নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
আমার ছোটবেলায় আমার চার নাম্বার খালার বিয়ে কথা আমার মনে আছে, বয়স কত হবে আর ৭/৮ বছর। গ্রামের বিয়ে। গ্রাম অনুযায়ী আমার নানা বাড়ী কিছুটা বিত্তের অধিকারী বলেই আমার মনে হয় কারন আমার মার জন্মের আগে থেকেই নানা বাড়ী পোড়ানো ইটের দালান বাড়ী। খালার বিয়ের সময় আমরা খুব একটা পাত্তা পেতাম না অতি ছোট বিধায় কিন্তু ছোট খালা বা মামারা সে শুধু আপন মামা না, এলাকার যত মানুষ আছে সবাই আমার নানা বাড়ীকে সাজাতে ব্যাস্ত হয়ে উঠল। কলা গাছ কাটা হল। সে কলা গাছ গুলো খাল পাড় ( ছোট শাখা নদীকে স্থানীয় ভাবে খাল বলে তাও এখনকার বুড়ীগঙ্গা নদীর যেখানে লঞ্চ ঘাট তার কাছাকাছি চওড়া) থেকে প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত সাড়ি বদ্ধভাবে লাগানো হল আর সে কলা গাছ গুলোকে বিভিন্ন রংয়ের কাগজ কেটে নানা রকম নক্সা করে সাজানো হল।
কিছু দূর পর পর হ্যাজাক লাইটের আলোয় পুরা বাড়ী যেন গ্রামের অন্ধকার ভেদ করে এক টুকরো মায়াবী সাজে সজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। হ্যাজাক লাইট বোধ হয় এই প্রজন্মের অনেকেই দেখে নি। অনেকটা বড় হ্যারিকেনের মত ভেতরে হ্যারিকেনের সলতের বদলে থাকত ম্যান্টেল। সে হ্যাজাক লাইট আবার পাম্প করে ম্যান্টেলের উজ্বলতা বাড়ানো যেত। আমার বয়সী এক গাদা মামাতো খালাতো ভাইর ক্যাচ ম্যাচে বিভিন্ন রকম আনন্দে বড়দের ধমক আমাদের বাড়তি উৎসাহ জোগাত।
সন্ধ্যার মাগরিবের আযানের পর পর ছয় সাতটা নৌকা নিয়ে বড় যাত্রীরা চলে আসল। সামনের নৌকাতে আবার মাইক বাজছিলো “সাইয়া দিলে আনারে, আখি ......” বড়দের নীরব চোখ ইশারায় আমরা যেয়ে স্কুলে যেখানে বর সহ বরযাত্রীদের বসানোর আয়োজন করা হয়েছে সেখানে ফ্লোরে বিছানো তোষকের ওপর শুয়ে পড়লাম এবং সবার চোখ বন্ধ মানে ঘুমিয়ে পড়ার অভিনয়। মানে বরযাত্রীদের বসার স্থান আমরা দখল করে ফেললাম। আমাদের মুরুব্বীরা যত ডাকে আমরা সাড়া দিচ্ছিলাম না পরে বর যাত্রীদের কাছ থেকে আমার ছোট মামারা কিছু টাকা নিয়ে আমাদের উঠে পড়ার ইঙ্গিত দিলে বিছানা ছেড়ে সরে পড়লাম। খুব সম্ভবতঃ এরই আধুনিক ভার্সান গেট ধরা।
মাঝ রাত আবধি খানা পিনা করে বর (খালু) যখন নতুন নববধু ( আমার ৪ নাম্বার খালা) নিয়ে তার গ্রামের বাড়ীর দিকে রওনা দিল তখন মামারা সহ বাড়ীর মানুষ জন তা কমপক্ষে ৮০/৯০ জন পুরুষ প্রায় দেড় মাইল পথ পেরিয়ে বড় নদী পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসল। পালকিতে উঠে খাল ঘাট পর্যন্ত যাবার সময় আমার খালা কাদতে কাদতে ফিট হয়ে যাবার দশা, সাথে নানু সহ তার অন্যান্য বোনরাও সেকি কান্না, একালে কেউ মারা গেলেও ওভাবে কাদে না। মনে হয় যেন অকুল সাগরে ফেলে দেয়া হচ্ছে। সেকালে বিয়ে ছিল এমনিই। অপ্রাসাঙ্গিক ভাবে জানিয়ে রাখি আমার সে খালা আর খালু দুজনই বেশ কিছু দিন আগে মারা গেছে।
নিজের বিয়ে কিভাবে হয়েছে, সেটা এখনো আমার কাছে ধোঁয়াশা, চাকুরী পাবার বছর দুই পর মা এক দিন বলল তোর জন্য মেয়ে দেখতে যাব চল, আমিও সুবোধ বালকের মত মায়ের সাথে এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে মেয়ে দেখতে গেলাম। মেয়ে দেখেই মায়ের পছন্দ আমি জীবনেও দেখিনি যদিও একই মফঃস্বল শহরে বাস কিন্তু ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার পর আমি ঢাকা চলে আসি পড়াশুনার জন্য তাই না দেখাটাই স্বাভাবিক। আম্মা মেয়ের হাতে আংটি আর চেইন পড়িয়ে পাকা কথা দিয়ে আসে এবং কিভাবে কিভাবে যেন মসজিদে আখত হয়ে বিয়ে হয়ে গেল, উঠে দাড়িয়ে মুরুব্বীদের সালাম দিলাম এর পর সামান্য মিষ্টান্ন। দুমাস পরে অবশ্য অনুষ্ঠান করে বিয়ে বৌভাত করে পুরো বিয়েটা অতি সাধারন ভাবেই সম্পন্ন হয়ে গেল। আমার সন্তানদের মাকেও যথারীতি কান্না কাটির মাঝে আমার বাসায় নিয়ে আসলাম। বাসায় ঢোকার সময় আম্মার একটা পরিস্কার শাড়ি বিছিয়ে দেয়া হল তার ওপর দিয়ে নতুন বউ খালি পায়ে ঘরে ঢুকল। আম্মা এবং মুরুব্বীরা বরন করে নিল।
ইদানিং ভাইগনা, ভাগনি, শালা, শালি অথবা অন্যান্য কিছু আত্মীয় স্বজনের বিয়েতে যেতে হচ্ছে ঢাকায়। দেখলাম পুরো বিয়ের সিষ্টেমই চেঞ্জ হয়ে গেছে। গায়ে হলুদ নামে যে ব্যাপারটা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে কোন কম্যুনিটি সেন্টার ভাড়া হচ্ছে। সে কম্যুনিটি সেন্টারে আবার ডিজে নামক অদ্ভুত এক ছেলে সাউন্ড সিষ্টেম নামক কি সব জিনিস পত্র নিয়ে বসে থাকে যাতে থাকে বেশ কিছু "নব" বা সুইচ (অন্য কোন নামও থাকতে পারে আমি জানি না ) যা দ্ধারা গানের (মুলতঃ হিন্দী গানের) সাউন্ডকে উপর নীচ কিসব করে আর নিজে তালে তালে নাচতে থাকে।
বর কনেও এক পর্যায়ে নাচতে শুরু করে অবশ্য তার আগে ইয়াং পোলাপান তারাও বেশ কয়েকটা হিন্দী গানের সাথে হিন্দী নায়ক নায়িকার অনুকরনে নাচে। যা কয়েকদিন ধরে প্রাকটিস করে আয়ত্ব করে। এখানে গায়ে হলুদ নামে যে ব্যাপারটা থাকে সেটাও খুব সাবধানের সাথে করা হয় যেন কনের মেকাপ নষ্ট না হয়ে যায়। মুলতঃ গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানটি এখন দেখি হিন্দি গানের সাথে নাচের একটা অনুষ্ঠানে পরিনত হয়েছে, যেখানে গায়ে হলুদ খুবই গৌন ব্যাপার। আর সাথে থাকে ৪০/৫০ হাজার টাকা দামের ক্যামেরা ম্যান। তারাই মুলতঃ পুরা অনুষ্ঠানে মুখ্য ভুমিকা রাখে প্রতি মিনিটের ছবি তুলে। যেন ছবি তোলাটাই মুখ্য। কে যানে এটাই বোধ হয় নিয়ম। তবে যে ব্যাপারটা ভালো লাগে সেটা হচ্ছে গায়ে হলুদের দাওয়াত মানে আমি একটা পাঞ্জাবী আর বউ একটা শাড়ি পায়, খারাপ না। বিনে পয়সায় পাঞ্জাবী আর শাড়ি, গায়ে হলুদে সবাই এক কালারের শাড়ি পাঞ্জাবী পড়তে হয়। মনে হয় যেন হিন্দী ছবির ব্যার্থ অনুকরনীয় শুটিং চলছে।
এখন আর বিয়ে বৌভাত টা অনেকেই দেখি রিসেপশান নামে চালিয়ে দেয় মানে উভয় পক্ষ এক হয়ে…………… মেয়ে হাসতে হাসতে বরের গাড়ীতে ওঠে কান্না কাটির কোন প্রশ্নই ওঠে না…………
আরো কিছু বর্ননা দিয়ে ঘটনা সাজিয়ে রাখছিলাম যা লিখব করে প্রস্ততি ছিল। আরো ঘন্টা দেড়েক লাগত। কিন্তু কো ইন্সিডেন্স বলে একটা ব্যাপার আছে……… যা আমার জীবনে মাঝে মাঝে ঘটে এবং ঘটে গেল এই মাত্র……. গিন্নীর রনরঙ্গিনী মুর্তি। এটা অবশ্য নতুন কিছু না আমার মত অবলা স্বামীর জন্য…………
“তোমার কি কোন দিন হুশ হবে না? বাজে কয়টা”
“কেন খুব বেশী তো না মাত্র দুইটা” আমি নিরীহ ভাবে উত্তর দেই।
“প্রতিদিন রাত তিনটা চারটা পর্যন্ত বসে বাসে নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ না আইনষ্টাইন হও আমার কিছু যায় আসে না, তাই বলে আজকেও তোমার যত্তসব ফালতু লেখা লিখতে হবে?” ফুসতে ফুসতে গিন্নীর রাগে লাল হওয়া চেহারা।
“কেন আজকে কি হয়েছে” আমি আসলেই জানি না আজকে কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে লিখতে পারব না?
“ও ভুলে গেছ, সে আর নতুন কি প্রতিবারই তুমি ভুলে যাও, আমি মনে করেছিলাম এইবার অন্তত কিছু একটা সারপ্রাইজ দেবা। যদিও প্রতিবারই ভাবি কিন্তু কোনবারই তোমার মনে থাকে না…………… ক্যাচ ম্যাচ……… হাউ কাউ……… তোমার শালা শালী রাত বারোটায় আমার ফোনে ফোন দিয়ে তোমাকে পায় নাই তুমি বাইরে ছিলা, আজকে তোমার বিবাহ বার্ষিকী………… আমি বলে দিছি তোমাকে যেন ফোন না দেয়……… ক্যাচ ম্যাচ……… ফোস ফাস…………
আমি কি করব বলেন? আমার এই সব এক দম মনে থাকে না। কেন যেন জন্ম দিন বিবাহ বার্ষিকী ফার্ষিকী কিছুই মনে রাখতে পারি না। পরিস্থিতি খারাপ। অবাক হয়ে আজকের লেখার দিকে তাকালাম, পোষ্টের বিষয় বস্তু বিয়ে, অথচ আমার খেয়ালি ছিল না আজকে আমি অনেক বছর আগে এই সদ্য যুবতীকে বিয়ে করছিলাম কলেমা পড়ে। একেই বলে কো ইন্সিডেন্স কোন এক জরুরী কারনে আমি বাসায় ফিরছি রাত সাড়ে বারোটায় খেয়ে দেয়ে লিখতে বসছি অবশ্য তার আগে এই পোষ্টের কিছু লিখে গিয়েছিলাম……… না পোষ্ট টা শেষ করা যাবে না। গৃহ যুদ্ধে শুরু হবে তাহলে, যদিও একতরফা।
আমারো দোষ আছে, কেন জানি কোন দিন বউকে মুখ ফুটে বলতে পারি নি তোমাকে আর আমার মাকে আমার জীবনের থেকে বেশী ভালোবাসি। আচ্ছা মুখ দিয়ে বললেই কি ভালোবাসা প্রকাশ পায়? হয়ত পায়, কিন্তু আমি যে পুরানো যুগের মানুষ! কেন যেন আপন মানুষ গুলোকেই আমি বেশী কষ্ট দেই নানা কারনে। অথচ নিজে অনুভব করি কি এক মমতায় তাদের সারাক্ষন জড়িয়ে রাখতে চাই।
পোষ্ট অসমাপ্ত রেখেই উঠতে হল। দুঃখিত।
ছবি গুলো নেট থেকে সংগৃহিত
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: এই পোষ্টের বিষয় বস্তু খুব মারাত্মক পড়লেই বুজতে পারবেন। আমি এই মুহুর্তে কম্প্যুটারের সামনে দিয়ে উঠলাম
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভাল লাগলো, মজাও পাইলাম।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৪
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ইমরান ভাই।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২৯
মিরোরডডল বলেছেন: শায়রী
সেকাল একাল এর বিয়ে চমৎকার লিখেছেন ।
ভালোবাসার কথা মুখে না বললেও, কাছের মানুষটা ঠিকই বুঝে নেয় ।
শুভ হোক আপনাদের এই খুনসুটি দাম্পত্য ।
এরকম লেখা আরও চাই ।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১
শের শায়রী বলেছেন: মিরোরডডল পাঠে, মন্তব্য এবং শুভ কামনায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনার লেখা গুলো দেখছি এবং শব্দ চয়ন আমাকে অবাক করে দিচ্ছে, আমার ধারনা ছিল আপনি বোধ হয় বাংলায় অত সাবলীল না। আমার ধারনা কে আপনি ভুল প্রমান করেছেন। ওয়ান্স এগেইন মেনি থ্যাঙ্কস মিরোরডডল।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিবাহ বার্ষিকীর অভিনন্দন, আপনারা ২ জন সুখে থাকুন।
আমাদের কলেজ অবধি গ্রামের বিয়েতে আনন্দ ছিলো।
আপনার খালার বিয়ে কি পাকিস্তানী আমলে হয়েছিলো?
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এবং আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন মুরুব্বী। হ্যা আপনাদের সময় নিশ্চয়ই আরো অনেক আনন্দ হত, কারন অতীতে আ/নন্দের উপকরন ছিল সীমিত, তাই যেটুকুই ছিল সেটুকুতে প্রান থাকত। জ্বি না উনার বিয়ে বাংলাদেশ আমলেই হয়েছিল। আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ জানুন শুভ কামনায়।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: প্রাঞ্জল শব্দের অলংকরণ। পাঠে মুগ্ধ হলাম।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় আমার কৃতজ্ঞতা প্রিয় নেওয়াজ ভাই।
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মধুরেণ সমাপয়েৎ না হয়ে
রণরঙ্গিনী আগমনে সমাপয়েৎ !!!
তার পরেও নষ্টালজিয়ার আবহ দেবার জন্য
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আজকালকার
বউগুলো বিয়ের সময় কাদেনা বলে পরবর্তী
জীবনে তার মাসুল দিয়ে যায়। আগের দিনে
বিয়ের সময়ে কণে কেঁদে কেঁটে সারাজীবনের
কান্না ধুয়ে মুছে ফেলতো বলে মৃত্যুর আগপর্যন্ত
স্বামীর সংসারে হাসিখুশিতে ছেলে-মেয়ে, নাতি পুতি
নিয়ে সংসার করে গেছে। তার মৃত্যুতে সকলে কেঁদেছে।
এখন সেই অযোধ্যাও নেই, আর রাম ও নেই।
শুধু নেই আর নেই!!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
শের শায়রী বলেছেন: দারুন ভালো লাগার এক মন্তব্য প্রিয় নূর ভাই। আমি আসলেই বুজি না সেকালের রীতি ভালো না একালের রীতি ভালো। উভয় রীতি দেখার পর ব্যাক্তিগতভাবে আমি পূর্ব ধারার সমর্থক। পাথে এবং মন্তব্যে আমার কৃতজ্ঞতা জানুন। হ্যা ঠিকই বলেছেন ভাই এখন সেই অযোধ্যাও নেই, আর রাম ও নেই।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩১
নীলসাধু বলেছেন: শুভ বিবাহ বার্ষিকী!!
বিয়ের পর আমার নিজেরও কদিন এই সমস্যা ছিলো। এখন ফেসবুকের কল্যাণে মেমোরিতে আসে। আর আলাদা করে মুখস্ত করে রাখা।
বুঝতে হবে
আগের দিনের বিয়েতে মজা হতো। আমি জানি এখনকার ছেলেমেয়ার বলবে এখন আরো শতগুণ বেশি মজা করে আনন্দে মাতে। দিন বদলায়। এসব অনুভব ও বদলে যায়। রয়ে যায় স্মৃতি। গোপন
গহীন কোনোখানে হয়তো।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫২
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানুন নীলদা শুভ কামনায়।
আমার সমস্যা হল আমার কোন ফেসবুক আইডি নেই তাই কপালে প্রতি বছর এই সব ঝাড়ি মেনে নিয়েছি । আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল আগের দিনের আনন্দে হৃদয় দিয়ে অনুভবের ব্যাপার ছিল এখন কার আনন্দে আছে দেখানো প্রতিযোগিতা। দেখুন আগে সেভাবে ক্যামেরাও ছিল না, হিসাব করে কোন মতে কোন কোন বিয়েতে দু'য়েকটা ক্যামেরায় ছবি তোলা হত গুনে গুনে তার আগে তাও ছিল না সেক্ষেত্রে কিন্তু অভিজ্ঞতা গুলো বেচে থাকত হৃদয়ের মনিকোঠায় অথবা কোন শাড়ীর ভাজে কিংবা কোন বইর পাতায় অথবা একটা চিঠিতে আর এখন স্মৃতি বেচে থাকে ছবিতে কম্প্যুটারের চীপে যেখানে স্পর্শ বা গন্ধের দ্ধারা প্রাপ্ত অনুভুতির কোণ লেশই নেই।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: বিবাহ বার্ষিকীতে দোয়া- আমৃত্যু সংসারে শান্তি ও সুখ বিরাজ করুক।
আপনার খালার বিয়ের বর্ণনা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম, আগের বিয়ের সাথে প্রাণের যোগ থাকত, এখন থাকে শুধুই প্রদর্শনীর লোভ।
আপনার খালা-খালু মনে হয় অল্প বয়সে মারা গেছেন। তাই জানার ইচ্ছা হচ্ছে, কিভাবে উনারা মারা গেলেন। আল্লাহ উনাদের জান্নাত বাসী করুন।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১১
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় বোন আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের পাথেয়। এখন শুধু প্রদর্শনীর লোভ।
আমার ব্যাক্তিগত মতামত হল আগের দিনের আনন্দে হৃদয় দিয়ে অনুভবের ব্যাপার ছিল এখন কার আনন্দে আছে দেখানো প্রতিযোগিতা। দেখুন আগে সেভাবে ক্যামেরাও ছিল না, হিসাব করে কোন মতে কোন কোন বিয়েতে দু'য়েকটা ক্যামেরায় ছবি তোলা হত গুনে গুনে তার আগে তাও ছিল না সেক্ষেত্রে কিন্তু অভিজ্ঞতা গুলো বেচে থাকত হৃদয়ের মনিকোঠায় অথবা কোন শাড়ীর ভাজে কিংবা কোন বইর পাতায় অথবা একটা চিঠিতে আর এখন স্মৃতি বেচে থাকে ছবিতে কম্প্যুটারের চীপে যেখানে স্পর্শ বা গন্ধের দ্ধারা প্রাপ্ত অনুভুতির কোণ লেশই নেই।
আমার ওই চার নাম্বার খালা অল্প বয়সেই মারা গেছে। আসলে খালু মারা যাবার পর সে মানসিক এক ধাক্কা খায় তাই তারপর আর বেশী দিন বাচে নি, শেষের দিকে কিছুটা রোগে ভোগে যা আমাদের সবাইকে বিষাদ ময় করে রাখত। উনার নিজের কোন বাচ্চা ছিল না, তাই আমরা মানে তার বোনের আর ভাইর ছেলেরা ছিলাম তার নিজের সন্তান। আমার প্রজন্মের এবং আমার পরবর্তী আমার প্রতিটা মামাতো খালাতো ভাই বোন তাদের জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এই খালার ভালোবাসার কাছে ঋনী। আল্লাহ উনাদের জান্নাত বাসী করুক।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে যা লিখেছেন এক বিন্দু মিথ্যা লিখেন নি।
বর্তমান যুগের বিয়ে শাদি খুব বেশি কৃত্রিম। আমার ভালো লাগে না।
সেই বহু যুগ আগে আপনার খালার যেরকম বিয়ে হয়েছে- সেই রকম বিয়ে আজকাল হয় না।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
শের শায়রী বলেছেন: ঠিক রাজীব ভাই। এখন বিয়ে সেজেগুজে গিয়ে খেয়ে আসা আর গায়ে হলুদে এই প্রজন্মের হিন্দি গানের সাথে নর্তন কুদন। এটা যদি আনন্দ হয় তবে আনন্দ তবে আমার কাছে এই আনন্দের কোন মূল্য নেই।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
নিভৃতা বলেছেন: শুভ বিবাহবার্ষিকী ভাই। অনেক অনেক শুভ কামনা ও দোয়া রইল আপনাদের জন্য।
সত্যি কথাটাই বলেছেন। বিয়ে যেন এখন প্রদর্শনী। আগের মত আর মন ছুঁয়ে যায় না। আগে কনে বলতে মনে হত লাজুকলতা ঘোমটা মাথায় কোন এক নারী। শত চেষ্টায়ও মুখখানা উপরে তোলা যেতো না। আর এখন কনে নিজেই সবার সাথে নাচে। যাই হোক, বিবর্তন আসবেই। আমার নিজের বিয়েতেও আমি খুব একটা লজ্জা পাইনি। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে বর মহাশয়কে যখন পাশে এনে বসানোর পর লজ্জায় আর মাথা উপরে তুলতে পারিনি।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
শের শায়রী বলেছেন: আপনাদের দোয়াই আমাদের জন্য পাথেয় বোন। সুখে দুঃখে জীবন টেনে যাচ্ছি। তবে এক্ষেত্রে আমার সন্তানদের মায়ের ভুমিকা অপরিসীম আমার তুলনায় কারন আমি অনেকটা খাম খেয়ালি। আমাকে কিভাবে যেন এক মায়ার বাধনে আটকে রাখে আগলে রাখে।
হ্যা আগের আনন্দ গুলোতে ছিল প্রানের টান এখনকার আনন্দগুলোতে আছে মানুষদের দেখানো প্রতিযোগিতা। প্রানের টান আর দেখানোর প্রতিযোগিতায় তো পার্থক্য অবশ্যই থাকবে। আর আমার বিয়ার সময় যখন নতুন বউকে পাশে এনে যখন বসানো হল আমি শরমে মাথা তুলতে পারি না
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনেরে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাইলাম না, ভুইলা যাওনের শাস্তি। বাঘিনী ভাবীরে শুভেচ্ছা জানায়েন আমার তরফ থেইকা।
জীবনে এমন কোইন্সিডেন্স হয়। এতে আমরা আশ্চর্য হই, সেইজন্যই এইটারে কোইন্সিডেন্স বলে!!
আগের জমানার বিয়াতে আন্তরিকতা আছিল, প্রান আছিল। এখনকার বিয়া হইলো আর্টিফিসিয়াল। পোলাপাইনরা বিয়ার আগেই আজকাল বিয়া কইরা ফালায়, তাই চার্ম কম। আর হিন্দি সিনেমার প্রভাবের কথা আর কি কমু। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা তো আপনে জানেনই, আমার শেষ পোষ্টেও কইছি। নতুন কইরা আর কয়া লাভ নাই।
তয় আপনে কইলাম সময় থাকতে সাবধান হয়া যান। ভালো কথা, ফোনে ইভেন্ট এড কইরা ২/৪ দিন আগেই এলার্ম সেট কইরা রাখেন না ক্যান? প্রত্যেক বছরে হ্যায়ই আপনেরে জানায়া দিব!!!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
শের শায়রী বলেছেন: শুভেচ্ছা জানাইলাম আপনার পক্ষ থিক্কা আর মাইয়া গুলা একটাও স্বাভাবিক সালোয়ার কামিজ পড়ে না, ওড়না তো দেয়ই না। ওইগুলা ওল্ড ফ্যাশন। ইন্ডিয়ারে অনুসরন করতে পারলেই মোক্ষ লাভ এই জমানার মাইয়াগুলার।
দিমু না ফোনে ইভেন্ট, বড়জোড় সামনের বছর আবার ক্যাচ ম্যাচ একটু যদি বাইচ্চা থাকি। খারাপ লাগে না খুব একটা
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১০
মুহিব্বুল্লাহ মামুন বলেছেন: কত পরিবর্তন কত রঙ ঢং! জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়!!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
শের শায়রী বলেছেন: হ্যা জীবন অবশ্যই বৈচিত্র্যময়।
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীর আনন্দের বড় অভাব।
বিয়েতে লোকজন লক্ষ কোটি টাকা খরচ করছে, অথচ আনন্দ নেই।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩২
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এখনকার এই গুলো দেখানো আনন্দ প্রানের ছোয়া নেই। যার টাকা আছে সে খরচ করে অন্যকে দেখায়।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০
মা.হাসান বলেছেন: আন্তরিক সমবেদনা এবং সহানুভূতি রইল।
আমার এক বন্ধু প্রথম সাক্ষাতের দিন, প্রথম হাত ধরার দিন , প্রথম কথা বলার দিন , প্রথম ইশারা করার দিন ইত্যাদি সব দিবসই পালন করেন । এনারা প্রকৃত মহামানব ।বিয়ে করা এনাদের ই মানায় ।
ভুল সময়ে জন্ম লইয়াছি ।এখন বিয়ে-শাদীতে পনেরো কুড়ি লক্ষ টাকা খরচ কোন ব্যাপার না । এই জামানায় জন্ম হইলে খরচের অজুহাত দেখাইয়া চিরকুমার থাকিয়া যাওয়ার চেষ্টা করিতাম ।
বিশেষ দিবসের ৩-৪ দিন আগে ফোনে রিমাইন্ডার সেট করা বাস্তব সম্মত সমাধান না । তিন চারদিন আগে মনে করাইয়া দিবে কে? ওয়ান টু থ্রি গ্রিটিংস ডট কম জাতীয় ওয়েবসাইটে যাইয়া সামনের বছর নির্ধারিত দিনের একদিন আগে নিজেকে একটি গ্রিটিংস কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করুন । যাদের একাধিক স্ত্রী /গার্লফ্রেন্ড আছে তাহারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করিবেন না । ক্রস কানেকশন হইয়া গেলে বাঁচিবার সম্ভাবনা নাই ।
হ্যাজাক লাইট লাইট এর উপরে ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়ের একটি সুন্দর পোষ্ট আছে
https://www.somewhereinblog.net/blog/thakurmahmud/30279224
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪০
শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আর কইয়েন না, এর উপ্রে আছে ফেসবুক, কে কবে কোথায় গেছে, কেডা নতুন গাড়ী কিনল এই সব প্যারা নিতে নিতে আম জনতা বিষাদ্গ্রস্থ। ভালো একটা কথা কইছেন, যদি এই কালে জন্মাইতাম তাইলে বিয়ার খরচের অযুহাতেও বিয়া না কইরা থাকা যাইত। ক্যা যে হেই জমানায় বিয়ার খরচ, সোনার দাম এত কম ভাবলেই মেজাজ টা বিগড়াইয়া যায়।
আর ওয়ান টু থ্রি গ্রিটিংস ডট কম জাতীয় ওয়েবসাইটে যাইয়া সামনের বছর নির্ধারিত দিনের একদিন আগে নিজেকে একটি গ্রিটিংস কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা করুন । এই সব অন লাইনের ব্যাপার স্যাপার আমি খুব কম বুজি। এইটুকু বুজবার পারছি সামনের বছর আবার ঝাড়ি খামু।
ঠাকুর মাহমুদ ভাইর হ্যাজাক নিয়া পোষ্টটা দেখলাম ভালো লাগছে। স্পেশালি উনার দাদীজানদের। আল্লাহ উনাদের বেহেশত নসীব করুক।
১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইসিয়াক বলেছেন:
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস আ লট প্রিয় কবি। আমি আপ্লুত।
১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫২
সোহানী বলেছেন: গতকালই আপনার পোস্ট করার পরপরই পড়েছিলাম কিন্তু রাস্তায় ছিলাম তাই উত্তর দিতে পারিনি। এইবার আসি আসল কথায়...।
উজির নাজির, রাজা বাদশাগো সব হিসাব নিকাশ পুংখানুপুংখভাবে মনে রাখেন আর নিজের ম্যারেজ ডে মনে রাখেন না.... এর চেয়ে বড় অপরাধ কোন ভাবেই হতে পারে না। আজকাল মোবাইলে এ্যালার্ম দেয়া যায় জীবনভর, ফেসবুক এ টাইমলাইনে রাখা যায় সারা জীবন, গুগল এ ক্যালেন্ডারে রাখা যায়.... না পারলে নিদেনপক্ষে নুরুভাইরে জানান দিতে পারতেন মনে রাখার জন্য । এতো এতো অপশান থাকার পর আফনি মইধ্য রাইতে বাসায় ফিরছেন তারউপ্রে আবার ব্লগ কচলাইতেছেন, তারউপ্রে মনে রাখেন নাই, তারউপ্রে গিফট আনেন নাই.......... আফনার এ অপরাধের সীমা নাই। (তুই অপরাধীরে গানটা শুইনেন )
আমার নিজেরই রাগে গা জ্বলতাছে আর ভাবী যদি বাপের বাড়ি না যাইয়া থাকে, কিংবা অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটা না ডাকিয়া থাকে তাইলে কমু সে ফেরেশতা আদমী।
সারা বছর বেচারী একটু আশা করে আছে এ দিনটির জন্য তা আপনি এভাবে ভঙ্গ করতে পারনে না। যাইহোক, এর পরেরবার যেন ভুৃল না হয়। আর এবার বেইলি রোড থেইকা একখান শাড়ি, শাহবাগ থেইকা বেলী ফুলের মালা আর আড়ং থেইকা একটা রুপোর ঝুমকা কিনে আজই বাসার ফিরেন । (টাকা লাগে দেবে গৈাড়ি সেন, ডোন্ট ওরি )
লিখার বিষয়বস্তু নিয়া পরে কটকট করুম...............
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: হে হে হে বোনডি, অহনো চেনেন নাই মোরে, তয় মুই তো আপনের ভাই, করছি কি ঝাড়ি ঝুড়ি খাইয়া বিছানায় যাইয়া অর দিকে পিঠ দিয়া শুইয়া রইছি, হ্যায় মোনে করছিলো আমি বোধ হয় সর্যি মর্যি কমু, কিচ্ছু না, ভাব লইয়া (খুব দুঃখ দুঃখ ভাব) আর এক দিক ফিররা শুইয়া থাকতে থাকতে আরামসে ঘুমাইয়া রইছি।
সকালে উইডাও আমি হেতের লগে কুন কতা কই নাই (ভাব খানা এমুন সুন্দর দিনে আমারে ঝাড়ি দিছে ক্যা)। চুপ চাপ খাইয়া নামায পইড়া এক খান বই লইয়া পড়তে ঘুমের ইন্তেজার করতে ছিলাম, হ্যায় কয় চল ঘুইরা আসি, আমি গোশ্যা কইরা প্রথমে কুন কতা কই নাই। শ্যাষে অনেক রিকোয়েষ্ট সর্যি মর্যি হ্যায় কইয়া আমারে আর পোলাগো নিয়া বাইরে গেছে, রাইতে খাইয়া খুইয়া অহন বাসায় আইলাম। হে হে হে সিষ্টেম খান কেমুন অইলো। হ্যায় যত সর্যি কয় আমি তত অভিমান করি (আর ভেত্রে ভেত্রে তো হাসতে হাসতে মইরা যাই, আর মনে কই আমারে আর ঝাড়ি লইবা এইবার বুজ ঠ্যালা)।
রাগ কেডা কার ভাঙ্গাইছে এহন বুজছেন? আমি কিন্না দিমু কি, হ্যায়ই আমারে নয়া পিরান কিন্না দিছে, নিজে কিছু কিনে নাই কি মজা! সামনের বারো যেন এমুন ঘটনা ঘটে এই দুয়ার দরখাস্ত রাইখা গেলাম।
১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: সুন্দর, খুব ভাল বলেছেন।
ডিজের গানের আপডাউন আর লাইটিং এর ধাঁধানো আলো আমার নিকট খুবই বিরক্তিকর।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: মোজাম ভাই আমার ভয়াবহ মাথা ধইরা যায় একটা বদ্ধ রুমে এত জোরে হিন্দী গান বাজলে তাই প্রায় সময়ই রুমের বাইরে গিয়া বইসা থাকি। আর ডিজে পোলাপান গুলারে দেখলেই থাবড়াইতে মোঞ্চায়।
১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: দূরে বসে আমরা ফেসবুকে দেশের বিয়ের হলুদ , রিসেপশন প্রোগ্রাম দেখি। দূর থেকে বসে এইসব ছবি ও ভিডিও দেখলে মনে হয় কোন হিন্দি সিরিয়াল দেখছি। এসব দেখি আর ভাবি যে ভাগ্যিস আমাদের সময়ে ইন্টারনেটের প্রচলন হয়নি।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০১
শের শায়রী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই এক্কেরে ঠিক কইছেন, এখনকার বিয়ে শাদীতে গেলে নিজেরে মনে হয় কোন হিন্দী সিনেমার বা সিরিয়ালের এক্সট্রার অভিনয় করতাছি। অসহ্য। কোন প্রানের ছোয়া নাই। আর মেয়েদের উদ্ভট জামা দেখলে বোজা যায় না এটা বাংলাদেশ না ভারত। ওড়না জিনিসটা মনে হয় জাদুঘরে নির্বাসিত।
১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য মন দিয়ে পড়লাম।
কে কি মন্তব্য করছে সেটা জানার দরকার আছে।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: আমিও এই কাজ টা মাঝে মাঝে করি বিভিন্ন পছন্দের পোষ্টে রাজীব ভাই।
২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
শেষের তিনটি লাইনের অব্যক্ততা মনে হয় কখনোই ব্যক্ত হয়না কারো কাছেই.................
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৫
শের শায়রী বলেছেন: কেন যেন ইচ্ছাও হয় ব্যক্ত করতে প্রিয় আহমেদ ভাই। হয়ত তারা বোঝে হয়ত বোঝে না, কিন্তু আমি তো বুঝি..... এই অনেক আমার কাছে।
পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।
২১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪১
মুক্তা নীল বলেছেন:
ভাই ,
আপনাকে ও ভাবিকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো বিবাহ বার্ষিকীতে । আজকের লেখার বিষয়টি অসাধারণ হয়েছে।
আপনার খালা ও খালুকে মহান আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন।
আর হ্যাঁ , ভুলে গেলে তো গৃহযুদ্ধ হবেই, আগামী বছর ভুল করিয়েন না । সত্যি কারের ভালোবাসা কখনো দেখা যায় না
আর প্রকাশ করা যায় না , অনুভবই তার প্রমান।
শেষেঊ লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১০
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় বোন, আমার লেখার সময় আপনার ভাবী আমার ল্যাপটপের সামনে কখনো থাকে না, আজকে ডেকে দেখালাম সবার মন্তব্য (লেখা দেখাইনি, কেমন যেন লজ্জা লজ্জা লাগছিলো ) খালি মন্তব্য দেখাইছি । আপনাদের সবার ভালোবাসায় সে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, আসলে মানুষ হিসাবে সে ভীষন নরম। আমিই তার ওপর নানা অন্যায় করি, সে সব কিছু সামলে রেখেছে আমার মত উড়নচন্ডিকে সহ। আমি বড় কৃতজ্ঞ তার কাছে। আর আপানাদের এই সামান্য ভাইর আন্তরিক ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানুন।
২২| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
শুভ বিবাহ বার্ষিকী!!
"কেন জানি কোন দিন বউকে মুখ ফুটে বলতে পারি নি তোমাকে আর আমার মাকে আমার জীবনের থেকে বেশী ভালোবাসি। আচ্ছা মুখ দিয়ে বললেই কি ভালোবাসা প্রকাশ পায়? হয়ত পায়, কিন্তু আমি যে পুরানো যুগের মানুষ! কেন যেন আপন মানুষ গুলোকেই আমি বেশী কষ্ট দেই নানা কারনে। অথচ নিজে অনুভব করি কি এক মমতায় তাদের সারাক্ষন জড়িয়ে রাখতে চাই। " ---- ++
আমার নানা বাড়ির বিয়ে আর অনুষ্ঠান গুলোতে রাতে হ্যাজাক বাতি জ্বালানো হতো। আমার অপেক্ষা করতাম , কখন হ্যাজাক বাতি জ্বালাবে। হ্যাজাক বাতি জ্বালানো দেখাটা চরম মজার একটা অংশ । মিস করতে চেতাম না।
ইদানিং কালে যত বিয়ে দেখলাম এবং বুঝলাম , বিয়েতে মেয়েরা আর আগের মত কাঁদে না , একেবারেই কাঁদে না।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় সৌরভ ভাই, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা শুভেচ্ছায়। সব কিছু চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে, আগে যেখানে কান্না করত এখন সেখানে হাসে, জানিনা কোন টা ভালো!
২৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
যেখানে কান্না করত এখন সেখানে হাসে, জানিনা কোন টা ভালো! ---
কান্না কাটি করে ২০ হাজার টাকার মেকাপ নষ্ট করতে চাইনা কেউ।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: "বুলস আই"। প্রিয় ভাই এটাই মুল ব্যাপার কান্না করে কেউ ২০ হাজার বা তারো বেশী টাকার মেকাপ নষ্ট করতে চায় না। অনুভুতি হারিয়ে গেছে মেকাপের আড়ালে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের পোষ্টে চোখ বন্ধ কইরা লাইক যেহেতু দেওন যায়, তাই দিলাম। আস্তে-ধীরে পড়মু।