নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শীত, নানুবাড়ী, আমার স্বর্নালী স্মৃতি

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪০


নানুবাড়ীর পথে পথে

প্রচন্ড শীত পড়ছে। যাকে বলে হাড় কাপুনি শীত। না ঢাকা শহরে নাই। নিজ মফস্বল শহরের বাইরে নানাবাড়ীর কাছে (কাছে বললাম এই কারনে যে, নানু বাড়ী গ্রামে সেখানে এখন আর কেউ থাকে না) নানু বাড়ীর কাছেই এক অখ্যাত মফঃস্বল শহরে আছি খালা বাড়ীতে। এটা এমনই এক শহর, নামেই শহর। যেখানে দিনের তিন/ চার ঘন্টা বিজলী বাতি থাকে। শহরে চলে না কোন রিক্সা, শুধু ভ্যান গাড়ী। তবে এগুলো কোন অভিযোগ না, এগুলো উপভোগ করার জন্যই এই শীতে সন্তানদের সহ খালা বাড়ী আসছি।


ভ্যানে করে নানুবাড়ী যাওয়া

বাবা সরকারী চাকুরী করত। সেই ৭০/৮০ র দশকে যখন স্কুলে পড়তাম চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকতাম ডিসেম্ভর মাসের দিকে কবে স্কুল ফাইন্যাল দিয়ে নানু বাড়ী যাব। প্রতি ডিসেম্ভর মাসে আমাদের এক মাস রুটিন ছিল মাকে নিয়ে নানুবাড়ী বেড়াতে আসা। সব মামাতো খালাতো ভাই বোনেরা চলে আসত নানু বাড়ী। আসলে তখন সময়টাই ছিল এমন। এখন যেমন শীত পড়লে সবাই কক্সবাজার, কুয়াকাটা, কিংবা সাজেক গিয়ে তিন চার দিন থেকে “বুড়ী ছুয়ে আসে” ( বুড়ী ছুয়ে আসা একটা গ্রাম্য খেলা আমাদের সময় বেশ প্রচলন ছিল ছোটদের মাঝে)। মানে কোন রকম কোন হোটেলে নিজ পরিবার নিয়ে তিন চার দিন কাটিয়ে কি সব দেখে দুখে আবার ঢাকা ফিরে এসে জঞ্জালের নগরীতে সপে দেয়। আমাদের সময় এই সব দেখানো জিনিস ছিল না।


প্রায় ভেঙ্গে যাওয়া নানু বাড়ী

শীতে নানু বাড়ী যাওয়া মানে সব মামাতো খালাতো ভাই বোনেরা আর না হলেও ১৭/ ১৮ জন এক জায়গায় হতাম আমার নানুর ৮ ছেলে মেয়ে। ছোট মামা তখনো বিয়ে করেনি সেও ঢাকা ভার্সিটি দিয়ে গ্রামে হাজির হত। হয়ত কোন দিন রাতে ঘুমিয়ে আছি হঠাৎ রাত তিনটার দিকে মায়ের ডাক “এই ওঠ ওঠ, রাইত্তা শিন্নী হইছে” মানে রাত বারোটার দিকে বাড়ীর কামলাদের ( যারা বাড়ীতে কাজ করত) দিয়ে খেজুর গাছে উঠিয়ে রসের হাড়ি নামিয়ে সেই সময় শিন্নী রান্না করত। রাত তিনটায় আমাদের মত ভাইগ্না ভাগ্নিদের মামা খালা বা মা উঠিয়ে হ্যারিকেনের আলোতে সে শিন্নী খেতে দিত। আহ কি স্বাধ সেই রাইত্তা শিন্নীতে, কি যে মজা বোজানো যাবে না।


খেজুর গাছের সারির মধ্য দিয়ে হেটে যাওয়া

তবে সব থেকে মজা পেতাম নতুন ধান উঠলে সামনের ঊঠানে সব ঘরের (ওই বাড়ীতে ছয়টা ঘর ছিল, এরা সবাই আবার আমার নানার আপন ভাই না হয় চাচাতো ভাই) ধান মেই দেয়া হত (মেই মানে এক জায়গায় সুন্দর করে ডীপ করে রাখা )। বাড়ীর প্রতিটা ঘরের আবার নাম ছিল যেমন উত্তরের ঘর, মধ্যের ঘর, ন’মেয়ার ঘর, ডাক্তারের ঘর এই টাইপের আর কি। সেই ধান পাহারা দেবার জন্য ওই সব মেইর মধ্যে কি এক দারুন কৌশলে ছোট ছোট “কুইড়া” (পুরাটাই খড় দিয়ে বানাত, নীচে চাটাই তার ওপর তোষক দিয়ে আরামের সু ব্যাবস্থা থাকত) বানাত কামলারা। আমার নানার চার জন কামলা ছিল তাদের সর্দার ছিল উজ্জ্বল ভাই (কিছু দিন আগে মারা গেছে)


উঠানে ধান শুকা দেয়া

এই কুইড়া গুলোর মধ্যে মাঝ রাত পর্যন্ত গরু দিয়ে “মই” (গরুর মুখে ঠুলি পড়িয়ে তিনটা বা চারটা গরুকে এক জায়গায় কিছু ধান ছড়িয়ে ঘন্টার পর ঘোরানো হত আর গরুর পায়ের নীচে ধানের শীষ থেকে ধান গুলো আলাদা হতে থাকত।) আমরা ছোটরা ওই মেই, কুইড়া কেন্দ্র করে “পলাপলি” খেলতাম। তবে বেশী দূরে যেতাম না কারন নিকষ অন্ধকার, এর মাঝেই একটু দূরে ছিল বাদাম তলা, বকুল তলা, তার নীচে শান বাধানো বসার সিড়ি থাকত। কিন্তু একলারা ওই দিকে পা বাড়াতাম না। তবে রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত মামারা ওখানে গুল তাপ্পি মারত।

কোন কোন দিন সকাল মানে অন্ধকার থাকতে থাকতে ঘুম দিয়ে উঠে পা টিপে টিপে দোতালা (নানার ঘর ছিল কাঠের সিড়ি কাঠের পাঠাতন দেয়া দুই তলা চারিদিকে ইটের গাথুনি) দিয়ে নেমে আসতাম। আগে থেকেই ঠিক করা থাকত কে কে যাব। সূর্য্য ওঠার সাথে সাথেই “কোলা”য় (ধানের মাঠ) গিয়ে ধানের শীষ (অনেকটা এখনকার কোকের বোতলে যে ষ্ট্র দেয় সেই রকম) তুলে এনে ছোট খেজুর গাছ পেলে হাড়িতে সেই ধানের শীষ ডুবিয়ে পেট ভরে রস খেয়ে রসের হাড়িতে পানি দিয়ে আসতাম। পরে “গাছ কাটুনী” এসে যখন রসের হাড়ি নামাত তখন তার চিৎকারে গোল বেধে যেত। ধরা পড়লে মার হাতের মাইর থেকে রক্ষা ছিল না, কিন্তু নানু থাকতে কার এত বড় সাহস আমাদের গায়ে হাত দেয়! মাঝে মাঝে নৌকা নিয়ে বেড়িয়ে পড়তাম।


ট্রলারে করে আবার খালা বাড়ী ফেরত যাওয়া নানু বাড়ী থেকে

শীতের দিনে ধান খাওয়া হাসের মাংসের সোয়াদই আলাদা, তাই ওই এক মাসে অন্তত দুই দিন হাসের মাংস চালের গুড়ার রুটি পিঠা সহযোগে উদরপূর্তি হত। এখন সেই ধান খাওয়া হাস কোথায়? দুপুর বেলা খাস পুকুরে (বিরাট পুকুর অনেক টা দীঘীর মত, তখন এর পানি খাওয়া হত, কারন বাড়ীতে বাড়ীতে টিউব ওয়েল ছিল না) লাফালাফি। হি হি করতে যখন উঠতাম তখন আম্মার রাগারাগি গালাগালিতে একশেষ। কিন্তু ওগুলো ধর্ত্যব্যের মধ্যে আসত না।


এই সেই খাস পুকুর।

বড় মামী আর মেজ মামী ছিল খাবার ডিষ্ট্রিবিউশানের দায়িত্বে এই আমাদের ১৭/১৮ জন ভাগ্না ভাগ্নির। ঘরে তখন সব মিলিয়ে ৩০ জন মানুষ। হাইল্লা, কামলা, কাজের মহিলা মিশিয়ে ৩৬/৩৭ জন। তিন বেলা ভাত, সকালে ভাতের সাথে দুই তিন ধরনের ভর্তা আর ডাল, দুপুরে মাছ সব্জি (নিজেদের বাগানের)। রাতেও ওই রকম। পাতের শেষে পড়ত খেজুরের গুড় আর নারিকেল মিশিয়ে ভাত। আহ যে না খেয়েছেন খেজুরের ঘন গুড়, নারিকেল কোড়ানো আর ভাত তাকে অমৃতের স্বাধ বোজানো যাবে না।

দোতালায় দক্ষিনের “কোডা”য় ( রুম) আম্মা আমাদের দুই ভাইকে নিয়ে থাকতেন পাশের খাটে থাকত খালামনি। রাতে পেশাব পায়খানা আসলে এক ভয়াবহ ব্যাপার ছিল। টয়লেট ছিল ঘর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। চারিদিকে বিভিন্ন গাছ গাছালি তার মাঝে টয়লেট। এর মাঝে প্রায়ই শুনতাম ওই বাড়ীতে কারে যেন জ্বীনে ধরছে, মোল্লা বাড়ীর চালে ঢিল পড়ছে, তালুকদার বাড়ীর কারে জানি রাতে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। সে এক বিতিকিচ্ছিরি ভয়াবহ ব্যাপার। রাতে টয়লেট চাপা মানে দুইজন হ্যারিকেন নিয়ে সাথে যেত আর বদনা ভরে সেই টিনের টয়লেট ঘরে ঢোকা আর সব বিভীষিকা মনে পড়া।

গ্রামে প্রত্যেক বাড়ীর সামনে বাড়ীর গোরস্থান। আমরা শহরে মানুষ, বাড়ীর সামনে গোরস্থান দেখতে অভ্যস্থ নই, দিনে অসুবিধা হত না রাত বাড়লেই সব ভুত পেত্নী গুলো নেমে আসত! সব কাজিনরা গাদাগাদি করে এক জায়গায় ঘুমাতাম। সে যে কি সব দিন খুব ফিরে পেতে ইচ্ছে করে অথচ সেই কাজিনের একজন আমার ঢাকার বাসা থেকে ১৫ মিনিটের পথ তার সাথে মাসে এক দিন দেখা হয় কিনা সন্দেহ আর যার একটু দূরে তার সাথে বছরেও না।

যাই হোক শীতের রাত খালা বাড়ীর টিনের চালে টুপ টাপ শিশির পড়ছে, মাঝে মাঝে হাল্কা অপার্থিব একটা পরিবেশ। নিজেকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলাম ছোট বেলায়। নানুবাড়ী ঘুরে আসলাম, নানা তো সেই কবে মারা গেছে, নানুও ৯০ বছর বয়সে ২০০৫ এ মারা গেছে। সেই গম গম করা ৩৬/৩৭ জন মানুষের ঘরে এখন দুজন কেয়ার টেকারের মত স্বামী স্ত্রী থাকে কোন রকম দেখে রাখে মামা, খালা সবাই দেশে বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় সেটেল। বাড়ীর ছয়টা ঘরের দুইটা ঘরে তালা মারা। সারা বাড়ীতে ছয় সাত জন মানুষ থাকে কিনা সন্দেহ, তাও নিজেদের আত্মীয় স্বজন বেশী না। সেই গাছটা ছুয়ে দেখলাম যে গাছে দোলনা বেধে দোল খেতাম, দোতালায় দক্ষিনের কোঠায় গিয়ে দেখি খাটগুলোতে ঘুনে ধরছে অথচ এক সময় এখানে আমরা ঘুমাতাম। মাস শেষে বাপী আসত, এসে আবার নিয়ে যেত।

আমার সন্তানদের আমি দেখাতে নিয়ে আসছি কোথায় কেটেছে আমার সোনালী শৈশব কৈশোর, তাতে তাদের খুব একটা মজা পাবার কথা না তবে খাস পুকুরে নেমে তারা যখন গোসল করছে আর মাছ ধরছে ভালো লাগছে দেখে, কাসার গ্লাসে পানি খেতে গিয়ে অনভ্যস্থতায় খেতে পারে নি বাধ্য হয়ে কাচের গ্লাসের ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ওদেরকে দেখালাম “দ্যাখ বাবারা এখানে তোদের মত সময়ে, আমরা কত কি করছি," তারা শুনছে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করছে।

সবাই ঘুমে, আমার ঘুম নেই এমনি শীতের সময় এক সময় আমার স্বার্নালী সময় কেটেছে। আমি আবার ফিরে যেতে চাই। বুকের কোথায় যেন দলা বাধা কষ্ট।।

ছোট বেলার কিছু খেলার স্মৃতি চারন হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার খেলাগুলো

অনেক বছর আগে একটা কবিতা ছবি ব্লগ আমার নানু বাড়ী নিয়ে আমার দেখা পৃথিবীর সুন্দরতম জায়গা ( একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। একটি ছবি ব্লগ)

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


নানুর বাড়ী কোন জেলায়?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৭

শের শায়রী বলেছেন: বাগেরহাট জেলায়।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ছবিগুলো দেখলাম। বোল্ড করা লেখাগুলো পড়লাম। আনন্দঘন মুহুর্র সব।তাছাড়া এমনিতেই নানার বাড়ি রসের হাড়ি। আবার আসব। পুরো লেখা পড়ব। তবে তার আগে এক চুপ ঘুমিয়ে নিই।
এখন ৩ টা ৫২ মিনিট। শুভ রাত বলব না শুভ সকাল জানাবো সন্দিহান আমি। বাইরে প্যাঁচা না কাক যেন ডাকছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনার ওই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে ওটা গুড নাইট আমার এই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এটা শুভ সকাল। :)

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক মিষ্টি ভালো লাগায় ছুঁয়ে গেল মন। আপনার সাথে গল্পও হয়ে গেল এই সুযোগে।
পোষ্টে মুগ্ধতা । ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন ভাইয়া ।
ধন্যবাদ

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই, লিখতে লিখতে আমিও যেন এক নিমিষে সেই ছোট ছেলেটি হয়ে উঠছিলাম। কি এক নিদারুন ব্যাথা বুকের মাঝে ছুয়ে গিয়েছিল।

ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন ভাই।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: বাগের হাটের রায়েন্দা, মোড়ল গঞ্জ আমি গিয়েছি। একদম সুন্দরবনের কাছে।

আপনার নানু বাড়ি বেড়াতে যেতে চাই।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই ওই সব জায়গায় কোন এক জায়গায় আমার নানুবাড়ী। নেক্সট টাইম আসার আগে আপনার সাথে যোগাযোগ করব অবশ্যই।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার । +
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে ধরণের নস্টালজিয়া ভ্রমন এই পোস্ট লেখে আপনি আমাদের মানে পাঠকদের চেয়ে বেশি মজা পেয়েছেন । :) ভালো লাগলো আপনার পোস্টখানি ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০

শের শায়রী বলেছেন: এক দম ঠিক ধরেছ ভাই, কি যে ভালো লাগা কি যে সুখানুভুতি বোঝাতে পারব না। আবার এক বুক কষ্ট।। :)

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারণ; মন ভরে গেল। আমরাও আপনার মত ছোটবেলায় খেজুর রস খেতাম তবে সেটা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে স্ট্র করে।

শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় শের ভাই।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: নেক অনেক শুভেচ্ছা পদাতিক ভাই অনেক আগে একবার নানু বাড়ী নিয়ে একটা ছবি কবিতা ব্লগ দিয়েছিলাম সময় থাকলে ঘুরে আসবেন প্লীজ

আমার দেখা পৃথিবীর সুন্দরতম জায়গা ( একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। একটি ছবি ব্লগ)

এই খেলাগুলো কি খেলছেন কখনো হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার খেলাগুলো

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর,গুরুজি!
আমার অবশ্য এসব দেখলে দুঃখ লাগে :( । আমি জীবনে নানুবাড়িতে(গ্রাম) যেতেই পেরেছি মাত্র একবার! সবাই যে ঢাকায় থাকে! :(
তবে সেই একবারের অভিজ্ঞতাটাও খুব সুন্দর ছিল।
ভালোই সময় কাটাচ্ছেন আশা করি। সালাম জানবেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

শের শায়রী বলেছেন: রূপম আমার কাছে আমার গ্রাম আমার নানু বাড়ী এই সব জায়গার মূল্য অপরিসীম। আমাই সব সময়ই কেন যেন আমার শেকড়ে ফেরত যেতে ভালো লাগে তাই সুযোগ পেলে পুরো পরিবার সহ গ্রামে চলে যাই, হয়ত সুযোগ আছে বিদেশে কোন দেশে ট্যুর করার কিন্তু কেন যেন তা ভালো লাগে না। আমার কাছে গায়ের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশের মূল্য পৃথিবীর যে কোন জায়গার থেকে বেশী।

ভালো থাক। অলাইকুম আস সালাম।

৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। জীবনের সেই স্বর্নালী দিন শুধু একান্ত নিজের। ছেলে মেয়েরা তা ফিল করবে না কারন তারা সে সময়ের আনন্দটুকু পায়নি। আর এখনকার বাচ্চারা আমাদের থেকে একদম ডিফারেন্ট... কাজিনদের মাঝে আনন্দ হৈচৈ তারা পছন্দ করার চেয়ে তারা ফোন ল্যাপটপ নিয়েই বেশী বিজি থাকতে পছন্দ করে।

অনেক অনেক ভালো লাগলো।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা বোন ঠিকই বলেছেন, কিন্তু ওদেরও দোষ দেই কিভাবে ওরা স্কুল আর বাসা ছাড়া এই ঢাকা শহরে অন্য কোথাও যাবার জায়গা পায় ও না। হয়ত দুই তিন মাস পর ওর কাজিন রা আসে বা আমরা যাই তাদের বাসায় কিন্তু সেই আন্তরিক ফ্লেভার কিন্তু থাকেনা। এ্যাকচুয়ালি আই ফীল পিটি ফর দেম।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।।

৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আবারো আসলাম। নানু বাড়িতে কি সোনালি শৈশবটাই কাটালেন।। প্রতিটা মানুষই বয়সের একটা পর্যায়ে পৌছে শৈশবের ও কৈশোরকালের সোনাঝরা স্মৃতি রোমন্থন করে। অনেক সময় স্মৃতি রোমন্থনের মুহুর্তে কষ্টগুলো গলার মাঝে যেন দলা পাকিয়ে দেয়। কেমন যেন লাগে। কেঁদে উঠে মনের অজান্তে।

আমি আমার পূর্ণ তারুণ্যে পদার্পন করেছি মাত্র। কিছুদিন আগে এক বন্ধু ফোন করল আমায়। সে আমায় প্রশ্ন করল, 'আকতার একদিন পাখি যে চুরি করছিলাম, তোর মনে আছে নি? (মনে আছেনি কথাটা জিজ্ঞেস করার কারণ আমি তার ক্লাসমেট বন্ধু হলেও তার দুই বছরের মতো ছোট ছিলাম) আমি বললাম মনে আছে। তাঁকে শোনালামও। শুধুমাত্র কাহিনীটা মনে রাখার কারণে তার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। বার বার সে আমাকে ধন্যবাদ দেয়, 'দোস্ত তরে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই স্মৃতিটা মনে রাখার জন্য'

আপনার লেখাটা পড়লাম এখনো। গ্রামেই বেড়ে উঠেছি আমি। কিন্তু কখনো কিছু চুরি করিনি ওই পাখিটা ছাড়া। আর খেজুর গাছ আমাদের এখানে ছিল না বিধায় চুরি করে রসও খাওয়া হয়নি।

আপনার খেজুরের রস চুরি করার কাহিনীটা পড়ে খুব হাসলাম পড়া বন্ধ রেখে।


"খেজুরের গাছ পেলে হাড়িতে সেই ধানের শীষ ডুবিয়ে পেট ভরে রস খেয়ে রসের হাড়িতে পানি দিয়ে আসতাম। পরে “গাছ কাটুনী” এসে যখন রসের হাড়ি নামাত তখন তার চিৎকারে গোল বেধে যেত।"

শৈশব হল মানুষের সোনালি জীবন। মানুষ একটা পর্যায়ে জীবনের হিসাব নিকাশ করে। অনেক সময় আফসোসও করে, এটা যদি না করত, ওঠা যদি এভাবে না করে ওভানে করত। নানান রক্ষম আক্ষেপ আফসোস করে।

কিন্তু আমার ধারণা,

শৈশব নিয়ে কোন মানুষের আফসোস নেই। শৈশবের প্রতিটা স্মৃতির স্বর্নালী। সবাই সেই সোনালি জীবনে ফিরে যেতে চায়।

আমিতো এখনই শৈশবে ফিরে যেতে চাই। বার্ধক্য না জানি কি মরিয়া হয়ে উঠি।

আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন।।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

শের শায়রী বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারন আমাকে আবারো অনেক স্মৃতির দোলায় নাড়া দিয়ে গেল। শুধু রস না, আরো অনেক চুরির ঘটনা আছে, ডাব চুরি করে খাওয়া, সুপারি চুরি করে বিক্রি করে হাটে গিয়ে গজা (এক ধরনের খাবার মিষ্টির শিরায় ভেজানো থাকত) খাওয়া, একবার তো হাস চুরি করে খেয়েছিলাম কৈশোরে বন্ধুরা মিলে, লিখে ফেলুন না। দেখবেন ভালো লাগছে।

পাঠে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সবইত বললেন, দেখালেন কিন্তু আপনার নানু বাড়ীতে বেড়াতে নিবেন কবে সেইটাত বললেন না?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

শের শায়রী বলেছেন: নানু বাড়ীতে তো কেউ এখন আরফ থাকে না, খালা বাড়ী পর্যন্ত আনতে পারুম ( সেখান থেকে দেড় ঘন্টার পথ নানু বাড়ী)। শীত অথবা বর্ষা এই দুই ঋতুতে গ্রামের সৌন্দর্য্য খোলে বলে আমার ধারনা। বলিস, ব্যাটে বলে মিললে বেড়িয়ে আসা যাবে।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আপাতত প্রিয়তে। পরে সময় করে পড়বো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬

আশিক মাসুম বলেছেন: সকাল সকাল আপনার ব্লগে আসাই ভুল হইছে ,খুব নষ্টালজিক হয়ে গেলাম

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

শের শায়রী বলেছেন: আশিক ভাই বোজাই যাচ্ছে আপনারো গ্রামে যাবার অভিজ্ঞতা আছে, অনেক আত্মীয় স্বজনের মাঝে বড় হবার। সেসব দিন গুলোর স্মৃতিই ভালো লাগার আবার কষ্টের ও। ভালো আছেন তো ভাই?

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৭

আশিক মাসুম বলেছেন: জি ভাই আলহামদুলিল্লাহ। আপনি ??

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩

শের শায়রী বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাই।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: আপনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন শুনে ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল । আপনি কি সত্যি চলে যাবেন?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: জানি না ভাই, যাব কিনা, তবে যদি ব্যাক্তিগত আক্রমন এভাবে চলে তবে চলে যাব, হয়ত বলবেন তাতে হেরে যাওয়া দু একজনের জন্য কিন্তু কালকে দেখেন একজন মাল্টি নিক নিয়ে এসে আমাকে যাতা বলল, আমি নাকি খ্রিষ্টান, পেইড এজেন্ট, ব্লগে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করছি, আমাকে দেখে নেবে এই টাইপের আর কি। আমি তো ভাই ব্লগে রাজনীতি বা ধর্ম নীতি নিয়ে আসিনি, আমার মত সাধারন একজন অতি সাধারন লেখা লেখে, সেখানে এগুলো কেন?

নিজস্ব রুচি বোধ একটা ব্যাপার আছে, তারপর লেখা নিয়ে কারো সাথে ঝগড়া করতে মোটেই ইচ্ছে হয় না, আর ধর্মের ব্যাপারটা আমার কাছে অতি সেনসিটিভ আমার বিশ্বাসের জায়গা আমার সমস্ত যুক্তি তর্কের ওপর। সেখানে এই সব নোংরামি দেখতে অভ্যস্ত না, আপনি আমার ছয় বছর আগের পোষ্ট দেখেন সেখানে আমার মত সাধারন একজনের পোষ্ট সমস্ত দল মতের ওপর উঠে মন্তব্য করত।

আমি যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু নোংরামিও পছন্দ করিনা। যদি এগুলো কন্টিনিউ হয় তবে হয়ত চলে যাব। তবে আপনাদের সাথে থাকতে পারলে যাওয়ার কোন ইচ্ছাই নেই। আমি যে এই ব্লগ এর মানুষ গুলোকে খুব ভালোবাসি। যেমন বাসি আপনাকে এবং অন্যদেরকেও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.