নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু কালজয়ী মাষ্টার পেইন্টারের মাষ্টার পীস ছবি কিছু তথ্য

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৩



এই মোনালিসাকে নিয়ে আজকে কোন আলোচনা করব না, কারন এত পরস্পর বিরোধী তথ্য আর গবেষনা এই একটি ছবিকে নিয়ে হয়েছে যে ভিঞ্চি নিজেই বেকুব হয়ে যেতেন আজকে বেচে থাকলে। মোনালিসার সামনে দাড়ালে দর্শকের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে তার চোখের মনির অবস্থানও নাকি পরিবর্তিত হয়।

যাই হোক আমি ছবি খুব একটা ভালো বুজিনা, তবে ভালো একটা ছবি ঘন্টার পর ঘন্টা দেখতে পারি, সে অনুভুতি থেকে আজকে কিছু ভালো চিত্রকরের কিছু দারুন ছবির পরিচয় করিয়ে দেব, যার মাঝে কিছু কিছু বিস্ময় কর তথ্যও হয়ত পাবেন।

ভ্যানগগের ছবি দেখলে বুজবেন কত নিখুত আর আশ্চর্য্য ভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়। তবে ভ্যানগগের ব্যাপারে সব থেকে অদ্ভুত তথ্য হল তিনি সম্ভবত এ্যাবিসিনেথ মদ খেতেন এই এ্যাবিসিনেথ মদে থুজন নামক উপাদান আছে যা খেলে ইয়োলো ভিষন হয়, সম্ভবত এই কারনে ভ্যানগগের ছবিতে হলুদ রংয়ের উপস্থিতি বেশী দেখা যায়। চলুন ভ্যানগগের কয়েকটি বিখ্যাত পেইন্টিং দেখে আসি।

এই ছবিটির নাম উইটফিল্ড উইথ ক্রো



এইবার দেখি ভ্যান গগের সেলফ পোর্টেট উইথ ব্যান্ডজ ইয়ার অ্যান্ড পাইপ। এনিয়েও এক মজার কাহিনী আছে, ভ্যান গগের সাথে ফ্রেন্ড শীপ ছিল আর এক ডাচ মাষ্টার পল গঁগ্যার। তো দুইটাই ছিল পাগল কিসিমের, পাগলের বন্ধুত্ব! বুজেনই তো একদিন দুই জনের মাঝে ঝগড়া বেজে গেল। ভ্যানগগ পল গঁগ্যাকে শেভিং রেজার দিয়ে আক্রমন করেই পলায়ন করেন। ওদিকে গগা গেল পুলিশ ষ্টেশনে আর ভ্যান গগ পালানীর জন্য গেল এক পতিতার রুমে, তো সারা রাত সেখানে কাটিয়ে সকালে যখন পতিতা যার চেলের হাতে টাকা দেবেন দেখেন টাকা নেই, অসুবিধা নেই, একটু আড়ালে গিয়ে কিছুক্ষনেরা মাঝেই ফিরে এলেন একটা প্যাকেট সহ এবং বলেন “কীপ দিস অবজেক্ট কেয়ার ফুলি” । সরল মনা পতিতা যার চেল মনে করেন এতে বুজি টাকা আছে, খুলে দেখেন সেখানে ভ্যান গগ তার এক কান কেটে তাকে দিয়েছে। এই ছিল ভ্যান গগ। চলুন দেখি সেই বিখ্যাত ছবি। ভ্যান গগ কে নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে কেউ চাইলে দেখে আসতে পারেন ডাচ মাষ্টার ভ্যান গঘ এবং এ্যাবসিনথি মদ

সেলফ পোর্টেট উইথ ব্যান্ডজ ইয়ার উইথ পাইপ



১৮৮৯ সালে ভ্যানগগ তার ষ্টারি নাইট আঁকেন। এটা তারা খচিত রাতের আকাশ এর ছবি, ১৯৯০ হাবল দুরবীন দিয়ে দূর নক্ষত্রের কিছু দেখেন বিজ্ঞানীরা, তেমন এক নক্ষত্রের গ্যাস এবং সুবিশাল মেঘের টার্বুলেন্স দেখেন এর পর প্রাপ্ত টার্বুল্যান্সের ছবির সাথে জ্যামিতিক ভাবে অদ্ভুত মিল খুজে পান এই ষ্টারি নাইটের। এটা কি কাকতালীয় না অন্য কিছু? পাগলের পাগলামি এত দূর!!!

চলুন দেখি ষ্টারি নাইটের ছবি।



এইবার আসি পিকাসোতে, পিকাসো তার ছবিতে কয়েকটি সময়ে বিভক্ত করেছেন, ব্লু পিরিয়ড এই সময়ের ছবিতে নীল রংয়ের প্রাধান্য বেশী, আবার রোজ পিরিয়ডের ছবিতে পিঙ্ক, লাল, অরেঞ্জ কালারের প্রাধান্য বেশী এবং ক্রিষ্টাল পিরিয়ড । চলুন দেখি তার তিন কালের কিছু বিখ্যাত ছবি, প্রথমে ব্লু পিরিয়ডের

দ্যা ওল্ড গিটারিষ্ট



লা গুরমেত (লোভী বালিকা)



এইবার দেখি রোজ পিরিয়ডের

ফ্যামিলি অভ স্যালটিমবাংকুয়েশ



এইবার দেখি ক্রিষ্টাল পিরিয়ডের ফুটবল



এই চান্সে পল গঁগ্যা একটা মাষ্টার পীস দেখে নি, যিনি তাহিতি দ্বীপে প্রচুর ছবি আঁকছেন

হোয়ার ডু উই কাম ফ্রম? হোয়াট আর উই? হোয়ার আর উই গোয়িং



যে ছবিটি না দিলে পিকাসোর আকাআকি নিয়ে ছবি দেয়া বৃথা সেটার নাম হল গুয়ার্নিকা, গুয়ার্নিকা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি স্বরূপ, যুদ্ধ বিয়োগান্তক এবং বিশেষ করে নিরপরাধ বেসামরিক জনগনের উপর বর্বরতা যন্ত্রণা প্রকাশ করে। এই চিত্রকর্মটি একটি স্মারক অবস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ বিয়োগান্তক চিরস্থায়ী অনুস্মারক, যুদ্ধ বিরোধী প্রতীক, এবং শান্তির প্রতিমূর্তি হয়ে উঠছে।

গুয়ার্নিকা



রেনেসা যুগে ইতালির দু তিন জনের ছবি দেখি যার মধ্যে বিখ্যাত আছেন, তিনতোরাত্তো, তিসিয়ান, রেমব্রান্ট।

তিনতোরাত্তোর দ্যা ওরশীপ অফ গোল্ডেন কাফ



তিসিয়ানের ভেনাস অভ উরবিনো




রেম ব্রান্টের দ্য নাইট ওয়াচ




এই বার চলুন মাইকেল এ্যাঞ্জোলোর ক্রিয়েশান অভ এ্যাডাম কে দেখে আসি তার আগে একটু বিস্ময় দিয়ে দেই আপানাদের। সিসটিন চ্যাপেলের সিলিংয়ের কেন্দ্রের কাছাকাছি আঁকা আছে ক্রিয়েশান অভ এ্যাডাম , যেটা কিনা চিত্রকলার জগতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি আর সবচেয়ে বেশিবার আঁকা একটা চিত্রকর্ম। এই চিত্রে বাইবেলের জেনেসিস বা সৃষ্টিতত্ত্বের ঘটনা অনুসারে পৃথিবীর প্রথম পুরুষ আদম এবং ঈশ্বরকে দেখা যাচ্ছে। তারা মুখোমুখি হয়ে আছে, দুইজনের হাত পরস্পরের প্রতি আগানো, এবং তর্জনী প্রায় ছুঁই ছুঁই করছে। ঈশ্বরের চারপাশে স্বর্গদূতেরা ভিড় করে আছে আর স্বর্গদূতসহ ঈশ্বরের অবয়বের পেছনে দেখা যাচ্ছে লাল রঙের একটি চাদর বা পর্দা। শত শত বছর ধরে মানুষ ভেবে এসেছে, এই ছবিতে ঈশ্বর আদমকে জীবনীশক্তি দিতে যাচ্ছেন বা দিচ্ছেন। এ ভাবনাই বলে দেয়, কেন এই ছবিকে সিলিংয়ের কেন্দ্রের কাছে রাখা হয়েছে। কারণ এই ছবিতে চিত্রিত হয়েছে মানবজাতি সৃষ্টির মুহূর্ত। কিন্তু… কিন্তু শতবর্ষ পর এই ধারণাকে দুমড়ে মুচড়ে দিলেন এক চিকিৎসক।

১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সেন্ট জন’স মেডিক্যাল সেন্টারের গাইনেকোলজিস্ট কাম শল্য চিকিৎসক ‘ফ্র্যাংক লিন মেশবার্গার’ মিকেলাঞ্জেলোর ‘Creation of Adam’ ফ্রেস্কো সম্পর্কে তার মতামত প্রকাশ করেন। মেশবার্গার বললেন, এই লাল রঙের বস্তুটি আসলে পর্দা বা চাদর নয়, এটি মানুষের মস্তিষ্ক! কিন্তু মিকেলাঞ্জেলো কেন মস্তিষ্ককে এমনভাবে আঁকবেন, যেন সেটা মানুষের চোখে মস্তিষ্ক হিসেবে নয়, বরং পর্দা হিসেবেই আবির্ভূত হয়? একটা মতবাদ হলো, ধর্মীয় চিত্রের মধ্যে হুট করে খুলি ছাড়া মস্তিষ্ক ঢুকিয়ে দিলে সেটা কোনো অর্থ প্রকাশ করে না, বরং চিত্রে বিদ্যমান ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট হওয়ার জন্য ধর্মগুরুদের নাখোশ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই তৎকালীন পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াস এবং ধর্মনেতাদের চোখ এড়ানোর জন্য মিকেলাঞ্জেলো চতুরতার সাথে মস্তিষ্ককে এভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু ধর্ম প্রচারকদের পাশাপাশি গত পাঁচশো বছর ধরে এই ব্যাপারটা শত শত শিল্পপ্রেমী, আঁকিয়ে, ইতিহাসবিদের চোখের আড়ালেও রয়ে গিয়েছিলো। লাখ টাকার প্রশ্ন হচ্ছে, কেন শিল্পীকে এই চিত্রের মধ্যে মস্তিষ্ক নিয়ে আসতে হলো?

ক্রিয়েশান অভ এ্যাডাম



এইবার একটু ভিন্ন ধরনের একটা ছবি হাঙ্গেরির টিভাডার কতসার আঁকা ওল্ড ফিশারম্যান ছবিটি দেখুন।কিছু কি অদ্ভুত লাগছে?



আসলে এই ছবির মাঝে দুজন আলাদা মানুষ লুকিয়ে আছে আপনি যদি এই এই বুড়ো মানুষটির মুখের ঠিক মাঝামাঝি একটা আয়না রাখেন তবে দেখবেন দুজন আলাদা মানুষ যা নীচের ছবিটিতে দেয়া হল



এডোয়ার্ড মাঞ্চ একজন নরওয়েজিয়ান শিল্পীর আঁকা এই "দ্য স্ক্রীম" মানব মনের বিভীষিকা তুলে ধরেছেন।বলা হয়ে থাকে মাঞ্চ নিজেও একজন মানসিক রোগী ছিলেন। মজার ব্যাপার মাঞ্চ যেদিন এই ছবিটি প্রদর্শনী করেন সেদিন একই সাথে টমাস আলভা এডিশনের নতুন আবিস্কার ২০ হাজার ছোট ছোট বাতি নিয়ে এক বিশাল বাতি তৈরী করা হয়েছিল, যার সাথে এই স্ক্রীম এর অনেক মিল আছে, এটাও বলা হয়ে থাকে মানবজাতির প্রযুক্তির ভবিষ্যতের ছবি দ্যা স্ক্রীমে তিনি ফুটিয়ে তুলছিলেন।

দ্যা স্ক্রীম



ফরাসী আঁকিয়ে ক্লদ মনে বড় বড় ছবি আকতেন ষ্টুডিওর বাইরে বসে, প্রকৃতির আলো ছায়ার খেলা ধরার জন্য। শুধু আলোর রং এর ভিন্নতা অনুভবের জন্য তিনি একবার পনেরটি খড়ের গাদার ছবি একেছিলেন। তার ওয়াটার লিলি সিরিজের ২৫০ টি ছবি আছে, প্রতিটির আলো ভিন্ন।

চলুন দেখি ক্লদ মনের একটি ওয়াটার লিলি



এখন একজন অখ্যাত আকিয়ের সাথে আলাপ করিয়ে দেব, আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি তার আঁকার দিকে, রং এবং অনুপাত এত নিখুত ভাবে তুলে ধরা কিছুটা দুঃসাধ্যই বটে, কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া মাত্র কয়েকটা ছবি একেছিল এই ভদ্র মহিলা কিন্তু ভ্যাগাবন্ড স্বামীর কারনে হাতে গোনা ৫/৭ টা ছবি ছাড়া আর কোন ছবি সে আঁকে নি। আমার বিশ্বাস সে যদি আকত অনেক ভালো করত।

কাপল উইথ আমব্রেলা
তারই অল্প কয়েকটা আঁকার মাঝে একটা। ইনি আমার সন্তানদের মা। অনেকটা আমার উদাসিন্যে সে আকাআঁকি করে নি। খুব ইচ্ছা করে বলি তুমি আঁক আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি, কিন্তু কেন যেন আমি বলতে পারি না এ কথাটা। কাঠ খোট্টা মানুষ দের মুখে ভালোবাসার কথাও কাঠখোট্টা লাগে, তাই ভয়েও অনেক কিছু বলিনা।



আর একজন আছে এই ব্লগেই নাম রাফাত নুর ওরফে গুড্ডির পাইলট, কি যে অসাধারন আঁকে বুজাতে পারব না, মানুষের পোর্টেট যে এত নিখুত আঁকা যায় ওকে না দেখলে আমি বুজতাম না। এখানে ওর একটা ছবি দিয়ে দিলাম।



ভবিষ্যতে পেইন্টিংস নিয়ে আরো পোষ্ট দেবার ইচ্ছা আছে। আজকের মত এখানেই ইতি।

কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল এবং নিজের ঘর।। বিভিন্ন জায়গায় লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি, চাইলে দেখে আসতে পারেন নীল হাইলাইটেড লেখাগুলোয় চাপ দিলেই লিঙ্কে চলে যাবেন।।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:০১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কালজয়ী কিছু মাস্টারপিসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ | ঘুড্ডির পাইলটের আঁকা ছবিটি অসাধারণ !

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: ঘুড্ডির পাইলট অসাধারন আঁকিয়ে এবং ও এই সব ছবি একে যে যা দেয় তাই নেয় এবং সেই টাকা দিয়ে রাস্তার ছিন্নমুল ছেলে মেয়ে, এতিমদের জন্য খাবার সংগ্রহ করে। ওর একটা চ্যারিটি আছে "এক টাকায় খাবার"। ও সব অর্থে অসাধারন।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বিখ্যাত শব্দ, "বুজিনা"র সঠিক বানান হবে, "বুঝি না"।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনি যে আমার কত্ত উপকার করতে আছেন, কিভাবে বুজাই। দ্যাশে আসলে একটা খবর দিয়েন আপনাকে এক বেলা বিরিয়ানী খাওয়াব কৃতজ্ঞতা স্বরূপ। আপনার উপকারের ঋন শোধ হবার নয়।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,





পেইন্টিংয়ের পোস্ট দেখে ব্লগইন করতেই হলো। অনেক মাষ্টাপীস ছবি দিয়েছেন। তবে ছবি সম্পর্কে বলেছেন খুব কম।

সকল ধরনের পেইন্টিংয়ের প্রতি আমার ঈর্ষান্বিত প্রেম উত্তুঙ্গ সব সময়ই। ঈর্ষা এই কারনে যে, ও রকম কেন আমি আঁকতে পারিনে! আর প্রেম এই কারনে যে, নান্দনিক সব ছবি প্রেমিকার মুখ দেখার মতো তাকিয়ে তাকিয়ে আমি দেখি আর কল্পনায় ভেসে যাই।

আপনার দেয়া অনেকগুলো ছবি নিয়ে আমারও অনেক ধরনের লেখা আছে। দামী-অদামী, বিখ্যাত-কুখ্যাত, বিতর্কিত-অবিতর্কিত
ছবি নিয়ে । একটির লিংক দিলুম ---পৃথিবী বিখ্যাত ছবিরা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় আহমেদ ভাই আমি ইচ্ছা করেই বর্ননা সীমিত রেখেছি, মুলতঃ চেয়েছি কয়েক টি ছবি সবাই দেখুক যদিও অনেকেই এগুলো আগেই দেখেছে। আমিও ছবি এবং ছবির সম্পর্কিত ইতিহাস পেলেই গোগ্রাসে পড়ি।

লিঙ্ক দেয়ায় অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। মন্তব্য রেখে এসেছি দুটো পোষ্টেই।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: আরেকটি চমৎকার পোষ্ট।
প্রিয় ব্লগার, আপনি তো আমাকে ক্রমশ বিমোহিত করে দিচ্ছেন ! :)
শুভকামনা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি। এই সব পোষ্ট কেউ চাইলেই দিতে পারে, কিন্তু চাইলেই কেউ কবিতা লিখতে পারে না।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনমুগ্ধকর সব পেইন্টিং।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় রাজীব ভাই।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
জয়নাল আবেদীনের বিখ্যাত ছবি

সালভাদর দালির বিখ্যাত ছবি ‘দা পাবসিসটেন্স অফ মেমোরি’ দালির সবচেয়ে আলোচিত ছবি
জয়নাল আবেদীনের বিখ্যাত ছবি

সালভাদর দালির বিখ্যাত ছবি ‘দা পাবসিসটেন্স অফ মেমোরি’ দালির সবচেয়ে আলোচিত ছবি


০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৫

শের শায়রী বলেছেন: নূর ভাই, জয়নুল আবেদিন আমাদের উপমহাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বিখ্যাত নাম কিন্তু সেভাবে মাষ্টার পেইন্টার হয়ে ওঠার পরিচিতি তা তার নেই, এটার নানাবিধি কারন আছে, আর সালভাদর দালির কিছু বিখ্যাত পেইন্টিং আছে তার মাঝে ‘দা পাবসিসটেন্স অফ মেমোরি' তো বিখ্যাত কিন্তু সেও মাষ্টার পেইন্টার না। তবে এছাড়াও কয়েকজন মাষ্টার পেইন্টার আছে তাদের নাম বাদ গেছে পোষ্ট থেকে স্থান স্বল্পতার জন্য।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৭

হাসান রাজু বলেছেন: ক্রিয়েশান অভ এ্যাডাম ছবির ব্যাপারে ফ্র্যাংক লিন মেশবার্গার দেয়া ব্যাখ্যাটা আমার মনে ধরেছে ।
কিন্তু ভিঞ্চির মোনালিসা নিয়ে যে যার মত করে গবেষণা করেই চলছে আর উদ্ভট উদ্ভট সব কাহিনী বানাচ্ছেন। কয়দিন আগে পড়লাম ভিঞ্চি মনালিসা ডান হাতে আঁকা শুরু করেছিলেন বাঁ হাতে শেষ করেছেন ।
কভাবে বুঝা গেল ?
কোন এক ছবিতে / পেইন্টিঙে দেখা গেছে ভিঞ্চির হাত ব্যান্ডেজের মত করে কাপড়ে মোড়ানো । ব্যাস, হয়ে গেল গবেষণা । ভিঞ্চি শেষ বয়সে ডান হাতে আঁকতে পারতেন না ।???
এখন ভিঞ্চি জিন্দা হয়ে এসে যদি অস্বীকার করতে পারেন তবেই ভুল । নয়ত এটা গবেষণা লব্দ ফলাফল !!!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১০

শের শায়রী বলেছেন: ভাই মোনালিসা বেগম কে নিয়া কোন মন্তব্যই করুম না বাজারে আর না হলেও গোটা ১৫ বই আছে, আর অন লাইনে ফিচার আছে হাজার ছাড়ানো, ভিঞ্চিও বলদ হইয়া যাইত তার এই মোনালিসা বেগমকে নিয়ে বর্তমান গবেষনা দেখলে।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

ঘুটুরি বলেছেন: মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়ে ফেলেছি, দারুন, দারুন এবং দারুন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রাদার।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: দারুন...............

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৬

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ৩/৪ বছর আগে আমি পৃথিবীর সেরা পেইন্টিং গুলো নিয়ে একটা কাজ শুরু করেছিলাম। কাজটা শেষ করতে পারি নাই।
সামুতে কয়েকটা পোষ্ট দিয়েছিলাম।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭

শের শায়রী বলেছেন: লিঙ্ক দেন রাজীব ভাই দেখে আসি। ছবি দেখতে আমার ভালোই লাগে।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেখলাম

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কোথা থেকে শুরু করবো ঠিক করতে পারছিনা। শুধু এইটুকু বলি আপনার ব্যতিক্রমী মনের জিজ্ঞাসায় নেট দুনিয়ায় ঘোরাঘুরি।আর তার সৌজন্যে আমরা পাচ্ছি কিছু রেয়ার বিষয়ের পরিচয়।আজি যেমন অজানা সব ছবি ও তাদের পরিচয় জেনে মুগ্ধ হলাম। পোস্টে ভালোলাগা।

শুভকামনা শ্রদ্ধেয় শায়রী ভাইকে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনি যে সময় করে দেখছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ প্রিয় ভাই।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪০

সুপারডুপার বলেছেন: ধার্মিক নামধারী ব্লগারদের কেউ-ই তিসিয়ানের ভেনাস অভ উরবিনোর ছবি পোস্টে দেওয়া নিয়ে কমেন্ট করলো না যে! ব্লগের বিশেষ ধার্মিকদের মনে হয় ম্যানেজ করে ফেলেছেন।

পোস্টে +++

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আমি কাউকে ব্লগে ম্যানেজ করে তোয়াজ করে চলি? ধার্মিকদের ব্যাপারে আপনার মনোভাব ততটাই উগ্র যতটা মৌল বাদীদের মতবাদ অধার্মিকদের ব্যাপারে। আমি দুঃখিত ব্রাদার আপনার ব্যাপারে আমার ধারনা ছিল আপনি বোধ হয় সহনশীল! আমার ভুল ধারনা। আর আপনি আমাকে যতটুকু বুজছেন তার থেকে আমার গন্ডী অনেক বড়, যেখানে আস্তিক, নাস্তিক, ধার্মি, অধার্মিক, বিধার্মিক, কম্যুনিষ্ট, ক্যাপিটালিষ্ট, শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবাই আছে। সবার সাথেই আমার চলাফেরা আলাপ কিন্তু কেউ কারো বিরুদ্ধে অহেতুক উস্কানি দিলে তার থেকে দূরে থাকি। কেউ যখন কিছু বলছে না, তখনো আপনি উস্কে দিচ্ছেন কিছু বলার জন্য। এই পোষ্টে কি ধার্মিক অধার্মিক ব্যাপারটা না আনলে চলত না?

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট জনাব। তবে একটা ছবি অশ্লীল হয়ে গেছে। এটা বিখ্যাত ছবি হলেও এখানে আপলোড দেয়াটা ঠিক হয়নি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২১

শের শায়রী বলেছেন: আপনার উপরের মন্তব্যে একজনের সাথে এই মাত্র নিয়ে আলাপ হয়েছে, জাষ্ট আপনার ওপরের কমেন্টে আর আপনি এসে এই মুহুর্তে লিখলেন অশ্লীল ছবি। ব্রাদার শ্লীল আর অশ্লীলতার মাঝে পার্থক্যটুকু না বুজলে সেখানে শিল্প থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। ভেনাসকেই চোখে পড়ল! ভালো করে দেখেন ক্রিয়েশান অভ এ্যাডামে তার গোপনাঙ্গ দেখা যাচ্ছে সেক্ষেত্রে সেটাও অশ্লীল কি বলেন তাই না? অথচ সমস্যা হল এটা সিসটিন চ্যাপেলে আঁকা। শ্লীল আর অশ্লীলতার পার্থক্য টুকু দৃষ্টিভঙ্গিতে থাকে, আপনার কি মনে হয় এই ছবি উত্তেজক? না এটা সে রকম কিছু মনে হবার কথা না যদি হয় তবে বুজতে হবে ভাবনায় সমস্যা আছে, সেক্ষেত্রে শিল্প থেকে দূরে থাকাই ভালো। আপনি বাত্তিচেল্লীর "বার্থ অভ ভেনাস" দেখছেন? অসাধারন একটা ছবি। আমি ঘন্টার পর দেখি কখনো কখনো। নিন দেখুন। উপভোগ করুন।



স্কুলে বায়োলজি ক্লাশে এর থেকে অনেক ভয়াবহ জিনিসের ছবি সহ পড়ানো হয়।


ধন্যবাদ।

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

এমজেডএফ বলেছেন: শায়রী ভাই,
আপনার দেওয়া কালজয়ী মাষ্টার পেইন্টারের মাষ্টার পীস চিত্রকর্মগুলো আগেও দেখেছি, কিছুটা তথ্যও জানতাম। তবে আপনার লেখা থেকে আরো কিছু জানলাম। ধন্যবাদ। নিজে আর্টের ছাত্র নই, জটিল চিত্রকর্ম বুঝি না। তাই চেষ্টা করি পেইন্ট সম্পর্কে আলোচনা-সমালোচনা পড়তে।

তবে আপনার পোস্টের যে দুটি চিত্রকর্ম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হলো: কাপল উইথ আমব্রেলা এবং হারিকেন। 'গুড্ডির পাইলট' যে একজন ভালো পেইন্টার আগে জানতাম না।

কাপল উইথ আমব্রেলা ছবিটি আমার কাছে মাস্টার পিস চিত্রকর্ম বলেই মনে হয়েছে। যখন আপনার লেখা থেকে জানলাম যে এই চিত্রকর্মের শিল্পী একজন মহিলা যার আঁকাজোকার ব্যাপারে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এবং তাঁর স্বামী একজন ভ্যাগাবন্ড :)! তখন আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম। এরকম একজন প্রতিভাবান মহিলা তাঁর ভ্যাগাবন্ড স্বামীর উদাসিন্যেের কারণে এই বিরল প্রতিভাকে কাজে না লাগিয়ে বসে আছেন - এটা অন্যায়, মেনে নেয়া যায় না! :(

তাই সে ভ্যাগাবন্ড স্বামীটিকে বলতে চাই:
▪ বুক ভরা ভালোবাসা থাকলেও তা কাজে ও কথায় প্রকাশ করতে না পারলে সে ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই।
▪ শুধু হোরোর, টেরর, অ্যাডভেঞ্চার মুভি দেখলে হবে না, ভালোবাসার অভিব্যক্তি কিভাবে প্রকাশ করতে হয় তা জানার জন্য মাঝে মাঝে রোমান্টিক মুভিও দেখা দরকার :D
▪ "তুমি আঁক আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি"—এই কথাটি জাগ্রত অবস্থায় বলতে সমস্যা হলে নিদ্রায়, শয়নে, স্বপনে তো বলা যায় =p~
▪ "কাপল উইথ আমব্রেলা"-র শিল্পীর পরবর্তী চিত্রকর্মের অপেক্ষায় রইলাম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা, ভালো থাকুন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই

"তুমি আঁক আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি" এই ধরনের কথা না বলতে পারা আমার একটা দূর্বলতা হিসাবেই আমি মনে করি, বলতে পারলে অনেক ব্যাক্তিগত সমস্যা অনেক আগে সমাধান করতে পারতাম। নিজের প্রিয় মানুষ গুলোকে কেন যেন প্রকাশ করতে পারিনা। লিখতে গিয়ে যতটা স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করি মুখ দিয়ে বলতে গিয়ে ততটা ভাষাহীন হয়ে যাই :)

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন। চেষ্টা করব তাকে আবার আঁকা আকিতে উৎসাহ দেবার।

১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ঘন্টার পর ঘন্টা কিভাবে এই ছবি দেখেন আমার মাথায় ধরে না

বর্তমানের প্রযুক্তির যুগে কি কড়া কড়া গ্রাফিক্স পাই আমরা। তাও আর্ট শিল্পে ঝোঁকটা স্বাভাবিকভাবেই খুব কম।

আমি সামুর মোবাইল পোস্টটা দেখেছি। তাই ছবিগুলো খুব ছোট করে এসেছে। সবগুলো ছবি পুর্ণভাবে দেখিনি। মোবাইল ভার্সনে একদিন ব্লগে ঢুকে দেখবেন ছবি কত ছোট দেখা যায়।

যাহোক, আমি আমার মতামত জানলাম। আপনার কাছে এইটা শ্লীল হলেও আমার কাছে না। এবং স্বাধীন মতটুকু অবশ্যই জানাতে পারি।

ভালো থাকুন। সালাম জানবেন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

শের শায়রী বলেছেন: আকতার ভাই অলাইকুম আস সালাম।

অবশ্যই আপনি আপনার মতামত জানাতে পারেন। হ্যা এটা ঠিক মোবাইল ভার্সনে খুব ছোট দেখায়, আমি নিজেও মাঝে মাঝে মোবাইলে দেখি অনেক কিছু দেখা যায় না পরিস্কার। আমি আসলে এই সব ছবি দেখি ছবির নিমিত্তে। লেখা, ছবি, কবিতায় অনেক সময় কিছু কিছু শব্দ বা ছবি আসে যা চলতি ভাষায় ঠিক শ্লীল না এনিয়ে আমারো কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু কালজয়ী এই সব ছবি বা লেখাকে আমি জাষ্ট উপভোগ করি। আশা করি আমার এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের ভ্রাতৃত্বে কোন পার্থক্য করবে না, সব সময়ই আপনাকে সাথে পেয়েছি লেখা লেখিতে সামনেও এভাবে চাই।

কৃতজ্ঞতা জানুন প্রিয় ভাই।

১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১

সুপারডুপার বলেছেন:




লেখক বলেছেন: আপনার কি মনে হয় আমি কাউকে ব্লগে ম্যানেজ করে তোয়াজ করে চলি? ধার্মিকদের ব্যাপারে আপনার মনোভাব ততটাই উগ্র যতটা মৌল বাদীদের মতবাদ অধার্মিকদের ব্যাপারে। আমি দুঃখিত ব্রাদার আপনার ব্যাপারে আমার ধারনা ছিল আপনি বোধ হয় সহনশীল! আমার ভুল ধারনা। আর আপনি আমাকে যতটুকু বুজছেন তার থেকে আমার গন্ডী অনেক বড়, যেখানে আস্তিক, নাস্তিক, ধার্মি, অধার্মিক, বিধার্মিক, কম্যুনিষ্ট, ক্যাপিটালিষ্ট, শিক্ষিত, অশিক্ষিত সবাই আছে। সবার সাথেই আমার চলাফেরা আলাপ কিন্তু কেউ কারো বিরুদ্ধে অহেতুক উস্কানি দিলে তার থেকে দূরে থাকি। কেউ যখন কিছু বলছে না, তখনো আপনি উস্কে দিচ্ছেন কিছু বলার জন্য। এই পোষ্টে কি ধার্মিক অধার্মিক ব্যাপারটা না আনলে চলত না?

ধন্যবাদ আপনাকে।
=========================================================
বস্তুজগতে আমি ততক্ষনই সহনশীল যতক্ষণ কেউ আমার দিকে ইট ছোড়ার চেষ্টা না করে। আর ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, এটাই বস্তু জগতের নিয়ম।

কেউ আমার দিকে আগ বাড়িয়ে ইট ছুড়বে, কিন্তু আমার কাছে প্রতিদানে ফুল আশা করবে। আপনিও কি এটা আশা করেন?

ম্যানেজ করে তোয়াজ করে চলেন কি না , আপনি আরো বেশি ভালো নিজে বুঝেন। তবে ব্লগে একটা ব্যাপার স্পষ্ট , তাদের সাথে আপনার ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে, যা কোনো ক্ষেত্রে আপনি নিজে কোনো ক্ষেত্রে যার সাথে মিট করেছেন সে বলেছে।

আপনি তো ধর্মের ব্যাপারে ইন্টারেষ্টেড এবং তা নিয়ে আপনি অনেক পোস্টও দিয়েছেন । কেন আপনার পোস্টে ধর্ম আসতে পারে না? যারা ধর্মের ব্যাপারে ইন্টারেষ্টেড না , তাদের পোস্টে আমি ধর্মের প্যাচাল কখোনো টেনে আনি না।

ধার্মিকদের ব্যাপারে আপনার মনোভাব ততটাই উগ্র যতটা মৌল বাদীদের মতবাদ অধার্মিকদের ব্যাপারে।
-আপনার এই ধারণা ভুল। ধার্মিক না , ভন্ড ধার্মিকদের ব্যাপারে আমি অবশ্যই প্রতিবাদী। কারণ এরাই সমাজে ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে । কিন্তু তাদের উপর মৌল বাদীদের মত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে আমি সম্পূর্ণ বিরোধী।

ভালো থাকবেন শের শায়রী ভাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

শের শায়রী বলেছেন: সুপারডুপার ভাই, আপনার মন্তব্যে আমি কিছুক্ষন হাসলাম, এই ব্লগে আমি খুব কম মানুষের সাথেই ব্যাক্তিগত ভাবে পরিচিত হয়েছি। তার মাঝে পরশু দিন আমি বই মেলায় গিয়েছিলাম সেখানে নীলসাধু ভাই, নীল আকাশ ভাই, কবি রেজোয়ান তানিম, ব্লগার মাহাবুবুল আজাদের সাথে দেখা হল এক রঙ্গা এক ঘুড়ি ষ্টলে, অগ্নি সারথী ভাইর যাবার কথা ছিল যায় নি। আমার ধারনা এখানে আপনি নীল আকাশ ভাইকে ইঙ্গিত করেই লিখেছেন যে তাদের সাথে ব্যাক্তিগত আলাপ আছে, ব্যাক্তিগত আলাপ ওই দিনই হয়েছে, বের হয়ে দু জনে দুটো সিগারেট খেয়েছি আর হাটতে হাটতে যে যার বাসার দিকে রওনা দিয়েছি। :) এটা কি খুব অন্যায় হয়ে গিয়েছে? এটা কি তোয়াজ বলা চলে, সেক্ষেত্রে বাকীদেরও তোয়াজ করে এসেছি।

আপনি লিখেছেন আপনি তো ধর্মের ব্যাপারে ইন্টারেষ্টেড এবং তা নিয়ে আপনি অনেক পোস্টও দিয়েছেন । কেন আপনার পোস্টে ধর্ম আসতে পারে না? ভাই আমি শুধু ইন্টারেষ্টেড না বলতে পারেন বিশ্বাসীও বটে, তবে প্রচলিত যেভাবে বোঝেন সেভাবে ধার্মিক আমি হয়ে উঠতে পারিনি, পাচ ওয়াক্ত নামায ও ঠিক ভাবে পড়া হয়ে ওঠে না, এর জন্য আমি নিজের কাছে লজ্জিত। এটা কি আমার অন্যায়? না ভুল? না দুর্বলতা? আপনিই বলুন।

এখন এই পয়েন্ট ধরে আপনি যদি আমার পেইন্টিং বিষয়ক পোষ্টেও আমাকে ধর্ম নিয়ে আঘাত করেন আর বলেন কেউ আমার দিকে আগ বাড়িয়ে ইট ছুড়বে, কিন্তু আমার কাছে প্রতিদানে ফুল আশা করবে। আপনিও কি এটা আশা করেন? সেক্ষেত্রে আমি কি জবাব দেব? আমি কি কোন দিন কেউ অবিশ্বাসী বলে তাকে নিয়ে উপহাস বা তাদের বিপক্ষে কোন কটু কিছু লিখে পোষ্ট দিয়েছি? ধর্মের বিশ্বাস অবিশ্বাস আমার কাছে একান্ত ব্যাক্তিগত।

ভন্ড ধার্মিকদের ব্যাপারে আপনি কেন আমি নিজেও তাদের ঘৃনা করি। কিন্তু সাধারন ধার্মিক অধার্মিক দের নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। মৌল বাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন পর্যন্ত আপনি টেনে এনেছেন, এটা কোন বিবেকবান মানুষই সমর্থন করেনা, আমার ব্যাক্তিগত বিষয় একটা তথ্য বলি, এই ব্লগে আজাহারি নামক একজন বক্তার বিষয়ে তর্ক বিতর্ক দেখে তার সন্মন্ধ্যে আমি জানলাম, এর আগে তার নাম ও জানতাম না। কেন জানেন এগুলো তে আমার ইন্টারেষ্ট নেই। আমার কাছে ধর্ম জানার জন্য কারো কাছে যাবার দরকার নেই কারন আমি অত মারফাতী পর্যায়ের মানুষ নই, একজন সাধারন বিশ্বাসী, এটা কি অন্যায়? আমি তো আপনাকে কোন দিন কোন বিষয়ে আঘাত ও দেই নাই। সে ক্ষেত্রে আপনি এই পেইন্টিং বিষয়ক পোষ্টে অন্যান্য রা যারা ধর্ম বিশ্বাস করে তারা কেন আমাকে আঘাত দেয় নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং দায়ী করছেন আমি তাদের তোয়াজ করে চলি বলেই, তারা আঘাত দেয় নি, তারা আঘাত না দিলে কি হবে, আপনি ধর্মে অবিশ্বাস করে কিন্তু ঠিকই প্রতিবাদ করে বসছেন =p~ নাস্তিক বা অবিশ্বাসীরা অনেক জানে বলেই আমার বিশ্বাস ( আই মীন ইট)। আপনি জ্ঞানী মানুষ আপনাকে আর কি বলি।

ভালো থাকুন ভাই।

১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: ভাটিক্যান ভ্রমণের সময় এর ভিতরের দুর্দান্ত সব ছবি দেখতে পেয়েছিলাম। কিছু ছবি ছিল অনেক বড়। এত বড় ছবি কত নিখুত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যা নিজের না চোখে দেখলে বিশ্বাস হয় না।
ক্রিয়েশন অফ এ্যাডামস এর ছবি তুলেছিলাম কিনা খুজে দেখতে হবে।
খুব সুন্দর পোস্ট। জী এস ভাই একটা লিংক দিয়েছেন। সেটাও দেখতে হবে।
অনবদ্য পোস্টের জন্য অভিনন্দন রইলো।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, জী এস ভাইর পোষ্ট দুটো দেখে আসবেন অনেক রীচ, অনেক কিছু জানতে পারবেন। আর পারলে ভ্যাটিকানের ছবি গুলো দিয়েন তো এখানে দেখতাম দেয়ালে ছাদে এই ছবি গুলো কেমন দেখায় যদিও অনেক ছবি আমি জানি, তাও দিয়েন দেখব।

বই কেমন চলছে? আমি পড়ব, পড়ে জানাব।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন।

১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

হাসান রাজু বলেছেন: লা গুরমেত

ছবি টবি আমিও বুঝি না। কিন্তু এই ছবি টি বার বার দেখছি । বুঝার চেষ্টা করছি এটাকে এত ভালো লাগছে কেন। বার বার দেখছি । কিন্তু বুঝলাম না ।
গুগোল মারলাম । যা পাইছি তাতে মন ভরে নাই ।
কোন ব্যাখ্যা আছে ?

ভাবির পেইন্টিঙে হলুদের প্রভাব দেখছি? :P (যা বলেন নি তা না-বলাতেই আনন্দ। এই যে আমিও কিছু বলিনি। )

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই এই অব্যাখ্যত ভালো লাগার জন্যই এগুলো ক্লাসিক, আর ভাবীর হলুদ রংয়ের ব্যাপারে যা বলছেন তাতে মজাই পাইছি, হাসতেই আছি :)

প্রশ্ন জাগল এ্যাবিসিনেথ কি এখনো পাওয়া যায় ;)

২০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি যে ম্যানেজ করে চলেন কি না , সবচেয়ে ভালো প্রমান , এই পোস্ট অন্য কেউ লেখলে ; তাদের উপর বহু আগেই ভন্ড ধার্মিক ব্লগাররা ( যারা ইসলামে গান ছবি নিয়ে সচেতন ) আক্রমণ শুরু করতো। কিন্তু আপনি লেখাতে করছে না। আবার ভেবে বসেন না , ' আপনি লেখাতে তারা শিল্পের সৌন্দর্য বুঝতে পারছে।

প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে কি কি শিল্প দেখে আসলাম, এখন ই নতুন কোনো ব্লগার পোস্ট করুক, দেখেন ইসলামিক গান ছবি সচেতন ব্লগাররা ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া ব্লগাররা কি শুরু করে!

আপনাকে যা বুঝাতে চেয়েছিলাম , আপনি ভুল বুঝেছেন। ব্যাপারটা পরিষ্কার করার জন্য আবার মন্তব্য করলাম।

শুভ কামনা শের শায়রী ভাই।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: ভালো বলছেন ভাই, আমি পোষ্ট দেবার আগে সবাইকে ম্যানেজ করে চলি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। কেন আমাকে আক্রমন করেনি, এটাই প্রমান করে আমি তাদের কে ম্যানেজ করে চলি। বলার কিছু নেই।। আবার ছিলও অনেক কিছু কিন্তু ইচ্ছা জাগল না।। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:


অসাধারণ পোষ্ট;
কবিতার বাইরে আমার সবচে কৌতুহলের বিষয় পেইন্টিং। তাই পোষ্টটি আরো বিস্তারিত বর্ণনা আশা করেছিলাম।
ব্যক্তিগতভাবে ভিনসেন্ট আর মনেট আমার সবচে প্রিয় শিল্পী। তাই ইমপ্রেশনিষ্টদের উপর আমার পক্ষাপাতিত্ব বরাবরই বেশি।
স্টোরিনাইট আর হলুদ ঊষা আমার সবচে প্রিয় পেইন্টিং।
আপনার কাছে আরও এরকম বিষয়ের পোষ্ট আশা করছি, যদি পিরিয়ড ভাগ ভাগ করে পোষ্ট করেন তা শিল্পমোদীদের জন্য
দারুন উপহার হবে আশা করছি।

শুভকামনা রইল। বিচিত্র সব বিষয়ে আপনার নিয়মিত পোষ্ট আমাদের একঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করে!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই চেষ্টা থাকবে পিরিয়ড ভাগ করে পোষ্ট দেবার।

মন্তব্য পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

অজ্ঞ বালক বলেছেন: দুর্দান্ত ব্লগ। দারুন লিখেছেন, তবে গগের কান কাটার ঐ কাহিনীটা অসমর্থিত যদ্দুর জানি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৭

শের শায়রী বলেছেন: গগার কান কাটার ব্যাপারে অনেক জায়গায়ই পেয়েছি ভাই, এমন কি দেখেন সেলফ পোর্টেটের নাম ও কিন্তু ওই দিকে ইন্ডিকেট করছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন:





আমারও বেশি কিছু বলার নাই। একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আবার আপনি ভুল বুঝেছেন বলে আবার আসলাম।
"লেখক বলেছেন: মৌল বাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন পর্যন্ত আপনি টেনে এনেছেন, এটা কোন বিবেকবান মানুষই সমর্থন করেনা,"

- মৌলবাদী সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আমি সম্পূর্ণ বিরোধী , এটাই আমি বলেছি আপনি বুঝেছেন উল্টাটা।

আর ব্লগে মৌলবাদী সন্ত্রাসীর সমর্থনের একজন লোককে আমি খুঁজে পেয়েছি। যে ভার্চুয়াল ব্লগের বাহিরেও বাস্তবে ধর্মের সমালোচকদের মারার চিন্তা করে। কিন্তু সে রেজিস্ট্রনের দিক থেকে পুরান ব্লগার। এই জন্য হয়তো ব্লগ মডারেটর তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না । সে যদি আমি যে দেশে থাকি সে দেশে থাকতো অবস্যই আমি তার ব্যাপারে পুলিশকে ইনফর্ম করে সতর্ক থাকতে বলতাম।

তবে শংকিত, দেশে এই টাইপের লোকেরা সরকারের হয়ে কাজ করলে, দেশের নিরাপত্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাইলেও নিরাপত্তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আল্টিমেট দেশের মানুষ মুক্ত ও সৃষ্টিশীল চিন্তাতে বাধাগ্রস্ত হয়।

শের শায়রী ভাই , আমার দৃষ্টিতে আপনি বেশ ভালো একজন মানুষ। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য। ভালো থাকবেন !!!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভালো থাকবেন।

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: দুর্দান্ত সব পেইন্টিং দেখলাম। ধন্যবাদ। তবে সব গুলোর খানিকটা বর্ণনা যোগ করলে মন্দ হতো না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: কয়েকটার বর্ননা দিয়েছি, বাকী কয়েকটার বর্ননা দিলে অবশ্যই ভালো হত, কিন্তু কিছুটা আলসেমী করে দেয়া হয়নি ফয়সাল ভাই।

২৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোহানী বলেছেন: যা বলার তা এমজেডএফ ভাই ই বলে দিয়েছেন। তারপর ও এরকম একজন প্রতিভাবান আর্টিস্ট এর আরো ছবি দেখতে চাই.......

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: বোন, নীলসাধু ভাইর কাছ থেকে চকলেট খেয়ে আসছি কিন্তু :) :) আর হ্যা প্রতিভাবান আর্টিষ্ট কে দেখি আবার আঁকতে উদ্ভুদ্ধ করতে পারি কিনা।

প্রতিভাবান আর্টিষ্টের আর একটা ছবি বোন :D



সময়টাকে উপভোগ করুন। ভালো থাকুন বোন।

২৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ছাত্রজীবনে মোনালিসা নিয়ে অনেকের ই একধরণের আকাঙ্খা তৈরী হয়। আমিও তার ব্যতিক্রমী নই। ছোটবেলার খায়েশ মিটানোর জন্য ছুটে গিয়েছিলাম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে। ভাইয়া, অবাক হয়েছি অত বড় মিউজিয়ামের পুরোটা জুড়ে যতটা না ভীড়, তারচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম মোনালিসার সামনে। কল্পনা করেছিলাম, মোনালিসার সাথে কীভাবে কোন এঙ্গেলে ফটো উঠবো। যেয়ে দেখি, আমার সে আশায় গুড়েবালি। ঠিকমতো একটা ফটো উঠানোর ই পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায়না।

আঁকিবুঁকির প্রতি আমার এক ধরণের উদাসীনতা কাজ করে। স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় বায়োলজি সাবজেক্ট ভয় লাগতো শুধুমাত্র আঁকাআঁকির ভয়ে। আর্ট এ এতটাই এলার্জি আমার ! স্বভাবতই লুভর মিউজিয়ামের বিখ্যাত সব চিত্রকল্পের অতটা গুরুত্ব হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করতে পারিনি।

লাস্ট বাট নট লিস্ট, ভাবী কিন্তু অসাধারণ আঁকিয়ে। নিজে মেয়ে জন্য বুঝি, সঙ্গীর উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সামনে এগিয়ে যাবার জন্য ! আঁকাআঁকিতে ভাবীকে উৎসাহিত করবেন প্লিজ। আমরা আরো অনেক সুন্দর সুন্দর চিত্রকল্প দেখতে চাই উনার থেকে। আপনাদের জন্য শুভকামনা।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ইন্টার বায়োলজি ক্লাশে ডেমোনেষ্ট্রেটর স্যার ব্যাঙের ছবি একে আনতে বলছিলো, আমি ব্যাঙ একে ক্লাশে নিলে স্যার সে খাতা সবাইকে দেখিয়ে বলে এইডা ব্যাঙ না পাখি? আমি শরমে মইরা যাই, পরদিন বায়োলজি বাদ দিয়ে পরিসংখ্যান নিছি :)

আসলে ছেলেরা বড় হয়ে যাওয়ায় ও আর সেভাবে সময় পায় না আঁকা আঁকিতে। তবে দেখি আবার আঁকা আকিতে লাগাব। চেপে ধরে আকাতে হবে, না হলে হবে না :)

আর ল্যুভরে সবাই যায় ওই মোনালিসা দেখতে এটাও ভারী অবাক ব্যাপার অথচ কত সুন্দর সুন্দর আর্ট আছে, সেদিকে খুব একটা যায় না। আপনি লেখেন না কেন বোন?

ভালো থাকবেন, পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।।

২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৬

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আরেকবার কমেন্ট করতে এলাম, অল্প সময়ে বেশ কয়েকটা দেশে যাবার সুযোগ হয়েছে। অল্প কিছু জিনিস ঘুরে দেখবার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কীভাবে ভ্রমণকাহিনী আকারে তা সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারবো, ধারণা নেই। কোন সব বই পড়লে আর কীসব স্ট্র্যাটেজি আয়ত্ব করলে চোখে দেখা জিনিসগুলোর যথার্থ বর্ণনা করতে পারবো, সে ব্যাপারে একটু গাইডলাইন দিবেন প্লিজ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমতঃ বোন আপনার লেখার হাত ভালো, আমি বলি কি কাউকে অনুসরন করার দরকার নেই, জাষ্ট শুরু করেন এয়ারপোর্টে নামা দিয়ে অথবা প্লেনের মাঝে মজার কোন অভিজ্ঞতা দিয়ে তারপর হোটেলে যাবার জন্য গাড়ী হোটেল, দ্রষ্টব্য যা যা দেখছেন সুন্দর করে উপস্থাপন করুন ( এ ব্যাপারে আপনার সহজাত লেখার হাত আছে)। আর ছবি দেবেন। অবশ্যই প্রতি এক দুই প্যারা পর পর ছবি দেবেন যা আপনি তুলেছেন, দেখবেন লেখা এমনিই সবাই পছন্দ করছে। ডাঃ বরেন চক্রবর্তী নামে একজন আছেন যিনি প্রচুর ভ্রমন করছেন এবং দারুন ভাবে উপস্থাপন করছেন। গুগলে ডাঃ বরেন চক্রবর্তী লিখে সার্চ দিলে উনার লেখা বইগুলোর নাম পাবেন। দারুন লিখেন উনি ভ্রমন কাহিনী।

আর আপাতত ব্লগে দেখতে জুন আপার ব্লগ দেখুন লিঙ্ক ( জুন ) । উনি ভ্রমন কাহিনী দিয়েছেন অনেক। দেখতে পারেন।।

আপনার লেখার অপেক্ষায়। সাফল্য কামনায়।। আমি বিশ্বাস করি আপনি লিখলে নিজের সিগনেচার রাখতে পারবেন।

২৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৩

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: সিগনেচার !! এত বড়কমপ্লিমেন্ট, প্রত্যাশা ! আপ্লুত হয়ে গেলাম।

আপনি যেসব রেফারেন্স উল্লেখ করেছেন, সেসব থেকে পড়াশোনা করে ভ্রমণকাহিনী লিখার চেষ্টা করবো। আরো কয়েকটি টপিক মাথায় কিলবিল করছে। পার্সোনাল কাজে প্রচন্ড প্রেশারে আছি। কিন্তু খুব কষ্ট করে নিজেকে কন্ট্রোল করছি এই শান্তনা নিয়ে যে আর কিছুদিন পর যথেষ্ট সুযোগ পাবো লিখালিখির জন্য। সামনের মাস পর্যন্ত বেশ প্রেশারে থাকতে হবে। তারপরে হয়তো সামুতে অনেক সময় দেয়া যাবে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রতীক্ষায় থাকলাম ততদিন বোন। শুভ কামনা।।

২৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মুনালিসা নিয়ে যতটা তোলপাড়, আলোচনা হয়েছে অন্য ছবি নিয়ে এতটা হয়নি।

+++++++

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ভাই, এই জন্য মোনালিসা নিয়ে আমার আগ্রহ প্রায় শুন্যের কোঠায়, একটা ছবি নিয়ে এত মাতামাতি করার কিছু নেই, তা সে যতই এক্সট্রা এক্সেপশনাল হোক।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

৩০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক চমৎকার একটা পোস্ট। আগে যখন ব্লগে নিয়মিত ছিলাম, ছবি ( পেইন্টিং / আর্ট রিলেটেড ) কিছু পোস্ট দিতেন আমার প্রিয় ব্লগাররা। সে সময়ের কথা মনে পড়লো। আমি রীতিমত অপেক্ষা করতাম তাদের পোস্টের জন্য।
বর্তমানে স্টারি নাইট এর ছবি দিয়ে কত বহুমুখী ব্যবহার করে পোশাক পরিচ্ছদে আমার বন্ধুরা কাজ করছে, স্টারি নাইট নিয়ে অনেক হাইপ চলে আসলে।

অনেক ধন্যবাদ । অনেকদিন পর সামুতে একটা পছন্দসই পোস্ট চোখে পড়লো।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা আগে বিষয় বৈচিত্র ছিল। এখন কিছুটা একঘেয়েমি কাজ করে।

পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.