নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা, ব্ল্যাক ডেথ, নাসিরুদ্দীন হোজ্জা আমরা সাধারন বাংলাদেশী

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩০



করোনা ভাইরাস নিয়ে মানুষের মাঝে যে এক মারাত্মক মৃত্যুভীতি দেখা দিয়েছে, তা প্রায় অনস্বীকার্য্য এবং আমার কাছে এক পৈশাচিক আনন্দের উৎস। বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় দেখলাম এই করোনা ভাইরাসে নাকি ৪ থেকে ৬ কোটি মানুষ মারা যাবে সারা বিশ্বে। এর প্রতিষেধক এখনো আবিস্কার হয়নি। তবে উন্নত দেশ গুলো নিজেদের গরজেই বিপুল বিক্রমে ঝাপিয়ে পড়ছে এর প্রতিষেধক আবিস্কারে।



মজাই লাগছে, আমাদের দেশের এক শ্রেনীর মানুষের অতি উদ্বিগ্নতা দেখে। আবার এক শ্রেনীর মানুষের মাঝে ডাক্তারির প্রতিভা বিকাশিত হয়েছে। নাসিরউদ্দীন হোজ্জার সেই বিখ্যাত গল্পটি মনে পড়ল, তাকে একবার বাদশাহ তৈমুর লং জিজ্ঞাস করল “হোজ্জা বলতো আমার দেশে কোন পেশার মানুষ সব থেকে বেশী?” হোজ্জা নির্ধিদ্ধায় বলল “হুজুর ডাক্তার”। তৈমুর তো রেগে মেগে টং, “ফাইজলামি কর আমার লগে দেশে এত মানুষ বিনা চিকিৎসায় মরে আর তুমি কিনা কও ডাক্তার বেশী।” “হুজুর রাগ কইরেন না, প্রমান দিতাছি” এই বইলা হোজ্জা পরদিন এক খান চাঁদর মুড়ি দিয়া রাজ প্রাসাদে হাজির। সবাই জিগায় “হোজ্জা কি হইছে” হোজ্জা বলে “জ্বর” আর সাথে সাথে সবাই একটা না একটা ডাক্তারি দাওয়াই দিতেছে, কেউ বলে ঠান্ডা লাগাইও না, কেউ বলে ঠান্ডা পানিতে গোসল কর, কেউ বলে বেলের শরবত খাও, কেউ বলে থানকুনি খাও। এমন কি তৈমুর নিজেও হোজ্জারে কিছু উপদেশ দিল হোজ্জার জ্বর কমানোর। হোজ্জা তখন চাঁদর খানি ফেলে বলল, “আমার কিছু হয় নাই, মহামান্য বাদশাহ আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো এই রাষ্ট্রে কোন পেশার লোক বেশী আমি সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দিলাম।” বাদ দিন এই গুলা আপনাদের মত সূক্ষ্ম রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষদের কাছে স্থূল রসিকতা।

করোনা এখনো অফিশিয়াল ভিজিটে এই দেশে আসছে এমন কোন প্রমান পেপার পত্রিকায় দেখি নাই, তবে আনঅফিশিয়াল ভিজিটে লুকাইয়া ছাপাইয়া আসার চেষ্টা করছে যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নিউজে দেখি, কোন একবার দেখালাম বেনাপোল কাষ্টমস কমিশনার তার ফেসবুকে ঘোষনাই দিয়া বসছেন করোনা রোগী পাওয়া গেছে (দেখুন করোনা ভাইরাস বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের কাণ্ড )। সব ডাক্তার আর কি! কয়েকজন নাবিক ফাবিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এই টাইপের বিভিন্ন নিউজ দেখে মনে হয় করোনা এদিক ওদিক দিয়া ঢোকার পায়তাড়া করছে, কিন্তু খুব একটা সুবিধা এখনো করতে পারছে বলে মনে হয় না।



আমি এক ধরনের পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছি এক শ্রেনীর উচ্চবিত্ত মানুষের মাঝে মৃত্যু ভীতি দেখে। এরা বড় বড় গাড়ীতে করে ঘুরে বেড়ায়, বিরাট বিরাট আলীশান বাড়িতে থাকে সামান্য জ্বর জ্বারিতে এরা স্কয়ার, ইউনাইটেড মেডিকেলে লাখ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা নেয়। তাদের অসাহত্ব এখন একটা সার্জিক্যাল মাস্কের মাঝে এসে স্থান নিয়েছে। কি অসায়তা! আহা কি লজ্জাজনক আত্মসমর্পন! এক শ্রেনীর ব্যাবসায়ী এইবার মাস্কের ব্যাবসা করে শতকোটি টাকার মালিক হবে যদি করোনা থেকে নিজে বাচে আর কি!



ইউরোপে মধ্যযুগে যখন প্লেগ আক্রমন করল যাকে কেতাবি ভাষায় বলা হয় “ব্লাক ডেথ” তাতে প্রায় ৭৫ থেকে ২০০ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। ১৩৪৬ সাল থেকে ১৩৫৩ সালের মাঝে মাত্র ৭/৮ বছরে। মজার ব্যাপার কি জানেন? সে প্লেগের চিকিৎসা ব্যাবস্থা কি ছিল? প্রথমেই ধারালো ব্লেড দিয়ে রোগীর কনুইয়ের ভেতরের যেদিকে সবচেয়ে বেশি ব্যথা হচ্ছে, সেই অংশটা কেটে ফেলা হতো। এরপর সেখানে জোঁক লাগিয়ে দেয়া হতো যেন সেগুলো বিষাক্ত রক্ত চুষে নিতে পারে। রোগীর অসুখের মাত্রা যদি বেশি হতো, তবে এভাবে অন্যান্য আরো জায়গায় কেটে জোঁক লাগিয়ে রাখা হতো। রক্ত পান করতে করতে জোঁকগুলো যখন খসে পড়তো, তখন ক্ষতস্থানটি পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হতো।



প্লেগকে ঈশ্বরের অভিশাপ মনে করে নিজেকে ক্রমাগত চাবুক মারতো। লোকে ভাবতো, এতে করে হয়তো উপরওয়ালার ক্ষমালাভের মাধ্যমে রোগমুক্তি ঘটবে। আক্রান্ত স্থানে মুরগি ঘষত। তাহলে জীবাণু নিরীহ এ প্রাণীর দেহে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে বলে ভাবত তারা। মুরগিতে কাজ না হলে কবুতর কেটে টুকরা টুকরা করে এর নাড়িভুঁড়ি সারা শরীরে মাখাত। ফোস্কা গলিয়ে সেখানে মানবমল, গাছের রজন ও মূল পিষে লাগিয়ে রাখত। ধনী ব্যক্তিরা পান্না চূর্ণ করে সেটা তরকারি সিদ্ধ পানিতে মিশিয়ে এক ঢোকে গিলে নিত। পচা গুড় খাওয়ানো হতো, সেটিও থাকতো কমপক্ষে দশ বছরের পুরনো। মলমূত্রের গন্ধযুক্ত বাতাস বাইরের পরিষ্কার (কিন্তু প্লেগের জীবাণুযুক্ত) বাতাসকে তাড়িয়ে দেবে, এ আশায় মানুষজন পয়ঃপ্রণালীতে গিয়ে বসে থাকতো। মানবমূত্র দিয়ে গোসলের কথাও শোনা যায়। কখনো কখনো ‘ইহুদীরাই এমন প্রাণঘাতী রোগের জন্য দায়ী’ এমনটা ভেবে তাদেরকে একত্রে বেঁধে, ঘরের ভেতর আটকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা হতো।

এখন করোনায় আক্রান্ত ব্যাক্তিদের উপরোক্ত চিকিৎসার ট্রাই করানো যেতে পারে। আমার এই লেখা পড়ে এবং নিম্ন শ্রেনীর জোক শুনে হয়ত আমাকে আপনার পিশাচ শ্রেনীর কিছু একটা মনে হতে পারে। সেটা অবশ্যই পারে কিন্তু বাস্তবতা হল এই রোগ হলে এই মুহুর্তে কিন্তু ধনী গরীব কারো নিস্তার নেই। তবে ব্যাপারটা আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমার কাছে অতটা সিরিয়াস কিছু মনে হয় না, কারন ইউরোপ আমেরিকায় একজন দুই জন কোন রোগ শোকে মারা গেলে যেভাবে চিক্কুর চেচামেচি চালায় তাতে আমার কাছে হাসি ছাড়া আর কিছুই পায় না। বেচে থাকার কি প্রবল আকুতি।



আজকে জুমার নামাযের পর সব মসজিদে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকানোর জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে, ওদিকে ইণ্ডিয়ায় ‘ওম নম শিবায়’ বলে খেয়েই নিন গো মূত্র ও গোবর৷ মুহূর্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে করোনা ভাইরাস৷ (দেখুন গো মূত্র ও গোবর খেলেই ভ্যানিশ করোনা ভাইরাস, দাবি স্বামী চক্রপানির )। মধ্যযুগ থেকে আমাদের তথাকথিত আধুনিক যুগে উত্তরনেও অপরিচিত রোগের চিকিৎসা কিন্তু সেই একই আছে। যার যার সৃষ্টকর্তার কাছে সারেন্ডার।

এই দেশে এক দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় ২২ জন প্রান হারালে পেপারে কোন নিউজ হয় না, হলেও অতি সাধারন ভাবে আসে যেন ডাল দিয়ে ভাত খেয়েছি টাইপের ( দেখুন সড়ক দূর্ঘটনার খতিয়ান সড়ক বিভীষিকায় করোনা আতঙ্কও কুপোকাত )। এই নিউজের পর করোনা নিয়ে ভয় পাওয়া অন্তত এই দেশের সাধারন মানুষের, আমার কাছে অসাধারন বলদামি মনে হয় (দেখুন নবীগঞ্জে একই পরিবারের ৯ জনসহ সারা দেশে নিহত ২৩ ) গতকাল দেখলাম যে সোয়াবিন তেল ২০২ টাকা ছিল আজকে তা ২২৫ টাকা হয়েছে। স্কুলে ছেলেদের বেতন বাড়ছে। আমার মাথায় চিন্তা কিভাবে এগুলো সামলাব। করোনা ভাইরাস সামলানো আমার কাছে দুধ ভাত। প্রতি মুহুর্তে আমরা মারা যাচ্ছি, সেখানে করোনা বড় জোর এক মুহুর্তে মেরে ফেলবে এর থেকে বেশি আর কি? আর যারা এই দেশে বা এই বিশ্বে বেচে থাকার উপযুক্ত তারা না হয় করোনা নিয়ে ভাবুক। আমি ভাবছি কালকে কি ভাবে বেচে থাকব।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হচ্ছে, হোজ্জা নিজেই পোষ্টাটা লিখেছেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: না মুরুব্বী লিখছে শের শায়রী, আর হোজ্জা নিজে এসে প্রথম মন্তব্য দিয়েছে :P

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিপদ থেকে কে আমাদের রক্ষা করবে? সেটা বলেন।

০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এইডারে আপনি বিপদ ভাবলেন!!!! আপনি যেভাবে আগে সারা দিন রাস্তার মইধ্যে দিয়ে হাইটা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন তাতে এইটা কোন বিপদই না হা হা হা।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০০

ইসিয়াক বলেছেন: এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসের কার্যকরী প্রতিষেধক তৈরি হয়নি।

তবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।

আক্রান্তের দেহে প্রয়োগ করে তারা নাকি সফলও হয়েছেন। যদিও এসব দাবি এখনও পরীক্ষাধীন।

সম্প্রতি কভিড-১৯ এর প্রতিষেধক প্রস্তুত করেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি মডের্না থেরাপেটিকস।

এবার একই দাবি করল সুইজারল্যান্ডের রোচে হোল্ডিং এজি সংস্থা।
তাদের দাবি, নতুন এই ভ্যাকসিনে নাকি সমূলে নির্মূল হবে করোনাভাইরাস। এই ভ্যাকসিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসের গভীর ক্ষত সারিয়ে তুলবে এবং ইন্টারলিউকিন ৬ প্রোটিনের ভারসাম্য রক্ষা করবে।

ভ্যাকসিনটির নাম দিয়েছেন তারা– অ্যাকটার্মা। ইতিমধ্যে করোনার আঁতুড়ঘর উহানে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর রয়টার্সের

সুইজারল্যান্ডের এই সংস্থাটির বরাত দিয়ে বুধবার রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু চীনেই ২০ লাখ ডলার অ্যাকটার্মা বিক্রি করেছেন তারা।

এতে জানুয়ারি মাসে ২.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা অর্জন করেছে সংস্থাটি।

চীনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু হয়েছে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, আগামী মে মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত ১৮৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ওপর এ ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করবেন চীনা গবেষকরা।

এমন খবরে চীনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রিশন রোচের তৈরি ভ্যাকসিনটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে।

করোনা রোগী সারাতে ভ্যাকসিনটি কেমন কার্যকরী সে কথা প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, রোগীর ইন্টারলিউকিন ৬ সংক্রান্ত উপসর্গে দারুণ কাজ করে এই অ্যাকটার্মা। এ ছাড়া ফুসফুসের ক্ষত সারিয়ে শ্বাসযন্ত্রকে ফের শক্তিশালী করে এটি। যে কারণে আক্রান্ত রোগী করোনার ছোবলমুক্ত হয়।

এদিকে চীনের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অ্যাকট্রার্মা বিষয়ে বিশেষ কোনো বার্তা আসেনি এখনও। রোচের এই ওষুধকে এখনও সরকারিভাবে সিলমোহর দেয়নি চীন প্রশাসন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে চীনের অনেক ভাইরোলজিস্ট অ্যাকট্রার্মাকে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৫

শের শায়রী বলেছেন: দেখা যাক প্রিয় কবি কোন ভ্যাকসিনটা কার্যকারী হয়। অপেক্ষায় থাকি। আজ হোক কাল হোক ঠিকই ভ্যাকসিন আবিস্কার হবে, তার মাঝে কিছু প্রান নিয়ে যাবে।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৫

ইলি বলেছেন: মূত্র খোর দের আবিস্কার দেকলে তো বিচি মাথায় উঠে যায়। আল্লাহ্‌ সব্বাইকে হেফাজত করুন। ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

শের শায়রী বলেছেন: কিছুদিন আগে দেখছিলাম এক বিজেপি নেতা বলছিলো গরুর পেচ্ছাবে স্বর্ন আছে!!!!!!

ধন্যবাদ।।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:৪৪

নিভৃতা বলেছেন: এক মুহুর্তের নাই ভরসা। মরণ একদিন আসবেই। মৃত্যু সে তো মুহূর্তের ব্যাপার। অতএব মরার আগেই হাজারবার মরার আগে যে মুহূর্ত আল্লাহ আমাদের বেঁচে থাকার সুযোগ দিলেন সেই মুহূর্তটা আগে ভালোভাবে বাঁচি।

বরাবরের মতই অসাধারণ লেখা। কত কী যে জানা যায় এবং শেখা যায় আপনার লেখা পড়লে। হোজ্জার গল্পটা দারুণ ছিল।

অশেষ ভালো লাগা ভাই।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন। যে মুহুর্ত গুলোতে বেচে আছি সেই মুহুর্ত গুলো যেন ভালো কাটে এইটুকুই চাওয়া।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টটিতে হোজ্জার ঘটনাটি এনে একটি সত্য তুলে ধরেছেন | আমাদের মধ্যে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক বেশি, সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়াজ করে সবাই |

করোনা ভাইরাস নিয়ে আমি কিন্তু দুইপক্ষেরই ওয়াজ শুনতে পাচ্ছি | কেউ বেশি আতঙ্ক ছড়ানোর ওয়াজ করছেন আবার আরেকপক্ষ এর বিপরীত অবস্থান নিয়ে ডোন্ট কেয়ার ধরণেরও ওয়াজ নসিহত করছেন, যেন সেরকম কিছুই হয় নি | আপনি, কালবৈশাখী ভাই ও কানাডা প্রবাসী এক বোন মনে হয় দ্বিতীয় পক্ষের | =p~

তবে আমার মনে হয় মিডিয়াগুলো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে না বরং এটি যাতে মহামারী আকারে সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য জনমত গড়ে তুলছে | কিছু স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে এই ভাইরাসের প্রকোপ ও মৃত্যুসংখ্যা লুকানো হচ্ছে বা জনগণকে জানতে দেয়া হচ্ছে না | এক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থা বিশ্ববাসীকে জানানোর দায়িত্ব হচ্ছে মিডিয়ার এবং সেই কাজটিই মিডিয়া করে যাচ্ছে |

নিজের আবেগ বা ইমোশন আর প্রকৃত সত্যের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে | এই মহামারীকে রুখতে হলে আবেগ নয় বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নিতে হবে যা বিভিন্ন দেশের সরকাররা করছে এবং মিডিয়াগুলো প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে সময় সময় সরকারকে কোনো ধরণের বিচ্যুতি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে |

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

শের শায়রী বলেছেন: স্বামীজি, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দুইপক্ষের মাঝামাঝি অবস্থান করছি। দেখুন রোগ শোক আসবেই মানুষ জীবনে। তা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। আবার অতি সচেতনতা যেন আমাদের প্যানিক না করে দেয়।

করোনার ব্যাপারটা আমার কাছে অনেকাংশে পশ্চিমা মিডিয়ার বাড়াবাড়ি মনে হয়, আমি কিন্তু খুব ক্লোজলি এই ব্যাপারটা বিশ্বের মিডিয়াতে অবজার্ভ করছি। দুনিয়ার কোথাও যদি একটা মৃত্যু হয় তবে সেটা নিয়ে বিশাল আকারের নিউজ করছে, পাশাপাশি কিন্তু এটা খুব কম হাইলাইট হচ্ছে যে এই করোনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২% এর কাছাকাছি। তাও একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমার ওপর নীচে।

করোনা আক্রান্ত ৭০,০০০ মানুষের ওপরে একটা স্ট্যাডি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ৮১% মানুষের সর্দি-কাশি হচ্ছে করোনার ফলে, আবার সেরেও যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বাস রাখুন, আপনার-আমার যদি করোনা হয়েও থাকে, সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো তা আবার সেরেও যাবে, ইনশাআল্লাহ। আশা নিয়ে বাঁচুন, ভালো থাকবেন।

ডাটা অনুসারে, করোনায় যারা মারা গিয়েছে, তাদের ৫০ ভাগের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে। আর ৩০% এর বয়স ৬০-৬৯ এর মধ্যে। মানে, ৮০% লোক যারা মারা গেলো বা যাচ্ছে, তাদের গড় বয়স ৬০-৭০ এর উর্ধ্বে। আরো স্পষ্টভাবে, এই করোনায় বুড়োরাই মারা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বুড়ো হলেই যে করোনায় ধপাস করে মারা পড়ছে, তা কিন্তু নয়। রিসার্চে দেখা গেছে, বুড়োদের মধ্যে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা প্রায় সবাই আগে থেকেই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, অ্যাজমা, লিভার ইত্যাদি। সব ডাটাকে একত্র করলে যা সারমর্ম দাঁড়ায় তা হলো, সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই, আশাহত হবেন না। মনে জোর রাখুন।

আবার এর পাশাপাশি আপনি যদি বিশ্ব অর্থনৈতিক রাজনীতির দিকে খেয়াল রাখেন তবে দেখবেন সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দেশ চায়না। চায়নার ইকোনমিতে যে ধ্বস নামছে তা রিপেয়ার করতে তাদের খবর আছে, অবশ্য অন্যান্য দেশেও কিছু ক্ষতি হয়েছে তবে তা দীর্ঘ মেয়াদি না। বিশ্বে সুপার পাওয়ার হিসাবে চায়নার অগ্রগতি ছিল কিন্তু অর্থনৈতিক। সামরিক না। সেখানে চায়না কিন্তু পুরা ধরা।

দেখবেন এই দেশে এক শ্রেনীর মানুষ ঠিক এইটাকে পুজি করে ব্যাবসা করে নেবে। যাই হোক আমার কথা হল আতংকিত হবার যেমন দরকার নেই তেমনি উচিত হবেনা উদাসীন থেকে এই মহামারীকে আমাদের দেশে আসন গেড়ে বসতে দেবার।

অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বামীজি।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন প্রকাশ।
মুগ্ধ পাঠ!

কিন্তু মাইন্ড খাইলাম ম্যা'ভাই!
নাসির উদ্দিন হোজ্জারে অপমান করলেন এক এর প্রতিমন্তব্যে!
অতটা সেন্স অব হিউমার আর প্রজ্ঞা থাকলেতো জাতি বর্তে যেতো! তুলনা করায় হোজ্জা যঙদি মানহানি মামলা করে
আমি কিন্তু কিছু জানি না ;) হা হা হা

স্বৈরাচারী দেশগুলায় করোনা ঢুকতেও ভয় পায় মনে হয়!
উত্তর কোরিয়া, আম্রার দেশে তাইতো সংক্রমনের কোন খবর নাইক্যা! ভালা ভালা। স্বৈরাচারের উপকারো আছে কবে ;)
কিন্তু কথা হইলো ডেঙ্গু নিয়া যে কিস্যা হইছিল- তেমন না হইলেই ভালা!
কাদম্বিনীর মতো জাতির যেন মরিয়া প্রমাণ করিতে না হয়- হা, আমরা করোনায় আক্রান্ত হইয়াছি!

মিডিয়াতো পদতলে প্রর্ভূ ভক্ত সারমেয়!
তাই তাদের সেই হিম্মত বা সত্য বলার সাহস কোনটাই নাই। থাকলে রাতের আঁধারে ভোটের সরকার এত দীর্ঘ সময় টিকে থাকতে পারে না।
স্বৈরাচারিতার, অন্যায়ের প্রতিরোধ বিবেকর দায় এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চেতনা যদি বিন্দু বিসর্গ উপস্থিত থাকতো মিডিয়ার ভূমিকা হতো দেশদরদী।

যাউকগা ধান বানতে শীবের গীত গেয়ে লাভ নেই।
জয় বাবা করোনা, তোমার আগমনে মৃত্যুভয়চ্ছায়া দেখে ম্যা'ভাইর মতো আমিও খানিকটা পুলকিত!
আহা ! কি আকুলতা!
সত্যি জীবন বড়ই মোহময়। ;)

বিশ্বাসী হিসেবে আমার প্রার্থনা -
হে প্রভূ, তুমি তোমার আসমানী জমিনি জাহেরী বাতেনি সকল প্রকাল আজাব, গজব বিপদ আপদ থেকে আমাদের হেফাজত করো। নিশ্চয়ই তুমিই সর্বক্ষমতার অধীকারী। সর্বশ্রেষ্ঠ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই আমিও পুলকিত স্যুট টাই বড় বড় গাড়ী বাড়ীর মালিকদের মৃত্যু ভীতিতে। মনে হয় মৃত্যু যেন এদের কোন দিন ছুবে না। :P এদেশের মিডিয়ার কোন মুল্য নেই আমার কাছে, উপরে স্বামীজির মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে যা লিখছি তা আপনার এখানেও কিছুটা তুলে দেই

আমি কিন্তু খুব ক্লোজলি এই ব্যাপারটা বিশ্বের মিডিয়াতে অবজার্ভ করছি। দুনিয়ার কোথাও যদি একটা মৃত্যু হয় তবে সেটা নিয়ে বিশাল আকারের নিউজ করছে, পাশাপাশি কিন্তু এটা খুব কম হাইলাইট হচ্ছে যে এই করোনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২% এর কাছাকাছি। তাও একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমার ওপর নীচে।

করোনা আক্রান্ত ৭০,০০০ মানুষের ওপরে একটা স্ট্যাডি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ৮১% মানুষের সর্দি-কাশি হচ্ছে করোনার ফলে, আবার সেরেও যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বাস রাখুন, আপনার-আমার যদি করোনা হয়েও থাকে, সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো তা আবার সেরেও যাবে, ইনশাআল্লাহ। আশা নিয়ে বাঁচুন, ভালো থাকবেন।

ডাটা অনুসারে, করোনায় যারা মারা গিয়েছে, তাদের ৫০ ভাগের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে। আর ৩০% এর বয়স ৬০-৬৯ এর মধ্যে। মানে, ৮০% লোক যারা মারা গেলো বা যাচ্ছে, তাদের গড় বয়স ৬০-৭০ এর উর্ধ্বে। আরো স্পষ্টভাবে, এই করোনায় বুড়োরাই মারা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বুড়ো হলেই যে করোনায় ধপাস করে মারা পড়ছে, তা কিন্তু নয়। রিসার্চে দেখা গেছে, বুড়োদের মধ্যে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা প্রায় সবাই আগে থেকেই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, অ্যাজমা, লিভার ইত্যাদি। সব ডাটাকে একত্র করলে যা সারমর্ম দাঁড়ায় তা হলো, সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই, আশাহত হবেন না। মনে জোর রাখুন।

আবার এর পাশাপাশি আপনি যদি বিশ্ব অর্থনৈতিক রাজনীতির দিকে খেয়াল রাখেন তবে দেখবেন সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ দেশ চায়না। চায়নার ইকোনমিতে যে ধ্বস নামছে তা রিপেয়ার করতে তাদের খবর আছে, অবশ্য অন্যান্য দেশেও কিছু ক্ষতি হয়েছে তবে তা দীর্ঘ মেয়াদি না। বিশ্বে সুপার পাওয়ার হিসাবে চায়নার অগ্রগতি ছিল কিন্তু অর্থনৈতিক। সামরিক না। সেখানে চায়না কিন্তু পুরা ধরা। এখানে আমি কি বুজাতে চাইছি ম্যা' ভাই বুজতে পারছেন নিশ্চয়ই, সমঝদার কে লিয়ে ইশারায় কাফি।

যাই হোক সর্বশেষ যেটা সেটা হল যেহেতু এই রোগের এখনো কোন প্রতিষেধক আবিস্কৃত হয় নি, সেক্ষেত্রে আমাদের মত আম জনতার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চাওয়াই বড় ওষুধ।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভারত আজও আদিম যুগের মূর্খতা, বর্বরতা ও ধর্মান্ধতা নিয়ে বহাল তবিয়তে টিকে আছে। সে দেশে গু-গোবর ওষুধ হিসাবে খেতে বলবে ধর্মগুরুরা এটা খুবই স্বাভাবিক। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশেও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ আছে। এসব বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ভাইরোলজির সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন আবুহেনা ভাই। তবে আমার মনে হয় ভাইরোলজির সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার থেকেও সাধারন মানুষ যেন প্যানিক না হয় সে ব্যাপারটা দেখা উচিত। কারন ভাইরোলজির অগ্রগতির আলোচনা সাধারনের জন্য যতটুকু উপকার না হবে তার থেকে ভালো হবে এব্যাপারে সচেতন করে প্যানিক না হবার জন্য।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই এইডারে আপনি বিপদ ভাবলেন!!!! আপনি যেভাবে আগে সারা দিন রাস্তার মইধ্যে দিয়ে হাইটা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন তাতে এইটা কোন বিপদই না হা হা হা।

রাস্তায় হাটা সহজ।
এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ নয়।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই,

করোনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২% এর কাছাকাছি। তাও একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমার ওপর নীচে।

করোনা আক্রান্ত ৭০,০০০ মানুষের ওপরে একটা স্ট্যাডি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ৮১% মানুষের সর্দি-কাশি হচ্ছে করোনার ফলে, আবার সেরেও যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বাস রাখুন, আপনার-আমার যদি করোনা হয়েও থাকে, সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো তা আবার সেরেও যাবে, ইনশাআল্লাহ। আশা নিয়ে বাঁচুন, ভালো থাকবেন।

ডাটা অনুসারে, করোনায় যারা মারা গিয়েছে, তাদের ৫০ ভাগের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে। আর ৩০% এর বয়স ৬০-৬৯ এর মধ্যে। মানে, ৮০% লোক যারা মারা গেলো বা যাচ্ছে, তাদের গড় বয়স ৬০-৭০ এর উর্ধ্বে। আরো স্পষ্টভাবে, এই করোনায় বুড়োরাই মারা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বুড়ো হলেই যে করোনায় ধপাস করে মারা পড়ছে, তা কিন্তু নয়। রিসার্চে দেখা গেছে, বুড়োদের মধ্যে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা প্রায় সবাই আগে থেকেই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, অ্যাজমা, লিভার ইত্যাদি। সব ডাটাকে একত্র করলে যা সারমর্ম দাঁড়ায় তা হলো, সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই, আশাহত হবেন না। মনে জোর রাখুন।

পাশ্চিমা বিশ্ব যেভাবে এটাকে মারনঘাতি হিসাবে দেখাচ্ছে আমার মনে হয় ব্যাপারটা অত সিরিয়াস না, এর সাথে অনেক রাজনীতি জড়িত। যেমন, চায়নার অর্থনৈতিক মেরুদন্ডে ভালো একটা আঘাত দেয়া হয়েছে।

ষ্টে কুল রাজীব ভাই।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

থুথু, কফ বা সর্দি - বাংলাদেশের জনগণের সাথে ওতপ্রোত জড়িত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাক ঝাড়া। বাসের জানালা দিয়ে খক করে কফ ফেলা। হাতে সর্দি লেগে গেলে নির্দ্বিধায় বাসের সিটে মুছে ফেলা। আর বিকট হাঁচিতে জীবাণুগুলোকে ছড়িয়ে দেয়া শহরময়। এইসব ব্যাপারে জনগণ যথেষ্ট পারদর্শী। আর বাংলাদেশের গণপরিবহনের যে অবস্থা যেন রোগ জীবাণুর বাসস্থান।

সত্যি কথা বলতে কি --
আমার মারাত্মক মৃত্যু ভীতি কাজ করছে প্রিয় ভাই। করোনা থেকে বাঁচার আশা কতটুকু জানিনা। :(


পোস্ট ভালো লেগেছে। লেখার স্টাইলটা ভিন্ন ছিল। দুইবার নিক পরে নিশ্চিত হলাম যে , ব্লগার শের শায়েরিরই লেখা। :)


০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, জন্মিলে মরিতে হবে। এটা অমোঘ সত্য, অহেতুক ভয় পেয়ে মরার আগে মরে যাবার কোন কারন নাই। এইবার আপনার সমীপে কিছু তথ্য দেই

করোনায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ২% এর কাছাকাছি। তাও একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমার ওপর নীচে।

করোনা আক্রান্ত ৭০,০০০ মানুষের ওপরে একটা স্ট্যাডি হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ৮১% মানুষের সর্দি-কাশি হচ্ছে করোনার ফলে, আবার সেরেও যাচ্ছে। সুতরাং, বিশ্বাস রাখুন, আপনার-আমার যদি করোনা হয়েও থাকে, সাধারণ জ্বর-সর্দির মতো তা আবার সেরেও যাবে, ইনশাআল্লাহ। আশা নিয়ে বাঁচুন, ভালো থাকবেন।

ডাটা অনুসারে, করোনায় যারা মারা গিয়েছে, তাদের ৫০ ভাগের বয়স ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে। আর ৩০% এর বয়স ৬০-৬৯ এর মধ্যে। মানে, ৮০% লোক যারা মারা গেলো বা যাচ্ছে, তাদের গড় বয়স ৬০-৭০ এর উর্ধ্বে। আরো স্পষ্টভাবে, এই করোনায় বুড়োরাই মারা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। না, ভয় পাওয়ার কারণ নেই। বুড়ো হলেই যে করোনায় ধপাস করে মারা পড়ছে, তা কিন্তু নয়। রিসার্চে দেখা গেছে, বুড়োদের মধ্যে করোনায় যারা মারা যাচ্ছে, তারা প্রায় সবাই আগে থেকেই কোনো না কোনো রোগে আক্রান্ত, যেমন- ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, অ্যাজমা, লিভার ইত্যাদি। সব ডাটাকে একত্র করলে যা সারমর্ম দাঁড়ায় তা হলো, সুস্থ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের বেশি, তাদের ক্ষেত্রে করোনায় মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তাই, আশাহত হবেন না। মনে জোর রাখুন।

মনের জোর রাখুন এটা খুব জরুরী।

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই রক্ষা করবেন। এতো ভাবতে পারবো না।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: দ্যাটস দ্যা স্পিরিট প্রিয় নেওয়াজ ভাই :)

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

সোহানী বলেছেন: কালই মাত্র আমার ভারতীয় কলিগ হাসতে হাসতে জানালো বিজেপি সরকার তার দলের লোকদেরকে একটি করে ছোট গোমুত্র থলি পাঠাচ্ছে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে B-))

ভাইরে আমার ধারনা পশ্চিমাদের মারাত্বক মৃত্যুভীতি কাজ করে। তাই তারা দড়ি দেখলে সাপ ভাবে। আমাদের মতো আলু পটলের তেলের দাম নিয়ে পেরেশানীর মধ্যে থাকলে কই থেইকা কই যাইতো ভয় B:-/

কানাডায় সবসময়ই হাত ধোয়া আর হ্যান্ড সেনিটাইজার ইউজ নিয়ে সোচ্চার ছিল। আর এখনতো দোকানপাট এ কর্মী দাড়ঁ করিয়ে রাখছে ওয়েট টিস্যু নিয়ে :-<

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০২

শের শায়রী বলেছেন: বোন এইটাই মুল ব্যাপার আপনি যেমন লিখছেন, আমি যেটা বলতে চেয়েছি ভাইরে আমার ধারনা পশ্চিমাদের মারাত্বক মৃত্যুভীতি কাজ করে। তাই তারা দড়ি দেখলে সাপ ভাবে। আমাদের মতো আলু পটলের তেলের দাম নিয়ে পেরেশানীর মধ্যে থাকলে কই থেইকা কই যাইতো ভয়

অগো যদি পেয়াজ, তেল, ডালের দাম ডেইলি হিসাব করতে হত তবে কৈ যাইত এই সব আদিখ্যেতা B:-/

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হায়াত মউত আল্লাহর হাতে...

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৪

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ভাই, সেটাই মরার আগে মরতে রাজি না :)

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশি এক জোকার করনা ভাইরাসের সাথে ইন্টারভিও করে এর উপশম থিউরি এনেছে শুনবেন ?

১.কিউ৭ + ৬ = ১৩

কিন্তু দুক্ষের বিষয় এর মর্মার্থ কেবল তিনি জানেন কিন্তু তিনি তাহা বলবেন না। হু্‌ম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম

[link|https://www.youtube.com/watch?v=dELq-vStR1g|মুসলিম জুবকের স্বপ্নে করোনা ভাইরাস, সারা বিশ্বেত তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।( মুফতি কাজী ইবরাহীম [ জোকার] )]

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১০

শের শায়রী বলেছেন: কিউ৭ + ৬ = ১৩ কি ভয়াবহ থিওরী। মাফ ও চাই দোয়াও চাই :P

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সড়ক দুর্ঘটনায় ধনিরা কম মরে। করোনা ধনী গরীব বাছেনা।
এ জন্যই করোনা নিয়ে এত হাউকাউ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১১

শের শায়রী বলেছেন: যখনি অপমৃত্যু পয়সাওয়ালাদের ঘাড়ে এসে পরে তখনি শুরু হয় হাউ কাউ। ঠিকই বলেছেন ভাই।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

মিরোরডডল বলেছেন: শায়রী
শেষ তিনটা লাইন অনেক কথাই বলে দিয়েছে । মৃত্যু সবার জন্যই অনিবার্য কয়দিন আগে আর পরে । কাল কি হবে কিভাবে চলবে সেটাই আজকের ভাবনা হওয়া উচিৎ ।

করোনা নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত ধারনা যেটা , মৃত্যুভয় না আসলে এই প্রসেসটার মধ্যে দিয়ে কেউ যেতে চায়না । মৃত্যু যার যখন হবার হবেই । if I meant to die, I’ll die, simple. But if I’m infected or suspected for this virus then have to go through this 14 days quarantine. যেটা এক কোথায় একটা প্যারা ছাড়া কিছুই না ইউ নো হোয়াট আই মিন ।

সংক্রমিত সবাই যে মারা যাচ্ছে তা না কিন্তু তাদের সবাইকে কিন্তু এই প্রসেসের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে । গতবছর আমাদের এখানে উইনটারে নরমাল ফ্লুতে ৯৯০ মারা গেছে । বাংলাদেশেও ডেঙ্গুতে কত মানুষ মারা গেলো । এগুলো প্রতিনিয়ত ঘটনা যেটা ঘটে এবং ঘটবে । তার সাথে করোনার ডিফারেন্সটা হচ্ছে এটা খুব দ্রুত ছরায় । তাই একবার ছড়িয়ে গেলে এটা নিজের জন্য পরিবার সোসাইটির জন্য একটা প্রেসার । Not only life risk, so many other negative consequences involved.

এখানে একটা ৮ মাসের বাবুর হয়েছে । সোর্স জানা নেই আর তাই পরিবারের সবাইকেই টেস্ট হবে । একটা স্কুলবয়ের হয়েছে পুরো স্কুল ১১০০ স্টুডেন্ট এখন বন্ধ । স্কুল বন্ধ মানে শুধু যে স্টুডেন্টরাই ঘরে থাকবে তা না তার গারডিয়ানদেরকেও এখন ইমপ্যাক্ট করছে । অফিস করবে না বাসায় বাচ্চা কে কম্প্যানি দেবে । একটা টেলিকমিউনেকশান কোম্পানিতে একজনের হয়েছে এখন অফিস বন্ধ ফর টাইম বিং । ওল্ড কেয়ার হোমে একজনের হয়েছে । ভদ্রমহিলা হয়তোবা এমনিতেই কিছুদিন পর মারা যাবেন অথচ এখন এখানে ভিসিটার নট এলাওড । হাসবেণ্ড বাইরে গারীতে বসে আছে কিন্তু ওয়াইফকে দেখেত পারছেন না । এতো বছর একসাথে সংসার করলেন অথচ শেষ সময় তাঁর কাছে যেতে পারছে না । এগুলোই হচ্ছে কারণ যেটা মানুষকে ভাবাচ্ছে বলে মনে হয় । কেউই এসব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে চায়না ।

All I’m trying to say, this process isn’t straight forward. If you are part of it then you have to go through all extra hassles which you don’t want to. That’s why better to be conscious and make sure person next to you also knows about the consequences. That’s it. But panicking unnecessarily or spreading false news these are not good too. It’s all about balancing. Live your life the way it is and do the right thing on right time. That’s all we can do.

০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২২

শের শায়রী বলেছেন: মিরোরডডল চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলে মৃত্যু আমদের মত দেশে খুব স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। হয়ত আপনি বিদেশে থাকার জন্য এগুলোতে অভ্যস্ত না, যেমন ধরুন ৮/১০ দিন আগে রাস্তা দিয়ে যাবার সময় দেখলাম এক মটর সাইকেল আরোহীর রাস্তার ওপর মর্মান্তিক মৃত্যু। বর্ননা দিয়ে আপনাকে কষ্ট দেব না কতটা মর্মান্তিক ছিল সে এ্যাক্সিডেন্ট। মুহুর্তে কয়েকশত মানুষ জমে গেল, বাচ্চা কাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়ো মানুষ পর্যন্ত। নির্বিকার ভাবে দেখছে। যেটা পশ্চিমা দেশে কল্পনা করা যায় না। মানে এই রকম এক্সিডেন্ট হলে সর্বপ্রথম ওই জায়গাটাকে পুলিশ সিকিওর করে সীনটাকে দৃশ্য পটের আড়ালে রাখে কারন নির্মমতা। আমাদের পরিবেশ ভিন্ন, বেড়ে ওঠাও ভিন্ন। আপনি যেটা বলছেন সেটা হল কোয়ারেন্টাইন প্রসিডিওরের মাঝে দিয়ে যাওয়ার ভীতি। আপনার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ক্ষেত্রে এই ভীতি ঠিক আছে, আমাদের ভীতি টা ভিন্ন।

এই দেশে যদি এই মহামারী আসে আপনি জাষ্ট এক বার ভাবুন পৃথিবীর সব থেকে ঘনবসতিপূর্ন একটা দরিদ্র দেশের কি হতে পারে? তাই বলছি যা হবার তা হবে আমাদের প্যানিক না হলেও চলবে :)

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

মিরোরডডল বলেছেন: ****কথায়***

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: আমি বুজতে পেরেছিলাম, তাও আপনি লিখে দেয়ায় ধন্যবাদ জানুন।

১৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: আমার কথা বলে দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন। করোনা নিয়ে এত আতঙ্কের কারণ পয়সা খরচ করেও এর হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে না।

অবশ্য আপনার পৈচাশিক আনন্দ হওয়া উচিত না, পৈশাচিক আনন্দ হলে ভালো হয়। :D

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৭

শের শায়রী বলেছেন: বোন পিচাশ থেকে পিশাচ হইছি আপনার বুদ্ধি মত :P

১৯| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

নীল আকাশ বলেছেন: দেখুন ভাই, হোজ্জা যতই খারাপ হোক মানুষ তো! তার প্রতি এত নিষ্ঠুর হবেন না। যার তার সাথে তাকে তুলনা করে তার মান সম্মান ভুলন্ঠিত করবেন না।
আচ্ছা আমরা সারা দেশের সব গোমূত্র প্যাকেটে ভরে ভারতে গোমাতাদের অনুসারীদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারি না?
আমাদের দেশে পরিবেশও বাঁচলো, টু-পাইস ইনকামও হলো। সাথে দাদারাও খুশি!!!!

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৮

শের শায়রী বলেছেন: আসলেই হোজ্জার সাথে কিছুটা নিষ্ঠুর আচরন করছি, হোজ্জার মত অসাধারন বুদ্ধির অধিকারীকে আমি আসলে কিছুটা ভুল তুলনাই দিয়েছি ;)

২০| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত না হয়ে উপায় নাই। যে দেশে সড়ক অন্যতম মৃত্যূফাদ হয়ে আছে, সেই দেশে করোনার ভয়ে আতংকিত হওয়াটা আসলেই হাস্যকর।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২২

শের শায়রী বলেছেন: আজকে দেখলাম অফিসিয়াল ভিজেটে এদেশেও ঢুকছে করোনা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জন: আইইডিসিআর । অপ্রাসাঙ্গিক ভাবে একটা ব্যাপার জানতে চাচ্ছি ভাই আপনার মত প্রোপিক আর একজন ব্যাবহার করত "ঢাকাবাসী" নিকে আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার ছিল আগে যখন লিখতাম তখন। আপনি আর উনি কি একই ব্যাক্তি? যদি না হন সেক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে মাফ করে দেবেন।

২১| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

নতুন বলেছেন: সাধারন একটা ফ্লু এর চেয়ে হয়তো একটু বিপদজনক এই করোনা।

শুধুই সোসাল মিডিয়া আর টিভি পত্রিকার কারনেই এই আতংক ছড়িয়ে পড়েছে সারা দুনিয়াতে।

ব্লগেই পোস্ট এসেছে ৬ কোটি মানুষ মারা যাবে....

করোনার ভেকসিন নেই...কথা ঠিক কিন্ত কয়জন ফ্লুর ভেকসিন নেন প্রতিবছর? আমেরিকাতে ৪৩% মানুষ নেয় কিন্তু আমাদের দেশে ৫% ও নেয় না।

তাই যারা এই করনার ভ্যাকসিন নিয়ে কথা বলছে তারাও কিন্তু এটা নেবে না।

১ সপ্তাহ ফেসবুক বন্ধ করেদিন ... করোনা আতংক বন্ধ হয়ে যাবে...

এই আতংকে কয়েক ট্রিলিওন ডলার ক্ষতি হলো ব্যবসায়ীদের। এটা পুশিয়ে নেবে জনগনের উপর দিয়েই।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৭

শের শায়রী বলেছেন: অফিশিয়াল ভিজিটে চলে আসছে নতুন ভাই আজকের পেপারের নিউজ এইবার মজা দেখা যাবে। দেখুন না কে কি বানী দেয় এইবার, কে কি রিপার্ক করে, অনেক মজার মজার নিউজ পাবেন আর পাবেন অনেক মর্মান্তিক মৃত্যুর নিউজ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩ জন: আইইডিসিআর

২২| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১

মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেক অজানা কথা জেনে নিলাম।

সত্যিইতো গতকালও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল ২২জন।এটা ঠেকানোর ভ্যাকসিন আগে বেড় করুক

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮

শের শায়রী বলেছেন: রাইট মোজাম ভাই আমাদের দরকার আগে সড়ক দূর্ঘটনা এবং চাল, ডাল, তেল, পিয়াজের উর্ধ্বগতি ঠেকানোর ভ্যাকসিন।

২৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,





জন্মের শুরু থেকেই যাদের পদে পদে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে আসে, তাদের আর মৃত্যুর ভয় কি!!!!!!!!!! আমরা তো বেঁচে থেকেও মরে আছি...............................

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: এটাই আসল ব্যাপার শ্রদ্ধেয় আহমেদ ভাই জন্মের শুরু থেকেই যাদের পদে পদে শ্বাসরূদ্ধ হয়ে আসে, তাদের আর মৃত্যুর ভয় কি!!!!!!!!!! আমরা তো বেঁচে থেকেও মরে আছি...............................

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:২১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভাইয়া আপনি তো করোনাকে পাত্তা দিতে চাচ্ছেন না। ভালো। তবে পশ্চিমা মিডিয়াসহ সারা দুনিয়া এটা নিয়ে যেভাবে হাউকাউ হইচই করছে; তাতে পাত্তা না দেওয়াটা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
মিডিয়ার হইচইএ মানুষ যদি সতর্ক হয়, ভাইরাস কিছুটা কম সংক্রমিত হয়; তাহলে ক্ষতি কি?

আপনি উপরের কয়েকটি মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলেছেন- আপনি করোনার খুজখবর রাখছেন, আবার বলেছেন মৃত্যু হার ২% এর কাছাকাছি! (যেটা অন্তত ১০দিনের পুরানো আপডেট) গত ৩ মার্চ who তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, মৃত্যু হার ৩.৪%। সূত্র: Click This Link

নেট ঘেটে এক সপ্তাহ পূর্বের, ইতালি ও ইরানের, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, দ.কুরিয়ার সাথে আপডেটের সাথে আজকের আপডেট একটু মিলিয়ে দেখেন। ফুরফুর করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিশোধক তৈরি করা না গেলে কোটিকোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে, লাখলাখ মানুষ মানুষ মারা যেতে পারে। পশ্চিমারা এমনি এমনি হাউকাউ করছে না। তাদের হাউকাউ করার পেছনে যুক্তি আছে।

আর আমাদের দেশের মানুষ, জীবনযাপন, চিকিৎসা ব্যবস্থার যে অবস্থা এই ভাইরাস ছড়ালে ফলাফল ভয়ানক হতে পারে।
দেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত কোটিকোটি মানুষ যারা শরীরে বিভিন্নরোগ নিয়ে কোনরকম বেচে আছে, শুধু তারা মরলেই মহামারি দেখা দেবে। তাই এটাকে এতো হালকাভাবে নেওয়ারও কিছু দেখছি না।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাই প্রথমেই দারুন এক মন্তব্যে ভালো লাগা এবং কৃতজ্ঞতা। আমি আসলে আমার লেখার মাধ্যমে এটাকে ইগনোর করতে চাইনি, আমি যেটা বলতে চেয়েছি এই দেশে যদি করোনা আসে, যদিও এসে গেছে আজকে পেপারে দেখলাম অফিশিয়ালি তিন জন ইফেক্টেড, তবে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে তাতে কারো কোন হাত থাকবে না।

আপনি আপনার মন্তব্যের শেষ প্যারায় যেমন লিখছেন দেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত কোটিকোটি মানুষ যারা শরীরে বিভিন্নরোগ নিয়ে কোনরকম বেচে আছে, শুধু তারা মরলেই মহামারি দেখা দেবে। তাই এটাকে এতো হালকাভাবে নেওয়ারও কিছু দেখছি না। বলুন তো ভাই এই নিম্ন বা মধ্যবিত্তদের জীবনের মুল্য এদেশে কতটুকু সামান্য ডেঙ্গুতেই তো দেখলাম কি কান্ড ঘটছে, আমি আসলে লেখাটায় আমাদের অক্ষমতাকে তুলে ধরছি, আর কিছুই না।

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:১৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: করোনা ভাইরাসের বিস্তারের গতি অনেক দ্রুত | আর সংক্রমণে মৃত্যুর হার এখন ৩% ছাড়িয়ে গেছে | ১টি দেশের ১১ বিলিয়ন জনগনকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা সামান্য বিষয় হতে পারে না | আর বৃদ্ধ বা প্রবীণদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি বলে আত্মতৃপ্তিরও অবকাশ নেই, প্রতিটি পরিবারেই বয়স্ক বা প্রবীণ সদস্য রয়েছেন যাদের নিয়ে চিন্তা হবারই কথা | তাই চরম আতঙ্ক নয় কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তথ্য গোপন না রেখে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মতোই সব ধরণের সতর্কতা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলোতেও |

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: স্বামীজি আজকে অফিশিয়ালি করোনা বাংলাদেশে চলে আসছে। এবং আপনার সাথে সম্পূর্ন এক মত তাই চরম আতঙ্ক নয় কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তথ্য গোপন না রেখে অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর মতোই সব ধরণের সতর্কতা গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র গুলোতেও |

২৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
নির্ধারিত মৃত্যু আসবেই করোনা মরোনা এসব উছিলামাত্র।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: সেটাই ভাই, আর আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বে আল্লাহ ওপর ভরসা ছাড়া আর আছেই বা কি?

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪২

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশে ফেসবুক ১ মাস বন্ধ করা উচিত নতুবা করোনা ভাইরাসের আতংকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

সোসাল মিডিয়া বন্ধ করলে করোনা চলে যাবে ১ মাসেই।

সাধারন ফ্লু তে যত মানুষ মারা যায় তার কথা কেউই খেয়াল করছেনা। সবাই করনার দিকে তাকিয়ে আছে তাই সবাই এখন করোনাই দেখছে।

আরেকটা বিষয় হলো ভাকসিন? কতজন বত`মানে ফ্লুর ভ্যাকসিন নেয়? বাংলাদেশে সংখ্যাটা ৫% ও হবেনা।

তাই যারা করোনার ভ্যাকসিন নেই বলে চিন্তা করছেন তারাও কিন্তু করোনার ভ্যাকসিন নেবেন না।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমার কাছে সব থেকে বড় ভয়ের বিষয় এই করোনাকে পুজি করে আবার না নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়ে আকাশ ছোয়া হয়ে যায়। অল রেডি একটা দশ টাকা দামের সার্জিক্যাল মাস্ক ১৮/২০ টাকা হয়ে গেছে।

২৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩০

নতুন বলেছেন: সেটাই যখন গুজব ছড়ায় তখন ধা্ন্দাবাজেরা দাম বাড়ায়।

আমাদের দেশের জন্য করোনা বিপদজনক না। ডেঙ্গুতে বেশি মানুষের ক্ষতি হবে, সেটার জন্য কারুর চিন্তু নাই।

কিন্তু সারাদিন ফেসবুকে করোনা নিয়ে পোস্ট সেয়ার করে,

আর বেশির ভাগই কপিপেস্ট এবং খুবই কম সঠিক তথ্য সেয়ার করে।

সবাই গুজব সেয়ার করতে বেশি আগ্রহী।

০৯ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই দেখেন, দুই দিন আগে আশংকা প্রকাশ করছি সেটাই আজকে হাইকোর্ট প্রকাশ করল। মাস্ক নিয়ে পেঁয়াজের মতো ব্যবসা হচ্ছে কি না, তদারকির আদেশ হাইকোর্টের । জিনিসপত্রের দাম বাড়তির দিকে। এই করোনার থেকেও ওইগুলা এখন সাধারনের জন্য বেশি কষ্টদায়ক হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.