নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভজটেকঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এক পোলিশ যোদ্ধা ভালুকের কাহিনী

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৬



দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটা। সময় ১৯৪২ সালের ৮ ই এপ্রিল। স্থান হামাদান রেলওয়ে ষ্টেশন ইরান। সবেমাত্র সোভিয়েট জেনারেল ভ্লাদিস্লাভ এ্যান্ডার্সের এর অধীনে এ্যান্ডার্স আর্মি গঠিত হয়েছে মুলতঃ পোলিশ সেনাদের নিয়ে। এই এ্যান্ডার্স আর্মি ইরানের উদ্দেশ্যে হামাদান রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌছে সাথে কয়েক হাজার পোলিশ উদ্ধাস্তু যারা ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ডে জার্মান হামলার সময় সোভিয়েট ইউনিয়নে পালিয়ে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ওখান থেকে ইতালিতে মিত্র বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে যাওয়া। সদ্য ইরানে পৌছানো পোলিশ উদ্ধাস্তু এবং সেনারা রেল ষ্টেশনের কাছে এক কুর্দী বালকের কাছে পুতুলের মত একটা ভালুক ছানা দেখতে পায় যার মাকে হয়ত শিকারীরা গুলি করে মেরে ফেলছে।



এই পোলিশ উদ্ধাস্তুদের মাঝে ছিল পোলিশ জেনারেল লুগোজোস্কির ভাইর নাতনী আঠারো বছর বয়স্ক ইরিনা বোকিউজ। সে লেফটেন্যান্ট আনাতোলি তারনোস্কিকে অনুরোধ করে যেন ভালুকের ছানাটা সে ওই কুর্দী বালকের কাছ থেকে কিনে নেয়, না হলে হয়ত ভালুক ছানাটা না খেতে পেয়ে মারা যাবে। লেফটেন্যান্ট আনাতোলি কুর্দী বালকটির কাছ থেকে ভালুক ছানাটি কয়েক টিন মাংস, কিছু ইরানিয়ান টাকা, একটা সুইস নাইফ এবং কিছু চকলেটের বিনিময়ে কিনে নেয় এবং ইরিনার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দেয়। পোলিশ সেনারা হামদান শহরের বাইরে উদ্ধাস্তু ক্যাম্প স্থাপন করা হয় সেখানে ইরিনার তত্ত্বাবধানে ভালুক ছানাটি তিন মাস থাকে। এর পর ইরিনা এই ভালুক ছানাটিকে আগষ্টে পোলিশ আর্মির দ্বিতীয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীকে দিয়ে দেয়। পরে এই দ্বিতীয় ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানী নামে পরিচিত হয়। শুরু হয় ভালুক ছানাটির নতুন জীবন। ভজটেক সিরীয় বাদামি রঙের ভালুক।



পরিবার পরিজনহীন সৈন্যদের মাঝে ভালুক ছানাটি একটি শিশুর আদর পেতে শুরু করল। আদর করে নাম দিল “ভজটেক”। বাংলায় যার মানে দাড়ায় “হাস্যজ্জ্বোল যোদ্ধা”। সমস্যা হলো ভজটেকের বয়স মাত্র কয়েক মাস, এ বয়সের ভালুক মায়ের বুকের দুধই খায়। সেনারা ভজটেককে ভদকার ( রাশিয়ার তৈরি মদের নাম ) বোতলে কনডেন্সড মিল্ক খাওয়াতে শুরু করেন। এমনকি সে বিয়ারও পান করতে শিখে যায়। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় ছিল সিগারেট। এরপর ভজটেক মারমালেড, মধু, নানা ফল খেতে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে।



সৈনিকদের সাথে ভজটেকের জীবন হেসে খেলে চলছিলো। সৈন্যদের সাথে সে কুস্তি লড়ত কিন্তু একটু বড় হবার পর ভজটেক খেয়াল রাখত তার সাথে কুস্তি লড়াই করা সৈন্য যেন ব্যাথা না পায়। কেউ যদি ব্যাথা পাবার অভিনয় করত তবে ভজটেক তার কাছে গিয়ে মাফ চেয়ে আসত। সাগরে সৈন্যদের সাথে গোসল করা থেকে শুরু করে তাদের সাথে মার্চ পাষ্টেও হেলেদুলে অংশ নিত। সৈন্যদের সাথে একই সাথে ঘুমাত। মুল ব্যাপার হল ভজটেক ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানীর একজন সৈন্য হিসাবে অন্য সৈন্যদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে নিজেকে মানিয়ে নিল।



ইতিমধ্যে ২২ তম কোম্পানী মিশরে ট্রান্সফার হল, স্বাভাবিক ভাবেই ভজটেকও তাদের সাথে মিশর গেল। এতদিন ভজটেক সৈন্য হিসাবে না একজন সিভিলিয়ান (!) হিসাবেই সৈন্যদের সাথে ছিল, যদিও তার চাল চলন আচার আচরন কোন সৈন্যর থেকে কম ছিল না। কিন্তু ঝামেলা বাধল যখন এই ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানীকে ১৯৪৪ সালে ইতালীতে পাঠান হবে বলে ডিসিশান হল। এবং ইতালীতে তারা ব্রিটিশ এইটথ আর্মির সাথে জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। পোলিশ বাহিনী ব্রিটিশ জাহাজে করে মিশর থেকে ইতালী যাবে।



ওদিকে ব্রিটিশ রুলস অনুযায়ী কোন পোষা প্রানী বা মাসকাটকে তাদের কোন যানবাহনে বহন করা নিষেধ। এদিকে পোলিশ ২২ তম সাপ্লাই কোম্পানীর কাছে ভজটেক পোষা প্রানীর থেকে বেশি কিছু ছিল, হয়ত কারো সন্তান বা কারো ভাই। তারা ভজটেককে ছাড়া যাবে না, প্ল্যান করতে বসল কিভাবে ব্রিটিশ নিয়মকে ফাকি দেয়া যায়, বুদ্ধিও বের হয়ে গেল। ভজটেক কে পোলিশ আর্মিতে “প্রাইভেট” (সাধারন সৈন্যদের ইংরেজীতে প্রাইভেট হিসাবে ডাকা হয়) হিসাবে অফিশিয়ালি নিয়োগ দেয়া হল। মানে ২২ তম আর্টিলারী সাপ্লাই কোম্পানীর আর দশটা পোলিশ সেনার সাথে ভজটেকও একজন পোলিশ সেনা হিসাবে গন্য হল। যেহেতু ২২ তম কোম্পানী ইটালী যাচ্ছে তাই প্রাইভেট ভজটেকও তাদের সাথে যাবে। ভজটেকের জাহাজে উঠতে আর কোন বাধা থাকল না।



১৯৪৪ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারী ইতালীতে ব্যাটল অব মন্টিক্যাসিনো শুরু হয়। ভয়ংকর যুদ্ধ ছিল এই ব্যাটেল অভ মন্টিক্যাসিনো। মিত্র বাহিনী এখানে প্রায় তাদের পচাত্তর হাজার সৈন্য হারায়। ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানীর ওপর দায়িত্ব ছিল ট্রাক থেকে আর্টিলারী শেল নিয়ে যুদ্ধ ক্ষেত্রে ইনফ্যান্ট্রিকে পৌছে দেয়া। প্রায় ২০০ কেজি ওজনের ভজটেক একাই ৪ টা শেলের এক এক বাক্স যার ওজন ছিল ১০০ পাউন্ড বয়ে নিয়ে যেত। স্বাভাবিক ভাবে যা বয়ে নিতে অন্ততঃ চার জন সৈন্যর দরকার হত। নিজের কাজে ভজটেক এতটাই পারদর্শী ছিল যে জীবনে কোন দিন তার হাত দিয়ে কোন বাক্স পড়ে যায়নি এই আনা নেয়ার মাঝে বা গোলাগুলির শব্দে।



৯৩ বছরে পা দেয়া পোলিশ সেনা উজসিয়েক নারেবস্কি ভজটেকের সাথে আড়াই বছর কাটিয়েছেন। তিনি বলেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভজটেক তাদেরই একজনে পরিণত হয়। পোল্যান্ড সেনাবাহিনীর এই সাবেক প্রবীণ সেনা তার স্মৃতি চারনে বলেন বলেন, "ও অনেক শক্তিশালী ছিল, যেখানে এক বক্স অস্ত্র বহনে ৪ জন সেনা হাপিয়ে উঠত সেখানে ও একাই তা মাথায় উঠিয়ে ফেলত। আমাদের কাজ করতে দেখলেই ও নিজে থেকে এসে আমাদের সাহায্য করত।"



যুদ্ধকালীন সময়ে ভজটেক মিত্র বাহিনীর কাছে এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে যুদ্ধ শেষ হবার আগেই ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানী তাদের লোগোতে পরিবর্তন আনে। সেখানে তারা লোগো হিসাবে ব্যাবহার করা শুরু করে একটা ভালুকের ছবি যা একটা মর্টার শেল বহন করে নিচ্ছে। যুদ্ধ শেষে ভজটেক কর্পোরাল পদে উন্নীত হয়।



১৯৪৫ সালে বিশ্বযুদ্ধ শেষে ২২ তম আর্টিলারি সাপ্লাই কোম্পানীকে স্কটল্যান্ডের হুটন নামের গ্রামের কাছে পাঠানো হয় স্বাভাবিক ভাবেই ভজটেকও তাদের সাথে যায়। স্বভাব অনুযায়ী স্থানীয় মানুষদের সাথেও ভজটেক মিশে যায় তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট অনুযায়ী। সাধারন মানুষ এবং প্রেস ভজটেককে ভালোবেসে ফেলে। স্থানীয়দের মাঝে সে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পোলিশ-স্কটিশ এসোসিয়েশন ভজটেককে তাদের সন্মানিক সদস্যপদে বরণ করে। এরপর তাকে ১৯৪৭ সালে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়। এখানে প্রায়ই তার সাথের সাবেক পোলিশ এবং ব্রিটিশ সেনারা দেখা করতে আসত এবং বন্ধুর মত এক সাথে বিয়ার খেতে খেতে কিছু সময় পার করত। এখানেই ১৯৬৩ সালের ২ ডিসেম্বর ২১ বছর বয়সে ভজটেকের জীবনাবসান ঘটে।



ভজটেক নামের ভালুক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে এই গ্রহে শান্তির বাতাবরণ সৃষ্টিতে একদিন অবদান রেখেছিল। ভজটেক শান্তির প্রতীক। ভজটেকের মর্মর মূর্তিও স্থাপিত রয়েছে “এডিনবার্গ প্রিন্সেস ষ্ট্রীট গার্ডেনে”। ভজটেকের স্মৃতি জাগরূক রয়েছে বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের অন্তরে, ওয়েবসাইট ও পোল্যান্ডের সেনানিবাসের ২২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সদর তোরণে ও সেনাদের উর্দিতে। ভজটেকের এই কাহিনি বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে “আ বিয়ার নেমড ভজটেক” নামে তৈরী হয়েছে এনিমেশান সিনেমাও।

ইউটিউবে ভজটেককে নিয়ে তার সাবেক পোলিশ সহযোদ্ধা উজসিয়েক নারেবস্কি এই স্মৃতি চারনটি অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে কথা দিলাম।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

সোহানী বলেছেন: আপনার পোস্ট মানেই নতুন কিছ জানা।..............

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া বোন।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৩

সুপারডুপার বলেছেন: পোলিশ যোদ্ধা ভালুক ভজটেকের কাহিনীটি অনেক ভালো লাগলো।

১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৩| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মানুষরা বেইমানী করতে পারে। কিন্তু আমরা.....বাঘ, ভালুক, সিংহরা কোনদিন বেইমানী করি না। কি কন? :P

আমার বেশ কয়েকজন পোলিশ সহকর্মী আছে। হ্যাগোরে এই কাহিনী কমু, আমি নিশ্চিত, কেউ এইডা জানে না। অবশ্য আমি যেইডা জানতাম না, হ্যারা জানবো কোইত্থে!!! =p~

আপনেরে কইতে মনে থাকে না। আমাগো এক আত্মীয়ের সাক্ষাৎকার নিসিলাম, কোন এক সময়ে। দেইখেন সময় কইরা। লিঙ্ক দিলামview this link

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: আর আমি যে গত পরশুও কিছু জানতাম না হেইডা কারে কই :P না আমাগো প্রজাতি বেঈমানী শব্দটার সাথে মোটেই পরিচিত না, এই শব্দটা ব্যাবকরনেই নাই। সাক্ষাৎকার ডা পইড়া নিমুনে।

৪| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখনকার মানুষ কম বুদ্ধিমান ছিলেন; যুদ্ধ শেষে ভালুকটাকে ইরানের জংগলে ছেড়ে দিলেই ভালো হতো।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: যে ভাল্লুকটা বড় অইলো মানুষের মাঝে তাকে জঙ্গলে ছাইড়া দিলে সেটা কিভাবে সারভাইব করবে? দ্বিতীয়তঃ ইতালিতে যুদ্ধের পর ২২ তম সাপ্লাই গেল স্কটল্যান্ড সে জায়গায় আবার এই ভাল্লুকরে ছাইড়া দিতে যাইতে হবে ইরান ব্যাপারটা সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কতটা সম্ভব ছিল? যে ভাল্লুকরে জন্মের পরই মানুষের মাঝে বড় হওয়া তার জন্য ইরান কি আর তুরান কি? সব শেষে এই জায়গায় তো ভাল্লুকটার সাথে তার সহযোদ্ধাদেরও ইমোশান জড়িত ছিল। আর আপনি কিনা কইয়া ফালাইলেন তখনকার মানুষের বুদ্ধি কম ছিল তাও তখনকার বলতে মাত্র ৭০/৭৫ বছর আগের কাহিনী। বুদ্ধি আল্লাহ সব আপনার মাথায় ই দিয়া রাখাছে মুরুব্বী! (অবশ্য আল্লাহ খোদা তো আপনি বিশ্বাস করেন না, সেক্ষেত্রে সব বুদ্ধি আপনি একা একাই ডেভলপ করছেন আর মাথায় জমাইয়া রাখছেন। বাকী সব বলদ)

৫| ১০ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সিনেমাটি কি মুক্তি পেয়েছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম, এইবছর মুক্তি পাবে।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি না ভাই আমার ঠিক ধারনা নাই, ছবিটা মুক্তি পেয়েছে কিনা। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপক্ব ও পরিপাটি লেখা ।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা নেওয়াজ ভাই।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকের পোষ্ট।
খু ভালো লাগলো।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মানুষ সৈনিক রা হয়তো ভুল করে। ভজটেক কোনদিন কোন অস্ত্র ভুলে ফেলে যায়নি।

আজ এক অসাধারণ বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেন। আপনার পোস্ট মানেই অনেক কিছু /নতুন কিছু জানা --- সোহানী আপুর মতোই বলি।

পোস্ট প্রিয়তে প্রিয় ভাই। ++

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই চাইলে আপনিও এর থেকে ভালো লিখতে পারেন এই সব বিষয় নিয়ে যা ইতিমধ্যে প্রমানও দিয়েছেন, তারপরো উদ্দীপনামুলক মন্তব্যে অশেষ ভালো লাগা আর কৃতজ্ঞতা জানবেন

৯| ১১ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

রাসেল বলেছেন: Thanks

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

শের শায়রী বলেছেন: স্বাগতম।

১০| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালুক যোদ্ধা নিয়ে লিখেছেন, কমপক্ষে ৯ জন কমেন্ট করেছেন; মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে লেখেন, দেখেন কতজন কমেন্ট করেন!

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

শের শায়রী বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে আমার লেখা কয়েকটি পোষ্টের লিঙ্ক দিলাম আপনি নিজেই দেখে আসুন কয়জন পোষ্টে কমেন্ট দিয়েছে। মানুষ সন্মন্ধ্যে আপনার নেতিবাচক ধারনা একটা মানসিক ব্যাধি বলে আমার মনে হয় কখনো কখনো মুরুব্বী।

১৯৬৫ যুদ্বঃ বীর বাঙ্গালী রক্ষা করেছিল পাকিস্তান

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ব ভিত্তিক চলচিত্রের ইতিহাস

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের এক টুকরো সত্য ঘটনা

কিলো ফ্লাইট

আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিব্বতী যোদ্ধারা

স্বাধীনতা যুদ্ধে তিন অজানা বিদেশী কে আমার স্যালুট

১১| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

১২| ১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

আপনি পোষ্ট নিয়ে অনেক পরিশ্রম করেন। স্যলুট।

১১ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: কমেন্টে এই যে ফিরে আসা আমি এটাকে অত্যন্ত সন্মানের চোখে দেখি রাজীব ভাই। ব্লগে খুব কম মানুষকে দেখছি এই ধারাটা বজায় রাখতে। আবারো আমার আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানুন।

১৩| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: নতুন কিছু জানতে চাও !!
তাহলে চোখ রাখো শের স্যারের ব্লগে :)

১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: মনিরা আপা আপনিও =p~

১৪| ১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " যে ভাল্লুকটা বড় অইলো মানুষের মাঝে তাকে জঙ্গলে ছাইড়া দিলে সেটা কিভাবে সারভাইব করবে? "

-ঠিক ৮৫ বছর আগে, মানুষ আপনার সমান ভেবেছেন; অর্থাৎ আপনি ৮৫ বছর আগের লেভেলে আছেন।

১১ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

শের শায়রী বলেছেন: কিন্তু ভাইবা পাই না আপনি সময়ের তুলনায় এত অগ্রগামী কিভাবে? আপনার বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য দেখলে অনেক সময় আপনাকে মনে হয় ভিন গ্রহ দিয়ে আইছেন অথবা টাইম ট্রাভেল কইরা পিছনে আইছেন। কি আর করবেন মুরুব্বী, থাকেন আমাগো মত অগা মগার সাথে। ভাল্লুকটাকে জঙ্গলে ছাইড়া দিয়া আসার বুদ্ধির সাথে কেন যেন আমার মনে অইলো আপনারে এখন পাকিস্তান বা ভারতে ছাইড়া দিয়া আইলে কতখানি সারভাইব করবেন? কারন জন্মগত ভাবে আপনিও হয়ত এই দুই দেশের অন্তত এক দেশের নাগরিক তো অবশ্যই ছিলেন এক সময়। জাষ্ট ফর এক্সপেরিমেন্ট।

১৫| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০০

করুণাধারা বলেছেন: এই যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না; নতুন একটা জিনিস জানলাম। এত বিশাল একটা ভালুকের সাথে সৈন্যরা কিভাবে বন্ধুর মত হয়ে উঠৈছিলেন, আপনার কলমে সেই ছবি চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন। সাথে দেয়া ছবিগুলোও চমৎকার!

চমৎকার এই পোস্টে লাইক।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা বোন।

১৬| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ভজটেক মুগ্ধ করলো।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১২

শের শায়রী বলেছেন: ভজটেকের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানবেন।

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: কমেন্টে এই যে ফিরে আসা আমি এটাকে অত্যন্ত সন্মানের চোখে দেখি রাজীব ভাই। ব্লগে খুব কম মানুষকে দেখছি এই ধারাটা বজায় রাখতে। আবারো আমার আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানুন।

অন্যরা কে কি মন্তব্য করে সেটা দেখতে এবং জানতে আমার খুব ভালো লাগে।
মন্তব্য থেকে তাদের বুঝতে চেষ্টা করি।

১১ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

১৮| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:২২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: চমৎকার বিষয়। ভালো লেগেছে।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: ভাল্লুক যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না; নতুন একটা জিনিস জানলাম। সব সময় আপনার পোস্টে নতুন নতুন কিছু জানা যায়।

"নির্বোধের সাথে তর্ক করতে যাবে না। এরা তোমাকে নিজেদের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে" - হযরত আলী (রাদীআল্লাহু আনহু)
ধন্যবাদ।

১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২৪

শের শায়রী বলেছেন: =p~ইদানিং মজাই পাচ্ছি কেন যেন বেহুদা তর্কে :P নীল ভাই।

২০| ১২ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: ভাল্লুকের এই কাহিনি পড়ে আমি নিজেই তো উল্লুক হয়ে গেলাম। :P

এ ব্যাটা তো ইতিহাস বানিয়ে দিয়ে গেছে।

আপনার লেখা পড়ে মজা পাচ্ছি। চমৎকার লেখেন আপনি।

১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্যে। আমি নিজেও বেকুব হয়ে গিয়েছিলাম এই ব্যাটার কাহিনী পড়ে।

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: দারুণ পোস্ট। অনেক দিন পর এমন কিছু পড়লাম যেইটা জানার সীমানার বাইরে ছিলো। ভাল্লাগসে।

১৪ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য এবং মন্তব্যে।

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ভাল লিখেছেন, জানা ছিল না। জেনে ভাল লাগ্লো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা সাহাদাত ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.