নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইটি, সেটি, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে?( প্রথম পর্ব)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫


SETI's Allen Telescope Array Resumes Listening Duties

সুইস ভদ্রলোক এরিক ফন দানিকেনর নাম কয়জন শুনছেন আমি জানি না, তবে ছোট কাল থেকেই বই পড়ার নেশা থাকায় সেই স্কুল লাইফ থেকে উনার নামের সাথে আমি পরিচিত। বাংলা ভাষায় উনার বইর অনুবাদ করেন শ্রী অজিত দত্ত। তার মধ্যে সেই স্কুল লাইফেই পড়া হয়ে গেছিল "দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ", "দেবতার গোধূলিবেলা", এর বাইরেও দানিকেন সাহেবের বেশ কিছু বই উনি অনুবাদ করেছেন কিন্তু সেগুলো আর পড়া হয়ে ওঠে নি। উনার কাজ কারবার হল ভীন গ্রহের অধিবাসী ছিল যারা এক সময়ে এই পৃথিবীতে এসেছি এটা প্রমান করা। উনার ব্যাপারে পরে আসব।


The Ancient Aliens Theory Explained By Erich Von Daniken April 2015

যারা সায়েন্স ফিকশান পড়েন তারা নিশ্চয়ই জানেন সায়েন্স ফিকশানের জনক হিসাবে ফরাসী জুলভার্নকে ধরা হয়। সেই ধারায় হালের কার্ল সেগান বা আইজ্যাক আসিমভ এরা তো অনেকটা কিংবদন্তীতে পরিনত হয়েছেন। এরাও কিন্তু বিভিন্ন লেখায় ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান জীব নিয়ে লিখে গেছেন বিভিন্ন গল্পে। মজার ব্যাপার হল এদের অনেক গল্প উপন্যাসের বিভিন্ন টার্ম আজকের বিজ্ঞানের অংশ হয়ে গেছে, বা নাসার অনেক প্রজেক্টে তাদের ব্যাবহৃত সায়েন্স ফিকশান গুলোর নাম ব্যাবহৃত হয়।

সেবা প্রকাশনী থেকে অনেক আগে ভিনগ্রহের প্রানী (রহস্য), ভিনগ্রহের প্রানী (প্রমান) নামে দুটো বই বের হয়েছিল, অনেক আগে পড়ছিলাম, আমার কালেকশানেও ছিল কিন্তু কে যেন নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয় নি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলও একই আঙ্গিকের বই ছিল। প্রায় ২০/২৫ বছর আগে পড়া বইগুলো স্মৃতি যদি প্রতারনা না করে সে গুলো এরিক ফন দানিকেনের বিভিন্ন প্রমান ট্রমান নিয়ে লিখিত ছিল। আমার সব সময়ই কৌতুহল এই ব্যাপারটা নিয়ে। তাই বিভিন্ন সময় এই সব বই ফিচার দেখলে গোগ্রাসে গেলতাম। আজকে ফিকশান নিয়ে আলোচানায় যাব না, ফ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করব। মানে আজকের যুগে বৈজ্ঞানিক ভাবে এই পৃথিবীর বাইরে প্রান নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে কি কি কাজ হয়েছে তার দিকে আলোকপাত করার চেষ্টা করব।

১৬০০ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ ই ফেব্রুয়ারী রোম। গাধার পিঠে চাপিয়ে একজন মানুষ কে “ক্যাম্পো দো ফিওরী” বাংলায় যার মানে “ফুল বাগিচা”য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, পেছনে পেছেন চলছে খ্রীষ্টান ধর্মযাজকরা পবিত্র স্তোস্ত্র পাঠ করতে করতে। আর বন্দী আট বছর জেলে বন্দী ছিলেন, হাত বাধা, মুখ বাধা, কিন্তু তার বসার মাঝে ফুটে উঠছিলো এক রাজকীয় ঔদ্ধত্য, আর আশেপাশের মানুষ গুলোর প্রতি নিদারুন করুনা। বন্দীত্বের শেষ আট দিন সকাল বিকাল তার কাছে পাদ্রীরা যেতেন, আর বুজাতেন বন্দীর আত্মার মুক্তির জন্য হলেও সে স্বীকার করুক সে ভুল করছে, সে অন্যায় করছে স্বীকার করলে মুক্তিও মিলে যেতে পারে। দুর্বিনীত বন্দীর এক জবাব, “ আমার প্রান দন্ডে আমি ভীত নই, বরং তোমরা ভীত তোমাদের অন্যায় শাস্তির জন্য।”


Biography of Giordano Bruno, Scientist and Philosopher

রোম শহরের ক্যাম্পো দো ফিওরীতে পৌছে গেল মিছিল, এরপর প্রতক্ষ্যদর্শীর বিবরন অনুযায়ী বন্দীকে উলঙ্গ করিয়ে তাকে পীচযুক্ত চটের জামা পরিয়ে দেয়া হল। খুটির সাথে পিছ মোড়া করে হাত বাধা হল, প্রধান পাদ্রী শেষবার তার স্বীকারোক্তির চেষ্টা করল, ঔদ্ধত্য বন্দী চোখ বাধা অবস্থাতেই সোজা তাকিয়ে থাকল। প্রধান পাদ্রীর ইঙ্গিতে চটের জামায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হল। বন্দীর গগন বিদারী চিৎকারে ভরে ক্যাম্পো দো ফিওরীর আকাশ বাতাস, তবে তা অল্প সময়ের মধ্যেই স্তিমিত হয়ে গেল। পুড়ে মারা গেল বন্দী।

ইনকুইজিশান এর নামে সে সময় অসংখ্য মানুষ কে হত্যা করছে চার্চ, ডাইনী আখ্যা দিয়ে অগুনিত মহিলাকে পুড়িয়ে মেরেছে ধর্মের নামে ধ্বজ্বাধারী কিছু মানুষ, মুলতঃ সে সময়ের খ্রীষ্টান পাদ্রীরা। সবার কথা ইতিহাস তো মনে রাখেনি, কিন্তু এই মানুষটির কথা ইতিহাস মনে রেখেছে কারন এর নাম ছিল জিওর্দানো ব্রুনো।


The trial of Giordano Bruno by the Roman Inquisition.

ধর্মের নামে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ছাড়াও তিনি ১৫৮৪ সালে এক খানি বই লিখেছিলেন যার নাম “ডি ল’ইনফিনিতো উনিভারসো ই মোন্দি”, যাতে তিনি বিশ্ব ব্রম্মান্ডের বর্ননা দিয়েছিলেন, তার মাঝে আবার কয়েকটি লাইন ছিল এমনঃ চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে অগুনিত সূর্য, আর অসংখ্য পৃথিবী। সাতটা গ্রহ (সে সময় পর্যন্ত সৌরজগতের সাতটা গ্রহ আবিস্কৃত হয়েছে) যেমন এখানে ঘুরছে সূর্যের চারপাশে, তেমনই ঐ সব পৃথিবী ঘুরছে তাদের সূর্যের চারপাশে...... মহাবিশ্ব জুড়ে অসংখ্য গ্রহ পৃথবীর মত, পৃথিবীর মত ওখানে বাস করছে নানা রকম জীব।” সে সময় এই ধারনা প্রচার করার থেকে বড় অপরাধ আর কি হতে পারে! যেখানে তারা ভাবত পৃথিবী এই মহাবিশ্বের কেন্দ্রে।

পৃথিবী কি একক অনন্য? এই রকম কি আর কিছু নেই মহাবিশ্বে? এই তর্ক বিতর্ক কিন্তু অনেক আগের খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে( খ্রিষ্টের জন্মের চারশত বছর আগে) প্লেটোর শিক্ষা মেনে এ্যারিষ্টটল প্রচার করতেন, পৃথিবী এক ও অনন্য, মহাবিশ্বে কোথাও এমন কিছু আর নেই, কিন্তু সবাই যে প্লেটো এ্যারিষ্টটলকে অভ্রান্ত মানতেন তা কিন্তু না, খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে দার্শনিক এপিকুরাস হেরোডেটাসকে, “ মহাবিশ্বে গ্রহ অসংখ্য, যাদের কোনটা আমাদের পৃথবীর মত, কোনটা তা নয়, তবে৩ জীবজন্তু কিংবা অন্য যেসব জিনিস আমরা এখানে দেখি, সে সব কিন্তু রয়েছে সবখানে”। এটা কিন্তু এপিকুরাসের নিজস্ব মতবাদ না তিনি এটা পেয়েছিলেন মেত্রোদোরাসের থেকে, মেত্রোদোরাস বলতেন, অনন্ত বিশ্বে কেবল পৃথিবীতে জীবের বাস ভূমি – “এটা তেমন আজগুবি যেমন আজগুবি এটা দাবী করা যে, বিস্তৃর্ন প্রান্তরে অসংখ্য যবের দানা ছড়ালে তার থেকে মাত্র একটা যবের চারা গজাবে।”


Metrodorus of Lampsacus (the younger)

ভিনগ্রহে জীবনের দাবী যদি এতই প্রাচীন হয় তবে জিওর্দানো ব্রুনো এত দিন পর কেন ইনকুইজিশানের শিকার হলেন, এর উত্তর ও ওই এপিকুরাসের মাঝে লুক্কায়িত। মেত্রোদোরাসের দর্শন (এটা তখন দর্শন শাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিল, আধুনিক এ্যাষ্ট্রোনোমির জন্মো হয় নি) এপিকুরাস বহন করে মৃত্যু হলে তার পর আর কেউ এই দর্শন প্রচারে এগিয়ে আসে নি, ওদিকে তখন প্লেটো, এ্যারিষ্টটল, সক্রেটিসের ধারনার জয় জয়কার। এ্যারিষ্টোটলের ধারনাকে এগিয়ে নেন দার্শনিক টলেমি খ্রিষ্টপূর্ব ৯০-১৬৮। টলেমি তখন অন্যতম প্রভাবশালী শাষক আর দার্শনিক, এর অল্প কিছুকাল পরেই আবির্ভাব হয় যীশু খ্রীষ্টের তার ধর্মের অনুসারীরা তখন স্বভাবতঃই টলেমির মতবাদ কে গ্রহন করে এটাকেই খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়। এই বিশ্বাস অটুট থাকে মধ্যযুগ পর্যন্ত।


Ptolemy

এরপর প্রথ ভেঙ্গে এগিয়ে আসেন নিকোলাস কোপার্নিকাস, গ্যালিলিয়ো গ্যালিলেই সে সাহসের ধারাবাহিকতা আমার দেখি ব্রুনোর মাঝে। গ্যালিলিয়ো কিন্তু চার্চের কাছে নতজানু হয়ে নিজের মতবাদ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রুনো করেননি। অবিস্মরনীয় হয়ে আছেন ইনকুজিশানের শিকার আগুন পুড়ে ব্রুনো।

২০১০ সালে ব্রুনো বিশেষ ভাবে স্মরনীয় হয়ে আছেন ভিনগ্রহে প্রানের সন্ধানে গঠিত বৈজ্ঞানিক অন্বেষানে যার নাম “সার্চ ফর এক্সট্রা টেরোষ্টিয়াল ইন্টেলিজেন্স” সংক্ষেপে ইংরেজীতে বলে “SETI”. ধারনা আর পরীক্ষার ওপর বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠিত এবং এগিয়ে চলছে, “সেটী” ও তার ব্যাতিক্রম না। বিজ্ঞানের এই উদ্যেগের অর্ধশত বার্ষিকী ২০০৯ না ২০১০ সে প্রশ্নে তর্ক আছে, কেন? ১৮৭৭ সালে গিওভান্নি শিওপারেলি দূরবীনে চোখ রেখে মঙ্গলের বুকে কৃত্রিম নদীনালা আবিস্কার (!) করেন যা যথাসময়ে পরিত্যাক্ত হয় ২০০৯ সালে “নেচার” জার্নালে যা প্রকাশিত হয়, আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং সসার (UFO) যেমন এখনো অবাস্তব এও তেমন অবাস্তব। অন্য গ্রহে জীবের সন্ধানে অবজ্ঞার পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৫৯ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর ওই “নেচার” জার্নালে এক প্রবন্ধ লেখেন দুই বিজ্ঞানী গিয়াসেপ্পী কোকেনি এবং ফিলিপ মরিসন। প্রবন্ধের শিরোনাম “সার্চিং ফর ইন্টারষ্টেলার কম্যুনিকেশান” আর একথা আপনাদের স্বরন করিয়ে দেয়া অবান্তর হবে না যে নেচার বিজ্ঞান জগতের সিরিয়াস জার্নাল কোন ফিকশান বা পাগলামির জায়গা না।

কৃতজ্ঞতাঃ বই, পত্রিকা, নেট

ইটি, সেটি, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে (শেষ পর্ব)

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৪

স্পোর্টস আরিফ বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই লিখব আজ কালকের মাঝেই।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই পর্বের সারমর্ম কি?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

শের শায়রী বলেছেন: এই পর্বের সারমর্ম যদি আপনি পোষ্ট পড়েন তবে বোঝা তো আপনার মত গুনী মানুষের পক্ষে অসম্ভব না। আর যদি না পড়েন, তবে পড়ে আসুন, এখানে তো কোন বিজ্ঞানের থিওরী নেই যে আপনি বুজবেন না। কোন খান দিয়ে বুজেন নি বলেন।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ভিনগ্রহে প্রানের সন্ধানে
.............................................................
আমরা তাদের ভাষা কি ভাবে বুঝব ???

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

শের শায়রী বলেছেন: পরের পর্বগুলোতে এর জবাব সহ অন্যান্য জবাব নিয়ে আসছি ভাই।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৪

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: জ্বি, লোকটাকে আমি বেশ ভালো করে চিনি। Swiss লোক। তার ধারণা যে বিভিন্ন religious text-এ লিখা "আসমান থেকে নামা অবতার" আসলে ভিন গ্রহের প্রানী। একটা show করেছিল Learning/ Discovery Channel-এ কিছু কথা বলে মানুষের কল্পনাকে উসকে দিতে, যেমন, "অমুক দ্বীপে প্রাচীনকালে মানুষ কি করে এত এত ভারী পাথর নিয়েছিল? তমুক জায়গায় কি করে এমন artifact পাওয়া গেল যেগুলোতে laser-precision cut ছিল?" ইত্যাদি ইত্যাদি।

পরে আরেকটা interview-তে স্বীকার করেছিলে যে কিছু fake artifact সে নিজেই বানিয়েছিল attention পাওয়ার জন্য। তো, attention সে পেয়েছিল। পরে জানা গেল, একটা alien amusement park তৈরি করে ভালই কামাচ্ছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা এগুলো ওর উইকিতেও লেখা আছে, কিন্তু উনার বই পড়ছেন? বিশ্বাস অবিশ্বাস পরের ব্যাপার, কিছু যুক্তি আপনি ফেলে দিতে পারবেন না আমি নিশ্চিত।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্ট পড়লে মনের মধ্যে দুনিয়ার দ্বিধা সনগশয় এসে ভর করে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই পরের পোষ্টে আরো কিছু সংশয় নিয়ে হাজির হব :)

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ভিন গ্রহে কি আছে না আছে সেটা নিয়ে যারা যা কিছু লিখেছেন সবই আন্দাজে। কাজেই, সেইসব লেখকদের দৌড় আমাদের মতোই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৪

শের শায়রী বলেছেন: এক দিক দিয়ে আপনি ঠিক মানে এখনো প্রমান পাওয়া যায় নি, আবার এক দিক দিয়ে আপনি ভুল কারন আবিস্কারের প্রচেষ্টা না থাকলে তো আবিস্কারই হবে না। :)

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোনো সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেয়া যায় না - এই বিশাল ব্রম্মান্ডে কোটি কোটি তারকারাজির ছায়ায় পৃথিবীর মতো আরো অনেক গ্রহেই প্রাণের সম্ভাবনা থাকার প্রব্যাবিলিটি ক্ষীণ হলেও অসম্ভব নয় | আজ যা অসম্ভব মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে তা সত্যি বলে প্রমাণিত হতেও পারে |

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: "আজ যা অসম্ভব মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে তা সত্যি বলে প্রমাণিত হতেও পারে" বিজ্ঞানে এমন প্রচুর উদাহরন আছে আপনি যেভাবে বলছেন।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৬

নীল আকাশ বলেছেন: এটা মনে হয় কাকতলীয়। আমি কালকে রাতে বসে বসে "কনটাক্ট" সিনেমা দেখছিলাম আর আজকে সকাল বেলা এই লেখা?
আপনি কি কার্ল সাগানের "কনটাক্ট" মুভি যেটাতে জুডি ফস্টার অভিনয় করেছিলেন সেটা দেখেছেন?
আমার কাছে এটা সর্বকালের সেরা সিনেমারগুলির মধ্যে একটা। না দেখলে দেখে ফেলুন। সায়েন্স ফিকশন কত অসাধারণ হতে পারে এটা না দেখলে বুঝবেন না।
ধন্যবাদ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

শের শায়রী বলেছেন: নীল ভাই আমি হইলাম ভুতের মুভি দেখার পাগল, মনে হয় এমন কোন ভুতের ভালো মুভি নাই যা দেখি নাই, তবে পাশাপাশি থ্রিলার ও দেখি। সায়েন্স ফিকশান দেখি তবে আপনার কথা মত কনটাক্ট ডাউনলোড দিছি। এই সাইট টা কি আপনার কাছে আছে? "ক্রিসমুভি" দারুন একটা সাইট সব মুভি পাবেন, সরাসরি বা ডাউন লোড যেভাবে ইচ্ছা দেখতে পারেন। ছবিটা দেখে জানাব কেমন লাগল। ডেফিনেটলি ভালো লাগবে রেটিং দেখলাম ৭.৪ আউট অভ ১০

শুভ কামনা।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০১

শের শায়রী বলেছেন: ভাই এই মাত্র কন্ট্যাক্ট শেষ করলাম। অসাধারন একটা মুভি দেখার সাজেশান দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। ওয়ান অভ দ্যা বেষ্ট আই এভার সীন।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্যাপারটি বেশ আকর্ষণীয়। ছোট্ট দের কাছে তো রূপ কথার মতো আকর্ষণীয়। যাঁরা জ্বীন ফেরেশতা বিশ্বাস করে না তাদের বিশ্বাসে এলিয়েন আছে। তবে পৃথিবীর মতো এমন জীবন অনুকূল গ্রহ মনে হয় আর একটি ও নেই। থাকলে ভালো ই হতো। পৃথিবী বসবাসের জন্য অনুপযোগী হয়ে গেলে সেখানে আবাস গড়া যেত। আপনার কি মনে হয়। জীবনের অস্তিত্ব কি আছে অন্য কোন গ্রহে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাবতে ভালো লাগে অন্য গ্রহে জীবন আছে, আমাদের মত সুখ দুঃখ আছে কিন্তু বাস্তবে যতদিন পর্যন্ত প্রমান না পাই তত দিন বিশ্বাস করব না ভাইডি

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই বিশ্বাস করুন, আমি এই ছবিটা কমপক্ষে ৫০ বারেরও বেশি দেখেছি। আমি মুভি দেখার পাগল। জীবনে কত ছবি দেখেছি তার হিসেব নেই। যেই গুলি ভালো লাগে সংংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখে দেই। এটা কার্ল সাগানের লেখা। এই মুভির কিছু দৃশ্য দেখার সময় জুডি ফস্টারের সাথে আমিও কেঁদেছি। রেটিং ফেটিং কিছু না। এটা সর্বকালের সেরা সিনেমা গুলি একটা। দেখার পর জানাবেন কেমন লাগলো।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

শের শায়রী বলেছেন: আলরেডি ডাউন লোড করে ফেলছি। দু একদিনের মাঝে দেখে ফেলব ভাই, অবশ্যই জানাব। জানেন কি কার্ল সাগান ঐ চরিত্রটা তৈরী করছেন সেটির ডিরেক্টর জিল টারটার কে দেখে?

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: @লেখক: ভিন গ্রহের প্রানী (প্রমাণ) ও ভিন গ্রহের প্রানী (রহস্য) বই দুটি আমি ২৫ বছর আগে পরেছিলাম এক বড় ভাইয়ের থেকে ধার করে এনে। কিশোর বয়সের মন। সব কিছু জানার আগ্রহ। খুবই ভাল লেগেছিল।

SETI'র কাজ নিয়েও আমার খুব আগ্রহ, বিশেষ করে ওখানে কাজ করা এক লোক এক রাতে যখন একটা রহস্যময় signal পেয়ে Wow! লিখে রেখেছিল, তখন থেকে আরও বেশি।

২০১০ সালে আমি প্রতিদিন Google search দিতাম "latest from Mars" লিখে কারণ NASA'র যানগুলো ওখান থেকে high-resolution ছবি পাঠাচ্ছিল মাটির। পানির বিন্দু টিন্দু পাওয়া যাচ্ছিল নাকি।

Aliens, ancient civilization ruins on the moon, area 51, এসব নিয়ে আমার বেশ কৌতূহল। কিন্তু সত্য-মিথ্যা মেশানো ওই Erich সাহেবের থেকে কিছু জানার ইচ্ছা চলে গেছে তার স্বীকারক্তির পরে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

শের শায়রী বলেছেন: ১৯৭৭ সালের ১৬ ই আগষ্ট জোর্তিবিজ্ঞানী জেরি এমান লিখেছিলেন ওই Wow! শব্দটি কিন্তু ওই একবারই আর কোন শব্দ আসেনি। দানিকেনের বই পড়ি আসলে মজা লাগে এই জন্য। বিশ্বাস অবিশ্বাস সেটা তো আমার কাছে। তবে হ্যা লোকটা চিট করছে এটা নিজ মুখেই স্বীকার করছে।।

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: @নীল আকাশ আমিও দেখেছিলাম মুভিটা। বেচারীকে অনেক জেরার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল। ভাল মুভি।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৬

নতুন বলেছেন: খৃস্টান ধম`, ইসলাম , ঈহুদী ধমে সৃস্টিকতা মানুষ সৃস্টি করেছে, আদি মানব, মানবী বেহেস্ত,ইডেনে ছিলো এবং পরে পৃথিবিতে পাঠিয়েছে।

এই বিশ্বাস অনুযায়ী সবাই তো বিশ্বাস ই করে যে মানুষ ভীণ গ্রহ থেকে এসেছে :)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

শের শায়রী বলেছেন: না নতুন ভাই, কিছুটা দ্বিমত পোষন করলাম বেহেশত মানে যে ভিন গ্রহ তা কিন্তু কোন ধর্মীয় গ্রন্থে নাই :)

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দানিকেনের বইগুলো সংগ্রহ করে পড়েছিলাম।
এলিয়েন বিশ্বাস হয়নি।
তবে দানিকেনের বইগুলো পড়ে আর্কিয়লজি এন্থ্রপলজি সম্মন্ধে অনেক চমকপ্রদ জিনিস জানা যায়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি হাসান ভাই, বিশ্বাস অবিশ্বাস যার যার ব্যাক্তিগত বিষয়, দানিকেনের বই পড়ে বেশ কিছু জিনিস জানছি যা স্বাভাবিক উপায়ে জানা সম্ভব হত না হয়ত, আর হলেও অনেক ঘেটু ঘুটে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: না নতুন ভাই, কিছুটা দ্বিমত পোষন করলাম বেহেশত মানে যে ভিন গ্রহ তা কিন্তু কোন ধর্মীয় গ্রন্থে নাই :)

আদি মানব মানবীকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছে এটাতো মানবেন....

তার মানে তারা বাইরের থেকে পৃথিবিতে এসেছে<<< এলিয়েন...

মানুষ যেহেতু বেহেস্তে ভালো ভাবে বেচে থাকতে পারে এবং সেটা আসলে আদশ` স্হান মানুষের জন্য.... তাই সেখানে এই পৃথিবির মতন গাছ পালা, প্রানী, জল,বাতাস আছে তাই সেটাকে গ্রহ বললে ভুল হবেনা। যদিও সেটা গ্রহ কিনা কোন গ্রন্হে বলা নেই।

সেখানেও মাটি আছে, গাছ আছে, পানি আছে, ঝরনা আছে, প্রানী আছে, পাখি আছে, <<< পৃথিবির মতন গ্রহের সাথে তো তেমন অমিল দেখি না ;)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: :P যুক্তিতে দ্বিমত রাখার জায়গা রাখেন নি :) তার মানে আমরা এলিয়েনের বংশধর। তবে মাঝে একটু ফাক আপনি নিজেই লিখে দিয়েছেন যদিও সেটা গ্রহ কিনা কোন গ্রন্হে বলা নেই।

নতুন ভাই আমি সাধারন একজন মানুষ যার জ্ঞানও অতি সীমিত, আমার মত নাদান কে ঘোল খাইয়ে লাভ কি :((

ভাই আমার কাছে ধর্মটা বিশ্বাস আর বিজ্ঞান টা যুক্তি, কোথাও যদি গিয়ে মেলে সেটা এখন পর্যন্ত উপলদ্ধির অতি সীমিত একটা ধাপ। আমার বিশ্বাস মানুষের আরো উৎকর্ষ হবে জ্ঞানে বিজ্ঞানে। আগামী ১০০০ বছর যদি এই সভ্যতা টিকে থাকে আমাদের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবুন তো এক বার! B-)

ভাই ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান প্রায় যিরো, কিছুই জানি না, এমন কি ঠিক মত পাচ ওয়াক্ত নামায ও পড়া হয় না, আমারে এব্যাপারে অতি সহজেই সাইজ করতে পারবেন, তবে দিলে যদি দয়া থাকে তাইলে কইরেন না। :)

শেষ পর্বে আপনার মন্তব্য আশা করি। ;)

১৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭

নতুন বলেছেন: ভাই আমি আপনার লেখার ভক্ত, আপনি খুবই চমতকার বিষয়ে ব্লগ লিখছেন।

আপনি ভাল মানুষ ।

মানুষ হিসেবে এইটাই আপসোস হয় যে হাজার বছর বা লক্ষ বছর পরে পৃথিবি কেমন হবে, আরো কত নতুন প্রযুক্তি আসবে, কত নতুন রহস্যের সমাধান হবে। কিন্তু তখন আমি থাকবো না।

আমাদের সময়ের বহুল ব্যবহৃত জিনিসের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখনকার কোন কিছুই এক সময়ে থাকবেনা।

এই সব রহস্য নিয়েই ভাবতে মজা লাগে....

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই ধরেন আপনি হাজার বছর বেচে থাকলেন কিন্তু এইভাবে না, (কারন সায়েন্স সেটা সম্ভব না অন্তত এই মুহুর্তের সায়েন্সে) শুধু আপনার মস্তিস্ক বেচে থেকবে হাজার বছরের দুঃখ জ্বালা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে আপনি কি সেটা চাইবেন?

আমি কিন্তু খুব খুশী এই নশ্বরতা নিয়ে। কিছু দিন বেঁচে আছি। তারপর এক অনন্ত রহস্যর মুখোমুখি হব মানে মৃত্যুর পর। ভাবতেই ভালো লাগছে।

বহুত শুকরিয়া ভাই।

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬

নতুন বলেছেন: নশ্বরতার জন্যই এই জীবন এতো ভালো লাগে, অমরত্ব বরিং একটা ব্যাপার হয়ে যেতো। টিথোনাসের মতন তখন মানুষও সেই জীবন থেকে মুক্তি কামনা করতো।

কিন্তু আপসোস লাগে কত কিছু ঘটবে কিন্তু আমি জানতে পারবো না।

আর মৃত্যু তো অবশ্যই একটা অনন্ত রহস্য,....

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: কে জানে মৃত্যুর পর আপনি এলিয়েন হয়ে যাবেন আর সব রহস্য জানতে পারবেন ;)

১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন ! এলিয়েন থাকুক বা না থাকুক, এলিয়েনের চিন্তা মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে ভবিষ্যতের দিকে অনেকদূর আউগাইয়া নিয়া যাইতেছে। সাইন্স ফিকশন আমার প্রিয় বিষয়, মাগার সাইন্স বিশেষ করিয়া অংক দেখিলে জ্বর আসে !!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: উই একই সম্যুস্যায় আমিও ভুগি, প্রায় কিচ্ছু বুজি না :( হ কেউরে কেউরে পাগল ও বানাইয়া দিয়াতাছে :)

১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: এই জাতীয় লেখা আমাকে খুব আকর্ষণ করে। লাইক দিলাম।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা। শেষ পর্ব দিয়ে দিয়েছি, দেখছেন?

২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
আমার খুব আগ্রহের জায়গা এই ভিনগ্রহবাসী,
আপনার মতোই সেবার ভিনগ্রহের মানুষ ( রহস্য, প্রমান)
আর উডন্ত সসার দিয়েই এই রহস্যের শুরু।
তবে অনেক ডকুমেন্টরীর কল্যানের তো প্রায় বিশ্বাস করে বসেছি তাদের অস্তিত্ব!

আপনার লেখাটি দারুন হচ্ছে- ভালেলাগা ভাই!!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই। শেষ পর্ব দিয়ে দিয়েছি আশা রাখি দেখবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.