নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
২৬৭৭ খ্রীষ্টাব্দ
মাটিতে দু পা দিয়ে হাটা মনুষ্য প্রজাতি বিলুপ্ত প্রায়। বিবর্তন আর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর চুড়ান্ত বিকাশে পক্ষী মানব এবং মৎস্য মানব নামে দুটি ধারায় বিভক্ত। পক্ষী মানবরা ডানা মেলে আকাশে ওড়ে আর মৎস্য মানবরা সাগরে বা বড় নদীর নীচে বসবাস করে। আর বিবর্তনের ধারা এড়িয়ে (কোন এক অব্যাখ্যাত কারনে) দুপেয়ে মানব যে গুলো আছে সে গুলো অভয়ারান্যে বসবাস করে। পক্ষীমানব আর মৎস্য মানবদের বাৎসরিক শিকার প্রতিযোগিতায় এরা শিকার হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। সারা বিশ্বের সেরা সেরা পক্ষীমানব এবং মৎসমানব এই শিকারে অংশ নেয়।
২৪৪৯ খ্রীষ্টাব্দ
ন্যানো ইঞ্জিনিয়ারিং এর চুড়ান্ত বিকাশে এই পৃথিবীতে অভাব, অনটন, রোগ, শোক, পরিবেশ দুষন চিরতরে হারিয়ে গেছে। ন্যানো গেজ নামক যন্ত্রের বদৌলতে পরমানু গঠন চেঞ্জ করে যে কোন ওষুধ, খাবার, মুহুর্তে তৈরী করা যায়। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে অবিরল শান্তির ধারা। ন্যানো গেজ যন্ত্রের কোন খারাপ বাই প্রোডাক্ট নাই বিধায় পরিবেশ দুষন নামক শব্দটি সব অভিধান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
২৩১৭ খ্রীষ্টাব্দ
ট্রাভেলার যন্ত্রটি আবিস্কার হবার পর পৃথিবী থেকে রাষ্ট্র নামক ভৌগলিক সীমারেখা তিরোহিত। এই যন্ত্রের মাধ্যে যে কোন মানুষ বা বস্তু আলোর ক্ষুদ্রতম একক ট্রেয়নে বিভক্ত হয়ে আলোর গতিতে যে কোন স্থানে যেতে পারে। সামান্য সমস্যা এখনো আছে যে স্থানে বস্তু বা মানুষ আগের রূপে ফেরত যাবে সেখানে একটা নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের মধ্য রিসিভার নামক যন্ত্রটি থাকতে হবে (অনেক টা বিংশ শতাব্দীর মোবাইল টাওয়ারের মত)। সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন স্থানে রিসিভার বসিয়ে আন্তঃগ্রহ ভ্রমন নিশ্চিত হলেও আন্তঃ নক্ষত্র ভ্রমন এখনো সম্ভব হয় নি তবে সুপার ট্যাট নামক স্পেস শীপ পাঠিয়ে যে সব নক্ষত্রে রিসিভার বসানো হয়েছে সেগুলোতে যেতে কোন বাধা নেই।
২১২৩ খ্রীষ্টাব্দ
মোবাইল, টিভি, কম্প্যুটার নামক গ্যাজেট গুলো পরিত্যাক্ত। হলোবেস নামক যন্ত্রটি যেটি আকারে ২০০ বছর পূর্বের হাত ঘড়ির মত এইসব যন্ত্রের কাজ এক সাথে করতে পারঙ্গম। যার সাথে কথা বলতে চান আঙ্গুলের ইশারায় তার ভার্চুয়াল হলোগ্রাফিক ছবি বাতাসে ভেসে উঠবে। চাইলেই শূন্যে সদ্য অতীত হওয়া কম্প্যুটার এর স্ত্রীন ভেসে উঠবে। মস্তিস্কের চিন্তায় সাড়া দিয়ে সেখানে কম্প্যুটার নামক যন্ত্রের সমস্ত ফাংশন সহ থ্রিডি প্রিন্টারে যে কোন বস্তু বাস্তবে চলে আসবে। আটোবাইল (গাড়ীর বর্তমান পরিবর্তিত রূপ) থেকে শুরু করে যে কোন বস্তু এই হলোবেস থেকে পাওয়া সম্ভব। তবে হলোবেসের বর্তমান আউট পুটে সামান্য কিছু লিমিটেশান আছে যেমন এখনো হলোবেস এ কোন মানব অঙ্গ বা জৈবিক খাবার তৈরী করা যায় না তবে অল্প কিছুদিনের মাঝেই এ সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
সবাই ভালো থাকুন সেই সব সময় পর্যন্ত
(একটি সায়েন্স ফিকশান গল্প লেখার অপচেষ্টা মাত্র)।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভ্রাতা।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার !!
প্রতিটা কল্পনা নিয়ে এক একটা গল্প হতে পারে ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫
ঝিগাতলা বলেছেন: দারুণ সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তবে মানুষের কখনো পাখা গজাবে না
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
শের শায়রী বলেছেন: ফিকশান তো গল্পের গরু গাছে ওঠে আর নৌকা পাহাড় দিয়ে যায় । পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫
শের শায়রী বলেছেন: বিজ্ঞান যতটা না আমার পছন্দ তার থেকে অপছন্দ আরো বেশী
৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৬
এমজেডএফ বলেছেন: অতীতের অনেক সায়েন্স ফিকশন কিন্তু আজকের বাস্তবতা। সুতরাং আপনার এই সায়েন্স ফিকশনও অদূর ভবিষ্যতে যে একদিন বাস্তবতার মুখ দেখবে না–তা কেউ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবে না। আপনার সায়েন্স ফিকশনের পেছনে যথেষ্ট বিজ্ঞান ভিত্তিক যৌক্তিকতা আছে। চমৎকার +
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮
শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন।
৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
ডি মুন বলেছেন: ইন্টারেস্টিং সায়েন্স ফিকশন।
এটা ভেবে কষ্ট লাগে যে মানুষ মোটামুটি ১০০ বছরের একটা ছকে আটকে থেকে মরে যায়।
এর বাইরের কিছু সে কল্পনা করতে পারে কিন্তু উপভোগ করতে পারে না।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০০
শের শায়রী বলেছেন: অথচ এই সময়টুকুই আমরা কত বিচিত্রভাবে বিভিন্ন জন বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে কাজ করি, ভাবলেই অবাক হতে হয়। থ্যাঙ্কস মুন ভাই। অনেক দিন পর আপনাকে পোষ্টে পেয়ে ভালো লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২০
ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার