নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে,
তখন ছিলাম বহুদুরে কিসের অন্বেষনে।।
তোমার কি মনে আছে কিভাবে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল? জানি মনে নেই থাকার কথাও না, তখন তুমি সদ্য কিশোরী, আমি সব উঠতি যুবক। কোন এক সন্ধ্যায়, এক কনে দেখা আলোয় যখন তোমায় আমি দেখছিলাম কেন যেন মনে হচ্ছিল বুকের বা পাশের হাড়ানো পাজরের হাড়টি খুজে পেয়েছি। সে তো অনেক কাল আগের কথা তাই না? কালের হিসাবে প্রায় আড়াই যুগ তো হবেই মনে আছে? আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের সে সময়ও যান্ত্রিক করে তুলতে পারেনি, যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এক মাত্র চিঠি। কে প্রথম কথা বলেছি তা আমারো মনে নেই, আবার কে প্রথম ভালোবেসেছি তাও তো ভুলে গেছি। প্রথম চিঠি হাতে পেয়ে আমার এটুকু খেয়াল আছে, অনেক অনেকক্ষন সে চিঠিকে ধরে রেখেছিলাম, অনুভব করছিলাম তোমার মিষ্টি নরম হাতের ছোয়া। জান অনেকক্ষন চিঠিটা পড়িনি, কারন পড়লেই শেষ হয়ে যাবে। প্রতিটা শব্দ পড়ে পড়ে থেমেছি। আবার প্রতিটা বাক্যের পর চোখ বুজে অনুভব করছি। আহ কি মধুর সময় ছিল সেদিন গুলো তাই না?
আজ ও অনেক, অনেক দিন পর তোমাকে দেখলাম, আমিও সেই সদ্য তরুন এক মাথা উড়ন্ত চুলের মালিক নই, তুমিও সেই চপলা কিশোরী নও। সময়ের দেনা তোমাকে যেমন শোধ দিতে হয়েছে আমাকেও দিতে হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। শরীরে যেমন বার্ধক্য বাসা বেধেছে মনেও তেমনি স্থবিরতা চলে এসেছে। প্রথম দেখার মত আজো এক সন্ধ্যায় অনেক অনেক যুগ পরে আমাদের দেখা। তবে এ দেখা আর সে দেখায় অনেক অনেক পার্থক্য তাই না, আজকেও আমিও তোমাকে চিঠি লিখতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না, তোমার আমার এত দুস্তর ব্যাবধান কিন্তু চোখের মিলনে কি একটি বারো তুমি কি সেই কিশোরী চপলমতি হয়ে যাওনি, কারনে অকারনে আমার পাশ দিয়ে যাবার সময় অপ্রয়োজনে আর কারো সাথে কথা বলার ছলে আমাকে কি তুমি তোমার গলার রিন ঝিনে কন্ঠ শুনাও নি? তোমার চুলের গন্ধ সেই আগের মতই আছে।
জানি তুমি কিছু ভোল নি, আমিও তো তেমনি কিছু হারাই নি। নিজের স্বামী সংসার নিয়ে নিজের সুখের কথা বলার ছলে আমার সংসার জীবনের সাথীর কাছে কি তুমি জিজ্ঞেস করনি যে আমার প্রেশার বেড়েছে কিনা? আমার কি এখনো হঠাৎ রেগে যাবার স্বভাব আছে কিনা? জানি আমি জানি তুমি জানতে চেয়েছ। আমি তো দূরে বসে অন্যমনস্ক হবার ভান করে আধুনিক ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটে চোখ রাখছিলাম।
আমার কবিতা আবৃত্তি তুমি খুব ভালোবাসতে। তবে নিজের আবৃত্তি নিয়ে কখনো আমি উচ্ছ্বসিত ছিলাম না যতটা তুমি ছিলে। তুমি যখন কথা বলছিলে, আমি তখন আমার অতি প্রিয় এক কবি রাজলক্ষী দেবীর কবিতা নিরুচ্চারে পড়ে যাচ্ছিলামঃ
জানি আমি একদিন বুড়ো হব । চশমার ফাঁকে ।
উলের কাঁটার ঘর গুনে গুনে কাটবে সময় ।
যদিও অনেক লোক আসে, যাই- দুটো কথা কয়-
মনে মনে জানা রবে, কেউ তারা খোঁজে না আমাকে।
এমনি মেহগ্নি আলো বিকেলের জানালা ছোঁবে ।
নরম চাঁদের বল ফের উঠে আসবে আকাশে ।
বাতাস সাঁতার দেবে সবুজ ঢেউএরই মত ঘাসে ।
আকাশের বুক ভরে তারারা বিছানা পেতে শোবে ।
শাদা চুল নেড়ে দাঁত , আয়নাই ভ্যাংচানো ছায়াকে
তখনো বলবো আমি রাজ্যচ্যুত রাজ্ঞীদের ভাষা ।
‘জানিস, আমার ছিলও সে এক আশ্চর্য ভালবাসা ।
তোর কি ক্ষমতা আছে মিথ্যে করে দিবে সে পাওয়াকে ?
তোমার নিরুচ্চারিত কন্ঠ আমাকে জিজ্ঞেস করছে আমি কি ভালো আছি? হ্যা আমি অনেক ভালো আছি, আমার ভালো লাগার সকালবেলার মিঠে রোধ এখনো ওঠে, সজনে পাতায় হাওয়া দিলে যে ঝির ঝির শব্দ হয় আমার এখনো ভালো লাগে, নিস্তদ্ধতার মাঝে চুপচাপ বসে থেকে নিঃশব্দ বাচালতা এখনো আমাকে আনন্দ দেয়। শীতের সন্ধ্যায় কৃষ্ণচুড়া গাছে আগুন লাগা সৌন্দর্য্যর নীচ দিয়ে হেটে যেতে এখনো শিহরিত হই। আমি ভালো আছি। আমি আগের মতই আছি।
কার ভুলে কি হয়েছে সে কথা এখন তোলা অবান্তর। নিয়তি বলে যে একটা কথা আছে আমরা চাইলেও তা এড়িয়ে যেতে পারি না, হয়ত কোন এক উছিলায় এটা হতই। এক দিক দিয়ে ভালোই হয়েছে কি বল তাই না? সংসারের নিত্য আলু, ডাল, চাল হিসাব করতে গিয়ে গরমিল বাধিয়ে নিজেদের মধ্য কলহ আমাদের কোন দিন কলুষিত করেনি। শুধু ভালো লাগার স্মৃতি গুলোই আমাদের আছে কোন কষ্টের স্মৃতি আমাদের কে বিষন্ন করে তোলে না, তাই না। আমার দুঃসময়ের কথা শুনে আমি জানি তুমি অনেক কেঁদেছ। এই তো ভালো হয়েছে কি বল? সংসারে দিন কাটাতে গেলে লেনা দেনার হিসাব মেটাতে গেলে সুসময়ের পাশাপাশি দুঃসময়ের দেনা চুকাতেও হয় বৈকি। ভাগ্যিস তুমি ছিলে না। হয়ত অনেক কিছু নিয়ে দায়ী করতে সেক্ষেত্রে আমাকে। ভালোবাসার অপর পিঠে লেখা থাকে কি জান? জান না? না জানলে তবে আর নাই বা বলি, কারন তোমার আর সে পিঠ টা দেখতে হবে না। ভালোবাসাটাই দেখ। ভালোবাসার মানুষকে কি কেউ কষ্ট দেয়?
তোমাকে লিখতে লিখতে গলাটা শুকিয়ে উঠছিলো পানি খেতে, গিয়ে পানির জগ থেকে যখন গ্লাসে পানি ঢালছিলাম সেই পানি শব্দে কি কোন সুর থাকে? কেন যেন মনে পড়ল, রিচার্ড বাখের ইল্যুশানের কয়েকটি লাইন, জানি অবান্তর তাও কেন যেন মনে পড়লঃ
ইওর অনলী
অবলিগেশান ইন এনী লাইফ টামটাইম
ইজ টু বী ট্রু টু ইউরসেলফ।
বীইং ট্রু টু এনিওয়ান এলস অর
এনিথিং এলস ইজ নট ওনলী
ইমপসিবল, বাট দ্যা
মার্ক অফ আ ফেক
মেসিহা
আমরা যাকে জীবন বলে জেনেছি তা নিছকমাত্র অভ্যেস, অতি তাচ্ছ্বিল্য অথবা দারিদ্রতা দুজনের মাঝে ঘোরতর অমিল সংসারে হবেই তাকে মানিয়েও নিতে হবে, সব শেষ একঘেয়েমি। সংসার জীবন এক সময় একঘেয়েমিতে সয়ে যেতে হয় যেমন সকাল শেষে দিন আসে আবার দিন শেষে রাত্রি আসে। আমাকে তুমি একদিন মেগালোম্যানিয়াক বলে রাগ করিছিলে, কারন আমি নাকি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। যাক ওইটুকু খারাপ বাক্যেই আমাদের জীবনের সব থেকে অসুখী সময়, কে জানে আজ যদি এক সাথে সংসার করতাম তবে আরো কি সব ম্যানিয়াক শুনতে হত।
ভাষার সীমাবদ্ধতা আমার সবসময়ই ছিল, নিজেকে প্রকাশ করতে পারিনি দেখেই আজকে হয়ত এই অবস্থা। তুমি ভালো আছ তো? আমি সব অপরাধ সব অনুযোগ মাথা পেতে নিচ্ছি। আমি সম্পূর্ন নির্গুন, এক দিন তুমি আমায় বলেছিলে প্রতিবাদ করিনি, কারো কাছে নিজেকে পূর্ন আলোয় প্রতিভাত করাও একটা যোগ্যতা তাও আমার নেই। কিছুই আমার নেই। আচ্ছা চিঠি অনেক বড় হয়ে গেল, সারাদিন লিখলেও শেষ হবে না। তোমাকে যাযাবরের “দৃষ্টিপাত” বইটি পড়তে দিয়েছিলাম, শেষের দিকে দেখ চারুদত্ত আধারকরের হাহাকার কিভাবে লেখা আছে সেখান থেকে ধার করেই না হয় তোমাকে বুজাবার চেষ্টা করি। তার আগে বিদায় নিয়ে নেই। ভালো থেক। সুখে থেক। অনেক সুখে থাক। এই অভিশাপ তো তোমাকে তোমার বিয়ের দিনই দিয়েছিলাম মনে আছে নিশ্চয়ই। আমাকে নিয়ে কষ্ট পেতে চাইলেও তুমি পাবে না। এই তোমাকে আমার অভিশাপ।
প্রেম আপন গভীরতায় নিজের মধ্যে একটি মোহাবেশ রচনা করে। সেই মোহের দ্বারা যাকে ভালোবাসি আমরা তাকে নিজের মনে মনে মনোমত গঠন করি। যে সৌন্দর্য তার নেই, সে সৌন্দর্য তাতে আরোপ করি। যে গুণ তার নেই, সে গুণ তার কল্পনা করি। সে তো বিধাতার সৃষ্ট কোনো ব্যক্তি নয়, সে আমাদের নিজ মানসোদ্ভূত এক নতুন সৃষ্টি। তাই কুরূপা নারীর জন্য রূপবান, বিত্তবান তরুণেরা যখন সর্বস্ব ত্যাগ করে, অপর লোকেরা অবাক হয়ে ভাবে, “কী আছে ঐ মেয়েতে, কী দেখে ভুললো?” যা আছে তা তো ঐ মেয়েতে নয়– যে ভুলেছে তার বিমুগ্ধ মনের সৃজনশীল কল্পনায়। আছে তার প্রণয়াঞ্জনলিপ্ত নয়নের দৃষ্টিতে। সে যে আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তাহারে করেছে রচনা।
জগতে মূর্খরাই তো জীবনকে করেছে বিচিত্র; সুখে দুখে অনন্ত মিশ্রিত। যুগে যুগে এই নির্বোধ হতভাগ্যের দল ভুল করেছে, ভালোবেসেছে, তারপর সারা জীবনভোর কেঁদেছে। হৃদয়নিংড়ানো অশ্রুধারায় সংসারকে করেছে রসঘন, পৃথিবীকে করেছে কমনীয়। এদের ভুল, ত্রুটি, বুদ্ধিহীনতা নিয়ে কবি রচনা করেছেন কাব্য, সাধক বেঁধেছেন গানচিত্র, ভাষ্কর পাষাণ-খণ্ডে উৎকীর্ণ করেছেন অপূর্ব সুষমা। জগতে বুদ্ধিমানেরা করবে চাকরি, বিবাহ, ব্যাংকে জমাবে টাকা, স্যাকরার দোকানে গড়াবে গহনা; স্ত্রী, পুত্র, স্বামী, কন্যা নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করবে সচ্ছন্দ সচ্ছলতায়। তবু মেধাহীনের দল একথা কোনদিনই মানবে না যে, সংসারে যে বঞ্চনা করল, হৃদয় নিয়ে করল ব্যঙ্গ, দুধ বলে দিল পিটুলী– তারই হলো জিত, আর ঠকল সে, যে উপহাসের পরিবর্তে দিল প্রেম।
অতি দুর্বল সান্ত্বনা। বুদ্ধি দিয়ে, রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে বলা সহজ–
জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা
ধূলায় তাদের যত হোক অবহেলা।
কিন্তু জীবন তো মানুষের সম্পর্ক বিবর্জিত একটা নিছক তর্ক মাত্র নয়। শুধু কথা গেঁথে গেঁথে ছন্দ রচনা করা যায়, জীবন ধারণ করা যায় না।
যে নারী, প্রেম তার পক্ষে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র। আবিষ্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে। মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর বাঁধে। ছেলেরা স্বভাবতই বেপরোয়া, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর ভাঙ্গে। প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতই নিতান্ত সাধারণ। তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিষ্ময়, না আছে উচ্ছ্বলতা। ছেলেদের পক্ষে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়। তাই প্রেমে পড়ে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্যসাধন। জগতে যুগে যুগে কিং এডওয়ার্ডেরাই করেছে মিসেস সিম্পসনের জন্য রাজ্য বর্জন, প্রিন্সেস এলিজাবেথরা করেনি কোনো জন, স্মিথ বা ম্যাকেঞ্জির জন্য সামান্য ত্যাগ। বিবাহিতা নারীকে ভালোবেসে সর্বদেশে সর্বকালে আজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে একাধিক পুরুষ; পরের স্বামীর প্রেমে পড়ে জীবনে কোনদিন কোনো নারী রয়নি চিরকুমারী। এমন প্রেমিকের জন্য কোন দিন সন্ধ্যাবেলায় তার কুশল কামনা করে তুলসীমঞ্চে কেউ জ্বালাবে না দীপ, কোন নারী সীমন্তে ধরবে না তার কল্যাণ কামনায় সিদুরচিহ্ন, প্রবাসে অদর্শনবেদনায় কোন চিত্ত হবে না উদাস উতল। রোগশয্যায় ললাটে ঘটবে না কারও উদ্বেগকাতর হস্তের সুখস্পর্শ, কোনো কপোল থেকে গড়িয়ে পড়বে না নয়নের উদ্বেল অশ্রুবিন্দু। সংসার থেকে যেদিন হবে অপসৃত, কোন পীড়িত হৃদয়ে বাজবে না এতটুকু ব্যথা, কোনো মনে রইবে না ক্ষীণতম স্মৃতি। প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলো দেয়না অথচ দহন করে। সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে পলে দগ্ধ হলেন বহু কাণ্ডজ্ঞানহীন হতভাগ্য পুরুষ।।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৮
শের শায়রী বলেছেন: পিকচার আভি বহুত বাকী হ্যায় মুরুব্বী।। আপনাকে বেকুব বানানো সামুর ইতিহাসে দুরূহতম কাজ গুলোর একটি বলেই আমার মনে হয়
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪৫
এমজেডএফ বলেছেন: আপনার স্মৃতিকাতর লেখাটি পড়ে কিশোর নস্টালজিয়ায় ফিরে গেলাম । আমাদের সে সময় চিঠি লেখা ছিল একটা আর্ট। সুন্দর চিঠি লেখার জন্য কত রকমের বই পড়তাম। কিশোর বয়সে বিনয় মুখোপাধ্যায়ের "দৃষ্টিপাত" বইটি পড়েছিলাম অনেক বার। বাংলা সাহিত্যের ব্যতিক্রমধর্মী এক গ্রন্থ, না গল্প না উপন্যাস না প্রবন্ধ! অথচ প্রতিটা লাইন মনে দাগ কাটার মতো। বাস্তব জীবনের সত্যকে কয়েকটা বাক্যের মধ্যে এত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যা আজ পর্যন্ত আর কোনো লেখক পারেন নি।
লেখা চমৎকার হয়েছে। তত্ত্ব ও ইতিহাসের বাইরে গিয়ে মাঝে মাঝে জীবনের কথাও লেখা প্রয়োজন। ভালো থাকুন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই কিছুদিন যাবত স্মৃতিকাতরতার পাশাপাশি, ব্যাক্তিগত কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছি, ইতিহাস বা বিজ্ঞান নিয়ে লিখতে গেলে যে পড়া বা প্রিপারেশান দরকার তা পেরে উঠছি না, আবার লিখতেও ইচ্ছে হয় তাই যা মনে হয় লিখে ফেলি।
আমার পড়া তিনটা বইর নাম বলতে বললে অবশ্যই "দৃষ্টিপাত" আসবে। প্রতিটা লাইন অসাধারন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩২
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: লিখার প্রথম অংশ পড়ে শ্রীকান্তের 'কে প্রথম কাছে এসেছি' গানটার কথা মনে পরে গেছে। আর পরের অংশ পড়তে যেয়ে ইন্দ্রানী সেনের 'আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেল' গানটার কথা মনে পড়ে গেল।
জীবনের গল্পটা বেশ দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। খুব ভালো লেগেছে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২২
শের শায়রী বলেছেন: জীবনের গল্প তো প্রতিদিনিই লিখে যাচ্ছি বোন সবাই আমরা। কিন্তু ব্লগের পাতায় দেয়া হয় না এই আর কি মাঝে সাঝে দু এক টা তুলে আনি যখন নিজের ওপর কন্ট্রোল থাকে না।
আপনি লিখছেন না কেন? একটা লিখে চুপ হয়ে গেলে কি হবে? লিখুন প্লীজ। আপনার লেখার হাত ভালো।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি হতাশায় আছেন? বিষন্নতায় ভূগছেন?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৩
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, আমি ইয়োলো সিনড্রোমে ভুগছি বলে মনে হয়। ঠিক হয়ে যাবে।
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৪
মা.হাসান বলেছেন: মনে চাইতেছে একখান মাইয়ার আইডি খুইলা আপনারে দেই একখান ঠ্যালা
প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য? হইতে পারে, তবে এক পক্ষকেই মনে হয় দেয়, আরেক পক্ষকে চোর বা ভিখিরি বানায়।
আমরা যাকে জীবন জানি তা নিছক অভ্যাস-- চরম সত্য। সব একঘেয়েমিই এক সময় সয়ে যায়, আসলেই।
তবে প্রেমের জন্য সোনার সংসার বা সমৃদ্ধ জীবন ত্যাগ করার ঘটনা মেয়েদের মাঝেও দেখেছি, অনেক। মেয়েদের মাঝেও দেখেছি ভালোবাসার মানুষকে না পেয়ে চিরকুমারি রয়ে গেছেন কেউ কেউ । কাজেই এই বিষয়ে এক মত হওয়া গেলো না।
ব্লগে প্রচুর কবি আছে। রাজলক্ষী দেবী বা আর কারো নতুন আমদানি না হলেই আমি খুশি হবো।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৯
শের শায়রী বলেছেন: ধুর ভাই মেয়েরা কি প্রেম করতে পারে ? দেখেন না যাযাবর কি লিখছে "যে নারী, প্রেম তার পক্ষে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র। আবিষ্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে। মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর বাঁধে। ছেলেরা স্বভাবতই বেপরোয়া, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর ভাঙ্গে। প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতই নিতান্ত সাধারণ। তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিষ্ময়, না আছে উচ্ছ্বলতা। ছেলেদের পক্ষে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়।
না রাজলক্ষীরে আনুম না বেটি মইরা গেছে ভাই রে আর আইডি মাইডি খুইলা ঠ্যালা ম্যালা দিয়েন না, আর কত সমু? সইতে সইতে বুড়া
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫০
ইসিয়াক বলেছেন: কবিতার মতো প্রাণে দোলা দিলো যেন ।
খুব ভালো। খুব ভালো । খুব ভালো।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০
শের শায়রী বলেছেন: ভালো থাকুন প্রিয় কবি। আমি চাই আপনি যেন অকালে অনেকের মত হারিয়ে না যান। লিখতে থাকুন। নিজেকে শুদ্ধ ঋদ্ধ করুন।।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ব্লগে পোস্ট আর কমেন্টের মাধ্যমে ব্লগার / লেখক /কবিকে চিনতে যাওয়া বোকামি।
আপনার অন্যান্য লেখা আর এই লেখাটা সেটাই প্রমান করে। মানুষ এমনিতেই রহস্যময় / রহস্য প্রিয় পারেনি আর সে লেখার মাধ্যমে আশেপাশের জগৎটাকে রহস্যে ঘিরে রাখে।
টিয়ারস ইন হ্যাভেন -- শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম কোন ঐতিহাসিক / কিংবদন্তি / উপকথা ঘটনা নিয়ে লিখেছেন।
কিন্তু পড়ে যেই ধাক্কা খেলাম , তাতে আপনাকে ভীষণ এক স্মৃতিকাতর এক মানুষ বলেই মনে হবে। একজন প্রকৃত ব্লগার /লেখক / কবির সার্থকতা এখানেই (আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তাই বলে ) ..... পোস্টে ভালো লাগা এবং প্রিয়তে নিলাম। ++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬
শের শায়রী বলেছেন: সৌরভ ভাই আমার মনে হয় কি জানেন আমরা অধিকাংশ মানুষ ই "ম্যান ইন মেনি ফেসেস"। অবশ্যই আর দশ জনের মত স্মৃতি আমাকে তাড়া করে, কষ্ট পেলে কাদতে ইচ্ছা করে।
আপনি আমার প্রিয় একজন মানুষ। পোষ্ট প্রিয়তে নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানুন।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেহেন দি ম্যা'ভাই, কল্লেন কি?
স্মৃতিকাতর করে দিলেন পুরাই।
হায় জীবন
হায় প্রেম
হায় স্বপ্ন
এই অসীম পাজল আছে বলেই জীবন বুঝি এত মধুর। প্রোগ্রাম্ড লাইফে সেই অননুভূতি কই!
দৈহিক সূখ-অসূখের বাইরে এই দীপ্তিহীন অগ্নির দহনই বুঝি জীবনকে করে জীবন্ত।
আহা, কুয়াশা ভোরে চলে যাওয়া ট্রেনে তার মূখ, হাতে তখনো উষ্ণ তার দেয়া রুমাল
সেই ঘ্রান, সেই সূখ- অন পে তে কই
শুধু পাওয়া নয় হারানোও বুঝি জীবনকে ঋদ্ধ করে জাগ্রত চেতনায়।
অপ্রাপ্তির শুন্যতাবোধ এগিয়ে দেয় অসীম মহাশুণ্যে সেই পরম সত্যে
অত:পর নির্মোহ নির্বাক পাথর চোখে
কেবলই দেখে যাওয়া
অনুভবে ছবি আঁকা -এইেতো জীবন।
সব হারিয়ে নিজেকে পাবার অসীম সূখানন্দ-
টিয়ারস অব হ্যাভেন
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১০
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই কি অসাধারন অনুভুতি। আপনি যেভাবে শব্দ নিয়ে বাক্য গঠন করেন আপনার মত এই গুন টা থাকলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করতাম আপনার ত্রয়ী সিরিজটার যার অনন্য উদাহরন।
শুধু পাওয়া নয় হারানোও বুঝি জীবনকে ঋদ্ধ করে জাগ্রত চেতনায়।
অপ্রাপ্তির শুন্যতাবোধ এগিয়ে দেয় অসীম মহাশুণ্যে সেই পরম সত্যে
অত:পর নির্মোহ নির্বাক পাথর চোখে
কেবলই দেখে যাওয়া
অনুভবে ছবি আঁকা -এইেতো জীবন।
সব হারিয়ে নিজেকে পাবার অসীম সূখানন্দ-
অতঃপর স্বর্গ নরক সব বিলীন হয়ে যায় সেখানে চোখের পানি আর হাসি এক মূল্যেই বিক্রিত।।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ম্যাভাই।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে ব্লগে ইতিহাস, রহস্য নিয়া আছেন.......ক্যান আইজ-কাইল খামোখা কাব্যের দিকে যাইতাছেন, মাথায় ঢুকলো না।
শোনেন, প্রেম জীবনকে দিনশেষে কিছুই দেয় না। যা দেয় তা হইলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি অথবা হ্রাস। প্রেম নিয়া সময় নষ্ট করার মানে হইলো, আল্লাহ যে লিমিটেড হায়াতটুকু দিছেন.......সেইটার অপচয়। আর জানেন তো, অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। এখন আপনে কি হইবেন, এইটা আপনের ব্যাপার।
আমার যা কওনের কইলাম!!!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: ভুইয়া ভাই আপনার মন্তব্যে সুপার লাইক। শয়তানের ভাই হবার কোন ইচ্ছা নাই। আপনের যা কওনের কইছেন, আমি অক্ষরে অক্ষরে মাইনা নিব, তয় আপনে মিয়া কত সময় অপচয় করছেন জানবার মোঞ্চায়
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টের এই ছবিটাই কুফা। এই ছবি নিয়ে আমিও একটা ছ্যাকা খাবার গল্প লিখেছিলাম। তবে এই লেখাটা দারুন লেগেছে।
অতীতের স্মৃতিকে স্পর্শ করে যাবার মতো। বিরহ পুরুষ কে শক্ত আর মেয়েদের কে করে হৃদয়হীনা।
মানব জীবনের ঘুর্নায়মান বর্তে সবাইকে ছোট থেকে বড় হয়ে একসময় পৃথিবী চলে যেতে হয়। জীবন সায়াহ্নে শুধুই রয়ে যায় পাওয়া আর না পাওয়ার স্মৃতি গুলি। বেদনা আর সুখের অনুভুতি গুলি। এভাবেই কেটে যায় দিন বদলের পালা, এভাবে বদলে যায় উত্তরাধীকারের পালা.......
ভালো থাকুন আর সুন্দর সব লেখা উপহার দিন আমাদের।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাইকে কয়েক টা প্রিয় লাইন উৎসর্গ করলাম -
যে নারী, প্রেম তার পক্ষে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র। আবিষ্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে। মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর বাঁধে। ছেলেরা স্বভাবতই বেপরোয়া, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর ভাঙ্গে। প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতই নিতান্ত সাধারণ। তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিষ্ময়, না আছে উচ্ছ্বলতা। ছেলেদের পক্ষে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়। তাই প্রেমে পড়ে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্যসাধন। জগতে যুগে যুগে কিং এডওয়ার্ডেরাই করেছে মিসেস সিম্পসনের জন্য রাজ্য বর্জন, প্রিন্সেস এলিজাবেথরা করেনি কোনো জন, স্মিথ বা ম্যাকেঞ্জির জন্য সামান্য ত্যাগ। বিবাহিতা নারীকে ভালোবেসে সর্বদেশে সর্বকালে আজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে একাধিক পুরুষ; পরের স্বামীর প্রেমে পড়ে জীবনে কোনদিন কোনো নারী রয়নি চিরকুমারী। এমন প্রেমিকের জন্য কোন দিন সন্ধ্যাবেলায় তার কুশল কামনা করে তুলসীমঞ্চে কেউ জ্বালাবে না দীপ, কোন নারী সীমন্তে ধরবে না তার কল্যাণ কামনায় সিদুরচিহ্ন, প্রবাসে অদর্শনবেদনায় কোন চিত্ত হবে না উদাস উতল। রোগশয্যায় ললাটে ঘটবে না কারও উদ্বেগকাতর হস্তের সুখস্পর্শ, কোনো কপোল থেকে গড়িয়ে পড়বে না নয়নের উদ্বেল অশ্রুবিন্দু। সংসার থেকে যেদিন হবে অপসৃত, কোন পীড়িত হৃদয়ে বাজবে না এতটুকু ব্যথা, কোনো মনে রইবে না ক্ষীণতম স্মৃতি। প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলো দেয়না অথচ দহন করে। সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে পলে দগ্ধ হলেন বহু কাণ্ডজ্ঞানহীন হতভাগ্য পুরুষ।।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন: .... শোনেন, প্রেম জীবনকে দিনশেষে কিছুই দেয় না। যা দেয় তা হইলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি অথবা হ্রাস। প্রেম নিয়া সময় নষ্ট করার মানে হইলো, আল্লাহ যে লিমিটেড হায়াতটুকু দিছেন.......সেইটার অপচয়। আর জানেন তো, অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। এখন আপনে কি হইবেন, এইটা আপনের ব্যাপার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
শের শায়রী বলেছেন: ভুইয়া ভাই কিন্তু অনেক মুল্যবান একটা কোট করছে অনেক অভিজ্ঞতার নিরিখে
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৪
ক্লে ডল বলেছেন: মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা!! বারবার পড়ার মত লেখা!!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৮
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানুন বোন।।
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৩
শিখা রহমান বলেছেন: শায়রী আপনার এই লেখাটা বিষন্ন করে দেয়। আগামীকে আসতেই হয় আর অবধারিতকে বরণ করতেই হয়। মন এক আশ্চর্য বস্তু!! সব বোঝার পরেও কোথাও বিষাদ, কোথাও আশা রেখেই দেয়।
রাজলক্ষী দেবীর এই কবিতাটা আমার খুব প্রিয়। কবিতার ব্যবহার যথার্থ হয়েছে।
শুভকামনা নিরন্তর প্রিয় ব্লগার।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন বোন।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্মৃতি, ভালোবাসা অপমান এগুলোর সমষ্টিই জীবন তবে সব শেষে ভালোলাগা।
রাজলক্ষী দেবীর এই কবিতাটি আমার অসম্ভব প্রিয়।
ভালো থাকুন নিরন্তর।।
১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৯
সোহানী বলেছেন: এই কে আছিস, শের ভাইয়ের মনে দাগা দিয়েছে কে এই সুন্দরী... এখ্খনি ধরে আন । শুধু নাম ঠিকানা কন শের ভাই, ১৮ বছর পার হইছে তো কি হইছে আমার ধইরা আনুম তারে..............।
খুব ভালো লাগলো আপনার এক পাক্ষিক প্রেমিকের দু:খবোধগুলো। সাথে কবিতার সংযোগ লিখাটিকে অনবদ্য করেছে। আর হাঁ, এরকম স্মৃতির ডিপ্রেশান ভালো। নিজের জীবন, কষ্টগুলো, আনন্দগুলোকে ব্যালেন্স সিটের পাল্লায় মাপা যায়। তারপর কিছুদিন ঝড়ঝড়ে জীবন.........। যদি কোন সাসপেন্স এ্যাকাউন্ট থাকে তা পরবর্তীতে মেলাতে সহজ হয়।
গাজি ভাইয়ের মন্তব্যে হাসির ইমো হবে। আর ভুয়া মফিজ ভাইয়ের মন্তব্যে সুপার লাইক হবে
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
শের শায়রী বলেছেন: বইন হিসাবে এক্টটূ ভুল অইছে ১৮ বছর না, লিখছি প্রায় আড়াই যুগ, মানে ২৯/৩০ বছর সুন্দরী আর সুন্দরী নাই, বুড়ী অইয়া গ্যাছে গা জীবনের ভুল গুলোকে না পাওয়ার কষ্টকেও আমি এখন উপভোগ করতে শিখে গেছি। বয়সের কামড় যেমন আছে, তেমনি কিছু সৌন্দর্য্যও আছে। সে রকম আর কি।
শুধু মাঝে মাঝে মানুষের হীনতা, নীচতা কিছু কষ্ট দেয়, তবে সেটাও সয়ে যায় এক সময়। আমার লেখা পইড়া নাকি মুরুব্বী তব্দা খাইছে, এইডা একটা ব্যাপারই বটে। আর মফিজ ভাই একটা জিনিস!
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:০৮
হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: এই সুখী রূপী অসুখের গল্প কবিতার বোল ধরে লিখেন নিমো ভাই
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
শের শায়রী বলেছেন: আমি যে কবি না ভাই, শব্দগুলো যে কবিতা হয় না, উপরন্ত কবিতা গদ্য হয়ে যায় বাস্তবতার নিরিখে।
১৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভালো থাকুন প্রিয় কবি। আমি চাই আপনি যেন অকালে অনেকের মত হারিয়ে না যান। লিখতে থাকুন। নিজেকে শুদ্ধ ঋদ্ধ করুন।।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনারা আছেন বলে আমি ব্লগ ছেড়ে চলে যেতে চাইলেও চলে যেতে পারি না। তবে এখন থেকে ব্লগে পোষ্ট কম দেব । ব্যস্ততা অনেক বেশি। তবে ফেসবুকে আমি নিয়মিত কবিতা লিখি । লেখা বন্ধ করতে চাইনা। পড়তে চাই আরো বেশি। সামনের বছর বই বের করার ইচ্ছা আছে দেখি কি করা যায়।
শুভকামনা রইলো।
ব্লগে বেশ কিছু প্রিয় ব্লগারদের মধ্যে আপনি কিন্তু আমার একজন অতি প্রিয় ব্লগার।
ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৬
শের শায়রী বলেছেন: ফেসবুকে পোষ্ট দিলে ব্লগেও দিয়েন। ব্লগের ব্যাপারটা ফেসবুক থেকে ভিন্ন, অন্য রকম আউটপুট পাবেন মন্তব্যে। আপনার বই বের হোক এই শুভ কামনায়।
১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আহ । দাহ দাহ।
ব্লগের রমনীকূল মনে আপনাকে ধরিবে ....মনে মনে ভর্ৎসনা করিবে, তাদের প্রেমে পড়াকে কটাক্ষ করাতে ।
পোস্ট কিন্তু সেই রকম । অবশ্য আপনিতো বরাবরই জিনিয়াস বড় ভাই ..আপনার তুলনা নাই ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাইডি, আমার মত সাধারন মানুষ কে এই ভাবে জিনিয়াস মিনিয়াস বইলা শরম দিও না, তুমি নিজের সিগনেচার রেখে গেছ ব্লগে এটা খুব অল্প কয়েকজন পারছে। প্রাউড অভ ইউ।
১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবিতা পড়ে বার্ধক্য অনুভব করছি। সামনে কঠিন সময় ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০
শের শায়রী বলেছেন: কি যে কও না, তোমরা হেই দিনের পোলাপান এখনি যদি বার্ধক্য টার্ধক্যের কথা বল তবে তো আমাদের এক পা কবরে। এক দিন যাব তোমাদের ওদিকে দেখ হবে।
১৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: প্রতি মন্তব্য পড়ে মুগ্ধ হয়েছি।
সেটা জানানোর জন্য আবার ফিরে এসেছি।
ভুয়া ভাই আইডি ভুয়া হলে কী হবে এখানে যেই ডায়ালগ দিয়েছে তার তুলনা হয় না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই,
আপনার এই ভালোবাসার ঋন শোধ দিতে যাব না, কিছু ঋন, ঋনী থাকতে ইচ্ছে হয়।
কৃতজ্ঞতা।
২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৬
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ভাইয়া,
উৎসাহিত করবার জন্য জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপাতত প্রেসারে আছি। তাই ব্লগে নিয়মিত হতে পারিনা। একটু অবসর পেলেই লিখবো আবার।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: বোন এর মাঝেই লিখুন প্লীজ। লেখাটা নিজ থেকে আসে, মন থেকে আসে। আশা রাখি খুব শীঘ্রী ব্যাস্ততার শেষ হবে।
ভালো থাকুন।
২১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২২
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে লিখাটা মন থেকে আসে। আবারো কিছু একটা লিখার চেষ্টা করেছি। সময় করে আমার ব্লগবাড়ি ঘুরে আসার নেমন্তন্ন রইল।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০
শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখার ধারা অনেক টা ভিন্ন। আপনি চর্চা করলে অনেক ভালো একজন ব্লগার সেখান থেকে লেখক ও হতে পারবেন। আপনার ব্লগ বাড়ী থেকে ঘুরে এসেছি। মন্তব্যও দিয়ে এসেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সারছেন, আপনার এই ধরণের পোষ্টেও শেষে আমাকে কমেন্ট করতে হলো; পড়ে বেকুব হয়ে গেছি।