নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
মাঝে মাঝে বড় অস্থির লাগে। কোন কিছু ভালো লাগে না, নিজেকে নিজে ঘন্টার পর ঘন্টা এক রুমে আটকে রাখি, না আটকে রাখা মানে নিজের রুম বন্ধ রাখা না, আমার আশে পাশে সংসারের মানুষ গুলো আসা যাওয়া করছে, আমার প্রিয়জন তারা। আমার মা, আমার সন্তান, আমার স্ত্রী। কিন্তু কেমন যেন অপরিচিত লাগে। এরা কারা? এদের কারো গর্ভে নয় মাস অবস্থান করে আমি এই পৃথিবীতে এসেছি! এদের কেউ কি আমার একটা শুক্রানুর বর্ধিত অংশ? নাকি ওই ধ্রুব সত্য যার সাথে আমি মিলিত হবার পর চুড়ান্ত আনন্দ অনুভব করে নিজ দেহকে হালকা তুলোর মত মেঘের দেশে ভাসিয়ে দেই? আমি এদের কাউকে চিনি না। নিজেকে নিয়ে মগ্ন এক স্বার্থপর অস্থিরতা আমাকে গ্রাস করে। নিজেকে চিনতে গিয়ে আমি খেই হারিয়ে ফেলি।
বিষাদে আক্রান্ত হয়ে যায় মন। আমি কেন মনের ওপর নিয়ন্ত্রন আনতে পারি না? তবে কি আমি অত্যন্ত নিম্ন শ্রেনীর প্রবৃত্তি দ্ধারা আক্রান্ত এক পশু? আজ শীতের মাঝে সকালে এক অদ্ভুদ জায়গায় গিয়েছিলাম, যেখানে মনুষ্যত্ব খাচায় বন্দী পশু। কি বিষাদ! কি কষ্ট। প্রতিটা মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে বেচে আছে, কেউ কারো না। মন কি? আমি মানুষের মনের কথা বলছি। কি অসীম তার ক্ষমতা অসীম দুঃখের মাঝেও নিজেকে সে মানিয়ে নিতে পারে আবার সুখের চুড়ান্ত রূপেও নিজেকে সংযত করে জীবন কে তুরীয় আনন্দে ধ্বংস করে না।
মনটা কেন এত আবীল হয়ে আছে? মনের আর্দ্রতা আর ব্যাথাগুলো কোথা থেকে যেন অবিরত গুমড়ে যাচ্ছে। নারীদের অনেক সুবিধা আছে, মন খারাপ লাগলে চোখের পানি ফেলতে পারে কিন্তু পুরুষদের তো তা নেই। তাও আমার মত মধ্য বয়স্ক কোন মানুষ যার কিনা কিশোর বয়সী সন্তান থাকে। পুরুষের কাঁদতে নেই তাদের ব্যাথা গুলো বুকের মাঝে জমাট করে পাথর বানিয়ে কষ্টের মর্মর প্রাসাদ তৈরী করতে হয়। শাহজাহান হয়ত অর্থের জোরে তাজমহল বানিয়ে তার দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্ট নিবারন করত, কিন্তু প্রতিটা পুরুষ যে বুকের মাঝে অর্হনিশি তাজমহল বানিয়ে চলছে তার খোজ এক মাত্র সে ছাড়া আর কেউ জানে না।
আমার মনটা ভরাক্রান্ত। আচ্ছা মন জিনিসটা কি? মন কি কোন বস্তু? তবে তো তার একটা মাত্রা থাকা উচিত, আমাদের জ্ঞাতব্য তৃতীয় মাত্রার বাইরে কি কোন চতুর্থ মাত্রা, পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ, সপ্তম বা আরো অধিক কোন মাত্রা? আমার মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় মনের আনন্দ, বেদনা, কষ্টগুলো কে এক লহমায় ঝেড়ে ফেলে সেগুলোকে বস্তুর আকারে দেখি। মানুষের কাছ থেকে অপমানগুলোকে যদি দু হাতের তালুবন্দি করে দেখতে পারতাম? যে অপমান করছে তার কাছে নিয়ে দেখাতে পারতাম তবে কি অপমান গুলো আনন্দে ঝলমলিয়ে উঠত না? তাকে দেখাতাম খুশীতে চোখ চিক চিক করে, দেখ দেখ এই যে তোমার দেয়া অপমান, লজ্জা, শ্লেষ যা দিয়ে তুমি আমাকে আঘাত করছ আমি তা দু হাতে ধারন করে তোমাকে দেখাতে এসেছি।
কখনো কখনো নিজের ছোট ছেলের দিকে সম্মোহনের মত তাকিয়ে থাকি, জড়িয়ে ধরি, ভাবি এই ছেলেটি যদি আমার না হত তবে কি আমি তাকে এত ভালবাসতে পারতাম? নিজের জিনিস না হলে তাকে বুজি ভালোবাসা যায় না? কি স্বার্থপরতা এই ভালোবাসায়? কি নিদারুন লজ্জা! আধুনিক মানুষ এখন আর নিজের আত্মজাকে নাকি একটা বয়সের পর ভালোবাসতে পারে না, এটা নাকি সন্তানকে স্বয়ং সম্পূর্ন হতে বাধা দেয় অথচ আমি দিন দিন আমার সন্তানদের আরো বেশি ভালোবাসছি। কি লজ্জা, একি স্বার্থপরতার চুড়ান্ত। আমি বোধ হয় তোমাদের মত আধুনিক হতে পারিনি, নিজ স্ত্রী, মা সন্তান দের আকড়ে ধরি কি এক চুড়ান্ত আতংকে।
মনটা কি এক চুড়ান্ত কারনে অস্থির হয়ে আছে, মার দিকে তাকিয়ে ছিলাম আনমনা হয়ে, আমার বৃদ্ধা মা, নিজ সন্তানের মঙ্গল কামনায় আজো কি কারনে যেন রোযা রেখেছে। অথচ তার নিয়ম করে খাওয়া পরা উচিত। মা পৃথিবীর এক মহান সৃষ্টি। সমস্ত সেরা শিল্পীদের সারা জীবনের তপস্যায় একজন মার একটা চুলের আঁক কষতে পারবে না। যে চপল, চটুল অথবা মুখরা মেয়েটা যেই মুহুর্তে মা হল সেই মুহুর্তে তার সমস্ত পৃথিবী ওলট পালট হয়ে গেল। নিজ সন্তানের ভালো করার জন্য মুহুর্তে সে সব কিছু ত্যাগ করতে পারে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছি, আমি খুব ভালো ভাবে উপলদ্ধি করি এই বৃদ্ধা মা আমার বাবা মারা যাবার পর এক জোড়া কাপড় পরে বছরের পর বছর কাটিয়ে আমাদের দু ভাইকে পড়ার খরচ যুগিয়ে গেছে। কিভাবে এই মাঝ বয়সী চুলে পাক ধরা ছেলের দিকে তাকিয়ে এখনো মা বুজে নেয় ছেলেটি কষ্টে আছে! আচ্ছা আধুনিক পৃথিবী থেকে সম্পর্কের ভাঙ্গচুরে এই “মা” শব্দটা উঠে যাবে? সন্তান জন্ম নেবে ইনকিউবিটারে, নাড়ীর সাথে নাড়ীর বন্ধন কাটাকাটি জোড়া দেবার কোন সিষ্টেম যদি উঠে যায় তবে কে বুজবে মানুষের কষ্ট?
চিন্তার সুতো গুলো ছিড়ে যাচ্ছে, অনেক আগে যখন সদ্য যৌবনে উত্তীর্ন এক যুবতীকে নিজের সংসারে আনলাম সেই অবুজ যুবতী এত দিনে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত সামলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আমাকে আগলে রাখতে। কোন এক অদৃশ্য সুতা দুজনার মাঝে কি এক বন্ধন তৈরী করছে। আচ্ছা মানুষ কিভাবে বছরের পর বছর এক সাথে থাকার পর কি নিষ্ঠুরতায় সে বাধন এক লহমায় ছিড়ে ফেলে! এত নিষ্ঠুর মানুষের মন কিভাবে হয়। এক গভীর মমতায় তাকিয়ে থাকি আমার সন্তানদের মায়ের দিকে।
আমার একটা বিন্দু আছে, সেই বিন্দুটার একটা নামও আছে “স্বস্তি”। এই স্বস্তি থাকে আমার মনের খুব গভীর গোপনে। সব সময় তাকে বের করিনা, যখন মনটা ভীষন খারাপ থাকে যখন কোন ক্ষুদ্রতা, নীচতা আমাকে অনেক নীচে নামিয়ে অন্ধকারে টেনে নামাতে চায়, খুব সাবধানে আমি স্বস্তিকে বের করি, ওই এক বিন্দু যার নাম স্বস্তি তার মাঝে আমি বিশ্ব সংসার দেখতে পাই, পৃথিবীর প্রতিটা মানুষের প্রতিফলন ওই স্বস্তির মাঝে ছায়াছবির মত চলন্ত দেখি, সময় সেখানে স্থির। হয়ত মুহুর্ত মাত্র কিন্তু এর মাঝেই আমি দেখে ফেলি মানুষের মহত্ব, মানুষের ক্ষুদ্রতা। দুই বিপরীত মেরু। ভালোবাসা অপমান। সম্পদ দারিদ্রতা। রাগ প্রশান্তি। স্বস্তি আমাকে কখনো নিরাশ করেনি, কিন্তু খুব সাবধানে রাখতে হয় একে। একটু এদিক ওদিক হলেই আমি হারিয়ে ফেলব এই মহামুল্যবান বস্তটিকে যা আমি কখনো চাই না।
ইদানিং মাঝে মাঝে নিজেকে মৃত্যুর কথা জিজ্ঞেস করি? আমি কি প্রস্তুত সেই মহা রহস্যের মুখোমুখি হবার জন্য? এই দুনিয়ার লোভ ভোগ বিলাস কি সব আমার দেখা হয়েছে? উত্তর জানি না। তবে মৃত্যুভীতি বলে যে জিনিসটা জীবনের প্রতি লোভীদের প্রতি তাড়িয়ে বেড়ায় তা থেকে নিস্কৃতি পেয়েছি বলে মনে হয়। শরীরটা ইদানিং প্রায়ই বেগড়বাই করে পুরাতন ইঞ্জিন বোধ হয় আর টানতে পারছে না, ওষুধ দিয়ে আর কত চালিয়ে রাখা যায়? কিন্তু এত কষ্ট কেন? নিজেকে না বোঝার কষ্ট। মানুষের আরোপিত লজ্জার কষ্ট। মনটা যদি একটু স্বাভাবিক হয়! হোয়েন আই মীট মাইসেলফ আমি নিজেকে যে নিজেই চিনি না।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে যাই কিছু ব্যাপারে। দোয়া রাখবেন শ্রদ্ধেয় ভাই।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৮
করুণাধারা বলেছেন: শুধু আপনার একার না, সবার জীবনেই এমন কিছু শূন্যতাময় সময় আসে; সেই সময়টা পার করে আবার নিজেকে ফিরে পেতে হয়। সেজন্য সেই মানুষদের কথা ভাবতে হবে, যাদের ভালবাসা আপনাকে সবসময় ঘিরে রেখেছে।
একটা বয়সের পর আত্মজা পর হয়ে যায়, একথা একেবারেই ঠিক নয়।
শুভকামনা।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০০
শের শায়রী বলেছেন: মানুষ কেন মানুষ কে আঘাত করে বলতে পারেন আপা? এই সামান্য জীবনে তাতে কি খুব বেশী লাভ হয়? একশত বছর পর এই আট বিলিয়ন মানুষের একজন ও হয়ত পৃথিবীতে থাকব না তবে এই সামান্য সময়ের জন্য কেন এমন হয়।
ধন্যবাদ আপা।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনারে আপনি চিনে নে;
দিন-দোনের পর, যার নাম অধর - তারে চিনবো কেমনে??
আপনারে, আপনি চিনে নে ......
আপনারে চিনতাম যদি, মিলতো অটল চরণ-নিধি
মানুষের করণ হত সিদ্ধি, শুনি আগম পুরাণে।।
আপনারে, আপনি চিনে নে .......
কর্তারূপের নাই অম্বেষণ, আত্মার কি হয় নিরূপণ ??
আত্মাতত্ত্বে পায় সাধ্য ধন; সহজ সাধক জনে।।
আপনারে, আপনি চিনে নে .......
দিব্যজ্ঞানী যে জন হলো, নিজতত্ত্বে নিরঞ্জন পেলো
সিরাজ সাঁই লালন রইলো, জন্ম-অন্ধ মন-গুনে।।
আপনারে, আপনি চিনে নে .......
ম্যা’ভাই- গভীর ভাবনায় মিলুক আপনা পথ সন্ধান!
শুভকামনা রইল অন্তহীন
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই দোয়া রাখবেন। মনটা মাঝে মাঝে অস্থির হয়ে যায়। আজকে কোন একটা ব্যাপারে ভীষন ধাক্কা খেয়েছি সারাদিন অস্থির। ঠিক হয়ে যাবে।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫১
সোহানী বলেছেন: ধাক্কা খেয়ে খেয়ে নিজেকে শক্ত করেছি, আপন মূহুর্তেই পর হয়েছে স্বার্থের টানে... মেনে নিয়েছি হাসি মুখে, পিছন থেকে ল্যাং মেরেছে বহুবার.. তাতে কি উঠে দাড়িঁয়েছি আর নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি পূর্ণ করেছি। আমি আমার মাঝেই থেকেছি....... নিজস্বতাকে হারাতে দেইনি, কম্প্রোমাইজ করিনি অন্যায়ের কাছে, হার মানিনি বিনা যুদ্ধে.....
নিজস্বতাকে কখনই হারাতে দিবেন না। ভালো থাকুন সবসময়ই।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৫
শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনার এই যোদ্ধা মনোভাবই আপনাকে সাফল্যের তুঙ্গে নিয়ে গেছে। আর আমার..... মত বাদ দেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময় করে, যেখানে গাছগাছড়া আছে, তেমন যায়গায় আপনার বিশ্বস্ত মানুষের সাথে হাঁটবেন ২/১ ঘন্টা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মুরুব্বী। কিন্তু আমি একটা লোনলী কয়ৌট। যার কোন সঙ্গী নেই।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৪৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এভাবেই অত:পর আমরা নিতান্তই একা। কখনও সম্পর্কর সুতো, কখনও বিচ্ছেদের রাগিণী;
তারপর চলে যাবার যে পথ আমরা চোখ বুজলেই টের পাই, সে অন্ধকারের কাছে বড় ম্রিয়মান
এই ছুটে চলার ছায়াপথ।
হয়ত আপনার মতো করে কেউ কেউ ভাবে, অধিকাংশই ভাবে না। অধিকাংশের মন এবং মননে শুধু
একটি আত্মহনক দূরাশা; আরও সময় আছে! সেখানে যে উপলব্ধি আপনি বইয়ে বেড়াচ্ছেন তা অপ্রতুল
এবং শ্বাশত। নিজেকে চিনতে না পারা আমাদের অক্ষমতা নয়-তা সীমাবদ্ধ জীবনের নির্ধারিত সীমারেখা!
ভালো থাকুন নিজের মতো করে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৮
শের শায়রী বলেছেন: সীমাবদ্ধ জীবনের নির্ধারিত সীমারেখা আছে জানি বলেই অপমানগুলো কে হজম করে ফেলি প্রিয় ভাই।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এতটা বিষন্ন হবেন না।
জীবনের আসল কাজ হলো জীবনটা উপভোগ করা। মরে গেলেই তো সব শেষ।
তাই বেঁচে থাকুন পৃথিবীর রূপ, রস আর আনন্দ উপভোগ করুন। হতাশা, ক্লান্তি আর বিষন্নতা আর ধারে কাছে ঘেষতে দিবেন না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৯
শের শায়রী বলেছেন: কষ্টগুলো যে মাঝে মাঝে অষ্ট পৃষ্টে আটকে ধরে প্রিয় ভাই অতখন অস্থির হয়ে যাই।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
নতুন বলেছেন: তবে মৃত্যুভীতি বলে যে জিনিসটা জীবনের প্রতি লোভীদের প্রতি তাড়িয়ে বেড়ায় তা থেকে নিস্কৃতি পেয়েছি বলে মনে হয়।
এই ভাবনাটুকু করতে যেটুকু ভাবনার দরকার হয় সেটা বেশির ভাগ মানুষই করতে পারেনা।
মানুষের নশ্বর জীবন শেষে সুখী মানুষ হিসেবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারাটাই আমার কাছে মানব জীবনের সম্পূনতা বলে মনে হয়।
মানুষের জীবনটা গানের মতন শুরু থেকে শেষ লাইন পযন্ত উপভোগ করতে হয়। শুরুটা এক রকমের আর শেষটা আরেক রকমের হবে সেটাই সাভাবিক। এই মহা বিশ্বের তুলনায় একজন মানুষের জীবন কোন তুলনায়ই আসেনা। তাই দুনিয়ার ভিন্নতাগুলি দেখাই মানুষের জীবনের একরকমের কাজ বলতে পারেন।
একটা জিনিসই জীবনে চাই সব সময় তা হলো। সবাইকে নিয়ে সুখী জীবন জাপন করে জীবনের শেষ যেন বলতে পারি।
লাইফ ওয়াজ বিইউটিফুল।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩১
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই জীবন নিয়ে কোন অভিযোগ নেই, কিন্তু মাঝে মাঝে কষ্ট আর অযাচিত অপমান নিজেকে ছোট করে দেয়। ভুলে থাকতে চাইলেও কখনো কখনো কোন স্মৃতি তাকে জাগিয়ে তোলে।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই আমি মুগ্ধ। কী দারুন লেখনি। প্রবন্ধ এত মনোযোগ দিয়ে পড়লাম!!!
অনেকদিন আগে আপনার মতো আমারও হঠাত এইরকম লাগছিলো। আশেপাশের সব কিছুর মধ্যেই স্বার্থের টান দেখতে পাচ্ছিলাম। স্মৃতি কাতরতায় ভুগছিলাম।
কবিতাঃ স্মৃতি!
আমি বিশ্বাস করি সবার জীবনেই একটা সময় আসে যখন দেনা পাওনার হিসেব মিলাতে বসতে হয়।
মানুষের নশ্বর জীবন শেষে দুনিয়া থেকে বিদায় নেবার সময় কয়জন জীবনের পূর্ণতা অর্জন করতে পারে?
কী অসীম কূহেলিকার পিছনে আমরা দিনরাত ছুটে বেড়াই?
সবশেষ মাত্র সাড়ে তিনহাত মাটিই তো শেষ ভরসা!
শুভ কামনা রইলো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৮
শের শায়রী বলেছেন: গন্তব্য নিশ্চিত জেনেও আমরা কেন মানুষ কে আঘাত করি প্রিয় ভাই?
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অত্যন্ত জটিল চিন্তা-ভাবনা। জীবনটাকে সহজভাবে নেয়ায় ভালো। এত জটিলতার দরকার কি? অতি মশলাদার খাবার খেলে যেমন পেট গরম হয়, মানুষ ঘুমে দুঃস্বপ্ন দেখে, তেমনি মন ভারাক্রান্ত হলে এসব হাবিজাবি চিন্তা আসে।
নিজেকে কেউই ঠিকমতো চিনে না, আবার চিনেও; ব্যাপারটা আপেক্ষিক। তবে মৃত্যুচিন্তা ভালো জিনিস। এটা সবসময় করবেন। অনেক ঝামেলা এড়িয়ে তুলনামূলকভাবে শান্তিতে থাকা যায়।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৬
শের শায়রী বলেছেন: ভুয়া ভাই আসলে বুড়ো হয়ে গেছি ইদানিং অল্পতেই বায়ু চড়ে যায় তাই মাঝে সাঝে আবোল তাবোল লিখি
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০১
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: কোনো অজানা ভয় অথবা অভিমান আমাদেরকে এমন সংকটে ফেলে।আপনাআপনি নিজেকে সংকুচিত করে ফেলে। তবে আপনি যে বলেছেন, 'পুরুষদের কাঁদতে নেই।' এই প্রচলিত বাক্যটি পুরুষের জীবনকে অনেকবেশি কঠিন করে তুলেছে। পুরুষেরও কষ্ট থাকবে, আবেগ থাকবে আর তা থেকেই সে কাঁদবে। কিন্তু পুরুষ মানুষের কান্না আমরা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারিনা। কাঁদুন, আপনার প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে। কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে আবার মানসিক দিক থেকে দুইজনের মধ্যে সম্পর্ক আরো বেশি দৃঢ় হবে। এটা একান্তই আমার নিজস্ব ভাবনা। ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
আমার মনে হয় থার্ড ডাইমেনশনের বাইরেও আরো ডাইমেনশন থাকতে পারে। থাকলে ভালো হতো। ওসব ডাইমেনশনে গিয়ে আমরা ভিন্ন কিছু জ্ঞান আহরণ করতে পারতাম।
আপনি যেমনটি দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছেন যে ছেলেটা আপনার না হলে ভালোবাসতেন কিনা, ঠিক এমন ভাবনা আমারো মাঝে মাঝে আসে। একজন মা তার নিজের সন্তানের জন্য অনেক স্যাক্রিফাইস করেন, সেই মা -ই আবার অন্যের সন্তানের সাথে হিংসাপরায়ণতা, স্বার্থপরতা দেখিয়ে থাকেন। তখন আমার একটা বোধ জন্মেছে যে, একজন মা হয়তো সবার 'মা' না।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৯
শের শায়রী বলেছেন: বোন প্রথমেই পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
পুরুষ মানুষ হবার অনেক সুবিধার পাশাপাশি অনেক কষ্টও আছে সেগুলো শুধু সত্যিকারের পুরুষরাই উপলদ্ধি করে। এটা অত্যান্ত ইম্পর্ট্যান্ট একটা ব্যাপার বলছেন যেটা আমার ভাবনার সাথে খাপ খায় সেটা হল "আপনি যেমনটি দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছেন যে ছেলেটা আপনার না হলে ভালোবাসতেন কিনা, ঠিক এমন ভাবনা আমারো মাঝে মাঝে আসে। একজন মা তার নিজের সন্তানের জন্য অনেক স্যাক্রিফাইস করেন, সেই মা -ই আবার অন্যের সন্তানের সাথে হিংসাপরায়ণতা, স্বার্থপরতা দেখিয়ে থাকেন। তখন আমার একটা বোধ জন্মেছে যে, একজন মা হয়তো সবার 'মা' না।" আমিও ভাবি এটা কিভাবে সম্ভব। এই স্বার্থপরতাটুকু না দেখালে কি হয় না?
১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "তবে মৃত্যুভীতি বলে যে জিনিসটা জীবনের প্রতি লোভীদের প্রতি তাড়িয়ে বেড়ায় তা থেকে নিস্কৃতি পেয়েছি বলে মনে হয়। "
-আমার মনে হচ্ছে, জীবন সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি সঠিক নয়; মৃত্যুভীতি আছে বলেই জীবন এত মুল্যবান; আপনি ভগবান বুদ্ধের নির্বাণ লাভ করেছেন, আপনি ভুলের উপর দাঁড়ায়ে আছেন।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১১
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী ভুলে ভুলে আমার তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকছে, আর ঠিক হবার সময় কোথায়?
১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টে বিষণ্ন ভালো লাগা। কিন্তু কেন এমন যাতনাগুলিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন আপনি।যদি লেখার জন্য লেখা হয় তাহলে একরকম, অন্যথায় ব্লগের অন্যতম প্রিয় একজন মানুষের জন্য উৎকণ্ঠায় রইলাম। যাইহোক মনের তমনিশা দূর হোক। সকলের সাথে হেসেখেলে থাকুন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় শায়রীভাইকে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৩
শের শায়রী বলেছেন: পদাতিক ভাই, আমি দুঃখিত মাঝে মাঝে এমন কিছু পরিস্থিতির সন্মুখীন হই তাতে অপমান, লজ্জায় নিজের ওপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলি। আপনার ভালোবাসা আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে, এভাবেই পাশে থাকুন ভাই হয়ে, প্রিয় ভাই।
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২
রুপ।ই বলেছেন: আমার আপনার মত বিন্দু নেই, এই বিন্দুটা খুঁজছি আর ছুটছি অনেক দিন ধরেই, কবে পাবো জানিনা।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ছোটার দরকার নেই, শুধু সামান্য কয়েকটা ব্যাপারে নিজেকে প্রস্তত করুন দেখবেন আপনিও দেখতে পারবেন। পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনি তো সাধক মানুষ। সূচনা তো এমনিই হয়। কিন্তু মায়ার জগতে এই বোধটা কতদিন ধরে রাখতে পারবেন কে জানে!
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩
শের শায়রী বলেছেন: জুলিয়ান ভাই প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে এক জায়গায় একটু দ্বিমত করি, উইথ অল রেসপেক্ট আমি নিতান্ত গৃহী সাধারন জন। সাধক হবার হবার জন্য আমার হিসাবে প্রাথমিক কিছু শর্ত অবশ্য পালনীয় যা আমি মোটেই পালন করিনা। এগুলো আমার অতি স্বাভাবিক উপলদ্ধি মানুষ্য জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে এরকম উপলদ্ধি অনেকের ই হয়। হয়ত আমি লিখছি অনেকে লিখে না এই টুকুই পার্থক্য।
এই মায়ার জগৎ নিয়ে আমি এমনিই জেরবার, তবে দয়া রাখবেন বোধ টুকু যেন ধরে রাখতে পারি।।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
এটা যদি নিছক নিজস্ব কথা হয়ে থাকে তবে বলি, যে ঈশ্বরে আমরা বিশ্বাস করি – সেই ঈশ্বর চাইছেন যেন আপনি নিজেই নিজের সামনে দাঁড়িয়ে কষ্টগুলোকে অনুভব করেন এবং তারপরেই নিবিঢ় স্বস্তিতে সম্পদশালী হন , আর আপনার অস্থির মন পরাস্ত ।