নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
চলুন কিছু প্রাচীন সভ্যতার খোজ নিয়ে আসি। এগুলো সব হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা। হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা যখন পড়ি আমি তখন হারিয়ে যাই ইতিহাসের স্বর্নালী দিন গুলোতে ওই সব জাতির সাথে। যদিও এই স্বর্নালী সময় বা জাতির সাথে রক্তপাতের এক ওত প্রোত সম্পর্ক আছে, তবে রক্তপাতের সাথে কাদের ই বা সম্পর্ক নাই। যে আধুনিক সভ্যতা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি সেই আধুনিক কালে রক্তপাত অতীতের যে কোন সময়ের থেকে বেশী যে কোন জাতির ইতিহাসের তুলনায়, কিন্তু আমরাই সভ্যতার গর্বে বলীয়ান হয়ে তাদের অসভ্য নাম দেই। চলুন ঘুরে আসি কিছু প্রাচীন হারিয়ে যাওয়া জাতির সাথে।
ওলমেক সভ্যতা
Olmec Civilization map
প্রাক কলাম্বিয়ান আমেরিকার আদিসভ্যতা হচ্ছে ওলমেক সংস্কৃতি। মেক্সিকোর ক্যারিবিয়ান অঞ্চল জুড়ে ছিল এই সভ্যতা। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ – ৪০০ সাল আব্দি এই সভ্যতা বিরাজ ছিল। ১৮৬২ সালে মেক্সিকোর এক স্যাতস্যাতে অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য খোড়াখুড়ি করতে গিয়ে বেড়িয়ে এল বিরাট এক পাথরের টুকরা। চাষীরা ভাবল এখানে বোধ হয় গুপ্তধন পাওয়া যেতে পারে, তাদের মনোবাঞ্চা পুরন হল না কিন্তু প্রত্নতাত্বিকরা পেয়ে গেল তাদের কাংখিত গুপ্তধন। প্রাচীন ওলমেক সভ্যতার প্রথম নিদর্শন পাওয়া গেল।
a seated person resembling an infant are unique to Olmec art
“ওলমেক” শব্দটি এসেছে এ্যাজটেক সভ্যতার “নাহুতাল” ভাষা থেকে। শব্দটির মানে “রাবার পিপল”। তাদের আদি নিবাস ধরা হয় আফ্রিকাতে, সেখানে থেকে বহু পথ পেরিয়ে কিভাবে ওলমেকরা কিভাবে আমেরিকায় এসে পৌছেচে তা আজো নির্নয় করা সম্ভব হয়নি।
তাদের সূক্ষ্ম খোদাইয়ের কাজ, বিরাট ভাস্কর্য্য, ভাষার ব্যাবহার, গনিত শাস্ত্রে পান্ডিত্য আর বর্ষপঞ্জী প্রত্নতাত্বিকদের অবাক করে দেয়। পশ্চিমা সভ্যতায় ওলমেকরাই সম্ভবতঃ প্রথম জাতি যারা লিখন পদ্ধতি আবিস্কার করেছিল। ওলমেকরা পিরামিডও বানাতে জানত (এটা আমার কাছে এক অদ্ভুত ব্যাপারই মনে হয় যে আদি সভ্যতার প্রায় সবাই পিরামিড বানাতে পারত)। মায়া সভ্যতার বর্নমালা ওলমেক সভ্যতার প্রভাবেই গড়ে উঠছে বলে মনে করা হয়।
A pyramid from the Ancient Olmec civilization
প্রত্নতাত্বিকরা চারটি স্থানে মায়া সভ্যতার নিদর্শন খুজে পেয়েছে। স্থানগুলো হল লেগুনা ডি সরোস, সান লরেঞ্চো, ট্রেস জপোটেস আর লা ভেনতা। এই লা ভেনতায় সিড়িযুক্ত একটি পিরামিড পাওয়া গেছে খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ থেকে ৫০০ বছর পূর্বে এই ওলমেক সভ্যতার এই শহর উন্নতির চরমে উঠেছিল। প্রত্নতাত্বিকরা মনে করেন আকাশের গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে যথেষ্ট ধারনা ছিল, নতুন ধরনের ফসল আবাদ করতে চাইত, তাদের ছিল শিল্প বোধ, সম্ভবতঃ ওলমেকরাই আমেরিকার প্রথম সভ্য জাতি। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ বছর আগে হঠাৎ করে তারা হারিয়ে গেছে, তাদের কিভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে তা নিয়ে প্রত্নতাত্বিকরা এখনো ধারনা করতে পারেনি।
মায়া সভ্যতা
মায়া সভ্যতা প্রায় ৪০০০/ ৫০০০ বছর পুরানো, গুয়াতেমালা এবং উকাটানের জঙ্গলে গড়ে উঠেছে এই সভ্যতা। আমেরিকার জঙ্গলের নীচে হারিয়ে যাওয়া মায়া সভ্যতার বিশাল এক শহর আবিস্কৃত হয়েছে। সেখানে পাওয়া যায় ২৩০ ফুট উচু পিরামিড। মায়া সভ্যতা এখনো বিস্মের এক বিস্ময়। মায়ারা এমন এক নির্ভুল পঞ্জিকা আবিস্কার করেছিল যা চার কোটি বছরেও পরিবর্তনের প্রয়োজন হবেনা।
তাদের কারিগররা আগ্নেয়শিলা দ্ধারা বড় বড় বাড়ী করতে পারত। মিশরীয়দের মত মায়া জাতির লোকেরাও জীবনের অমরত্বে বিশ্বাস করত। সে জন্য তারা পিরামিড তৈরী করত। গ্রহ নক্ষত্র নিয়ে তাদের জ্ঞান ছিল অবিশ্বাস্য। তারা ইউরেনাস এবং নেপচুনের কথাও জানত অথচ আধুনিক মানুষ এই ইউরেনাস এবং নেপচুনের কথা জানে ১৭৮১ সালে এবং ১৮৪৬ সালে।
আবিষ্কৃত মায়ান পান্ডুলিপি থেকে যতদূর জানা যায়, তাতে বোঝা যায় ভাষার লৈখিক রূপ হিসেবে তাদের কোনো বর্ণমালা ছিল না। তবে কি তাদের ভাষা ছিল না? না। এমনটি নয়। তাদের ভাষা অবশ্যই ছিল, যেটা দিয়ে তারা ভাবের আদান-প্রদান করত। তবে বর্ণের পরিবর্তে তারা ব্যবহার কত কিছু সাংকেতিক ছবি বা চিহ্ন। এইসব সাংকেতিক ছবি পাশাপাশি এঁকে তারা তাদের ভাব বোঝাত। যেহেতু কলম আবিষ্কার হয়নি তখনও। তাই লিখত তারা তুলি দিয়ে। আর লেখার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ এই তুলি বানাত তারা পশুর লোম কিংবা লেজ দিয়ে। বই বানাত তারা গাছের বাকল দিয়ে। এই বইগুলোকে কোডেক্স বলা হয়। গবেষণায় জানা যায়, তাদের ভাষায় ব্যবহৃত এসব ছবির সংখ্যা হিসেব করলে আট শ’ কিংবা তারও বেশি পাওয়া যায়। আর কোডেক্স তথা বই উদ্ধার করা গেছে মোট চারটি।
এবার একটু তাদের দেবতাদের পরিচয় দিই। প্রধানতম দেবতা ইতজামনা। তাদের মতে ইনি ছিলেন মহান শক্তির আধার। তিনি আকাশচারী দেবতা। মায়ান ধর্মীয় নেতা বা যাজকগণ এই দেবতার নামে নরবলি করত। আর এটাই নাকি ছিল এই দেবতাকে খুশি করার উপায়। নরবলির জন্য তারা বেছে নিত বিশেষ সময়। সময়ানুযায়ী পিরামিডের উপর গিয়ে করা হত নরবলি। আর এক্ষেত্রে তারা তাদের নিজেদের ক্যালেন্ডারও অনুসরন করত। বলিদানের সময় অনুসরণ করা হত এজটেক রীতি। এই রীতিমত বলিকৃত মানুষটার বুক চিরে ফেলা হত, বের করে আনা হত হৃদপিণ্ড এরপর দেবতার সামনে বিসর্জন দেয়া হত। আর সেই মৃত মানুষের অন্যান্য অঙ্গ যেমন হাত, পা রেখে দিত তারা নিজেদের কাছে। আরো বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, এই বলির শিকার যারা হত, তারা কেউই তাদের নিজেদের জাতির কেউ ছিল না। ভুলক্রমে বা কোনোভাবে যদি অন্য কোনো সমাজ বা জাতির কোনো লোক তাদের রাজ্যে এসে পড়ত তাদেরকেই হতে হত ভয়ঙ্কর এই নরবলির শিকার।
মায়া পতনের পরিবেশদূষণহীন তত্ত্ব বেশ কয়েকটি উপবিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যেমন, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, বিদেশী আক্রমণ, চাষি বিদ্রোহ, এবং বিশেষ বাণিজ্য পথের পতন। পরিবেশগত অনুমানের মধ্যে পরিবেশগত দুর্যোগ, মহামারী রোগ, এবং জলবায়ু পরিবর্তন রয়েছে। মায়া জনগোষ্ঠীরা কৃষি সম্ভাবনাময় অবসাদ ও অতিরিক্ত প্রাণী শিকারের মাধ্যমে পরিবেশের বহন ক্ষমতা অতিক্রম করে ছিল বলে প্রমাণ রয়েছে। কিছু পণ্ডিত সম্প্রতি অনুমান করছে যে ২০০ বছরের একটি তীব্র খরা মায়া সভ্যতার পতনের কারণ। খরা তত্ত্বটি ভৌত বিজ্ঞানীরা লেক তলদেশ, প্রাচীন পরাগরেণু এবং অন্যান্য তথ্য গবেষনা করে পেয়েছেন।
এ্যাজটেক সভ্যতা
ফরাসি নৃতত্ত্ববিদ জাঁক সুস্তেল সন্ধান দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতার। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই সভ্যতার নিদর্শন। ১৬ শতকের দ্বিতীয় দশকে নৃশংস স্পেনীয় বাহিনীর আক্রমণের ফলে অ্যাজটেক সভ্যতার অকাল মৃত্যু ঘটেছিল। পুরাতাত্ত্বিক অভিযানের দরুন জানা গেছে এই বিচিত্র ও উজ্জ্বল সভ্যতার কথা।
৩০০ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে অ্যাজটেক সভ্যতায় দেবরাজ কুয়েটজালকোটল এর পূজা হতো। এই দেবতা ছিল পালকঅলা সাপ। এই সাপ মানুষকে রুপার নানারকম শৈল্পিক জিনিস তৈরি করতে শিখিয়েছে। অলঙ্কারে দামি পাথর বসানোর কাজ শিখিয়েছে। বর্ণমালা সাজিয়ে বই লেখার কাজও শিখিয়েছে। কৃষিকাজে মানুষকে ভুট্টা চাষ শিখিয়েছে। গ্রহ-নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করে সময়ের হিসাব রাখতে শিখিয়েছে। মানুষ এক সময় শুধু গাছগাছড়ার শিকড় খেত। এক পাহাড়ি গর্তে ভুট্টা লুকানো ছিল। কুয়েটজালকোটল তখন একটি কালো পিঁপড়ে হয়ে সেই গর্তে ঢুকে পড়ে।
Chichen Itza - Ancient History Encyclopedia
মেক্সিকোর ইউক্যাটন স্টেটের রাজধানী মিরিডা থেকে ৭৫ মাইল দূরে পবিত্র নগরী ইতজা অবস্থিত। মায়া ভাষায় এটা চিচেন ইতজা নামে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো চিচেন ইতজার ধ্বংসাবশেষকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা দিয়েছে। একসময় এখানে পাথর ও কাদার তৈরি শত শত দালানকোঠা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল। আজো গোটা ত্রিশেক ভবন টিকে আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারে মেক্সিকোর প্রাচীন মায়া নগরী চিচেন ইতজার এক ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর প্রথার কথা জানা গেছে। অনাবৃষ্টির সময় আকাশের দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য কুকুলকান নামের বেদিতে নরবলি দেয়া হতো।
el dorado
অ্যাজটেক সাম্রাজ্যের গহিন জঙ্গলের মাঝে রয়েছে এক রহস্যময় নগরী। দুর্ভেদ্য জঙ্গলের মাঝে সেই নগরী হারিয়ে গেছে। সেই বিচিত্র শহরের পথঘাট, ঘরবাড়ি সবকিছু নাকি সোনার তৈরি। রূপকথার মতো শোনা যায় সেই নগরীর কাহিনী। এই শহরকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা কিংবদন্তি। স্প্যানিশ ভাষায় সেই স্বর্ণনগরীর নাম হচ্ছে ‘এল ডোরাডো’। দীর্ঘদিন থেকে সেই সোনায় মোড়া শহরের খোঁজে অভিযান চলছে। দুঃসাহসী অভিযাত্রীরা পেরুর দুর্ভেদ্য গহিন অরণ্যে অভিযান করেছে। তবে আজ পর্যন্ত কেউই অবশ্য খুঁজে পায়নি সেই সোনার শহরকে। হারিয়ে যাওয়া এই শহরটি বহুকাল ধরে অভিযাত্রীদের হাতছানি দিয়ে আসছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সেই রহস্যময় শহরের সন্ধানে গিয়েছে পর্যটকরা। কিংবদন্তিতে বর্ণিত দুর্গম পথের অনুসন্ধান করেছে নকশা দেখে। সোনার শহর এল ডোরাডোকে নিয়ে বহু আকর্ষণীয় উপাখ্যান রচিত হতে থাকে। সতের শতকের কোনো কোনো মানচিত্রে এর অবস্থান দেখানো হতো।
মুচে সভ্যতা
Moche Civilization Maps
গত শতাব্দীর প্রথম দিকে প্রত্নতাত্বিক ম্যাক্স উলেহ এই মুচে সভ্যতার খোজ পান ১৯৯৭ সালে পেরুর একদল গবেষক পেরুর উত্তর উপকুল রহস্যময় মুচে সভ্যতার খোজে পুরাতাত্ত্বিক অভিযানে নামে। এর ব্যাপ্তিকাল ধরা হয় খ্রিঃপূর্ব ৮০০ থেকে ১০০ খ্রিঃপূর্ব পর্যন্ত। মুচেরা ছিল যোদ্ধা জাতি যার প্রমান পাওয়া যায় সিরামিক এবং ম্যুরাল চিত্রে। এছাড়া মুচেদের বিভিন্ন কবরে প্রাপ্ত অস্ত্র শস্ত্র দ্ধারাও এটা প্রমানিত।
Archaeologists discovered graves containing the remains of four elite members of the mysterious Moche civilisation
হুয়াকা দে লা লুনায়, কিছু মরদেহ পাওয়া গেছে, গবেষনায় দেখা গেছে তারা ছিল মুচেদের শত্রু যাদের কাউকে কাউকে দেবতার উদ্দেশ্যে বলি দেয়া হয়েছে। জ্যাকুইটেপিক উপত্যাকায় ডজ ক্যারোজ নামক স্থানে মুচেদের যে সমাধি পাওয়া গেছে তাতে যে মৃতদেহ পাওয়া গেছে তা ছিল এক অভিজাত মুচের। কবরে প্রাপ্ত বিভিন্ন বস্তু দ্ধারা আর্কিওলজিষ্টরা এ সিদ্ধান্তে পৌছেচেন যে মুচেরা কৃষিজীবি এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। মুচে সভ্যতার এখনো অনেক কিছুই উন্মোচিত হয়নি, যেটুকু পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায় মুচেরা খাল ও জলাধার নির্মান করতে শিখেছিল।
Ancient Temples of the Gods - Huacas del Sol and de la Luna
হুয়াকাস নামে এক বিশাল আর্কিটেকচারের সন্ধান মুচে সভ্যতায় দেখা যায়, যা ছিল একাধারে তাদের মন্দির, প্রসাদ, প্রশাসনিক ভবন এবং প্রাসাদ। হুয়াকাস গুলো বিশাল প্লাটফর্ম আকারের ছিল যা পোড়ামাটির ইট দ্ধারা তৈরী ছিল, এগুলো কয়েকশত ফুট বিস্তৃত আর উপত্যাকা দশ বিশ তলার সমান উচু। সব চেয়ে উচু স্থানে ছিল শাসকের বসার জন্য আসন, থাকার জন্য কড়িডোর এবং উচু রুম ছিল।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী আই পেচ ছিল তাদের সৃষ্টি কর্তা। এবং সাই ছিল চাদের দেবী। সিয়েরা ব্লাঙ্কো পাহাড়ের পাদ দেশে মুচে সভ্যতার রাজধানী মুচে অবস্থিত ছিল। কোন এক অজানা কারনে ৫৫০ খ্রিঃপূর্বে মুচেরা তাদের রাজধানী পরিত্যাগ করে। বিভিন্ন স্থাপনা খাল দেখে অনুমান করা হয় রাজধানী মুচে তে ২৫০০০ মানুষ বাস করত। এখনো মুচে সভ্যতার সব রহস্য উন্মোচিত হয়নি।
ইনকা সভ্যতা
দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালার এই পার্বত্য ভূভাগে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত যে কয়েকটি প্রাচীন সভ্যতার উদ্ভব ঘটেছিল তার মধ্যে এই ইনকারাই আধুনিক সভ্যতার উন্মেষ ঘটিয়েছিলো। যদিও সম্মিলিতভাবে এসব সভ্যতাকেই মূলত আন্দিজ সভ্যতা বলা হয়ে থাকে তবুও ইনকারাই হলো আধিপত্য বিস্তারকারী। এমন কি এরা সোনার পাত্রে খাবার খেতো। এরা যে বিলাসিতার জন্য এটা করত ব্যপারটা তা না। এটা করত কারণ সোনা ছিলো খুব সস্তা। ইনকা শব্দের অর্থ সূর্যের সন্তান।তারা যুদ্ধবাজ জাতি ছিলো।সাধারণত কুজকো অঞ্চলের শাসকদের ইনকা বলা হতো। কখনো কখনো সমুদয় জনগোষ্ঠীকেও ইনকা বলা হতো। ইনকার রাষ্ট্রীয় ভাষার নাম কুয়েচাওয়া। এর বাইরেও সাম্রাজ্য জুড়ে অন্তত ২০ টি স্থানীয় ভাষার অস্তিত্ব ছিল।
মাচুপিচু হচ্ছে ইনকাদের সবচেয়ে বিস্ময় নগরীর নাম। মাচুপিচু শব্দটি নেটিভ আমেরিকান কেচুয়া জাতির ব্যবহৃত শব্দ। আর এর অর্থ প্রাচীন পর্বত। মাচুপিচুর অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭,৫০০ ফুট উচ্চতায়। অধিকাংশ সময় মাচুপিচু নগরী মেঘের আড়ালে ঢাকা থাকে বলে একে মেঘের দেশের নগরী বলে। এমনকি উপর দিয়ে চলাচল করা বৈমানিকদেরও এটি চোখে পড়ে না। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন ২০০৭ সালের ৭ জুলাই মাচুপিচুকে আধুনিক সপ্তাশ্চর্যের একটি বলে ঘোষণা দেয়। মাচুপিচু নগরীটি কোনো ধ্বংসাবশেষ নয় বরং একেবারে অব্যয় ও অক্ষত অবস্থায় কী এক অজ্ঞাত কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। বর্তমান বিশ্বের কাছে ইনকা সভ্যতা বলতে মাচুপিচুর পরিচিতি সবচেয়ে বেশি। তাই প্রতিবছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক মাচুপিচু দেখতে ছুটে যায় পেরুর রাজধানী লিমা থেকে ৩৫৭ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত কুসকো শহরে।
আগ্নেয়গিরিকে কিংবা অন্য দেবদেবীকে শিশু উৎসর্গ করা ইনকা সভ্যতার একটি বর্বরতম দিক। দেবদেবীদের উৎসর্গের আগে ইনকারা তাদের সন্তানদের মোটাতাজা করে নিত। আর এই কাজটি তারা কিভাবে সম্পাদন করত, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে ক’দিন আগেই। প্রাচীন ইনকা সভ্যতার নিকটবর্তী লুলাইলাকো নামের একটি আগ্নেয়গিরির চূড়ায় সংরক্ষিত ৫০০ বছরের পুরনো মমির চুল পরীক্ষার মাধ্যমে এ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানা গেছে। সেখানে ‘লুলাইলাকোর কুমারী’ নামে পরিচিত ১৫ বছর বয়সী এক বালিকা এবং ‘লুলাইলাকোর বালক’ নামে সাত বছর বয়সী এক বালকের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। মমিকৃত দুটি দেহের সঙ্গে ছয় বছর বয়সী আরেকটি ছোট মেয়ের মমির সন্ধান পাওয়া যায়।
Francisco Pizarro
১৫২৭ সালে ইনকা সাম্রাজ্যে এক মহামারী দেখা দেয়। সেই মহামারিতে ইনকা রাজা ও তার উত্তরসূরি ছেলে মারা যান। রাজার অন্য দুই ছেলের মধ্যে সিংহাসনের লড়াইয়ে দেশজুড়ে রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এদের একজন অ্যাটাহুয়ালপা জিতে গেলেও খুব বেশি দিন টিকতে পারেননি। ১৫৩২ সালে স্প্যানিশ যোদ্ধা ফ্রান্সিস পিজারো তাকে হারিয়ে দেন। পিজারো নামমাত্র রাজা হিসেবে সিংহাসনে বসান অ্যাটাহুয়ালপার শত্রু মানকোকে। নতুন রাজা অবশ্য কখনোই রাজার সম্মান পাননি। তাই প্রতিহিংসায় মেতে উঠে মানকো। ইনকা রাজার সোনার মূর্তি এনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভিলকাবাম্বা শহরের পাহাড়ে হারিয়ে যান মানকো ও তার শক্তিশালী সেনারা। এরপর বহু বছর ধরে মানকো ও তার ছেলেদের সঙ্গে ইনকা সভ্যতার সিংহাসন জয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে স্প্যানিশ যোদ্ধাদের। এভাবেই এক সময় ধ্বংস হয়ে যায় ইনকা সভ্যতা। ( ইনকাদের নিয়ে জানতে রহস্যময় “ইনকা সভ্যতা” ও তাদের বিস্তারিত ইতিহাস ক্লিক করুন)
মহেঞ্জোদারো সভ্যতা
MOHENJO-DARO CIVILIZATION
মহেঞ্জোদারো ছিল প্রাচীন ভারতের সিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম নগর-বসতিগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি অধুনা পাকিস্তান রাষ্ট্রের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় অবস্থিত। ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ নির্মিত এই শহরটি ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির অন্যতম এবং প্রাচীন মিশর, মেসোপটেমিয়া ও ক্রিটের সভ্যতার সমসাময়িক। এই শহরের পুরাতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ বর্তমানে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এটিকে "একটি প্রাচীন সিন্ধু মহানগর" নামেও অভিহিত করা হয়।
মহেঞ্জোদারো শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘মৃতের পাহাড় ’। তবে প্রকৃত পক্ষে শহরটির নাম কি ছিল তা এখনও যানা যায়নি সঠিক ভাবে। তবে মহেঞ্জোদারো হতে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক সমগ্রে একটি নাম এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তা হল ‘কুক্কুতার্মা’ (Kukkutarma) আনুমানিক ভাবে ধরা হয় এটি খ্রিস্টপূর্ব ২৬০০ সাল এ গড়ে উঠে এবং খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালের দিকে এর পতন ঘটে।
The Lost Civilization of Mohenjodaro and Harappa
মহেঞ্জোদারোতে বসবাসকারি মানুষদের থাকার পদ্ধতি আমাদের সবচেয়ে বেশি অবাক করে দেয়। মহেঞ্জোদারো তখনকার সময়ে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকেও বেশি বিকশিত এবং উন্নত ছিলো। এই শহর ৬০০ একর জমির উপর বিস্তৃত ছিল যেটা তখনকার সময়ে বেশ বড় আকারের । এখানকার ধবংস্তুপ থেকে জানা যায় এই শহরে প্রবেশের জন্য সামনে একটি বড় দরজা ছিলো। এখানে এমন কয়েকটি বাড়ির নিদর্শন পাওয়া গেছে যা তিনতলা পর্যন্ত উচু ছিলো। এখানকার দালানকোঠা বানানোর জন্য যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তা কোন সাধারণ ইট ছিলো না এটা ওয়াটার প্রুফ ইট ছিলো। মনে করা হয় পৃথিবিতে প্রথম পাতকুয়া স্থাপন করেছিলো হরপ্পা সভ্যতার অধিবাসীরা। এখানে ৭০০ এরও বেশি পাতকুয়ার সন্ধান পাওয়া গেছে।এখানকার খননকার্য শেষ করার পর এখানে পাওয়া কংকালগুলো ল্যাবে পরিক্ষা করা হয়। পরিক্ষা করার পর কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। ওই সময়কার মানুষেরা আজকের দিনের মতই নকল দাত ব্যবহার করত। এ থেকে বোঝা যায় তারা আসলেই চিকিৎসাশাস্ত্রে উন্নত ছিলো।
মহেঞ্জদারো ধবংস হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে কারো জানা নেই। তবে অনেকের ধারণা হঠাৎ ভূমিকম্পের কারনে এই শহরের পতন হয়েছিল। আবার অনেকে মনে করেন সিন্ধু নদের হঠাৎ গতিপথ পরিবর্তনের জন্য এখানে পানিসল্পতা দেখা দেয় যা একসময় মহামারীর আকার ধারন করে এর জন্য এই শহর ছেড়ে সবাই চলে যায়। আবার অনেকেই মনে করেন আবহাওয়া বিপর্যয়ের জন্য মুলত এই শহরের পতন। ঠিক কি কারনে মহেঞ্জোদারো পতন ঘটেছিলো তা ঠিক জানা যায়নি।
প্রাচীন সভ্যতা ইতিহাসের ওপর টান আমার সব সময়ই। কয়েক দিন ধরে শ্রদ্ধেয় লেখক আলী ইমামের “প্রাচীন নগরীর খোজে” বইখানি শেষ করলাম। ইতিহাস ভিত্তিক এই অসাধারন বইটি পড়ে ভীষন ভালো লাগছে, সেখান থেকেই এই লেখার অধিকাংশ তথ্য সূত্র গৃহীত। এর সাথে অন্তর্জালের বিভিন্ন সাইট থেকে কিছু যোগ করে এই লেখা খানি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধেয় আলী ইমামের প্রতি। আমি আসলে এই সব সভ্যতা সন্মন্ধ্যে ধারনা দেবার চেষ্টা করছি মাত্র। এগুলো নিয়ে অনেক জায়গায় অনেক বিস্তারিত লেখা আছে উৎসাহিত বোধ করলে সেখান থেকে আরো কিছু জানতে পারবেন।
হারিয়ে যাওয়া নাবাতিয়ানদের নিয়ে লেখা দারুন একটা লেখা লিখছে স্বপ্নবাজ সৌরভ লেখাটা দেখার জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন নাবাতিয়ান লাল পাথর
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, সে অবশ্য ঠিক আছে,
মুর্তি নির্ভর কাল্পনিক .. দেবতা ঈশ্বর। রাজা প্রজা দাস ... এখনো কি খুব একটা চেঞ্জ হয়েছে?
আমার কাছে যে ব্যাপারগুলো অবাক লাগে তা হল বিভিন্ন সিভিলাইজেশান কিভাবে যেন কিছু জ্ঞান আহরন করত যা তাদের ধ্বংসের সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে। এই ব্যাপারগুলাই আমাকে মুলতঃ প্রাচীন ইতিহাসে টানে।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০২
ইসিয়াক বলেছেন: সকাল সকাল চমৎকার একটা পোষ্ট পেয়ে মনটা সত্যি আনন্দে ভরে উঠলো ।
ব্লগে ঢোকা এখন আমার কাছে, ছোটবেলার বই খুঁজে বের করার নেশার মত।
পায়ে হেটে সেই সময় ফার্মগেট , নীলক্ষেত কত যে ঘুরে বেড়িয়েছি এ বই ও বই এর দোকানে। নতুন নতুন বই এর সন্ধানে । নতুন পুরাতন বই সংগ্রহ তখন আমার নেশা ছিলো।
পোষ্টে ভালো লাগা।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
শের শায়রী বলেছেন: কি বলছেন প্রিয় কবি! এখন আর নাই এই নেশা? আমার তো এই বৃদ্ধ বয়সেও একই নেশা আছে। এখনো নীল ক্ষেত, বায়তুল মোকারম এর সামনে, নিউমার্কেট ঘুরি আর বই দেখি মনের মত পাইলে কিনে নেই।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সভ্যতার উদ্ভব মানুষের সবচেয়ে বড় অর্জন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই সভ্যতা আসলে একটা প্রক্রিয়া, কিছু মানুষ এক জায়গায় দলবদ্ধ হলেই সেখানে কিছু রিচ্যুয়াল, নিয়ম বিধি আসতেই হবে সেক্ষেত্রে আমি সভ্যতাকে অর্জন বলব না, সভ্যতা একটা প্রক্রিয়া হিসাবে আমি দেখি তবে এর মাঝে যে জ্ঞান আহরন বা বিশেষ বিশেষ গুন গুলো বিভিন্ন জাতির মাঝে দেখা যায় সেগুলো অর্জিত।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আগের দুটো পোস্টের মোহ এখনো কাটেনি। তার আগেই আরো একটা অনবদ্য পোস্ট নিয়ে আপনি হাজির। একটু সময় তো দিবেন !!
পড়লাম , জানলাম। কিছু লেখার ভীষণ আগ্রহ আর উৎসাহ জোগাড় করলাম।
ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
সভ্যতা নিয়ে প্রথমবারের মত কিছু লেখার ইচ্ছা আছে। দেখা যাক।
আপনার প্রিয়তে নিলাম। সেই সাথে অনেক ভালো লাগা +++
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: আপনার ইতিহাস ভিত্তিক প্রথম পোষ্ট নাবাতিয়ান লাল পাথর আমাকে স্রেফ মুগ্ধ করেছে। আপনি যদি এভাবে দুয়েকটি পোষ্ট দেন আমি নিশ্চিত সামু অনেক সমৃদ্ধ হবে।
অনুরোধ থাকল অন্যান্য লেখার পাশাপাশি ইতিহাস নিয়ে লেখা থামাবেন না প্লীজ।
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এই সকল সভ্যতার সাথে 'গ্রহান্তরের আগন্তুক'দের যোগসূত্র নেই তো ? দানিকেন কিন্তু তাই বলেন |
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: দানিকেন এর সব কিছুর সাথে ভিনগ্রহ বাসীর যোগ সূত্র স্থাপন করেছে। সেই নাজকা লাইন থেকে। এবং মজার ব্যাপার কি জানেন আপনি সে সব চাইলেই অস্বীকার করতে পারবেন না। তার কিছু লজিক প্রায় অভ্রান্ত এই কারনে যে ভিনগ্রহ বাসী ছাড়া এর কোন ব্যাখ্যা নেই।
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
হাসান রাজু বলেছেন: এটা আমার কাছে এক অদ্ভুত ব্যাপারই মনে হয় যে আদি সভ্যতার প্রায় সবাই পিরামিড বানাতে পারত
আসলেই অদ্ভুত । পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্থে এই পিরামিড পাওয়া গেছে । যেখানে এক সভ্যতার সাথে আরেকটির কোন যোগাযোগ ছিল না। এবং সবগুলই আধ্যাত্মিক গুরুত্ব বহন করে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
শের শায়রী বলেছেন: এই পিরামিড কালচার টা আমার কাছে অবাক লাগে যদিও পিরামিড বলতে আমার বুজি মিশর ফারাও কিন্তু সেই চীন থেকে শুরু করে আমেরিকান বিভিন্ন সভ্যতায় পিরামিড কালচার ওত প্রোত ভাবে জড়িত। কিভাবে এই পিরামিড কালচার বিভিন্ন দেশে গেল এবং এক সাথে ধ্বংস হয়ে গেল? এগুলোর জবাব এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু আধ্যাত্মিক না বৈজ্ঞানিক, রাশিচক্র অনেক কিছুই এই পিরামিড গুলোর সাথে জড়িত ভাই।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোটামুটিভাবে এই সবগুলো সম্পর্কেই বিস্তারিত জানি। আমারও যত ধরনের রহস্য আর এসব হারানো সভ্যতার ব্যাপারে বিপুল আগ্রহ। আপনার সাথে আমার পছন্দ মিলে যায়, তাই আমার কিছু পোষ্টের লিঙ্ক দিলাম। সময় করে দেখতে পারেন। আশাকরি ভালো লাগবে।
এই পর্ব দু'টা হারানো নগরী পম্পেই আর ভিসুভিয়াসের উপরেঃ
স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ৩
স্বপ্নযাত্রা: ইটালী - ৪
স্টোনহেন্জঃ এক অমিমাংসিত রহস্য
প্যারালাল ইউনিভার্সঃ বাস্তব নাকি কল্পনা?
এ'ছাড়াও ইস্তান্বুলের উপরে আমার আট পর্বের পোষ্ট আছে। কইলে লিঙ্ক দিমু।
এইবার একটা প্রস্তাবঃ চলেন একলগে মেক্সিকোতে দুই সপ্তাহের একটা ট্যুর দেই......রাজী থাকলে আওয়াজ দিয়েন!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০২
শের শায়রী বলেছেন: ভুয়া ভাই, প্যারালাল ইউনিভার্স এ মন্তব্য দিয়া আসছি, খালি অসাধারন বললে কম বলা হয়, আমারো খুব প্রিয় একটা বিষয়। এই মুহুর্তে মেক্সিকো যাইতে পারুম না ভাইডি, এক খান জবের জন্য ডাক আসার কথা, জব চেঞ্জ করছি হেইডা নিয়া প্যারায় আছি, প্যারা কমলে দুই ভাইতে মেক্সিকো যাই না যাই কোন খানে ট্যুর দিমুনে হইতে পারে আফ্রিকা, কুন দিন আফ্রিকা যাই নাই, এক বার কর্ম উপলক্ষ্যে ইক্যুইটারিয়াল গিনি যাইতে কইছিলো আমি খাড়ার উপ্রে না কইরা দিছি, তিন দিন ধইরা এই প্লেন সেই প্লেন ধইরা ইক্যুইটারিয়াল যাবার ইচ্ছা হয় নাই, বদলে অন্য দ্যাশে গেছি। খুব আফ্রিকা দেখোনের শখ। দুই ভাই মিল্লা জঙ্গলে ক্যাম্পিং করুম, কন রাজি?
বাকী লিঙ্ক গুলা দেইকা আইসা কমেন্ট দিমু।
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া আপনার পোষ্ট নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। অনবদ্য। অনেক আগে একটা ফিচার পোষ্ট লিখেছিলাম, তখন অবশ্য নিয়মিতই ফিচার লিখতাম। উত্তর মধ্য নেপালের তীব্বত এবং চায়না সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় একসময় মুসট্যাংগ (Mustang) নামক একটি রাজ্য ছিল যা পৃথিবীর অন্যতম দূর্গম এবং প্রাচীন স্থানগুলোর একটি। এখানে পাহাড়ের খাজে রহস্যময় কয়েকহাজার গুহা পাওয়া গেছে। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক আলোচনা গবেষনা এখনও করে যাচ্ছেন। আপনার হারানো সভ্যতার পোষ্ট পড়ে ভাইয়া এই স্কাই কেভের কথা মনে পড়ল।
ফিচারঃ রহস্যময় স্কাই কেভ বা আকাশের গুহা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই অশেষ কৃতজ্ঞতা এত সুন্দর একটা লিঙ্ক দেবার জন্য। ওই পোষ্ট যে আলোচনা করে এসেছি এখানেও সেটা তুলে দিলাম কারন বিষয়টা ভীষন ইন্টারেষ্টিং লাগছে আমার কাছে। আবারো বিস্তারিত পড়ব পড়ে ভাবব। আপাতত যেটুকু ভেবেছি তা হলঃ
প্রথমেই আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটা সম্পূর্ন অজানা বিষয় কে ব্লগে তুলে আনার জন্য। পোষ্ট আমি আমার শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম এই লিঙ্কে এ্যাড করে নিলাম। এক কথায় অসাধারন একটা পোষ্ট প্রিয় কাভা।
যক্ষদের নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে দেখে আস্তে পার পৃথিবীর সমস্ত দৌলতের প্রহরী যক্ষদের দক্ষযক্ষ ।
এটা যদি বৌদ্ধ শ্রমনদের কোন গুহা হয় তবে সেক্ষেত্রে আমি বিশ্বাস করিনা কোন বাচ্চাকে ওইভাবে নরবলি দেবে, কারন ব্যাপারটা বৌদ্ধ ধর্মের সাথে পুরাপুরি সাংঘর্ষিক। আর বৌদ্ধদের আশ্রমিক দের এমন কোন সম্পদ থাকে না যাতে যক্ষ বানাতে হবে।
তুমি লিখছ মুসট্যাংগ ট্রেইল ধরে এক্কেবারে দক্ষিন দিকে যেতে থাকলে এক্কেবারে চাইনিজ বর্ডার সংলগ্ন স্যামডজংগ গ্রামে বের হওয়া যায়, এখানেই আছে পাহাড়ের গুহায় আসা যাওয়ার পথের হদিস, এই পাশ দিয়ে দেখলে যেটা খাড়া দেখায় ভেতর দিয়ে নিশ্চয়ই কাছে বা দূরে কোন গ্রাম বা নির্জন স্থানে এর সাথে সংযোগ আছে, এবং ওইভাবে তখনকার মানুষ রা আসা যাওয়া করত বলে আমার বিশ্বাস।
সাতশত বছর আগে হয়ত এখন যেখানে গুহাগুলো দেখা যাচ্ছে তার নিকটে কোন পাহাড়ী ট্রেইল ছিল হয়ত ভুমি ধ্বসে সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে যার কারন আজকে যে সাইট দিয়ে প্যাট আসা যাওয়া করছে তা দূর্ভেদ্য লাগছে। তবে আমার বিশ্বাস এনিয়ে কাজ করলে অনেক কিছুর উত্তর বেড়িয়ে আসবে এবং অবশ্যই কিছু অজানা বিষয় থাকবে যা এই ধরনের স্থাপনাকে রহস্য ময় করে রাখে।
পোষ্টে দারুন ভালো লাগা। তবে এটা নিশ্চিত এটা "সাংরি লা" অবশ্যই না "সাংরি লা"রা সাথে বিপুল ঐশ্বর্য্যের মীথ জড়িত যা এখানে নেই।
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভুয়া মফিজ - বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মেক্সিকো যাওয়া নিরাপদ হবে না। আমিও যাই নি।
কয়েকশো বা হাজার বাংলাদেশী আদম টেক্সাস/ ক্যালিফোর্নিয়া সীমান্তে বা অন্যকোন সিটিতে অপেক্ষমান।
মেক্সিকান পুলিশ দুর্নিতিবাজ, আটকে দিতে পারে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩২
শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশী, তবে গেলে প্রথমে ভিসা লাগবে আর বৈধ ভিসা পেলে ওগুলো বড় কোন সমস্যা না, যদিও মেক্সিকান পুলিশ দুর্নিতীবাজ এটা আমি জানি।
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
রমিত বলেছেন: আমার বেগম সাহেবা 'ইনকা'-দের বংশধর। তিনি 'কেচউয়া' ভাষা বলতে পারেন। মাঝে মাঝে উনার কাছ থেকে ইনকাদের গল্প শুনি।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: রমিত ভাই, ভাবী বিদেশী জানতাম, কিন্তু ইনকাদের বংশধর তা জানতাম না, উনাদের তো বংশ পরম্পরায় অনেক ইতিহাস বা মীথ আছে যা সাধারনতঃ বাইরে খুব একটা তারা বলে না, সেগুলো ভাবীর কাছ থেকে জেনে কাইন্ডলি একটা পোষ্ট দেবেন, আমি শিওর ইউনিক কিছু হবে।
ভাবীকে সালাম। আপনাকে কৃতজ্ঞতা।
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
রমিত বলেছেন: 'মেহেরগড়' সভ্যতা সম্পর্কেও কিছু লিখেন কাইন্ডলি। ওটা মোহেনজোদারো-হরপ্পার চাইতেও প্রাচীন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: রমিত ভাই আমাকে "মেহেরগড়" নিয়ে আরো পড়তে হবে, সম্ভবতঃ এটাই ভারতের প্রাচীন সভ্যতা খ্রিঃপূর্ব ৭০০০ বা তার আগের সভ্যতা। তবে এখনো খুব বেশী পড়িনি। কিছু জ্ঞান আর তথ্য পেলে অবশ্যই পোষ্ট দেব আর সেটা আপনাকে উৎসর্গ করেই দেব। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা স্মরন করিয়ে দেয়ায়।
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখীঃ আমি বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে মেক্সিকো যাবো.......এই তথ্য আপনাকে কে দিল!!!!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪১
শের শায়রী বলেছেন: আম্নেরে মিয়া না ধরলেও আমারে ধরলে ছাড়ানর দায়িত্ব কিন্তু আপনার।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
অসাধারণ ভাই-
একপাতায় একসাথে সব আগ্রহ মেটানো আপনার পোষ্টেই সম্ভব!
আলী ইমামের বইটার পিডিএফ কপি কি নেটে পাবো!
শুভকামনা ভাই!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: সম্ভবতঃ পাবেন না সোনালী ভাই। আর আমি জীবনে সব সময় হার্ড কপিতে বই পড়ি, কি করুম কন বুড়া বয়সে তো আর অভ্যাস চেঞ্জ করতে পারুম না। নেটে বই পড়লে চোখ ব্যাথা করে, আর বইর একটা গন্ধ আছে যেটা আমি উপভোগ করি
পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই।
১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
আশরাফ আনন্দ বলেছেন: ভীষণ তথ্যবহুল পোষ্ট ভাই। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। হারানো সভ্যতা সম্পর্কে জানা আমার জন্য রিতীমতো উত্তেজক বিষয়। ধন্যবাদ ভাই। ভালো লাগলো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০২
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
নতুন বলেছেন: ইনকা সভ্যতা দেখতে যাবার ইচ্ছা্ আছে কিন্তু এতো দুর যাওয়া দুস্কর
পিরামিড বানানো সহজ ছিলো কারন ছাদ বানানোর পদ্বতী তখন মানুষ জানতো না ।
ছাদ তৌরির পরে ছাদ, গুম্বুজ সব সভ্যতায়ই ব্যবহার করেছে মানুষ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২২
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই পিরামিড বানানো সহজ ছিল? মানতে পারলাম না। কয়েকটা কারন দেইঃ
শরীয় পিরামিডের ভিতরের তাপমাত্রা সারা বছরই ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। তবে দিন ও রাতের ব্যবধানে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটতে পারে
জনপ্রিয় পিরামিড গিজা মিশরের প্রথম দিকের তিনটি পিরামিডের মধ্যকার সবচেয়ে বড় পিরামিড। এটি ফেরাউন খুফুর জন্য নির্মিত হয়েছিল। যার শাসনকাল ছিলো ২ হাজার ৫৮৯ থেকে ২ হাজার ৫৬৬ খ্রিস্টাব্দ। এই পিরামিডটি তৈরি হয় খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ। পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে। পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মত। এত বিশাল বিশাল পাথর ম রুভুমিতে টেনে নেয়া সোজা বযাপার ছিল না
দুটো পাথরের মাঝে এত নিখুত জোড়া দেয়া যে তার মাঝ দিয়ে একটা চুল ও যেতে পারত না।
গিজার গ্রেট পিরামিডের ভেতর উষ্ণ এবং অপেক্ষাকৃত শীতল দুটি জায়গা রয়েছে যেখানকার তাপমাত্রা বলেতে গেলে সবসময় প্রায় একইরকম থাকে। বলা যায়, হাজার বছর ধরেই এই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডটি। মূলত পিরামিডের ভেতর লুকোনো কোনো স্থাপনা আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য বিজ্ঞানীরা আধুনিক ইনফ্রারেড এবং থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন। ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি পরীক্ষায় পিরামিডের ভেতরে বেশকিছু অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। পরীক্ষার পর দেখা যায় পিরামিডের ভেতরে এক পাশে একটি উষ্ণ এবং একটি শীতল এলাকা রয়েছে। আর ওই এলাকার তাপমাত্রা উঠানামা করে না, বলতে গেলে সবসময় একই রকম থাকে। এবং অদ্ভুতভাবে পিরামিডের অন্যপাশে এই পরিবেশ দেখা যায় না। যদিও কি কারণে বা কিভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলো প্রাচীন মিশরীয়রা তা এখনো জানা যায়নি।
এরকম আরো অনেক রহস্য আছে ভাই। হয়ত রহস্য ভেদ হবে কিন্তু সেই সময়ের প্রেক্ষিতে এটা সহজ কিছু ছিল না।
আমি আবার মায়ান দের ফ্যান
১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পছন্দের বিষয়, সাথে আপনার উপস্থাপনা!!
সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২৪
শের শায়রী বলেছেন: আপা ব্লগ ডে তে তাও আপনাকে দেখা যায় কিন্তু ব্লগে দেখা যায় না আইসেন মাঝে সাঝে দেইখেন আমাদের কাজ কারবার। আপনাদের উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রানিত করে।
১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
যে বিষয়ে আপনি লিখলেন বা লিখে থাকেন তা নেট ঘেটে দেখলে পাওয়াই যায় কিন্তু বাস্তবতা হলো, কখনই নিজ থেকে নেট ঘেটে আমরা বেশীর ভাগ মানুষই স্বপ্রনোদিত হয়ে কখনও কিছু খুঁজিনে। কেউ মনে করিয়ে দিলে তবে কিছু মনে পড়ে, আবার খুঁজে পেতে ইচ্ছেও জাগে, হোক সেটা আগে থেকেই জানা কিম্বা একেবারেই অজানা।
আপনার এধরনের পোস্টগুলো আসলেই তেমন এক একটি প্রনোদনা। পাঠককে মনে করিয়ে দেয় অনেক কিছুই, জাগিয়ে তোলে জানার আগ্রহ। ব্লগে এমন ধরনের পোস্টই কাম্য যা আমাদের জ্ঞানের পরিধিকে ব্যাপক করে জানিয়ে যায় অনেক জানা -অজানা ইতিহাস।
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে এ কারনেই।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩২
শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জি এস ভাই আমি আপনার কমেন্টে সম্পূর্ন এক মত। আমি আসলে যা লিখি তা সব নেটে খুজলেই পাওয়া যায়, যে কেউ সামান্য পড়াশুনা করলে আমার থেকেও ভালো লিখতে পারবে। কেউ কেউ ইদানিং টুক টাক লিখছে। এবং ধীরে ধীরে দারুন লিখছে, আসলেই এগুলো নিয়ে লিখতে গেলে সর্বপ্রথম নিজের জ্ঞান বাড়ে পরে পাঠককে জানার জন্য উস্কিয়ে দেয়া হয় যেটা আমার মুল লক্ষ্য। জানি না তাতে সফল হতে পারছি কিনা। তবে ভালো লাগে আপনাদের মত শ্রদ্ধেয় যখন এগুলো দেখে উৎসাহ দেন।
পাঠে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় শায়রীভাই,
আপনার পোস্ট মানে লাজবাব।++ নুতন করে আর কিছু বলার নেই।
আজ আমরা আপনার সৌজন্যে টাইম মেশিনে চলে গেলাম খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের ওলমেক সভ্যতায়। চোখের সামনে ভেসে উঠলো তাদের ভাস্কর্য,ভাষার ব্যবহার, পিরামিড সদৃশ স্তুপ প্রভৃতি। উল্লেখ্য এই স্তুপ থেকে অনুমিত হয় জাতি হিসেবে আফ্রিকা তাদের আদি নিবাস। যদিও তাদের অভিপ্রায়নের বিষয়টি সন্দেহের।
পরবর্তী স্টেশন বহু বিতর্কিত মায়া সভ্যতা। চারটি স্থানে সভ্যতার নিদর্শন দৃশ্যমান হল ঠিকই কিন্তু এর মধ্যে একটি পর্ব হল লা ভেনতা যেখানে আমেরিকার প্রথম সভ্য জাতি হিসেবে উন্নতির চরমে পৌঁছেছিল,তা অনুমিত হলো। তবে ওলমেকদের সঙ্গে মায়া সভ্যতার একটা সুক্ষ্ম পার্থক্য আছে । যদিও বিষয়টি এখানে স্পষ্ট হলোনা।
একে একে টাইম মেশিন পৌঁছে দিল,মুছে সভ্যতা,ইনকা সভ্যতার ধ্বংস স্তূপে ।
সবশেষে টাইম মেশিন আমাদের পৌঁছে দিল আমাদের বাড়ির পাশে মহেজ্ঞোদাড়ো সভ্যতায়। তবে এখানে অপরাপর কেন্দ্রগুলো যেমন-হরোপ্পা, চানহুদড়ো, লোথাল, কালিবঙ্গান, আলমগীরপুর, রুপার, কোটডিজি,ঢোলাবিরার মতো অপেক্ষাকৃত বড় কেন্দ্র গুলোকে না দেখে ব্যথিত হলাম। এখানে একটা কথা বলার তাম্র-ব্রোঞ্জ যুগে সিন্ধু নদীর উপত্যকায় গড়ে ওঠা সভ্যতার মধ্যে আকারে হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো আকারে বৃহৎ হওয়ায় সভ্যতার নামকরণ হয়েছে এই দুটি সভ্যতার নাম।আবার সিন্ধু নদীর তীরে গড়ে ওঠায় একে সিন্ধু উপত্যাকার সভ্যতাও বলা হয়। রেডিও কার্বন ডেটিং করে সভ্যতার উৎপত্তি খ্রিস্টপূর্ব৪৬০০/৩৮০০ অব্দ থেকে পতন খ্রিস্টপূর্ব১৮০০ অব্দে সম্পন্ন হয় বলে মোটামুটি পণ্ডিতরা একমত। আবার লৌহের ব্যবহার জানা আর্যরা ভারতে আসে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০অব্দে। একটা মত অনুসারে আর্য আক্রমণ সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংস হয়েছিল বলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে ৩০০ বছরের ব্যবধানে কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে। আবার হরপ্পা সভ্যতায় প্রাপ্ত স্তূপাকারে নরকঙ্কাল থেকে অনুমিত হয় বৈদেশিক আক্রমণের ফলেই সভ্যতার ধ্বংস হয়েছিল। যেমন রান্নার সামগ্রীর পাশে মহিলার স্কাল থেকে অনুমিত হয় আক্রমণের সময় তিনি রান্না করছিলেন। কাজেই বৈদেশিক আক্রমণ মূলত আর্য আক্রমণের কারণকেও সভ্যতার পতনের জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়।
আপনার টাইম মেশিনের সৌজন্যে আজ আমরা এই পর্যন্তই। দেখি আগামীতে আপনি আমাদের কোথায় নিয়ে যান....
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন এমন চমৎকার একটা মন্তব্য দেবার জন্য। এখন আত্মপক্ষ সমর্থনের সামান্য সুযোগ চাই।
আপনি হয়ত দেখছেন, ব্লগের এক পৃষ্টায় (আসলে ঠিক এক পৃষ্টা হবে একটা পোষ্ট বলাই যুক্তি সঙ্গত হবে) কয়টা সভ্যতা টেনে এনেছি ওলমেক, মায়া, এ্যাজটেক, মুচে, ইনকা, মায়া এবং সবশেষে মহেঞ্জোদারো। এত গুলো সভ্যতা এক পোষ্টে টেনে আনা এক ধরনের বোকামিই আসলে, আমি সেই বোকামিটা করে ফেলছি হয়ত কিছুটা অসাবধনতায় কিছুটা অতি উৎসাহে।
আপনার কমেন্টের পরের পার্ট দেখলেই বোঝা যায় এ নিয়ে আপনার ভালোই পড়াশুনা আছে, এক একটা সভ্যতা নিয়ে কি পরিমান গবেষনা হচ্ছে, কত হাজার পৃষ্টা লেখা হচ্ছে এটা আপনার থেকে আর কে ভালো জানে। আমি যদি সেই হাজার হাজার পৃষ্টা কয়েক লাইনের মাঝে সামারি করার চেষ্টা করি সেটা এক ধরনের বোকামিই হবে, সেই বোকামিটাই আমি এক ধরনের করছি। কেন করছি? আমি আসলে এই হারানো সভ্যতাগুলো সন্মন্ধ্যে একটা ধারনা দিতে চেষ্টা করছি। অথচ আপনি জানেন, এদের যে কোন একটা সভ্যতা নিয়ে লিখতে গেলে কমপক্ষে ২০/২৫টা পর্ব করা উচিত, আমি স্রেফ সবাইকে এই সব নাম গুলো জানাতে চেয়েছি যাতে সবাই এই সব ব্যাপার গুলো নিয়ে আরো কিছু জানতে উৎসাহী হয়, (যদিও এদের নাম প্রায় সবাই জানে) সাথে দু চার লাইন লিখছি। সামান্য নেট ঘাটলেই এদের নিয়ে অনেক লেখা দেখা যাবে। এই দু চার লাইনে আসলে কিছুই ক্লিয়ার হয় না, উপরন্ত কনফিউশান বাড়ায়, এ আমার এক ধরনের উৎসাহী বোকামী।
যাক আসি পরের পয়েন্টে। মহেঞ্জোদারোর নিয়ে একটা ধারনা দিয়েছি, এর অন্যান্য বড় বড় শহর বা কেন্দ্রগুলো নিয়ে লিখিনি কারন ওই একই ব্যাপার, এদের নিয়ে এত লেখা আছে লিখতে গেলে দুই চার খন্ডের বই হয়ে যাবে, কেউ উৎসাহী হয়ে যদি দেখে সেটাই আমার পরম পাওয়া।
আমি আর্যদের নিয়ে লিখতে গিয়ে (লিঙ্ক আর্যদের উৎপত্তি এবং ভারতীয় এবং জার্মান আর্যদের সুলুক সন্ধানে ) এই মহেঞ্জোদারো সভ্যতার ব্যাপারে পড়ছি। আর্যরা কোনক্রমেই ভারতীয় সভ্যতার উন্মেষকারী হতে পারে না, বরঞ্চ আমার কাছে মনে হয়েছে, আর্যরা এই সব প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসকারী এক আক্রমনকারী। এই দেশে এসে তারা এদেশীয় সাংস্কৃতির সাথে মিশে ঋগ্বেদ লিখে ধর্মীয় বাতাবরন দিয়ে নিজেদের জায়েজ করে নিয়েছে, আর্যদের নিয়ে এটাই আমার অভিমত, তবে ওই যে আপনি একটা ৩০০ বছরের মিসিং লিঙ্ক দিয়েছেন। আসলে এত পুরানো সভ্যতার ২০০/৩০০ বছর হিসাবের গড় মিল হতেই পারে, যাই হোক আর্য আর মহেঞ্জোদারোর ৩০০ বছরের মিসিং লিঙ্ক নিয়ে আমার ধারনা, আর্যরা মহেঞ্জোদারো সভ্যতা ধ্বংস করে আবার ফিরে গেছে তাদের পুরাতন আবাসভুমিতে অনেকটা নাদির শাহ ষ্টাইলে। পরে তারা আবার প্রয়োজনের তাগিদে এই দেশে এসে বসতি স্থাপন করছে। যাই হোক আমি আমার দাবীকে অভ্রান্ত দাবী করছি না আমি কোন স্কলারও না, সামান্য শখের বশবর্তী হয়ে পড়াশুনা করি, তাই আমার এই ধরনের মতামত দেয়াও ঠিক না, এটাকে আমার একান্ত নিজস্ব মতামত ধরে নেবেন। এখন পর্যন্ত আমার জানামতে মেহেরগড় সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতার সর্ব প্রাচীন সভ্যতা যা খ্রিঃপূ ৭০০০ সালে বিকাশিত হয়েছিল।
আমি আসলে ব্লগে নিজে যা পড়ি তাই লিখি, চেষ্টা করি সেগুলো পড়ে কেউ যদি উৎসাহিত হয়ে এগুলো আরো জেনে আমাকে বা অন্যান্যকে জানায়। গত কাল দেখলাম ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ ইতিহাস নিয়ে দারুন একটা লেখা লিখছে যা এর আগে সে করেনি। বিশ্বাস করুন ভীষন ভালো লাগছে, কারন ইতিহাস হল আমাদের উৎস। উৎস কে অস্বীকার করা যায় না।
যাই হোক প্রিয় ভাই, এই লেখায় অনেক কিছুই বাদ দিয়ে গেছি, সেটা একান্ত আমার ভুল ধরে নিয়ে মার্জনা করবেন। আমি চাচ্ছি কেউ কেউ হয়ত উৎসাহী হয়ে আরো লিখবে সেটাই পরম পাওয়া।
পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় পদাতিক ভাই।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: খুবই সাবলীলভাবে লিখেছেন। পড়ে ভালো লাগল।
ওলমেক সভ্যতায়ও পিরামিড ছিল জানা ছিল না। শুধু মায়া সভ্যতার পিরামিডের কথা জানতুম।
অনেক অজানা জিনিসও জানা হল।
চমৎকার পোস্টের জন্য হিম ঠান্ডা শীতের শুভেচ্ছা।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: ভাি মজার আরেকটা তথ্য দেই পৃথিবীর প্রাচীন তম পিরামিড নাকি ইন্দোনেশিয়ার জাভায় World’s oldest pyramid is hidden in an Indonesian mountain, claimed scientis
পাঠে কৃতজ্ঞতা জানুন।
২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: যে আদি সভ্যতার প্রায় সবাই পিরামিড বানাতে পারত[/sb- দক্ষিশ এ্যমেরিকা অঅল মিশর ছাড়া অঅর কোন সভ্যতায় কি পিরামিড অঅছে?
এশিয়া বা অঅফ্রিকার কোথাও?
রমিত বলেছেন: আমার বেগম সাহেবা 'ইনকা'-দের বংশধর। তিনি 'কেচউয়া' ভাষা বলতে পারেন। মাঝে মাঝে উনার কাছ থেকে ইনকাদের গল্প শুনি। -ব্যাপরটা খুবই আগ্রহজনক!!!
এতো হাজার বছর আগে ইনকারা বাংলায় এসেছিলো কেনো আর তাদের ভাষাই বা এখনো জানেন কিভাবে?
বাংলাদেশে বসবাসকারী আরব,তুর্কি,আফগান,পার্শি বা পর্তুগীজ বংশধরদের কেইউ এখন আর নিজেদের ভাষায় কথা বলে না। সবাই বাঙ্গালী হয়ে গেছে একমাত্র উপজাতিরা ছাড়া।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
তিনি কি মায়াদের জাদুবিদ্যাও জানেন???
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: বলা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম পিরামিড নাকি ইন্দোনেশিয়ার জাভায় দেখুন World’s oldest pyramid is hidden in an Indonesian mountain, claimed scientists , চীনে পিরামিড আছে। পিরামিড আকৃতির বিভিন্ন টেম্পল অনেক আগে ভারতে আবানো হত।
আর ব্রাদার,আপনি লিখছেন রমিত বলেছেন: আমার বেগম সাহেবা 'ইনকা'-দের বংশধর। তিনি 'কেচউয়া' ভাষা বলতে পারেন। মাঝে মাঝে উনার কাছ থেকে ইনকাদের গল্প শুনি। -ব্যাপরটা খুবই আগ্রহজনক!!!
এতো হাজার বছর আগে ইনকারা বাংলায় এসেছিলো কেনো আর তাদের ভাষাই বা এখনো জানেন কিভাবে?
বাংলাদেশে বসবাসকারী আরব,তুর্কি,আফগান,পার্শি বা পর্তুগীজ বংশধরদের কেইউ এখন আর নিজেদের ভাষায় কথা বলে না। সবাই বাঙ্গালী হয়ে গেছে একমাত্র উপজাতিরা ছাড়া।
এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাই।
তিনি কি মায়াদের জাদুবিদ্যাও জানেন??? এই সামান্য ব্যাপারটা আপনি কিভাবে বুজলেন না বুজলাম না?
রমিত ভাই একজন শিক্ষক উনি ডক্টরেট করা। পড়াশুনা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে যেতে হয়েছে, আমি একজাক্টলি জানি না ভাবী (মানে রমিত ভাইর ওয়াইফ কোন দেশী) কোন দেশী। উনি ইয়াং বয়সে এই ভাবীকে বিয়ে করছেন যিনি বাংলাদেশী না, আর এটা নিশ্চয়ই জানেন ইনকা বা প্রাচীন অনেক সভ্যতার কিছু কিছু মানুষ এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যদিও তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো ব্লগে হাজারবার এসেছে
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনাকে ইদানিং আমার ব্লগে কম দেখি। শরীরটা ভালো?
আপনি নিজেও তো হাজার বার মানুষ কে বিরক্ত করছেন অনেক ভাবে তাতে কি? আরো হাজারবার যেমন করবেন, এগুলোও আরো হাজার বার আসবে, এই সব ব্যাপার তো কারো কপি রাইট নেয়া না কি বলেন?
শরীরের প্রতি যত্ন নিবেন মুরুব্বী।।
২২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ভুয়া মফিজ
আমি ভাবছিলাম মেক্সিকান পুলিশ যদি 'মফিজ পাইছি' বলে ধরে বসে ..
তখন হাজার বার নিজেকে ভুঁয়া বললেও বিশ্বাস করত না। আর বিডি পাসপোর্ট নাম তো মোগস্ত।
যাক আপনি ভাগ্যবান। বৃটিশ।
২৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০০
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
দুর্দান্ত পোস্ট। কিছু সভ্যতার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতাম না। পড়ার পর বেশ ভাল লাগলো। এই সব বিষয়ে লেখার জন্য আসলে ব্যাকগ্রাঊন্ড এবং ধৈর্য্য লাগে। আলী ইমাম আমারও খুব প্রিয় লেখক।
একটা জিনিস বুঝলাম নাঃ মায়া সভ্যতার বর্নমালা ওলমেক সভ্যতার প্রভাবেই গড়ে উঠছে বলে মনে করা হয়। মেক্সিকোর ক্যারিবিয়ান অঞ্চল জুড়ে ছিল এই সভ্যতা। খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ – ৪০০ সাল আব্দি এই সভ্যতা বিরাজ ছিল।
আবার মায়া নিয়ে- মায়া সভ্যতা প্রায় ৪০০০/ ৫০০০ বছর পুরানো, গুয়াতেমালা এবং উকাটানের জঙ্গলে গড়ে উঠেছে এই সভ্যতা।
মায়া তো এদের চেয়েও পুরাতন। আগের'রা পরের কাছ থেকে কীভাবে শিখবে ভাষা?
খটকা থেকে গেল!
ইঙ্কাদের নিয়ে দেয়া লিংক এর জন্য ধন্যবাদ। ওপেন করেছি, এখন পড়বো।
আপনি আসার আগে এই ব্লগে চিত্র কী ছিল আর এখন কী? পুরো ব্লগে চিত্রই বদলে দিয়েছেন। আপনার সর্ম্পকে যা শুনেছি সেটা সত্যই ছিল। এত দেরি করে ফিরলেন কেন?
শুভ কামনা রইলো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, সালাম জানবেন,
এই পয়েন্ট টা নিয়ে যখন লিখছি তখন শুরুতে আমিও আপনার মত কিছুটা কনফিউজ ছিলাম, ভাবছিলাম এই পয়েন্ট টা আনব কিনা, কিন্তু যখন স্কলাররা এগুলো নিয়ে লেখেন তখন সেই লেখনির পেছনে নিশ্চয়ই কিছু যুক্তি আছে, অনেক ভাবনা চিন্তা করে আমি যে সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম, সেটাই আপনাকে বলি। প্রথমেই মায়ান সভ্যতার লেখনি নিয়ে বলি যা পোষ্টে উল্লেখ্য আছে,
আবিষ্কৃত মায়ান পান্ডুলিপি থেকে যতদূর জানা যায়, তাতে বোঝা যায় ভাষার লৈখিক রূপ হিসেবে তাদের কোনো বর্ণমালা ছিল না। তবে কি তাদের ভাষা ছিল না? না। এমনটি নয়। তাদের ভাষা অবশ্যই ছিল, যেটা দিয়ে তারা ভাবের আদান-প্রদান করত। তবে বর্ণের পরিবর্তে তারা ব্যবহার কত কিছু সাংকেতিক ছবি বা চিহ্ন। এইসব সাংকেতিক ছবি পাশাপাশি এঁকে তারা তাদের ভাব বোঝাত।
ওলমেকরাও কিন্তু একই ধরনের বা কাছাকাছি সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে ভাব প্রকাশ করত। এখন এটা ধরে নেই যে, মায়ারা ওলমেকদের থেকেও প্রাচীন সভ্যতা। কিন্তু এর মানে এই না যে তারা শুরু থেকে সাংকেতিক লিপি আবিস্কার করেছিল, তারা লেখনি আবিস্কার করে অনেক অনেক পরে যেটার সাথে ওলমেকদের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্যনীয়। সেখান থেকে গবেষকরা সম্ভবতঃ দুটোর সময় এবং বৈশিষ্ট্য তুলনা করে দেখছেন যে লেখনির ব্যাপারটা মায়ারা ওলমেকদের কাছ থেকে ধার করছে। অনেক টা ছোট ভাইর কাছ থেকে অশিক্ষিত বড় ভাই বিদ্যা শিক্ষার মত। এটা একান্ত আমার ধারনা।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আর ভাই আমি কিছুটা লজ্জাই পেলাম, ব্লগ আগের মতই আছে, আমি এসে জাষ্ট তাতে কিছু যোগ করার চেষ্টা করছি, জানিনা সেগুলো মান সম্মত কিনা। জীবনের বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে দেখে কখনো লিখতে পারি কখনো লেখা হয় না। জীবনের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন ভাবে আমাকে প্রভাবিত করছে।
২৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৬
ঘুটুরি বলেছেন: অসাধারন, অসাধারন এবং অসাধারন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।
২৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
করুণাধারা বলেছেন: প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মধ্যে আমার বিশেষ আগ্রহ হরপ্পা- মহেন্জেদারো নিয়ে। পড়তে পড়তে ভাবছিলাম এটা বাদ দিলেন কেন! সবশেষে পাওয়া গেল, ছবিসহ হরপ্পা- মহেন্জেদারো! দারুন পোস্টের দারুন সমাপ্তি...পড়ে খুব ভালো লাগলো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন আপা।
২৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৩
জুন বলেছেন: .প্রাচীন সভ্যতা আর ইতিহাস আমাকে সব সময় টানে। অনেক ইচ্ছে করে বিশেষ করে ইনকা আর মায়া সভ্যতার গলিঘুচিতে ঘুরেফিরে আসতে। সব তো আর সম্ভব না তাই আপনার মত আমিও অনেক জায়গায় কল্পনায় ঘুরে আসি। চীন বেড়াতে গিয়ে এই সভ্যতার পরিচয় পেয়েছিলাম। এটা নিয়ে ব্লগে আমার লেখা। পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছিল। দেখতে পারেন শের শায়েরী।
https://www.somewhereinblog.net/blog/June/29862904
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭
শের শায়রী বলেছেন: আপা আপনি হলেন ব্লগের ইবনে বতুতা, ভ্রমনে আপনার যে জ্ঞান মনে হয়না খুব একটা কারো আছে। পোষ্ট দেখে কমেন্ট রেখে আসছি। মাতৃতান্ত্রিক নিওলিথিক যুগের লেখাটা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপা।
২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৫
জুন বলেছেন: Click This Link
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৮
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা, পোষ্ট ঘুরে মন্তব্য রেখে আসছি।
২৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩২
অনল চৌধুরী বলেছেন: এই সামান্য ব্যাপারটা আপনি কিভাবে বুজলেন না বুজলাম না?[/sbআমি মনে করেছিলাম,তারাও বোধহয় অন্যন্যদের মতো বাংলায় অভিবাসী হয়েছেন।
তিনি যে ইনকা মহিলা বিয়ে করেছেন,সেটা বুঝিনি।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সকল প্রাচীন সভ্যতাই প্রায় একই রকম ধাচ।
মুর্তি নির্ভর কাল্পনিক .. দেবতা ঈশ্বর। রাজা প্রজা দাস ...