নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
এই লেখাটি পড়ার আগে এই লিঙ্কটি ইহুদী থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম পড়লে ধারাবাহিকতার আমেজ পাবেন
রোমানদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ আর ইহুদীদের ধর্মীয় উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যীশুকে ক্রশ বিদ্ধ করা হল। ইহুদী ধর্ম সে সময় জুডিয়ায় আর সীমাবদ্ধ ছিল না। ইহুদীরা রাজ্যের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে পূর্ব দিকে গিয়ে থাকা শুরু করল। এমনকি রোমের ভেতরও তারা এক বিশাল কলোনী গড়ে তুলল। এক সময় জুডিয়ার বাইরে অবস্থানরত ইহুদীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া শুরু করল।
Philo of Alexandria (c. 20 B.C.E.—40 C.E.)
এক পর্যায়ে ইহুদীরা হিব্রু ভাষা ভুলে গিয়ে গ্রীক শেখা শুরু করে কিন্তু তাই বলে তারা তাদের ধর্ম ভুলে গেল না। তারা তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ওল্ড টেষ্টামেন্ট গ্রীক ভাষায় অনুদিত করল যেন তারা তা পড়তে পারে। এটা অবশ্য যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হবার সময় না, তারো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। সে সময় অনেক শিক্ষিত ইহুদী গ্রীক ভাষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলছিল যেন গ্রীকদের সাথে নিজেদের ধর্ম নিয়ে তর্ক করতে পারে। এদের মাঝে অন্যতম ছিলেন জুডাইয়াস (ফিলো দ্য জিউ)। ফিলো জন্ম গ্রহন করে খ্রিষ্টপূর্ব ২০ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায়। তরুন বয়সে তিনি রোমে এসেছিলেন তৎকালীন রোমান সম্রাট ক্যালিগুলার সাথে যেন ইহুদীদের ঝামেলা মিটে যায়।
জুডিয়া স্বাধীনতা হারানোর পর এমন কি রোমান সাম্রাজ্যর অধীনে চলে যাবার পরো ইহুদী ধর্ম রোমে কিছুটা প্রসার লাভ করে এমন কি সমাজের উচু স্থানে থাকা কিছু নাগরিকও এই ধর্ম গ্রহন করে। সেকালে ইহুদীরা ছিল ভীষন রকম গোড়া মনোভাবের অধিকারী যদি তারা তাদের কিছু গোড়ামির সাথে কিছুটা আপষ করত সেক্ষেত্রে হয়ত এই ধর্ম আরো অনেক বেশী প্রচারিত হত সে সময়ের রোমে।
যাই হোক এর মধ্যে ইহুদীদের মাঝে বিভিন্ন দলাদলি শুরু হয়েছে আবার কিছু ইহুদী তাদের কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন ছেড়ে স্থানীয় ধর্মের সাথে কিছু অংশ গুলিয়ে ফেলে। এদের মধ্য থেকে আবার এক দল ইহুদী যীশুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে গেল, যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর মনে হয়েছিল তার অনুসারীরা তার আদর্শ থেকে বের হয়ে আসবে, অন্তত তার মৃত্যুর পর এইটুকু প্রমানিত হবে যে আসলে খুব সাধারন একজন মানুষ যার মাঝে মসিহা জাতীয় কিছু ছিল না। সে জন্যই সে মৃত্যু বরন করছে। কিন্তু ততদিনে একটা গল্প চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে। মৃত মানুষ কখনো কখনো জীবিত মানুষের থেকে অধিক শক্তিশালী হয়।
Jesus' Resurrection
যীশু মৃত্যুর তিন দিন পরে ফিরে এসেছে। যীশু কোন সাধারন মানব মসিহা ছিল না, তিনি স্বয়ং রাজা যিনি ইহুদী রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। তিনি একজন স্বর্গীয় মসিহা, ঈশ্বরের পুত্র। তিনি মৃত্যুর পর পুনুরুত্থান ঘটিয়েছেন, তিনি আবার ফিরে এসেছেন, এখানকার কাজ শেষ করে আবার স্বর্গে ফেরত যাবেন। খ্রিষ্টানরা (এভাবেই যীশুর আদর্শে বিশ্বাসী অনুসারিদের ডাকা হত) প্রথম দিকে ইহুদী আচার অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী থাকলেও ধীরে ধীরে নিজেদের আলাদা করে ফেলে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
ওদিকে যেসব ইহুদী কড়া জুডিয়ার জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিল তারা কোনভাবেই এই মসীহাকে মেনে নিতে পারলনা, তারা চেয়েছিল একজন অলৌকিক মসীহা যে তাদের ঈশ্বর প্রতিশ্রুত প্রমিজ ল্যান্ড ফিরিয়ে দেবে। তারা চেয়েছিল এমন একজন মসীহা যে কিনা রোমানদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যুদ্ধে তাদের নেতৃত্ব দেবে। এই ধরনের অবস্থায় রোমান সাম্রাজ্যের মাঝে অবস্থান করেও ইহুদীরা রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসে।
ইহুদীদের সাথে বাস করেও খ্রিষ্টানরা কিন্তু ইহুদীদের সাথে রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ গ্রহন করেনি। কারন তারা তাদের মনমতো মাসিহা পেয়ে গেছে, এবং ইহুদীদের মাঝে প্রচলিত ঈশ্বর প্রদত্ত “প্রমিজড ল্যান্ড” কে তারা ততদিনে গালগপ্প ভাবতে শুরু করছে। ওদিকে উগ্র ইহুদী জুডিয়ার জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় মৌল বাদের থেকে খ্রিষ্টানদের ধর্ম ছিল বিপরীত। যীশু শত্রুকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, এক গালে চড় দিলে আর এক গাল পেতে দিতে বলেছে, যা সে সময়ের সম্পূর্ন ইহুদী বিশ্বাসের বিপরিত।
যাই হোক সেই ইহুদী বিদ্রোহ রোমানরা কঠোর হাতে দমন করে এবং ইহুদীদের মাঝে বসবাস করেও খ্রিষ্টানরা তাদের সাথে এই বিদ্রোহে অংশ না নেয়ায়, ইহুদীরা তাদেরই পূর্বের জাত ভাই যারা খ্রিষ্টান নাম ধারন করেছে তাদের প্রচন্ড ঘৃনা করতে শুরু করে, সে ঘৃনা এর তীব্র ছিল যে ইহুদী ধর্মে আজ পর্যন্ত যীশুকে কোন মাসিহা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। কিন্তু ইহুদীদের মাঝে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার হয়নি বলে যে অন্যান্য কোথাও খ্রিষ্টান ধর্ম বাড়ছে না এমনটি কিন্তু না, আশে পাশের রোমান দের মাঝে অল্প বিস্তর প্রসারিত হচ্ছিল।
ওদিকে যে ইহুদীরা খ্রিষ্টানদের জানের শত্রুতে পরিনত হয়েছে তাদের একজনের কাছেই খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যাপক প্রসারে খ্রিষ্টানরা কৃতজ্ঞ যার নাম ছিল সাওল। রোমান উচ্চারনে যাকে বলা হত পল। বর্তমানে যাকে আপনারা “সেইন্ট পল” নামে চেনেন। এশিয়া মাইনরের সমুদ্র তীরবর্তী টারসাস নামক স্থানে পলের জন্ম। ইহুদী সাওল বা পলের বাবা ছিলেন একজন রোমান, তাই জন্ম সূত্রে তিনি ছিলেন একজন রোমান ইহুদী। তিনি জেরুজালেমে ইহুদী শিক্ষায় শিক্ষিত একজন গোড়া ইহুদী জাতীয়তাবাদী। তিনি এতটাই গোড়া ছিলেন যে তখন যে সব খ্রিষ্টান জেরুজালেমে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করছিলো তিনি তাদের “নাস্তিক” আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছিলেন রাষ্ট্রের মাধ্যমে। খ্রিষ্টান বিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসাবে তিনি দামেস্কে রওনা হন। কিন্তু বাইবেলের বর্ননা অনুযায়ী, তিনি যখন দামাস্কাসের পথে তখন তার মাঝে কিছু একটা ঐশ্বরিক শক্তির উপস্থিত হয় তিনি সব কিছু যীশুর চোখ দিয়ে সব কিছু দেখতে থাকেন। তিনি হয়ে ওঠেন একজন গোড়া খ্রিষ্টান।
তিনি ইহুদীদের মাঝে প্রানপনে যীশুর বানী ছড়িয়ে দিতে চাইলেন। পল অনুভব করলেন ইহুদী ধর্মের অন্তর্নিহিত জটিল নিয়ম কানুন গুলো ধর্ম পালনের জন্য বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না, বরং মানুষ ধর্ম পালন করতে গিয়ে খুটিনাটি বিষয়ে এত ব্যাস্ত হয়ে যায় যে তা স্বাভাবিক ধর্ম পালনের অন্তরায়। (বাইবেলের ভাষায়ঃ ফর ফ্য লেটার কিলেথ বাট দ্য স্পিরিট গিভেথ লাইফ)।
প্রায় হঠাৎ করে খ্রিষ্টান ধর্মের জীবনমুখী আচার গুলো সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, রোম, এশিয়া মাইনর এমন কি গ্রীসেও এই ধর্ম ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করে। যীশুর পুনুরুত্থান পুরা ব্যাপারটিকে একটি অনন্য আধ্যাত্মিক মাত্রা দেয়। এই ভাবনাটির সাথে “ষ্টয়িক” ভাবনার সাথে মিলে যায় (গ্রীক দার্শনিক জেনো এই ষ্টয়িক ভাবনা প্রতিষ্ঠাতা, সেখানেও একজন দেবতার কথা বলা হয় অনেকটা একেশ্বরবাদীদের মত, এ বিষয় অন্য কোন দিন পোষ্ট দেব)।
The Roman cult of Mithras
সে সময় প্যাগান ধর্মাবলাম্বীদের একটা শাখা মিথরেইজম ছিল খ্রিষ্টান ধর্মের সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। মিথরেইজম এক ধরনের সুর্য উপাসনাকারী ছিল। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ সুর্য নিরক্ষরেখা থেকে দূরবর্তী অবস্থানে চলে যায় বলে সেই দক্ষিনায়নের সময় তারা তাদের উৎসব শত শত বছর পালন করত। দুপুর বেলা সুর্য নামতে নামতে শেষ প্রান্তে চলে যায় আবার ধীরে ধীরে উত্তরের দিকে হেলতে থাকে, এটা যেন তাদের নিশ্চয়তা দিত প্রবল শীত শেষ হয়ে বসন্তের আগমন হবে। এই বসন্ত তাদের কাছে নতুন জীবনের পরিচায়ক। প্যাগান রোমানরা এই সময় কৃষি দেবতা স্যাটার্নকে স্মরন করত, আর উৎসবটির নাম ছিল “স্যাটার্নালিয়া”। এটা ছিল সে সময়ের সব থেকে বড় উৎসব।
নতুন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানরা কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর সুর্যের এই পুর্নজন্মকে ফেলে দিতে পারল না, বাইবেলে যেহেতু যীশুর জন্ম নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই, তাই তারা ২৫শে ডিসেম্বরকে তার জন্ম দিন হিসাবে পালন করে প্যাগান “স্যাটার্নলিয়া” প্রথাকে বড় দিনের মাঝে ঢুকিয়ে নেয়।
রোমানদের কাছে যীশুর জন্মের অর্ধ শতাব্দী পরেও কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্ম ইহুদীদের একটাই শাখা ধর্ম হিসাবে বিবেচিত হত এর বেশী কিছু না, তবে ধীরে ধীরে এই শাখাটির ওপর কিছুটা বিরক্ত ছিল কারন দলে দলে এতে মানুষ যোগ দিচ্ছিল। যেহেতু খ্রিষ্টানরা রোমান দেব দেবীদের স্মরনে রাষ্ট্রীয় আচার আনুষ্ঠানে যোগ দিত না তাই তাদের নাস্তিক মনে করা হত। ধীরে ধীরে রোমানদের মনোভাব খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে লাগল।
64 AD Rome Burns- The city of Rome was nearly destroyed
৬৪ সাল নাগাদ, এই রেষারেষি এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল যে, রোম প্রায় ধ্বংস হতে চলছিলো। ছয় দিন ব্যাপী হানাহানিতে রোম প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছিল। রোমের দরিদ্র জন গোষ্ঠী মুলতঃ খ্রিষ্টানরা কতগুলো কাঠের পাচিলের মত বানিয়ে তার পেছনে আশ্রয় নিয়েছিল, সেই পাচিলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, কারা দিয়েছিল তা যদিও কোথাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ্য নেই কিন্তু এটা বুজতে অসুবিধা হবার কথা না কারা এই কাজ করছিলো। সে সময় আধুনিক আগুন প্রতিরোধ ব্যাবস্থার কিছুই আবিস্কার হয় নি, তাই দেখতে দেখতে সে আগুন পুরা রোমকে গ্রাস করে ফেলে, সে আগুন থেকে বিভিন্ন উপাসনালয় থেকে শুরু করে রাজ প্রাসাদ কেউই রক্ষা পায় না। এর আগে পরে অনেক বার বিভিন্ন আগুন দুর্ঘটনা রোমে ঘটেছিল কিন্তু ৬৪ সালের দূর্ঘটনা ছিল ইতিহাসের ভয়াবহতম।
শহরে যখন আগুন লাগছিলো সম্রাট নিরো তখন রোম থেকে তিরিশ মাইল দক্ষিনে অ্যান্টিয়াম সমুদ্র বন্দরে (বর্তমানে অ্যানজিও)। রোমের আগুন লাগার খবর যখন তার কাছে পৌছে তিনি হতবুদ্ধি হয়ে তার পাশে পড়ে থাকা প্রিয় বাদ্যযন্ত্র “লাইর” হাতে তুলে নেন। তার মনে তখন ট্রয় শহর ধ্বংসের সময় যেভাবে চারিদিকে আগুন লেগেছিল সেই ভাবনা উদয় হয়েছিল। অনেকটা শিল্প মানসিকতা আবার প্রচন্ড নিষ্ঠুর নিরোর মাঝে দ্বৈত সত্ত্বা বাস করত। যাই হোক আগুনের লেলিহান শিখা দেখে নিরোর সেই বাদ্য যন্ত্র বাজানো আজো অমর হয়ে আছে, কোন বিপরিত মুখী দুটো জিনিস কেউ করলে এখনো অনেকে বলে “রোম যখন পুড়ছিলো নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিল” (যদিও সেটা বেহালা হবে না কারন বেহালা আবিস্কার হয় তার কয়েক শতাব্দী পর)।
রোমের মানুষরা মনে করছিলো এই আগুন নিরোর লোকজনই লাগিয়েছে কারন খ্রিষ্টানদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া দেখে তিনি দিশেহারা হয়ে এই কাজ করেছেন, তাদের আগুন পুড়িয়ে মারার ফন্দি করছেন, কিন্তু বুদ্ধিমান নিরো পুরো দোষটা উল্টো খ্রিষ্টানদের ওপর চাপিয়ে দিলেন। এমনিই রোমানদের রাগ আগে থেকেই এই খ্রিষ্টানদের ওপর ছিল, নিরো সেটাকে উস্কিয়ে দিলেন। শুরু হল খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার।
তাদের একে একে হত্যা করা হল, কাউকে কাউকে নিরস্ত্র অবস্থায় কলোসিয়ামে সিংহের খোরাক হবার জন্য পাঠানো হল। ভয়ংকর সব মৃত্যু খ্রিষ্টানদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। খ্রিষ্টান নেতা পল তখন রোমে আরেক নেতা পিটার সেও রোমে। এই পিটার কে রোমের প্রথম বিশপ নির্বাচন করা হয় সে হিসাবে তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের প্রথম পোপ “সেইন্ট পিটার”। পল এবং পিটার দুজনকেই রোমানরা হত্যা করে।
Crucifixion of Saint Peter (Caravaggio) - Wikipedia
তাদের দুজনের শাস্তি এত কঠোর হয়েছিল যে অখ্রিষ্টানরাও তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলো, তাদের শাস্তি মওকুফের আবেদন করছিলো। এই ভয়াবহ শাস্তি খ্রিষ্টানদের জন্য সুফল বয়ে আনে কারন যীশুর অহিংসা নীতি সেইন্ট পল এবং পিটার জীবন দিয়ে প্রমান করে যাওয়ায় মানুষ দলে দলে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হতে লাগল।
এই লেখাটায় পাবেন বাংলায় প্রথম স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানের ইতিকথা প্রথম স্বেচ্ছায় বাঙ্গালী ধর্মান্তরিত খ্রীষ্টান
সুত্রঃ আইজ্যাক আসিমভের “দ্যা রোমান এমপায়ার” এবং অন্তর্জালের বিভিন্ন ফিচার। ছবি নেট থেকে গৃহীত।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
যীশু ধর্ম প্রচার করেননি, তিনি রোম-বিরোধী ও হেরোড-বিরোধী বিপ্লবী ছিলেন; উনার শিষ্যরা ধর্ম আবিস্কার করেছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বি আপনি তো অনেক কিছু জানেন দেখছি!!! এইসব ব্যাপারে দু একটা পোষ্ট দিয়ে আমাদের আলোকিত করুন প্লীজ।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:১৯
জোবাইর বলেছেন: লেখাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্যের ইতিহাস উল্লেখ করেছেন: সেইন্ট পল, ২৫ ডিসেম্বর এবং নিরোর বাঁশি বাজানো। সেদিক দিয়ে পোস্টটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২৫ ডিসেম্বর যীশুর জন্মদিন এবং রোমে ভয়াবহ আগুনের সময় নিরোর বেহালা/বাদ্যযন্ত্র বাজানোর ব্যাপারে অনেক ঐতিহাসিকের মতবিরোধ রয়েছে।
পরিশ্রম ও সময় দিয়ে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ঘটনাকে সাধারণ পাঠকদের জন্য সহজ ও সরলভাবে উপস্থাপন করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পোস্টে অনেক ভালো লাগা | স্মরণীয় ও চিরন্তন বাণী :
"for the letter killeth, but the spirit giveth life"
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫০
শের শায়রী বলেছেন: প্রেরনা দায়ক মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫
নতুন বলেছেন: ধম` একটা চমতকার হাতিয়ার মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য। রাজনিতিকরা ধম`কে ইতিহাসে নিজেদের সা`থে ব্যবহার করেছে সব সময়।
যীষূ চরিত্রটার খুবই প্রশ্নবিদ্ধ একটা চরিত্র। ইতিহাসে খুব বেশি কিছু পাওয়া যায় না, ছোট বেলার, বাল্যকালের কিছুই নেই। আর জন্মের সময়ের কিছু কাহিনি আছে, এবং বালক সময়ে কয়েকটি ঘটনা এবং তারপরে দীঘ` সময়ে তিনি কি করেছেন তার সম্পকে কিছুই উল্লেখ নেই। তিনি যুবক বয়সে আবিভূত হন এবং ঘটনা ক্রমে মারা যায়। যীষুর কুমারীমাতার গভে` জন্ম এবং ক্রুসিফিকসনটাই সবাই হাইলাইট করে।
ইসলামেও ঈসা আ: চরিত্রটা আছে তাই মুসলমানরা যীষূকে বিশ্বাস করে।
যদি আপনি যীষূর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তবে ঈসা আ: এর চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হয়
যীষূ যখন মারা গিয়েছিলো তখন তিনি বত`মানে দেওয়ানবাগীর চেয়ে জনপ্রিয় ছিলেন না। কিন্তু বত`মানে খৃস্ট ধম` বিশ্বের ১ নং এবং অনুসারী আছে প্রায় ২.৩ বিলিওন।
ধমের প্রচার প্রসারের ক্ষেত্রে রাজনিতির ভুমিকা সবচেয়ে বেশি।
এখন যেহেতু রাজনিতিনে এই ধম` খুব বেশি কাজে আসছেনা তাই পশ্চিমা বিশ্বে ধমে`র প্রসার কমে এসেছে। শুধু আমাদের উপমহাদেশে এখন ধম` নিয়ে রাজনিতি বেশি চলছে।
এটাও হয়তো ২০-৩০ বছরে কমে আসবে। নতুন প্রযন্ম বড় হলে তারা ধমের প্রভাবে কম প্রভাবিত হবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই আমি যীশু বা ঈশা (আঃ) নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছি না আমি ইতিহাসের একজন এক নিষ্ঠ পাঠক
আর এইডা কি কইলেন " এখন যেহেতু রাজনিতিনে এই ধম` খুব বেশি কাজে আসছেনা তাই পশ্চিমা বিশ্বে ধমে`র প্রসার কমে এসেছে। শুধু আমাদের উপমহাদেশে এখন ধম` নিয়ে রাজনিতি বেশি চলছে। " আমি তো দেখতাছি এখন ধর্মই অনেক টা রাজনীতির নিয়ন্ত্রক হয়ে দাড়াচ্ছে সে আপনি উত্তর দক্ষিন পুব পশ্চিম যেদিকে দেখেন
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: যিশু চরিত্রটা কাল্পনিক বলে মনে হয়।
অতীত কাহিনি গুলো আজকের আধুনিক যুগে রুপকথা বলে মনে হয়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
শের শায়রী বলেছেন: যীশু কোন কাল্পনিক চরিত্র না ভাই, বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিলে তার উল্লেখ্য আসছে, তবে অলৌকিক ব্যাপার গুলো দালিলিক প্রমানিত না।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১১
করুণাধারা বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় আপনি কঠিন বিষয়কে উপস্থাপন করতে পারেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম, বিশেষ করে ২৫ শেষ ডিসেম্বর যীশুর জন্মদিন নয় এই তথ্যটা। এই পর্বের আগেও যে এই বিষয়ে লেখা আছে, সেটা যে জানবে না সে অনেক কিছু জানতে পারবে না। তাই লিঙ্ক যোগ করলে ভালো হয়।
সাথেই আছি চমৎকার সিরিজে!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনার কথা মত লিঙ্ক লাগিয়ে দিয়েছি। পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ
জানার কোন শেষ নাই.....
কত অজানারে এই ভুবনে!
ইহুদীরা সব সময়ই অত্যাচারী ছিল। তারা তাদের নবী রাসূলদেরও ব্যাপক ভাবে হত্যা করতো!
যে জন্যে বারবার কোরআনে তাদের উদ্দেশ্যে অনেক বাণী, সতর্ক বানী দেখতে পাই- ইয়া বানী ইসরাইলা বলে!
কিন্তু আজো তারা সেই অবাধ্যতায় আর গোড়ামীতেই ডুবে রইলো!
পোষ্টে ++++
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই ধর্ম ছাড়া ইতিহাসেও এদের এক গুয়েমির অনেক উদাহরন আছে।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: যীশু নবী হওয়ার পরও নামাজ-রোজা পালন করতেন না। কেবল ১২জন সদস্য সমেত তাবলীগ করে ঘুরে বেড়াতেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৩
শের শায়রী বলেছেন: ভাই, নামায রোযার ব্যাপারটা যদি ইসলামের সাথে সম্পর্কিত করেন, তবে বলতে হয় নামায পড়ার প্রথাটা ইসলামে আনেন শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ), তারা আগে রোযা ঠিক না কিছু কিছু নবীর ব্যাপারে আমি দেখছি রোযা বা উপবাস করত তবে সেটা তার সময়ের হিসাবে তার মত, তাদের প্রার্থনার ধরন ও ভিন্ন ছিল। আর যীশুকে আমি এখানে ঐতিহাসিক দৃষ্টি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছি ধর্মীয় দৃষ্টিতে না। আর ১২ জন সদস্য সমেত তাবলীগ করতেন!!!! এটাও কোথায় দেখিনি, আপনি বোধ হয় লাষ্ট সাপার ছবির সাথে যীশুর শিষ্যদের গুলিয়ে ফেলছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যে।
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
আরিফ রুবেল বলেছেন: ভালো লেখা। বিস্তারিত জানলাম। আরো জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
"চাঁদগাজী বলেছেন:
যীশু ধর্ম প্রচার করেননি, তিনি রোম-বিরোধী ও হেরোড-বিরোধী বিপ্লবী ছিলেন; উনার শিষ্যরা ধর্ম আবিস্কার করেছে।"
বিস্তারিত জানতে চাই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২১
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আর চাদ্গাজী মুরুব্বী যা বলছেন আমি তা কোথাও খুজে পেলাম না। উনাকে জিজ্ঞাস করুন কোথায় উনি এমন উদ্ভট তথ্য পেয়েছেন, যেখানে যীশুর শিক্ষা ছিল শত্রু এক গালে থাপড় দিলে আর এক গাল বাড়িয়ে দাও।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৭
অধীতি বলেছেন: অনেক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।ভাল লাগলো,বেশি বেশি জানানোর জন্য শুভকামনারই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
টারজান০০০০৭ বলেছেন: জানার কোন শেষ নাই ,
জানার চেষ্টা বৃথা তাই !! (এই জানা , জানা আফা নহেন !!)
তারপরও অনেক জানিলাম ! গাজী কাহু বিপ্লব বিপ্লব করিয়াই হেদাইয়া পড়িল !! উনি আবার কোনদিন মোদিরেও বিপ্লবী কইয়া ফ্যালান সেই আশঙ্কায় আছি !
নতুনের প্রতিউত্তরের সাথে আমিও একমত ! বিশ্বে ধর্ম প্রবল প্রতাপে ফিরিয়া আসিতেছে ! ইজরায়েল প্রতিষ্ঠাই হইয়াছে ধর্মের কারণে, পশ্চিমা বিশ্ব ইজরায়েলকে সমর্থন করিতেছে তেল এবং ধর্মের কারণেই ! এঞ্জেলা মার্কেলের দলের নাম ক্রিস্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি ! ইউরোপে অনেক জনপ্রিয় দল পাওয়া যাইবে যাহারা ধর্মাশ্রয়ী ! আমাদের দেশে জামাতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ তাহাদের চরিত্র নহে , ধর্ম, যদিও ইহাদের চরিত্রে ধর্ম খুঁজিয়া পাওয়া যায় না ! মোদিতো ধর্মের ধুয়া তুলিয়া ইন্ডিয়ার ইয়ে মারিয়া দিয়াছে ! ট্রাম্প বাদে রিপাবলিকান প্রায় সব প্রেসিডেন্ট বা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিজেকে ধার্মিক বলিয়া পরিচয় দিতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করেন !
নতুনের অবজারভেশন স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের ! তবে জীবনাচারে ধর্মের প্রভাব কমিতেছে সন্দেহ নাই !!
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: মাননীয় মুরুব্বী চাদ্গাজী, যে কোথায় পেল, যীশু বিপ্লবী ছিল তাহা জানার জন্য আমিও উদগ্রীব হয়ে আছি
১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৩
সোহানী বলেছেন: চলুক চলুক চলুক এমন সব লিখা.............
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৭
শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া বোন।।
১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান সচিত্র তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় ভাই
১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: খুব মূল্যবান কিছু তথ্য পেলাম। এই সময়কালের অনেক কিছুই ভাসা ভাসা জানতাম। এই পোস্ট পড়ে কাজে লেগেছে।
অনেক কষ্ট করতে এইসব তথ্য যোগাড় করার জন্য। আপনা কাছে কী আগে থেকেই এইসব তথ্য ছিল না পোস্ট দেবার জন্য যোগাড় করেছেন?
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমার নিজের কালেকশানে অনেক বই পত্রিকা আছে। এখনো নিয়ম করে বই কিনি, ইদানিং ধর্ম আর ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করছি বুঝার চেষ্টা করছি, সব তথ্য আমার কাছে বিভিন্ন বইতে আছে আর যেখানে যেখানে আটকে যাই গুগল মামা তো আছে, সার্চ দিলেই হাজির
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১৫
ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: চমতকার লেখা। আরো পড়তে চাই