নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
‘আমি আগে কখনো বুঝতে পারতামনা লোকে কেন ধর্মপালন করে। এবং তারা এ থেকে কী পায়। কিন্তু এই প্রকল্পটি করতে গিয়ে আমি বুঝতে পারি আসলে ধর্ম কোনো সমস্যা নয়। বরং ধর্ম হলো ,মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। যা মানুষ কোনো না কোনোভাবে ধারণ করে। আমাদের এখনো মুল্যবোধ ও পৌরাণিক গল্পকে কেন্দ্র করে একত্রিত হওয়ার ও সম্প্রদায় হিসেবে সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আমি মনে করি শয়তানের মন্দির আমাকে একটি নতুন পথের সন্ধান দিলো।’ এই বিরাট উপলদ্ধি ঘটছে “হেইল শয়তান” নামে এক ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরী করতে গিয়ে ফিল্মের নির্মাতা পেনি লেইনের।
যাক মুল ব্যাপার হল এ বছর আমেরিকায় ৬ ই ফেব্রুয়ারী শয়তান উপাসকরা তাদের মন্দিরের জন্য কর ছাড় পেল, গির্জার মত। এর ফলে অফিশিয়ালি শয়তান উপাসনা একটা ধর্মের রূপ পেল। এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ছিল এ্যানথর জ্যান্ডর লেভি (Anton Szandor LaVey)। ১৯৬৬ সালের ৩০শে এপ্রিল ইনি স্যান ফ্রান্সিসকোর ওয়ালপার্গিসনাটের “ব্লাক হাউসে” এই ধর্মের জন্য প্রথম “চার্চ অভ স্যাটান” প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এর হাই প্রিষ্ট হিসাবে কাজ করে যান। ১৯৯৭ সালের ২৯শে অক্টোবর শয়তানবাদ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা মৃত্যর আগে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন বই লিখে যান তার মাঝে উল্লেখ্যযোগ্য হল “স্যাটানিক বাইবেল।”
Antón Szandor Lavey | Laveyan satanism, Satanic rituals
লেভীর মৃত্যুর পর প্রায় চার বছর হাই প্রিষ্টের পদটি খালি থাকে, পরে ২০০১ সালে পিটার এইচ গিলমোর হাইপ্রিষ্ট পদ অলংকৃত করেন এবং চার্চ অভ স্যাটানের হেড কোয়ার্টার স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে সরিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যান হাটানের “হেল’স কিচেন” নিয়ে আসেন। এর পর সব শেষে ম্যাচাচুটেস এর সালেমের একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বিল্ডিং এ, যে বিল্ডিং এ এক সময় মানে সতের শতকে ডাইনীদের বিচার হত এবং ২০০ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে ডাইনী সন্দেহে পুরিয়ে মারা হয়। এর মাঝে বিখ্যাত হয়ে আছে তিন বালিকার ডাইনী হিসাবে অভিযুক্ত করার ইতিহাস। সে ইতিহাস থাক। আজকে আমরা একটু শয়তান উপাসনার ইতিহাসের দিকে যাব।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০/ ৫০০০ প্রাচীন মিশরীয় উপকথায় শয়তান দেবতা হিসাবে “সেথ” কে দেখা যায়। আর ভালো দেবতা হিসাবে ওসাইরিস কে মানা হত। সেথ ছিল মৃত্যুর দেবতা আবার সেথকে মরুভুমির দেবতা হিসাবেও মানা হত, তাই মরুভুমির যাযাবরদের সেথের উপাসনার প্রচলন বেশী ছিল। যদিও ওসাইরিসের পাশাপাশি সেথের উপাসনাও মিশরে অফিশিয়ালি পালিত হত এই যুক্তিতে, যে শয়তান কে তুষ্ঠ রাখতে হবে, অন্য দিকে সেথের যুদ্ধ দেবতা হিসাবে পরিচিতি ছিল। মুলতঃ সে সময় ভালোর পাশাপাশি খারাপ এর উপাসনার ও চল ছিল। ভালোর দেবতা যদি ওসাইরিস হয় তবে তার পাশাপাশি সেথও খারাপের দেবতা হিসাবে প্রাচীন মিশরে পুজিত হত। এই হিসাবে যদি দেখতে হয় তবে আমরা দেখি যে শয়তানের উপাসনা সেই প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় বিরাজ করছিলো। সে সময় মিশরীয়দের সমসাময়িক হিট্টাইট জাতির মাঝেও “সুতেহ” নামক এক গডের পুজার প্রচলন দেখা যায় যা মিশরীয় সেথের অনুরূপ।
Gallu Demons in Sumerian mythology
এর ধারাবাহিকতায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বে যে সেমিটিক জাতির দেখা পাওয়া যায় যাদের ধরা হয় ব্যাবিলনীয়, অশিরিয়, ইজরাইলাইট এবং আরবদের পূর্ব পুরুষ। এরা মেসোপটমিয়া এসে বসতি গড়ে, এদের কে আক্কাডিয়ান নামে ইতিহাসে চিহ্নিত করা হয়, মজার ব্যাপার হল আক্কাডিয়ান রা কোন সাদা চামড়া ছিল না এদেরকে “ব্ল্যাকফেস” বা “ব্লাকহেড” নামেও ডাকা হত। তাদের ব্যাপারে ইতিহাসবিদরা এখনো নিশ্চিত না তারা কি ইথিওপিয় বংশদ্ভুত ছিল নাকি অন্য কোন জাতি থেকে আগত। যাই হোক তাদের লিখিত যে ট্যাবলেট পাওয়া গেছে সেখানে এক মহাপ্লাবন থেকে ইডেন গার্ডেনে শয়তান সাপ হয়ে যে প্রলুদ্ধ করছে এই সব অনেক কিছুর উল্লেখ্য পাওয়া যায়। মুলতঃ আধুনিক ধর্ম কথার (মানে ধর্মীয় বই গুলোতে যে সব কাহিনীর উল্লেখ্য করা হয়েছে) অনেক কিছুর আদি নিদর্শন এই আক্কাডিয়ানদের ট্যাবলেটে দেখা গেছে। ব্যাবিলনীয় সভ্যাতায়। সুমেরিয়ান সভ্যতায় গাল্লু নামে আন্ডারওয়ার্ল্ড এর এক ভয়ংকর শয়তানের দেখা পাওয়া যায়।
Ereshkigal - Ancient History Encyclopedia
ব্যাবিলনীয় সভ্যতায় রেসকিজেল (Ereshkigal) নামে এক ডাইনীর দেখা পাওয়া যায় যার পায়ের পাতা পাখির পায়ের মত, প্যাচার মত পাখা যে কিনা দুটো সিংহের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
Lamashtu - Wikipedia
প্রাচীন মেসোপটমিয়ায় লামেশতু নামক এক ডাইনীর উল্লেখ্য আছে যে কিনা ছোট ছোট দুধের বাচ্চাদের মায়ের বুক থেকে তুলে নিয়ে যেত আর তাদের হাড় চুর্ন করে রক্ত চুষে খেত।
নেরগেল
মেসোপটমিয়ায় নেরগেল নামক এক ভয়ংকর অপদেবতার খোজ পাওয়া যায়, নারগেল দেখতে কুকুরের মাথা, ঈগলের দেহ, মানুষের হাত এবং সিংহের মাথার মত। এইখানে এসে একটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করার মত এই নেরগেলের বর্ননা ওল্ড টেষ্টামেন্টে (হিব্রু বাইবেলে) পাওয়া যায় কুথ শহরের দেবতা হিসাবে এনলিল এবং নিনলিলের ছেলে হিসাবে "এবং ব্যাবিলনের লোকেরা সুক্কোত-বেনোতকে তৈরি করেছিল, এবং কূথের লোকেরা নারগাল তৈরি করেছিল" (২ কিং, ১:৩০)।
সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে একটা ব্যাপার খেয়াল করা যায় যে, প্রথম দিকে “গড” বা সৃষ্টিকর্তা বলে আমরা যাকে উপলদ্ধি করি সভ্যতার প্রথম দিকে (যদি নিওলেথিক সময় খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০০/১০০০০ বছর আগে ধরা যাক) সে ভাবে আলাদা করে আসে নি, সে সময় মানুষ আলো ও অন্ধকার (ভালো ও মন্দ বা ঈশ্বর ও শয়তান) কে পাশাপাশি তুষ্ঠ রাখার চেষ্টা করত। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সময় মানুষ যখন আলোর আরধনা ছেড়ে অন্ধকারের আরাধনার দিকে বেশী ঝুকত তখনি ইতিহাসে এক একজন বড় মাপের মানুষের আগমন লক্ষ্য করা যায়, যারা আবার মানুষকে আলোর দিকে ফেরানোর জন্য বলত। সেই আব্রাহাম বলুন, বুদ্ধ বলুন, যিশু বলুন বা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) বলুন বা এদের মাঝে অন্য কোন মহা মানুষ বলুন এরা এসে আস্তে আস্তে অন্ধাকারের দিক থেকে মানুষ কে আলোর পথে আনার জন্য বলছে।
যাই হোক এখানে তুলনামুলক ধর্মশাস্ত্র নিয়ে আলোচনায় না গিয়ে আমি আসলে শয়তানের উপাসনার খোজ নিতে গিয়েছিলাম। কবে কোন খান থেকে এর উৎপত্তি হয়েছে তার সুলুক সন্ধানে। আমি যেটা পেয়েছি (একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত) সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন প্রভাবশালী ধর্মপ্রচারকারীরা এসে সবাই ই শয়তান কে অন্ধাকারের প্রতিভু হিসাবে দেখিয়ে মানুষ কে এর থেকে দূরে থাকার আহ্বান করছে। শয়তান অনুসারীরা আস্তে আস্তে কোন ঠাসা হতে থাকে এক সময় প্রায় বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু শয়তানের উপাসনা থেমে থাকে নি।
সভ্যতার এক বিশাল অংশ আলোর পথে চলে আসল মানুষ গোপনে অন্ধাকার বা শয়তানের উপাসনা করে যেতে থাকল। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে। আফ্রিকায় একে অনেকে ভুডু নামে চেনেন। যদিও কোথাও কোথাও একে প্রাচীন প্যাগান রিচ্যূয়ালের বিকৃতরূপ হিসাবে বলা হয়েছে। হাইতিতে এক সময় এই ভুডু মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছিলো। এখনো নাকি হাইতির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভুডুর চর্চা হয় যা প্রকারান্তে শয়তানের উপসনায় রূপান্তরিত হয়েছে কালের বিবর্তনে।
এখানে অল্প কথায় প্যাগান শব্দটির বর্ননা দেবার চেষ্টা করব Pagan শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Paganus শব্দটি থেকে যার মানে Villagers বা Rural। মানে গ্রাম্যদের ধর্ম। খ্রিষ্টবাদ আসার আগে প্রাচীন গ্রীস এবং রোমের মানুষদের এক বিশাল অংশ ছিল প্যাগান ধর্মের উপাসক। আসলে ধর্ম বলতে আমাদের যে ধারনা মাথার ভেতর আছে প্যাগান ধর্ম তা থেকে ভিন্ন তারা আসলে ছিল প্রকৃতির উপাসক, এবং পরিস্থিতির সাথে সাথে স্থান ভেদে এই প্রকৃতির উপাসনা ভিন্ন হত। তারা পৃথিবীর ব্যাসিক চারটি উপাদানে বিশ্বাস করত এয়ার, আর্থ, ফায়ার, ওয়াটার। খ্রিষ্টান ধর্ম আসার সাথে সাথে প্যাগান ধর্মের বিলুপ্তি ঘটে। বর্তমান বিভিন্ন ধর্মে এখনো প্যাগান ধর্মের বিভিন্ন সিম্বল ব্যাবহার হয় নিজ ধর্মের নামে। এনিয়ে আর কথা বাড়াব না। প্যাগান বিশ্বাস কে অনেকেই শয়তানের উপাসনা হিসাবে এখন বিশ্বাস করে।
মধ্যযুগে ইউরোপে যখন জ্ঞান বিজ্ঞান প্রসার লাভ করছিলো তখন যারাই জ্ঞানের অন্বেষন করত তাদেরকেই ডাকিনী বিদ্যারচর্চার জন্য চার্চের ইনক্যুইজিশানের (আক্ষরিক অর্থে জেরা, মুলতঃ ধর্মীয় বিচার সভা) মুখোমুখি হতে হয়।
নাইট টেম্পলারদেরও ইনক্যুইজেশানের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় শয়তানের উপাসনা করার অভিযোগে।
যদি আপনি খ্রিষ্টান বা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হন তবে বলতে পারেন “ইয়াজিদি” রা শয়তানের উপাসক। কিভাবে? তাদের ধর্মে বলা হয় “মালেক তাউশ” ময়ুর ফেরেশতা হচ্ছে সমস্ত ফেরশতাদের প্রধান। তাহলে তাদের কেন শয়তান উপাসক বলা হয়? সংক্ষেপে জেনে নেই সে কাহিনী মালেক তাউস দারুণ অনুগত ফেরেশতা ছিলেন। বিধাতা একবার পৃথিবী থেকে ধুলি আনিয়ে আদমকে সৃষ্টি করলেন। এরপরে ফেরেশতাদেরকে আদেশ দিলেন আদমকে সেজদাহ করতে। সবাই সেজদাহ করলেও মালেক তাউস করলেন না। চেনা ঠেকছে? ইহুদি, খ্রিস্টান আর ইসলাম ধর্মেও অনেকটা এমনই বলা হয়েছে না? শয়তান আদমকে কুর্নিশ করলেন না। পরে বিবি হাওয়াকে গন্ধম ফল খাওয়ানো ও মানবজাতির ওপরে তার ভর করে বসার কথা সবারই মোটামুটি জানা।
আর ঠিক এখানেই ইয়াজিদিদের ধর্মবিশ্বাস আলাদা মোড় নিয়েছে। মালেক তাউস বিধাতার অনুচর, তিনি বিধাতার অংশ, বিধাতা কেন মানুষকে সিজদাহ করবেন? তাছাড়া বিধাতা চাইলেই মালেক তাউস কে বাধ্য করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে তিনি মালেক তাউসের পরীক্ষা নিলেন। আদমকে মালেক তাউস সিজদাহ করলেন না দেখে বিধাতা খুশি হলেন। মালেক তাউস কে মানবজাতি আর নিজের মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করবার আদেশ দিলেন।
বহু বছর পরের কথা। আদম আর হাওয়ার বংশধরে পৃথিবী সয়লাব। সব জায়গায় তখন মার মার কাট কাট অবস্থা। মানব সমাজ বিষিয়ে উঠেছে। মালেক তাউস এই অন্যায়-অবিচার দেখে কেঁদে উঠলেন। সাত হাজার বছর ধরে তার অশ্রুধারা বইলো, নিভে গেলো নরকের আগুন। কিন্তু মানুষ মালেক তাউস কে ভুল বুঝলো। তারা সবাই মালেক তাউস কে ফিরিয়ে দিলো বিধাতার অবাধ্য অনুচর ভেবে। কিন্তু ইয়াজিদিরা বুঝলো আসল কাহিনী। মালেক তাউস বিধাতার পরীক্ষায় সফল হয়েছেন, ফেরেশতারূপে আবির্ভূত হয়েছেন, এই বিশ্বাসে ইয়াজিদিরা তাকে দিলো সুবিপুল সম্মান আর ভক্ত আরাধনা। এই বর্ণনার সাথে ইবলিশ তথা শয়তানের কাহিনী মিলে যায়। ফলে শত শত বছর ধরে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা ইয়াজিদিদেরকে শয়তানের পূজারি হিসেবে দেখে আসছে।
NECRONOMICON SPELLBOOK
শয়তান উপাসনা নিয়ে লিখাতে গেলে নেক্রোম্যান্সি নিয়ে দু লাইন না লিখলে সে লেখা যে অপূর্ন থেকে যায়। নেক্রোম্যান্সি হল মৃতদেহ বা আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করার একটা কালো জাদুর উপায়। হোমারের “ওডিসি” তে এই নেক্রোম্যান্সির উল্লেখ্য আছে। শয়তান উপাসনা বা কালোজাদু অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় এই নেক্রোম্যান্সির চর্চা হত। অন্ধাকার থেকে শয়তান বা আত্মাকে ডেকে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে তাদের ব্যবহার করা মুলতঃ নেক্রোম্যন্সির মুল কথা। যারা ভুতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন তারা হয়ত এইচ পি লাভক্রফটের নাম শুনছেন মুলতঃ এর লেখা থেকেই এই কালো জাদুর ব্যাপারে মানুষ আবার উৎসাহিত হয়ে পড়ছে।
আসলে শয়তান উপাসনা নিয়ে যে এত এত লেখা হয়েছে তা আমার জানা ছিল না, গত দুই দিন এগুলো ঘাটাঘাটি করে আমার আক্কেল গুড়ুম দশা। সবশেষে এটুকু বলে এই লেখার যবনিকাপাত করব, আমেরিকায় শয়তানবাদ একটি ধর্ম হিসাবে যেমন স্বীকৃতি লাভ করছে, তেমনি চীন সময়ের সাথে তাল রেখে তার দেশের মুসলমানদের এবং খ্রিষ্টানদের জন্য কোরান এবং বাইবেল নতুন করে পুর্নলিখন করবে। ভালোই তো। কি বলেন? ভালো না?
এই টাইপের লেখা কেউ পছন্দ করলে রহস্যময় বইঃ কোডেক্স গিগাস বা শয়তানের বাইবেল দেখতে পারেন।।
নরকের মানচিত্র
আত্মা ও প্লানচেট
সূত্রঃ বিভিন্ন জায়গায় লিঙ্ক যুক্ত করা এছাড়া
The hellish history of the devil: Satan in the Middle Ages
Satanic Temple exploits First Amendment for abomination of Baphomet
History of Black Magic
the history of the devil and the idea of evil pdf এই পি ডি এফ টা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন, দারুন বই।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬
শের শায়রী বলেছেন: কোন সন্দেহ নাই জনাব
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: এই পোষ্ট একবার না কমপক্ষে তিনবার পড়া উচিত।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩০
শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া রাজীব ভাই। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: দারুণ!!!
মাসখানেক আগে সময় টেলিভিশনে এ নিয়ে একটা রিপোর্ট দেখেছিলাম। বোধহয় ইউএসএ তে স্বীকৃতি পাবার পরপরই। কিন্তু পরে আর ঘেটে দেখা হয়নি,মাথা থেকে চলে গিয়েছিল। তবে অতীতে যাই থাকুক না কেন,এখন মনে হয় না এগুলো এখন নাস্তিকতাবাদের ভিন্ন একটা রূপ বৈ অন্য কিছু। জাস্ট একটা ফ্যাশন।
উপরের মন্তব্যটি মুছে ফেলবেন,প্লিজ(ওখানে 'প্রথম মন্তব্যের সাথে...) হবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩
শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি রূপম নাস্তিকতা আস্তিকতার মাঝে আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থার এক শ্রেনীর মানুষ আর আস্থা পাচ্ছিল না, তাই পুরানো জিনিস কে নতুন করে উপস্থাপনা করা আর কি! তবে অবাক লাগে ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে রাষ্ট্র মানুষকে (অতি সামান্য সংখ্যক) এ সব উৎসাহিত করে, আগে যেমন করছে সমকামিতা বা ন্যুডিজম অথবা এ্যাডিকশান (জান বোধ হয় অনেক দেশে এখন গাজা খাওয়া আইনসিদ্ধ)।
আসলে আমরা কোথায় যাচ্ছি? নীচে? আরো নীচে? এর থেকে নীচে নামারো অনেক উদাহরন আছে হয়ত ব্যাক্ত স্বাধীনতার নামে তাও এক দিন স্বীকৃত হবে। মানুষ আর পশুত্বে কোন ফারাক রইবে না।
তোমার অনুরোধক্রমে আগের মন্তব্য মুছে দিয়েছি।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪০
নতুন বলেছেন: শয়তান বলে কিছু থাকার কথা না। কারন সৃস্টি কাহিনি হিসেবে সকল ক্ষমতার উতস সৃস্টিকতা। এবং শয়তানও ঐ সৃস্টিকতারই সৃস্টি।
এখন শয়তান ক্ষমতা পাইলো কোথায়? মহাবিশ্বে কি সৃস্টিকতা ছাড়া ক্ষমতার অন্য কোন উতস আছে?
নাই
তাহলে শয়তানকে ক্ষমতা কে দিয়েছে? সৃস্টিকতা দিয়েছে!
কেন দিয়েছে? কারন না হইছে পেজগি লাগবো কেমনে?
যদি শয়তান এডাম কে সেজদা করতো, মেনে নিতো তবে ভ্যাজালই লাগতো না।
যদি এডাম স্বগে` জ্ঞানবৃক্ষের ফল না্ খাইতো তবে পৃথিবিতে আসতো না।
তার মানে শয়তান সৃস্টিকতার মমদেই এই সব করছে,
সবই সপ` হইয়া দংশন করো ঔঝা হইয়া ঝাড়ো ....
বিশ্বের বড় বড় ধমেই এই কাহিনি
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, আগেই স্বীকার করে নিয়েছি ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান অতি সীমিত । এই পোষ্টেও ঠিক ধর্ম নিয়ে আলোচনা হয় নি, কিছু মীথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মীথ আর ধর্ম এক না, যদিও অনেকেই এই ব্যাপারটা একই দৃষ্টিতে দেখে। এটা দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপার। যাক এটা বাদ দেই।
শয়তানের কথা বাদ দেন, মানুষের কথাই ধরুন, এই পৃথিবীতে মানুষের মাঝেই নানা ধরনের মানুষ আছে কেউ খুন করছে আবার কেউ মানুষের সাহায্য করার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করছে। কেউ ঘুষ খাচ্ছে, আবার কেউ সীমিত টাকা উপার্জন করে মানুষের কল্যানে ব্যায় করছে। প্রতিটা কাজেরই বিপরীত মুখী উদাহরনে এই পৃথিবী ভরা আমাদের চেনা জানা সীমিত গন্ডীতে। এখন যারা খারাপ কাজ করছে তারা সব শয়তানের বুদ্ধিতে করছে আর যারা ভালো কাজ করছে তারা সৃষ্টিকর্তার ডাকে করছে এটা বলা কি কোন যৌক্তিক লোকের পক্ষে শোভা পাবে? মানে কেউ চুরি করল, সে শয়তানের দোষ দিয়ে পার পেয়ে যাবে এটা কি মানা যায়?
কিন্তু দেখেন পশুদের মাঝে এমন কোন ভেদাভেদ নাই, বাঘ থেকে শুরু করে গরু ছাগল তাদের মাঝে ন্যায় অন্যায় পাপ পূন্য বোধ বলে কিছু নাই, সব একটা সু শৃঙ্খল নিয়মের মাঝে দিয়ে যাচ্ছে তাতে যদি বাঘ মানুষ ও হত্যা করে। এটা বাঘের একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।
তাহলে মানুষ আর পশুর মাঝে পার্থক্য কোথায়? আমার থেকে এব্যাপারে আপনি ভালো বলতে পারবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি, তাও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে উত্তর দেই, ভুল হলে মার্জনীয়। মানুষ আর পশুর মাঝে পার্থক্য হল "বিবেক"। এই বিবেক কথাটিকে আপনি চাইলে বিভিন্নভাবে ডিফাইন করতে পারেন। জ্ঞান, মানবিকতা, স্বকীয়তা বা আরো কিছু এই টাইপের।
আসি এইবার আপনার প্রসঙ্গে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করছে তাকে নির্দিষ্ট বা বিশেষ একটা গুনের সমন্বয়ে, সেটা আর কোন জীব কে দেয় নি, না একটু ভুল হল যদি ধর্মীয় দৃষ্টি কোন দিয়ে দেখেন তবে বলতে হয় মানুষ এবং জ্বীন জাতিকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করছেন বিবেক দিয়ে, সে বিবেকের হিসাবে আপনি চাইলে তাকে মানতে পারেন নাও পারেন। এটাই ব্যাপার। ইসলাম ধর্ম মোতাবেক শয়তান হল জ্বীন জাতি থেকে উদ্ভাবিত। তার কিন্তু স্বকীয়তা ছিল সে আল্লাহর হুকুম মানবে কি মানবে না। আমি এব্যাপারে আর আলোচানা করার সাহস পাচ্ছি না কারন আমার সীমিত জ্ঞানের কারনে। আমি ভাই ধর্ম নিয়ে আলোচনা করতে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করিনা। হয়ত আপনি বলতে পারেন আমার কিছু কিছু পোষ্টে ধর্ম চলে আসে, কিন্তু দেখবেন সেগুলো ধর্ম না, মীথ বা প্রসঙ্গক্রমে কোন উদ্ধৃতি।
কেউ যদি ধর্ম বিশ্বাস করে মানসিক শান্তি পায় তাকে সেটা করতে দিন, তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়, আবার কেউ যদি নাইটক্লাবে গিয়ে আনন্দ বা শান্তি পায় লেট হিম ডু বাট কথা ওই এক্টাই সেটা যেন বাড়াবাড়ি না হয়। সবাইকে একই রকম হতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। আমার জীবনে আমাই অনেক বিধর্মীকে দেখছি যারা কতিপয় মুসলমান নামধারীর থেকে অনেক বেশী মানবিক, সে কি আমার সন্মান পাবে না? আবার মুসলমান হয়ে মানুষ খুন করবে ধর্মের নামে কি আমি তাকে সমর্থন করব? ওই যে বিবেক। যার যেটা বলে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শয়তান আসলে অভিশপ্ত জ্বীন সরদার । বলতে গেলে অমর প্রায়। সবার শেষে তার জান কবজ করার হবে। আল্লাহ আমাদের শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে হেফাজত করুন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি আমি আসলে মাইথোলজিতে শয়তানের ধারনা কোথায় কিভাবে আসল সেটা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। তবে ইসলাম ধর্ম মোতাবেক তোমার ধারনা ঠিক আছে শয়তান নিয়ে। আল্লাহ আমাদের শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।।
৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯
সুপারডুপার বলেছেন: হেইল শয়তান! জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু সবই আল্লাহর হাতে। মাঝখানে শুধু প্রেমটাই শয়তানের হাতে !!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: পছন্দ অইছে আপনার কথা। তবে এক জায়গায় একটু দ্বিধা আছে, শয়তান আসলে ফাইন্যালি কোনটা চায় প্রেমে সফলতা না প্রেমে ব্যার্থতা ?
৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
স্যাটানিজম নিয়ে দেখছি ভাই বিশাল গবেষণা করে ফেলেছেন! কিন্তু স্যাটানিজম চর্চার আরেক দেবতা বাফোমেট প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক ভাবেই কিছু লেখা আশা করেছিলাম। তারপর স্কাল এন্ড বোন্স গুপ্ত সংঘটিও কিন্তু ভয়ানক ভাবে এর চর্চা করে থাকে।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে একটি প্রশ্ন রয়েছে, যদি শয়তান এত বিশাল শক্তিধরই হয় যাকে আরাধনা করা যায়, তাহলে দাজ্জালকে আবার সৃষ্টি করার দরকার কী ছিল অথবা দাজ্জাল নিয়ে এত মাতামাতি কেন? দাজ্জাল আসলে কী শয়তান আর দাজ্জাল দুজনে সন্ধি করবে নাকি নিজেদের মধ্যে?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
শের শায়রী বলেছেন: বাফোমেট নিয়ে প্রথম পড়ি যখন নাইট টেম্পলারদের নিয়ে লিখতে যাই, তাদের মুলতঃ ইনক্যুইজিশান হয় বাফোমেট উপাসনার জন্য। আসলে লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছিল তাই কাট ছাট শুরু করে যতদুর সম্ভব ছোট করে আনছি। আর "স্কাল এন্ড বোন্স" নিয়ে ধারনা নেই, একটা লেখা তো আশা করতেই পারি তোর কাছ থেকে ভাই।
ইসলাম ধর্ম মতে শুধু দাজ্জাল বলছিস কেন আরো কিছু আলামত আসবে যেগুলো কেয়ামতের লক্ষন হিসাবে। হঠাৎ করে এক সময় দুনিয়ায় দাজ্জালের কথা ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হবে। সে হবে বিধর্মী কাফের। সে অনেক আশ্চর্য শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী হবে। ইহুদী সম্প্রদায় ও আল্লাহ বিরোধী সম্প্রদায় তার সাথে যোগ দেবে। দাজ্জালের এক চোখ কানা থাকবে। তার কপালে কাফির কথাটি খোদিত থাকবে। তার সাথে একটি কৃত্রিম বেহেশত ও কৃত্রিম দোযখ থাকবে। সে নিজেকে আল্লাহ বলে দাবী করবে আর ক্ষমতা বলে মানূষ্ কে মেরে ফেলে জীবিত করতে পারবে। আর এসব কাজ প্রত্যক্ষ করে বহুলোক তার অনুগত হবে।
কিন্তু ঈমানদার বান্দারা তার বিরোধিতা করবে আর তাতে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ইমাম মেহেদী তাকে শায়েস্তা করার জন্য যাত্রা করলে সেও বহু সৈন্য সামন্ত নিয়ে যুদ্ধ যাত্রা করে। দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের আন্যতম আলামত। আরবী ভাষায় দাজ্জাল মানে হল প্রতারনা করা। দাজ্জাল সত্য মিথ্যা হক এবং বাতিলের মধ্যে চরম প্রতারনা করবে বলেই তাকে দাজ্জাল নামে অভিহিত করা হয়েছে।
দাজ্জাল প্রথমে নিজেকে নবী পরে আল্লাহ বলে দাবী করবে। পরে পৃথিবীর অধিকাংশ জায়গা ঘুরে ঘুরে মানূষ কে তার দাবীর প্রতি স্মর্থন জানতে বাধ্য করবে। হাদীসে উল্লেখ্য আছে দাজ্জাল যখন পথে বের হবে তখন তার সাথে আগুন আর পানি থাকবে। লোকেরা বাহ্যত যে বস্তুকে আগুন দেখবে সেটি আসলে হবে শীতল পানি আর যাকে সে পানি হিসাবে দেখবে সেটি আসলে আগুন (বুখারী)।
কোন মুসলিম তাকে রব বলে অস্বীকার করলে দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবে আসলে সে চলে যাবে মহা শান্তির স্থলে মানে জান্নাতে আর কেউ তাকে রব হিসাবে অস্বীকার করলে তাকে সে বেহেশতে নিক্ষেপ করবে যা আসলে তাকে অনন্ত দোযখের স্বাদ পাইয়ে দেবে। দাজ্জাল কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর একবার ই জীবন দান করতে পারবে
সে মক্কা মদীনা ব্যাতিত পৃথিবীর সমস্ত দেশ ভ্রমন করবে। সে মদীনায় প্রবেশের জন্য চেষ্টা করবে কিন্তু ওই সময় আল্লাহর আদেশে মদীনার সাতটি দরজাই ফেরেশতাদের পাহারায় থাকবে। তাই মদীনায়না ঢুকতে পেরে বিফল মনোরথে ফেরত যাবে। তার দৌরাত্বকাল হবে চল্লিশ দিন। এরপর হযরত ঈসা (অঃ) কর্তৃক নিহত হবে (মুসলিম)
ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি সীমিত, তাই দিয়ে বুজি দাজ্জাল সহ, দাব্বাতুল আরদ, বা অন্যান্য নিদর্শন কোন শক্তির কারনে না কেয়ামতের আলামত হিসাবে আসবে। আমার ভুল ও হতে পারে। এব্যাপারে যারা জ্ঞানী তাদের সাথে আলাপ করে দেখিস ভাই।
৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: একটু পড়েই মাথা ঘুরাচ্ছে। তাই আরর পড়ি নাই। ভাববেন না আবার আপনাকে ছোট করছি তাতে। সকালে ঠান্ডা মাথায় পড়ব আবার। শুভ রাত্রি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
শের শায়রী বলেছেন: পুরোটা পড়ে কেমন লাগল জানাবেন কিন্তু ভাই।
শুভ সন্ধ্যা।
৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নাস্তিকতাবাদ নয়, শয়তানবাদ আসলে আস্তিকতাবাদীদের এক বিকৃত রূপান্তর, যারা সৃষ্টিকর্তার উপর যথেষ্ট বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারে না, তারা ইহকালের আরো সুখ ও আনন্দের আশায় শয়তানের কাছে নিজের বিবেক ও আত্মাকে বিক্রি করে দেয় |
শয়তানদের উৎস খুঁজতে কোথাও যাওয়া লাগবে না, খোদ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বিভিন্ন কিসিমের শয়তান ছড়িয়ে আছে | খুন, নিপীড়ন, অত্যাচার, মানুষকে অমানুষিক কষ্ট দেয়া সহ হেনো অপকর্ম নেই এই শয়তানরা না করে থাকে | এদের কারো মুরিদান হতে পারলেই শয়তানের সান্নিধ্য লাভ ঘটবে অতি সহজেই |
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: গ্যেটের ফাউষ্ট পড়ছেন? ওখানে শয়তান মেফিষ্টোফেলিসের কাছে আত্মা বিক্রি করে দেয় ইহকালের সুখের বিনিময়ে পড়ে মৃত্যুর সময় তার উপলদ্ধি ঘটে- আপনি যেমন বলছেন " নাস্তিকতাবাদ নয়, শয়তানবাদ আসলে আস্তিকতাবাদীদের এক বিকৃত রূপান্তর, যারা সৃষ্টিকর্তার উপর যথেষ্ট বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারে না, তারা ইহকালের আরো সুখ ও আনন্দের আশায় শয়তানের কাছে নিজের বিবেক ও আত্মাকে বিক্রি করে দেয়।" হ্যা আপনার কথা শত ভাগ ঠিক।
আর ঠিকই বলছেন এই দেশের আনাচে কানাচে বহুত মানুষরূপী শয়তান আছে যাদের দেখলে আর শয়তান ও সালাম দিয়ে পালানোর রাস্তা খুজে
১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২১
সুপারডুপার বলেছেন:
@আকতার আর হোসাইন ভাই,
জানেনই তো পড়ার সময় শয়তান ধরলে মনোযোগ আসে না, মাথা ঘুরায়। শয়তানবাদের উৎস পড়ার ক্ষেত্রে শয়তানের হেল্প কথার ছিল। তারপরেও ক্যান যে শয়তান আপনার মাথা ঘুরে দিল!!
১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৫
সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এ সম্পর্কে বেশ কিছু পড়াশুনা এবং কৌতুহলের কারণে
আপনার পোষ্টিতে খুব সহজেই আকৃষ্ট হয়েছি।
ইউটিউবেও আজকাল এ সম্পর্কিত ব্যাপক গবেষনা দেখি।
আপনার পোষ্ট ভালোলেগেছে; ভবিষ্যতে আরও এসম্পর্কিত বিস্তারিত পোষ্টের আশা করছি।
শুভকামনা ভাই।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই। আমার চেষ্টা থাকবে এই টাইপের পোষ্ট দেবার।
শুভ কামনা নিরন্তর।।
১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৫
ইকবাল সরদার বলেছেন: শয়তান ধোয়া বিহীন আগুনের তৈরি ।
ধোয়া বিহীন আগুন = ১) সমাজের চোখে জ্ঞানী + ২) ধন সম্পত্তির অধিকারী+ ৩) লোকবল সম্পন্ন ব্যক্তি । এই তিনের সমন্বয়।
তবে শয়তান হতে হলে তাকে স্বর্গ, বেহেস্ত অথবা heaven, paradise এর পথে বাধা দানকারী হতে হবে। সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তির পক্ষে থাকা ব্যতিত বাকি সবাই শয়তানের অনুসারী।
[সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তি সব সময়ই থাকবে 4:41. "Then how will it be, when We bring a witness from every community, and We bring you as a witness against these?"
10:62. Unquestionably, God’s friends have nothing to fear, nor shall they grieve.
10:63. Those who believe and are aware.
10:64. For them is good news in this life, and in the Hereafter. There is no alteration to the words of God. That is the supreme triumph.
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩১
শের শায়রী বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা। আমি আসলে ধর্মীয় দৃষতিকোন থেকে লিখিনি। আমি আসলে কিছু মিথ এক করে পোষ্ট দিছি ভাই।
শুভ কামনা।।
১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়তে পোষ্টে আবার এলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস রাজীব ভাই। নীচে একজন আপনাকে উদ্দেশ্য করে একটি প্রশ্ন করছে জানি না আপনার চোখে পড়ছে কিনা।
১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় পরিচয়পত্রে পাসপোর্টে, চাকুরি দরখাস্তে কে কোন ধর্মে লেখা থাকেনা, লিখতে হয় না। কেউ জানতেও চায় না।
উপাসনালয়/মসজিদ কি ধর্মের সেটাও জানতে চাওয়া হয় না। তবে কঠিন সিটি আইন মেনে উপাসনালয় পারমিশন। সব চলতে হয়।
আর ট্যাক্স ফ্রীর কথা কলছেন? যে কোন 'নন প্রফিট' সংস্থার জন্যই করছাড়।
শয়তানবাদ আসলে আস্তিকতাবাদীদের একটি রূপান্তর, যারা কাল্পনিক ঈশ্বরের সাথে কাল্পনিক শয়তানের উপরও বিশ্বাস রাখে।
এরা পোশাকআসাকে কালো পোশাকে লোক দেখানো শোঅফ, সিরিয়াস কিছু না।
বাংলাদেশে বেদে সম্প্রদায়ের কিছু অংশ যাদু, দাঁতের পোঁক ফেলা, শাপখেলা দেখায় .. ইত্যাদি। সেরকম কিছু আরকি।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। আমার ধারনার সাথে আপনার ধারনার মিল খুজে পেলাম এই শয়তান উপাসকদের ব্যাপারে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
রাসেল বলেছেন: Thanks for this historical writings,
Attention Mr Rajib Noor, why should we read this post three times.
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: আ প্লেযার। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। আর রাজীব ভাই আপনার মন্তব্য দেখলে হয়ত উত্তর দেবেন।
১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কেমন আছেন ভাই? ব্লগ ডে'র প্রোগ্রামে হাজিরা দিয়েছিলাম, আশায় ছিলাম আপনার সাথে দেখা হয় কিনা!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৭
শের শায়রী বলেছেন: আমি ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না আপনি কমেন্ট করছেন সেই পুরানো দিনের মত। খুব ইচ্ছে ছিল ব্লগ ডে তে যাব। কিন্তু বাচ্চাদের পরীক্ষা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে তাও ওদের চেপে চুপে ১৮ তারিখ পর্যন্ত ঢাকা রাখছিলাম, কিন্তু সেদিন জানলাম ব্লগ ডে পিছিয়ে ২৫ তারিখ হয়ে গেছে, বাচ্চারা আর ঢাকা থাকতে চাইল না, এদিকে ওদের স্কুল ও খুলে যাচ্ছে, তাই চলে আসলাম ওদের নানু বাড়ী সেখান থেকে আমার নানু বাড়ী।
ব্লগ ডের ছবি পোষ্ট করছে অনেকে, সেখানে কেউ একজন লিখছিলো ব্লগার ৎৎৎ ভাই বাশি বাজাচ্ছেন। খুব মনোযোগ দিয়ে আপনাকে দেখলাম, আমি সেখানে আপনাকে নিয়ে কমেন্টেও উল্লেখ্য করছি। দেখি ঢাকা এসে আপনার সাথে যোগাযোগের কোন উপায় করা যায় কিনা? গেলে অবশ্যই দেখবেন আমি ফোন দিয়ে চলে আসব যদি আপনি ঢাকা থাকেন। অন্তত কথাতো হবে।
অনেক ভালো লাগা। অনেক স্মৃতি। শুভ কামনা নিরন্তর ভাই।।
১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম, স্যাটানিজমের উৎস খুঁজতে গিয়ে শয়তানের অস্তিত্ব পেয়েছেন লেখা শেষে হতাশই হতে হলো- শয়তান আছে তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেন নি বলে
কোরানে বিশ্বাসীরা জ্বিন বা ইবলিশে বিশ্বাসী হবেন। এই ইবলিশ আর তথাকথিত শয়তান একই বিষয় কিনা আমার জানা নাই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাই শয়তান যেন খুইজ্জা না পাই সে দোয়া কইরেন। কবি বলে গেছেন
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনই পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
-কবি শেখ ফজলল করিম।
আর হ্যা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা জ্বীন দের সর্দার আযাজিল কে শয়তানা হিসাবে বিশ্বাস করে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।।
১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯
হাসান রাজু বলেছেন: প্যাগন, নাইট ট্যাম্পলার, সিক্রেট সোসাইটি, ইলুমিনাতি আমার কাছে বেশ উপভোগ্য মনে হয়। আমি এগুলো পড়ে মজা পাই। দেখি বিশ্বাসী লেখক, ভক্ত, অনুরক্তরা কত কিছুর সাথে কত কিছু মিলিয়ে একটা রহস্য তৈরি করেন তারপর সেখানে খেই হারান। হা হা হা ......
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৮
শের শায়রী বলেছেন: এই সব নিয়ে আমারো কৌতুহলের অন্ত নেই। কিন্তু এগুলোর মাঝে বিশ্বাস অবিশ্বাস কোনটাই নাই আমার পরিস্থিতির সাপেক্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিক্রেট সোসাইটি তৈরী হয়, সেগুলো নিয়ে মিথ তৈরী হয়। মিথ বা ইতিহাস পড়তে ভালো লাগে। লেখার সুযোগ থাকলে লিখে ফেলি এই আর কি
১৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
সুপারডুপার বলেছেন:
ইকবাল সরদার বলেছেন: শয়তান ধোয়া বিহীন আগুনের তৈরি ।ধোয়া বিহীন আগুন = ১) সমাজের চোখে জ্ঞানী + ২) ধন সম্পত্তির অধিকারী+ ৩) লোকবল সম্পন্ন ব্যক্তি । এই তিনের সমন্বয়।
তবে শয়তান হতে হলে তাকে স্বর্গ, বেহেস্ত অথবা heaven, paradise এর পথে বাধা দানকারী হতে হবে। সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তির পক্ষে থাকা ব্যতিত বাকি সবাই শয়তানের অনুসারী।
=========================================================
@জনাব ইকবাল সরদার,
১) আপনার কথা অনুসারে পৃথিবীর সব ধন সম্পত্তির অধিকারী ব্যক্তিরা শয়তানের অংশ। বাস্তবে কেন দেখা যায় দারিদ্রতায় সব অনিষ্টর মূল (Poverty is the root of all evil)?
২) সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তি কে বা কারা ? যদি থাকে, সৃষ্টিকর্তায় যে তাদের মনোনীত করেছেন, আপনি কি ভাবে সিউর হলেন?
৩) যদি সৃষ্টিকর্তার মনোনীত ব্যক্তির পক্ষে থাকা ব্যতিত বাকি সবাই শয়তানের অনুসারী হয়, আপনি যে কম্পিউটার /মোবাইল এখন ব্যবহার করছেন , সেটাও কোন শয়তানের অনুসারীর -ই বানানো হওয়ার সম্ভবনা। আপনি তারপরেও সেই কম্পিউটার/মোবাইল ব্যবহার করে শয়তানের অনুসারীর অনুসারী হচ্ছেন কেন ?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
শের শায়রী বলেছেন: আশা রাখি ইকবাল ভাই আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন।
২০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালর সাথে যেমন মন্দ থাকে
আলোর সাথে যেমন কালো থাকে
তেমনি শুভ শক্তির বিপরীতে অশুভ শক্তি থাকে
শুভাশুভের কে কোন পথে যাবে তার জ্ঞান, বিশ্বাস তাকে চালিত করে।
সে অনুপাতেই তার যুক্তি, কু-যুক্তি, দাড় করায়। নিজে স্বস্তি লাভের জন্য।
শয়তান উপসনার উপর এবং আমেরিকান অশুভ শক্তির বহুবিধ গ্রুপের সাধনা/চর্চা নিয়ে ইমন জুবায়ের ভাইয়ের দারুন পোষ্ট আছে।
দেখেছেন আশা করি। না হলে দেখে নিতে পারেন।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ভাই ব্লগ লেখায় ইমন ভাই আমার প্রেরনা। যদিও আমি উনাকে অনুসরন করতে আমি অক্ষম। বাংলা ব্লগের লিজেন্ড। উনার এই টাইপের প্রায় সব লেখা আমার পড়া।
আপনার মন্তব্যের মাঝেই সব জবাব লুকিয়ে আছে
শুভাশুভের কে কোন পথে যাবে তার জ্ঞান, বিশ্বাস তাকে চালিত করে।
সে অনুপাতেই তার যুক্তি, কু-যুক্তি, দাড় করায়। নিজে স্বস্তি লাভের জন্য।
আপনার মন্তব্য আমাকে সব সময়ই উৎসাহ আর প্রেরনা জোগায়। কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।।
২১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: পছন্দ অইছে আপনার কথা। তবে এক জায়গায় একটু দ্বিধা আছে, শয়তান আসলে ফাইন্যালি কোনটা চায় প্রেমে সফলতা না প্রেমে ব্যার্থতা ?
=====================================================================
- ব্লগে অনেক প্রেমিক কবি আছেন। উনারা ভালো বলতে পারবেন।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৯
শের শায়রী বলেছেন: ওকে
২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল লেখা, শয়তান যুগে যুগে নানারুপে প্রকাশ পেয়েছে। ইয়াজিদী ধর্মের লোকেরা ইবলিশকে নেগেটিভলি দেখে না , মানুষকে ধোকায় ফেলে পরীক্ষায় ফেলার একটি অংশ হিসেবে দেখে তাকে এমন পড়েছিলাম একবার। ...... বহু আগে নীলক্ষেত এলাকায় শয়তানের পুজা বিষয়ে কিছু একটা নিউজ হয়েছিলো সে বিষয়ে কিছু জানলে লিখবেন আশা করি।মহান আল্লাহ তায়ালা প্রথমে নারী হিসেবে লিলিয়ান নামে একজন নারী সৃস্টি করেছিলেন, পরে তাকে বাদ দিয়ে বিবি হাওয়াকে সৃস্টি করেছেন এ বিষয়ে কিছূ লিখতে পারেন।
বহু আগে একটা বই পড়েছিলাম যাতে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রেত এর ছবি সহ তাদের কার্জক্রম বিষয়ে ব্যাখা দেওয়া ছিলো। এই বিষয়ে কিছু লেখেন ওস্তাদ ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৮
শের শায়রী বলেছেন: ঘুপা তুই নিজেই স্বীকার করছস তোর কাছে "বহু আগে একটা বই পড়েছিলাম যাতে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রেত এর ছবি সহ তাদের কার্জক্রম বিষয়ে ব্যাখা দেওয়া ছিলো। " আমি জানি সে বই এখনো তোর কাছে আছে, আর এই সব ব্যাপারে তুই একজন ওস্তাদ মানুষ। আর কেউ জানুক না জানুক আমি তো জানি এই সব আধি ভৌতিক ব্যাপারে তোর যে, পড়াশুনা আর বাস্তব এক্সপেরিয়েন্স এই ব্লগের আর কারো কাছে আছে বলে আমার জানা নাই।
দ্বিতীয়তঃ লিলিয়ান কে নিয়ে কিছু উল্লেখ্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেইটা টানলে এ্যাডামের সাথে লিলিয়ানের যে ক্যাচাল মানে উপ্রে থাকবে না নীচে থাকবে সেইটা ১৮+ বর্ননা, তাছাড়া লেখাও বড় হয়ে যাচ্ছিল তাই লিলিয়ান কে বাদ দিছি। তয় লিলিয়ান কে নিয়া আলাদা পোষ্ট দিমু কোন এক দিন।
আর নীলক্ষেতের কাহিনী কি রে? আমি কিছুই জানি না তুই একটা জম্পেশ পোষ্ট দেনা ভাই। প্লীজ।
২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
আশিক মাসুম বলেছেন: ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল লেখা, শয়তান যুগে যুগে নানারুপে প্রকাশ পেয়েছে। ইয়াজিদী ধর্মের লোকেরা ইবলিশকে নেগেটিভলি দেখে না , মানুষকে ধোকায় ফেলে পরীক্ষায় ফেলার একটি অংশ হিসেবে দেখে তাকে এমন পড়েছিলাম একবার। ...... বহু আগে নীলক্ষেত এলাকায় শয়তানের পুজা বিষয়ে কিছু একটা নিউজ হয়েছিলো সে বিষয়ে কিছু জানলে লিখবেন আশা করি।মহান আল্লাহ তায়ালা প্রথমে নারী হিসেবে লিলিয়ান নামে একজন নারী সৃস্টি করেছিলেন, পরে তাকে বাদ দিয়ে বিবি হাওয়াকে সৃস্টি করেছেন এ বিষয়ে কিছূ লিখতে পারেন।
বহু আগে একটা বই পড়েছিলাম যাতে বিভিন্ন প্রজাতীর প্রেত এর ছবি সহ তাদের কার্জক্রম বিষয়ে ব্যাখা দেওয়া ছিলো। এই বিষয়ে কিছু লেখেন ওস্তাদ ।
আমি আর কি কইতাম ? প্রেত নিয়া লিখা পড়ার অপেক্ষায়
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩১
শের শায়রী বলেছেন: আশিক ভাই, যে এই সব কইছে মানে "ঘুপা" বিশ্বাস করেন এই সব ব্যাপারে তার সমান জ্ঞান এই ব্লগে কারো নাই আমি দায়িত্ব নিয়া বলছি, অরে পোষ্টাইতে কন একটা মাষ্টার পীস হবে। অয় পিছলা। ছাই দিয়া ধরলে লিখলেও লিখতে পারে। সেটা হবে ব্লগে এই বিষয়ের ওপর সব থেকে তথ্যপূর্ন।
২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন: একবার পড়লাম। মন্তব্য করার জন্য আরও কয়েকবার পড়তে হবে।
ইয়াজিদি দের নিয়ে লেখার লিংক দেবার জন্য ধন্যবাদ। খুব ভালো লেগেছে সেটা। এদের
সর্ম্পকে এত কিছু জানা ছিল না আমার।
আবার ফিরে আসবো এখানে।
এই শীতে কাকু এত গরম কেন?
কন্ট্যাক্ট কেমন লেগেছে?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: বুইজ্জা গেছেন যে আমি বুড়া একটা মানুষ কি আর করা সবাই এহন কাকু, চাচা, নানা ডাকে
কন্ট্যাক্ট এক কথায় বলি, ওয়ান অভ দ্যা বেষ্ট মুভি এভার আই সীন। ভাই খেয়াল করছেন কন্ট্যাক্ট মুল টুইষ্ট টা? এলি দুনিয়ার এক সেকেন্ডে ১৮ ঘন্টা পার করে আসে অন্য কোন ভুবনে। এটা কার্ল সেগান লিখছে দেখে কারো মানতে আপত্তি নাই, কিন্তু মেরাজের ঘটনা আমি যতটুকু জানি মহানবী নাকি ওযু করতে ছিল মেরাজ দিয়ে ফিরে এসে দেখেন সে পানি তখনো গড়াচ্ছে অথচ সে এর মাঝে কত জায়গা ভ্রমন করল। এটাতে কিন্তু অনেকেই বলবে ভুয়া ধর্মীয় কুসংস্কার। থ্যাঙ্কস ফর দ্যাট মুভি।
২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৫
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আবার পড়লাম ভাই।। মাথা আবারো ঘুরাচ্ছে। খুব কঠিন বিষয়ের লেখা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২০
শের শায়রী বলেছেন: আরে না ভাই এই শয়তান ময়তান নিয়ে লেখা ।
২৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আব্রাহামিক ধর্মগুলির (ইয়াজিদি, জরথুস্ত্রবাদ, ইসলাম, খ্রিস্টান আর ইহুদি) রুট ও ভৌগোলিক অবস্থান প্রায় কাছাকাছি | সম্ভবত রাজনৈতিক আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের কারণে সংখ্যাগুরু /সবল ধর্মগুলো সংখ্যালঘু ধর্মানুসারীদের যুগে যুগে নিপীড়ন করে নির্মূল করতে চেয়েছে ইয়াজিদিরা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ | ইয়াজিদিদের উপর আরেকটি ইন্টারেষ্টিং লেখা পড়লাম:
ইয়াজিদিজম
মজার বিষয় হলো, এরাও খ্রিস্টধর্মের মতো ট্রিনিটিতে বিশ্বাস করে যার একজন হচ্ছেন উমাইয়াদ খলিফা মুয়াবিয়া পুত্র ইয়াজিদ |
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৮
শের শায়রী বলেছেন: জরথুস্ত্রবাদ কি আব্রাহামিক ধর্ম? আমার ঠিক জানা নেই।
দারুন একটা লিঙ্ক দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করছেন।।
২৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩০
সুপারডুপার বলেছেন: দেখতেছেন তো , আপনার পোষ্টকে 'জামারাহ' ভেবে হেফাজতের কংকর নিক্ষেপ শুরু হয়েছে !?!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১১
শের শায়রী বলেছেন: বুজতে আছি না ব্যাপার কি?
২৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় শয়তানের উপাসনা বিষয়ে বেশ পড়ালেখা করেছিলাম। প্ল্যানচেট, মিডিয়াম ইত্যাদির দিকেও ঝুকে পড়েছিলাম। পরে এক বড়ভাইয়ের কথায় এসব থেকে সরে আসি।
অল্প জায়গায় অনেক কিছুই কাভার করেছেন। চমৎকার লেখা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১
শের শায়রী বলেছেন: জানেন বোধহয়, রবীন্দ্রনাথ, স্যার কোনান ডয়েল সহ অনেক বড় বড় ব্যাক্তিত্ব এই সব নিয়ে অনেক সময় মেতে থাকত। রহস্যময়তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া মানুষের একটা স্বভাব্জাত প্রক্রিয়া। আমার দৌড় ওই পড়াশুনা পর্যন্ত চেষ্টা টেষ্টা করিনি। ভয়ও পাই
পোষতে আরো অনেক কিছু লেখার ছিল কিন্তু জায়গা এবং সময় স্বল্পতার জন্য অনেক কিছু এড়িয়ে যেতে হয়েছে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ইয়াজিদির নিয়ে প্রথম পড়াশোনা করেছিলাম আইএসব তাদের পুরুষদের হত্যা আর নারীদের যৌনদাসীতে পরিণত করা শুরু করলে। বাকি কোনটা সম্পর্কেই জানতাম না। লেখাটা ভাল হয়েছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪২
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক শুকরিয়া।
৩০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
সোহানী বলেছেন: বরাবরের মতই চমৎকার বিষয়বস্তু। আগ্রহ নিয়ে পড়লাম কিন্তু নিজের জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য অনেক কিছুই মাথার উপর দিয়ে গেছে। লিখতের থাকুন এমন করে নতুন কিছু বিষয়।
অনেক দিন পর কান্ডারীরে দেখে অবাক হচ্ছি..। কেমন আছো কান্ডারী?
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮
শের শায়রী বলেছেন: হ্যা বোন কান্ডারী লিখছে, ৩/৪ দিন আগে লেখা শুরু করছে। সেই অসাধারন হাতের কাজ। এটা একান্তই আমার ভাষাগত অক্ষমতা যে আপনার বোজার সমস্যা হয়েছে। আমার এই অক্ষমতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, অবশ্য সব সময়ই আপনাদের সহৃদয় সমর্থন পেয়েছি।
অনেক অনেক শুভ কামনা বোন।।
৩১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: খুব মন দিয়ে পড়লাম। আমি আবার হররপ্রেমী কিনা। শুভেচ্ছা নিবেন ভ্রাতা।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৭
শের শায়রী বলেছেন: বিংগো। আমিও মারাত্মক হরর প্রেমী। ভুতের বই আর মুভি মনে হয় কোনটাই বাদ নেই।
শুভ নববর্ষ ভ্রাতা।।
৩২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
স্যাটানিজম নিয়ে একটু আধটু জানা ছিল।
আপনার পোষ্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই।
৩৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ভয়াবহ বিষয়। এড়িয়ে যাবো ভেবেও পড়ে ফেলতে হলো। শুধু মাত্র আপনার লেখনীর কারণে।
তবে এরপর থেকে আর পড়বো না এই গুলো ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
শের শায়রী বলেছেন: অকাল্টের ওপর আমার ভীষন আগ্রহ ভাই।
৩৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন: অকাল্টের ওপর আমার ভীষন আগ্রহ ভাই।
আর আমার ভয় ! তবে ভয় থেকেই আগ্রহের জন্য দেয়....
০৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
শের শায়রী বলেছেন: তার মানে আপনার ঠিকই ইন্টারেষ্ট আছে
৩৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: ইয়াজিদিদের ভাবতাম তারা ইয়াজিদের বংশ। এখন পড়ে দেখি শয়তানের উপাসক।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৬
শের শায়রী বলেছেন: তারা তাদের মত করে শয়তান কে দেবতা বানিয়ে তার উপাসনা করে। পাঠে কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
অলস মগজ শয়তানের কারখানা