নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
দারুন সচেতনতা চলছে সারা জাতির মধ্যে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ধর্মনীতি বা স্বাস্থ্যনীতিতে আমরা সর্বদাই সচেতনতার উদাহরন তৈরী করে চলছি। কানাডা থেকে একটা বাচ্চা মেয়ে দেশে আসছে, বয়স বোধহয় চব্বিশ (নিউজ পেপারে তো তাই দেখলাম)। মেয়েটা পেটে ব্যাথা নিয়ে মোহাম্মদপুর একটা ক্লিনিক ভর্তি হয়ে সেখান থেকে দেশের সব থেকে ভালো মেডিকেল ঢাকা মেডিকেলের কোন এক ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এক পর্যায়ে ওয়ার্ড নার্সরা জানতে পারে মেয়েটি কানাডা থেকে ফেরত এবং গায়ে জ্বরও আছে। ব্যাস আর যায় কোথায়? চিল্লা পাল্লা করে ওয়ার্ড তো ওয়ার্ড পুরা মেডিকেল নার্সরা মাথায় তুলে ফেলে কেউ আর সচেতনতার জন্য মেয়েটির কাছে যায় না, যখন কোন এক ডাক্তার গেল ততক্ষনে মেয়েটি সমস্ত চিকিৎসার উর্ধ্বে চলে গেছে। মাত্র চব্বিশ বছর বয়স। মৃত্যুর পরে অবশ্য তার রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেল তার করোনা নেগেটিভ। কি নিদারুন সচেতনতা আমাদের!
বিদেশ থেকে যাত্রী আসলেই তাদেরকে হাজী ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। পত্রিকায় ছবি দেখলাম একটা গন রুমের মত কিছু যেখানে ফ্লোরে একটা তোষক এবং মশারী টানিয়ে বিদেশ ফেরত মুলতঃ ইউরোপ থেকে আগত যাত্রীদের সেখানে কোয়ারান্টাইন করা হচ্ছে। দারুন সচেতনতা। আচ্ছা এদের মাঝে যদি কারো করোনা থেকে থাকে তবে কি ঐ মশারী দিয়ে করোনা আটকানো যাবে? অবশ্য বিদেশ থেকে আসার সময় এদের জ্বর চেক করে বিমানে উঠায় ঐটাই যা বাচোয়া, কিন্তু এদের কারো যদি করোনা থেকে থাকে তবে হাজী ক্যাম্পে তার সাথে যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকবে তারা কিভাবে ইনফেকটেড হবে না তার গ্যারান্টি কি? তবে ভালো লাগছে ইউরোপ আমেরিকার চিকিৎসা সেবা নিয়ে দেশে এসে একই সাথে তারা তুলনা করে দেখতে পারছে যে আমরাও কত সচেতন এবং জাতির জন্য উদ্বিগ্ন!!!
বাসা থেকে বের হয়ে মোড়ের দোকানে চা খেতে যাচ্ছিলাম, প্রায়ই যেমন যাই আর কি, আমার আবার এই করোনা ফরোনার ভয় একটু কম, যেতে যেতে অন্তত দুই জন ওয়াক থু বলে ছ্যাপ ফেলল, একজনের টা অল্পের জন্য আমার পা মিস করছে। ভালো লাগছে মানুষটা অনেক সচেতন ছ্যাপ ফেলে হাতের উল্টা দিক দিয়ে মুখটা মুছে ফেলছে।
চা খেতে গেলে আমাকে দোকানী গরম পানি দিয়েই চায়ের কাপটা ধুয়ে দেয়, যদিও সবার জন্য এই ভি আই পি সুবিধা নেই, অল্প কিছু স্থানীয় খদ্দেরদেরই এই সুবিধা দেয়া হয়, বাকীদের ঠান্ডা পানিতে (সে পানিও অনেক সময় কাপ ধুতে ধুতে ঘোলা হয়ে যায়) কাপটা এক চুবানী দিয়ে গরম চা ঢেলে আন্তরিকতার সাথেই পরিবেশন করে।
আমি আমার চায়ের কাপটা নিয়ে একটু দূরে গিয়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ টানে চা খাচ্ছিলাম, এক মাঝেই দেখলাম একজন সর্দিক্রান্ত একটু সরে দাঁড়িয়ে বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীর মাধ্যমে নাকটা চেপে ধরে ফড়াৎ করে এক গাদা নাকের ছ্যাৎ (শুদ্ধ ভাষায় সর্দি) ঝেড়ে হাতটাকে লুঙ্গিতে মুছে তার চায়ের কাপটা ধরে সবাইকে সচেতন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপদেশ দিল এই করোনা থেকে বাচার জন্য। আমি বেশ মুগ্ধ এই লোকটার সচেতনতায়।
দোকানেই একজনকে দেখলাম সম্ভবতঃ দু এক দিনের পুরানো খবরের কাগজ উল্টাচ্ছে আর চা খাচ্ছে তাতে প্রায় দেখলাম সাড়ে তিন হাজার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আজকে সকালে কোন পত্রিকা না টিভির কোন চ্যানেলে দেখলাম এই সব হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা তিনজনকে ফোন দিলে তাদের একজন বাজার থেকে বাজার করা রত অবস্থায় ফোন ধরছে, একজন এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে (স্বাভাবিক ভাবেই অনেক দিন পর বিদেশ থেকে আসলে যা হয় আর কি, এটাও কিন্তু সচেতনতা) আর একজন জানি কি অবস্থায় ছিল খেয়াল নাই, এই হল হোম কোয়ারেন্টাইনের কাহিনী।
আমার চা খাওয়া শেষ, দোকানিকে টাকা দিতে গেলে নিজের কপালের ঘামটুকু ঝেড়ে টাকা নিয়ে আমাকে তার ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা দিল। আমি পাচশত টাকার নোট দিয়েছিলাম, কারন এক কাপ চা আর পাচটা সিগারেট সব মিলিয়ে বিল আসছে ৭০ টাকা আমি ফেরত পাব ৪৩০ টাকা, দোকানি মিলন ভাই সেই ৪৩০ টাকা গুনতে গিয়ে দুই বার ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে জিহ্বা বের করে ছ্যাপ দিয়ে ভিজিয়ে অবশেষে আমাকে টাকা ফেরত দিল। আমি তার কাছ থেকে আমার সিগারেট আর টাকা ফেরত নিয়ে নিশ্চিত মনে একটা সিগারেট ধরিয়ে বাসায় ফেরত যাবার পথ ধরলাম।
এত দিন ধরে যে সব প্রবাসীরা দেশে আসছে তাদের অনেকেরই কোয়ারেন্টিনকাল নিশ্চয়ই শেষ হয়ে গেছে, আমি আশা করি সবাই কর্তৃপক্ষের যথাযথ নির্দেশ মেনেই চলছিলো, ঝামেলা বাধালো আজকের আর একটা নিউজে তিন জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত এরা নাকি কোন প্রবাসীর স্ত্রী এবং তার বাচ্চা, কি ঝামেলা বলুন তো দেখি? যত দোষ নন্দ ঘোষদের মত করোনা মানেই আমাদের ধারনা প্রবাসীদের দ্ধারা আমদানী কৃত।
সচেতনতা দেখিয়ে আজকে স্কুল কলেজ বন্ধ দিয়ে দেয়া হয়েছে। সবাই এখন জীবন বাচাতে ছুটবে নিজের উৎসে মানে গ্রামে বা নিজ মফঃস্বল শহরে। যেন ওখানে যেতে পারলেই বাচোয়া। তবে বাচোয়া না হোক শান্তি অবশ্যই আছে এই ঢাকা শহরের তুলনায়। আচ্ছা এই মানুষ গুলোর মাঝে যারা নিজ এলাকায় ফেরত যাবে কেউ তো করোনা আক্রান্ত না! স্থানীয় ভাবে চেক করার কোন সিষ্টেম আছে? ইতালী, স্পেন তো এক শহর থেকে আর এক শহরে যাওয়া নিষিদ্ধ।
প্রযুক্তির গর্বে উন্মাতাল বিশ্ব এখন নিজেকে কিভাবে এক ঘরে করে রাখবে তার প্রতিযোগিতা চলছে, আমরা কিছুটা ধীরে হলেও সেই ফ্যাশানে সামিল হচ্ছি করোনার করুনাধারা পাবার জন্য। সমানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট কল কারখানা গুলো। আজকে দেখলাম পোষাক শিল্প মালিকদের কি একটা সংগঠনের সভাপতি যেন সরকারের কাছে ঋন চাচ্ছে আগামী তিন মাস যেন তারা কাজ না থাকলেও কর্মচারীদের বেতন দিতে পারে। সব জায়গায় ছ্যাপাক্রান্ত সচেতনতা।
ঢাকা মেডিকেলে যে মেয়েটা মারা গেছে নাজমা তার নাম। অতি অল্প বয়স মাত্র ২৪ ফুটফুটে মায়াবী চেহারা। আমাদের অতি সচেতনতায় করোনা না হয়েও জীবন হারালো (দেখুন যে কারণে প্রাণ হারালেন কানাডা ফেরত শিক্ষার্থী)। আবার যখন এই করোনা আঘাত হানবে (আল্লাহ মাফ করুক) তখন অসচেতনতায় যে কত জীবন যাবে তার কোন পরিসংখ্যান আমাদের হাতে থাকবে না। কেন জানি আমার ভীষন হাসি পাচ্ছে, অবশ্য আমাদের কাছে হাসি আর কান্নার মাঝে পার্থক্য কিন্তু এক চুল।
আচ্ছা বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নাকি করোনা ইনফেক্টেড রোগীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল খোলা হয়েছে কিন্তু যারা চিকিৎসা দেবে তারা মানে সেই সব ডাক্তার বা নার্স রা কি প্রস্তত চিকিৎসা দেবার জন্য? মানসিক বা প্রফেশান গত ভাবে? জিনিসপত্রের দাম উর্ধ্বমুখী, স্বাভাবিক জীবন বজায় রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে, কার কাছে অভিযোগ জানাব একটু জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
করোনার একটা বিষয় আমার খুব ভালো লাগছে তা হল সাম্যতা। ধনী, গরীব, রিক্সাওয়ালা, প্লেনের ড্রাইভার, গ্লোরিয়া জিনসের কফিশপ বা আমাদের মিলন ভাইদের চায়ের দোকান এই গুলো আলাদাভাবে সনাক্ত করতে পারে না, তাই অনেকটা নিশ্চিত আছি অন্তত বৈষম্যের শিকার হব না। আচ্ছা হাল্কা জ্বর, হাচি, কাশি এগুলো কি করোনার উপসর্গ? ব্লগের মাধ্যমে ছড়ানোর চান্স আছে? সেক্ষেত্রে……… আজকে বিকাল থেকে নিজের কেমন যেন………. এই ব্লগারের ব্লগ পাঠ থেকে দূরে থাকার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হল।
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২১
শের শায়রী বলেছেন: লেঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড খুব সত্য। এই ব্লগ থেকেই এই বিখ্যাত ডায়লগের জন্ম
২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে বন্যার সময়ের কলেরা, ও অন্য সময়ের ভাইরাস থামানোর জন্য একটা টিম থাকার দরকার; সাধারণ ডাক্তার ও নার্সরা মহামারীর সময় অনেকেই কাজ থেকে পালিয়ে যাবে।
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৩
শের শায়রী বলেছেন: এই কাহিনী তো আজকেই ঘটছে নাজমা নামে মেয়েটিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেবার সময়। তো ঢাকা মেডিকেলে যদি এই কাহিনী হয় তাইলে অন্যান্য যায়গায় কি হবে বুজতেই পারছেন মুরুব্বী। অনেক কাহিনীর জন্ম দেবে সে রকম সিচ্যুয়েশান হলে।
৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৫
ইসিয়াক বলেছেন: আমি মরেও যাবার আগেও আপনার ব্লগ পড়তে আসবো।
কি করবো আপনার লেখা গুলো ভালো লাগে যে.......
মজা করলাম। টেনশন মুক্ত থাকতে চাই।সময় পেলেই বেশি বেশি হাসির মুভি দেখছি.....
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: দ্যাটস কল্ড ব্রাদারহুড প্রিয় ভাই
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সত্যিই খুব দুঃখজনক ও মর্মান্তিক !!
১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: কি আর বলব নূর ভাই। মেয়েটা অনেকটা বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। প্যানিক মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়!
৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের লোকজন সচেতন নয়।
এরা ঘর থেকে বাইরে বের হলেই অমানুষে পরিনত হয়।
এই জাতির কপালে বহু দুঃখ আছে।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
শের শায়রী বলেছেন: দুঃখ অনেক আছে, কপালে।
৬| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সচেতন না হলে অনেক দুঃখ সহ্য করতে হবে।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই ভাই।
৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার চৌদ্দগুষ্ঠির কেউই প্রবাসী নয়, তবু আমার কাছে হজ্জক্যাম্পের ব্যবস্থাটি পছন্দ হয়নি। ছ্যাপাক্রান্ত জাতি নিজের দায়িত্বটুকু ঠিকমত পালন করবে না কিন্তু প্যানিক তৈরীতে ওস্তাদ।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: প্যানিক তৈরী করতে আমরা আসলেই ওস্তাদ।
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৭
মা.হাসান বলেছেন: টাকা পয়সার ব্যাপারে উদাসিন হইবেন না। আমাকে কে্উ টাকা দিলে আমি থুথু দিয়া গুনিয়া লইয়া, কম হইলে মানুষ পূরণ করিয়া দিবে না।
করোনা ফেসবুক, ব্লগ, ইন্টারনেট ইত্যাদি হইতে বেশি ছড়াইতেছে, ফেসবুক-খবরের কাগজ-ব্লগ-ইন্টারনেট বন্ধ করিয়া দিলে বাংলাদেশে করোনা ছড়াইতে পারিবেনা।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৬
শের শায়রী বলেছেন: আরে না ভাই ছ্যাপ দিয়া টাকা গুইনা নেই, টাকার ব্যাপারে মোটেই উদাসিন না
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪২
মোঃমোজাম হক বলেছেন: পোষ্টে ডাবল প্লাস।
এই অবস্থা হবে জেনেই বিদেশ রয়ে গেলাম
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৭
শের শায়রী বলেছেন: এইটা একটা ভালো ডিসিশান নিয়েছেন ভাই
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাইনসের বিপদে মজা লন? আর আপনি বিড়িখোর এইটা তো জানতাম না। আপনের কি জানা নাই, ধুমপান আর গো-মুত্রপান একই কথা?
আপনের এই লেখা পইড়া নেশা চাইপা গেল.......যাই একটু গো-মুত্রপান কইরা আসি!
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৯
শের শায়রী বলেছেন: দ্যাশে আসার পর দ্যাখা হইলে বুজবেন কত কিছুই অজানা........ মুত্রপান তো ........
১১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
বুঝে দেখার মতো বিষয় কিন্তু অনেক প্রশ্ন, অনেক অক্ষমতা যার কোনও জবাব নেই, নেই সুরাহা! একটা কুপমন্ডুক জাতির চালচিত্র এরকমই হবার কথা। মাথা চাপড়াতে পারি আমরা কিন্তু ঐ পর্যন্তই.................
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫
শের শায়রী বলেছেন: অবস্থা দেখেন ভাই উভয়পক্ষের কত্ত সচেতনতা ইতালিফেরত যুবক বগুড়ায় পরিবারসহ অবরুদ্ধ
১২| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা ম্যা ভাই এগুলা বলে না!
লপি সার্ভিসে ব্যাস্ত মহোদয়দের মন্দ লাগতে পারে!
ভাবা যায় একটা আস্ত সারকারী হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদেরই নিরাপত্তা পোষাক নেই!!!!!!!!!!!!!
গাদাগাদি করে এক ঘরে আটকে রাখলেই কোয়রেনটাইন হয়????
উন্নত বিশ্ব শিখতে পারে আমাদের কাছ থেকে!!!
অবশ্য বিনাভোটের দেশে নীতাচরণ আশা করাই বাতুলতা। জো হুকুম জাঁহাপনার ভীরে আমজনতার এত্ত বড় সাঅস!!!!
যারা নিজেদের ডেঙ্গু মোকাবেলায় তাবৎ বিশ্ব ভাবনাকে হার মানানো স্ক্রিপ্টের বাস্তবায়ন করতে পারে
তাদের কাছে করোনা কি? গজব ঠেকাতে ব্যার্থতায় গুজব তত্ত্ব দিয়ে কতটুকু প্রতিরোধ হয়, দেখার বিষয়!
মুসলিম হিসেবে অবশ্য মৃত্যুকে কারোই ভয় পা্ওয়া উচিত নয়।
কুল্লু নাফসিন জায়িকাতুল মাউত - মৃত্যুতো অবশ্যম্ভাবী।
গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন- আহা বলা কত সহজ! আর বাস্তবতা হলো সিট শেষে, দাড়ানো শেষ- হ্যান্ডল ধরে ঝুলতে পারলেই ভাবি ভাগ্যবান!
সর্দি হাঁচি কাশির ভদ্রোচিত প্রাকটিসের জায়গাটুকু কই?
দুই হাত দূরে থাকুন ---- হাউ ম্যান, একজনের ঘাড়ে যখন অন্য জনের নি:শ্বাস নিয়ে বাসে উঠতে হয়???
সব দেখে শুনে ঐ কথাই মনে পড়ে ধর্ষন যখন নিশ্চিত উপভোগই শ্রেয় এমন কথা লোকে বলে। করোনা নিয়ে টম এন্ড জেরি খেলার ভীরে আমজনতার তেমন ডেমকেয়ার ভাব ধরাতেই বুঝি খানিকটা স্বস্তি!!
আল্লাহ আমাদের রক্সা করুন
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৮
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই ভীষন ভয় পাচ্ছি পাব্লিকের রির্পাকেশান দেখে। ইতালিফেরত যুবক বগুড়ায় পরিবারসহ অবরুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলে লিঞ্চিং মব হবে দেইখেন। আল্লাহ যেন আমাদের সেই দিকে না নেয়।
১৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: করোনা বাংলাদেশে সাম্যতা বজায় রাখতে সমর্থ হবে বলে মনে হয় না। উন্নত দেশে মন্ত্রী, প্রেসিডেন্টের ওয়াইফদের করোনায় আক্রান্ত হতে দেখে ভাবছেন যে আমাদের দেশেও এই সাম্যতা বজায় থাকবে। বাস্তবতা হইল যে গনতান্ত্রিক দেশে জনগন ও মন্ত্রী মিনিস্টারের মাঝে ফারাক খুব সামান্য। কিন্ত স্বৈরাচারের দেশে এই ফারাক অত্যন্ত বেশি। চায়নায় এত মানুষ মারা যাচ্ছে তাও কি শুনেছেন যে চায়নার কোন মন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে?
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২১
শের শায়রী বলেছেন: ভালো পয়েন্ট দিয়েছেন ভাই, চায়নার কোন হাই অফিশিয়াল মরছে বইলা নিউজ আসে নাই, যা আসছে সব পশ্চিমা বিশ্বের দায়িত্বশীলরা। এদিক দিয়া আবার ইরান সাব্বাশ। ইরানের উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েক জনের নিউজ দেখলাম এফেক্টেড।
১৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা হলো- করোনা হলো প্রকিতির শাস্তি।
আমরা প্রকিতির যত্ন নিই না। করোনা আমাদের পাপে ফল।
১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২২
শের শায়রী বলেছেন: প্রকৃতির ভারসাম্য আর কি! পাপ পূন্যর হিসাব আলাদা রাজীব ভাই। এটাকে আপনি প্রকৃতির ভারসাম্য বলতে পারেন
১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছি ছি এই লজ্জা ঢাকবে কি দিয়ে !!
১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৮
শের শায়রী বলেছেন: ন্যাংটোর আবার লজ্জা আছে নাকি ভাই!
১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪২
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম দুইটা ছবি পাইলেন কই? মনে হল পোস্টের জন্য ফরমায়েশ দিয়ে করা!!
মেয়েটার কথা মনে হলে খুব কষ্ট লাগে, বিনা চিকিৎসায় মারা গেল! এই একটা খবরে আসায় সবাই জানল, কিন্তু এছাড়াও আমি আরো দুজনের এমন মৃত্যুর কথা শুনেছি। আমার ধারণা অনেকেই ইনফেকটেড, হঠাৎ সবার খবর একসাথে আসবে, তখন সামাল দেবার মতন সামর্থ্য আছে তো!!
যেদিন এই পোস্ট দিলেন, সেদিন অনেক জায়গায় যেতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করতে পারিনি। দেখলাম ফটোকপির দোকানদার থুতু দিয়ে গুনে দিল কত পাতা, ব্যাংকেও দেখি তারা টাকা গোনা হাত দিয়ে চোখ চুলকায়, সিএনজি ড্রাইভার একটু পরপর থুতু ফেলে...
জানি না কতদিন সুস্থ থাকি!!
১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
শের শায়রী বলেছেন: বোন সিচ্যুয়েশান প্রতি মুহুর্তে খারাপ হচ্ছে, এই মাত্র টিভিতে দেখলাম এদেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু। আর ভয়াবহ সব ছবি অন লাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানে ঢাকার বাইরে যে জায়গা গুলোকে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্বাচিত করছে। আজকে সারা দিন প্রতি মুহুর্তে টিভিতে পরিস্থিতি অবনতির নিউজ পাচ্ছি।
আল্লাহর ওপর সব ছেড়ে দিয়েছি। আর ছবি গুলো নেট থিক্কা নিছি
১৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কপালে দুঃখ আছে। সীমাহীন দুঃখ।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: সবে শুরু হল, দেখুন না কোথায় যায় এই দুঃখ।
১৮| ২০ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
নিভৃতা বলেছেন: ভাইরে, এই যে রক্তের মাঝে মিশে যাওয়া অসচেতনতা, এক দুইদিনে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার কোন উপায় নাই। আদৌ কোনদিন এই জাতি শুধরাবে কিনা তাও সন্দেহ। অজ্ঞানে যে অসতর্কতা মানুষ করে চলেছে সেইটার কথা কী আর বলবো, কিন্তু এই চরম অসতর্ক জাতি কষ্ট করে হলেও এই মুহূর্তে যেটুকু সতর্কতা অবলম্বন করে চলেছে তার সফলতা কিছুটা হলেও মিলবে। যেখানে দশজন আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে নয়জন আক্রান্ত হবে। একজন অন্তত তো বাঁচবে।
তবু আমি আশা করে যাই। ডুবতে ডুবতেই আশা করি। কী আর করবো। আর তো কোন উপায় নাই।
২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
শের শায়রী বলেছেন: আর একটা বাজে ব্যাপার আমাদের দেশে আসল চিত্রটা পাই না, আসল চিত্রটা জানতে পারলে মানুষ আরো বেশী সচেতন হত। আর আশা এবং সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস ছাড়া আমাদের কিছুই নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৩
একাল-সেকাল বলেছেন:
প্রবাসীদের এই মুহুর্তে ছ্যাপাক্রান্ত দেশে আসা উচিৎ না।
মানিকগঞ্জের হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত রোগীর পলায়ন নিউজটা দেখার পর মনে হল ইতালিতে নিয়ম মানলেও নিজ দেশে এসেই তারা ছ্যাপাবাবু হয়ে যায়। বাংলিশ প্রবাদ, লেঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড খুব সত্য।