নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
আসলে এই টাইপের কিছু লিখতে আমি স্বাচ্ছ্যন্দ বোধ করিনা। ওদিকে সংগ্রহে বেশ কিছু কৌতুক ছিল যার প্রায় গুলোই ১৮+। এর আগে একদিন সাহস করে দিয়ে ফেলছিলাম, আজকে সাহস করে বাকী গুলোও দিয়ে ফেললাম। এর আগের পর্বেও অনেকেই বলেছিলেন ৫/১০ টা করে কৌতুক দিতে হয়। সে যারা জোকস নিয়ে লেখে তারা নিয়ম মেনে দেয় , আমি এই ব্যাপারে এ্যামেচার তাই নিয়ম কানুনের বালাই না মেনে এক সাথে সব দিয়ে দিলাম । নিজের কাছে ভালো লাগছে তাই সামুর ভাই ব্রাদারদের সাথে শেয়ারের লোভ ছাড়তে পারলাম না। আর এই সব দেব না। দিস ইজ লাষ্ট
১
বাবা: আমি চাই তুমি আমার পছন্দ মত মাইয়ারে বিয়া করবা!
পোলা: নাহ, আমি নিজে পছন্দ কইরা বিয়া করুম!
বাবা: মাইয়া কিন্তুক বিল গেটসের কন্যা, খৈয়াল কইরা!
পোলা: তাইলে আমি রাজি !
পরের ঘটনা, বাবা বিল গেট্সরে প্রস্তাব করতেছে~
বাবা: আমি তোমার মাইয়ার লাইগা একটা ভালা্ বর খুইজা বাইর করছি!
বিল গেট্স: কিন্তুক আমার মাইয়াত অনেক ছুড! বিয়ার বয়স হয় নাই!
বাবা: বুঝলাম, তয় এই যুবকে কিন্তুক ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট!
বিল গেট্স: আহ! আগে কয়বা ত, তাইলে আমি রাজি !
শেষে বাবা গেল ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে~
বাবা: আমি একটা পুলারে রিকমেন্ড করতাসি হেরে তুমি তোমার ভাইস প্রেসিডেন্ট কইরা নাও!
প্রেসিডেন্ট: কিন্তুক আমার প্রয়োজনের থেইকা বেশী ভাইস প্রেসিডেন্ট আসে! আর লাগব না!
বাবা: বুজলাম! কিন্তুক এই পুলাডা বিল গেট্সের মাইয়ার বাগদত্তা!
প্রেসিডেন্ট: আহ! আগে কই বা তো, তাইলে আমি রাজি!
উৎস: কার কাছ থেইকা শুনচি মানে নাই!
২
আলেয়া ম্যাম তার পোলার জন্মদিনে বানর গিফট দিব বইলা ঠিক করছে। পরের দিন সে পশুপাখীর দোকানে গিয়া দেখে তিনটা খাঁচার মধ্যে একই রকমের তিনটা বানর
দোকানদাররে আলেয়া ম্যাম জিগাইল, "ডান দিকের বানরটার দাম কত?"
দোকানদারে হাতের সিগারেট ফুকতে ফুকতে কইল, " ২৫০০ টেকা।"
" কি ২৫০০ টেকা! " আলেয়া ম্যাম অবাক " ভালা! তয় এইডা করেডা কি?"
"এইডা আজব প্রানি! হে এক ডাকে ১০০০ লোক জরো করতে পারে! বিভিন্ন উস্কানি মুলক শ্লোগান দিবার পারে , সব রকমের ভয়ভিতির চিটিপত্রও লিখবার পারে!" দোকানদারে ভকভক কইরা ধোয়া ছাড়তে ছাড়তে কয়!
হতভম্ব ভাবটা কাটাইয়া আলেয়া ম্যাম তারপর জিগায়, " সেকেন্ডটার দাম কত ?"
দোকানদারে নির্লীপ্তভাবে কয়,'৫০০০ টেকা! এইডা শুধু লোক জরো করতেই পারে না, এই আজব বানর একটা দক্ষ শুটার দুই হাতে হাতিয়ার চালাইতেও তার মত কেউ নাই!"
অবশেষে আলেয়া ম্যাম শেষ বানরটার দামডা খুব আগ্রহ নিয়া জিগাইল!
দোকানদারে হেব্বী জোশ নিয়া কইল,"মাত্র ১০,০০০টেকা!"
আলেয়া ম্যাম বুইঝা পায় না একটা বানরের দাম কেমনে ১০,০০০ টেকা হইতে পারে, কি এমন কাম পারে যে বনরের দাম এত হইব!
দোকানদার খুব সিরিয়াস হইয়া আলেয়া ম্যামরে কয়, " সত্যি কথা কইতে কি, আমি নিজেও এই বানরডারে কিচ্ছু করবার দেখি নাই!
আলেয়া ম্যাম অবাক হইয়া তাইলে এত দাম চাও কেন ?
দোকাদার এইবার ভাবনিয়া কয় অন্য বানরগুলান হেরে লাকী ম্যাডাম কইয়া সালম দেয় তাই
৩
হরর হটকালে পাটকালে খাই শুধু ঘাটকালে
টেরা ঘাট বেরা ফাক ঐ পেত্নী দাত খুলে
দিল ধার কড়াত হার রক্ত ফরফর ঘরঘর
ছুয়ে ছুয়ে চুমে চুমে গলাতে নামল!
খাই গলা পেট ফোলা রাজাকার তিনবার
ঐশালা ভন্ড খন্ড মন্ড করি মস্তকে দন্ড
খাই গোলা নরভোলা নীলশার্টের পদ্য
তুলি পাল ঘুরি ফেল একটু টক কেন রক্ত!
বাংগাল পচা হাল রক্তও আছে অল্প
খাইতে মজা নাই, নীরিহ খাই নাই,
খুজি ঐ রাজাকার, ভন্ড দেশপ্রেমিক
মোটাতাজা শরীরে ফুরফুর গন্ধ
আহা টেস্ট! কি মজা মিস্টি রক্ত!
৪
কমল আর পলাশ দুই বোজোম বন্ধু। চাকুরীর সুবাদে দুজনকে বর্তমানে একটু দুরের দূরের উপজেলায় বসবাস করতে হয়।
বন্ধু কমলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। পলাশ কে তো দাওয়াত দিতেই হবে।
তখনও মোবাইল এর যুগ আসেনি। অগ্যতা পত্র মারফত দাওয়াত পাঠিয়ে দিল কমল।
যথারীতি নির্ধারিত দিনে কমলের বিয়েও হয়ে গেলো। কিন্তু পলাশ বিয়েতে আসেনি। কমলতো ক্ষিপ্ত।
তিন তিনেক পরে হঠাৎ বাজারে পলাশের সাথে কমলের দেখা।
কমলঃ কিরে , তুই আমার বিয়েতে আসলি না কেনরে শালা?
পলাশঃ বিয়ে! মানে , আমাকে তো জানাসনি।
কমলঃ জানাই নি মানে, চিঠি লিখলাম..
পলাশঃ আমি তো কোন চিঠি পাইনি।
কমলঃ পাসনাই তো কি হয়েছে, চিঠিতে তো লিখে দিয়েছিলাম , পত্র পাস আর না পাস …তোকে কিন্তু বিয়েতে আসতেই হবে।
৫
শিক্ষকঃ বলতো কুদ্দুস , পৃথিবী গোল, এর প্রমাণ কি? একটা উদাহরণ দে?
ছাত্রঃ খুব সহজ স্যার।
এই ধরুন একটা তেলাপোকার কথা।
তেলাপোকা ভয় পায় টিকিটিকিকে, টিকিটিকি ভয় পায় ইঁদুর কে, ইঁদুর ভয় পায় বিড়াল কে , বিড়াল ভয় পায় কুকুরকে, কুকুর ভয় পায় আমাকে, আমি ভয় পাই বাবাকে, বাবা ভয় পায় মাকে আর মা আবার ভয় পায় তেলাপোকাকে।
তাইলে পৃথিবী গোল হলো না স্যার!
৬
১১ বছর বয়সের এক বালক এর নামে রেপ কেসের আরোপ হয়েছে।
যথারীতি তাকে কোর্টে নিয়ে বিচারের জন্য কাঠগোড়ায় তোলা হলো এবং মজার বিষয় হলো বালকটির পক্ষের উকিল আবার একজন নারী।
উকিল সাহেবা মাননীয় বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলছে,
`মহামান্য আদালত এই দেখুন এই এতটুক্কুন একটা শিশু , এই বালক এ যৌনতার কিছুই বোঝে না, এই বালক কিভাবে রেপ করবে..’
এতটুকু বলেই উকিল সাহেবা বালকের দিকে এগিয়ে গেলো এবং হঠাৎ করে একটানে বালকের ইলাস্টিক হাফপ্যান্ট টান দিয়ে নিচে নামিয়ে দিলো এবং তার ছোট আকারের পেনিস হাতের মুঠোয় নিয়ে বলতে লাগল ,
`মহামান্য আদালত এই দেখুন এর বিশেষ অঙ্গ এখনো পরিপূর্ণতাই পায়নি..এর দ্বারা কি করে রেপ সম্ভব?’
হঠাৎ আসামী বালক উকিল সাহেবার দিকে একটু মাথা নামিয়ে ফিসফিসিয়ে বলতে লাগল ম্যাডাম আস্তে আস্তে নাড়ান, না ইলে কিন্তু কেসের মোড় ঘুরে যেতে পারে…
৭
মহিলা কলেজের বাংলা ক্লাসের স্যারের প্যান্টের চেন খোলা দেখে মেয়েরা জোরে জোরে হাসতে লাগল; স্যার তা বুজতে না পেরে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য বলল "বেশি হি.. হি.. করলে বাইরে বের করে খাড়া করে রাখব ।
৮
ক্লাসে ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন শিক্ষক
শিক্ষক: একই রকম দুটো এমন অদ্ভূত ঘটনার উদাহরণ দিতে পারবে, যা একই সঙ্গে ঘটেছে?
ছাত্রী: পারব, স্যার।
আমার মা ও বাবা একই সাথে বিবাহ করেছেন।
৯
ছেলে: বাবা, মা বলেছে তুমি নাকি ঘুষ খাও?
বাবা: তুই নিজে দেখেছিস?
ছেলে: না।
বাবা: তাহলে চ্যাচাচ্ছিস কেন? জানিস না শোনা কথায় কান দিতে নেই?
পরদিন......
বাবা: সোহেল, তোমার মা বলল, তুমি নাকি পরীক্ষায় ফেল করেছো?
সোহেল: বাবা, তুমি কি নিজে দেখেছ?
বাবা: না।
সোহেল: তাহলে শোনা কথায় কান দিচ্ছ কেন? জান না শোনা কথায় কান দিতে নেই?
১০
এক মহিলা সুদশর্না , অনেক সেজে গুজে হন্তদন্ত হয়ে নিভৃত গলি র ভেতর দিয়ে সন্ধ্যা বেলা সামনে অগ্রসর হচ্ছে। উদ্দেশ্য বিয়ে বাড়ী গমন। তার পেছেন মাথা নিচু করে এক লোক হাঁটছে , অনুসরণ করছে মহিলা কে চুপচাপ। লোকটি তার স্বামী।
হঠাৎ মহিলার সামনে তিন জন অস্ত্র ধারী যুবক এসে পথ আগলে দাঁড়াল। বলল, সোনা দানা যা আছে মেডাম দিয়া দেন
মহিলা একটু ভ্যাবা চ্যাকা খেলেও মুহূর্তে স্বাভাবিক হয়ে বলে উঠল,
আমার কাছে কিছু নাই তো, ঐ যে পেছনে যে আসছে সে আমার স্বামী তার প্যান্টের ভেতর সোনাও আছে সাথে দুটো বড় বড় দানাও আছে। তারউপর ওগুলো আজকাল আর তেমন কাজে লাগে না, নিয়ে যান ..
১১
মধ্যপ্রাচ্য থেকে ঘুরে এলেন কোকাকলা কোম্পানীর একজন ব্যার্থ বিক্রয় ব্যবস্থাপক। এক বন্ধু জানতে চাইল, আরবে তুমি সফল হলে না কেন?
জবাবে তিনি বললেন, “আমাকে যখন আরবে পোষ্টিং দেয়া হল তখন আমি খুব কনফিডেন্ট ছিলাম যে আমি সফল হবো। কেননা আরব জাতি এর আগে কখনো এই জাতীয় কোমল পানিয় পান করেনি। যেহেতু আমি আরবী ভাষা জানি না সেহেতু আমি প্ল্যান করলাম পোষ্টারের মাধ্যমে আরব জাতীকে কোক সম্পর্কে অবহিত করবো। প্ল্যান মাফিক আমি অনেক পোষ্টার ছাপালাম। সব জায়গায় ওই সমস্থ পোষ্টার টানিয়ে দিলাম ও বিতরন করলাম। পোষ্টারের প্রথম ছবিটি ছিল গরম মরুভূমি … ক্লান্ত একজন লোক, জ্ঞান হারাবার অবস্থা। দ্বিতীয় ছবিটি ছিল লোকটি কোক খাচ্ছে এবং তৃতীয় ছবিটি ছিল লোকটি একদম তরতাজা ………”
বন্ধুঃ খুবই ভালো কথা। কিন্তু তুমি সফল হলে না কেন?
ব্যবস্থাপকঃ আমি জানতাম না যে আরব জাতি ডান দিক থেকে পড়া শুরু করে …………
১২
এক মদতি বারে গ্যাছে মদ খাইতে।
বারম্যানরে কয়, একটা বিয়ার কত?
বারম্যান কয় "চাইরানা"।
মদতি টাস্কি।
কয়, "আইচ্ছা গরু ভুনা আর লগে এক বোতল হুইস্কি কত পড়ব?"
বারম্যান কয় "আটানা দিয়েন।"
মদতি কয়, "এই বারের মালিক কই?"
বারম্যান কয়, "সে উপরে আমার বউর লগে।"
মদতি কয় "উপরে তোমার বউর লগে কি করে?"
বারম্যান কয়, "আমি ওর ব্যবসার লগে যা করতাছি…"
১৩
এক ডাক্তারের কাছে গেছে , ১ মহিলা আর ১ লোক।
ডাক্তার কয়— আপনাগো সমস্যা?
লোকটা কয়—- আমার বউ এর লগে কাম করনের সময় খালি কিমুন যেন শব্দ হয়।
ডাক্তার মনে মনে — শালা পাইছি আইজকা বুকাচোদা।
ডাক্তার কয়– এইডা এমনে বুঝা যাইব না, আমার সমানে কাম করন লাগবো।
মহিলা আর লোকটা একটু বিচলিত হয়ে কয়, সমস্যা যেহেতু— কি আর করা?
তারা কাজ শেষ করল।
তারপরে, ডাক্তারে কয় এইবার ওষুধ দেন।
ডাক্তার কয় আমি পুরাপুরি সিউর না কেন এমন হচ্ছে, তবে আমারে কাম করতে দিল আমি ১০০% বুঝুম ঝামেলা কোথায়।
কিছুক্ষন তারা আলাপ করে রাজি হয়।
ডাক্তার কাম সাইরা, কিছু ওষুধ দিল, ওষুধ নিয়া তাদের প্রস্থান।
২ দিন পরে, ক্যান্টিনে বইসা ডাক্তার তার বন্ধুদেরলগে আড্ডা দিতাছে।
ডাক্তার তার বন্ধুরে কয়, দোস্ত পাইছিলাম এই রকম এক বোকাচুদারে, দিছি তার বউরে ভইরা।
পিছন থেকে সেই লোকটা কয়— আরে সাহেব খুব চুদাইছেন, ভাড়া করেছিলাম এক নটিরে, জায়গা না পাওয়াতে নিয়া গেছিলাম আপনার চেম্বারে!!
১৪
আসিফ সাহেব অফিসের কাজে গেছেন রাঙামাটিতে। কাজ শেষে ঢাকা ফেরার সময় ভাবলেন স্ত্রীর জন্য কিছু উপহার কিনে নিয়ে যাবেন।
কাছেই আদিবাসীদের কিছু দোকান দেখে তিনি সামনে অগ্রসর হলেন। একটা দোকানে ঢুকে ঠিক কি কিনবেন তা নিয়ে তিনি একটু দ্বীধায় পড়ে গেলেন। আসলে মেয়েদের জিনিসপত্র কেনার ব্যপারে তিনি একটু আনাড়ী। শেষ পর্যন্ত ঠিক করলেন স্ত্রীর জন্য কিছু চুড়িই কিনবেন।
দোকানের আদিবাসী মহিলা সেলসম্যানকে এটা জানাতেই সে জিজ্ঞাস করলো, ” আপনার স্ত্রী কোন মাপের চূড়ি পরেন?” । আসিফ সাহেবকে মাথা চুলকে বললেন,”ইয়ে, মাপতো জানিনা। চুড়ির আবার বিভিন্ন রকম মাপ হয় নাকি?”। তার অজ্ঞতা দেখে মুচকি হেসে মহিলা তার হাত দুইটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ” দেখুন তো এই মাপের হলে হবে কিনা? ” । তিনি প্রয়োজনের থেকে একটু বেশীই সময় নিয়ে মহিলার হাত দুটি নাড়াচাড়া করতে লাগলেন। সহজ সরল আদিবাসী মহিলা এতে কিছু মনে করলেন না। আসিফ সাহেব বললেন, ” এরথেকে একটু বড় হবে বোধহয়”। মহিলা সেই আন্দাজ মত কয়েক গোছা চুড়ি আসিফ সাহেবের হাতে দিলেন।
দাম পরিশোধ করার পরেও তাকে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মহিলা জিজ্ঞেস করলেন,”আর কিছু লাগবে?” আসিফ সাহেব পুনরায় মাথা চুলকে বললেন, “ইয়ে, মাপতো আনতে ভুলে গেছি! বউয়ের জন্য কিছু ব্লাউজ কেনা দরকার”
১৫
এক ভদ্রলোক সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। যাকে বিয়ে করেছেন তার বয়স নিতান্তই কাঁচা। বিবাহ পরবর্তি বিষয়গুলোর ব্যপারে স্পষ্ট ধারনা নেই সেই মেয়ের। যাইহোক, ভদ্রলোক প্রথম কিছুদিন অনেক ভাবে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন তার নুতন বৌ-এর লজ্জা ভাঙ্গাতে। অতঃপর শেষ চেষ্টা হিসেবে একটা খেলার আশ্রয় নিলেন।
তিনি তার নবপরিনীতাকে বললেন, এসো আমার চোর-পুলিশ খেলি। স্ত্রী খেলার নাম শুনে বেশ উৎসাহি হয়ে উঠলো। নিয়ম জানতে চাইলো। ভদ্রলোক তখন জানালেন এই খেলায় একটা চোর আছে যাকে জেলে নিয়ে বন্দি করতে হবে। বিষয়টা ভদ্রলোকের স্ত্রীর কাছে খুব মজার মনে হলো। তারা পরবর্তি বেশ কিছু সময় চোর-পুলিশ খেলার মধ্যদিয়ে চোরটাকে জেলে নিয়ে বন্দি করতে সক্ষম হলো।
ভদ্রলোক পাশ ফিরে শুয়ে আছেন। পাঁচ মিনিটও যায়নি, তার স্ত্রী চিৎকার করে উঠলো, “এই দেখো দেখো চোরটা জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে!” কি আর করা! অতঃপর আবার তারা চোর ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো এবং কিছুক্ষনের মধ্যে চোর ধরাও পড়লো। ভদ্রলোক স্ত্রীকে বললেন, “এবার খুশি?” স্ত্রী লাজুক হেসে জবাব দিলো, “হ্যা”।
ভদ্রলোক ক্লান্তিতে দুচোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন। এমন সময় শুনতে পেলেন স্ত্রী বলছে, “এই, দেখো না! চোরটা আবার জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে!” ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে আবারও চোর-পুলিশ খেলায় অংশ নিলেন এবং খেলা শেষে যথারীতি স্ত্রীকে বললেন, “খুশি?” স্ত্রী এবারও লাজুক হেসে জবাব দিলো, “হ্যা”।
ক্লান্ত-অবসন্ন ভদ্রলোক দ্রুত তন্দ্রায় চলে গেলেন। সেখান থেকে তিনি শুনতে পেলেন স্ত্রীর গলা, “এই, দেখো না! চোরটা আবারও জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে!”
এবার রাগে চিৎকার করতে করতে ভদ্রলোক বললেন, “তুমি এটা কেন বুঝতে পারছো না যে চুরির অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয় না?”
১৬
মিস মিলি ঠিক করল, ১৯ বছর বয়সেই তাকে কোটিপতি হতে হবে। কাজেই এক কোটিপতি ৯০ বছরের বুড়োকে বিয়ে করে বসলো সে। তার মতলব খুব পরিষ্কার, বুড়োকে এমন প্রেম ভালোবাসা উপহার দেবে সে, যাতে ব্যাটা হার্টফেল করে মরে। তারপর ব্যাটার সব সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে হাতিয়ে নেবে সে।
বাসর রাতে বুড়ো এসে হাজির। কিন্তু জামাকাপড় খোলার পর দ্যাখা গেল, বুড়ো হলেও সে যথেষ্ঠ সক্ষম এখনও।
বুড়ো বর ড্রয়ার থেকে কন্ডম আর দু'জোড়া ছিপি বার করে এগিয়ে এলো মিলির দিকে। মিলি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, "ওগুলো কিসের জন্য?"
বুড়ো প্যাকেটখানা খুলতে খুলতে বলল, "দ্যাখো এ ব্যাপারে দুটো জিনিস আমার একদম পছন্দ নয়। এক হচ্ছে, মেয়েরা যে চিৎকারটা করে, সেটা।" এই বলে সে একজোড়া ছিপি কানে গুঁজল। তারপর দ্বিতীয় জোড়া ছিপি নাকে গুঁজতে গুঁজতে বলল, "আর দ্বিতীয়ত, কন্ডম পোড়া গন্ধটাও আমার আদৌ পছন্দ নয়।"
১৭
মুখোশ পার্টিতে যাবে রোমেল আর তার বউ।
রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।
পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো। মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক আদরসোহাগের পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।
গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।
তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, 'আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোণার ঘরে বসে তাস খেলেছি।'
'তাই? কোন মজা হয়নি পার্টিতে?'
'একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।'
১৮
একটা অ্যাক্সিডেন্টে ভয়ানকভাবে পুড়ে গেছেন এক সুন্দরী মহিলা। সারা শরীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁর, কিন্তু সবচে বাজে অবস্থা মুখের। ডাক্তার মহিলার স্বামীকে জানালেন, কসমেটিক সার্জারি করতে হবে। অন্য কোথাও থেকে চামড়া এনে মহিলার মুখে বসাতে হবে। মহিলার নিজের শরীরের চামড়া এ অবস্থায় সরানো সম্ভব নয়, সমস্যা হতে পারে।
স্বামী ভদ্রলোক তখন তাঁর শরীর থেকে চামড়া নেয়ার প্রস্তাব দিলেন। ডাক্তার রাজি হলেন, এবং ভদ্রলোকের নিতম্ব থেকে চামড়া তুলে ভদ্রমহিলার মুখে বসালেন। অবশ্য এই দম্পতি ডাক্তারকে অনুরোধ জানালেন গোটা ব্যাপারটা গোপন রাখার জন্যে।
অপারেশন শেষে দেখা গেলো, মহিলাকে আরো সুন্দরী দেখাচ্ছে। আত্মীয়স্বজন তো তাঁকে দেখে অবাক, এতো চমৎকার অপারেশনের জন্যে ডাক্তারকে প্রচুর ধন্যবাদ জানিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন সে দম্পতি।
কিছুদিন পর নিরালায় মহিলা ধন্যবাদ জানালেন তাঁর স্বামীকে। ‘তুমি আমার জন্যে যা করলে, তা আমি জীবনে ভুলতে পারবো না গো, এর প্রতিদান আমি দিতে পারবো না।’ গদগদ হয়ে বললেন মহিলা।
স্বামী তাঁকে একহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ও কিচ্ছু না, লক্ষীটি। আর তোমার প্রতিদান দিতেও হবে না। যতবার তোমার মা এসে তোমার গালে চুমো খায়, আমার প্রতিদান পাওয়া হয়ে যায়।’
১৯
বনের রাজা টারজান তিরিশ বছর ধরে জঙ্গলে বাস করছে, সেখানে নানারকম পশুপাখি থাকলেও কোন মানুষ নেই। উদ্ভাবনী মস্তিষ্কের অধিকারী টারজান তাই বিভিন্ন গাছের গায়ে ফুটো করে নিয়েছে, প্রথম রিপুকে মোকাবেলা করার জন্যে।
মহিলা সাংবাদিক জেন একদিন জঙ্গলে গিয়ে দেখলো, টারজান মহা উল্লাসে একটি গাছের সাথে প্রেম করে চলছে।
এই দৃশ্য দেখে জেন খানিকটা ভালোবাসা, খানিকটা অনুকম্পা বোধ করলো টারজানের জন্যে, সে জামাকাপড় খুলে আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে এসে টারজানের উদ্দেশ্যে নিজেকে নিবেদন করলো।
টারজান তখন গাছ ফেলে ছুটে এসে জেনকে অবাক চোখে কিছুক্ষণ দেখলো, তারপর জেনের পেটে কষে একটা লাথি মারলো।
পেট চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো জেন। ‘জংলি ভূত, আমি তোমাকে প্রেম নিবেদন করলাম, আর তুমি কি না আমাকে লাথি মারলে?’ চেঁচিয়ে উঠলো সে।
টারজান এগিয়ে এসে জেনকে জাপটে ধরে বললো, ‘সবসময় চেক করে দেখি, কাঠবিড়ালি আছে কি না।’
-
-
-
ভালো লাগলে আওয়া দিয়েন............
২০
ছোট্ট বাবুর ক্লাসে নতুন শিক্ষিকা মিস মিলি এসেছেন। তিনি প্রথমেই সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। কাজেই বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে বললেন, 'ছোট্ট সুজি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন বিজ্ঞানী, আর মা একজন ডাক্তার।'
মিষ্টি হেসে মিস মিলি বললেন, 'ছোট্ট টুনি, তোমার বাবা মা কী করেন?'
'আমার বাবা একজন শিক্ষক, আর মা একজন উকিল।'
'বাহ! ছোট্ট বাবু, তোমার বাবা মা কী করেন?'
বাবু বলল, 'আমার বাবা মারা গেছেন, আর মা একজন পতিতা।'
মিস মিলি রেগে আগুন হয়ে প্রিন্সিপালের কাছে পাঠালেন বাবুকে। মিনিট পাঁচেক পর ছোট্ট বাবু ফিরে এল।
'তুমি প্রিন্সিপালকে বলেছ, তুমি আমার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছ?'
'জ্বি মিস।' বলল বাবু।
'তিনি কী বললেন?'
'বললেন, আমাদের সমাজে কোনও কাজই তুচ্ছ নয়। তারপর আমাকে একটা আপেল খেতে দিলেন, আর বাসার ফোন নাম্বার লিখে রাখলেন।'
২১
আজীবন বাম রাজনীত করেছেন খ্যাতনামা এক রাজনীতিবিদ | এখন মৃত্যুশয্যায় | শুভার্থীরা ঘিরে আছে শেষ সময়ের বাণী শোনার জন্য |
রাজনীতিবিদ বললেন, মরার আগে আমি একটা ডান দলে যোগ দিতে চাই |
: কেন ? এই শেষ বেলায় কেন কপালে কলঙ্ক লাগাতে চান ?
: মরার আগে অন্তত একজন ডান রাজনীতিবিদ মেরে যেতে চাই |
২২
বুড়ো রিয়াদ সাহেব বিয়ে করেছেন এক কচি মেয়েকে। কিন্তু কয়েক হপ্তা পর দেখা গেলো, বিছানায় যত কায়দা কানুনই তিনি করেন না কেন, বউ বেচারির রাগমোচন হচ্ছে না।
রিয়াদ সাহেব ঠিক করলেন, তিনি ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে রায় দিলেন। "এক কাজ করুন। ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। আপনারা যখন ঐসব করবেন, ছোকরা ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে আপনাদের বাতাস করবে।"
ডাক্তারের কথা কী আর ফেলা যায়? রিয়াদ সাহেব এক ষন্ডামতো ছোকরাকে ভাড়া করে বাড়ি নিয়ে গেলেন। ডাক্তারের নির্দেশমতো কাজ করেও কোন ফল পাওয়া গেলো না। চটেমটে রিয়াদ সাহেব আবার ডাক্তারের চেম্বারে হানা দিলেন।
ডাক্তার সব শুনে, সব দেখে আবারও রায় দিলেন। "এক কাজ করুন। এবার উল্টো ফ্যান্টাসি সেক্স চেষ্টা করে দেখুন। ষন্ডা কোন ছোকরাকে ভাড়া করবেন। এবার ছোকরা আপনার স্ত্রীর সাথে যখন ঐসব করবে, আপনি ন্যাংটা হয়ে দাঁড়িয়ে তালপাখা দিয়ে ওদের বাতাস করবেন।"
মরিয়া রিয়াদ সাহেব ঠিক করলেন, তথাস্তু।
এবার একেবারে হাতেনাতে ফল পাওয়া গেলো। রিয়াদ সাহেবের বউ এক উথালপাথাল রাগমোচন লাভ করলেন।
উল্লসিত রিয়াদ সাহেব ষন্ডা ছোকরার কাঁধে টোকা দিয়ে বললেন, "এবার বুঝেছো তো ছোকরা, কিভাবে ঠিকমতো বাতাস করতে হয়?"
২৩
বাচ্চাদের স্কুলের টিচার মিস তানিয়া একদিন ছুটির পর ছোট্ট বাবুকে দাঁড় করালেন।
'এক মিনিট দাঁড়াও ছোট্ট বাবু।' চশমার ওপর দিয়ে চাইলেন তিনি। 'তোমার হোমওয়র্ক তো খুব খারাপ হচ্ছে ক'দিন ধরে। তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে?'
ছোট্ট বাবু মাথা ঝোঁকালো। 'জ্বি টিচার। আমি প্রেমে পড়েছি।'
মিস তানিয়া মিষ্টি হাসলেন। 'কার প্রেমে পড়েছো?'
'আপনার, মিস তানিয়া। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।'
'কিন্তু ছোট্ট বাবু,' নরম গলায় বললেন মিস তানিয়া, 'ভেবে দ্যাখো ব্যাপারটা কেমন বোকাটে হবে? নিশ্চয়ই আমি একদিন কাউকে স্বামী হিসেবে চাইবো ... কিন্তু আমি তো কোন বাচ্চা চাই না।'
'ভয় পাবেন না মিস।' আশ্বাস দিলো বাবু। 'সেক্ষেত্রে আমি কনডম ব্যবহার করবো।'
২৪
ভোরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, 'নাস্তা করবে না? ডিম পোচ আর টোস্ট, সাথে আপেল আর কড়া এক কাপ কফি?'
স্বামী মাথা নাড়লেন, 'উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।'
দুপুরবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, 'লাঞ্চ করবে না? মুরগির সুপ, সালাদ, আর তার সাথে চিজ স্যান্ডউইচ নাহয়?'
স্বামী মাথা নাড়লেন, 'উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।'
সন্ধ্যেবেলা। মহিলা স্বামীকে বললেন, 'ডিনার করবে না? যাও না গো, চিকেন ফ্রাই নিয়ে এসো, দুমিনিট লাগবে, ঐ মোড়ের কাবাবের দোকানে পাবে। কিংবা পিজার অর্ডার দিই ফোন করে?'
স্বামী মাথা নাড়লেন, 'উঁহু। এই ভায়াগ্রা, বুঝলে, আমার খিদে একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে।'
মহিলা এবার চটে গিয়ে বললেন, 'তাহলে নামো আমার ওপর থেকে। ক্ষিদেয় পেট জ্বলছে আমার, কিছু খাবো!'
২৫
বুড়ো লম্পট রিয়াদ সাহেব সত্তর বছর বয়সে কুড়ি বছরে এক সুন্দরী তরুণীকে বিয়ে করলেন।
বছর ঘুরতেই খোকা হলো তাদের।
হাসপাতালের নার্স মুচকি হেসে বললো, 'বাহ রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন মনে হচ্ছে?'
রিয়াদ সাহেব গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'
আরো দুবছর পর আবার খুকি হলো তার।
নার্স আবারো মুচকি হাসলো। 'হুম, রিয়াদ সাহেব, বেশ ফর্মে আছেন।'
রিয়াদ সাহেব আবারো গর্বিত হাসি দিয়ে বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'
বছর দুয়েক পর আবার খোকা হলো তাঁর।
নার্স কিছু বলার আগেই রিয়াদ সাহেব বললেন, 'পুরনো ইঞ্জিনটাকে চালু রাখলাম আর কি।'
নার্স মুচকি হেসে বললো, 'তাহলে এবার তেল পাল্টে নিন স্যার। আপনার এবারের বাচ্চাটার চুল সোনালি।'
২৬
বাবু খুব তোতলায়।
এমনটা ছোটবেলায় হতো না, এখন কেন হচ্ছে জানার জন্যে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলো সে।
ডাক্তার তাকে আপাদমস্তক পরীক্ষা করে কারণটা খুঁজে পেলেন। তিনি জানালেন, ‘দেখুন মিস্টার বাবু, আপনার বিশেষ প্রত্যঙ্গটি অত্যন্ত দীর্ঘ। সেটির ওজনে আপনার ভোকাল কর্ডে টান পড়েছে। প্রত্যঙ্গটি কেটে খানিকটা ছোট করা হলে সম্ভবত আপনার তোতলামি সেরে যাবে। আপনি রাজি হলে আমি এখন যা আছে, তার অর্ধেকে আপনাকে নামিয়ে আনতে পারি। তবে যে অর্ধেক সরিয়ে ফেলা হবে, সেটি কিন্তু আপনাকে হস্তান্তর করা হবে না। আপনি কি রাজি?’
কী আর করা, বাবু রাজি হলো। অপারেশন সফল হওয়ার পর তার তোতলামি সেরে গেলো।
কিন্তু বাবুর বান্ধবী টিনা সব জানতে পেরে ভীষণ চটে গেলো। সে হুমকি দিলো, তোতলামি নিয়ে তার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু বাবুর অর্ধেক যদি বাবু ফেরত না নিয়ে আসে, এ সম্পর্ক সে রাখবে না।
কী আর করা, মাসখানেক টিনাকে বোঝানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে শেষে বাবু আবার গেলো ডাক্তারের কাছে।
‘ডাক্তারসাহেব, আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন।’ আব্দার জানালো বাবু, তারপর বর্তমান পরিস্থিতি ডাক্তারকে বুঝিয়ে বললো।
কিন্তু ডাক্তার কোন জবাব দিলেন না, ভাবুক চোখে তাকিয়ে রইলেন তার দিকে।
বাবু চটে গেলো। ‘কী হলো, কথা শুনতে পাচ্ছেন না আমার? আমার অর্ধেক আমাকে ফিরিয়ে দিন।’
ডাক্তারও চটে গিয়ে বললেন, ‘প-প-প-পারবো না। যান, ভ-ভ-ভাগেন এখান থেকে।’
২৭
বাবুর বড় বিপদ, ২৫ ইঞ্চি দীর্ঘ প্রত্যঙ্গ নিয়ে গাড্ডায় পড়েছে সে। কোনও মেয়েকে সে ঠিক খুশি করতে পারে না, আবার এই আকৃতি নিয়ে তার নিজেরও নানা হাঙ্গামা। একদিন জঙ্গলে এক দরবেশ বাবার আস্তানায় ধর্ণা দিলো সে। তার সমস্যার কথা খুলে বলে কাকুতিমিনতি করে জানালো, বাবা যদি কোনোভাবে ২৫ ইঞ্চি থেকে তাকে ১০-এ নামিয়ে আনতে পারেন, সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
দরবেশবাবা মিনিট পাঁচেক চোখ বুঁজে ধ্যান করে বললেন, "এখান থেকে সোজা উত্তর দিকে বনের এভতর পাঁচশ কদম হাঁটলে একটা কুয়ো পাবি। ওখানে বাস করে এক মাদী ব্যাং, কিন্তু মানুষের জবানে কথা বলে। তাএক শুধাবি তোকে সে বিয়ে করতে চায় কি না। যদি উত্তরে না বলে, ৫ ইঞ্চি কমে যাবে। এখন যা বেটা। হক মাওলা!"
বাবু ৫০০ কদম এগিয়ে কুয়ো খুঁজে পেলো। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখলো, বাস্তব, একটা ব্যাং বসে। সে গলা খাঁকরে শুধালো, "ইয়ে ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?"
গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, "না!"
বাবু টের পেলো, ২০-এ নেমে গেছে সে। কিন্তু এতেও অসুবিধা হবে ভেবে সে আবারো জিজ্ঞেস করলো, "ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?"
আবারও গম্ভীর গলায় উত্তর এলো, "না!"
বাবু ১৫-তে নেমে এলো।
উল্লসিত বাবু আবারো জিজ্ঞেস করলো, "বলি ও ব্যাংকুমারী, তুমি আমায় বিয়ে করবে?"
এবার উত্তর এলো, "এক কথা কতবার বলবো তোকে ব্যাটা হারামজাদা? না, না, না!"
উৎসঃ বিভিন্ন ভাবে সংগৃহিত
আপনি কি এই পর্যন্ত চলে এসেছেন? কিছু কৌতুক কিন্তু (১৮+) তে ক্লিক করুন।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০
শের শায়রী বলেছেন: জ্বি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: একসাথে এত কৌতুক দিবেন না। সব্বোর্চ দশটা দিবেন। ভালো জিনিস কমই ভালো।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই আর দিমুই না, ষ্টক শেষ, বাচছি
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
সোহানী বলেছেন: আপনি কৈাতুক ও লিখেন !!!!!!!!
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: ওরে জ্বালা, না গো বোনডি, কিছু দুষ্ট প্রকৃতির বন্ধুরা বিভিন্ন সময় এই সব খারাপ খারাপ কৌতুক বলছে আবার কেউ পাডাইছে, আমি শুধু কালেক্টর। বাচা গ্যাছে আর নাই ঝামেলা শ্যাষ।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: শোভন, কৌতুকের গোটা বইয়ের পিডিএফ লিংক দিয়া দিলেইতো পারতা!
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: আর জ্বালামু না জুল ভার্ন ভাই। ষ্টক শ্যাষ। কি একটা জ্বালা ছিল। এই গুলা অসাভ্য অসাভ্য পোলাপানের বিভিন্ন সময়ের পাডানো অথবা শোনানো
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
ইসিয়াক বলেছেন: ৬নং ,৭নং,১০নং ও ১৩নং টা দারুণ ছিল.....বাকিগুলো পরে পড়বো্।
মজা পাইছি
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬
শের শায়রী বলেছেন:
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ম্যারাথন কতুগ। সাহতছিলাম .. দসডা পইড়া হয়রন হয়য়া গেছি ...
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাই আর দেব না ষ্টক শ্যাষ।
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ওভার ডোজ হয়ে গেছে !!
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: আমারো নূর ভাই
৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
মা.হাসান বলেছেন: ভালো ভালো ভালো।
আশা করি বেশি সমস্যা হইবে না, বেশি সমস্যা হইলে ২৭ নম্বরের দরবেশ বাবা তো থাকিলোই । তবে সোনাদানা কম থাকাই ভালো, নচেৎ চোর পুলিশের ধাক্কায় অনেক সমস্যা।
ব্লগের সাধারন লেখায় সাধারণত ১২ থেকে ১৫ টি ভিউয়ের বিপরীতে একটি কমেন্ট পাওয়া যায়, তবে ১৮ প্লাস পোষ্টের জন্য প্রচুর ভিউ পাইবেন, কমেন্ট পাইবেন না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: ভাই এটা আমার লাইন ও না, কিছু ছিল, নিজের কাছে ভালো লাগছিলো তাই সবার সাথে শেয়ার করছি এই আর কি? কমেন্ট ভিউ তো আল্লাহর ইচ্ছায় অনেক ( আমার হিসাবে এটায় পাইলেও কি না পাইলেও কি )
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
জাহিদ হাসান বলেছেন: খামোকা সময় নষ্ট করলাম।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
শের শায়রী বলেছেন: তাই তো মনে হলো আমারো।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১
নতুন বলেছেন: বেশির ভাগই শোনা ।
কিন্তু এই রকমের পোস্ট আপনার জন্য না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১
শের শায়রী বলেছেন: ভাই বাচছি, আর নাই। এক জ্বালা ছিল। জ্বালা দিয়া বাচ্ছি। তবে ১০০% এ আমার কাম না। আর না। শেষ।
১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৪
কায়েস মাহমুদ! বলেছেন: হাহাহা। তবে একসাথে অনেক দিয়ে দিলেন।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাই যা ষ্টকে ছিল সব দিয়া দিছি, এই লাইনে আমি অনভিজ্ঞ, সেটাও একটা কারন
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৬
ইমরান আশফাক বলেছেন: জোস, হেব্বি জোস। কয়েকটায় তো নতুনত্বও পাইলাম।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
শের শায়রী বলেছেন:
১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২
নীল আকাশ বলেছেন: কি ব্যাপার এই লাইনে চলে আসলেন?
লেখা মজা লেগেছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
শের শায়রী বলেছেন: না ভাই ষ্টকে যা ছিল সব শেষ। আর দিমু না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৬
এস সুলতানা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো