নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোডেক্স অ্যাটলানটিকাস, এ্যাট দ্য এ্যাম্বাসিয়ানো এ্যাট মিলানোঃ লিওনার্ডো দ্যা ভিঞ্চি (প্রথম পর্ব)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯



ভিঞ্চিকে নিয়ে ড্যান ব্রাউন “দ্য দ্য ভিঞ্চি কোড” লিখে যে নাটকীয়তা তৈরী করছে, বাস্তবে ভিঞ্চি তার থেকে অনেক বেশী রহস্যময় বলেই আমার মনে হয়েছে তার জীবনের টুকরা টাকরা ঘটনা পড়ে। কৈশোরে ভিঞ্চি বীনায় নাকি ঐশ্বরিক সুর তুলতে পারতেন কারো কাছ থেকে শিখে নয় সহজাত গুনের কারনে। পিতা সের পিয়েরো, কিন্তু তার মা ক্যাটারিনাকে বিয়ে করেন নি, মানে বাবা মার অবৈধ সন্তান ছিলেন। লিওনার্দোর জন্ম ১৪৫২ সালের ১৫ ই এপ্রিল। পিতার তত্ত্বাবধানেই বড় হচ্ছিলেন লিওনার্দো তার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে আইন বা অন্য কোন ভদ্র পেশায় মানুষ করবেন, কিন্তু ছেলের আঁকায় সহজাত দক্ষতা আর আগ্রহ তাকে সে কালের ফ্লোরেন্সের শ্রেষ্ঠ শিল্পীর এন্ড্রিয়া ডেল ভেরোচিয়ার কাছে পাঠিয়ে দেন।



লিওনার্দোর বয়স তখন ষোল। খুব অল্প সময়ে গুরু ভেরোচিয়া বুজতে পারলেন ঈশ্বর প্রদত্ত গুনের কারনে লিওনার্দোকে তার শিখানোর কিছু নেই। শিষ্য লিওনার্দোর আঁকা আঁকির গুন দেখে ভেরোচিয়া জীবনে আর কোন দিন তুলি হাতে তুলে নেন নি, বাকী জীবনটা ছেনি বাটালি নিয়ে পাথরের মুর্তি বানানোর কাজ করে গেছেন। কিন্তু লিওনার্দোর সাথে তার গুরু শিষ্যর সম্পর্কটা আজীবন অটুট ছিল।

বিশ বছর বয়সে আঁকা আঁকির সার্টিফিকেট পান লিওনার্দো। পচিশ বছর বয়স পর্যন্ত থেকে যান ভেরোচিয়ার ষ্টুডিওতে এখানেই নিজ ইচ্ছায় শিখেন গ্রীক আর ল্যাটিন ভাষা, চিকিৎসা বিদ্যা থেকে সেই সময়ের বিজ্ঞানের প্রায় সব শাখাতেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে শিক্ষা লাভ করেন একান্ত নিজের ইচ্ছায়। (লিওনার্দো কে নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে আমি দু এক জায়গায় দেখছি লেখক তার গুনে বিস্মিত হয়ে কি বলবে ভেবে না পেয়ে বলে বসেছে সে নাকি ফিউচার দিয়ে অতীতে গিয়েছিল, এটা আসলে তার গুনের প্রকাশ করতে গিয়ে ভাষা না পেয়ে বলছে।)

ফ্লোরেন্সে কোনও সম্ভাবনা না দেখে ১৪৮১ সালে মিলানে যান লিওনার্দো। সেকালে ফ্লোরেন্স, মিলান আলাদা আলাদা রাজ্য ছিল, লিওনার্দো যখন মিলান আসলেন তখন মিলানের রাজা ছিলেন জিয়ান গ্যালিয়াজো স্ফোরজা। কিন্তু অপ্রাপ্ত বয়স্ক হবার কারনে তার পক্ষে রাজত্ব চালাতেন তার কাকা লডোভিকো স্ফোরজা। এর গায়ের রং শ্যামলা দেখে ইতিহাসে তাকে “ইল মুর” নামে চেনে। মিলানে পৌছানোর পর সেসিলিয়া গ্যালেরিনো নামে এক মহিলার ছবি আঁকে। এই মহিলাই পরবর্তীতে লডোভিকের প্রধান রক্ষিতা হন।


সেসিলিয়া গ্যালেরিনো

আকিয়ে হিসাবে মিলানে লিওনার্দোর খুব একটা পাত্তা হলনা। অস্ত্র নির্মাতা হিসাবে বা মুর্তি গড়িয়ে হিসাবে একটা সুযোগ নেবার জন্য তিনি চিঠি লিখলেন, কেনেথ ক্লার্ক যার সম্বোধনটি ইংরেজীতে অনুবাদ করছিলেন “Most illustrious Lord” বলে। দরখাস্তের মুল বয়ানটি ছিল অনেকটা নিম্নরূপঃ

মহানুভব সম্রাট

যথাসম্ভব প্রত্যক্ষভাবে দেখে যাচাই করে এবং প্রমান পেয়ে, সেইসব ব্যাক্তিদের আবিস্কার, যারা যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তত করার ব্যাপারে নিজেদের আবিস্কারক এবং পারদর্শী বলে ধাপ্পা দেন, যদিও সেই সব আবিস্কার গুলো অতি সাধারন ব্যাবহারযোগ্য ব্যাতীত কিছুই না, একথা মাথায় রেখেই সম্পূর্ন পক্ষপাতশুন্য হয়ে আমার কিছু কৃত কর্মের নমুনা এবং গোপন কলাকৌশল আপনার কাছে পেশ করছি এবং একই সঙ্গে আপনার কাছে চাকুরীর জন্য আবেদন পেশ করছি

১। আমি সেতুর পরিকল্পনা এবং নকশা করছি যা হাল্কা, শক্তপোক্ত এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজে বহনযোগ্য ফলে যুদ্ধে আক্রমন বা পশ্চাদপসরনের সময় সাহায্য করবে, আবার এমন সেতুও নির্মান করতে পারি যা আগুনে দাহ্য না। আবার শত্রুপক্ষের সেতু আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করার দেবার কৌশল ও আমার করায়াত্ত।



২।সেনারা কোন অঞ্চল অবরোধ করলে সেখানে পরিখা থাকলে পরিখা দিয়ে পানি বের করে দেবার কৌশল আমার জানা আছে। আবার পরিখা পারাপারের অসংখ্য ছোট সেতু নির্মান, মই এবং ওই ধরনের যন্ত্র তৈরীর উচ্চ প্রযুক্তি আমার করায়াত্ত।



৩। উচ্চতা বা দুর্গমতার কারনে কোন নির্দিষ্ট নিশানায় বোমা ফেলতে অসুবিধা হলে, সেই সব দূর্গ বা প্রাচীর কিভাবে বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় আমার জানা আছে।



৪।আমি সুবিধাজনক এবং সহজে বহনযোগ্য কামান তৈরী করতে যা শত্রু পক্ষের ওপর বৃষ্টির মত পাথর নিক্ষেপ করবে একই সাথে ধোয়ার তৈরী করবে যা শত্রুদের দিশেহারা করে দেবে।



৫। যুদ্ধ যদি সমুদ্রে সংঘটিত হয় তবে তবে আমার পরিকল্পনায় এমন অনেক যন্ত্র আছে যা একই সাথে আক্রমন এবং প্রতিরোধ করতে পারবে। একই সাথে আগুন, গোলা এবং যে কোন ধোয়ার আক্রমন প্রতিহত করার মত নৌযান তৈরী করতে সক্ষম।



৬। আবার একটুও শব্দ না করে যে কোন নির্দিষ্ট স্থানে পৌছানোর জন্য সুড়ঙ্গ, গোপন পথ তৈরী করে দিতে সক্ষম এমন কি নদী বা পরিখার তলা দিয়ে হলেও।

৭। আমি শত্রুর যে কোন আক্রমন প্রতিহত করার মত সাজোয়া যান তৈরী করতে সক্ষম যা যে কোন শত্রু শিবিরে খুব দ্রুত ঢুকে যেতে পারে এবং এর পেছন পেছন আপনার সৈন্যরা ঢুকে শত্রুদের আক্রমন করতে পারবে।



৮। সাধারনতঃ যে সব যুদ্ধাস্ত্র তৈরী ব্যবহৃত হয় তার বাইরে অতীব কার্যক্ষম যুদ্ধাস্ত্র এবং হাল্কা বা ভারী কামান তৈরী করে দিতে পারব প্রয়োজন সাপেক্ষে।



৯। যখন প্রচলিত বোমায় কাজ হবে না আমি তখন বড় গুলতি, ম্যাঙ্গোনেলাস, ট্রিবুচেট তৈরী করে দিতে পারব। সংক্ষেপে বলা যায় পরিবেশ সাপেক্ষে আমি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরীতে পারদর্শী।



১০। শান্তিকালীন অবস্থায় আমি আপনাদের যথাযথ সন্তুষ্ট করতে পারব, স্থাপত্য, অট্টলিকা, পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থায় আমি যে কোন প্রকৌশলীর থেকে ভালো কাজ করতে পারব।



এছাড়াও আমি পাথর, ব্রোঞ্জ, মার্বেল বা মাটির ভাষ্কর্য করতে পারি, এবং যে কোন পদ্ধতিতে ছবি আকায় পারঙ্গম। আমার ছবির ব্যাপারে বিশ্বের যে কোন আকিয়ের সাথেই আপনি তুলনা করতে পারবেন। এছাড়া আমি ব্রোঞ্জের অশ্ব নির্মান করতে পারি যা আপনার পিতা বা স্ফোরজা পরিবারের গৌরবান্বিত মধুর স্মৃতিকে সব সময় উজ্জ্বল রাখবে।

উপরোক্ত কোন বিষয়ে যদি অবাস্তব অসম্ভব মনে হয় তবে মহান সম্রাটের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন খোলা জায়গায় অথবা রাজ উদ্যানে পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। মহামান্য সম্রাটের কাছে পরম বিনয় সহকারে নিজেকে নিবেদন করলাম।

এই দরখাস্তটির কথা প্রথম জানা যায় ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত লিওনার্দোর নোটবই এর একাংশ “কোডেক্স অ্যাটলানটিকাস, এ্যাট দ্য এ্যাম্বাসিয়ানো এ্যাট মিলান।” এ লেখাটি লিওনার্দোর নিজের না কারন লেখার অনেক জায়গায়ই কেটে সংশোধন করা হয়েছে, সম্ভবতঃ লিওনার্দোর কোন ছাত্র তার মুখে মুখে শুনে এটার খসড়া করছিলো পরে লিওনার্দো এটাকে সংশোধন করে। লিওনার্দোর জীবনী গ্রন্থ থেকে জানা যায় তার দরখাস্থ অবশ্যই মঞ্জুর হয়েছিল এবং একটানা ষোল বছর সেখানে চাকুরী করে।

আপনারা যদি লিওনার্দোর দরখাস্তের দিকে তাকান যে পরিচয়ে সে এখন বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত মানে চিত্রশিল্পী সেটা সে দরখাস্থের শেষে অতি সাধারনভাবে উল্লেখ্য করছে।

শেষ পর্বের জন্য নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

কোডেক্স অ্যাটলানটিকাস, এ্যাট দ্য এ্যাম্বাসিয়ানো এ্যাট মিলানোঃ লিওনার্ডো দ্য ভিঞ্চি – শেষ পর্ব

সুত্রঃ বিভিন্ন বই, পত্রিকা এবং জার্নাল

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৩

সোহানী বলেছেন: আপনার লেখার বিষয় এমন যে সব কাজ ফেলে পড়তে বসি

ভিঞ্চিকে অনেক লিখাই আগে পড়েছি তারপর ও আরো জানতে চাই।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আমার অন্যতম প্রিয় একটা চরিত্র ভিঞ্চি। আপনি কি ড্যান ব্রাউনের "দ্য ভিঞ্চি কোড" পড়ছেন? আমার পুরা চিন্তা চেতনাকে নাড়া দিয়ে গেছে বইটি।

যাই হোক দ্বিতীয় পর্ব লিখছি বোন। আশা রাখি রাতে প্রকাশ করতে পারব।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৬

নতুন বলেছেন: ভিঞ্চির এই বিষয়টা নতুন জানলাম। :) ++

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। :)

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৬

কাতিআশা বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো..কাজ ফেলে পড়লাম আপনার লেখা!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২

শের শায়রী বলেছেন: আপনি একজন আর্কিটেক্ট। আর লিওনার্দো ও ছিল তার সময়ের অন্যতম হয়ত তার যুগের তুলনায় অগ্রসর আর্কিটেক্ট আমার বিশ্বাস এই সব বিষয় আপনি আমার থেকে ভালো জানবেন।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: বাহ্ :-B , ভিঞ্চি সাহেব দেখি মামুলি ( আসলে মামুলি নয়) একজন চিত্রশিল্পীর চেয়ে অনেক বেশী কিছু। বরং অন্যান্য গুন চিত্রশিল্পীর চাইতে অনেক বেশী। সেই আমলে এইরকম প্রযুক্তির নক্সা কিভাবে উনার মাথায় এলো?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ভিঞ্চি আসলে যতটা না চিত্রকর তার থেকে অন্য কিছু অনেক বেশী অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে দেখুন (কিছুক্ষনের মাঝেই প্রকাশ করব) সেখানে ভার্সেটাইল জিনিয়াসনেসের সামান্য কিছু প্রমান আছে। এই জন্য উনাকে নিয়ে নানা কুহেলিকা আছে।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
বেশ কিছু তথ্য পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

হাসান রাজু বলেছেন: হিস্ট্রি চ্যানেলে একটা টিভি প্রগ্রাম আছে Ancient Aliens তারাতো ভিঞ্চি কে Aliens দিয়ে কিডন্যাপ করিয়ে অন্য জগত থেকে এই সমস্ত শিক্ষা দিয়ে আনিয়ে তবে ছেড়েছে । সেই তুলনায় ফিউচার দিয়ে অতীতে চলে যাওয়া আর তেমন কি ব্যাপার।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: B-) হ্যা এই টাইপের অনেক কিছুই ভাবে মানুষ তারা মেধা দেখে

৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

ঘুটুরি বলেছেন: অফিসে কাজ করছিলাম, আপনার লেখা চোখে পড়বার সাথে সাথেই গপাগপ পড়া শুরু করেছি। ধন্যবাদ দারুন একটা পোস্টের জন্য

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ব্রাদার।।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একদম অজানা অধ্যায় জানলাম :)

সত্যি বিস্ময়কর!

++++

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৬

শের শায়রী বলেছেন: ভায়া শেষ পর্ব দিয়ে দিয়েছি, সেটা কিন্তু এই পর্বের থেকেও বিস্ময় জাগানিয়া লিওনার্দোর কর্মক্ষেত্র নিয়ে কোডেক্স অ্যাটলানটিকাস, এ্যাট দ্য এ্যাম্বাসিয়ানো এ্যাট মিলানো – শেষ পর্ব

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,



এমন একজনকে নিয়ে লিখেছেন যিনি একাধারে শিল্পী, গনিতজ্ঞ, আবিষ্কারক, সাহিত্যিক, ভাস্কর্যশিল্পী, আর্কিটেক্ট, শরীরবিদ্যায় পারদর্শী, জোতির্বিদ, ভূতত্ত্ববিদ প্রভূত।
অংক আর শিল্প মিলিয়ে তাঁর কালিতে আঁকা "ভিট্রুভিয়াস ম্যান" এক বিস্ময় যেখানে মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রোপোরশান অদ্ভুত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে বৃত্ত আর বর্গক্ষেত্রের ভেতরে।

চমৎকার লেখা হয়েছে। আমারও সবচেয়ে প্রিয় এক শিল্পী।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, এই মানুষটা মানে লিওনার্দো আমার কাছে এক প্রহেলিকা। কোন দিকে না হাত বাড়িয়েছে? কোন মীথে না তার নাম আছে, সেই ফ্রি ম্যাসন থেকে সব সব জায়গায় তার সরব উপস্থিতি।

এক ভিট্রুভিয়ান যদি দেখেন তবে এর মাঝে আপনি খুজে পাবেন সেই বিখ্যাত গোল্ডেন রেশিও শুধু গোল্ডেন র‍্যাশিও নিয়েই একটা সিরিজ করা যায়। কি অসাধারন!

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১১

রাকু হাসান বলেছেন:

আপনার লেখার ব্যাপারে আগেও শুনেছি। নতুন করে আবার নতুন বিষয় লিখছেন দেখে পড়ে ভালো লাগছে । অজানা কিছু তথ্য জানালেন । এই পোস্টের অনেক কিছুই জানতাম না । লেখার ধরন সাবলীল । পড়তে ভালো লাগছে । ধন্যবাদ ভালো বিষয়বস্তুর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
ব্যাবহার<ব্যবহার,ব্যাতীত<ব্যতীত

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

শের শায়রী বলেছেন: বানান ঠিক করে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা ভাই।

১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা রইল। ভিঞ্চিকে নিয়ে একটা তিন সিজনের সিরিয়াল আছেঃ দ্যা ভিঞ্চি'স ডিমনস। যদিও সেখানে বেশিরভাগ ঘটনাই কাল্পনিক বা গল্পের প্রয়োজনে ঘটনাকে বিকৃত করা হয়েছে, তারপরও দেখতে। আপনার ভাল লাগবে আশা করি।

০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: "দ্যা ভিঞ্চি'স ডিমনস" অবশ্য ই দেখব ভাই, এই সব ব্যাপারে আমার কৌতুহল প্রচন্ড।। থ্যাঙ্কস ফর সাজেশান।

শুভ নববর্ষ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.