নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
আমেরিকা কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করছে, কারন সে আমেরিকা বিরোধী বিভিন্ন দেশ কে বিভিন্ন সংগঠন কে একত্র করছিলো। কেন করছিলো? একটু মোটা দাগে কারন ইসরাইল নামক যে দেশটা আছে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য ইরান যেন অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে বা নিউক্লিয়ার পাওয়ার হিসাবে আবির্ভুত হতে না পারে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের তেলের ওপর আমেরিকার একটা শ্যেন দৃষ্টি সব সময়ই আছে।
সাদ্দাম হত্যা আর সোলাইমানি হত্যা এক পাল্লায় মাপলে আপনি ভুল করবেন। সাদ্দাম সে সময় একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ (কুয়েত) এক রকম বিনা প্ররোচনায় আক্রমন করছিলো যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানী পোল্যান্ড আক্রমন করে। কিন্তু সোলাইমানি হত্যা আর ইরান আক্রমন এক পাল্লায় মাপলে চলবে না। একই সাথে আপনাকে এটাও স্বরন রাখতে হবে ইরাক আক্রমনের প্রেক্ষাপট যখন তৈরী হয় তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন সবে মাত্র ভাঙ্গছে, সারা রাশিয়া তখন বিশৃঙ্খল অবস্থা, মাফিয়ারা রাশিয়া কন্ট্রোল করছিলো, অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে চীনের কোন পাত্তাই ছিল না। একক পাওয়ার হিসাবে সিনিয়র বুশ যা করে পার পেয়ে গেছে সেই একই খেলা খেলে মাথা মোটা ট্রাম্প পার পাবে একথা ভুলেও ভাবা ঠিক হবে না।
প্রথমতঃ আমেরিকা তাদের চাল চেলে দিয়ে বিজয় বার্তা দেখাচ্ছে। মানে সোলাইমানিকে হত্যা করে তারা তাদের মুভ শুরু করছে। এখন ইরান পালটা চাল হিসাবে কি আমেরিকার কোন জাহাজ টাহাজ বা অন্য কোন স্থাপনা আক্রমন করবে? আমার মনে হয় না এই ধরনের হঠকারী চাল ইরান দেবে। কারন সেক্ষেত্রে আমেরিকা একটা সুযোগ পাবে ইরানের কিছু লক্ষ্যবস্তুর ওপর আক্রমন চালানো।
দ্বিতীয়তঃ নির্বাচনের আগে এই টাইপের একটা কিছু বড় দরকার ছিল যখন সে অভিশংসনের মুখে। নির্বাচনে জিততে হলে ট্রাম্পকে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলতেই হবে। সে খেলাটা সে শুরু করে দিয়েছে। জাতি হিসাবে আমেরিকানরা এখন পড়তির দিকে, সাধারন আমেরিকানদের জ্ঞান বুদ্ধি আমাদের দেশের একটা রিকশাওয়ালার সাধারন জ্ঞানের থেকেও কম, তবে প্রশাসন বুদ্ধি বৃত্তিক জায়গাগুলো এখন ধরে রেখেছে মুলতঃ ইহুদী আর অভিবাসিত প্রজন্ম দ্ধারা। ইরাককে সরাসরি আক্রমন করার সময়কার পরিস্থিতি আর ইরান আক্রমন করতে চাওয়ার পরিস্থিতি কিন্তু এক না।
সোলাইমানির স্বার্থকতা ছিল সে ইজরাইলী বিরোধী যুদ্ধটাকে (শ্যাডো ওয়ার) ইজরাইলের সীমানায় হাজির করছিলো। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রের মর্যদা এনে দিয়েছেন সোলাইমানির যুদ্ধ কৌশল। অপ্রচলিত যুদ্ধে এই মুহুর্তে বিশ্বে তাকে এক নাম্বার ধরা হয়। যে কাজটা এক সময় সি আই এ করত সেই কাজটাই সোলাইমানি অত্যন্ত সুচতুর ভাবে করে যাচ্ছিলেন। যে ভরসায় ইরাক দখল নিয়েছিল সে বাড়া ভাতেও ছাই দিয়ে দিচ্ছিল সোলাইমানি। শিয়া অধ্যূষিত ইরাকে তার ক্ষমতা অনেকটাই গুছিয়ে আনছিলেন সোলাইমানি, যার প্রতিফলন দেখা যায় ইরাকি পার্লামেন্টে মার্কিন বাহিনীর বহিস্কার। সোলাইমানির কুদস যতটা না সামরিক বাহিনী তার থেকে বেশী ছিল গোয়েন্দা বাহিনী অনেকটা সি আই এ, কে জি বি, মোসাদ টাইপের।
ইরান সরাসরি হামলায় যাবে না, যাবার মত সামরিক সক্ষমতাও নেই। আমেরিকার আছে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ গ্যাজেট, আছে নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড, আছে বিমানবাহী রনপোত যার যে কোন কিছু দিয়ে যে কোন দেশ ধ্বংস করে দেয়া যায়, সে তুলনায় ইরান কিছুই না। কিন্তু ইরানের যা আছে তার সাথে আমেরিকার তুলনাই চলে না। তাদের আছে কয়েক হাজার মানব বোমা বা হয়ত তারো বেশী। এদের যে কেউ যে কোন জায়গায় নির্দেশ পেলেই ধর্মের নামে দেশের নামে জীবন উড়িয়ে দিতে প্রস্তত। এতে সব থেকে বড় সমস্যায় পড়বে সাধারন আমেরিকানরা। আমেরিকার বাইরে বিশ্বের যে কোন স্থানে তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে গেল। আর মুলতঃ সেটাই হবে। তবে এ হুমকি মুলতঃ সাদা চামড়ার আমেরিকানদের জন্যই বেশী হবে। এর প্রতিফলন দেখতে পাই কয়েক দিন আগে আমেরিকার ফুটবল টীম কাতারে প্রাকটিস করতে যাওয়া বাতিলের মাধ্যমে।
সন্ত্রাস দমনের নামে সন্ত্রাস করে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারন আমেরিকা। তবে এটাও ঠিক সুবুদ্ধির পরিচায়ক দেয়ার মানসিকতা এখনো অনেক আমেরিকান রাখে, যার কারনে আমেরিকার অধিকাংশ জায়গায় এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গেছে।
আমেরিকার এখন যুদ্ধে জড়ানোর মত অবস্থায় নেই, চীন, রাশিয়া এখন আমেরিকার চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস রাখে তারা কোন ব্যাপারে মনে হয়না আমেরিকারে ছাড় দেবে। শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্ব নতুন করে মোড় দিয়েছে যখন সুন্নী প্রধান তুরস্কের সাথে ইরান তার সুসম্পর্ক তৈরী করেছে। সিরিয়ায় আমেরিকা লেজে গোবর করে ফেলছে। ইয়েমেনে সৌদী জোট (নামেই জোট আসলে আমেরিকা সমর্থিত সৌদী বাহিনী) মাঝে মাঝেই মার খাচ্ছে বিদ্রোহী শিয়া মিলিশিয়াদের হাতে, ইদানিং তারা দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছিলো।
সুলায়মানিকে মেরে ফেলার দিন আমেরিকায় তেলের দাম ৩%, সোনার দাম ৪% বেড়ে যায়, এবং শেয়ার বাজারের ৩০০ পয়েন্ট সুচক পড়ে যায়। আপাততঃ মনে হয়না আর কিছু হবে সরাসরি অন্ততঃ ইরানের তরফ থেকে তবে এটা নিশ্চিত চোরাগুপ্তা আক্রমনের শিকার আমেরিকনরা হবে বিভিন্ন দেশে। যার লক্ষ্যবস্ত হবে সাধারন আমেরিকান এবং আমেরিকান এ্যাম্বেসী। আর ক্ষমতায় টিকে যাবার জন্য ট্রাম্পের দরকার হবে আরো বড় কোন কিছু করা যেমন ইরান আক্রমন টাইপের কিছু। কিন্তু ব্যাবসায়ী ট্রাম্পকে সে সুযোগ আমেরিকার নাগরিকরা তাদের জীবনের বিনিময়ে কতটুকু দেবে সেটা দেখার বিষয়। তারা কি চাইবে বডি ব্যাগে করে তাদের সন্তানরা দেশে ফিরে যাক?
আমেরিকার প্রতিটা মানুষের জীবন তারা খুব মূল্য দেয় এটা একটা জাতি হিসাবে খুবই ভালো কথা কিন্তু একই সাথে এটাও তাদের মনে রাখতে হবে যাদের সাথে তারা লাগতে যাচ্ছে তাদের জীবনের মূল্য খুব একটা তারা দেয় না, অন্তত পক্ষে ধর্মের নামে তারা অনেকটা ফ্যানাটিক ভাবেই জীবন উৎসর্গ করে। দেখা যাক কি হয়। তবে আগুন যদি লাগে তার কিছু উত্তাপ আমাদের গায়েও এসে যে লাগবে তা নিশ্চিত, তেলের দাম বৃদ্ধি সহ অনেক ধরনের সমস্যাই হবে। সেটা সামনের ব্যাপার। আপাতত ইরান প্রতিশোধের নামে কতখানি অপ্রচলিত যুদ্ধে নামে সেটাই দেখার বিষয়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৪
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: দারুন লিখছেন ভাই ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ইরান শুভবুদ্ধির পরিচয় দিক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: ইরান তো সরাসরি আক্রমন করবে না, তারা একটা অপ্রচলিত যুদ্ধে (শ্যাডো ওয়ার) আমেরিকাকে জড়াবে যেখানে সাধারন আমেরিনাদের জীবন আমেরিকার বাইরে অনিশ্চতার মাঝে ফেলে দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩১
খোলা মনের কথা বলেছেন: ইরান কখনই সরাসরি যুদ্ধে জাড়াবে না। নানা কৌশলে আম্রিকাকে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করবে। আম্রিকাও যে মোটেই চিন্তিত না এটা নিয়ে সেটা ভাবা ঠিক হবে না.... সময়ের সুতা ধরে ইরান হাঠাবে মনে হচ্ছে।
সারা পৃথিবীর দেশগুলো কিছু করলেই সন্ত্রাস আর আম্রিকা লাখ লাখ মানুষ মেরেছে সেটা শান্তি। মধ্যেপ্রচ্যে যতগুলো দেশে তারা সমস্যা তৈরি করে মানুষ মেরেছে আর আর্থিক ক্ষতি করেছে তারা নিজেরা গৃহযুদ্ধ করলেও এতো মানুষ মারা যেত না আর অর্থনৈতিক ক্ষতি হতো না।
আম্রিকা সাধারন মানুষ যুদ্ধ চাচ্ছে না। তাদের আগের মত আর বুঝ দিতে পারে না। তারাও এখন ন্যায় অন্যায় বুঝে।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০২
শের শায়রী বলেছেন: প্রতিটা জাতিকে উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। উত্থানের চুড়ান্ত পর্যায়ে গেলে তার পতন অবধারিত। এবং সাধারনতঃ ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় সে পতন আসে কোন অযোগ্য শাষকের হাত ধরে। আমেরিকার ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন সব থেকে অযোগ্য প্রেসিডেন্টদের তালিকায় ট্রাম্প সাহেব এক নাম্বারে আছে। এ ব্যাপারে যদি কারো দ্বিমত থাকে তবে তবে সে বলুক কে এক নাম্বার অযোগ্য প্রেসিডেন্ট?
যেখানে সব আমেরিকান প্রেসিডেন্টরা রাশিয়া এবং চীন কে চাপে রাখছিলো, ট্রাম্পের নির্বুদ্ধিতায় তারা এখন পায়ের নীচে মাটি পেয়ে গেছে আমেরিকাকে চোখ রাঙানোর। বিশাল রোম সম্রাজ্য, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য, মোগল সাম্রাজ্য সবারই পতন ঘটছে তাদের চুড়ান্ত উত্থানের পর, গত শতাব্দীর শেষ দুটো শতক ছিল আমেরিকার চুড়ান্ত উত্থানের এটা আমার একান্ত মতামত।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সুন্দর বলেছেন, "সাধারণ আমেরিকানদের জ্ঞানবুদ্ধি আমাদের একজন রিকসাওয়ালার জ্ঞানবুদ্ধি থেকেও কম"।
-এটা সুন্দর হয়েছে, আপনি কি রিকসা চালাচ্ছেন আজকাল?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৩
শের শায়রী বলেছেন: জ্বি না শিকড়হীন অভিবাসী দুই একজন কে সাধারন জ্ঞান দেবার ব্যার্থ চেষ্টা চালাচ্ছি । আপনি ভালো আছেন তো? আপনার লেখা পড়ে আমার ভালো লাগে এই কারনে যে, একজন জন্ম সূত্রে আমেরিকানও আপনার মত উড়ে গিয়ে জুড়ে বসা অভিবাসীর মত আমেরিকা প্রেম দেখাতে পারে না। জয়তু আমেরিকা, আপনার সাথে বললাম
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি আমার মন্তব্যের উত্তরে বলছেন, "আপনার লেখা পড়ে আমার ভালো লাগে এই কারনে যে, একজন জন্ম সূত্রে আমেরিকানও আপনার মত উড়ে গিয়ে জুড়ে বসা অভিবাসীর মত আমেরিকা প্রেম দেখাতে পারে না। জয়তু আমেরিকা, আপনার সাথে বললাম "
-প্রথমত: আমি ভালো বাংগালী; আমি আমেরিকায় কাজ করি, আরো ৬ লাখ বাংগালী আমেরিকায় কাজ করেন, বাস করেন; ইরানে কতজন বাংগালী বাস করেন?
বাংলাদেশী রিকসা -ড্রাইবারদের সাধারণ জ্ঞানের স্তুতি ( আমেরিকান সাধারণ মানুষ থেকে বেশী জ্ঞানী) করায় আপনাকে "দেশ প্রেমিক" বলতে হয়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ মুরব্বী । ইরান বা আমেরিকা নিয়ে আমার এত মাথা ব্যাথা নেই যে কোথায় কয়জন কাজ করে, বা কোথায় কয়জন জন্ম গ্রহন করে তাদের ষ্ট্যাটিষ্টিকস জানতে হবে। তবে আপনার জানার কথা যেহেতু আপনি আমেরিকায় থাকেন এবং ট্রাম্পের সমর্থনে ব্লগে বিশাল জন সমর্থন তৈরী করছেন এবং প্রায় একাই ধ্বংস করে দিচ্ছেন । যাকগা ধ্বংস করার সময় মেহেরবানী করে সাধারন মানুষদের কথা মাথায় রাখবেন, যতটা পারেন তাদের কম হত্যা করে ইরান দখল নিয়েন। গর্ব করতে পারব আপনাকে নিয়ে যে ইরান দখল কারী চাঁদগাজী সাহেবকে ভার্চুয়ালি আমি জানি এই বলে।
৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
২০০৩ সালে, বাংগালীরা সাদ্দামের পক্ষে ছিলেন; তখন ইরাকে অনেক বাংগালী চাকুরী করতেন; আজকে আবার আপনারা না বুঝে ইরানের প্রতি সাপোর্ট জানাচ্ছেন, যখন বাংগালীরা আমেরিকায় স্হান পায়, কিন্তু ইরানে স্হান পায় না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: আপনার কি জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে মুরুব্বী! এই পোষ্টের কোথায় আমি ইরান কে সমর্থন দিয়েছি? আপনি তো বয়স্ক মানুষ হয়েও একটা সাদা চামড়ার সাধারন আমেরিকানের মত মন্তব্য দিয়েছেন। আমাকে দেখান কোথায় আমি ইরান সমর্থন দিয়েছি? নাকি আমেরিকারে ন্যাংটো হয়ে রাস্তায় নেমে সমর্থন না দিলেই সেটা ইরান সমর্থন হয়ে যায়?
আমার এই পোষ্টে কি সাদ্দাম কে সমর্থন দিছি না তার ইনভেনশান কে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পোল্যান্ড আক্রমনের সাথে তুলনা করছি? আমেরিকায় চাকুরী করলেই কি আমেরিকান বুদ্ধি হতে হবে? নাকি বুজেও না বোজার ভান করেন?
মুরুব্বী মানুষ, তার ওপর সেলিব্রিটি ব্লগার! খুব সোজা ভাষায় এই ব্লগ লিখছি কোন আইনষ্টাইন, হকিন্স মকিন্স না। তাইলে আবোল তাবোল বকছেন কেন?
৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ভালো লিখেছো। সত্য লিখেছো। অনেক আবালের মতো ইরানকে সুপার পাওয়ার বানিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দাওনি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩
শের শায়রী বলেছেন: ভাই কি আমাকে এত আবাল মনে করেন ইরান কে সামরিক সক্ষমতায় আমেরিকার সমকক্ষ মনে করব! যেখানে প্রায় গত ৪০ বছর অবরোধের ওপর আছে।
৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: ইরান যদি ধৈর্য্য ধারণ করেন তবেই মনে হয় ইরানের জন্য মঙ্গল হবে। আশে পাশে সবই তো মরুভূমিতে পরিণত করল আমেরিকা।বেঁচে থাকুক ইরান যে কোন কৌশলেই হোক।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬
শের শায়রী বলেছেন: আমার মনে হয় ইরান প্রতিশোধ নেবেই কারন শিয়া সাংস্কৃতির সব কিছু দেখা যাচ্ছে প্রতিশোধ নেবার তবে সেটা হবে অপ্রচলিত উপায়ে। তবে আমেরিকাও ইরান আক্রমনে সরাসরি যাবে বলে মনে হয় না।
১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসে মানুষ কেন এমন করবে এটাই আমার মাথায় ঢুকে না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই পৃথিবীর সব থেকে আদিম পেশা ছিল যুদ্ধ দ্বিতীয় আদিম পেশা দেহ ব্যাবসা। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন একজন আর একজনের ওপর প্রভুত্ব করার চেষ্টা করবে। আর যতদিন এ চেষ্টা থাকবে ততদিন যুদ্ধ থাকবে।
১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "ইরান বা আমেরিকা নিয়ে আমার এত মাথা ব্যাথা নেই যে কোথায় কয়জন কাজ করে, "
-কোথায় কতজন বাংগালী কাজ করেন, উহার হিসেব রাখিয়েন: বাংগালীরা ২৫ বিলিয়ন ডলারের তেল কিনে, ও ২০ বিলিয়নের আমদানী করেন, উহা টাকায় কিনতে দিবে না; আপনি কয় ডলার (হার্ড কারেন্সীত) আয় করেন, ইহা হিসেবের দরকার আছে!
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫১
শের শায়রী বলেছেন: সে হিসাব আমি কেন রাখব? সে হিসাব রাখার জন্য সরকার আছে, এইটুকু বোধ ও নাই আপনার? আর ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশান দেশে থেকেও অনেকে চাকুরী করে ডলারে (আপনার ভাষায় হার্ড কারেন্সীতে) বেতন পায় জানেন তো? আমি কয় ডলার আয় করি বা করছি সে হিসাব আপনাকে নাই বা দিলাম কারন ব্যাপারটা একান্ত পার্সোনাল। আমেরিকানদের সাথে থাকলে যে বোধ বুদ্ধি কমে এটা আজকে নতুন জানলাম। আরো বলি, নিজেকে যে আমেরিকান হিসাবে গর্ব বোধ করেন সেখানে তো দ্বিতীয় শ্রেনীর ও না তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে গন্য করে।
আর ব্যাক্তিগত ভাবে আমি যাদের সাথে সে সেক্টরে কাজ করি তারা ইউরোপ আমেরিকা বা এশিয়ার উচ্চ শিক্ষিত। জন, বব মার্কা না আমেরিকায় অনেক ভালো কিছু সেগুলো শেখার চেষ্টা করেন। আপনার হয়ত অঢেল সময় আছে আমার এত নেই এই সব ফাও আলাপের।
ভালো থাকুন মুরব্বী। পোষ্ট নিয়ে আলাপ থাকলে জবাব পাবেন না হলে ফি আমানিল্লাহ।
১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিশ্লেষন বাস্তবসন্মত হয়েছে। সাধারণ আমিরিকানদের জীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। যে মাটিতে বসে সে জেনারেলের উপরে
আঘাত হেনেছে সেখান থেকে তার সকল নাগরিককে যে যে ভাবে পারে যত শীঘ্র সম্ভব চলে যেতে বলেছে । ট্রাম্প নীজ দেশের পার্লামেন্টেই কংগ্রেসে) প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছে । সাদ্দামের ঘটনার মত বিশ্ব জুরে বিশষ করে পশ্চিমা সমর্থন পাচ্ছেনা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নো তেমন সোচ্চার নয়। জাতিসংঘ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইরানকে সহনশীল হতে বলেছে। অনেকের বিবেচনায় আমিরিকা বেশ বড় ধরনের একটি ভুল করেছে । তার সাময়িক উচ্ছাস হলেও বিশ্ব পরিমন্ডলে( কতিপয় দেশ ছাড়া) রাজনৈতিকভাবে বড় ধরনের প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছে। আজকের বিশ্বের সকল সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হলো ইরাণ পরমানু চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষনা দিয়েছে । এর বিপক্ষে আন্তরজাতিক পরিমন্ডলে কোন ধরনের বড় প্রতিক্রয়া এখনো শুনা যায় নি । তবে এখন বিশ্বের সকলেরই উৎকন্ঠার ভিতর দিয়ে দিন যাচ্ছে ।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: আমেরিকার ইতিহাসের শ্রেষ্ট ষ্টুপিড প্রেসিডেন্ট এই ব্যাবসায়ীটা যার সামান্যতম রাজনৈতিক ব্যাক গ্রাউন্ড ছিল না। এভাবেই কোন কোন জাতির পতন শুরু হয়।
১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন:, " সে হিসাব আমি কেন রাখব? সে হিসাব রাখার জন্য সরকার আছে, এইটুকু বোধ ও নাই আপনার? "
-সরকার হিসেব রাখে, সেজন্য সরকার আমেরিকার পক্ষে থাকবে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১২
শের শায়রী বলেছেন: আচ্ছা থাকবে। জিতছেন তো । এইবার ক্ষ্যামা দেন মুরব্বী।
১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৯
আল ইফরান বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ভালো লেগেছে।
ইরান এই মুহুর্তে ফুলস্কেল যুদ্ধে জড়ানোর মত বোকামি করবে না।
আজকে ইরানের আরেক প্রক্সি হেজবুল্লাহর চিফ বলেছে যে তারা সিভিলিয়ান টার্গেটে হামলা করবে না কারন তাতে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি চরিতার্থ হবে। আমারও একই ধারনা যে ইরান ইউএসএ কে একটা নার্ভ-রেকিং প্রেশারে রাখবে অনেক দিন ধরে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৯
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস।
আমেরিকার সাথে ফুল স্কেল যুদ্ধে যাবার মত সক্ষমতাও নেই ইরানের। আমার ধারনা মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে যেখানে আমেরিকান সৈন্য আছে যেমন ইরাক, সৌদী, কুয়েত এবং আফ্রিকান কিছু কান্ট্রির এ্যাম্বেসীতে হিউম্যান বোমার ব্যাবহার হবে। ইরানের হাতে পৃথিবীর সব থেকে বেশী হিউম্যান বোমার মজুত আছে। তবে যতই বলুক সিভিলিয়নদের আক্রমন করবে না, দেখবেন ঠিক থার্ড পার্টির মাধ্যমে অন্য কোন দেশে কিছু সিভিলয়নকে হাজী কাশেমের মৃত্যুর বদলা হিসাবে মেরে আমেরিকার সাধারন মানুষদের দিয়েই আমেরিকাকে চাপে ফেলবে।
আজকে তারা নিউক্লিয়ার চুক্তি দিয়ে সরে এসে সারা দুনিয়াকে উদ্বিগ্নতায় ফেলছে, এই অবস্থায় আমেরিকা যদি ইসরাইল দিয়ে ইরান আক্রমন করে তবে সেটা হবে ইরানের জন্য উইন উইন সিচ্যূয়েশান।
১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৭
সোহানী বলেছেন: শের ভাই, সব মন্তব্য সহ লিখাটা পড়লাম। যেহেতু আমিও প্রবাসী এবং আমেরিকা না থাকলেও নিয়মিত যাতায়াত আছে তাই কিছুটা সে দেশ সম্পর্কে হয়তো জানি। এবং সেই সাথে কানাডা থাকার কারনে ইরানের কমিউনিটির সাথে ভালো সম্পর্ক আছে। তাই চেস্টা করছি চাঁদগাজি ভাই ও আপনার দৃষ্টিকোন থেকে আমার মতো স্বল্পজ্ঞান সম্পর্ন মানুষ হিসেবে কিছুটা ব্যাখা করার।
আপনার বিশ্লেষন অবশ্যই ভালো লেগেছে। আপনি যা লিখেছেন বা যে চিন্তাধারা আপনার মাথায় খেলা করছে ঠিক একই চিন্তা ও আমি করতাম দেশে থাকতে। নিজেকে একজন মুসলিম বিপন্ন নাগরিক হিসেবে সহযোদ্ধা ভাবতাম। কিন্তু আমি বলবো আমার চিন্তাধারা অনেকটুকুই চেইন্জ হয়েছে দেশের বাইরে এসে। যেমন, কোন দেশ যুদ্ধ করলো, আমেরিকা কাকে বোমা মারলো তারচেয়েও আমি হিসেব করি আমার দেশের কি ভালো হলো বা খারাপ হলো। তাই বলে আমি কোনভাবেই আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাব সাপোর্ট করি না। কিন্তু এক আমেরিকা ইরাক ইরান সবকিছুর চেয়ে আমার দেশ বড়। দেশের মানুষ বড়। আমি এখন ক্যালকুলেশান করি এসব ঢামাঢোলে আমার দেশের স্বার্থ কোনদিকে হেলে।
আপনি নিশ্চয় জানেন ভারত বা চীনের অর্থনৈতিক মূলমন্ত্র। তারা মানবিকতা দিয়ে কোন কিছু বিচার করে না, করে নিজের দেশের র্স্বাথ নিয়ে। আসলে সমস্যা হলো আমরা খুব ইমোশনাল জাতি। অন্যের দু:খে নিজের ভাত কাপড় বিলিয়ে দেই। কিন্তু, এখন এভাবে করে আমরা শুধু মারই খাচ্ছি দিনের পর দিন। আর তার পাশাপাশি কোথায় চলে যাচ্ছে ভারত বা চীন। আপনি কি আমাকে এই মন্তব্য নিয়ে অমানবিক বলবেন?? হয়তো? কিন্তু আমার কাছে বিশ্বের মানবিকতার চেয়ে এই মুহুর্তে সৈাদিতে মার খাওয়া শ্রমিকের প্রতি কষ্টটা অনেক বেশী। আমাদের এই মূহুর্তে দরকার ছলে বলে কৈাশলে আম্রিকার চামচামি করে যাতে লাখ লাখ খেটে খাওয়া মানুষ দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে। যা দিয়ে দেশের চাল কেনা হবে।
অনেক বড় মন্তব্য করলাম। অনেক ভালো থাকেন।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৭
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় বোন আমার।
আমি সামান্য চাকুরীজীবি ছাপোষা মানুষ। চাকুরী উপলক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেতে হয়েছে। তাই বিদেশ বা বিদেশী সন্মন্ধ্যে সামান্য কিছু অভিজ্ঞতা আছে।
বোন আমি এই পোষ্টে আমেরিকা বা ইরানের সাপোর্ট দেবার চেষ্টা করিনি, নির্মোহভাবে চেষ্টা করছি নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে গত কিছুদিনের পেপার পত্রিকার আলোকে কি হতে পারে সেটা বলতে। এ কথা নির্ধিদ্ধায় বলি, আমেরিকা থেকে যে রেমিটেন্স আসে ইরান থেকে সে তুলনায় কিছু আসে না।
এখন যে আপনি শেষের দু লাইনে যে কথাটি লিখছেন “আমাদের এই মূহুর্তে দরকার ছলে বলে কৈাশলে আম্রিকার চামচামি করে যাতে লাখ লাখ খেটে খাওয়া মানুষ দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে।" এব্যাপারে আমি একটু আলাপ করতে চাই। আপনি আমার থেকে ভালো জানেন, আমেরিকায় যারা কাজ করে তারা অল্প কিছু অবৈধ ছাড়া বাকীরা বৈধভাবেই আছে বা যারা অবৈধভাবে কোন না কোন ভাবে বৈধ হবার চেষ্টা করছে, সেখানে যদি আজকে আমেরিকা ইরান আক্রমন করে তবে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই আমাদের সরকার আমাদের নাগরিকদের কথা ভেবে হলেও আমেরিকাকে সাপোর্ট দেবে। এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ ও নাই। আমিও আপনার মত মত সবার আগে আমার দেশের কথা ভাবব। আর আমেরিকা এমন একটা দেশ যেখানে একটা সিষ্টেমের মাঝে সব চলে সেখানে চাইলেই কাউকে বের করে দেয়া যায় না, আবার চাইলেই কাউকে নেয়া যায় না (একান্ত অবৈধ ভাবে যাওয়া সংখ্যায় খুব অল্প)।
বোন আপনি ভারত আর চীনের উদাহরন টানছেন। ভারত আর চীনের সরকার এব্যাপারে সব থেকে বড় নিয়ামক এটা নিশ্চয়ই মানবেন। বাংলাদেশের ব্যাপারটা এখানেই আসলে আমি আর এনিয়ে আলাপে যাব না, কারন বাংলাদেশের রাজনীতির প্রসঙ্গ এব্যাপারে চলে আসে আর বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনায় উৎসাহী না।
বোন দেশটাকে কতখানি ভালবাসি জানেন? আমি ওয়েল সেক্টরে সিনিয়র এক্সপার্ট। যেহেতু আপনি কানাডা আছেন আপনি জানেন ক্যালঘারি অয়েল সিটি। আমার সাথের সমসাময়িক সবাই কানাডায় চলে গেছে এবং ম্যাক্সিমাম ই ক্যালঘারিতে আছে। আমি কানাডায় এ্যাপ্লাইও করিনি, ওইযে সো কল্ড “দেশপ্রেম”। যার মুল্য আমি এখন দিচ্ছি। হাড়ে হাড়ে দিচ্ছি। বোন আমি এই দেশে থেকে এই দেশটাকে ভালোবাসতে চেয়েছি তাই সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিদেশে ইমিগ্রান্ট হয়ে যাই নি। আর জানেন তো যে কোন প্রেমের মূল্যই ভীষন চড়া। আমি সেই চড়া মাশুল দিয়েই দেশে আছি।
তবে অন্যায় কে অন্যায়, আর ন্যায় কে ন্যায় ব্যাক্তিগত ষ্ট্যান্ড থেকে সব সময় বলে আসছি সে আমি নিজে সে অন্যায় করলেও। তবে সত্যিকার দেশের স্বার্থে আমার কাছে অন্যায়টাও ন্যায়। এটাই আমার দেশ প্রেম। জানিনা বুজাতে পারছি কিনা? না বুজালে এ একান্ত আমার ব্যার্থতা।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৩
এইচ তালুকদার বলেছেন: সুন্দর বিস্লেষন করেছেন।ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধে জর্জরিত একটা দেশকে ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সের এক গুরুত্তপুর্ন খেলোয়াড়ে পরিনত করছিলেন সোলায়মানি অনেকদুর সফলও হয়েছেন।তার মৃত্যুতে ইরান বেশ অসুবিধায় পড়ে গেল।গদি বাচাতে ট্রাম্প কাকুর এইরকম একটা স্ট্যান্তবাজি করতেই হতো,কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে সোলায়মানির মৃত্যুর ফায়দা উনি বাদে সবাই নেবে।তবে ম্যরিকা বা ইরান কেউই এই মুহুর্তে যুদ্ধে আগ্রহী বলে মনে হয় না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩০
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে। সোলায়মানিদের মৃত্যু এভাবে হয় অনেক সময়। এক্ষেত্রে আমি বরং বলব কাশেম সোলায়মানির মৃত্যু অনেক প্রচার পেয়েছে। নরম্যালি এই টাইপের বিজনেসে মৃত্যুটা অনেক স্বাভাবিক যেমন সোলায়মানির হাতেও অনেকের রক্তের দাগ লেগে রইছে।
একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হবে, এবং কিছু সাধারন আমেরিকানদের জীবন বিপর্যয় হবে সামনে। সোলাইমানির কৃতিত্ব ইজরাইল যেখানে আরবদের লড়াইটা তাদের মাঠে নিয়ে গিয়েছিল, সোলায়মানি সেটা ইজরাইলের উঠানে নিয়ে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলছিলো। এজন্যই বর্তমান বিশ্বে অপ্রচলিত যুদ্ধে তাকে এক নাম্বার জেনারেল হিসাবে সবাই মনে করে।
১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "সোলায়মানি সেটা ইজরাইলের উঠানে নিয়ে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলছিলো। এজন্যই বর্তমান বিশ্বে অপ্রচলিত যুদ্ধে তাকে এক নাম্বার জেনারেল হিসাবে সবাই মনে করে। "
-ইজরায়েল বিশ্বের সবার (ইউএন) অনুমোদন নিয়ে সৃষ্ট একটি উন্নত দেশ; উহাকে ধ্বংস করতে কেহ দেবে না; উহাকে ধ্বংস করার জন্য যারা ছেষ্টা করবে, ইউরোপ ও আমেরিকা সেই দেশকে ধ্ংস করে দেবে। আপনার ন্যায় অন্যায় জ্ঞান শুন্যের কোঠায়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০
শের শায়রী বলেছেন: আপনার ন্যায় অন্যায় জ্ঞান শুন্যের কোঠায়। আপনি দেখি রায় রায় ঘোষনা করে ফেলছেন। এইবার বিদায় হন আপনার ১০০% ন্যায় অন্যায় জ্ঞান নিয়ে। যত্তসব ব্রেইনলেস ক্রিয়েচার।
১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্ব সম্পর্কে, ইজরেয়েল সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা নেই; ইজরায়েল দেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বৃটিশ কলোনীর জমিতে, ইউএন কর্ত্তৃক; সেটাকে সন্ত্রাসী মিলিশিয়া দ্বারা যেই লোক ঘেরাও করে আরবদের বিপদে ফেলছে, তাকে আপনি "বড় জেনারেল" বলছেন; আপনার ধরণা-পরমাশক্তি শুন্যের কোঠায়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪
শের শায়রী বলেছেন: আমি কিছুই বলিনি, আলতাফ পারভেজ ভাইর নাম শুনছেন? আপনার শোনার কথাও না যে জ্ঞান আর বিদ্যা নিয়ে থাকেন উনার এই কলাম টা দেখবেন প্রথম আলোতে। কাসেম সোলাইমানি: দুনিয়ার এক নম্বর জেনারেল!
১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইরানকে আমি একটা কারনেই পছন্দ করি। ইসলামী দুনিয়ার হারামী সৌদি আর তার আশেপাশের শেখ চামচারা যেভাবে আমেরিকার পদলেহন করে টিকে আছে, সেই তুলনায় ইরানী সরকারের অন্ততঃ গাটস আছে, আত্মসন্মান বোধ আছে। এরা নিজেদের কাপড় খুলে সবকিছু বিলিয়ে দিচ্ছে না। আমেরিকা তার ক্ষমতার বলে দুনিয়া ব্যাপি আকাম-কুকাম করেই যাচ্ছে, তবে শেষ সবকিছুরই আছে। এদেরও হবে। সমস্যা হলো, মানুষ ক্ষমতাশালী হলে সেটা ভুলে যায়, তাদের চামুচরাও ভুলে যায়।
আমেরিকা একটা কারনেই ইরানকে আক্রমন করবে না। কারন, তাদের গোয়েন্দা সুত্রানুসারে ইরান পারমানবিক শক্তিধর দেশ। এই শক্তি দিয়ে তারা আমেরিকার কিছু করতে না পারলেও মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার ইসরাইলকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে পারে।
আপনার চিন্তাধারা আমার সাথে মিলে; হাজার হলেও একই প্রজাতীর আমরা, তাই না!!
আগামীতে যতোদিন যাবে, আমেরিকানরা তত বেকায়দায় পরবে। কারন, স্মার্টনেস ভালো......তবে ওভার স্মার্টনেস স্বীয় স্বত্ত্বাকে ধ্বংস করে!!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২১
শের শায়রী বলেছেন: হ একই প্রজাতি পার্থক্য খালি আমি আমার পুলারে নিয়া ছবি দিছি আপনে একলা একলা দিছেন
ভাই যে কোন একটা জাতির পতনের জন্য এক জন অযোগ্য শাষকের দরকার সেদিক দিয়ে ট্রাম্প এক দম পারফেক্ট অযোগ্য নাম্বার ওয়ান। ইরান আক্রমন না করার অন্যতম কারন হবে সেক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস ইরানের বেশ কিছু স্লিপিং এজেন্ট আমেরিকায় বসে আছে নির্দেশ পেলে নিজেকে উড়িয়ে দিতে প্রস্তুত আর আমেরিকায় এ্যাটম না ফালাতে পারলেও ইসরাইলে যে পারবে সে ব্যাপারে তারা নিঃসন্দেহ।
যাউজ্ঞা আমরা বইসা বইসা দেখি কি হয়, যদিও এর আচ আমাদের গায়েও হাল্কা লাগবে। কিন্তু এই সব আচ মাচ আমাদের কিছু হয় না ওর থেকে অনেক বেশী আগুনে আমরা সুদ্ধ
২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ভুয়া মফিজ ,
ইরানীরা "পকেট এটমবোমা" বানায়েছে, সবাই আপনার মতো পকেটে ২/১টা নিয়ে ঘুরে।
২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ভুয়া মফিজ ,
লন্ডনের বাংগালী ও পাকী মোল্লাদের কাজ হলো, ইংরেজদের খেয়েদেয়ে ইরান, আফগানিস্তানের সন্ত্রাসীদের পছন্দ করা,
২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এ্যহ্! আইছে আমেরিকান রাজাকার!!.......জ্ঞানের সমুদ্র!!! আপনের সাথে প্যাচাল পারার টাইম নাই। আজাইরা বকবক করা বুড়া মানুষের স্বভাব। অবশ্য কারে কি কই....আপনে তো বুড়া মানুষই!!!
খোদা হাফেজ......এখন একলা বকবক করতে থাকেন!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৩
শের শায়রী বলেছেন:
২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন, " ইরানকে আমি একটা কারনেই পছন্দ করি। "
-আপনি একা নন: লন্ডনের বড় সমস্যা হলো, ওরা আরব, পাকিস্তান, আফ্রিকান ও বাংলাদেশের অনেক মানুষকে লালন পালন করছে, যারা ওখানে খেয়ে নিজের প্লেইটে পায়খানা করছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: আহা মুরুব্বী রাগ করছেন কেন, ইতিহাস বলে ব্রিটিশ রেনিগেডদের উত্তরসুরী আজকের আপনার সাধের আমেরিকা
২৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: শোভন, ফাউল, আজাইরা, বেউকুব, মানষিক বিকারগস্ত কারোর মন্তব্যের জবাব দেওয়ার অরুচি তোমার আগেতো কখনও ছিলোনা। বাদরটাকে দুইটা গদাম দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে দাওনা কেনো?
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: উনি মুরুব্বী বায়োজোষ্ঠ উনার জবাব না দিলে তো আবার বেয়াদপি হবে
২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
@জুল ভার্ন ,
আপনি নুর'এর "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী নেতৃত্ব"র প্রশংসা করেছিলেন; আমি সেটা নিয়ে আলাপ করার পর পোষ্ট ড্রাফট করেছিলেন। এখন আমাকে গদাম দেয়ার জন্য বলছেন? দেখা যাক।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩০
শের শায়রী বলেছেন: ভালোই দেখা দেখি হচ্ছে! যতদুর জানি আপনিও মুক্তিযোদ্ধা জুল ভার্ন ভাইও মুক্তিযোদ্ধা। এইবার দু'জনে যার যা আছে নিয়া দেখা দেখি করেন।
২৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই পৃথিবীর সব থেকে আদিম পেশা ছিল যুদ্ধ দ্বিতীয় আদিম পেশা দেহ ব্যাবসা। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন একজন আর একজনের ওপর প্রভুত্ব করার চেষ্টা করবে। আর যতদিন এ চেষ্টা থাকবে ততদিন যুদ্ধ থাকবে।
পৃথিবী থেকে যেদিন ধর্ম বিলুপ্তি হবে। সেদিন থেকে আর যুদ্ধ হবে না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই আপনি লিখছেন পৃথিবী থেকে যেদিন ধর্ম বিলুপ্তি হবে। সেদিন থেকে আর যুদ্ধ হবে না। একটু দ্বিমত করি, পৃথিবী থেকে যেদিন ধর্ম উঠে যাবে সেদিন যুদ্ধ না অধর্মের জয় হবে। যেমন বাবা তার সন্তান কে হত্যা করবে ( আরবে আইয়্যামে জাহিলিয়াত যুগ) ভাই বোনের সাথে বিয়ে করবে (প্রাচীন মিশর আর গ্রীক ইতিহাস)।
২৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী পোষ্ট তো ল্যাদা ম্যাদায় গুন্ধ হইয়া গেল
আম্রিকান রাজাকার ভালু কইছেন!
বুরবাক ভাবনা!য় ভরা দেখী কত কথা কয়রে!!
" লন্ডনের বড় সমস্যা হলো, ওরা আরব, পাকিস্তান, আফ্রিকান ও বাংলাদেশের অনেক মানুষকে লালন পালন করছে, যারা ওখানে খেয়ে নিজের প্লেইটে পায়খানা করছে। "
বাংলা সিনেমার স্মৃতি ভ্রস্ট নায়ুক ভুলে গেলে বর্বর লন্ডনীরা ২৫০ বছর সোনার বাংলা সহ বিশ্ব লুট করে নিজেদের সাজিয়েছে। অত্যাচার আর বর্বরতায় ভরা জুলুম আর শোষনের ইতিহাস! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস তারই উত্তরসূরী দুটো সামান্য থাকা খাওয়ার বিনিময়ে তাদের চামচামী করে!
আমরা ভাল বলেই বিট্রিশদের সব কেড়ে নেই না। নয়তো ওদের আড়াইশ বছর শাস্তি ভোগ করার কথা -ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার সূত্রানুসারেই।
যাক গে ধান বানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই। কারো কারো ইল্লত যায়না ধূলে, খাসলত যায় না মলে!
তোমার অধিকার রক্ষার অজুহাতে হত্যা যদি বৈধ হয়
আমার অধিকার সুরক্ষায় তোমাকে অভিশাপ দিলাম!
গতকাল ফেসবুেক
এই সামান্য আক্ষেপেও পিগমি টাইপ চেতনাধারীদের জ্বলেছে! ৩ ঘ্টার মধ্যে মেসেজ দিয়েছে এসবনা লিখতে!!!!!
বোঝেন কি হাল ভ্রষ্ট চেতনাবাজদের!!!!!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: কি আর কমু ভাই সব দেখতে আছি আর শুনতে আছি। বলার ভাষা নাই। ভাষা সব উনাদের দখলে। উনারা যা বলবে তাই ওহি।
২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২২
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
ইরান কখনই সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না। অনেকেই ইরান নিয়ে উর্বর চিন্তা ভাবনা করছে কিন্তু ইতিহাস বলে ইরান সবসময় পাকা এবং ঝানূ দাবা খেলোয়ার। ইরান যা করবে আমার মনে হয় সেটা হলো প্রক্সি ওয়ার। যেটা সে খুব ভালো খেলে। ইরাকের সংসদ ইতিমধ্যেই আইন পাশ করে ফেলেছে। ইরাক এবং সিরিয়া থেকে আমেরিকাকে তাড়িয়ে দিতে পারলে শেষ পর্যন্ত কিন্তু ইরানেরই জয় হবে। ইরান এখন পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে যা ইচ্ছে বোমা বানাবে। তাকে আবার আলোচানার টেবিলে নিয়ে আসা ইউরোপের খুব কঠিন হয়ে পরবে। এখন ইরানের দাবী অনেক বড় হবে। দর কষাকষিতে ভারীর দিকেই থাকে ইরান।
পিগমী পর্যায়ের বুদ্ধিবৃত্তিক ব্লগার'কে এত সময় দেয়ার কোন কারণ নেই। শুধু সময় নষ্ট করেছেন। এই সময়ে আরেকটা ভালো পোস্ট লিখে পারতেন।
লেখা দারুন হয়েছে।
ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫০
শের শায়রী বলেছেন: আসলেই কালকে আর একটা পোষ্ট লিখতে গিয়ে বাহাসে নেমে সেটা আর আগাতে পারি নাই ভাই কি কমু মুরুব্বী মানুষ তায় ব্লগের সেলিব্রিটি উনাকে এড়িয়ে গেলে আবার মাইন্ড করে যদি তাই ভয়ে ভয়ে উত্তর দিছি
২৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল বিশ্লেষন
ধন্যবাদ
কমেন্টগুলো পড়লাম। মনে হচ্ছে যারা আমেরিকায় থাকে পৃথিবীর সব বুদ্ধি তাদের পকেটে (মাথায় নয়)।
আমেরিকার একজন হাইস্কুল পাশ ছাত্র ৭ টা মহাদেশের নাম বলতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫২
শের শায়রী বলেছেন: অন্তত আমেরিকার ৭৫% ছাত্র যে সেটা পারবে না এটা এক পরিসংখ্যানে একবার দেখছিলাম।
৩০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক দিয়ে ইরান বেশ এগিয়ে। আক্রান্ত হলে ওরা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে, যার ফলে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি সংকটে পড়বে।
তবে উপর উপর হুমকি ধমকি দিলেও কোন পক্ষই সম্মুখ যুদ্ধ চাইবে না(আপাতত)। চিন্তার বিষয় হলো, অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে ইরান হয়তো পরমানু অস্ত্রের দিকে আগাবে, যুক্তরাষ্ট্র এটাকে কীভাবে নেবে সেটাই দেখার বিষয়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: পরমানু অস্ত্র এক দম শেষ অস্ত্র তার আগে মানব বোমা কিভাবে সামলায় তাই দেখার বিষয়।
৩১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর বিশ্লেশণ ধর্মী পোষ্ট।
কবি বলেছিলেন "ফুলদল দিয়া বিদাতা কাটিলা তমাল তরু"
দেখা যাউক কি হয় তবে যুদ্ধ কামনা নয়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: অবশ্যই যুদ্ধ কারো কাম্য না, কিন্তু মাথা মোটা ট্রাম্পের যে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা লাগবে! ওকে এটা কে বুজাবে?
৩২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদ গাজী বলেছেন- " লেখককে"
১।"বিশ্ব সম্পর্কে, ইজরেয়েল সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা নেই; ইজরায়েল দেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বৃটিশ কলোনীর জমিতে, ইউএন কর্ত্তৃক; সেটাকে সন্ত্রাসী মিলিশিয়া দ্বারা যেই লোক ঘেরাও করে আরবদের বিপদে ফেলছে, তাকে আপনি "বড় জেনারেল" বলছেন; আপনার ধরণা-পরমাশক্তি শুন্যের কোঠায়।"
২।চাঁদ গাজী বলেছেন@জুল ভার্ন কে,
আপনি নুর'এর "মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী নেতৃত্ব"র প্রশংসা করেছিলেন; আমি সেটা নিয়ে আলাপ করার পর পোষ্ট ড্রাফট করেছিলেন। এখন আমাকে গদাম দেয়ার জন্য বলছেন? দেখা যাক।
৩।চাঁদ গাজী বলেছেন- " লেখককে"-ইজরায়েল বিশ্বের সবার (ইউএন) অনুমোদন নিয়ে সৃষ্ট একটি উন্নত দেশ; উহাকে ধ্বংস করতে কেহ দেবে না; উহাকে ধ্বংস করার জন্য যারা ছেষ্টা করবে, ইউরোপ ও আমেরিকা সেই দেশকে ধ্ংস করে দেবে। আপনার ন্যায় অন্যায় জ্ঞান শুন্যের কোঠায়।
দাদু কেমনে কি?
আপনি আসলে কে / কি? আপনি বয়সে প্রবীণ এটা অনুমান করতে পারি ( যেহেতু আপনি দাবী করেন,আপনি মুক্তিযোদ্ধা।যদিও আপনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন তা আপনি কোথাও বলেন না।) আপনার বিখ্যাত ৩ টি উদ্ধৃতি দেখে আসলে অনুভব করার চেষ্টা করছি আপনি আসলে কে / কি?
আপনার উচিত ট্রাম্প বা নেতানিয়াহোর পরামর্শদাতা হওয়া।তারা কেন এখনো আপনার খোজ পায়নি এটাই বুঝতে পারছিনা।আপনি ব্লগে লিখে তা প্রমানে ব্যস্ত যে,এই পৃথিবীতে আপনি এমন একজন যে সব জানে ,আর বাকি সবাই লিলিপুটিয়ান(আপনার বিখ্যাত ডায়লগ)।
একজন মুসলমান হিসাবে অন্যের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা ও সম্মান থাকা উচিত এবং সত্য জানা / বলা উচিত।
দাদু বয়স হয়েছে। এই সম্পর্কে চিন্তা করেন । কারন সত্য সর্বদা সত্য । আপনি যদি সত্যকে বাদ দিয়ে দেন তবে এটি পরিবর্তন হবেনা আর আপনি কাউকেই শয়তান বলতে পারেন না বা অসম্মান করতে পারেন না কারন আল্লাহ কাউকে বিচার করার অধিকার আপনাকে দেয়নি।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী চাদ্গাজী সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
আর ভাই আপনি মনে হয় দিলেন আগুন ধরাইয়া
৩৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি দেখতেছি অতি ধৈর্যশীল !
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: অপু ভাই, মজা লাগে
৩৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: @চাঁদ গাজী, অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। জীবনে কম রক্তচক্ষু দেখিনি। পাকিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলাম মাত্র ১৪ বছর বয়সে। অনেকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি.... আল্লাহ বাঁচিয়েছে। ধমকাধমকি না করে সরাসরি আপনার হিস্রতাই প্রয়োগ করেন - আমার মৃত্যু যদি আপনার হাতেই আল্লাহ নির্ধারণ করে থাকেন তাহলে আমার কিছুই করার নাই।
আমি জীবনে কারো ক্ষতি করিনি। আপনি যে পোস্টের কথা বলেছেন সেই পোস্টেও হুমকি দিয়েছিলেন, আমি চাইনি সেটা সবাই দেখে একজন মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে খারাপ ধারণা করুক।
আপনার অনেক মন্তব্য দেখেছি যেখানে আপনি প্রায়শই অসৌজন্যমূলক মন্তব্য করেন - যা মানসিক অসুস্থতার লক্ষ্মণ। তাই আমি আবারও বলবো, নিজের চিকিৎসা করুন।
শু কামনা।
৩৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
রায়হান চৌঃ বলেছেন: অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন..... ধন্যবাদ।
তবে বলতে পারেন আমি আতংকিত আমেরিকা (সৌদী) বনাম ইরান এর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়। কারন মানচিত্রের গোল চিহ্নিত শহরটা তে আমার বসবাস, তা ছাড়া অয়েল ফিল্ড এ কাজের সুবাদে সমুদ্রের সৌদী-ইরান বর্ডার পর্যন্ত আমার যাওয়া আসা। বুঝতে পারছি কখন কি হয়............. আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৬
শের শায়রী বলেছেন: দেখা যাচ্ছে আমাদের দুজনার প্রফেশনাল ফিল্ড মিলে গেছে যদিও সেক্টর আলাদা। অয়েল ফিল্ডের জবই হল জীবন হাতে নিয়ে ঘোরা তার ওপর যদি এক্সট্রা পেইন তখন তো কথাই নেই। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।
৩৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭
শের শায়রী বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম রাজীব ভাই।
৩৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: অনেক বছর ব্লগে আসিনা, তাই হয়তো এই বিতর্ক বা কুতর্ক ভরা মন্তব্য দেখে ভালই মজা নিলাম।
কিন্ত ভাইসব আপনারা কাদেরকে নিয়ে তর্ক করছেন?
আমেরিকা সাড়া বিশ্বকে দাদাগিরি দেখিয়ে চলছে আর
ইরান চাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দাদাগিরি !
দুটো দেশই একই দোষে দুষ্ট ।
এখানে আমাদের বাংলাদেশীদের করনীয় কি?
বাংলাদেশের শ্রমজীবীরা আমেরিকায় যদি ৮ লক্ষ থাকে তবে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে কম করে ১৪ লক্ষ।এই প্রবাসীদের রেমিট্যান্স বাংলাদেশের আয়ের অন্যতম উৎস।
কিন্ত ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখুন ইরানে কতোজন প্রবাসী আছে, আমি জানি একসময় প্রচুর ডাক্তার ইঞ্জিয়ার ছিল, এখন নেই। আমরা দেখবো আমাদের স্বার্থ। ইরান নিজ স্বার্থে হয়তো ফিলিস্তিনী, ইয়ামেন বা সিরিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের কি লাভ? শুধুই ইসলামী তোকমা দিয়ে আমাদের পেট ভড়বে না বাহে
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৮
শের শায়রী বলেছেন: মজাই লাগছে মোজাম ভাই।
৩৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
@জুল ভার্ন ,
আপনি মিথ্যুক, আপনি নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বলেছেন, আপনার লেখা ও আপনার দেয়া পরিচয়ে মিল নেই।
৩৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ! চমৎকার পোস্ট।
সব পড়লাম, একটা কমেন্টও বাদ দেইনি।
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী পোষ্ট তো ল্যাদা ম্যাদায় গুন্ধ হইয়া গেল
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: আমিও হাসতে আছি পোষ্ট গান্ধা করার কতা হুইনা
৪০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইতিমধ্যেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইরাকে অবস্থিত দুটো মার্কিন ঘাটিতে ব্যালাস্টিক মিসাইল হামলা করেছে ইরান। ওদিকে আবার একটা ইউক্রেনিয়ান বিমানও ভূপাতিত করেছে ইরান।
দেখা যাক, আগামীতে কি হয়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০
শের শায়রী বলেছেন: কিছু সুইসাইডাল বোম্বিং হবার সম্ভাবনা আছে, কারন এই অস্ত্রটির সব চেয়ে বড় জোগানদার ইরান। দেখা যাক কি হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সরল বিশ্লেষণের সহজ সারকথা! বাস্তবতার সাথে মিলে যাচ্ছে।