নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
১৯৪৭ সালের গ্রীস্মকালের কোন এক দিন এক অল্প বয়স্ক বেদুঈন তার হারিয়ে যাওয়া ছাগল খুজতে গিয়ে মৃত সাগরের (Dead sea) পাশে উচু খাড়া পাহাড়ে ওপর একটা গুহা দেখতে পায়। তরুন মনে ঔৎসুক্য জাগ্রত হলে সে পাহাড়ের গুহায় প্রবেশ করে এবং সাতটি মাটির পাত্র আবিস্কার করে যেগুলোর মুখ সীসার সীল গালা করা। গুপ্তধন আবিস্কারের নেশায় সে একে একে পাত্রগুলোর মুখ খোলে এবং হতাশ হয়ে দেখে এর মাঝে ছাগলের চামড়ার তৈরী এক ধরনের কাগজ যাকে “পুস্ত” বলে।
Dead Sea Scroll Jar
পরদিন সকালে সে তার গোত্রে খবর দিলে বেদুঈন সর্দার তার দলবল সহ ওই গুহায় হানা দেয় এবং প্রায় ৯০০ স্ক্রৌল উদ্ধার করে। যে ধরনের গুপ্তধন উদ্ধারের নেশায় তারা সেখানে হানা দিয়েছিল তা না পেয়ে তারা অনেকটা হতাশ হয়ে যায় তবে তারা জানত না তারা শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রত্নতাত্ত্বিক আবিস্কারটি করে ফেলছে। বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিধ উইলিয়াম এফ অলব্রাইট ১৯৪৮ সালে যখন স্ক্রোলগুলো দেখেন তখন এক বাক্যে বলে দেন এ গুলো আমাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ আবিস্কৃত পান্ডুলিপি।
এরপর গবেষক দল খিবরেটের কামরান এলাকায় আরো দশটি গুহা আবিস্কার করেন এবং আরো অনেক স্ক্রৌল খুজে পান। যার বিশাল একটা অংশ এখনো অনুদিত বা পাঠোদ্ধার হয়নি। এই স্ক্রৌল গুলো প্রাচীন এ্যারামিক এবং হিব্রু ভাষায় লিখিত। প্রাথমিক ভাবে একে হিব্রু বাইবেলের অংশ হিসাবে ধরে নেয়া হয়। হিব্রু বাইবেল বলেত ইহুদিদের পবিত্র গ্রন্থ “তানাখ” এর শিপারা এবং খ্রীষ্টান ওল্ড টেষ্টামেন্ট কে ধরা হয়।
প্রাথমিক গবেষনায়, এটা বেশ পরিস্কার ভাবে বোজা যায় যে, যীশুর উপদেশের সাথে এসেন্সদের মারাত্মক মিল লক্ষ্য করা যায়। এখানে জিজ্ঞাস্য চলে আসে এসেন্স কারা? কামরানে বসবাসরত এসেন্স সম্প্রদায় তাদের নিজেদের লেখাতে নিজেদের বিশেষ কোন নামে অভিহিত করেনি। তবে একেক সময় একেক নামে নিজেদের অভিহিত করছে, “পবিত্র সম্প্রদায়”, “ঈশ্বরের পছন্দের লোক”, “সত্যবাদী”, “আলোর পুত্র”। ইহুদীদের সাথে এসেন্সদের অনেক ক্ষেত্রে যেমন মিল ছিল তেমনি ছিল বিপুল ফারাক। তাই তাদের ইহুদীদের কোন গোত্র বা সম্প্রদায় হিসাবে তুলনা করা যায় কিনা সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
সেই উনিশ শতকে (যখন ডেড সী স্ক্রৌল আবিস্কৃত হয়নি) এসেন্সদের বিবরনের সাথে যারা পরিচিত ছিল তারা অনেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে যীশু এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ইহুদি ইতিহাসবিদ হেইনরিখ গেইটজ খ্রিষ্টান মতবাদকে এমনকি এভাবে বর্ননা করেন যে “বহিরাগত উপাচার সম্বলিত এসেনিজম।” প্রাচীনকালে ঐতিহাসিকদের করা পরোক্ষ সুত্রের বরাতের মাঝেও এসেন্সদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ইহুদী দার্শনিক, আলেকজান্দ্রিয়ার ফিলো তাদের "পবিত্রতার কুশীলব" বলেছেন, এবং জোসেফাস তার জিউইশ ওয়ারে (II:৮) পুরো একটা অধ্যায় ব্যয় করছেন। তাদের দুজনেরই অনুমান এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ছিল, “চমৎকার নীতিবান লোক যারা মাটির কাছে বাস করে।” বিশ শতকে বিখ্যাত ডেড সী স্ক্রৌল আবিস্কৃত হবার আগে মানুষ এসেন্স মতবাদের সম্পূর্ন তাৎপর্য্য উপলদ্ধি করতে পারেনি, যা যীশুর শিক্ষা বুজতে সাহায্য করে এবং যীশুর ওপর নতুনভাবে আলোকপাত করে।
জেরুজালেমে অবস্থিত Hall of Manuscripts of the museum of Israel এ প্রথম গুহায় প্রাপ্ত স্ক্রৌলের ভেতর সাতটা প্রদর্শনের জন্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় পান্ডুলিপিটা “ঈশাআ স্ক্রোল অভ সেন্ট মার্ক” নামে পরিচিত। দৈবজ্ঞ ঈশাআর পুরা বই চুয়ান্নটা সারিতে হিব্রুতে লিখিত (এটি আনুমানিক ১৫০ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দে পাওয়া গেছে, মানে যীশুর জন্মের ১৫০ বছর আগে) এবং প্রথম দিকের বাইবেলের ভাষ্যের সাথে অবাক করার মত সাদৃশ্য। দু’মিটার লম্বা একটি ধর্মীয় স্ক্রোল এতে রয়েছে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য নিয়ম, এই পার্চ টার নাম দেয়া হয়েছে এর প্রারাম্ভিক শব্দ “সেরেক হাজ্জাহাদ” বা সমাজের নিয়ম।
কৌমার্যব্রত গ্রহনকারী আশ্রমিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নিয়মের সাথে একটা জোড়া দেয়া দ্বিতীয় পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে। এই স্ক্রোলের শিরোনাম “সমগ্র সমাজের জন্য প্রযোজ্য আইন” এটা সমাজের অযাজকীয় সাধারনের জন্য প্রনীত আইন। যারা যিশুকে এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত দেখাতে চান তাদের জন্য এসেন্স সম্প্রদায়ের একটি নিয়ম যা পরোক্ষ যুক্তি হিসাবে কাজ করে। এসেন্স সম্প্রদায়ের দীক্ষিতদের বয়স ১১ হলেই তাদের কে পার্থিব নিয়ম শিখানোর জন্য নির্দিষ্ট স্থানে কয়েক বছর শিক্ষা দেয়া হত (ধর্ম নিয়ে যাদের ইন্টারেষ্ট আছে তারা হয়ত খেয়াল করতে পারবেন এই এগারো বছর বয়সেই যীশুকে মিশর থেকে জেরুযালেম নিয়ে আসা হয় এবং ত্রিশ বছর পর্যন্ত তার জীবনীর কোন রেকর্ড আমার জানা মতে নেই)
মৃত্যুর পরের জীবনকে সন্মান দেখাতে আয়োজিত ভোজসভার একটা বর্ননা এই স্ক্রোলের শেষে দেখা যায়। খেয়াল করে দেখুন যীশুর জীবনে লাষ্ট সাপারে বসা নিয়ে যীশুর শিষ্যদের ভেতর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল (লুক ২২:২৪-২৭)।
আরেকটা স্ক্রোল এটার দশা খুবই জীর্ন এতে বাইবেলের স্ততিগান এবং এসেন্সদের চল্লিশটা স্তুতিগান এক সাথে রয়েছে। যার সব গুলোই শুরু হয়েছে “আমি প্রভুর বন্দনা করি”। সেই অনুযায়ী এই স্ক্রোলটা “হোকহাজোট” বা ঈশ্বরের গুনকীর্তন নামে পরিচিত।
প্লিনি দ্য এলডার (২৩ – ৭৯ খ্রীষ্টাব্দ) তার হিষ্ট্রি অভ ন্যাচুরালিসে মৃত সাগরের পশ্চিম তীরে এন গেদীর উত্তরে সামান্য দূরে একটা আশ্রম দেখেছেন বলে উল্লেখ্য করেছেন। এসেন্স আশ্রম বলে তিনি একে উল্লেখ্য করেছেন। ".... নিঃসঙ্গ এক দল মানুষ পৃথিবীর সব থেকে স্মরনীয় দলের মধ্যে অন্যতম, নারী সঙ্গ একেবারে বিবর্জিত, যারা নিজেদের হীন প্রবৃত্তি পরিত্যাগ করেছে এবং পুরোপুরি নিজেদের সম্বলের ওপর নির্ভর করে খেজুর গাছে নীচে দিনাতিপাত করেছে ....."।
প্রথম যে গুহাতে স্ক্রোল পাওয়া গেছে তার এক কিলোমিটারের ও কম দূরত্বে কিছু ধ্বংসাবাশেষ রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই যা “খিরবেট কামরান” নামে পরিচিত। ১৯৫১ সালে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ শুরু হয় প্রাচীনকাল সম্পর্কিত জর্ডানের রাজকীয় দপ্তরের ল্যাঙ্কাষ্টার হার্ডিং এবং জেরুজালেমে অবস্থিত ধর্মতত্ত্ব বিষয়ক দোমিনিকান অনুষদের পরিচালক পেরে রোনাল্ডো ডি ভক্সের তত্ত্বাবধায়নে। কল্পনার অতীত প্রাপ্তি ঘটে এই খননে।
Aerial view of the Qumran ruins after excavations
পাঁচ বছর নিবিড় পরিশ্রমের পর গবেষকরা তুলে আনেন কামরানের আশ্রম, সম্ভবতঃ যেখানে বসে এই স্ক্রোলগুলো লেখা হয়েছিল। কেন্দ্রে চতুস্কোনাকৃতি একটি ভবনের সাথে লাগোয়া ছোট কয়েকটি ভবন, বিশালাকৃতির খাবার ঘর, দীক্ষার গোসলখানা, ১৩ টি কুয়া সহ এক জটিল পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা যা পুরা এলাকায় পানি সরবরাহ করত। একটি সমাধিক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়েছে যেখানে প্রায় হাজার খানেক পুরুষের সমাধি পাওয়া গেছে। আজ আমরা জানি যে খ্রিষ্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দী থেকে এখানে লোক জন বাস করত।
ডেড সী স্ক্রোলের পাশাপাশি “কপার স্ক্রোল” পাওয়া গেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা করা হয়েছে এই জন্য যে এটা যেন সাধারন স্ক্রোলের থেকে বেশী টেকে। ১৯৫২ সালে এক জর্ডানী পুরাতত্ত্ববিদ এগুলো উদ্ধার করেন। গবেষনায় দেখা যায় এগুলো কোন লিপী না এগুলো এক ধরনের মানচিত্র। জর্ডান সরকার কড়া নিরাপত্তায় এই কপার স্ক্রোল ম্যানচেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন এ্যালেগ্রোর নিকট পাঠান। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে এ্যালেগ্রোর গবেষনার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
The copper scroll was cut into strips and then pieced back together. Image: Stan Deyo
সেখানে দেখা যায় মোট ৬৩ স্থানের বিবরন আছে যেখানে নাকি গুপ্তধন আছে, কিন্তু সে গুপ্তধন উদ্ধার করা এত সহজ না কারন এই কপার স্ক্রোলে যে ম্যাপ আর বর্ননা আছে তা সেই সময়ের নিরিখে স্থানীয় গুহাবাসিদের জন্য লিখিত যারা ওই অঞ্চলকে নিজের হাতের তালুর মত চিনত। স্ক্রোলের ভাষ্যমতে সেগুলো সোনা আর রুপা বোঝাই করা কুঠুরি, যার সর্বমোট পরিমাণ কয়েক টনের কাছাকাছিও যেতে পারে। স্ক্রোলটি যেন বছরের পর বছর টিকে থাকে সেজন্য এটা তামার পাতের উপর লেখা হয় বলে জানান অ্যালেগ্রো।
স্ক্রোলের নির্দেশনায় স্পষ্টাকারে স্থানগুলোর বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কপার স্ক্রোল থেকে হুবহু অনুবাদ করা আলোচিত একটি লাইন তুলে ধরলাম, “যেখানে লবণের স্তূপ, সেখান থেকে প্রথম সিঁড়ির নিচে চার হাত গভীরে ৪১ টালি রূপা”। তবে অধিকাংশ ইতিহাসবিদের মতে, দুই হাজার বছর আগেই রোমানরা হয়তো সকল গুপ্তধন লুট করে ফেলেছেন। এর পক্ষে প্রমাণও দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই প্রমাণ কি আর অনুসন্ধান থামাতে পারে! এখনো সবধরনের সূত্র নিয়ে পরীক্ষা করে যাচ্ছেন পুরাতত্ত্ববিদরা।
প্রথম দিকে এগুলো ধর্মীয় স্ক্রোল মনে করা হলেও পরবর্তীতে কপার স্ক্রোল আবিস্কৃত হলে ধর্মের সাথে লোভ ও জেগে ওঠে। ১৯৬৭ সালে আরব ইস্রাইল যুদ্ধে , ইস্রাইল প্রায় ১৫০০ স্ক্রোল জর্ডান থেকে দখল করে নিয়ে যায় এবং তেল আভিবের রকফেলার জাদুগরে কঠোর নিরাপত্তায় গবেষনা শুরু করে। এবং এর প্রায় চল্লিশ বছর পর এর অনুবাদ প্রকাশ করে। এদিকে জর্ডান ও স্ক্রোলের দাবী ছাড়ছে না। বর্তমানে জর্ডানের দখলে রয়েছে কপার স্ক্রোলসহ মাত্র ২৫টি স্ক্রোল! এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফিলিস্তিন, কানাডা এবং সিরিয়ার বিভিন্ন গবেষণাগার এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট বেশ কয়েকটি স্ক্রোল হস্তগত আছে।
ইসরাইলী গোপনীয়তায় এখনো স্ক্রোলের অনেক কিছুই উন্মোচিত হয়নি। ধর্মীয় ব্যাপারের সাথে যখন গুপ্তধন জড়িয়ে যায় তখন তা যে গোপনীয়তার আড়ালে ঢাকা থাকবে এ তো স্বাভাবিক। গুপ্তধনের হয়ত আর্থিক মূল্য দিয়ে বিচার করা যাবে কিন্তু ডেড সী স্ক্রোলের ধর্মীয় মূল্য আসলে ঠিক মূল্য না একটা ধর্মের প্রতিষ্ঠার সাথে অনেক বিশ্বাস সহ আরো কিছু জড়িত।
আধুনিক যে নিউ টেষ্টামেন্ট দেখেন সেখানে মথি, মার্ক, লুক এবং যোহানের গসপেল নিয়ে লিপিবদ্ধ। আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ টেষ্টামেন্ট লিপিবদ্ধ হবার আগে বিভিন্ন গোত্র আর সম্প্রদায়ের ভেতর বিভিন্ন গসপেল প্রচলিত ছিল, যা সেসময়ে খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত অনেক গসপেল তাদের ভেতর অন্তর্ঘাতী বিবেদ সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় শতকের শেষ নাগাদ ইরেনিয়াস চারটি গসপেল রেখে বাকী গুলোকে সন্দেহজনক আখ্যা দিয়ে ধ্বংস করে দেন। তারপরো কিছু গসপেল ছড়িয়ে ছিটেয়ে টিকে গেছে। যেগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দেয়। এখানে উল্লেখ্য যোগ্য, সাম্প্রতিক গবেষনায় প্রমানিত যে মার্ক ৭০ খ্রিষ্টব্দের কিছু আগের, মথি ৭০ খ্রিষ্টাব্দের কিছু পরের, লুক ৭৫ থেকে ৮০ খ্রিষ্টাব্দের মাঝে (অনেকে ১০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ের কথা বলেন) আর যোহানের গসপেল দ্বিতীয় শতকের প্রথম দশকের আগে লেখা হয়নি এটা বলা চলে।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে ডেড সী স্ক্রোল যীশুর জন্মের আগে থেকে সমসাময়িক, আবার যেখানে এই স্ক্রোল পাওয়া গেছে মানে কামরানের গুহায় সেখানে যারা বাস করত তাদের এসেন্স নামে অভিহিত করা হয়, অনেক স্কলারই অনুমান করেন যীশু এই এসেন্স সম্প্রদায়ভুক্ত অথবা কোন এক কালে এদের সংস্পর্শে এসেছিল, সেই দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে ডেড সী স্ক্রোলের পাঠোদ্ধারে অনেক অজানা তথ্য যে আমাদের সামনে আসবে তা বলা বাহুল্য।
অনেক স্ক্রল থেকে অনুবাদ করা হয়েছে। এই স্ক্রোলগুলির মধ্যে রয়েছে এমন কিছু তথ্য, সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন দ্বারা প্রমান করা হয়েছে, এই তত্ত্বটি সমর্থন করে যে ওল্ড টেস্টামেন্ট একটি নিছক পৌরাণিক কাহিনী বা রূপক নয় বরং ঐতিহাসিক বাস্তবতাটি বর্ণনা করে। উদাহরণস্বরূপ, যিশাইয় অশূরীয় প্রাসাদের কথা বলেছিলেন, যা কেবলমাত্র ১৮৪০ আবিষ্কার হয়েছিল যিশাইয় বইয়ের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক নির্ভুলতাটিও এই সত্যটি নিশ্চিত করেছে যে, আসিরিয়ানের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে।
এর মানে কি যে ওল্ড টেস্টামেন্ট বাকি ইতিহাসের একটি রেকর্ড? মানব সৃষ্টির গল্প, ইডেন গার্ডেন, বিশ্বের বন্যা, নেফিলিম এবং আর্ক অভ কভেন্যান্ট কি সত্যও হতে পারে?
আসলে ডেড সী স্ক্রোল, এসেন্স, ওল্ড টেষ্টামেন্ট এগুলো নিয়ে লিখতে গিয়ে বিভিন্ন বই পত্র নেট ঘাটাঘাটি করে প্রথমে ভেবেছিলাম লিখব না কারন এক সাথে আটানো যাচ্ছিল না। এরপর এক লাইন দু লাইন লেখতে লিখতে কিছু একটা অস্পষ্ট দাড় হয়েছে। বর্তমানের স্পেস যুগে দু হাজার বছর আগে কি ঘটেছিল তা নিয়ে কেউ খুব একটা মাথা ঘামায় না। কিন্তু এটাও সত্যযে নিজের শিকড় তো নিজেকেই খুজতে হবে তাই বিভিন্নভাবে নিজের অতীত খুজে ফিরি।
===================================
একটা সত্য ঘটনা
----------------------
যে লোকটি ঈশ্বর কে ফাসি দিয়েছিল
১৭ ই জানুয়ারী ১৯১৮ সালে মস্কোতে বিপ্লব তখন তুঙ্গে, তখন আনাতোলি লুনাচারিস্কি এমন একটা বিচার কার্য পরিচালনা করেন যা ঈশ্বরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করায়। অভিযুক্তের জায়গায় নির্ধারিত স্থানে একটা বাইবেল রাখা হয়।
মামলা পরিচালনাকারী অভিযুক্তের ভাষ্য অনুযায়ী, স্মরনাতীত কাল থেকে ঈশ্বর মানবতার বিরুদ্ধে অগনিত অপরাধ সংগঠিত করেছেন। ঈশ্বরের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী উকিলের দাবী, ঈশ্বর বিচারের সন্মুখীন হবার যোগ্য নন। কিন্তু বিচারালয় সব সওয়াল জবাব শোনার পর ঈশ্বরকে অভিযুক্ত করেন এবং তাকে ফাসির আদেশ দেন।
১৭ ই জানুয়ারী ১৯১৮ সালে সকালবেলা আকাশের দিকে মেশিনগান তাক করে পাচ রাউন্ড গুলি করে ঈশ্বরের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।।
সুত্রঃWho Were the Essenes? Facts and Meaning from the Bible
25 Fascinating facts about dead sea scrolls
ডেড সী স্ক্রোলগুলো সম্বন্ধে আসল সত্যটা কী?
মৃত সাগরে আরো গুহা আবিষ্কৃত হয়েছে
Copies Of Dead Sea Scrolls To Go Public -- Release Would End Scholars' Dispute
The Lost Treasure of the Dead Sea Copper Scroll
Jesus Lived in India
The Dead Sea Scrolls: History & Overview
আরো অনেক বই এবং নেট জার্নাল
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২
শের শায়রী বলেছেন: ২০০০/ ২১০০ বছর আগের লিখিত নিয়ম কানুন তো অবশ্যই এখনকার যুগে অচল।
সিরিয়ান বিশপ মার স্যামুয়েল তার ক্রয়কৃত চারটি স্ক্রোল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এই বিজ্ঞপ্তি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রধান ইয়েগাল ইদিনের নজরে আসে। তার পিতা এল সুকেনিক ছিলেন হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক। তিনি ২৫০,০০০ ডলারের বিনিময়ে সেগুলো কিনে নেন। এর পরেই ইসরাইল এবং জর্ডান পৃথক পৃথকভাবে এই স্ক্রোল নিয়ে গবেষণায় নেমে পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৮
ইসিয়াক বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ লাগলো।
সুপ্রভাত
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: সুপ্রভাত। শুকরিয়া।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২০
ইমরান আশফাক বলেছেন: কনফুসিয়াসের একটা উক্তি,"কোন সভায় তুমি চুপ করে বসে থাকলে লোকে তুমি নির্বোধ কিনা এব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দে থাকতে পারে, কিন্তু মূখ খুলে সকল সন্দেহের অবসান ঘটানোর চেয়ে সেটাই বরং উত্তম।" ইদানীং চাঁদগাজী সাহেবের মন্তব্যগুলি পড়লে আমার তাই মনে হয়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: বুজলাম না ভাই, কি বুজাতে চেয়েছেন আপনার মন্তব্য দিয়ে।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী লেখা! অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা। খুব কাছে থেকে দেখেছি, তুমি প্রচুর বই পড়ো, যার প্রতিফলন তোমার প্রতিটি লেখায়। বরাবরের মতোই ভালো লেগেছে। +
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০২
শের শায়রী বলেছেন: খুব কাছে। আসলে ই খুব কাছে। দুই মাস কাছাকাছি থাকা। যাই হোক লেখা ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা।
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১২
রাজীব নুর বলেছেন: অলরেডি মারা গেছে মধ্যপ্রাচ্যের ডেড সি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: সেতো অনেক আগেই মারা গেছে ভাই।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মন দিয়ে পড়লাম। আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় থাকি। ভালো লাগলো। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ++
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৭
শের শায়রী বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আমি বিবরন ইচ্ছাকৃত ভাবে ছোট করে ফেলায় লেখাটা কিছু জায়গায় বুজতে অসুবিধা হতে পারে। আবার যদি বিস্তারিত বিবরনে যাই সেক্ষেত্রে লেখা হয়ে যাবে অসংখ্য পর্ব। এটাকে আমার ব্যার্থতা ধরে নেবেন, আমি আসলে চেয়েছি ব্যাপারটা নিয়ে কারো কারো মনে ঔৎসুক জাগাতে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি অনেক কিছু লিখেছেন কিন্তু ঠিক এভাবেই মিশরে পাওয়া নাগ হাম্মাদীর স্ক্রলের কথা বললেন না কেন? সেন্ট থমাস এটা লিখেছিলেন। নাগ হাম্মাদীর স্ক্রলও কিন্তু অনেক সত্য প্রকাশ করে দিয়েছে।
লেখা ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২০
শের শায়রী বলেছেন: ভাই নাগ হাম্মাদীর ব্যাপারে কিছুটা জানি এখনো বিশদ পড়াশুনা করা হয়ে ওঠে নি যে পোষ্ট দিতে পারব। দেখি আরো পড়াশুনা করে কিছু লিখতে পারি কিনা। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা স্মরনে দেবার জন্য।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
নতুন বলেছেন: আগেকার সমাজে কিছু মানুষ ইতিহাস,ধম`,দশ`ন,সাহিত্য নিয়ে গবেষনা করতো। এখন বেশির ভাগ মানুষই এটা থেকে সরে যাচ্ছে।
আরেকটা জিনিস ঘটছে তা হলো ডিজিটালাইসেন, যদি ছাপার বই বন্ধ হয়ে সব কিছুই যদি ডিজিটাল ভাবে সংরক্ষন শুরু হয় তবে বড় প্রাকৃতিক বিপ`যয় বা পারমানবিক যুদ্ধের পরে অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে আমাদের সভ্যতার।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা পারমানবিক যুদ্ধে তথ্যর কিছু ক্ষতি হবে কিন্তু হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। কোথাও না কোথাও রয়ে যাবে। দেখুন সে আমলে আজকের মত তথ্য প্রযুক্তি থাকত তবে আলেকজান্দ্রিয়া বা বাগদাদে মোঙ্গল আক্রমনে জ্ঞানে বিজ্ঞানে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কিন্তু ঘটত না। কোথাও না কোথাও কিন্তু থেকে যাচ্ছে, আমার কাছে যেটা সমস্যা মনে হয়েছে সেটা হল মানুষ এখন প্রায়োজনের থেকে বেশী এক টা শব্দও জানতে যায় না এই ডিজিটালাইজেশান হবার কারনে।
ধরুন কোণ কারনে আজকে আপনার ডেড সী স্ক্রোল নিয়ে জানতে ইচ্ছা হচ্ছে, আপনি কি করবেন জাষ্ট ডেড সী স্ক্রোল লিখে সার্চ দিলেই আপনার কাঙ্খিত ব্যাপারটা মানে শুধু স্ক্রোলটা নিয়ে যা জানার জেনে নিতে পারবেন, কিন্তু আজ যদি এই ডিজিটালাইজেশান না হত তবে এই ডেড সী স্ক্রোল নিয়ে জানতে হলে আপনাকে কিছু বইপত্র পড়তে হত, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার কাংখিত ব্যাপারটার পাশাপাশি আরো কিছু ব্যাপার জানতেন, নিজের জানার পরিধি বাড়ত।
আজ থেকে পাচ বছর আগে যে জেনারেশানটা বিভিন্ন ব্লগে দাপিয়ে বেড়াত বা লিখত তারা কিন্তু তখনো বইর সাথে (আমি পড়ার বই বুজাচ্ছি না) সম্পর্কিত ছিল। আজকে দেখুন সবাই এত বেশী সোস্যাল মিডিয়া আর এত বেশী আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে যে বই পড়া অথবা নেটেও শখ করে কিছু জানতে চায়না। আর গবেষনা এখনো যা হচ্ছে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট গন্ডির বাইরে যাচ্ছে না কারন এনিয়ে উৎসাহের অভাব। আর সবাই এত বেশী ক্যারিয়ারিষ্টিক হয়ে যাচ্ছে সেই লিটল ম্যাগাজিন বা সাহিত্য দর্শন নিয়ে সময় ব্যায় করার কোন ইচ্ছাই আর নেই।
মানুষের ভাবনা গুলো এখন যন্ত্রে করে দিচ্ছে এক দিক দিয়ে যান্ত্রিক সক্ষমতা যত বাড়ছে আমরা তত ক্রিয়েটিভিটি হারিয়ে ফেলছি। এখন কিন্তু আর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত বা জয়নুলরা আসে না। যারা আসছে তারা আসছে খুব সাধারনভাবে ক্রিয়েটিভিটি ছাড়া। আর একটা পিকাসো হয়ত আর আসবেই না কারন যন্ত্রে এখন প্রোগ্রামিং করা আছে যা অনেক সাধারন মানুষকেও অসাধারন ছবি তৈরী করে দিচ্ছে। নিজস্বতা বলতে কিছুই নাই।।
অনেক ধন্যবাদ আপনার পড়ার জন্য।।
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। বিশদ পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাংকস সেলিম।
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সেতো অনেক আগেই মারা গেছে ভাই।
আপনি দূর্দান্ত সব বিষয় নিয়ে লিখেন। ভালো লাগে। অনেক কিছু জানতে পারি ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই। আমার ব্লগিং শুরুর কাল থেকে আপনার সমর্থন এবং উৎসাহ পেয়ে আসছি, এটা অনেক বড় পাওয়া।।
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: @শের শায়রী,
যে লোকটি ঈশ্বর কে ফাসি দিয়েছিল..... বিষয় আরও কিছু জানা থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ করছি। আনাতোলি লুনাচারিস্কি সম্পর্কে যৎসামান্য জেনেছি তাতে ইশ্বরকে ফাঁসি দেওয়া বিষয় কোনো কিছু জানতে পারিনি।
শুভ কামনা।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০
শের শায়রী বলেছেন: জুল ভার্ন ভাই
ইদানিং হাতে Children of the Days: A Calendar of Human History এই বইটা পেয়েছি এখানে এর উল্লেখ্য আছে। লেনিন কে নিয়ে বলার কিছু নেই।
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা যা জানার দাবী করি এসব ঘটনা আমাদের দাবীর অসারতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়!
আসলেই আমরা কত কমজানি!
সভ্যতার পরতে পরতে এমন কত রহস্য লুকানো কে জানে!
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে -কোন দৈব বলে যদি সহজেই পাঠ করে যেতে পারতাম
কত সত্য কত রহস্যের পর্দা অবগুন্ঠন থেকে উন্মোচিত হতো!
দারুন লাগল ++++
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬
শের শায়রী বলেছেন: ইদানিং ধর্ম গুলো নিয়ে লাগছি। জানেন পৃথিবীর সব থেকে রহস্যময় ব্যাপার গুলো ধর্মের সাথে জড়িত। যতই জানছি অবাক হচ্ছি। পেয়াজের খোসার মত একটা খুললে পরেরটা আরো বড় রহস্য হয়ে আসে। দালাইলামা যেভাবে নির্বাচিত হয় পড়ে আমি হা হয়ে গেছি, এ কিভাবে সম্ভব। বাট এভাবেই যুগে যুগে দালাইলামা নির্বাচিত হয়ে আসছে, সময় সুযোগ মত এনিয়ে পোষ্ট দেব।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।।
১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার তথ্য !
ভালোলাগা ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩০
শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন আপা।
১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০
আসোয়াদ লোদি বলেছেন: প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য-পুরাকীর্তিতে আমার আগ্রহ প্রবল। আপনার লেখাটা আমার বেশ কাজে আসল।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।
১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
আল ইফরান বলেছেন: আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, কিন্তু ইতিহাসের বিষয়ে উৎসাহী (তবে আপনার লেভেলের না)। ডেড সী স্ক্রোল নিয়ে যে এত ব্যাপক-বিস্তৃত বিষয় তা বোধগম্যতায় এসেছে কেবল ইসরায়েলের একার । কে জানে কোন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে হাজার বছরের এই দলিলগুলো। হয়তো বর্তমানের কোন সামাজিক অথবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠালব্ধ তত্ত্বকেও এলোমেলো করে দিতে পারে এই স্ক্রোলগুলো।
ইহুদিদের আমি এপ্রেশিয়েট করি তাদের ইতিহাসের প্রতি একনিষ্ঠতার জন্য।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১
শের শায়রী বলেছেন: এটা নিশ্চিত ভ্যাটিক্যান আর্কাইভে (যার অনেকাংশই সাধারনের জন্য নিষিদ্ধ এবং অপ্রকাশিত) বা পুরানো এই সব দলিল দস্তাবেজে এমন কিছু আছে যা প্রকাশ পেলে অনেক ধর্মের ভীত বা বিশ্বাস যেমন পালটে যাবে তেমনি যাবে সামাজিক অনেক কিছু। আর ইহুদীরা শুধু ইতিহাস না তারা তাদের ধর্ম এবং জাতির প্রতি যেভাবে দায়িত্ব পালন করে একই জিনিস অন্য কেউ করলে সেটা হয়ে যাবে সাম্প্রদায়িকতা। তাদের এই যে বন্ডিংটা সেটাই তাদের আজকের বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়ানোর মুল মন্ত্র।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পাঠে।
১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ডেড সি স্ক্রলে এখনকার বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত বইগুলোর মধ্যে শুধু আইজেয়াহ(Isaiah)-ই মুটামূটি পুরোটা মানে এর ৬৬ অধ্যায়ের সবটাই পাওয়ায় গিয়েছে কিছু ডিস্টরসনসহ । ডেড সি স্ক্রলের আইজেয়াহ -র অধ্যাগুলোর সাথে এখনকার বাইবেলের অধ্যায়গুলো ধারাবাহিকতাও একই রকম । কিন্তু এই ডেড সি স্ক্রলের বর্ণনার সাথে এখনকার বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত আইজেয়াহ-র কিছু কিছু বিষয়ের বর্ণনায় শব্দ এমনকি অনেক জায়গার বাক্যের ভিন্নতাও আছে । কিছু কিছু জায়গায় এগুলোর বর্ণনা তাৎপর্যপূর্ণ রকমের ভিন্ন অর্থের দিক থেকে । এই দিকটা আপনার লেখায় আরো একটু বিস্তারিত থাকলে ভালো হতো । ডেড সি স্ক্রলের এই দিকটাই আমার কাছে সবচে বেশি ইম্পরট্যান্ট বলে মনে হয় । ডেড সি স্ক্রলের বর্ণনাই জুডাই ক্রিশ্চিয়ানিজমের খুবই গুরুত্বপূর্ণ টেন কমেন্ডমেন্টের সবচেয়ে পুরোনো আর সম্পূর্ণ বর্ণনা । ডেড সি স্ক্রল নিয়ে যারা জানতে আগ্রহী তাদের জন্য খুবই তথ্যপূর্ণ একটা লেখা এটা । লেখা ভালো লেগেছে ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
শের শায়রী বলেছেন: অনেক সময় মন্তব্য লেখাটার পূর্নতা দেয়। যেমন আপনার মন্তব্য আমার লেখাটাকে পূর্নতা দিয়েছে। এ একান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত অজ্ঞতা যে, এত ভাইটাল ব্যাপার আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।
আমার কৃতজ্ঞতা জানুন সহায়তার জন্য।
১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৮
সোহানী বলেছেন: অসাধারন। আপনার লিখা মানেই নতুন কিছু জানা।
একটা বিষয়ই দু:খ, দেশে দেশে মারামারি করে এ অমূল্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। তারচেয়ে একটা গ্লোবাল টাস্কফোর্স করা উচিত। যাতে এর মালিকানা কোন দেশ নয়, টাস্কফোর্স গবেষকই হবে এর মালিক। তারপর সবাই মিলে গবেষনা করবে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা বোন।
তবে মনে হয়না গ্লোবাল টাক্সফোর্স হবে কারন ম্যাক্সিমাম স্ক্রোল ইজরাইলের কাছে আর ইজরাইলের কাছে থাকা মানে তাতে কাউকে ভাগ না দেয়া।
১৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: সেদিন বলতে ভুলে গিয়েছলাম। ডেড সী স্ক্রলে বারনাবিয়াসের (বার নাবীয়া) এর গস্পেল পাওয়া যায় যেটা খ্রিস্ট ধর্মের মূল ভিত্তিই কাপিয়ে দেয়। এটা আপ্নি মিস করে গেছেন।
যাই হোক, আমিও এই বিষয়ে একটা লেখার মাল মসল্লা যোগার করছি। খুব শিঘ্রি হয়তো পোস্ট দেব! ধন্যবাদ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: এক দম ঠিক বলেছেন ভাই, অনেক কিছুই বাদ পড়েছে। অনেক অসম্পূর্নতা থেকে গেছে। অধীর আগ্রহে আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় থাকলাম। এটাই ব্লগের সৌন্দর্য্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়ম হিসেবে এসব স্ক্রোলের লেখা এখন মৃত, ফিনিতো; পুরানো দিনের স্ক্রিপট হিসেবে এই লেখাগুলো সংগ্রহকারীরা কয়েক মিলিয়ন দিয়ে কিনবে।