নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস নিয়ে আমার দুটো পুরানো লেখা কিছু ঐতিহাসিক ছবি সহ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫



এক

রফিক ও সালাম_এ দুটি নাম যেমন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে গেঁথে আছে, কাকতালীয়ভাবে তেমনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গেও রফিক-সালামের নাম মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম কানাডার ভ্যানকুভার থেকে এ দিবসটির বীজ বপন করেছিলেন। রফিকুল ইসলাম ভাষা আন্দোলনের পরের বছর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে এনজিওতে কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সপরিবারে কানাডায় অভিবাসী হন। তাঁর স্ত্রী বুলি ইসলামও এ প্রক্রিয়ার নেপথ্যের নিষ্ঠাবান কর্মী।

মুল পোষ্ট এখানে দেখার জন্য ক্লিক করুন আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আমার অক্ষম ক্ষোভ প্রকাশ

দুই
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে ১৯৪৭ সালের ১৮ মে মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের উদ্দ্যেগে হায়দারাবাদে উর্দূ সন্মেলনে যুক্ত প্রদেশ মুসলিম লীগ নেতারা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দূ হবে বলে ঘোষনা দেন। এ ঘোষনা বাঙালী শিক্ষিত সম্প্রদায় কে প্রতিবাদ মূখর করে তোলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ এবং রসায়নের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ও অধ্যপক নুরুল ইসলাম ভূইয়া এই ধুমায়িত অসন্তোষকে সাংগঠনিক রূপ দেবার নিমিত্তে ১৯৪৭ সালের ১ লা সেপ্টেম্ভর পাকিস্তান তমুদ্দিন মজলিস গঠন করেন। এই তমুদ্দিন মজলিসই মহান ভাষা আন্দোলনের গোড়া পত্তন করে।

মুল পোষ্ট দেখার জন্য ক্লিক করুন ভাষা অন্দোলনের ধারাবাহিক ক্রমপঞ্জী এবং কিছু ঐতিহাসিক ছবি

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: বিশেষ দিন আপনি ভুলেন নি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৫

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, এগুলো কি ভোলা যায়! নিজের শিকড় কি অস্বীকার করা যায়? পোষ্ট দুটো দেখছেন?

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কিন্তু কেউ যদি বলে হে ২১শে ফেব্রুয়ারী
"হাজার মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে শহীদ দিবস
আমিকি ভুলিতে পারি"

তখন কেমনডা লাগে !!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: যে বা যারা এই ফেষ্টুন বানাইছে মোন্ডায় চায় হেগো ইজ্জত ধইরা টান মারি।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভাষা আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে; ছাত্ররা ভাষা আন্দোলন করেছিলো; ততকালীন সময়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ালেখা করেছিল, ভাষা সৈনিক হয়েছিলো, তারা সরকারের বড় বড় পোষ্টে চাকুরী করেছিল, অন্যদের পড়ালেখায় এদের অবদান ছিলো না; আজো দেশে শতকরা ৩০ জন লিখতে পড়তে পারে না।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮

শের শায়রী বলেছেন: তার মানে কি মুক্তিযুদ্ধও ব্যর্থ হয়েছে? অনেক মুক্তিযোদ্ধা তো দেখি আমেরিকা ইউরোপ গিয়ে তাদের গুনগানে ব্যাস্ত, তাই বলে কি মুক্তিযুদ্ধ ব্যার্থ? মুরুব্বী ব্লগে আপনার পদ চারনা আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে, ভাষাহীন করে রেখেছে আপনার যুক্তির বেড়াজালে। কি ভয়াবহ যুক্তি!!!!!

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: যে বা যারা এই ফেষ্টুন বানাইছে মোন্ডায় চায় হেগো ইজ্জত ধইরা টান মারি।

এখানে উভয় লিংগ আছে, কারটা টান মাইরা ধরা খাবেন কে জানে।
আমি আপনার সাথে নাই কইলাম !!!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৩

শের শায়রী বলেছেন: তাইলে আমিও নাই, মুরুব্বীরে পাডামু। হ্যায় টানাটানিতে একপার্ট।

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " তার মানে কি মুক্তিযুদ্ধও ব্যর্থ হয়েছে? "

-মুক্তিযুদ্ধের মুল উদ্দেশ্য, দেশকে স্বাধীন করা, সেটা সফল হয়েছে।
মুক্তিযু্দ্ধ থেকে সবাই সমানভাবে উপকৃত হয়নি; কারণ, তাজুদ্দিন সাহেব বেকুব ছিলেন, উনি নিজের চাকুরী রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী গিলে ফেলেছিলেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২০

শের শায়রী বলেছেন: হ তাজুদ্দীন সাহেব সহ সবাই বেকুব আপনে বুদ্ধির হেড অফিস। ভাষা আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, সে উদ্দেশ্য ও সফল, না বুইজা ফাও কমেন্ট দেন ক্যা?

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখছেন, কিন্তু বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা গভীর ও শুদ্ধ নয় অনেক সময়।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২২

শের শায়রী বলেছেন: আমি লিখছি আর বিষয় গুলা সন্মন্ধ্যে গভীর ও সম্যক ধারনা আপনার, তাই না!!!! যার হয় না নয় তেও হয় না, নব্বুইতেও হয় না। হুদা ফাও প্যাচাল। নূর ভাই আপনারে দেখেন কোন এক ব্যাপারে ইনভলভ করতে চায়, তাই করেন, কামে দেবে।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৯

এমজেডএফ বলেছেন: শের ভাই,
আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস নিয়ে আপনার দুটো পুরানো লেখা পড়লাম এবং অনেক অজানা কিছু জানলাম। লেখাগুলোর লিঙ্ক দিয়ে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখাটি পড়ে যে কোনো পাঠকের মনে একটা আক্ষেপ থেকে যাবে অথবা দেশ ও জাতির প্রতি নেতিবাচক ধারণার জন্ম নিতে পারে। তাই আমার প্রস্তাবনা:

আপনার 'আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আমার অক্ষম ক্ষোভ প্রকাশ' পোস্টের শেষে নিচের প্যারাটি যোগ করে দিলে মনে হয় লেখাটি তথ্যের দিক দিয়ে পূর্ণতা পাবে এবং বিলম্বে হলেও এই গুণীজনদের যে পুরস্কৃত করা হয়েছে তা পাঠক জানতে পারবে।

সংযোজন: ফেব্রুয়ারি ২০২০

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অন্যতম রূপকার রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালাম


বাংলাদেশ সরকার রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের সম্মান জানিয়ে ২০০১ সালে ‘দি মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দি ওয়ার্ল্ড’ সংগঠনকে একুশে পদকে ভূষিত করেন।

প্রয়াত রফিকুল ইসলাম এবং তার বন্ধু কানাডার বৃটিশ কলম্বিয়া ফেরি করপোরেশনের সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম দুজনকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনে অবদান রাখায় ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদক দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

[রফিকুল ইসলাম ১৯৫৩ সালের ১১ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের উজির দিঘির পাড় রাজবাড়ি কম্পাউন্ড এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন তাঁর পিতার নাম আবদুল গনি, মাতার নাম করিমুননেসা, ১০ ভাইবোনের মধ্যে তিনি অষ্টম। উজির দিঘির পাড় হরেকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমিল্লা হাইস্কুল ও ভিক্টোরিয়া কলেজে তিনি লেখাপড়া করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তার ডিগ্রি অর্জন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশ নেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সাফু সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন। কানাডা যাওয়ার আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রশিকাতে ৭ বছর চাকরি করেন এরপর ১৯৯৫ সালে কানাডা যান। তিনি দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। স্ত্রী বুলা ইসলাম, দুই পুত্র জ্যোতি ইসলাম ও জয়ন্ত ইসলাম কানাডা প্রবাসী। মৃত্যুর পরদিন তাঁকে ভ্যাঙ্কুভারে রিচমন্ড মসজিদে নামাজে জানাজ শেষে সিলওয়াক এলাকায় দাফন করা হয়।]

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, মুল পোষ্টের পরিশিষ্টে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপনার দেয়া তথ্য যোগ করে দিয়েছি।

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " হ তাজুদ্দীন সাহেব সহ সবাই বেকুব আপনে বুদ্ধির হেড অফিস। ভাষা আন্দোলনের মুল উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, সে উদ্দেশ্য ও সফল, না বুইজা ফাও কমেন্ট দেন ক্যা? "

- বাংলা কখনো পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হয়নি।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা তাও জানি।

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনুভূতিতে জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
পোস্টে লাইক।
সময় নিয়ে আপনার লিংক দেখে আসবো।

শুভকামনা শ্রদ্ধেয় শায়রীভাইকে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় পদাতিক ভাই।

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাষা দিবস নিয়ে আপনার দুটো পুরানো লেখা পড়লাম। ছবিগুলো অবস্য আগেই দেখেছিলাম পত্রিকায়।
সামুতে আমিও একটা লিখেছিলাম। সময় থাকলে দেখবেন। ধন্যবাদ।

আমাদের মহান একুশ যে ভাবে হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই, পোষ্ট দেখে মন্তব্য রেখে আসছি।।

১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

অজ্ঞ বালক বলেছেন: বাহ। পুরান পোস্টে ঢুঁ মাইরা আসতে হইবো দেখি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

শের শায়রী বলেছেন: হ দেখলাম আল রেডি ঢু মারছেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.