেও তা কিভাবে বন্টন হবে? এ ফান্ডের জোগাড় কিভাবে হবে?

অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:২২

শের শায়রী বলেছেন: বোন অসংখ্য প্রশ্ন মাথায় আসার সাথে সাথে অসংখ্য সুযোগের সমাহার দেখছি। বিশ্বাস করুন। পৃথিবীর অনেক দেশকে শুন্য দিয়ে শুরু করতে হবে, সেক্ষেত্রে সবার সমান সুযোগ থাকবে। অবশ্যই ধনী রাষ্ট্র গুলো অল্প কিছু সুবিধা বেশী নিয়ে এগিয়ে থাকবে, কিন্তু ধ্বংস স্তুপের মাঝে দিয়ে ফিনিক্স হবার সুযোগ সবার কম বেশী থাকবে। প্রশ্ন হল আমরা কি ফিনিক্স হতে পারব না ছাই হয়েই ধুলোয় মিশে যাব। শুধু চাই এই দেশ টাকে ভালোবাসার এবং শেষ পর্যন্ত সৎ থাকার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবার। ইটস এ্যান অপারচ্যুনিটি।



১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর সব মুসলিম দেশ সব মসজিদ সম্পুর্ন বন্ধ করে দিয়েছে
পশ্চিমবংগ ও বাংলাদেশের বাংগালীরা নবীর চেয়ে বড় মুসলমান। তাই এদের সাথে কেউ পেরে উঠে না।
এই কঠিন ধার্মিক মুসলিমরা এত দুর্নিতীবাজ ধর্ষকবাজ হয় কেন? একের পর এক মসজিদে ধর্ষন হত্যা হয় কেন?
অফিসে চেয়ারে বসে ঘুষ খেতে খেতে হঠাৎ চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে বলে "নামাজের টাইম হয়ে গেছে একটু বসেন"

তবে পাকিরা কঠিন ব্যাবস্থা নিতে পেরেছে। যেমন কুকুর তেমন মুগুর।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: সেক্ষেত্রে দেখুন বাংলাদেশের নিউজ



মুল নিউজ গুজব বর্জন নিশ্চিত করুন, মসজিদ কমিটিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তো এর জন্য আপনি কাকে দায়ী করবেন? আমাদের মত সাধারনদের?

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৫

রাফা বলেছেন: নাইন ইলেভেন যেমন পৃথিবি'কে বদলে দিয়েছে ঠিক করোনা পরবর্তি পৃথিবিও বদলে যাবে বলেই মনে হোচ্ছে। বাংলাদেশ'ক নেতৃত্ব দেওয়ার মত কঠিন কাজ পৃথিবিতে আর কিছু মনে হয় নাই। সহজ কাজকে কঠিন করে ফেলাই আমাদের লক্ষ থাকে।প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছে বিভিন্ন দেশ থেকে তারা একেবারে গন্ড মূর্খ নিশ্চই নয়।অথচ কাজগুলো করছে তারা ব-কলম মানুষের মত। এই প্রবাসীরাই যখন বিদেশে শতভাগ মেনে চলে সেই দেশের আইন।অথচ দেশে ফিরে ১৫ দিন আলাদা থাকাটা কি এতই কঠিন ছিলো তাদের জন্য ?নিশ্চই বলবেননা তাদের সেই সক্ষমতা নেই।যদি তারা শুধু কোয়ারেইন্টেন মনে চলতো তাহলে অর্ধেক ঝুকি কমে যেতো।বাকিটা সামাল দেওয়ার জন্য সরকারের পাশাপাশি সচেতন এবং সহ্রদয় মানুষ অনেকটাই সামাল দিতে পারতো বলে আমার বিশ্বাস।
অথচ এখন পুরো ব্যাপারটে লেজেগোবরে অবস্থা।আমাদের সীমাবদ্ধতা জেনেও আমরাই আমাদের আপনজন ও অন্যদের বিপদের কারন হচ্ছি।বাংলাদেশের বাস্তবতাটা ভালোই এনেছেন আপনার লেখায়।
ধন্যবাদ,শে.শায়রী।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৭

শের শায়রী বলেছেন: হেই রাফা ভাই অনেক অনেক দিন পর আপনাকে পেলাম। ভালো আছেন তো? এদেশের সব থেকে গন্ডমুর্খটাও যখন বিদেশে যায় আমার নিজের চোখে দেখা কি সুন্দর বিদেশীর মত নিয়ম মানে, সব কিছু সিষ্টেমিক ভাবে মেনে চলে, আবার যখন দেশে আসে (এ দৃশ্য আমি অসংখ্যবার দেখছি, চাকুরী উপলক্ষ্যে এক সময় প্রতি মাসে বাধ্যতামুলক বিদেশ ভ্রমন করতে হত) বিশ্বাস করেন রাফা ভাই প্লেনে যে মানুষটাকে সব থেকে স্যুটেড বুটেড সভ্য ভব্য মনে হয়েছে সেই সবার আগে লাফ দিয়ে ব্যাগটা নামায় লাগেজ কম্পার্টমেন্ট থেকে, অথচ তখনো প্লেন ল্যান্ড ও করে নাই, আমি বিদেশে যাবার সময় কোন বাংলাদেশী প্যাসেঞ্জার কে দেখি নি মাতাল হয়ে বমি করছে, অথচ দেশে ব্যাক করার সময় অনেক দেখছি।

এগুলো বলার মানে এই না যে, আমি এই দেশ টাকে অপছন্দ করি, পছন্দ করি বিধায় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিদেশে সেটেলড হই নাই। এগুলো বলার মানে এই যে আমরা একটা নষ্ট সিষ্টেমে বেড়ে উঠছি, যেখানে নিয়ম না মানা টাই নিয়ম। কার দোষ দেব? এবং দিন দিন এই নষ্টামি বেড়ে যাচ্ছে টপ টু বটম। দোষ কারো নাই। আবার সবারই। তবে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে, এমন কোন ঝড়ে এই করোনা টাইপের কিছু একটায় সব ঠিক হয়ে যাবে, হয়ত কিছু দুঃখজনক ক্ষতি হবে, কিন্তু লাভের পাল্লাটা অনেক বেশী হবে। আমি আশাবাদী।

অনেক দিন পর দেখায় ভালো লাগছে রাফা ভাই। লেখালেখি টা চালিয়ে যান, আপনাদের দেখলেও ভালো লাগে।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৭

কুকরা বলেছেন: রাফা বলেছেন: নাইন ইলেভেন যেমন পৃথিবি'কে বদলে দিয়েছে ঠিক করোনা পরবর্তি পৃথিবিও বদলে যাবে বলেই মনে হোচ্ছে।

শুধু এই বিষয়টা নিয়েই কয়েকটা বিশ্লেষনধর্মী লেখা হতে পারে।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৩

শের শায়রী বলেছেন: সেটা নিয়ে লিখতেই বসেছিলাম ভাই, এই জন্যই হেডিংটা ছিল করোনা উত্তর পৃথিবী সব গুছিয়েও এনেছিলাম, মানে আমার ধারনা গুলো, কিন্তু লিখতে গিয়ে দেখলাম এর একটা প্রাককথন দরকার, সেটা লিখতে গিয়ে দেখলাম একটা পোষ্ট হয়ে গেছে, আর লেখার হেড লাইনটা শুরুতে ছিল সেটাও আর চেঞ্জ করা হয়নি, মুলতঃ শেষের দুই প্যারায় এসে একটু টাচ করছি মুল ব্যাপারে। শুধু নাইন ইলেভেন কেন এখানে আপনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীর পরিবর্তনটাও দেখাতে পারেন, দেখাতে পারেন ৯০ তে রাশিয়া ভেঙ্গে যাবার পর এক কেন্দ্রিক পৃথিবী।

আমার ধারনা এবারের পরিবর্তনটা হবে অন্য মাত্রায় আরো ব্যাপক ভাবে। আমি চেষ্টা করব আমার ভাবনা গুলো লিখে একটা পোষ্ট আকারে দিতে। এই প্রাককথনটা দিলাম এই কারনে যে, এনিয়ে হয়ত এখন কেউ কেউ ভাববে, ভাবুক। ভাবনা থেকেই অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। হয়ত আমার ভাবনা থেকেও ভালো কিছু।

অশেষ কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ।

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩২

আমিনভাই বলেছেন: আচ্ছা আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোন ফান্ড করছে না কেন? চিকিৎসা আর ত্রান কেন ইউনিয়ন পরজায় নেওয়া হচ্ছে না। যেমন ছোট অস্থায়ী একটি হাসপাতাল, কয়েকশো পিপিই, কিছু সেবাকর্মী, দুই একটা যানবাহন ইত্যাদি। আমরা অত্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসাটা নিয়ে মরি। ৪৫০০ মতো ইউনিয়ন সরকার তো কত প্রকল্পই নে। এককোটি করে বাজেট করলে সরকার তো আর গরিব হয়ে যাবে না। আমরা সাহস পেতাম আর সামান্য চিকিৎসা নিয়ে মারতাম।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪১

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যটি আমাকে ছুয়ে গেছে, কিন্তু কি জবাব দেব? জবাব দেবার ক্ষমতা আমার নাই।

১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার কেন যেন মনে হয় করোনা মোকাবেলা করে এই পৃথীবি যদি বেঁচে যায় তবে তখন আমাদের মত দরিদ্র দেশগুলো উপকৃত হবে কিছুটা। করোনা মোটামোটি কন্ট্রোলে আসা মাত্র দেশগুলো পুনরায় তাদের নুয়ে পরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে উঠে পড়ে লাগবে। প্রচুর মানুষ হারানো দেশগুলো পুনর্গঠন করতে প্রয়োজন হবে লোকবল যার জোগান দেবে দরিদ্র দেশগুলো। কিন্ত সেই পৃথীবি দেখার জন্য আমরা ও আমাদের কতজন প্রিয়জন বেচেঁ থাকবে প্রশ্ন সেটাই।

বাংলাদেশের কথা কিছু কইতে চাই না। এক আল্লাহ ছাড়া দ্বীতিয় আর কোন ভরসাস্থলের দেখা পাই না।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: দেখুন অল রেডি এনিয়ে লেখা শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব কেমন হবে? (পর্ব-১)

১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মার্চ ৩০, ২০২০ পর্যন্ত পৃথিবীর দেশে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশীদের মৃত্যুর তালিকা-

১) বাংলাদেশ - ৫ জন।
২) যুক্তরাষ্ট্র- ২৪ জন।
৩) ইতালী- ২ জন।
৪) যুক্তরাজ্য- ১০ জন।
৫) স্পেন- ১ জন।
৬) কাতার- ১ জন।
৭) লিবিয়া- ১ জন।
৮) গাম্বিয়া- ১ জন।

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এর জবাব কি দেবেন? মার্চে শ্বাসতন্ত্রে আক্রান্ত রোগী ১৪ গুণ বেশি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.