নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
আমাদের ছোটকালে পাড়ার ইজ্জত ছিল সব থেকে বেশী। প্রায় সব পাড়ায়ই একটা না একটা ক্লাবের মত ছিল, নাম গুলো ছিল বাহারী “নজরুল স্মৃতি ক্লাব”, “জাগরনী বয়েজ ক্লাব”, “সবুজ সংঘ ফুটবল ক্লাব” এই টাইপের। এই ক্লাব গুলোই ছিল পাড়ার ইজ্জতের আতুর ঘর। ইজ্জতের আতুর ঘর বলতে কি বুজাচ্ছি একটু ব্যাখ্যা দেয়া লাগে না হলে এই যুগের ইয়াং বয়েজরা বুজতে পারবে না।
ধরেন, আপনার শহরে দুটো পাড়া আছে একটা পাড়ার নাম যোগীর কোল, আর এক পাড়ার নাম ঝাউতলা। এখন ঝাউতলায় অবিনাশ দাদার এক অপরূপ সুন্দরী বোন আছে নাম পুস্পাদি (অবশ্য কোন কবি যেন বলে গেছে যৌবনে কুক্কুরীও সুন্দরী)। সে কিন্তু ঝাউতলার ইয়াং জেনারেশানের সন্মান বা ভালোবাসার পাত্রী। এক মাত্র ওই পাড়ার, এমতাবস্থায় ধরেন যোগীর কোলের জ্যাঠা ছেলে হরেন এক দিন সাইকেলে এসে অথবা পুস্পাদি যোগীর কোল বেড়াতে গেছে সেখানে তাকে দেখে হরেন এবং তার দল বল শিষ দিয়ে উঠল। পুস্পাদি কাদতে কাদতে এসে ভাই অবিনাশ দাদাকে সে কথা বলল, অবিনাশ দাদা এসে তার পাড়ার ক্লাবে চোখ লাল করে এহেন অপমানের কথা বলতে বলতে হাতে হকি ষ্টিক তুলে নিল।
ব্যাস কাজ হয়ে গেল পাড়ার এমন গৌরব এবং ভালোবাসার সন্মান রক্ষার্থে সবাই হকিষ্টিক অথবা লোহার রড (ম্যাক্সিমাম দু একটা রামদা) নিয়ে যোগীর কোলের অভিমুখে রওনা দিল হরেন বাহিনীকে শায়েস্তা করার নিমিত্তে (তখনো ক্রিকেট খেলার চল হয় নি, তাই ক্রিকেট ষ্ট্যাম্প দুর্লভ বস্তু ছিল)। মোহন দাদা ছিল আমাদের এলাকার বোমা স্পেসালিষ্ট, সে বোমা বানানোর কায়দাও ছিল ভিন্ন, জর্দার কৌটায় কি সব যেন ভরে কালো ইলেকট্রিক টেপ পেচিয়ে বানাত, ছুড়ে দিলে বিকট আওয়াজে ফাটত, এছাড়াও ছিল কোকের বোতল, কিভাবে যেন কায়দা করে মারলে সেটাও বিকট আওয়াজ হত। যাই হোক উভয়পক্ষের মাঝে ইটাইটি শুরু হতেই কিছুক্ষনের মাঝে পুলিশ চলে আসত, উভয় বাহিনী যে যার এলাকায় ফিরে যেত পুলিশ ও নিজ থানায় ফিরে যেত। এগুলো সে সময়ের পুলিশ খুব বেশি পাত্তা দিত না।
আবার ধরেন পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা মানে কোনমতেই কোণ পাড়া হেরে যেতে পারবে না, কোন পাড়া হারার অবস্থায় গেলেই অবধারিত ভাবে কোন এক ছুতা নাতায় মাইর পিট অবধারিত। অবশ্য তাতে আহত খুব কমই হত। ভুলক্রমে কারো মাথায় ইট পড়লে সামান্য ব্যান্ডেজেই কাজ হয়ে যেত তবে এলাকায় সে পেত হিরোর মর্যদা। কয়েকদিন দুই এলাকার ইয়াং গ্রুপ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেত না, গেলে কপালে খারাবি ছিল ধরা পড়লে, পরে অবশ্য উভয় এলাকার সিনিয়র ভাইদের মিটিং এ এর সুরাহা হত।
এলাকায় কোন ব্যাপারে সহায়তা লাগবে, বা ঈদ পুজায় চাঁদা লাগবে? এলাকার ক্লাবের এবং এর সদস্যদের (জন্মগত ভাবে অথবা অবস্থান গত ভাবে যে যার এলাকার ক্লাবের সদস্য হয়ে যেত) একচেটিয়া পবিত্র দায়িত্ব। সন্ধ্যার পর উঠতি বয়সীদের আড্ডার স্থল ছিল ক্লাব ঘর, সেখানে বয়স ভিত্তিক আড্ডা চালু ছিল, আর ছিল সন্মান, এক বছরের সিনিয়রের সামনে সিগারেট ধরানো মানে নির্ঘাত খুনের অপরাধে অপরাধী হওয়ার সমান। এলাকার বড় ভাইদের সন্মান না দিলে এনিয়ে নির্ঘাত বিচার আচারের মুখোমুখি হতে হত। সেকালে এ যুগের মত ফেন্সিডীল, ইয়াবা চল ছিল না। কিসের যে চল ছিল সেটা কখনো বুজি নি কারন বাসার কড়া নির্দেশে ইন্টার মেডিয়েট পর্যন্ত ঠিক মাগরেবের আযানের মধ্যে বাসায় ফিরে আসতে হত।
আমাদের ছেলে বেলায় নিটোল আড্ডায় অসাধারন সে সব সময় কাটত। বাসায় বসে থেকে ইদানিং এগুলো খুব মাথার ভেতর জ্বালাচ্ছে। লিখে রাখছি। নেই কাজ তো খৈ ভাজ। সময় যত পার করে বড় হয়েছি তত আমাদের নষ্টামি জ্যামিতিক হারে বেড়ে গেছে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাই চোখের সামনে দেখছে। আমরা যারা টাইপ রাইটারে টাইপ করে পরীক্ষা দিয়েছি (সেকালে মেট্রিক মানে আধুনিক SSC তে টাইপ রাইটার বলে অপশনাল সাবজেক্ট ছিল), তারাই এখন কম্পুটার নামক এক আধুনিক প্রযুক্তিতে টাইপ করি। একটা প্রজন্ম আমরা, একটা ট্রানজিট সময়ের সাক্ষী।
সেকালে খুন জখম ধর্ষন এখনকার মত পত্রিকার পাতা দখল নিতে পারে নি। ইয়াবা ফেন্সিডীলের রাজত্ব তখনো অনেক দূরে। ইয়াবা তো সেদিনের আগমন। সেকালে নেশা বলতে বড় জোর বাংলা মদ খাওয়ার প্রচলন ছিল, বিদেশি মদ সম্ভবতঃ দূর আকাশের তারা ছিল। আমি যে মফঃস্বল শহরে বড় হয়েছি সে শহরে দুটো ফ্যামিলির ব্যাক্তিগত গাড়ী ছিল। ডিসি, এস পি দের যে গাড়ী ছিল তা বোধ হয় এখনকার সময় ফিটনেসের অভাবে রাস্তায়ই নামতে পারবে না।
এই হল অঢেল ছুটির খারাপ দিক। কি লিখতে শুরু করছিলাম কোথায় চলে গেছি। যাই হোক সেকালে দেখতাম মাঝে সাঝে মোহনদাদা (পাড়ার বখাটে ছেলে) কি সব খেয়ে দেয়ে রাস্তা দিয়ে রাত নয়টা দশটার দিকে হেড়ে গলায় গান গাইতে গাইতে বাসায় যাচ্ছে, বাবার ভুরু কুচকানো এবং মায়ের বিড় বিড়ে গালিতে বুজতাম মোহন দাদা ভালো কিছু খেয়ে যাচ্ছে না। অনেকেই আবার মোহনদাদাকে খারাপ মনে করছেন, আসলে সে অত খারাপ না, কারো বিপদে আপদে ওই বখাটে মোহনই ছিল অনেকের শেষ ভরসা, মড়া পোড়াতে হবে, কাউকে হাসপাতালে নিতে হবে, বিয়ে হবে নো চিন্তা মোহন এ্যান্ড গং আছে।
কবে যেন মোহনদাদা মাল (এই শব্দটার মানে অনেক পরে জেনেছি, ইদানিং এর আবার অনেক মানে আছে) খেয়ে কন্ট্রাকটর আঙ্কেলের দুই তলা বিল্ডিং এর নীচ দিয়ে যাচ্ছিলেন, দুই তলার ব্যালকনি দিয়ে কন্ট্রাকটর আঙ্কেলের দুই বছরের ছেলেকে তার গিন্নী দুই তালার রাস্তামুখী ব্যালকনি দিয়ে হিসু করাচ্ছিলেন (সেকালে এগুলো কোন ঘটনা ছিল না), হিসু ডাইরেক্ট গিয়ে মোহনদাদার মাথায়। মোহনদাদা জায়গায় ব্রেক মেরে উপরের দিকে তাকিয়ে হাক দিল,
“উপর থেকে পানি ফেলে কেরে রাস্তায়”
কন্ট্রাক্টর গিন্নী মিহি গলায় জবাব দিলেন, “মোহন এটা পানি না, আরিফ (কন্ট্রাক্টর গিন্নীর দুই বছরের ছেলের নাম) হিসু করছে”
“ও আচ্ছা, বাচ্চা মানুষ কিছু বললাম না বৌদি, বড় কেউ ফেললে তাকে দেখে নিতাম” মাথাটা দুলাতে দুলাতে মোহনদাদা আবার গান গাইতে গাইতে বাসায় রওনা দিল। এই ছিল আমাদের ছোটকালের বখাটে মোহনদাদা।
যখন বড় হয়ে গেলাম, সময়ও চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে, সেই জাদরেল মোহনদাদার চুলেও পাক ধরছে, খুব অর্থকষ্টে পড়ল, এলাকায় গেলে মাঝে মাঝে আমাকে দেখলে বলত “শের, দে দেখি ২০ টাকা দে অনেক দিন কেরোসিন খাই না” চাহিদা খুব বেশি ছিল না, ২০/৩০ টাকা, আমি ততদিনে চাকুরী শুরু করছি তাই ২০/৩০ টাকা তেমন কিছুই না আমার কাছে, আমিও খুশী মনে দিতাম কেন যেন আমি এই মানুষটাকে পছন্দ করতাম। মাঝ রাতে বাসায় শুয়ে টের পেতাম মোহনদাদা হেড়ে গলায় গান গাইতে গাইতে বাড়ী যাচ্ছে তার “কেরোসিন” খেয়ে। মোহনদাদার কাছ থেকে ২০/৩০ টাকার বিনিময়ে আমি ফিরে পেতাম আমার হারানো শৈশব, কৈশোর। অবশ্য ততদিনে পরিবর্তনের ঢেউ লেগে গেছে।
বছর বিশেক আগে এলাকার গেলে মিলন জানাল এক রাতে প্রচন্ড পেটে ব্যাথায় মোহনদাদা মারা গেছে। সেই ক্লাব গুলোও এখন আর দেখিনা, পাড়ায় পাড়ায় ফুটবল খেলা চল তো দূর অতীত স্মৃতি, পুস্পাদিদিরা এখন আর এই গ্লোবাল ভিলেজের যুগে কোন এলাকার সন্মান বা ভালোবাসার পাত্রী না, তারা এখন পুরা শহরের অসন্মানের বা ধর্ষনের বস্তু। তাদের সন্মান রাক্ষার্থে এই যুগে কোন মোহনদাদা জন্মায় না।
রাজধানীতে বাস করছি, এমন সীন জীবনেও দেখি নাই। মৃত্যুপুরী। মনে হয় কোন জাদুর কাঠির ছোয়ায় সারা শহর মৃত্যুপুরী। কোন এক পাগল (পাগলই মনে হয় না হয় এই মৃত্যুপুরীতে কে গান গাইবে) গান গাইতে গাইতে ফাকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে, মনে পড়ে গেল মোহনদাদার মাল খেয়ে হেড়ে গলার গান শোনার স্মৃতি। এযুগে বোধ হয় বাংলা ফাংলা কেউ খায় না, মোহনদাদার ভাষায় “কেরোসিন”। সবাই বিদেশিতে অভ্যস্ত। পরোপকার এযুগে কেতাবে লেখা থাকে বাস্তবে দেখা সম্ভব না, সেকালে তো মোবাইলে ছবি তোলা যেত না তাই যে যা করত নিঃস্বার্থ মন দিয়ে, এখনকার এই দুর্দিনে একটা পাগলকে একটা মাস্ক পরিয়ে পিছনে পঞ্চাশজনের দাত খেলানো ছবি দেখে নিজেকে শুধাই আর কত দিন এগুলো দেখব? মোহনদাদাদের মাতলামি একটা নির্দিষ্ট সীমায় আবদ্ধ থাকত। এযুগে মাতলামির জন্য..... চলুন একটা জোক শুনাই যদিও কিছু দিন আগে একটা পোষ্টে দিয়েছিলামঃ
এক মদতি বারে গ্যাছে মদ খাইতে।
বারম্যানরে কয়, “একটা বিয়ার কত?”
বারম্যান কয় “চাইরানা।”
মদতি টাস্কি। কয়, “আইচ্ছা গরু ভুনা আর লগে এক বোতল হুইস্কি কত পড়ব?”
বারম্যান কয় “আটানা দিয়েন।”
মদতি বুইজ্জা গ্যাছে কোতাও গড়মিল আছে, কয়, “এই বারের মালিক কই?”
বারম্যান কয়,” সে উপরে আমার বউর লগে।”
মদতি কয় “উপরে তোমার বউর লগে কি করে?”
বারম্যান কয়, “আমি ওর ব্যবসার লগে যা করতাছি…”
যুগটাই এমন যে যেভাবে পারে যে কোনভাবে পারে বারম্যানের এবং বারের মালিকের মত একই কাজ করে যাচ্ছে। যাক দেখে যাচ্ছি।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩২
শের শায়রী বলেছেন: ইজ্জতের মালিক এক মাত্র রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা, আমি নিজেও বেইজ্জত লোক
২| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের ক্লাবটার নামও সবুজ সংঘ ছিলো
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: সম্ভবত এটা খুব কমন একটা নাম ছিল সেকালে ক্লাবের।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার কৈশোর ভালোই কেটেছে; ফুটবল খেলতে পারতেন?
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: সে আমলে সবাই যেটুকু পারত সেটুকু পারতাম মুরুব্বী, মানে ওই সময় তো খেলার উপকরনই ছিল হাতে গোনা দু একটা।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:৩৩
আকন বিডি বলেছেন: আজকাল নেশার বিভিন্ন উপকরণ পাওয়া সহজ লভ্য।
আর একটি কঠিন নেশা সানি লিওন এর নেশা। কার কাছে কত রংয়ে, কত ঢংয়ে, কত পোজে, (কারো কি চাইগো চাই)।
শেওড়াপাড়া একটি বার আছে, অফিস থেকে ফেরার পথে পরে, মাতাল গুলা বার হতে বের হয়ে গালিগালাজ করে । বয়সে বেশী ভাগ নাক চাপলে দুধ বের হয় টাইপের। মোটর সাইকেল নিয়ে দল বেধেঁ আসে। টাকা এদের কাছে কিছু না।
খুব বাজে একটা জেনারেশন আসছে।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: তাও মন্দের ভালো এই গুলা মদ খায় ইয়াবা ফেন্সী না, আর এই সব দুধের বাচ্চাগুলা এক চুমুক দিতে না দিতে কে কতটা মাতাল হতে পারে তার প্রতিযোগিতা লাগায়, আর নিজে স্ব চোক্ষে দেখা বাজি ধইরা দুই জন প্রায় আড়াই বোতল তিন ঘন্টায় খাইয়া সুস্থ্য মানুষের মত হাটতে হাটতে বাড়ি গেছে, মাতাল হওয়াটাই যেন ফ্যাশান, যত্তসব পোলাপান
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:৫৫
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড. আপনারা ওই বয়সে বোমাবাজি/মারামারিতে হাত পাকিয়েছেন!!! খ্রাপ না.......
আসলে আমরা খুব অস্থির একটা সময় পার করছি। আদর্শ, নীতি, পারিবারিক বন্ধন এসব ব্যাকডেটেড কথাবার্তা। এসব নাক টিপলে দুধ বের হওয়া বাচ্চাগুলা বুঝে গেছে দুনিয়ার অন্ধকারের অলিগলি, ভোগ বিলাাশের জীবন। আর এ পুজিঁবাদী সমাজ ওদের ঠেলে দিয়েছে এ অন্ধকার জগতে.... ভোগ ভোগ ভোগ এ ছাড়া কোন মন্ত্র নেই এখন ওদের।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৯
শের শায়রী বলেছেন: নাউজুবিল্লাহ কিসের মইধ্যে কি! আমি তখন এক্কেরে গুড়া একটা বাচ্চা পোলা আর আপনি কিনা কন আমি বোমাবাজিতে হাত পাকাইছি, তাও ভালো কন নাই যে আমিই মোহনদাদা!!
এইবারের ধাক্কায় যদি মানুষের কিছু শিক্ষা হয়। ভোগের বাইরে যে আদর্শ, নীতি আছে সেগুলো যদি ফিরে আসে।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়তে পড়তে আমি নিজেই আমার ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম।
ফুটবল ছিলো আমার প্রিয় খেলা। খুব বেশী খেলতাম। আমাদের এলাকায় সানরাইজ নামে একটা ক্লাব ছিলো। সেখানে খেলতাম।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: সেকালে খেলা বলতেই ছিল ফুটবল। আসলেই এগুলো নষ্টালজিয়া।
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আহ এক ধাক্কায় ফিরে ফিরে গেলাম সেই দিনগুলোয়। এই একই ধরনের কত যে স্মৃতি----
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
আয়, আরেকটি বার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়
মোরা ভোরের বেলায় ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়
আবার দেখা যদি হলো সখা, প্রাণের মাঝে আয়
পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়
আয়, আরেকটি বার আয় রে সখা,…
৮| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
ইসিয়াক বলেছেন:
কখন ছুটি হয়ে কখন বাজবে সেই ঘন্টা
গেয়েছেনঃ আব্দুর রউফ
*******************************
কখন ছুটি হয়ে কখন বাজবে সেই ঘন্টা
ছোট্টবেলায় পাঠশালার ঐ শাষণ ভেঙ্গে আনচান করতো যে মনটা।।
ছুটি কত না মধুর ছিল ছুটি
শুধু ইচ্ছে মত ধুলোয় লুটোপুটি।
কানামাছি ভো ভো করে কেঁটেছে সুখের সেই ক্ষণটা।।
ভর দুপুরে অনেক দূরে খুজছে পাখি দুষ্ট কিশোর
রঙ্গিন সুতায় ঘুড়ছে লাটাই ছুটির ঘোরে চমকে বিভোর
ছুটি সেই যে সাধের ছিল ছুটি
আর ঘন্টা শুনে শিউরে গেল উঠি
জীবনের ছুটি হবে ভাবতে গেলেই কাঁদে উঠে এই মনটা
ক-খ-ন ছু-টি হ-য়ে ক-খ-ন বা-জ-বে সে-ই ঘ-ন্টা।।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭
শের শায়রী বলেছেন:
৯| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
খেলারাম খেলে যা
জনগণ সয়ে যা
সব শালা বারম্যান হাল
কে বলেরে -আমি মাতাল (ইয়াক্ক)
হা হা হা
নষ্টালজিক স্মৃতিচারণ ম্যা' ভাই
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: ইদানিং বাসায় বসে থেকে ভীষন নষ্টালজিক হয়ে যাচ্ছি ম্যাভাই।
১০| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভাইজান পুলীশ যে রাস্তায় এভাবে লোকজনকে মারছে এটা ঠিক না।
পুলীশোদের নিয়ে দুই একটা কথা লিখুন।
২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০০
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, এগুলো নিয়ে লিখতে ঠিক স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করিনা।
১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
এইচ তালুকদার বলেছেন: আপনার আগের এক পোষ্টে পড়েছিলাম আপনি বরিশাল শহরে বড় হয়েছেন,তাই জায়গাগুলোর নাম বললে ভিজুয়ালাইজ করতে সুবিধা হতো আমার ৫ বছরের বরিশাল বাস(২০১২-১৭) এর অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বরিশাল শহর মাদক নিয়ত্রনে অনেকটাই ব্যার্থ।তবে গত ১০ বছরে সারা দেশেই মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: আমি বড় হয়েছি দুটো শহর মিলিয়ে আর আপনি যে বরিশাল কে এখন চেনেন মানে (২০১২-১৭) আমাদের ছোট কালে সে অনেক অনেক আগের কথা এই শহর ছিল ভিন্ন রূপে। মাদক সারা দেশটাকেই খেয়েছে ভাই। এটা বরিশাল, বা চিটাগাং বলে লাভ নেই।
১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
ফাঁটাফাঁটি নষ্টালজিয়ার কোয়ারেন্টাইনে ঢুকিয়ে দিলেন।
হুমমমমমম... একটা সময় ছিলো পাড়ার ইজ্জত বলে কথা ! পাড়ায় পাড়ায় মোহন দাদারা তখন সব কাজেরই কাজী ছিলেন। তাদের নিয়ে কখনও কখনও ইজ্জতে ঘাটতি পড়তো বটে কিন্তু পাড়ার দুঃসময়ে তারাই আবার অন্যদের ইজ্জত ফিরিয়ে আনতেন।
হায়রে ! সোনা ঝরা দিন.....................
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০২
শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই, সারা দিন বাসায় থেকে ইদানিং এই সব নষ্টালজিয়া পেয়ে বসছে। হ্যা সোনা ঝরা দিন সে সব...
১৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার মোহন দাদার মতো কেউ ছিল না অনেক ছোট বেলায় কিন্তু আহা আপনাদের জাগরণী ক্লাবের মতো চিলাই নদীর তীরে আমাদের বাযকা বয়েজ ক্লাব বা নানী বাড়ির ইস্ট এনড ক্লাবের কথা মনে করিয়ে দিলেন লেখায়।আহা কি যে মন খারাপ হতো ইস্ট এনড ক্লাব ফুটবল খেলায় হেরে গেলে ! হ্যা সেদিনগুলোর ভূগোলটাই শুধু পাল্টায়নি কিন্তু ইতিহাস, কালচার, শিষ্টতা, ভদ্রতা সবই বদলে গেছে । আজকের দিনের সাথে সেদিনগুলোর কোনো মিল নেই । আহা আমার সোনার খাঁচার দিনগুলো সব মনে পরে গেলো আপনার লেখা পড়তে পড়তে । অনেক ভালো লাগা লেখায় ।
০২ রা এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৫১
শের শায়রী বলেছেন: আসলে বয়েস হয়ে গেছে তো ভাই, তাই অনেকটা বুড়া গরুর মত জাবর কাটি। তবে এই জাবর কাটায় ও সুখ। এটা একালের ছেলেরা বুজবে না। যাবারও হয়ত সময় এসে গেল তাই দু একটা লিখে যাই।
ভালো লাগায় অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৫১
মিরোরডডল বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছিলো সেই পুরনো কলকাতা বাংলা মুভি ।
উত্তম সুচিত্রা লাভ স্টোরি না কিন্তু উত্তম সন্ধ্যা রায়ের মোহনদাদা সেইরকম ।
সেই সময় লোকাল ক্লাবগুলোতে কেরাম বোর্ড খেলা হতো ।
স্মৃতি রোমন্থন সবসময়ই ভালো লাগে ।
শায়রীর জীবন থেকে নেয়া লেখাগুলো আমার বেশী পছন্দ ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:০৩
শের শায়রী বলেছেন: আপনি আমাকে দিন দিন বিস্মিত করছেন মিরোরডডল। কেন যেন মিলাতে পারি না, আপনার প্রথম দিককার লেখাগুলোর সাথে আপনার যে ছবি আমার মনে তৈরী হয়েছে আপনি উত্তম সন্ধ্যার উদাহরন টানলেন, কিন্তু এই যুগের এদেশের এই প্রজন্মও প্রায় কেউই সন্ধ্যা রায়ের নাম জানে না। অথচ প্রথম দিককার ব্লগে দেখতাম আপনি বাংলায়ও সেভাবে সাবলীল না যতটা না ইংরেজীতে ছিলেন। হ্যাটস অফ ইয়াং লেডি।
১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১৮
মিরোরডডল বলেছেন: That means you read me wrong.
আমি কোন প্রজন্ম ইউ ডোন্ট নো ম্যান !
মনে হয় আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগের মানুষ । ভুল করে এসময় চলে আসছি ।
ট্রাফিক জ্যাম এ আটকে ছিলাম
আসলে আমার ওপর বাবার ইনফ্লুয়েন্স ভীষণ ।
বাবা নেই but I’m heading in that direction.
হয়তোবা কিছুটা ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:২৩
শের শায়রী বলেছেন: মিরোরডডল আপনার মন্তব্যই বলে দিচ্ছে আমি রাইট। এবং যা ভাবছি সেটা একদম সঠিক। আল্লাহ আপনার বাবাকে বেহেশত নসীব করুক। বাবার সুযোগ্য সন্তান হয়ে উঠুন সব দিক দিয়ে।
১৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১৬
মিরোরডডল বলেছেন: শায়রীর প্রথম দিকের পোষ্টগুলো পড়ছিলাম ।
ফান পোষ্টের কমেন্টটা মিস করেছে
https://www.somewhereinblog.net/blog/shovan13/29720275
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: কেমনে কেমনে যেন মিস হয়ে গেছিল মিরোরডডল, জবাব দিয়েছি ওই পোষ্টে
১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সময় খুব দ্রুত চলে যায়...
পড়ে থাকে ঐ রাস্তার ময়লা....
ধুলো মাখা বাড়ি....
খেলার মাঠে গড়ে ওঠা ভবনটা
টিটকারি দেয় অতীতকে....
সোহানী আপু বলে নি, বাট আমি বললাম... ভালো লিখেছেন মোহনদাদা
১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
শের শায়রী বলেছেন: এই ভয়ই পাইতেছিলাম কেডা না জানি কখন কি কইয়া বয় এই ভালো মানুষের ছাওয়ালডারে সোহানী আপা তাল উডাইয়া দিছে আপনি হেইডার পূর্নতা দিলেন। অথচ আমার কথা সেই আমলের বুড়া বুড়িদের জিজ্ঞাস কইরেন, দেখবেন সবাই কত সুখ্যাতি করে
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৪
মা.হাসান বলেছেন: মহল্লা -মহল্লায় কালচারাল ফাংশনের অলিখিত কম্পিটিশন হইতো। পাড়ার সোহেল ভাই এত সুন্দর ভাবে আই অ্যাম এ ডিসকো ড্যান্সার গাহিয়াছিলেন যে বিজয় বেনেডিক্টও ফেল। সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় ৩৫ বছর পর দেখা। বুড়া হইয়া গিয়াছেন, গলার স্বর শ্লেষ্মা জড়ানো।
আমাদের নেতৃবৃন্দদের দেখিয়া চমৎকৃত হই। ৪০ বছর আগেও তাহাদের বাণী হইতে জনগনের প্রতি ভালোবাসা নিংড়াইয়া পড়িত, এখনো তার চাইতে বেশি বই কম পড়ে না, উপরন্তু ওনাদের চেহারার জেল্লা বাড়িয়াই চলিতেছে। পরোপকারী ব্যক্তিদের চেহারা হইতে এই রূপ নূর ঝরিবে নাতো কি বাংলা খাওয়া মোহন দাদার মুখ হইতে ঝরিবে? আমি নিজে বেইজ্জত লোক, ইজ্জতের কি বুঝি?