নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
যীশুর জীবনের অন্যতম রহস্যময় ঘটনা হিসাবে যা আমার কাছে মনে হয় তা হল যীশুর বাল্যকাল। ইতিহাস প্রসিদ্ধ ধর্মপ্রচারকদের মাঝে যীশুর জীবনির একটা অংশ নিয়ে আজো কোন কুল কিনারা পাওয়া যায় নি। দুই বছর বয়সে যীশুকে নিয়ে তারা বাবা মা মিশরের উদ্দেশ্য রওনা দেন, হঠাৎ করে আমরা যীশুর দেখা পাই বারো বছর বয়সে যেরুজালেমে মন্দিরে ইহুদী ধর্মযাজকদের সাথে তর্কে লিপ্ত। তারপর আবার যীশুর কোন খোজ নেই, হঠাৎ করে ত্রিশ বছর বয়সে অনেকটা আকাশ দিয়ে পড়ার মত করে যীশুর আবার যেরুজালেমে আবির্ভাব। এর মাঝে যীশু কোথায় ছিল? কাদের সাথে মিশছে, পুরাটাই ধোঁয়াশা। এব্যাপারে ঐতিহাসিকদের গবেষনা কিন্তু থেমে নেই। চেষ্টা করছে যীশুর এই হারানো সময় মিসিং টাইমটাকে বের করার। এব্যাপারে আমাকে যে বইটি প্রভাবিত করছে তা হল “যেসাস লীভড ইন ইন্ডিয়া” বইটি।
মথির গসপেলের দ্বিতীয় অধ্যায়ে আমরা দেখিঃ
The Magi Visit the Messiah
After Jesus was born in Bethlehem in Judea, during the time of King Herod, Magi from the east came to Jerusalem and asked, “Where is the one who has been born king of the Jews? We saw his star when it rose and have come to worship him.”
“রাজা হেরোডের আমলে যিহুদীয়া দেশের বেথেলহেম শহরে যীশুর জন্ম হয়, সেই সময় প্রাচ্য দেশ থেকে কয়েকজন জ্যোতিষী জেরুজালেম শহরে আসে। তারা জানতে চাইল ইহুদীদের যে রাজা জন্ম গ্রহন করেছেন তিনি কোথায়? প্রাচ্যের আকাশে তার জন্মের প্রতীক তারার উদয় আমরা দেখেছি। আমরা এসেছি তাকে প্রনাম করতে” (মথি ২:১-২)
এখানে একটা ব্যাপার খেয়াল করুন ম্যাজাই বা ম্যাগী বা জ্ঞানী যাই বলুন না কেন তারা কিন্তু এসেছিল প্রাচ্য দেশ থেকে। এই প্রাচ্য দেশ বলতে এখানে পূর্ব দিকের দেশগুলোর কথা বলা হয়েছে, পারস্য থেকে ভারতবর্ষ এর মাঝে পড়ে। আপাতত এইটুকু মনে রাখুন, এইবার যাই অন্য দিকে। কারা ছিল এই ম্যাজাই?
Origen
প্রাচীন গ্রীক ভাষ্যে, এই তিন বিজ্ঞ ব্যাক্তিকে ম্যাগাই (পারসিক ম্যাগাস থেকে) বলা হয়েছে। আর্লেসের সিসিরিয়াস প্রথম বাইবেলের গল্পের ম্যাজাইকে ষষ্ঠ শতাব্দীতে প্রভাবশালী ব্যাক্তি হিসাবে বর্ননা করেন। নবম শতাব্দীতে এই ম্যাজাইদের কাল্পনিক নাম ও আমদানী হয় ক্যাসপার, মেলচিওর এবং বালথাজার। প্রাচীন সুত্রগুলোতে কিন্তু সুস্পষ্ট উল্লেখ্যা নেই কতজন ম্যাজাই যীশুর জন্মের পর হাজির হয়েছিলেন তবে ওরিজনের (আলেকজান্দ্রিয়া খ্রিষ্টান ধর্মবেত্তা এবং শিক্ষক; জন্ম ১৮৫? মৃত্যু ২৫৪ খ্রিষ্টাব্দ) সময় থেকে ম্যাজাইদের সংখ্যা তিনে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় এবং তিনটা উপহার দেয়া হয়েছিল সম্ভবত সেই কারনে।
ধর্মীয় লোক কথা অনুসারে একটা জীর্ন সরাইখানার আস্তাবলে যেখানে কয়েক ঘন্টা আগে একটি শিশুর জন্ম হয়েছিল তার মাথার ওপরে একটি নক্ষত্র দাড়িয়ে পড়ে। সেখানে যখন এই ম্যাজাইরা উপস্থিত হন তখন শিশুটির বয়স দুই বছর হয়ে গেছে। এখানে বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় দালাইলামা নির্বাচনে দালাইলামা সন্দেহভাজন শিশুটিকে দুই বছর হতে হবে যা একটি বৌদ্ধ রিচ্যূয়াল। ( এ ক্ষেত্রে এই পোষ্ট দেখতে পারেন জাতিস্মরঃ পুর্নজন্মপ্রাপ্ত ত্রয়োদশ দালাইলামা যেভাবে চর্তুদশ দালাইলামা হিসাবে জন্ম নেয় )
সন্দেহভাজন গসপেল অভ নাজারেনসে নিচের অধ্যায়টি বর্নিত আছে। এখানে সন্দেহ ভাজন কথাটি দ্ধারা আপনাকে বুজতে হবে খ্রিষ্টান ধর্মের শুরুর দিকে অনেক গুলো গসপেল ছিল। গসপেল মানে সুসংবাদ। মার্ক, মথি, লুক এবং যোহানের গসপেলে নিউ টেষ্টামেন্টে লিপিবদ্ধ আছে তার আগের যে অসংখ্য গসপেল যা যীশুর সমসাময়িক সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয় বা ধ্বংসের ভয়ে লুকিয়ে ফেলা হয়।
একেবারে সাম্প্রতিক গবেষনার আলোকে এটা বলা যায় মার্ক ৭০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু আগে, মথি (ম্যাথুউ) ৭০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু পরে, লুক ৭৫ থেকে ৮০ খ্রিষ্টাব্দের ভেতরে ( কেউ কেউ বলেন ১০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়) আর যোহানের গসপেল দ্বিতীয় শতাব্দীর (১০০ খ্রিষ্টাব্দ) প্রথম দশকের আগে লেখা হয় নি এটা বলা চলে। সেক্ষেত্রে এটা বলা চলে নিউ টেষ্টামেন্টে আমরা যেসব লেখা দেখতে পাই সেগুলোর প্রথমটাও যদি ধরি তবে সেটা লিখতে লিখতে এক প্রজন্ম পার হয়ে গেছে যদি যীশুর ক্রুশ বিদ্ধ ৩০ শতাব্দীতে ধরে নেই। যাই হোক এনিয়ে অন্য কোন দিন বিস্তারিত আলোচনা হবে, যা বলছিলাম এই চারটি গসপেল ছাড়া ছড়ানো ছিটানো যে কিছু গসপেল পাওয়া যায় তাদের কে সন্দেহজনক আখ্যা দেয়া হয়। (এনিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট পরে দেব)
আসুন সন্দেহভাজন গসপেল অভ নাজারেনস এ কি লেখা আছে দেখি
জোসেফ যখন চোখ তুলে তাকালো, সে এক দল ভ্রমনকারীকে এগিয়ে আসতে দেখল (নোটঃ লক্ষনীয় এখানে একদল বলা হয়েছে), সরাসরি গুহার দিকে এগিয়ে আসছে; সে বলল আমি উঠে গিয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানাব।’ গুহা থেকে বের হওয়া মাত্রই জোসেফ সিমনকে বলে, আমাদের দিকে এগিয়ে আসা লোক গুলো বোধহয় জ্যোতিষী দেখ কিভাবে তারা অনবরত আকাশের দিকে তাকায় আর নিজেদের ভেতর কথা বলছে। কিন্তু লোক গুলো বোধ হয় বিদেশী, কারন আমাদের থেকে তাদের পোষাক পরিচ্ছেদ ভিন্ন ধরনের; তাদের পরিধেয় বস্ত্রগুলো মুল্যবান এবং তাদের গায়ের রং কালো আর তাদের মাথায় টুপি পরে আছে এবং আমার কাছে তাদের গাউন গুলোকে নরম মনে হচ্ছে এবং তাদের পদ যুগল ও আচ্ছাদিত।
আজ এতকাল পরে তথ্যের স্বল্পতায় প্রমান করা প্রায় অসম্ভব যে ওই সব ম্যাজাই বা বিজ্ঞ জনেরা পারস্য থেকে না ভারত থেকে আসছিলো। তবে তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মাবলাম্বীরা উচ্চ পদস্থ লামাদের পুর্নজন্ম যেভাবে নিরূপন করে যীশুকে চিহ্নিত করতে আসা ম্যাজাইদের মাঝে এক অসধারন সাদৃশ্য আমরা খুজে পাই।
প্রাচ্যের তিন বিজ্ঞজন জেরুযালেমে যীশুকে চিহ্নিত করার পর ঈশ্বরের কাছ থেকে তার বাবা জোসেফ ঐশী বানী লাভ করেঃ তারা চলে যাবার পর প্রভু পরমেশ্বরের এক দুত জোসেফ কে স্বপ্নে দেখা দিয়ে জোসেফকে বলেন, “জোসেফ, ওঠ, শিশুটিকে এবং তার মাকে নিয়ে মিশর পালিয়ে যাও। আমার আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত তুমি সেখানেই থাকবে। কারন শিশুটিকে হত্যা করার জন্য হেরোড তৎপর হবেন” (মথি ২:১৩)
When they had gone, an angel of the Lord appeared to Joseph in a dream. “Get up,” he said, “take the child and his mother and escape to Egypt. Stay there until I tell you, for Herod is going to search for the child to kill him.”
পালাবার পথে সম্ভবতঃ হেবরন হয়ে বিরসেবায় যান এবং সেখান থেকে মরুভুমি অতিক্রম করে ভুমধ্যসাগরের তীরে পৌছান। কেবল এখানেই মিশরের সীমান্তের কাছে তারা নিরাপদ। সে সময় প্রায় দশ লক্ষ ইহুদী মিশরে বসবাস করতেন এর ভেতর আলেজান্দ্রিয়ায় বাস করত দুই লক্ষ। সামাজিক রীতিনীতির কারনে এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার কারনে মিশর তখন ইহুদীদের কাছে স্বর্গ রাজ্য। যীশুর জীবৎকালে এসেন্স সম্প্রদায়ের এক প্রতিবেদনে গসপেলের উল্লেখিত হেরোডের দ্ধারা সংঘটিত নিরাপরাধ শিশুদের নির্বিচারে নৃশংস হত্যাকান্ডের সত্যতা মেলে। পরবর্তী রাজা, পুরোহিত সম্প্রদায়ের কেউ ছিল না, সে ছিল একটা ভুইফোড়, দুর্বিনীত, এবং নাস্তিক ব্যাক্তি। যুবক বৃদ্ধ সে নির্বিচারে হত্যা করে এবং পুরো দেশে তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে (অ্যাসঃ মোস ৬:২২) (অ্যাস মোস মানে এ্যাজামসন অভ মোজেস)
এখানে আর একটা ব্যাপার উল্লেখ্য না করলেই না খ্রিষ্টান ধর্মের অনেক আগে থেকেই আলেকজান্দ্রিয়ায় বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত ছিল। এটা কল্পনা করা অতিরঞ্জিত হবে না যে যীশু ছোটবেলায় মিশরে প্রাচ্য দর্শন সন্মন্ধ্যে ধারনা পেয়েছিলেন বৌদ্ধ পন্ডিতদের দ্ধারা যার কারনে সে যখন বারো বছর বয়সে জেরুযালেম মন্দিরে পুরোহিতদেরর তর্কে চমকে দেয় সেখানে নিশ্চয়ই এমন সব কথা ছিল যা সাধারন ইহুদী ধর্মে ছিল না। “যারা যীশুর কথা শুনছিলেন, তারা সকলে তার কথা এবং বুদ্ধি মত্তা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল (লুক ২:৪৭)
ঘৃনিত স্বৈরাচারী হেরোডের মৃত্যুর পরে পূর্ন দশ বছর অতিক্রান্ত না হওয়া অবদি যীশু নিরাপদে তার জন্মস্থানে ফিরতে সমর্থ হয়নিঃ
“রাজা হেরোডের মৃত্যুর পর প্রভুর এক দুত মিশরে যোশেফকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বললেন, যোশেফ শিশুটিকে ও তার মাকে নিয়ে এখনি ইসরাইল দেশে ফিরে যাও। কারন শিশুটির প্রান নাশের চেষ্টা যারা করছিলো তাদের মৃত্যু হয়েছে, যোশেফ তখন তাদের নিয়ে ইসরাইল দেশে ফেরত আসল, কিন্তু তিনি শুনতে পেলেন আর্কেলাউস তার পিতা হেরোদের স্থলে যীহুদীইয়া প্রদেশ শাষন করছে, তাই সেখানে যেতে তিনি ভয় পেলেন, স্বপ্নে তিনি এ সম্পর্কিত সতর্কবানী পেলেন। তিনি গালীল প্রদেশে চলে গেলেন এবং নাযারেথ নামক এক সম্প্রদায়ের মাঝে বাস করতে লাগলেন। এভাবেই পূর্ন হল নবীদের এই ভবিষ্যতবানী; নাজারিয়া নামে তিনি আখ্যায়িত হবেন।” (মথি ২:১৯-২৩)
এর পরে আলোচনা করব বৌদ্ধ ধর্ম এবং জেসাসের মাঝে সাদৃশ্য। লিঙ্ক বিভিন্ন জায়গায় দেয়া আছে তবে মুল বই হিসাবে "জেসাস লীভড ইন ইন্ডিয়া" কে ধরা হয়েছে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৩
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনি জ্বালাইয়া খাইলেন, আর ম্যাওপ্যাও মন্তব্য দিয়ে, কেন ঝামেলা লাগান। আপনাকে বলতে হবে আমি পোষ্টের কোথায় আমি বলছি ম্যাজাইরা ভারতীয় ছিল? ক্লিয়ার করেন আগে, কোথায় লিখছি ভারতীয়? আপানার জ্ঞান হল আমেরিকান পেপার পইড়া পোষ্ট দেয়া সেটাই দেন, অহেতুক ইতিহাস ধর্ম অংকে কেন নাক ঢুকান? ভারতীয়রা যে ফরমোজা, ফিলিপাইন উপনিবেশ স্থাপন করছিলো জানেন? চানক্য লিখিত অর্থশাস্ত্রে যে নৌবিভাগের কথা লেখা আছে জানেন? আর নৌবিভাগ থাকার মানে জানেন?
আপনি লিখছেন “কোন তারকা কোথায়ও স্হির হয় না; মানুষ সামান্য কয়টি তারকাকে চেনেন: সন্ধ্যা তারা, শুকতারা, ধ্রূব তারা। এগুলোকে পৃথিবী থেকে একই সময়ে একই স্হানে দেখা যায়।” উনার এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে দেখলাম এর প্রতি মন্তব্য এত বড় হয়ে যায় যে, তা দিয়ে একটা পোষ্টই দেয়া যায়, সেই সুবাদে এই পোষ্ট লেখা। এখানে যা লেখা হবে তার প্রেক্ষাপট হবে জ্যোতিষি শাস্ত্র। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজে এই শাস্ত্র বিশ্বাস করিনা, কিন্তু জানার জন্য ওই পোষ্ট দিয়েছিলাম, এখন উনি আমাকে যে প্রশ্ন করছেন তার জবাব দিতে গেলে এ্যাষ্ট্রোনোমি আর এ্যাষ্ট্রোলজির সমন্বয় করতে হয়, যা আমার জন্য খুবই কঠিন একটা বিষয়। এই বিষয়ে আমার জ্ঞান প্রায় শুন্যের কোঠায়, তাও চেষ্টা করব জবাব দেবার। বিভিন্ন অন্তর্জাল ফিচার পড়ে যেটুকু জ্ঞান পেয়েছি তা অনেকটা নিম্ন রূপঃ
প্রথমেই আপনার মনে রাখতে হবে যীশুর জন্ম সাল নিয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি, এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত, যদিও খ্রিষ্টীয় মতে যীশুর জন্ম সাল কে প্রথম খ্রিষ্টীয় বর্ষ হিসাবে ধরা হয়, তবে এনিয়ে চুড়ান্ত মতবিরোধ আছে ঐতিহাসিকদের মধ্যে। তবে যীশু জন্ম নিয়েছিল খ্রিষ্ট পূর্ব ৭ সাল থেকে ১ লা খ্রিষ্টাব্দের মাঝে এনিয়ে কোন মতবিরোধ নেই।
আধুনিক কালে এ্যাষ্ট্রোনোমি অনেক উন্নত। খুব সহজ কিছু হিসাব নিকাশ করে হাজার হাজার বছর আগের নক্ষত্র তারার অবস্থান কি ছিল তা নির্নয় করা খুব একটা কঠিন কিছু না। জোহান কেপলার এর সময় সেই ষোড়শ শতাব্দীতে এ সহজ হিসাব করা সম্ভব ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ সালে বৃহস্পতি আর শনির একই লাইনে আসা বা সমপাতন হওয়ার ফলে যে নতুন জ্যোতিস্ক (পড়ুন নক্ষত্র) সৃষ্টি হয়েছিল সেটাই বিখ্যাত বেথেলহেমের তারা। যদিও পরবর্তীতে কেপলারের এই নতুন জোতিস্ক তৈরী হওয়ার ধারনা বাতিল হয়ে যায় কারন দুটো গ্রহের সমপাতন হলে কোন নতুন জ্যোতিস্ক তৈরী হয় না। কিন্তু এটা এখন প্রমানিত যে খ্রিষ্ট পূর্ব ৭ সালে শনি এবং বৃহস্পতি এক লাইনে চলে এসেছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব ৭ সালে পাইসেস নক্ষত্রপুঞ্জে, শনি এবং বৃহস্পতির মাঝে তিনবার সমাপাতন ঘটে (এর সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্র জড়িত)। মজার ব্যাপার হল পাইসেস মানে হল মাছ এবং প্রথম দিকে যীশুর প্রতীক হয়ে ওঠে এই মাছ এবং খ্রিষ্টানরা নিজেদের চেনার জন্য গোপন প্রতীক ছিল মাছ। এই ধরনের সমপাতন জ্যোতিষ শাস্ত্রের এই পাইসেস বা মাছ চিহ্নে প্রতি ৭৯৪ বছরে একবার ঘটে। এই সময় শনি এবং বৃহস্পতি কাছাকাছি আসার কারনে রাতের আকাশে এক জোড়া উজ্জ্বল আলোর বলয় হিসাবে দেখা যেত।
খ্রিষ্টপূর্ব ৮ সালের শেষের দিকে বৃহস্পতি এবং শনি পশ্চিম আকাশে কেবল সন্ধ্যাবেলা দেখা যেত। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সুর্যরশ্মির কারনে বৃহস্পতিকে আর দেখা যায় না। মে ২৯, খ্রিষ্ট পূর্ব ৭ সালে দুটো গ্রহ ১° বিচ্যুতিতে প্রায় একই কৌনিক দূরত্বে দেখা যায়, সেই বছর একই ঘটনা ঘটে ২৯ শে সেপ্টেম্বর এবং ৪ ই ডিসেম্বর। এর মানে দাড়ায় প্রায় দেড় বছর যাবত সুর্য অস্ত গেলে গ্রহ দুটোকে উজ্জ্বল ভাবে আকাশে দেখা যেত যা সেই সময় তাদের মাঝে ৩° র বেশী পার্থক্য ছিল না। এখানে কাকতলীয় ভাবে মথির গসপেলেও এই নক্ষত্রেরও তিনবার উল্লেখ্য করা হয়েছে। এখানে সেই তিনবার কখন কখন এসেছে তা উল্লেখ্য করে আপনাদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাব না। কেউ ইন্টেরেষ্টেড হলে মথির গসপেল দেখে নিতে পারেন। প্রায় বছর খানেক ধরে এই তারাদ্বয় মাঝ রাতে সর্বোচ্চ স্থানে পৌছাত।
পূর্বোল্লেখিত পোষ্টে () পূব দেশীয় যে তিন জন (যদিও এই সংখ্যা নিয়ে কনফিউশান আছে) ম্যাজাই বা জ্যোতিষি বা জ্ঞানী ব্যাক্তির উল্লেখ্য করছি তারা যে এক রাতে ওই উজ্জ্বল তারা (যা বেথেলহেম ষ্টার নামে পরিচিত) দেখে পথ চলে নাই আশা রাখি বুজতে পারছেন, প্রায় কয়েক মাস বা হয়ত বছর জুড়ে কষ্টদায়ক ভ্রমন করে তারা বেথেলহেমে পৌছেছে ওই বেথেলহেম ষ্টার দেখে।
আপনি লিখছেন ভারতীয়রা কিভাবে বেথেলহাম গ্রাম খুঁজে বের করেছিলো, তখনকার এসব গ্রামগুলো ছিল ১০/২০টা মাটির বাড়ী। ভারতীয়রা কোন ভাষায় কথা বলেছিলো। আমি জানি না আপনি কোন বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন; আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা শুন্যের কোঠায়। আবারো ভারতীয়? আমি কোথায় লিখছি ভারতীয়রা ম্যাজাই ছিল? যীশুর সময় এ্যারামিক ভাষা প্রচলিত ছিল, যারা অতদুর দিয়ে আসছে তারা নিশ্চয়ই ভাষার জন্য আটকে থাকেনি। আর আমার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা শুন্যের কোঠায় এইবার আপনি বলেন আপনার জ্ঞান কোন কোঠায়।
ম্যালা রাইত বাজাইয়া ফালাইছেন আইজকা আপনি, আমার গৃহযুদ্ধ হবার মুখে। আপনি এইবার এইগুলা দেখেন আর ভুত প্রেত নিয়া ভাবেন। জ্বালাইয়েন না।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
অন্বেষার যে কঠোর তপস্যা করছেন- তাতে সামু, সামুর তথ্য ভান্ডার আর সামুর পাঠক সকলের জ্ঞান ভান্ডার বিকশিত হচ্ছে।
আর এই কঠোর পরিশ্রমের কাজের জন্য আমাদের ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নিতান্তই ক্ষুদ্র।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই।
আগের দিনের নক্ষত্র চর্চা এবং তাতে তাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস নিয়ে একটা পোষ্ট দেবেন কি?
আরেকটা কষ্টকর আব্দা করলাম
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ম্যা'ভাই
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই আদেশ শিরোধার্য্য। পোষ্ট দিমু একটু টাইম দেন। অবশ্যই দিমু।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: যিশু অলৌকিক কেউ না। তার অলৌকিক কোনো ক্ষমতা নেই।
মানুষ তিলকে তাল বানায়েছে।
রূপ কথা মানুষের খুব পছন্দ।
এই আধুনিক যুগে এসে যারা রূপ কথা বিশ্বাস করে তারা বোকা।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৬
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই বিশ্বাস অবিশ্বাস পরের কথা জানতে তো কোন দোষ নাই কি বলেন?
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: একরাশ ভালোগালার ভালোবাসা ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৬
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আবারো চমকে দেয়ার মতো লেখা ! ঐতিহাসিকভাবেই পয়গম্বররা পূর্ববর্তী কোনো না কোন ধর্ম দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়েছিলেন, যীশুও তার ব্যতিক্রম নন | যীশুর অহিংসা ও বৌদ্ধধর্মের মধ্যে সাদৃশ্য নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎপর্বের অপেক্ষায় !
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩১
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা, একটু ভাবনা চিন্তা করছিলাম লেখার জন্য কিন্তু ওই যে উপ্রে এক ম্যাওপ্যাও মুরুব্বী আছে তার জ্বালানিতে আইজকা আর সেই পোষ্ট দিতে পারলাম না, অন্য পোষ্ট দিলাম
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: আমি ২টা জিনিস নিয়ে ক থা বলতে চাই।
১। যীশুর বাবা কে ? উনার তো বাবা কেউ না। বিবি মরিয়ম যে বিবাহিত ছিলেন এটা কী প্রমানিত? যোশেভ বলে যাকে ভাবা হচ্ছে এটা কে? আমি তো জানি উনাকে পেলে পুষে বড় করেছেন হযরত জাকারিয়া (আলাহিস সালাম)!
২। এখনকার নিউ বাইবেল যেইগুলিকে বলা হচ্ছে সেগুলি যে কত বার রিরাইট হয়েছে তার হিসাব নেই।
The gospels are anonymous—so how do we know who wrote them? None of the gospels came with an “about the author” section. The closest we get to a claim of authorship is at the very end of the Book of John, where the author implies that the book was written by “the disciple whom Jesus loved” (John 21:24 NIV).
For more than a millennium, the church has attributed this gospel to Matthew, the tax collector turned disciple. All three synoptic gospels and the book of Acts list Matthew among the twelve disciples, but only the book of Matthew explicitly says he’s a tax collector.
All three synoptic gospels record an account of Jesus calling a tax collector to discipleship, but interestingly, while the book of Matthew calls him Matthew, Mark and Luke both identify this man as Levi. It’s worth noting, however, that all four lists of the apostles include Matthew, and none of them include someone named Levi.
এখন বলুন কার লেখা কার নামে চলছে?
Later, Paul invites Barnabas on a second missionary journey. When Barnabas wants to bring John Mark with them, Paul cautions against it, citing his desertion in Pamphylia. The two of them disagreed so strongly that they decided to part ways. Barnabas sailed to Cyprus with John Mark, and Paul took Silas to Syria and Cilicia (Acts 15:36–41).
Barnabas বা বার নাবীয়া'র বাইবেল বা গস্পেল কই? এতা কেন চার্চ বিশ্বাস করে না? ত্রিতত্ত্ব বাদ নেই দেখে?
ধন্যবাদ।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই, এক কথায় আপনার উত্তর দেবার চেষ্টা করি খ্রিষ্টানদের বিশ্বাস্য ঈশ্বরপুত্র যীশু আর মুসলমানদের রাসুল ঈশা (অঃ) একই ব্যাক্তি হিসাবে স্বীকৃত। কিন্তু বাইবেলের যীশু এবং পবিত্র কোরান শরীফের ঈশা (অঃ) এর মাঝে যদি আপনি যোগ সুত্র টানতে যান তবে আমি বলব তেল আর পানি এক করার চেষ্টা করছেন। বাইবেলে বর্নিত যীশু আর কোরানে বর্নিত ঈশা (অঃ) এর মাঝে মিল অতি সামান্য। যদিও দুইজন কিন্তু একই ব্যাক্তি। যদি আমার ব্যাক্তিগত মতামত জানতে চান তবে আমি বলব বাইবেলে যেভাবে যীশুকে বর্নিত আছে তার থেকে অনেক ক্লিয়ার ভাবে অনেক কিছু লেখা আছে পবিত্র কোরান শরীফে যা ব্যাখ্যা করা সম্ভব এমন কি রেজোরেকশানের ব্যাপারটা। যেটা বাইবেল আর কোরানে আছে কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। কিন্তু দুটোর তুল্য বিচার করতে গেলে আর এক ধর্মকে হেয় করা হবে বিধায় সে দিকে আমি যেতে চাই না। আমি মুলতঃ পোষ্ট গুলো লিখছি খ্রিষ্টান ধর্মের আলোকে যীশুকে নিয়ে। আমি নিজেও অনেক কিছু জানতাম না এই সব নিয়ে পড়তে গিয়ে কিছু কিছু জানছি আর পোষ্ট দিচ্ছি।
আসি গসপেলের ব্যাপারে বাইবেল কোন ঐশী গ্রন্থ না। মার্ক, মথি, লুক এবং যোহানের গসপেল নিয়ে নিউ টেষ্টামেন্ট বা বাইবেল লিখিত। এর আগে অসংখ্য গসপেল ছিল। “গসপেল” মানে হল সুংবাদ। এই সুংবাদ খ্রিষ্টান ধর্মের প্রথম দিকে দুঃসংবাদ হিসাবে দেখা দিল, কারন এত অধিক গসপেলের ভেতর সবাই দাবী করত তারটা ঠিক, এনিয়ে রক্তারক্তির পর্যায়ে চলে যায়, এ অবস্থায় হিয়েরাপোলিস প্যাপিয়াস, যাকে খ্রিষ্টের বারো শিষ্যের মধ্যে একজন ধরা হয় তিনি ১১০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ গসপেলগুলোকে একটা নিয়মে আনার চেষ্টা করেন কিন্তু তার সে চেষ্টা সাফল্য মন্ডিত হয় না অবশেষে দ্বিতীয় শতকের শেষ নাগাদ ইরেনিয়াস এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে সফল হন এবং উপরোল্লিখিত চারটি গসপেল নিয়ে নিউ টেষ্টামেন্ট বানান এবং সন্দেহজনক গসপেল গুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়। তার পরো কিছু কিছু গসপেল সে সময়ের কিছু মানুষ লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম যার কিছু কিছু এখন আবিস্কার হচ্ছে।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি যে। সাম্প্রতিক গবেষনায় প্রমানিত যে মার্ক ৭০ খ্রিষ্টব্দের কিছু আগের, মথি ৭০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু পরের, লুক ৭৫ থেকে ৮০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে (অনেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ের কথা বলেন) আর যোহানের গসপেল দ্বিতীয় শতকের প্রথম দশকের আগে লেখা হয়নি এটা বলা চলে। মানে প্রথম গসপেল মার্কের গসপেলও যখন লেখা হয় তখন কিন্তু দুই প্রজন্ম অতিক্রান্ত।
আর বারনাবাস গস্পেল নিয়ে আমি খুব একটা জানি না। আপনি একটা পোষ্ট দেন না প্লীজ এ নিয়ে তাহলে ভালো হয়। আমি আমার লেখায় চেষ্টা করি কোন ধর্মের কারো যেন অনুভুতিতে আঘাত না লাগে। জাষ্ট জানার জন্য লেখা।
পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪১
করুণাধারা বলেছেন: অনেক কিছু ভাবতে শুরু করলাম... পরের পর্বের অপেক্ষায়।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: বোন পরের পর্ব দিয়ে দিয়েছি, সেটা ঠিক পর্ব না এই পর্বের কিছু প্রশ্নের জবাব নিয়ে তৈরী। দেখছেন?
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এই কন্সপেরেসি থিওরিটা নিয়া ইদানীং বেশ চর্চা হইতাসে। মাশুদুল হক ভাইয়ের "মিনিমালিস্ট" উপন্যাসে এইটা নিয়া দুর্দান্ত ফিকশন লেখা হইছে। পড়লে মাথা ঘুইরা যায়। রিকমেন্ড কইরা গেলাম। তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দিতেছেন, তাই একটা কথা জানাইয়া যাই। কখনও একটা বই থেইকা তথ্য নিয়া পোস্ট দিবেন না, একাধিক বই/জার্নাল/আর্টিকেল ব্যবহার করেন, রেফারেন্স দেন। কারন তা না হইলে পোস্টটা বুক রিভিউ হইয়া যায়, রিসার্চ করা কোনো লেখা না। ধন্যবাদ। বরাবরের মতন দারুন লিখসেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: মিনিমালিস্ট মার্কেটে দেখছি, ইচ্ছা করে কিনি নাই, এইবার আপনে যখন রিকমেন্ড দিছেন অবশ্যই কিনব। আর দারুন একটা পরামর্শের জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া ভাইজান, তবে আমি একটা বই বা ফিচার ধরে সাধারনতঃ কিছু লিখি না, তার সাথে আরো কিছু মশলাপাতি বিভিন্ন জায়গা দিয়ে এনে যোগ বিয়োগ করে মার্কেটে ছাড়ি।
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০০
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: রূপকথার গল্প।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: কিন্তু পৃথিবীর শত কোটি মানুষ এটা বিশ্বাস করে ভাই।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রহস্যময় যীশুর বাল্যকাল পড়লাম। কাকতালীয় কিনা জানিনা তিব্বতি দালাইলামাদের সঙ্গে উচ্চপদস্থ মেজাইদের যে মিল পাবো এটা কি করে সম্ভব। আপনার সত্যকে অন্বেষণ করার প্রচেষ্টা এভাবে চলতে থাকুক...
শুভকামনা প্রিয় শায়রী ভাইকে।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: ভাই আরো অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু জিনিস পড়ছি, পড়ে হতভম্ব হয়ে আছি, আস্তে আস্তে আনব
পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি যীশু থেকে ব্যাপারগুলো জানতে গেলেন নাকি?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী যীশু পর্যন্ত যাওয়া লাগে নাই, তার আগেই জবাব পাইয়া গেছি এই লিঙ্ক দিয়ে ঘুরে আসেন ষ্টার অভ বেথেলহেম এবং ম্যাজাইদের পথ নির্দেশক কিন্তু ওই পোষ্টে বা এই পোষ্টের উত্তরে যে আপনার ম্যাও প্যাও বন্ধ হয়ে গেছে তার কি হবে? এই সামান্য জিনিস টুকুর জবাব দিতে পারেন না আবার বলেন ধর্মে অবিশ্বাসী!!!! আমি নিজেই তো এই লেখার বিরুদ্ধে এমন কিছু যুক্তি টানতে পারি বিশ্বাসী হয়ে যা আপনার মত হাজারটা অবিশ্বাসীও পারবে না, তাই বলি কি মুরুব্বী আমেরিকান পেপারের বঙ্গ অনুবাদ দিয়ে ব্লগ না ভরিয়ে ফেলে কিছু জিনিস পড়ুন। আপনার সাধারন জ্ঞান একটা সাধারন আমেরিকানের জ্ঞানের তুলনায়ও অত্যন্ত নিম্ন। আর সাধারন আমেরিকানদের জ্ঞান যে কতটুকু তাতো এক দিন আপনাকে বলছিলামই
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০২
সুপারডুপার বলেছেন: এই আধুনিক যুগেও মাত্র ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসই কতবার বিকৃত হয় , কতবার সঠিক হয়। অথচ যেখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এখনো জীবিত, মুক্তিযুদ্ধের ছবি আছে, ভিডিও আছে । তাহলে ২০০০ বছরের ইতিহাস যে কতবার বিকৃত হয়েছে , কে জানে ! এতো বিকৃতর পর এইগুলো ইতিহাস এখন কিচ্ছা কাহিনী ছাড়া আর কিছু না। আর এইসব কিচ্ছা কাহিনীকে এখনও অলৌকিকতা রং দিয়ে রহস্যময় করার চেষ্টা যথেষ্ট লক্ষণীয়।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: সুপার ডুপার ভাই তার থেকেও বড় ব্যাপার ওভার বিলিয়ন পিপল এগুলো বিশ্বাস করছে! এবং এক ধরনের প্রশান্তি পাচ্ছে। এটাই আমার কাছে অনেক আনন্দের ব্যাপার।
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৫
সোহানী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। যদিও ধর্ম নিয়ে আমি কোনকালেই আগ্রহী নয় তারচেয়ে বিজ্ঞান এর লিখাগুলো আমার কাছে আকর্ষনীয় মনে হয়। তারপরও চলুক সাথে আছি................
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: কিন্তু বোইন আমার বিজ্ঞানের জ্ঞান যে তাতে যদি বেশী পোষ্ট দেই আমার বিদ্যার দৌড় সবার কাছে তাইলে ফাস হয়ে যাবে? বিজ্ঞান খুব কঠিন লাগে, অংক মাথায় মোডে ডুকেই না সব চেয়ে সোজা ধর্মীয় ইতিহাস, অতীতে ধর্মপ্রচারকরা কি করছে নাক মুখ বুইজা লিখে গেলেই হল কারন এর অধিকাংশই আমরা বিভিন্ন ভাবে জানি, এই কারনে আমার এই সোজা পথে হাটা.......
১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় আলী ভাই।
১৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৫
সুপারডুপার বলেছেন:
শের শায়রী ভাই ,
রূপকথার জগতে বা কমফোর্ট জোনে থাকতে সাময়িক ভালোই লাগে। কিন্তু বাস্তবতায় কমফোর্ট জোনে থাকলে পিছিয়েই পড়তে হয়। সে জাতিই এগিয়ে যে জাতি বাস্তবতায় আন-কমফোর্ট জোনে থাকতে পছন্দ করে।
পশ্চিমা বিশ্ব এইসব রূপকথা কখনও বাস্তবতায় কাজে লাগায় না। রূপকথাকে রূপকথাতেই রাখে। যেমনঃ ভূত-পেত্নী, জাদু-মন্ত্র , কাল্পনিক কাহিনী নিয়ে হলিউড ঢালি-বলিউডের চেয়ে অনেক বেশি মুভি বানায়। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের বাস্তব জীবনে এইগুলোর ছোয়া নাই।
রূপকথাকে বিশ্বাস না, অনুভব করলে সাময়িক প্রশান্তিই লাগে। মেডিটেশনেও কল্পনার জগতকে অনুভব করলে প্রশান্তি লাগে। সত্যিকারের শান্তি লাগে মানব কল্যানের জন্য কাজ করে ও সবসময় তাঁর (যার সমন্ধে কেউ-ই কখনও জানতে পারে নি, কেউ কখনও জানতেও পারবে না) প্রতি শোকর ও কৃতজ্ঞতা থাকায়। শান্তির জন্য কোনো ধর্মের দরকার পড়ে না।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৬
শের শায়রী বলেছেন: ভূত-পেত্নী, জাদু-মন্ত্র , কাল্পনিক কাহিনী ভাই এগুলো তো ধর্ম না। ধর্ম ভিন্ন জিনিস।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮
অভি চৌধুরী বলেছেন: আপনার এই পর্ব গুলো অনেক ভালো হচ্ছে, এখান থেকে নেয়ার অনেক কিছু আছে, আছে এই নিয়ে গভীর চিন্তা করার এবং কিছু বিষয় এড়িয়ে গেলেও ক্ষতি নেই। সুতরাং আপনি লেখে যান, আমরা পড়ছি। এক বা একাধিক ব্যক্তি এখানে আছেন যারা এসবের সমালোচনা করছেন। এরা মুলত মেন্টাল। এদের আমরা মাঝে মাঝে এড়িয়ে যাই, আপনিও তার করবেন আশা রাখি।
পরের পর্বে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা নিয়ে আসছি।
ভালো থাকবেন
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই। এই ধরনের সমর্থন আমাকে লেখার প্রেরনা জুগিয়ে যায়।
শুকরিয়া ভাই।
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১১
মহসিন ৩১ বলেছেন: গস্পেলের সাথে যীশুর জীবন সবটুকুই যে সমান্তরাল ছিল সেরকম না। তখনকার সময়টা রাজনৈতিক কোন অঙ্গিকার ছিল না ; বুঝাই যায় যে আমাদের দেশের সামন্তবাদি শাসকদের সাথে কিছুটা তুল্য মূল্য সেইসব রাজনৈতিক হিত দরশন পরিচালনায় গস্পেলের একটা বিরাট ভূমিকা ছিল। তখন মানুষকে যা ই বলা হত সেটা প্রমাণ করারও প্রয়োজন হত কিনা বুঝার উপায় নাই। বিজ্ঞান এখানে অন্ধ। পরবর্তী ইতিহাসও ভাষা দক্ষতার অভাব ও প্রয়োজনের সংজজন মাত্র। জিশুর জীবন সেসব নানামুখিণ তৎপরতায় একটি সামন্তরিক দক্ষতার ুজ্জল দৃষ্টান্ত। যে জিনিষ টা প্রধান চিন্তার ; সেটা হচ্ছে যীশুর ভূমিকায় অন্য কেউ অভিনয় করেছে কিনা এর কোন বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নাই। ধর্মের শক্তির মধ্যে নির্বুদ্ধিতা একটি প্রলয়ঙ্করী অভিযোজন। সাধারণ শ্রেণী এটা কখনই বুঝবে না। শুধু সেটা পালন করে যাবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০১
শের শায়রী বলেছেন: সমস্যা নেই ভাই সেই পালন করে কেউ যদি মানসিক প্রশান্তি পায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভারতীয় হিন্দু ধর্ম হচ্ছে (যীশুর জন্মের সময়) সাড়ে ৩ হাজার বছরের পুরানো। ভারতীয়রা সিন্ধুনদ অতিক্রম করে কোন অন্চলে বাস করেনি; সিন্ধুর পশ্চিমের লোকেরা ভারত এলাকায় হামলা চালাতো। কোন জ্যোতিষের ১৪ গোষ্টী কোনভাবে জানার কথা নয় যে, মরুভুমির মাঝে, ইহুদী পরিবারে কোন বাচ্চা জন্মেছে।
কোন তারকা কোথায়ও স্হির হয় না; মানুষ সামান্য কয়টি তারকাকে চেনেন: সন্ধ্যা তারা, শুকতারা, ধ্রূব তারা। এগলোকে পৃথিবী থেকে একই সময়ে একই স্হানে দেখা যায়।
ভারতীয়রা কিভাবে বেথেলহাম গ্রাম খুঁজে বের করেছিলো, তখনকার এসব গ্রামগুলো ছিল ১০/২০টা মাটির বাড়ী। ভারতীয়রা কোন ভাষায় কথা বলেছিলো। আমি জানি না আপনি কোন বিষয়ে পড়ালেখা করেছেন; আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা শুন্যের কোঠায়।