নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
শার্লক হোমসঃ সৃষ্টি যখন স্রষ্টাকে ছাপিয়ে যায় তখন তাকে কি বলবেন? এমনই ঘটনা ঘটছে গোয়েন্দা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি শার্লক হোমসকে নিয়ে। শার্লক হোমসের নাম শোনে নি এমন মানুষ বোধ হয় পৃথিবীতে বিরল। স্বাভাবিক ভাবে সাহিত্যের গোয়েন্দা ধারাটি কিছুটা অপাংক্তেয় ছিল, কিন্তু শার্লক হোমসের সৃষ্টির পর বোদ্ধাদের সে নাক ছিটকানো বন্ধ হয়ে গেছে। কাল্পনিক এই চরিত্রটি তৈরী করেছিলেন স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। প্রথমেই ডয়েল সন্মন্ধ্যে দুটো কথা না বললে শার্লক হোমস কে নিয়ে কোন লেখা অসম্পূর্ন থাকে।
দ্বিতীয় বুয়র যুদ্ধ
আর্থার কোনান ডয়েল “নাইট” উপাধি পেয়েছিলেন দ্বিতীয় বোয়র যুদ্ধে (বোয়ার যুদ্ধ) ব্রিটিশ সরকারের নীতিকে সমর্থন করে দুটো বই “দ্যা গ্রেট বুয়র ওয়ার” এবং “দ্যা ওয়ার ইন সাউথ আফ্রিকা” লিখে। তিনি নিজেও এই যুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির মেডিকেল কোরে ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও তিনি ইতিহাস লিখছেন, “ব্রিটিশ ক্যাম্পেইন ইন ফ্লান্ডার্স” নামে যা ছয় খন্ডে বিভক্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার এক ছেলে অংশ নিয়ে মারা গেলে তিনি তিনি পরলোক তত্ত্বের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। এনিয়ে তার বিখ্যাত দুটো বইও আছে “দ্যা ওয়ান্ডারিংস অভ স্পিচ্যুয়ালিষ্ট” এবং “দি হিষ্টোরী অভ স্পিরিচ্যুলিজম” (২ খন্ড)।
Joseph Bell
১৮৫৯ সালে শার্লক হোমসের স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েল এডিনবরাতে এক আইরিশ ফ্যামিলিতে জন্মগ্রহন করেন। ডাঃ যোশেফ বেল নামক তার এক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ হয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়ার সময় ১৮৭৬ সালে। অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষকই হলেন ডয়েলের তৈরী শার্লক হোমসের মুল উদ্দীপক। সার্জন ডাঃ বেল যে কোন রোগীকে সামান্য দেখেই তার সন্মন্ধ্যে তার জীবন জীবিকার ব্যাপারে নিখুত বলে দিতে পারতেন, যা আমরা শার্লক হোমসের মাঝে দেখতে পাই এবং গোয়েন্দা হিসাবে তাকে করেছে অনন্য। শার্লক হোমসের জবানীতে যা আমরা দেখতে পাই “ডিডাকশান” নামে। মুলতঃ শার্লক হোমসের এই ডিডাকশান ক্ষমতাই তাকে নিয়ে গিয়েছিল গোয়েন্দা হিসাবে সাধারন পাঠকের কাছে জনপ্রিয়তার চুড়ান্তে।
Edgar Allan Poe
এর বাইরেও ডয়েল এডগার এ্যালান পোর সৃষ্ট গোয়েন্দা আগস্তে দ্যুপে দ্ধারাও অনেকটা প্রভাবিত ছিলেন। আজকে ১৯শে জানুয়ারী এডগার এ্যালান পো জন্মদিন। তাকে শুভেচ্ছা।।
Oliver Wendell Holmes, Sr.
হোমস পদবীটি কোনান ডয়েল নিয়েছিলেন বিখ্যাত মার্কিন লেখক অলিভার ওয়েন্ডেল হোমসের নাম থেকে। আর শার্লক নামটি ধার করেন সে সময়ের এক সতীর্থ ক্রিকেটারের নাম থেকে। অনেকেই হয়ত জানেন না স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একজন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটার হিসাবে বিখ্যাত মেরিলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে (MCC) খেলছেন ১৮৯৯ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত। শার্লকের পুরো নাম ছিল “উইলিয়াম শার্লক স্কট হোমস।” শার্লক হোমসের জন্ম ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল বেলায়।
Arthur Conan Doyle
আর্থার কোনান ডয়েল ডাক্তার হিসাবে অনেক দিন ভারতবর্ষে চাকুরী করেন, ভারতবর্ষের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি শার্লক হোমসের প্রথম উপন্যাস লেখেন “আ ষ্টাডি ইন স্কারলেট” (১৮৮৭)।মাত্র তিন সপ্তাহে লিখিত এই উপন্যাস প্রথম দিকে কেউ ছাপাতে চায় নি, বেশ কিছু প্রকাশক এই বই ফিরিয়ে দেয়। পরে “বিটন’স ক্রিসমাস এ্যানাল” পত্রিকায় প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস বেশ ফ্লপ খায়, এ অবস্থায় ডয়েল কিছুটা নিরুসাহিৎ হয়ে পড়েন। কিন্তু “লিপিনকোট মান্থলি ম্যাগাজিন” এর এডিটর জোসেপ ষ্টুডার্টের সাথে এক ডিনারে ষ্টুডার্ট এবং ওই ডিনারের আর এক অংশ গ্রহনকারী অস্কার ওয়াইল্ডের উৎসাহে ডয়েল দ্বিতীয় উপন্যাস লেখায় হাত দেন, এখানে উল্লেখ্যযোগ্য ঐ ডিনারের অস্কার ওয়াইল্ড তার এক মাত্র উপন্যাস “দ্যা পিকচার অভ ডোরিয়ান গ্রে” লেখার জন্যও রাজী হন ষ্টুডার্টের অনুরোধে। ধারাবাহিক ভাবে “লিপিনকোট ম্যাগাজিন” এর জন্য লিখিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস “দ্যা সাইন অভ ফোর” (১৮৯০)। এর পর ইতিহাস। শার্লক হোমস কে নিয়ে ডয়েল লিখেন চারটি উপন্যাস বাকী দুটোর নাম “দ্যা হাউন্ড অভ বাস্কারভিল” এবং “দ্যা ভ্যালি অভ ফিয়ার”। এছাড়া ছোট গল্প লেখেন ৫৬ টি।
শার্লক হোমস এবং ডাঃ ওয়াটসন
চারটি বাদে সব কটি কাহিনিই হোমসের বন্ধু তথা জীবনীকার ডা. জন ওয়াটসনের জবানিতে লেখা। দুটি গল্প ("দ্য ব্লাঞ্চেড সোলজার্স" ও "দ্য লায়ন’স মেন") হোমসের নিজের জবানিতে এবং অন্য দুটি গল্প ("দ্য ম্যাজারিন স্টোন" ও "হিজ লাস্ট বো") তৃতীয় পুরুষে লেখা। দুটি গল্প আবার ("দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল" ও "দ্য গ্লোরিয়া স্কট) হোমস ওয়াটসনকে নিজের স্মৃতি থেকে শুনিয়েছেন, এবং ওয়াটসন সেখানে কাহিনির কাঠামোটিই বর্ণনা করেছেন। প্রথম উপন্যাস “আ স্টাডি ইন স্কারলেট” -এর মধ্যবর্তী অংশে হোমস ও ওয়াটসনের অজ্ঞাত ঘটনার দীর্ঘ বর্ণনা করা হয়েছে এক সর্বজ্ঞ বর্ণনাকারীর জবানিতে।
The Final Problem and The Reichenbach Fall
ছোট গল্প সংকলন নিয়ে তার প্রথম গ্রন্থ “দ্যা এ্যাডভেঞ্চারস অভ শার্লক হোমস” এ ১২ টি গল্প স্থান পায় এর পর “দ্য মেমোয়ার্স অভ শার্লক হোমস” এর গল্প লিখতে গিয়ে ডয়েল কিছুটা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলেন, কারন ততদিনে পাঠকরা হোমসকে আপন করে নিয়েছে, স্রষ্টার থেকে সৃষ্টি প্রাধান্য পাওয়া শুরু করছে শার্লক হোমসের নামের অতলে আর্থার কোনান ডয়েল নামটি হারিয়ে যেতে বসেছে বিরক্ত হয়ে শার্লক হোমসকে মেরে ফেলার জন্য লিখলেন “দ্যা ফাইনাল প্রবলেম।” যে গল্পে শার্লক হোমস চিরশত্রু প্রফেসর জেমস মারিয়ার্টির সাথে রাইকেনবাকের সেই ভয়ঙ্কর খাদের কিনারায় মারামারি করতে করতে হারিয়ে গেল জলপ্রপাতের অতলে। হোমসের মৃত্যু হল কিন্তু এখানে ডয়েল সামান্য ফাক রাখলেন, শার্লক হোমসের মৃতদেহ পাওয়া গেল না।
Sherlock Holmes - Empty house
সমস্যা তৈরী হল এর পর, পাঠকদের কাছে তখন হোমস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তাদের প্রচন্ড চাপে বাধ্য হয়ে ডয়েল হোমসকে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হলেন “দ্যা রিটার্ন অভ শার্লক হোমস” এর “দ্যা এম্পটি হাউজ” গল্পের মাধ্যমে। ভক্তকুলের চাপে মৃত গোয়েন্দাকে ফিরিয়ে আনতে এমন নজির বিশ্ব সাহিত্য ইতিহাসে দ্বিতীয়টি নেই।
Professor Challenger
ওদিকে হোমসের পর্ব লিখতে লিখতে ডয়েল মারাত্মক বীতশ্রদ্ধ। তার অন্যান্য অসাধারন সাহিত্যকর্মগুলো শার্লক হোমসের নামের চাপে হারিয়ে যেতে বসেছে, মনস্থ করলেন শেষ করে দেবেন হোমসের গোয়েন্দা জীবন। ১৯১৪ সালে লেখা “হিজ লাষ্ট বাউ” তে আমরা দেখতে পাই হোমস মৌমাছি চাষে ব্যাস্ত হয়ে গেছে আর ডয়েল হোমসের মুখ দিয়ে বলিয়ে নিলেন, “এই আমার শেষ তদন্ত।” হোমসকে মারার চক্রান্ত স্বরূপ ডয়েল সৃষ্টি করলেন আর এক ক্লাসিক ক্যারেক্টার “প্রফেসর চ্যালেঞ্জার” যার দেখা পাই তার রচিত “দ্য লষ্ট ওয়ার্ল্ডে” (১৯১২)। আমার পড়া ডয়েলের শ্রেষ্ট উপন্যাস এটা। কিন্তু হা হুতোস্মি।
The Adventure of the Mazarin Stone
ডয়েল তত দিনে বাধা পরে গেছেন নিজের সৃষ্টি শার্লক হোমসের জালে, নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়ছেন, অবস্থাদৃষ্টে দেখা গেল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে হোমসের হাত থেকে নিস্তার পায়নি, আসলে হোমসের বড় শত্রু ততদিনে প্রফেসর মারিয়ার্টি না ডয়েল নিজেই। ইচ্ছা করলেই হোমসকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না, আবার ফেরত আসল হোমস। “দ্য কেস বুক অভ শার্লক হোমস” এ “দ্যা এ্যাডভেঞ্চার অভ দ্যা ম্যাজারিন ষ্টোন” গল্প দিয়ে আবারো শার্লক হোমস ফেরত আনলেন গোয়েন্দাগিরিতে। স্রষ্টাকে বারবার ফিরে যেতে হয় তার সৃষ্টির কাছে।
Adrian Conan Doyle, age 19, with his father Sir Arthur
১৯৩০ সালে স্যার কোনান ডয়েল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিস্তার পান নি শার্লক হোমসের হাত থেকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, রাষ্ট্রেরপ্রধান থেকে সাধারণ জনতা সবাই ছিল তার পাঠক। এর প্রমাণ পাওয়া যায় তার মৃত্যুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের বক্তব্য থেকেই। তিনি বলেন, “তার (স্যার আর্থার কোনান ডয়েল) প্রতি আমার প্রশংসার অন্ত নেই। নিশ্চয়ই তার প্রতিটি লেখা আমি পড়েছি এবং মুগ্ধও হয়েছি।” স্রষ্টা মারা গেলে সৃষ্টির ও বিনাশ হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু শার্লক হোমসের ক্ষেত্রে তা ঘটল না, নতুন প্রজন্মের নতুন মেধাবীরা নিজেদের আলাদা সৃষ্টি না করে শার্লক হোমস লিখে যেতে থাকে। ১৯৫২ সালে অর্থ্যাৎ স্যার ডয়েলের মৃত্যুর ২২ বছর পর হোমসকে নিয়ে প্রকাশিত হয় একটি কাহিনী সংকলন “দ্য এক্সপ্লয়েন্ট অব শার্লক হোমস” যারা লিখেছেন তাদের একজন আর্থার কোনান ডয়েলের ছেলে “অ্যাড্রিয়ান কোনান ডয়েল” অন্য জন ঔপন্যাসিক জন ডিকসনকার। তাদের এই যৌথ প্রযোজনা মুল লেখক স্যার ডয়েলের লেখার থেকেও ভালো হয়েছে বলে অনেক বোদ্ধার মতামত। পাঠকেরাও মুগ্ধ। এরপর বহু বিখ্যাত লেখক শার্লক হোমস কে নিয়ে লিখছেন বিখ্যাত সব গোয়েন্দা কাহিনী।
Sherlock Holmes: The Devil's Daughter
জন টমসনের “দ্য সিক্রেট ফাইলস অব শার্লক হোমস”, হেনরি লেজার্ডের “দ্য সেভেন পার্সেন্ট সল্যুশন”, মাইকেল ডিবডিনের “দ্য লাষ্ট শার্লক হোমস ষ্টোরী”। লেখক ভিন্ন হলেও শার্লক হোমস সেই আদি অকৃত্রিম। সেই চলন বলন, সেই বুদ্ধিদীপ্ত ডিডাকশান, সেই ভাবভঙ্গি, হতাশায় আক্রান্ত হলে মাদক নেয়া সব ...... সব সেই ডয়েলের সৃষ্টি হোমসের। কোন পার্থক্য নেই। এক গত শতকের নব্বই দশকে হোমস কে নিয়ে লেখা হয়েছে পাঁচটি উপন্যাস, তিনটি নাটক এবং সতেরটি ছোট গল্পের সংকলন।
michael dibdin - last sherlock holmes story
“দ্যা ফাইনাল প্রবলেম” গল্পে হোমসের চির শত্রু প্রফেসর মারিয়ার্টির সাথে যুদ্ধ করতে করতে জলপ্রপাতে হারিয়ে গিয়েছিল হোমস ঠিক সেখান থেকেই শুরু ডিবডিনের “দ্যা লাষ্ট শার্লক হোমস ষ্টোরী”। এই উপন্যাসে দেখা যায় লন্ডনের কুখ্যাত নারী হত্যাকারী সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্যা রিপারকে (এখানে লিঙ্কে “মিষ্ট্রিয়াস রেপিষ্টঃ জ্যাক দ্য রিপার” আনসলভড মিষ্ট্রি দেখুন) ধাওয়া করছে হোমস। কল্পনা বাস্তবের এক অসামান্য মিশেল সে গল্প।
অতি সম্প্রতি বের হয়েছে “ম্যামথ বুক অভ নিউ শার্লক হোমস এ্যাডভেঞ্চার”। আবারো ফিরে এসেছে শার্লক হোমস। এই সংকলনটির সম্পাদক মাইক এ্যাশলে। নতুন প্রজন্মের গোয়েন্দা কাহিনীকাররা আবারো ফিরিয়ে এনেছেন ডাঃ ওয়াটসনের কথকের মাধ্যমে চির নতুন পুরাতন শার্লক হোমসকে। এটা এক প্রকার নিশ্চিত সামনে আরো কাহিনী আমরা দেখব হোমস কে নিয়ে হয়ত তখন আমরা বেচে থাকব না কিন্তু বেচে থাকবে স্যার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস।
221B Baker Street: Sherlock Holmes
যখন চিঠি লেখার চল ছিল প্রতিদিন গড়ে ৪০/৫০ টা চিঠি আসত ২২১, বি বেকার ষ্ট্রীটের ঠিকানায়, সে সব চিঠির উত্তর ও দিত ওয়াটসন। আসলে উত্তর দেয়া হত হোমস সোসাইটির পক্ষ থেকে। চিঠির প্রেরকদের জানানো হত “আমরা দুঃখিত হোমস এখন আর গোয়েন্দাগিরি করছেন না, সে তার পেশা ছেড়ে মৌমাছি পালনে ব্যাস্ত।” জানি না আধুনিক কালে হোমসের নামে কোন ইমেইল আছে কিনা? থাকার তো কথা, কারন শার্লক হোমস তো মারা যায় নি, যত দিন গোয়েন্দা কাহিনী থাকবে শার্লক হোমস জীবিত থাকবে নিঃসন্দেহে, যে তার মরনশীল স্রষ্টার মত নয়, অমর এক চরিত্র।
শার্লক হোমস রচনা সমগ্র বাংলায় ক্লিক করে সব গল্প উপন্যাস ডাউন লোড করুন
বাংলা গোয়েন্দাদের নিয়ে অনেক আগে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন কাকাবাবু, অজু'ন এর স্রস্টারা এবং বাংলা উপন্যাসের অন্যান্য গোয়েন্দাদের তালিকা
ব্যোমকেশ বক্সী, কিরীটি রায়, ফেলুদা, কর্নেল নিলাদ্রি সরকার এর স্রষ্টারা
কাজী আনোয়ার হোসেন , মাসুদ রানা
কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল এর বিভিন্ন সাইট এবং কিছু পত্রিকা এবং বই
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৯
শের শায়রী বলেছেন: ইশ এটা জানতামই না আজকে পো'র জন্মদিন তাহলে তাকে নিয়েই পোষ্ট দিতাম। আমার অতি প্রিয় একজন রাইটার। পো'র প্রভাব জানতে আপনি হাফপোষ্ট ব্লগের লিঙ্কের পোষ্ট টির 10 Things You Didn’t Know About Sherlock Holmes দুই নাম্বার পয়েন্ট টা দেখুন কাইন্ডলি। আমিও হাউন্ড অভ বাস্কারভিলের ইন্ডিয়ার অনুবাদ পড়ে আজ থেকে প্রায় ৩৫/৩৬ বছর আগে, এর পর একে একে ওর সব গল্প উপন্যাস পড়া হয়ে গেছে। অসাধারন সে সব স্মৃতি! ওই বয়সে শার্লক হোমস আমাকে স্থায়ী ভাবে মুগ্ধ করে রেখে দিয়েছে।
মজা লাগল সাইন অভ ফোর পড়ার সময় আপনার এবং আপনার বন্ধুর বাতচিত।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩০
শের শায়রী বলেছেন: ভাই পোষ্ট একটু এডিট করে প্রিয় লেখক কবি এলান পোর ছবি দিয়ে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানালাম। এর সমস্ত কৃতিত্ব আপনার। কৃতজ্ঞতা জানুন।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০০
Sujon Mahmud বলেছেন: ভালো লিখেছেন।অনেক কিছু জানলাম
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২১
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: Wow!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৪
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোট কয়টা বই, ইন্টারেষ্টিং বই?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২২
শের শায়রী বলেছেন: উপন্যাস ৪ টি আর ছোট গল্প ৫৬ টি যা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল লিখে গেছেন। আর শার্লক হোমস ইন্টারেষ্টিং বই কিনা এর জবাব কেমতে দেই মুরুব্বী!!!!!!! পইড়া দেখতে পারেন, দুই চাইরটা।
উপন্যাস
রক্ত সমীক্ষা (আ স্টাডি ইন স্কারলেট)
চিহ্ন চতুষ্টয় (দ্য সাইন অফ দ্য ফোর|দ্য সাইন অব দি ফোর)
বাস্কারভিলের কুকুর (দ্য হাউন্ড অব দ্য বাস্কারভিলস)
আতঙ্কের উপত্যকা (দ্য ভ্যালি অব ফিয়ার)
ছোট গল্প
খণ্ড ১ - দ্য এডভেঞ্চার অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের অভিযান)
এ স্ক্যান্ডাল ইন বোহেমিয়া (বোহেমিয়ায় কেলেঙ্কারি)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য রেড-হেডেড লীগ (রক্তকেশ সংঘ)
এ কেস অব আইডেন্টিটি (পরিচয় রহস্য)
দ্য বসকোম্ব ভ্যালি মিস্ট্রি (বসকোম্ব উপত্যকার রহস্য)
দ্য ফাইভ অরেঞ্জ পিপস্ (কমলালেবুর পাঁচটি বীচি)
দ্য ম্যান উইদ্ দ্য টুইস্টেড্ লিপ (অন্তর্ধান)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ব্লু কারবাঙ্কল (নীল পদ্মরাগ)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য স্পেকলড্ ব্যান্ড (ডোরাকাটা ফিতে)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ইঞ্জিনিয়ার'স থাম্ব (যন্ত্রবিদের বৃদ্ধাঙ্গুল)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য নোবেল ব্যাচেলর (সম্ভ্রান্ত কুমার)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য বেরিল করোনেট রত্ন-মুকুট)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য কপার বিচেস
খণ্ড ২ - দ্য মেমোয়ার্স অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের স্মৃতিকথা)
সিলভার ব্লেজ
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য কার্ডবোর্ড বক্স (কার্ডবোর্ড-বাক্সের বিচিত্র ঘটনা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ইয়েলো ফেস (হল্দে মুখ)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য স্টকব্রোকার'স ক্লার্ক (শেয়ার-দালালের কেরানি)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য গ্লোরিয়া স্কট
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য মাসগ্রেভ রিচুয়াল (মাসগ্রেভ তন্ত্র)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য রেইগেট স্কয়ার (রেইগেটের জমিদারবাবুরা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ক্রুকড্ ম্যান (অষ্টাবক্র মানুষটি)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য রেসিডেন্ট প্যাসেন্ট (আবাসিক রোগী)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য গ্রিক ইন্টারপ্রিটার (গ্রিক ভাষান্তরিক)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ন্যাভাল ট্রিটি (নৌ-চুক্তি)
দ্য ফাইনাল প্রবলেম (শেষ সমস্যা)
খণ্ড ৩ - দ্য রিটার্ন অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমস ফিরে এলো)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য এম্পটি হাউস (খালি বাড়ি)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য নরউড বিল্ডার (নরউডের স্থপতির রহস্য)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ড্যানসিং ম্যান (নাচুনে মানুষ)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সলিটারি সাইক্লিস্ট (নিঃসঙ্গ সাইকেল আরোহী)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য প্রায়োরি স্কুল (মঠ-বিদ্যালয়)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব ব্ল্যাক পিটার (কালো পিটার)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব চার্লস্ অগাস্টাস মিলভাটর্ন
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সিক্স নেপোলিয়ানস্ (ছয় নেপোলিয়ন)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য থ্রী স্টুডেন্টস (তিন বিদ্যার্থী)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য গোল্ডেন পিন্স-নেজ (সোনার চশমা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য মিসিং থ্রি-কোয়ার্টার (থ্রি-কোয়ার্টার নিরুদ্দেশ)
দ্য এডভেঞ্চার অব দ্য অ্যাবি গ্রেঞ্জ (মঠ কৃষিশালা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সেকেন্ড স্টেইন (দ্বিতীয় দাগ)
খণ্ড ৪ - হিজ লাস্ট বাউ (তার শেষ অভিবাদন)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব উইস্টেরিয়া লজ (উইস্টেরিয়া লজ-এর বিচিত্র ঘটনা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য রেড সার্কেল (লাল বৃত্তের বিচিত্র ঘটনা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ব্রুস-পার্টিংটন প্ল্যানস্ (ব্রুস-পার্টিংটন নক্সার বিচিত্র ঘটনা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ডাইয়িং ডিটেক্টিভ (মুমূর্ষু গোয়েন্দার বিচিত্র ঘটনা)
দ্য ডিসাপিয়ারেন্স অব লেডি ফ্রান্সেস কারফ্যাক্স (লেডি ফ্রান্সেস কারফ্যাক্সের অন্তর্ধান)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ডেভিল'স ফুট (দানব-পদের বিচিত্র ঘটনা)
হিজ লাস্ট বাউ (তাঁর শেষ অভিবাদন)
খণ্ড ৫ - দ্য কেস-বুক অব শার্লক হোমস (শার্লক হোমসের ঘটনা-পঞ্জী)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ম্যাজারিন স্টোন (ম্যাজারিন রত্ন-মণির রহস্য)
দ্য প্রবলেম অব থর ব্রিজ (থর সেতুর সমস্যা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ক্রিপিং ম্যান (অথর্ব অধ্যাপক রহস্য)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সাসেক্স ভ্যাম্পায়ার (সাসেক্সের রক্তচোষা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য থ্রি গ্যারিডেবস্ (তিন গ্যারিডেব)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ইলাস্ট্রিয়াস ক্লায়েন্ট (প্রখ্যাত মক্কেলের বিচিত্র ঘটনা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য থ্রী গ্যাবলস্
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ব্ল্যাঞ্চেড সোলজার (সাদা-মুখ সৈনিক)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য লায়ন'স মেন (সিংহের কেশর)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য রিটায়ার্ড কালারম্যান (রঙের গন্ধ)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য ভেইলড্ লজার (ঘোমটা রহস্য)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব দ্য সসকোম্ব ওল্ড প্লেস
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৪
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনার প্রতিটা লিখা অত্যন্ত তথ্যসমৃদ্ধ। অনেক কৃতজ্ঞতা এমনসব জ্ঞানগর্ভ লেখনীর জন্য। অনেক শুভকামনা।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা। আপনি অনেক সুন্দর লেখেন। আপনার লাষ্ট লেখায় একটা প্রশ্ন রেখে আসছি দয়া করে উত্তর জানাবেন।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩৪
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট । শার্লক হোমস অমনিবাস অনেক ছোটবেলার সংগ্রহ ,
তখন ভারতীয় বই পাওয়া অনেকটা কষ্টকর ছিলো । গত বছর এক বন্ধু পড়তে নিলো , পরে বলল হারিয়ে ফেলেছে। কি আর করা আমার কারো সাথে রাগারাগি করা হয় না ।এভাবে যে কত শত বই লোকে নিয়ে আর ফেরত দেয়নি তা আর বলে শেষ করা যাবে না । এক সময় তো লাইব্রেরির মতো খাতা কলম করেছিলাম কে কোন বই নিচ্ছে আর কবে ফেরত দিচ্ছে । একদিন কি করে যেন সেই খাতা ক্লাসের স্যারের হাতে চলে গেল। স্যার ভরা ক্লাসে জোরে জোরে পড়লেন প্রেম-১,প্রেম-২ । সেবা প্রকাশনীর বই ছিলো। আমি তো লজ্জায় লাল। তখন সিক্স এ পড়ি। স্যার বলল এই বয়সে প্রেমের বই্ পড়া........
এখন আর কোন বই এর মায়া করি না। যে যা চায় দিয়ে । ফেরত দিলে ভালো না দিলে আর কিছু বলি না ।
শুভকামনা রইলো প্রিয় ভাই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি, সব ব্যাপারে আমি এখনো ছাড় দেই কিন্তু বইর ব্যাপারে কোন ছাড় দেই না, তাও হয়ত বছরে ৪/৫ টা বই হারিয়ে যায়। আমি সহসা কাউকে বই ধার দেই না। সেবার প্রেম ১,২ পড়া। মুলত গত এক দেড় বছর যাবত সেবার বই পড়া হয় না তার আগে সব বইই পড়ছি মাসুদ রানা থেকে শুরু করে। এখনো পড়ি তবে রেগুলার না। আমার বই পড়ার অভ্যেসের জন্য সেবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
পাঠে কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: মিসির আলী কি গোয়েন্দা?
অথবা বোমকেশ?
বাংলাদেশের দুই জন গোয়েন্দা গল্প লেখকের নাম বলুন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই মিসির আলী গোয়েন্দা না, তবে তার মধ্যে হোমসের "ডিডাকশান" এর প্রচন্ড প্রভাব আছে। যার কারনে সে কারো কোন কিছু দেখে বা শুনে অনেক কিছু বলতে পারে আমরা দেখি। কিন্তু গোয়েন্দা অবশ্যই না।
বাংলা সাহিত্যে আমার মতে শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ। আর তার সহকারী অজিত। এই ব্যোমকেশ আর অজিত মধ্যেও অনেক মিল খুজে পাবেন আপনি যদি হোমস আর ওয়াটসনের তুলনা আনেন। অনেকেই হয়ত ফেলুদার নাম বলবে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে কিন্তু গুনগত মানে ব্যোমকেশ অনন্য।
বাংলাদেশের দুজন গোয়েন্দা লেখকের নাম বলতে বললে আমি শেখ আব্দুল হাকিম আর রকিব হাসানের নাম বলব। দুঃখ জনক হলেও স্বীকার করে নেই বাংলাদেশের কোন লেখক সেভাবে গোয়েন্দা কাহিনী লেখে নি, লজ্জার ব্যাপার ও বটে। এদিক দিয়ে কিন্তু ওপার বাংলার লেখকরা অনেক এগিয়ে, তারা বেশ কিছু চরিত্র তৈরী করছেঃ
অজিতকুমার পুততুণ্ড – কৌস্তভ
অদ্রীশ বর্ধন – ইন্দ্রনাথ রুদ্র
অনীশ দেব – এ.সি.জি
অসীম চট্টোপাধ্যায় – গোরাদা
কৃষাণু বন্দ্যোপাধ্যায় – বাসব
গৌতম রায় – নীল ব্যানার্জী
তপন বন্দ্যোপাধ্যায় – গার্গী
দীনেন্দ্রকুমার রায় – রবার্ট ব্লেক
ধীরেন্দ্রলাল ধর – গোবিন্দ
নলিনী দাস – গোণ্ডালু
নারায়ণ সান্যাল – পি.কে.বাসু
নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী – ভাদুড়ীমশাই
নীহাররঞ্জন গুপ্ত – কিরীটি রায়
প্রণব রায় ও অন্যান্য – প্রতুল লাহিড়ী
প্রভাবতী দেবী (সরস্বতী) – কৃষ্ণা
প্রেমেন্দ্র মিত্র – পরাশর বর্মা
পাঁচকড়ি দে – দেবেন্দ্রবিজয় ও অরিন্দম
বিমল কর – কিকিরা
বুদ্ধদেব বসু – চঞ্চল
বুদ্ধদেব গুহ –ঋজুদা
মানবেন্দ্র পাল – বাপ্পা
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য – হুকাকাশি
শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় – ব্যোমকেশ বক্সী
শিবরাম চক্রবর্তী – কল্কেকাশি (হুকাকাশির অনুকরণে)
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় – বরদাচরণ
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় – পাণ্ডব গোয়েন্দা – বাবলু, বিলু, ভোম্বল, বাচ্চু ও বিচ্ছু
সত্যজিৎ রায় – প্রদোষ মিত্র (ফেলু দা)
সমরেশ বসু – গোগোল
সমরেশ মজুমদার – অর্জুন
সুজন দাশগুপ্ত – একেনবাবু
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – কাকাবাবু , সন্তু
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ – কর্ণেল নিলাদ্রী সরকার
স্বপনকুমার – দীপক চ্যাটার্জি
হিমানীশ গোস্বামী – গর্জন
হেমেন্দ্রকুমার রায় – জয়ন্ত, মানিক ও ইনস্পেক্টর সুন্দরবাবু এবং হেমন্ত, রবিন ও ইন্সপেক্টর সতীশবাবু
সব্যসাচী সরকার : অনীশ চট্টোপাধ্যায় ওরফে মিতিন মাসি ও তাঁর সহকারী ভাগ্নে কোকো আর রনি
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় : দীপঙ্কর বাগচী ওরফে দীপ কাকু ও তাঁর সহকারী ঝিনুক
সুচিত্রা ভট্টাচার্য : প্রজ্ঞাপারমিতা মুখোপাধ্যায় ওরফে মিতিন মাসি ও তাঁর সহকারী টুপুর
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২২
নতুন বলেছেন: শাল`ক হোমস সমগ্র ২ খতম দিয়েছিলাম যখন বইএর পোকা ছিলাম
যতগুলি মুভি বা টিভি সিরিজ সামনে পড়েছে সবই দেখেছি
এমন একটা চরিত্র তৌরি করা আসলেই প্রায় অসম্ভব কাজ।
তাই এমন চরিত্র আর কেউই করতে পারেনাই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: শার্লক হোমস সমগ্র আমার কালেকশানে আছে, কিরিটি সমগ্র ১৬ খন্ড আছে এছাড়া বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব গোয়েন্দাদের নিয়ে বই আমার কালেকশানে আছে । যেহেতু গত একশত বছরে হোমসের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ আসতে পারে নি ভবিষ্যতেও আসবে না, কারন প্রযুক্তির উৎকর্ষতাই প্রাইভেট গোয়েন্দাদের হারিয়ে যাবার কারন।
পোষ্টে আপনার মন্তব্য না পেলে কেমন যেন খালি খালি লাগে প্রিয় ভাই।
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
রানার ব্লগ বলেছেন: একটা মজার তথ্য দেই, আমার মা গল্পের বই এর উপর তার ভয়ানক বিরক্তি আছে। এর কারন অবশ্য আমি নিজেই, কারন ছট বেলায় বালিশের নিচে, বই এর আড়ালে, স্কুলের ব্যাগে, খাটের নিচে , এমন কথাও নেই যে মাই গল্পের বই না লুকিয়া রাখতাম, এমন কি আমার ব্যাকআপ প্লান ও থাক্তো যদি ধরা পরি তা হলে কি করব, যাই হোক মুল কথায় আসি, তো আম্মা একদিন আমি এত্ত কি পরি এটা বোঝার জন্য শার্লক হমসের সমগ্র (অনুবাদ) নিয়ে বসলেন, এবং লাস্ত এক সপ্তাহ ধরে পড়লেন এবং পুরা শেষ করে উঠলেন। তার মুখে আমি যে তৃপ্তির হাশি দেখেছিলাম সেটা অবর্ননিয়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন এক অভিজ্ঞতা। শার্লক হোমসের এ এক জাদু যে গল্পের বই পড়ুয়া না তার হাতেও এই বই তুলে দিলে পড়ুয়া হতে বাধ্য হবে।
আপনার মাকে আমার সালাম দেবেন। পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০
হাসান রাজু বলেছেন: যখন পড়েছি তখন অদ্ভুত একটা ভাল লাগা নিয়ে পড়েছি। এখন পড়লে মনে হয় প্রতিটি গল্প শেষে ১০০ তে ১০০ কৃতিত্বটা একা শার্লক হোমসকে সবসময় না দিলেও হত।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬
শের শায়রী বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন হয় স্বাভাবিক ভাবেই। তবে শার্লক হোমসে তাকে ছাড়া আর কৃতিত্ব দেবার ও কেউ নেই। রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দায় "ভুত থেকে ভুতে" একটা সিষ্টেম ব্যাবহার করে অপরাধীর খোজ বের করে মুলতঃ এটাও হমসের কাছ থেকে ধার করা, যেখানে হোমসের সুবিধাভোগী এক দঙ্গল রাস্তার ছেলে পেলে (টোকাই) এই কাজ করত।
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনার জুড়ি নেই ! চমৎকার বিশ্লেষণ। অনেক বই পড়তে হবে এখনো।
পোস্টে ভালো লাগা। ++
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৮
শের শায়রী বলেছেন: আমাকেও অনেক পড়তে হবে এখনো ভাই। অনেক কিছুই অজানা আছে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালোলাগা রইলো।
ভাই, আমি একটি গোয়েন্দা-চরিত্র-সৃষ্টি করতে যাচ্ছি।
গোয়েন্দা লালভাই
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৯
শের শায়রী বলেছেন: আপনার সাফল্য কামনা করছি। যেহেতু বাংলাদেশে তেমন কোন গোয়েন্দা নেই, কিছু ভালো প্লটের গল্প লিখলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠা পাবেন।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: @ রানার ব্লগ দারুন একটা মন্তব্য করেছেন।
শার্লক হোমস অমনিবাস বা শার্লক হোমস নিয়ে গল্প সংকোলন পড়েন নি এমন লোকজন আসলেও কম।
সৃষ্টি এবং সৃষ্টা নিয়ে দারুন পোস্ট পড়লাম। ডয়েলের পরেও যে শার্লক হোমস নিয়ে লেখা হয়েছে সেটা আমি জানতাম না।
শার্লক হোমস কে নিয়ে ভালো কিছু মুভি বানানো হয়েছে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাই এখানে একটা মজার তথ্য জানিয়ে রাখি হিউম্যান ক্যারেক্টার নিয়ে যত মুভি টেলিফ্লিম হয়েছে তার মাঝে বিশ্বে হোমসই শ্রেষ্ঠ তাকে নিয়ে ২২৬ টি মুভি, টেলিফ্লিম হয়েছে যাতে বিভিন্ন সময় ডজন খানেক অভিনেতা অভিনয় করছে (দেখুন 10 Things You Didn’t Know About Sherlock Holmes ) লেটেষ্ট দুটো হলিউডি মুভিতে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অভিনয় করছে। দারুন এন্টারটেইনিং।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০
দি রিফর্মার বলেছেন: শার্লক হোমস আমার পড়া জীবনের শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা গল্প। নচিকেতা ঘোষের অনুবাদ শার্লক হোমস রচনা সমগ্র পড়ার পর থেকে আর কোন গোয়েন্দা গল্প পড়ে মজা পাই না তা আজ প্রায় তিরিশ বছর। শার্লক হোমস রচনা সমগ্র বইটি কিনেছি চারবার। সম্পূর্ন রচনা সমগ্র পড়েছি ৭বার। বিটিভিতে মঙ্গলবার দেখানো হতো শার্লক হোমস। প্রায় প্রতিটি পর্ব দেখার চেষ্টা করেছি। স্টার প্লাসে ইংরেজি ও হিন্দিতে দেখেছি। বাংলাদেশ বেতারে ও শুনেছি ধারাবাহিক নাটক।এখনো দীপ্ত টিভিতে দেখি। জেরেমি ব্রেট অভিনীত শার্লক হোমস-এর ডিভিডিও সংগ্রহ করেছি সবগুলো।
শার্লক হোমসকে নিয়ে এত চমৎকার একটি লেখা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে তাকে নিয়ে আরো অনেক কিছু লিখবেন আশাকরি।
শুভ কামনা রইল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: হোমসের ব্যাপারে আপনি একজন বোদ্ধা সে বোঝাই যাচ্ছে। এগুলোও আপনি জানেন বলে বিশ্বাস করি আমি যা লিখছি। আপনার মত এক্সপার্টের সাথে আলাপে মজাই আলাদা। এক সময় আমিও রেডীও তে শুনছি। আর হোমস রচনা সমগ্র সেই কোন কালেই শেষ করছি। দীপ্ত টিভিতে কি হোমস দেখায় ভাই? কবে? কয়টায়? সেক্ষেত্রে দেখার একটা চান্স নেব।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: শার্লক হোমসের মতো জনপ্রিয় চরিত্র মনে হয় আর নেই।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০১
শের শায়রী বলেছেন: জ্বি না নেই এটা কনফার্মড।
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শার্লক হোমস, কিরীটি রায়, কুয়াশার শহীদ খান, ফেলু দা.......চরিত্রগুলো একসময়ে আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখতো। ভাবতাম, বড় হলে শখের গোয়েন্দা হবো। কিন্তু আমি বোকাসোকা মানুষ, গোয়েন্দা আর হতে পারলাম না।
এত বছরেও বেকার স্ট্রীটে গিয়ে শার্লক হোমসের মিউজিয়ামটা দেখা হয় নাই....আলসেমী করে। নেক্সট বার লন্ডন গেলে অবশ্যই যাবো, কথা দিলাম।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
শের শায়রী বলেছেন: ভালো বলছেন আপানি বোকাসোকা মানুষ!!!!!!
২২১, বি বেকার ষ্ট্রীট ঘুরে আইসেন এর পর একটা ফলো আপ দিয়েন
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর পেয়ে আমি মহা খুশি।
আপনি ওস্তাদ লোক। স্যলুট।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ধুর ভাই আমি ওস্তাদ লোক হতে পারি নাই এখনো। সামান্য কিছু বই পড়ছি এই পর্যন্ত।
সালাম ভাই।
১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৭
নতুন বলেছেন: ইন্টারনেটের আসক্তির কারনে এখন বই পড়া হয় না
কামলার ব্যস্ততার কারনে বই পড়া হয় না
আপনার সব লেখাই আমি পড়ি, সাধারন বন`না মুলক পোস্টে আলোচনার কিছু না থাকলে হয়তো কমেন্ট করিনা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩২
শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া নতুন ভাই। জেনে ভালো লাগছে সাথে আছেন।
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৭
দি রিফর্মার বলেছেন: দ্বীপ্ত টিভিতে শুক্রবার রাত ৮:8০। বাংলায় শার্লক হোমস। মন্তব্যের উত্তর পেয়ে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪১
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনি সময় করে সময় জানানোয়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭
এইচ তালুকদার বলেছেন: শার্লক হোমস এর উপর ডয়েলের শিক্ষকের প্রভাবের কথা জানতাম কিন্তু এ্যাডগার এ্যালান পো এর কথা আজই প্রথম জানলাম।যাই হোক আজ কিন্তু এ্যালান পো এর জন্মদিন।শৈশবে যখন ফিকশন আর ফ্যাক্ট আলাদা করতে শিখি নি তখনই শার্লক পড়া হয়েছিলো।বিশেষ করে হাউন্ড অফ বাস্কারভিল পড়ে অভিভুত হয়ে গেছিলাম।শৈশবের মজার স্মৃতি গুলোর মদ্ধে অন্যতম একটা হচ্ছে রাতে ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছে আর আমি জোরে চেচিয়ে উঠছি সেভেন টু ফোর আর আমার বন্ধু শুভ্র পাশের বাসা থেকে উত্তর দিচ্ছে ফোর টু সেভেন(সাইন অফ ফোর একসঙ্গে পড়েছিলাম আরকি)