নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
পদার্থবিদরা এত দিন জানতেন বিশ্ব ব্রক্ষ্মান্ডে চার ধরনের বল কার্যকর আছে। এর হল ইলেকট্রনের গতি নিয়ন্ত্রনকারী তড়িৎ চুম্বকীয় বল, পরমানুর কেন্দ্রে প্রোটনদের ধরে রাখার জন্য প্রবল বল, তেজস্ক্রিয় বিকিরনে সক্রিয় ক্ষীন বল, এবং দৈনন্দিন জীবনের সাথে পরিচিত মধ্যাকর্ষন বল। পাশাপাশি ইদানিং নতুন এক বলের কথা খুব শোনা যাচ্ছে এ্যান্টি গ্রাভিটি (প্রতি মধ্যাকর্ষন) বল।
২০০১ সালের ৪ এপ্রিল বাল্টিমোরে মেরিল্যান্ডে স্পেস টেলিস্কোপ ইনিষ্টিটিউটের সভায় ভাষন দেবার সময় তরুন জোর্তিবিজ্ঞানী এ্যাডাম রিস (পরে ২০১১ সালে জোর্তি পদার্থবিদ্যায় নোবেল লাভ করেন) দেখালেন হাবল দিয়ে তোলা ব্রহ্মাণ্ডর কিছু আলোকিত অংশের ছবি। “হাবল ডায়াগ্রাম” নামে পরিচিত এই বিশেষ চিত্রে তারকা এবং ছায়াপথের দূরত্বের এবং গতির হিসাব দেয়া আছে। রিসের গবেষনায় দৃশ্যমান বিশ্ব এবং কৃষ্ণ গহ্বর কিভাবে রহস্যময় বিকর্ষক শক্তির প্রভাবে কিভাবে পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
প্রায় দু বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন তার পর্যাবেক্ষনের কথা জোর্তিবিজ্ঞানে সাড়া ফেলছিল। সে সময় নিউইয়র্ক টাইমসের এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জনিয়েছিলেন, “ আমাদের ব্রক্ষ্মান্ড তার আগের মুহুর্তের থেকে বেশী ছড়িয়ে পড়ছে। কেউ যেন ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে সব কিছু। তিনি ও তার দল ১১০০ কোটি বছর আগের এক সুপারনোভা বিস্ফোরনের পরীক্ষা করে দেখেছেন, সেখান থেকে দেখতে পান ৭০০ কোটি বছর আগে যে হারে ব্রহ্মাণ্ড বিকাশিত হচ্ছিল আজকের পৃথিবী বিকাশিত হচ্ছে তার তুলনায় ১৫% বেশী।
লরেন্সের বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির অন্য একটি গবেষক দল থেকেও সল পার্লামারিও একই পর্যবেক্ষন সমর্থন করেন। ১৯১৭ সালে আইন ষ্টাইন রিলেটিভিটি আবিস্কারের সময় খেয়াল করছিলেন সময়ের সাপেক্ষে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সময়ের সাপেক্ষে স্থির নয় হয় বাড়ছে নয় সংকুচিত হচ্ছে। সে সময় স্থির বিশ্বের ধারনা প্রচলিত ছিল। আইনষ্টাইন তার রিলেটিভিটি ইক্যুয়েশানে একটি বাড়তি ধ্রুবক যোগ করে ব্রহ্মাণ্ডকে স্থির দেখানোর চেষ্টা করেন। এই ধ্রুবককে “কসমোলজিক্যাল ধ্রুবক” বলা হয়, যা গ্রীক অক্ষর লামডা (Λλ) দ্ধারা প্রকাশ করা হয়।
আইনষ্টাইনের গবেষনাপত্র প্রকাশের প্রায় এক যুগ পর এডউইন হাবল তার দূরবীক্ষনে অনেক ছবি এবং তথ্য ঘেটে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে ব্রহ্মাণ্ড স্থিতিশীল নয়। তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বৃদ্ধির হার পৃথিবী থেকে সেই ছায়াপথের দূরত্বের ওপর নির্ভরশীল। হাবলের সুত্রে এই নির্ভরশীলতার ধ্রুবকটির মান প্রতি দশ লক্ষ আলোকবর্ষ দুরত্বে সেকেন্ডে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। অর্থ্যাৎ পৃথিবী থেকে এক কোটি আলোকবর্ষ দূরত্বের কোন ছায়াপথ পৃথিবী থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ কিলোমিটার গতিতে দূরে সরে যাচ্ছে। এর মানে হল যে ছায়াপথ পৃথিবী থেকে যত দূরে সে তত জোরে পৃথবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। একে হাবল কনষ্ট্যানন্ট বলে।
মাইকেল টার্নার ১৯৯০ সালে এক বর্ধিষ্ণু মহাবিশ্বের মডেল প্রস্তাব করেন। তার সূত্র অনুসারে ৫% সাধারন বস্তু যা সাধারন চোখে দেখা যায়, ২৫% অদৃশ্য শীতল কৃষ্ণ বস্তু (ডার্ক ম্যাটার) যাদের অস্তিত্ব কেবল অনুভব করা যায় এবং ৭০% শক্তি নির্ভর করে আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটি সুত্রের লামডার ওপর। মনে রাখা দরকার ভর শক্তি E=mc2 সমতুল্যতা সূত্র মেনে চলে। তাই শক্তিকে ভরে এবং ভরকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভআইনষ্টাইনের লামডার এক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা হল বিকর্ষক (এ্যান্টি গ্রাভিটি) শক্তির সাথে ভারসম্য সৃষ্টিতে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ব। এই মহাবিশ্বের বৃদ্ধি থামাতে যে পরিমান গড় ঘনত্ব (average density) দরকার তাকে বিজ্ঞানীরা বলেন “সঙ্কট ঘনত্ব”। বর্তমান বিশ্বের গড় ঘনত্ব এবং সঙ্কট ঘনত্বের অনুপাত কে গ্রীক লেটার ওমেগা (Ωω) দ্ধারা প্রকাশ করা হয়।
ওমেঘার মান একের বেশী হলে ব্রহ্মাণ্ড তার নিজের ভরে সংকুচিত হয়ে এক বিন্দুতে পরিনত হবে একেই বিজ্ঞানী হকিন্স “বিগ ক্রাঞ্চ” বলেছেন। আবার ওমেগার মান একের কম হলে ব্রহ্মাণ্ড প্রসারিত হতে থাকবে কখনো থামবে না। সময়ের সাথে সাথে এই গতি বৃদ্ধ পাবে।
ওমেগা, হাবলের ধ্রুবক এবং লামডার মাঝে এক সম্পর্ক আছে। পরীক্ষার মাধ্যমে এই তাত্বিক সম্পর্কটি বিজ্ঞানীরা মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোর্তিবিজ্ঞানী আলেক্স ফিলিপ্পেনকো তার বলেছেন, আমার যতই চেষ্টা করিনা কেন, লামডার মান কোন অবস্থাতেই শুন্য নয়। অর্থ্যাৎ মহাকর্ষ শক্তির বিপক্ষে আর একটা বিকর্ষক শক্তি মহাবিশ্বে কাজ করেছে। সুপারনোভা কসমোলজি প্রকল্পে পার্লমাটারের তত্বাবধানে ৪০ টি সুপারনোভা বিশ্লেষান করেন। তাদের বিশ্লেষানে কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্টের সুস্পষ্ট প্রমান মিলেছে।
১৯৯৮ সালের ফেরুয়ারী মাসের বিখ্যাত সায়ান্স ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে ব্রায়ান স্পিট বলেছেন তার দল ৯৯% নিশ্চিত ব্রম্মান্ডের বৃদ্ধিতে কোনওভাবে এ্যান্টি গ্রাভিটেশনাল শক্তির যোগান আছে, সম্ভবত এই শক্তির উৎস সৃষ্টিতত্বের লামডা। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জোর্তিবিদ রিচার্ড এ মুলারের মতে এটি এ শতকের সব থেকে বড় আবিস্কার এখন পর্যন্ত।
ব্রম্মান্ডের স্ফীত বৃদ্ধির হার থেক এ্যান্টি গ্রাভিটি শক্তির অস্তিত্বের প্রমান ছাড়াও ব্রহ্মাণ্ডর ৬৫% এর হিসাব পাওয়া গেছে, সে হিসাবে বর্তমান ব্রহ্মান্ডের বয়স ১৪০০ কোটি বছর। এখানেই শেষ নয়। কোয়ান্টম বলবিদ্যা অনুযায়ী লামডা যে এ্যান্ট গ্রাভিটেশনলা শক্তির যোগান দেয় তা এক ধরনের “অবাস্তব” ভার্চুয়াল কনার সৃষ্টি হয় এবং খুব দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। অঙ্ক কষে দেখা গেছে ইলেকট্রনের সমান ভরের সমান এই অবাস্তব কনার আয়ু ১০-২১ সেকেন্ড, মানে একের পিঠে একুশটা শুন্য দিলে যা হয় সেকেন্ডের তত ভগ্নাংশ। বিশেষজ্ঞরা এই নতুন অবাস্তব কনার নাম দিয়েছেন এক্স ম্যাটার। গত বিশ শতকে যা ছিল শুধু অনুমান নির্ভর আজ তা অনেকাংশে বাস্তব।
২০০১ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে ব্রুক হেভেন ন্যাশনাল লাইব্রেরীর এ্যাসোসিয়েটস ডিরেক্টর টমাস বি কার্ক জানালেন তাদের গবেষনাগারে এই এই অবাস্তব কনাদের খুজে পাওয়া গেছে। একাজে বিশেষ ধরনের অল্টারনেটিং গ্রেডিয়েন্ট সিনক্রোটন যন্ত্র ব্যাবহার করা হয়। ই-৮২১ নামে এই পরীক্ষায় কয়েকশো কোটি মিউওন কনা শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে পাঠিয়ে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন মিউওনের কম্পাঙ্ক মেপে অজানা এক ক্ষন স্থায়ী কনার সন্ধান পাওয়া গেছে, যা প্রচলিত বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। “এই অসাধারন আবিস্কারের মাধ্যামে বাস্তব কিভাবে সৃষ্টি হয় তার সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরো গভীর হবে” বলেছেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরাল্ড গ্যাব্রিয়েল।
তবে কি মানুষ এ্যান্টিগ্রাভিটি ফোর্স আবিস্কারের মাধ্যমে এক নতুন জগত উন্মোচিত করবে? এ ব্যাপারে এখনো শেষ কথা বলার সময় আসে নি। আরো অপেক্ষা করতে হবে, আমরা না হয় অপেক্ষাই করি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বস্তুর গতি আলোর থেকে বেশী কিনা এটা জানার জন্য এখানে দেখতে পারেন Faster-than-light তবে এটাও শেষ কথা না এর পরেও অনেক কথা আছে, বিভিন্ন আর্টিকেল দেখে আমার যা ধারনা হয়েছে। বস্তুর গতি আলোর থেকে বেশী হলে ইন ফ্যাক্ট আমরা অতীত দেখতে পাব। অবশ্য সবই ফিকশান পর্যায়ে আছে।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আইজ্যাক আসিমভের একটি বইতে দেখেছিলাম খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। কিভাবে ইউনিভার্স ইন্ট্রিগেটেড পরে মহাবিষ্ফোরনে আবার ডিসইন্ট্রিগেটেড হয়ে প্রসারিত হয়েছিল। এখনো হচ্ছে। বইটির নাম সম্ভবত - দা বিগিনিং এন্ড দি এন্ড
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ঠিকই বলেছেন দ্যা বিগিনিং এন্ড দ্যা এন্ড - আইজ্যাক আসিমভের একটা বই আছে সেখানে এই ব্যাপারে সুন্দর করে লেখা আছে।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মিলিয়ে দেখতে হবে; আপনার দেয়া ডেফিনেশনের ( এন্টিগ্রেভিটি) সাথে অন্যদের ডেফিনেশন মিলছে না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫
শের শায়রী বলেছেন:
প্রথমেই সবিনয়ে, আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য আশা রাখি ভালো আছে? আপনি বোধ হয় আমার সন্মন্ধ্যে একটু ওভার এষ্টিমেট করে ফেলছেন আপনি লিখছেন “আপনার দেয়া ডেফিনেশনের (এন্টিগ্রেভিটি) সাথে অন্যদের ডেফিনেশন মিলছে না” আমি দেব এ্যান্টি গ্রাভিটির ডেফিনেশান!!!!!?
আমি অতি এলেবেলে টাইপের জোড়াতালি মার্কা টাইপ রাইটার যে বিভিন্ন জার্নাল ফার্নাল টুক টাক পড়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে জোড়া তালি দিয়ে পোষ্ট দেই। জ্ঞান ও অতি সীমিত। ভুল না হলে আপনি উচ্চ শিক্ষিত। এর আগেও অন্যান্য পোষ্টে একই টাইপের মন্তব্য দিয়েছেন কিন্তু এরপর কোনটার আর সদুত্তর দেন নি। আশা রাখি অন্যান্য (!?) দের ডেফিনেশান এর সাথে আমার লেখার ভুল ধরিয়ে দিয়ে কৃতজ্ঞ রাখবেন।
অগ্রিম ধন্যবাদ
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
৩য় প্যারাগ্রাফে,( ৩ নং ছবির নীচে) আপনি শেষ বাক্যে লিখেছেন, " তিনি ও তার দল ১১০০ কোটী .... আজকের পৃথিবী বিকশিত হচ্ছে তার তুলনায় ১৫% বেশী "
-পৃথিবী কিভাবে বিকশিত হতে পারে?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২০
শের শায়রী বলেছেন: আপনি ব্যাস্ত মানুষ সময়ের অভাবে আপনি হয়ত পোষ্টের সব কিছু দেখেন না, এক নজরে মোটামুটি দেখে গিয়ে মন্তব্য করেন। এটাও আমার মন্তব্য না। ডঃ রিসের মন্তব্য। দেখি আপনার কথার বিশ্লেষান দিতে পারি কিনা এই মহাবিশ্ব প্রতি মুহুর্তে সঞ্চরনশীল এটা আপনার মত একজন জ্ঞানী বিজ্ঞান জানা মানুষের অজানা থাকার কথা না, ১১০০ কোটি বছর আগের এক সুপারনোভা বিস্ফোরন হয় যার আলোক পৃথিবীতে আসতে সময় নেয় ( একথাও নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয় দুর নক্ষত্রের যে আলো আমরা দেখি সে নক্ষত্রের আলো পৃথিবীতে আসতে হয়ত কয়েক আলোকবর্ষ লেগে যায়, হয়ত আমরা যে আলোক দেখি সেটা অনেক আলোকবর্ষের আগে এখন এই মুহুর্তে হয়ত ওই নক্ষত্রের অস্তিত্ব নেই, এখানে যদি আপনি প্রশ্ন তোলেন নক্ষত্রের অস্তিত্ব নেই মানে কি? তবে আপনাকে বুজাতে আমার অ আ ক খ থেকে শুরু করতে হবে, যেটা আমি আপনার মত জ্ঞানী লোকের কাছ থেকে আশা করিনা)।
তো রিস ১১০০ কোটি বছর আগে যে সুপারনোভার বিস্ফোরিত আলো দেখতে পেয়েছে সেই সুপার নোভার আলোই ৭০০ কোটি বছর আগে যখন দেখে তখন দেখে পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষে সেটা ১৫% বেশি দুরত্বে অবস্থান করছে। এটার কারনই হল এ্যান্টি গ্রাভিটি (যার কারনে সে নোবেল পায় একটু মোটা দাগে বললাম)। এবং সময় যত যায় এই দূরে সরে যাবার হারও বৃদ্ধি পায়। একেই বিকাশিত হওয়া বলে। আজকের পৃথিবী বলতে মহাবিশ্ব বুজানো হয়েছে যা আপনার মত জ্ঞানীর না বোজার কথা না যিনি কিনা এ্যান্টি গ্রাভিটির ওপর অনেক কিছু জানেন যা আপনার পূর্বোক্ত মন্তব্যে প্রকাশিত।
এখানে রিসের ওয়েব সাইট দিয়ে দিলাম সময় নিয়ে দেখবেন। রিসের এর বাইরেও অনেক সাক্ষাৎকার জার্নাল আছে সেগুলোও দেখে আসবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
আলামিন১০৪ বলেছেন: যারা ডকুমেন্টারী দেখে সময় নষ্ট করতে আগ্রহী তাদের জন্যঃ (ইউনিভার্স সম্পর্কে একটা ধারণা পেলেও পেতে পারেন)
Part-1, Light and Dark, Jim Al khalili
Part-2 Everything and Nothing- Jim Al Khalili
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২২
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২
আলামিন১০৪ বলেছেন: My mistake. Part 2 is here
Light and Dark- 2nd episode
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫
হাবিব বলেছেন: মধ্যাকর্ষণ বল কি কখনো অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: ভাই মধ্যাকর্ষন বল পৃথিবী এবং পৃথিবীর আশে পাশে কাজ করে। এর বাইরে গেলেই এই বল অকার্যকর হয়ে পড়ে।
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন:
বিজ্ঞানও দিতে পারে না গ্র্যাভিটির সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা। বড় রহস্যয়ময়।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এটা এখনো গবেষনার পর্যায়ে আছে, হয়ত আমাদের বেশী দিন লাগবে না এই রহস্য পুরোপুরি বোধগম্য হতে। এটাই বর্তমান বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ওয়াও! এন্টিগ্রাভিটি নিয়ে বাংলায় বিস্তারিত আর্টিকেল খুব কম। আর কঠিন কঠিন টার্মের জন্য ইংরেজি আর্টিকেলগুলো পড়াও খুব যন্ত্রণাদায়ক! এনিয়ে বাংলায় আরো বেশি লেখালেখি প্রয়োজন।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন,গুরুজি।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০
শের শায়রী বলেছেন: বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা রূপম
১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
পুলক ঢালী বলেছেন: কঠিন বিষয়। এক্স ম্যাটার কি আসলে এন্টি ম্যাটার ? এন্টি গ্র্যাভিটিকে সম মেরুর বিকর্ষনের মত মনে হয়। মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এটা ঘনত্বের অনুপাতের উপর নির্ভরশীল এই বিষয়গুলি অদ্ভুদ মনে হয়।
শক্তি সমতা বজায় রাখতে চায়, মোটা দাগে বলা যায় একই উচ্চতায় কানেক্টেড ভরা ট্যাংক ও খালি ট্যাংক যেমন রাখা যায়না বা ওসমোসিস সিষ্টেমে কম ঘন তরল বেশী ঘন তরলের দিকে ধাবিত হয় তেমনি এই বিশ্ব ভ্রহ্মান্ড কি অতি ঘন কোন ভ্রহ্মান্ডের দিকে ধাবিত হচ্ছে ? সেটা কি কোন জায়ান্ট ব্ল্যাক হোল ? আপনার পোষ্ট পড়ে এই প্রশ্নগুলি মাথায় ঘুরছে। অগোছালো ভাবনা ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
শের শায়রী বলেছেন: আপনি নিজের ভাবনা অন্যের কাছে ট্রান্সফার করতে এক্সপার্ট আমাকেও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আপনার ভাবনাগুলো। এই সব ভাবনা আপনাকে আরো তাড়িত করে বেড়াক এই কামনায়। এখানেই বিজ্ঞানের সৌন্দর্য্য ভাই।
১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬
সোহানী বলেছেন: কিছু মাথার উপর দিয়ে গেছে আর কিছু কানের পাশ দিয়ে…..হাহাহাহা
চলুক সব লিখা বিজ্ঞান নিয়ে। বাচ্চারা আর ভয়ে কাঁপবে না, আগ্রহ নিয়ে পড়বে।...………...
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: তাও ভালো আপনার কান মাথার আশেপাশে দিয়ে গেছে, যা লিখছি তার প্রায় সব আমার ১০০ হাত দূর দিয়ে গেছে
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: ওয়াও, আপনি কি এখনো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কোলারশিপের জন্যে এপ্লাই করেননি?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১
শের শায়রী বলেছেন: ভাই লেখায় কি কোথাও ভুল হয়েছে? ইংরেজীতেও অত ভালো না, অনুবাদেও ভুল হতে পারে। শরমই দিলেন ভাই! আমাকে হাভার্ডে স্কলারশীপের আবেদন করতে বললেন! বুজলাম না।
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার যা ট্যালেন্ট, তাতে করে আপনি হার্ভাড ইউনিভার্সিটিতে অনায়াসে পদার্থবিদ্যায় চান্স পেতে পারেন। এইডা নেগেটিভ অর্থে নেয়ার কি হলো!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
শের শায়রী বলেছেন: সর্যি ব্রাদার আমি প্রথমে মিস ইন্টারপ্রেট করছিলাম। আমার কাছে হার্ভাড, কেম্ব্রিজ হল সব বিরাট বিরাট জ্ঞানী গুনীর কারখানা সেখানে নিজেকে কোন অবস্থাতেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারি না। আমি বড় জোর কিছু পেপার জার্নাল দেখে অনুবাদ করতে পারি পাশাপাশি বয়স টাও তো দেখবেন, তিন কুল গিয়ে এক কুলে ঠেকছে, এই বয়সে কি আর পড়াশুনা সম্ভব
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বস্তুর গতি আলোর থেকে বেশী কিনা এটা জানার জন্য এখানে দেখতে পারেন Faster-than-light তবে এটাও শেষ কথা না এর পরেও অনেক কথা আছে, বিভিন্ন আর্টিকেল দেখে আমার যা ধারনা হয়েছে। বস্তুর গতি আলোর থেকে বেশী হলে ইন ফ্যাক্ট আমরা অতীত দেখতে পাব। অবশ্য সবই ফিকশান পর্যায়ে আছে।
প্রতিমন্তব্য পড়ে একটা ধাঁধা মনে এলো !
আপনাকে একটা ধাঁধা দেই।
একজন মানুষ যদি সময় ভ্রমণ করে তার মাতৃগর্ভস্থ অবস্থায় নিজেকে দেখতে পারে এবং শব্দ শ্রবনে সক্ষম হয় এবং নিজেতে ফিরে আসতেও সক্ষম হয়! সেই ভ্রমনে ভ্রমনকারীর গতি কত? বা কি কি ফ্যাক্টর ক্রিয়াশিল থাকার প্রয়োজন!
আপনার দারুন দারুন পোষ্ট পড়লে যা অদ্ভুত সব ভাবনা আসে...
হা হা হা
বিগক্রাঞ্চের নিয়ে আমার দারুন কৌতুহল।
বিশেষত কোরআনে জগতকে গুটিয়ে আনার বর্ণনা আর বিজ্ঞানের প্রসারমান বর্ণনায় ভাবতে ভাবতে একসময় দারুন সমাধান পেলাম।
বিজ্ঞান আজ যে আলোর কণা বিশ্লেষন করে বলছে পৃথিবী প্রসারিত হচ্ছে - তা তো লক্ষ কোটি বছর আগের যখন তা প্রসারমান ছিল। যখন সংকোচনের শুরু হলো (১৪০০ বছর আগের ঘোষনা হলো) সেই আলো পৃথিবীতে পৌছতে পৌছতে লক্ষ কোটি বছর পার হয়ে যাবে বিজ্ঞানের হয়তো আরো শত লক্ষ কোটি বছরের অগ্রগতি হবে। এবং একসময় তারা অবাক হয়ে আলো বি্শ্লেষন করে দেখবে বিগক্রাঞ্চ ইজ হ্যাপেনিং বাট ঘোষনা দেবার সময়ো হয়তো পাবে না।
হাদীসের সেই বর্ণনার মতো স্বল্পতম সময়- কাপড় খুলে ধরবে ভাজ করার সময় পাবেনা!
ভাত মেখে হাতে নেবে মূখে তোলার সময় পাবেনা ... এত স্বল্পতম সময়ে মহাপ্রলয় সংঘটিত হয়ে যাবে।
এটা নিয়ে দারুন একটা মুভি শর্ট স্ক্রীপ্ট করে রেখেছি
তখন বুঝলাম কোরআনকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর কিছু নেই আমার নিজের বোধকে উন্নত করা ছাড়া
+++++++++
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: ভায়া দিলেন তো বিপদে ফেলে । আসি আপনার ধাধার ব্যাপারে, “একজন মানুষ যদি সময় ভ্রমণ করে তার মাতৃগর্ভস্থ অবস্থায় নিজেকে দেখতে পারে এবং শব্দ শ্রবনে সক্ষম হয় এবং নিজেতে ফিরে আসতেও সক্ষম হয়! সেই ভ্রমনে ভ্রমনকারীর গতি কত? বা কি কি ফ্যাক্টর ক্রিয়াশিল থাকার প্রয়োজন!”
প্রচলিত ধারনায়, মানে আমরা বিজ্ঞান কে যে অবস্থায় দেখি বা জানি, তাতে সর্বোচ্চ ফিকশান ধরলেও হয়ত অতীত দেখতে পাবেন, কিন্তু ধরা ছোয়া যাবে না, সামান্য একটু ব্যাখ্যা দেই, ধরুন আপনি আলোর গতির থেকে অনেক গুন বেশী চলাচলে সক্ষম হলেন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী সেক্ষেত্রে সময় ধীর হয়ে যাবে, আপেক্ষিক টাপেক্ষিক বাদ দেই, আপনি আলোর চেয়ে অনেক দ্রুত ভ্রমন করে অনেক দুরের এক নক্ষত্রে গিয়ে বসে খুব শক্তিশালী এক দুরবীনে চোখ লাগালেন পৃথিবীর দিকে, এদিকে আপনার জন্মের সময় আপনি যখন মায়ের জঠরে তা কিন্তু কারো চোখে রিফ্লেক্ট হতে ওই আলোর গতিতেই যাচ্ছে আর আপনি আলোর গতির থেকে অনেক বেশী গুন জোরে ভ্রমন করে দূরে কোথাও বসে আপনার শৈশব কৈশর দেখতে পেলেন। সেক্ষেত্রে কিন্তু শুধুই দেখা ধরা ছোয়া নয়। আজ যে দূর নক্ষত্রকে আমরা মিট মিট করতে দেখছি সে মিট মিট কিন্তু আজকের না অনেক অনেক আগের হয়ত কয়েক আলোক বর্ষের আগে। বর্তমানে হয়ত ওটার কোন অস্তিত্ত্বই নেই। তার মানে আমরা যে আলোটা দেখছি সেটা কিন্তু অতীত দেখছি। এভাবে হয়ত অতীত দেখা সম্ভব কিন্তু তাতো ধরা ছোয়া যাবে না ভাইডি।
একই জায়গায় দাড়িয়ে ঘড়ির ডায়ালের মত কিছু একটা ঘুরিয়ে অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া শুধু হলিউডে সম্ভব বলে আমার ধারনা।
খুব ভাষা ভাষা জানি, আমরা তৃতীয় মাত্রায় বাস করছি, সেখানে চতুর্থ মাত্রা বা ফোর্থ ডাইমেনশান কিন্তু সময়। যত দূর খেয়াল পরে কোথায় যেন পড়ছিলাম, তৃতীয় মাত্রার সাথে চতুর্থ মাত্রা যোগ হলে বস্তু অদৃশ্য হয়ে যাবে। এনিয়ে আমেরিকান সরকার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পর বেশ গবেষনা টবেষনা করছিলো, কিন্তু এর রেজাল্ট দেখে তারা বন্ধ করে দিয়েছিল তখন। এখন যে আবার করছে না তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নাই। লিঙ্ক দেখুন
আর মহাবিশ্ব বা কসমোলজির জ্ঞান কিন্তু এখনো ঐ আইনষ্টাইনের রিলেটিভি পর্যন্ত। এর পর কোয়ান্টাম মেকানিক্স কিছু হাইপোথিসিস দিয়েছে কিন্তু তা ঐ হাইপো পর্যন্ত মানে মহাবিশ্বের ব্যাপারে আমরা এখনো মায়ের জঠরেও না শুক্রানু অথবা ডিম্বানুর পর্যায়ে। আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি বোধ এখনো একটা নির্দিষ্ট গন্ডিতে আবদ্ধ সেটা যে যত নোবেল প্রাইজ পাক না কেন, তবে দু একজন এর মাঝ দিয়ে “গড গিফটেড” হিসাবে আসে এক ঝলক দিয়ে যায় যেমন আইনষ্টাইন, হকিন্স।
আমার বিশ্বাস মানুষের সব থেকে বড় আবিস্কার হবে যেদিন সে তার বোধকে অনুভব করতে পারবে।
মুভির শর্ট স্ক্রীপ্ট! বুজাই যাচ্ছে গতানুগতিকের বাইরের কিছু। সুযোগ পেলে চুপি চুপি দেখে নেব
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৭
সুপারডুপার বলেছেন: পোস্টে +++ ও প্রিয়তে। বিজ্ঞান বিষয়ে আপনি অনেক কিছুই পড়েন ও জানেন।
কোনো বস্তুর গতি আলোর চেয়ে বেশি হলে সময় পিছনের দিকে যাবে বা উল্টা দিকে ঘুরবে । কিন্তু বস্তুর গতি আলোর চেয়ে বেশি সম্ভব কি না , চিন্তার বিষয় !!!