নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিং সলোমন টেম্পল

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৬


Plan of Solomon's Temple with measurements

হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী রাজা ডেভিড (মুসলমানদের কাছে যিনি হযরত দাউদ (অঃ) নামে পরিচিত) ছিলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি অনুসারীদের জন্য অস্থায়ী উপাসনালয় বদলে স্থায়ী উপাসনার চিন্তা করছিলেন, যার কারনে তিনি মোরিয়াহ পাহাড় কিনে নেন, পূর্বে যার নাম ছিল মাউন্ট জিয়ন। যদিও রাজা ডেভিডের মন্দির নির্মানের নকশা এবং প্রয়োজনীয় উপকরন ছিল কিন্তু ঐশী অনুমতি ছিল না উপাসনালয় নির্মানের। সে দায়িত্ব ছিল রাজা তার পুত্র রাজা সলোমন (মুসলমানদের কাছে যিনি হযরত সুলাইমান (অঃ) নামে পরিচিত) ওপর।


Models and maps. Model of Solomon's Temple and environs, (by Dr. Schick)

কিং সলোমনের রাজত্বের চতুর্থ বছর ১০১২ খ্রীষ্টপূর্বে তিনি এই এই উপাসনালয়ের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন, টয়ারের রাজা হিরামের সাহায্যে সাত বছর পর ১০০৪ খ্রীষ্টপূর্বে তিনি এই কাজ শেষ করেন। হিব্রু সময় অনুযায়ী এটা ৩০০০ বিশ্ব অব্দ। সলোমনের অনুরোধে টায়ারের রাজা হিরাম শুধু কাঠের গুড়িই না তার অঞ্চলের প্রধান স্থপতি এবং নকশাবিদ হিরাম আবিফ কে পাঠান। টায়ার ছিল আধুনা ফিনিশীয় অঞ্চলের অন্তর্গত।

উক্ত উপাসনালয় তৈরী করতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক প্রয়োজন হওয়ায় রাজা সলোমন শ্রমিকদের মধ্য থেকেই যারা সৎ, দক্ষ, ধার্মিক তাদের তদারকির কাজ দেন। উপাসনালয় তৈরী হবার পর এর সব থেকে পবিত্র স্থানে আর্ক অভ দ্য কভেন্যান্ট স্থাপন করেন কিং সলোমন। ইহুদীদের এই উপাসনালয় কে বলা হত যিহোভার (ঈশ্বর) ঘর। বলা হত এটাই সর্ব শক্তিমানের আবাস। প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এক স্থাপত্য ছিল এই উপাসনালয়। এর চারপাশে ছিল প্রশস্ত আঙ্গিনা। যার পরিধি ছিল আধা মাইলের বেশী। একে ঘিরে রেখেছিল এই সুউচ্চ দেয়াল যার সর্বনিম স্থানও ৪৫০ ফিটের মত উচু।

এর দৈর্ঘ্য ছিল ৯০ ফিট এবং বারান্দা সহ একশ পাচ ফিট। প্রশস্ত ৩০ ফিট। এর বাইরের প্রাঙ্গন অসংখ্য ছোট বড় বারান্দা, ভেতরে বাইরের কারুকাজ এক দিয়েছিল এক অনন্য মাত্রা যার কারনে শেবার রানী এটিকে দেখে বলছিলেন নিশ্চয়ই এটি কোন সুদক্ষ কারিগরির হাতে তৈরী।


The First Temple: Crowning Achievement of King Solomon and Home of the Legendary Ark of the Covenant

ইসরাইলের বারোটি গোত্রই এই নির্মান কাজে অংশ নিয়েছিল। এটি নির্মানে বর্তমানের হিসাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল। এবং সাত বছর ধরে প্রায় ১৮৪৬০০ মানুষ নিয়োজিত ছিল। কাজ শেষ হবার পর সাত দিন উপবাস করে সলোমন এখানে প্রথমবারের মত উপাসনা করেন। এই সময় বিশ হাজার ষাড়, এক লাখ বিশ হাজার ভেড়া উৎসর্গ করা হয়। যা গ্রহন করতে আকাশ থেকে নেমে আসে স্বর্গীয় আগুন।

খ্রীষ্ট পূর্ব ৫৮৭ সালে ব্যাবেলনীয়ার রাজা নেবুচাদনেজার এই মন্দির ধ্বংস করে দেয়, এবং হারিয়ে যায় আর্ক অভ কভেন্যান্ট। মুল প্রাঙ্গন থেকে বারো ধাপ ওপরে উঠলে ছিল মুল মন্দির। যেটি তিনটি ধাপে বিভক্ত বারান্দা, আশ্রম এবং সব থেকে পবিত্র স্থান “ Holy of the holies” যেখানে এই আর্ক অভ কভেন্যান্ট রাখা হয়েছিল। সে সময় কাসা ছিল সব থেকে মূল্যবান ধাতু। মুল মন্দিরে ঢোকার দরজা ছিল সম্পূর্ন কাসার এর ঠিক নীচেই বারান্দার ঠিক বাইরেই ছিল ২৭ ফিট উচু কাসা নির্মিত দুটো খুটি এদুটোর নাম ছিল “জাকিন” এবং “বোয়াজ”। ধারনা করা এই খুটি দুটো নির্মানের সময় সলোমন আগুন আর মেঘের সেই খুটির কথা মনে রেখেছিলেন যেটি দেশত্যাগের সময় বুনো অঞ্চল পার হবার সময় ইজ্রাইলীদের সামনে থাকত।


Solomon and the plan for the First Temple , illustration from a Bible card published by the Providence Lithograph Co

বারান্দা থেকে একটি সরু পথের মাঝ দিয়ে আশ্রমে প্রবেশ করা যেত। এখানে দরজার পরিবর্তে থাকত নানা রঙয়ের একটি পর্দা, যেটি মুলতঃ মহাবিশ্বের প্রতীক হিসাবে কাজ করত। সব থেকে পবিত্র স্থান ছিল একদম আশ্রমের কেন্দ্রে যা একটা জলপাই কাঠে প্রস্তত দরজা দ্বারা আলাদা করা হয়েছে। এই পবিত্র স্থানে কেবল মাত্র প্রধান পুরোহিত ঢুকতে পারত তাও বছরের একটা নির্দিষ্ট দিনে যাকে তারা বলতঃ “প্রায়শ্চিত্ত স্বীকারের দিন”।

জোসেফাস বলছেন, “কেউ যদি প্রাচীরের ওপর থেকে নীচের দিকে তাকাত তবে তার মাথা ঘুরে উঠত, কারন এর নীচ পর্যন্ত দৃষ্টি চলত না।” এটিকে অবশ্য বাড়িয়ে বলা বলে মনে করা হত যতদিন না আধুনিক পর্যবেক্ষক দলের মাধ্যমে কথাটির সত্যতা প্রমানিত না হত। মোরিয়ার ঢাল বেয়ে গড়ে উঠেছে বিশালাকার সব বিল্ডিং তাদের চাপে উপাত্যাকা প্রায় সমান হয়ে গিয়েছিল। সলোমনের মন্দির বলে যে জায়গাটিকে সনাক্ত করা হয়েছে বাস্তবে দেখা গেল তার সত্তর থেকে নব্বই ফিটে এর অবস্থান।


In the middle of ancient Jerusalem stands the famous temple of Solomon. Library of Congress's Prints and Photographs division

কোদাল আর শাবল নিয়ে লেগে গেল ব্রিটিশ অভিযাত্রী দল সঠিক ভিত্তির সন্ধানে। বিশাল খুটিগুলো সামনে পড়লে এড়িয়ে যাওয়া হত অথবা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরনের মাধ্যমে পথ করে নেয়া হত। দগ্ধ জেরুজালেমের ছাই আর মাটির নীচ থেকে বের হতে থাকল ইহুদী অহংকারের সব প্রতীক। এখান থেকে উদ্ধার করা হয় প্রাচীন হিব্রু ভাষায় লেখা “হাজ্জাই” এর সীলমোহর। ফিনিশীয় স্থাপতিদের প্রথম স্থাপন করা পাথরের ভিত্তিতে পৌছে যায় অভিযাত্রীরা যার নীচেই ছিল প্রাকৃতিক পাথরের ভিত্তি।


Gigantic footprints belonging to the resident deity were carved at the temple’s entrance. Photo: A.M. Appa.

পুরা মোরিয়া পাহাড় পর্বতে রয়েছে অসংখ্য গুহা। এর একটি গুহার নাম “গ্রেট সী” যেখানে প্রায় দশ মিলিয়ন গ্যালন পানি ধরত। ওফেলের দেয়াল পাওয়া গেছে যেটি পাওয়ার সময়ই ছিল সত্তর ফিট উচু, এছাড়া অন্যান্য বাড়ী ঘর পাওয়া গেছে যেগুলো জুডাহদের রাজাদের সময় তৈরী। বর্তমানে সলোমনের মন্দিরের জায়গায় আছে দুটো তুর্কি নির্মিত মসজিদ। ৯৭৫ খ্রীষ্টপূর্বে রাজা সলোমন মারা যায়। তার সময় তার রাজ্য এতই সম্পদশালী হয়ে উঠছিলো যে রূপা হয়েগিল মূল্যহীন।

আজকে কিং সলোমন টেম্পলের এতটুকু বর্ননাই দেব ভালো লাগলে এর সাথে সম্পর্কীয় অন্যান্য বিষয় বস্ত আনব।

কেন জানি আজকে বাংলা ব্লগের মুকুটহীন সম্রাট প্রায়াত ইমন যুবায়ের ভাইকে মনে পড়ছে লেখাটা তাকে উৎসর্গ করে। এই ধরনের লেখা উনি খুব পছন্দ করতেন।।

কেউ চাইলে এই রিলেটেড কিং সলোমন ও শেবার রানী বিলকিস লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। অনেক আগে লিখছিলাম।।

হযরত সোলায়মান (অঃ) মুসলমানদেরও নবী ছিলেন, পবিত্র কোরানের আলোকে হযরত সোলায়মান (অঃ) এর জীবনীঃ লেখাটা পড়লে ইসলামের দৃষ্টিতে তাকে বুজতে পারবেন।


সূত্রঃ Solomon's Temple

The First Temple: Crowning Achievement of King Solomon and Home of the Legendary Ark of the Covenant

Searching for the Temple of King Solomon

The origin of freemasonry and Knights templar

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২

সূচরিতা সেন বলেছেন: ভালো লাগল বর্নণা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২১

আরোগ্য বলেছেন: তৃতীয় পর্বটা এখনও শেষ করতে পারিনি। ওটা শীঘ্রই শেষ করে এখানে আসবো। আপাতত প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। আমার এমন লেখা পড়তে বেশ ভালো লাগে।
প্রয়াত ব্লগার ইমন জুবায়ের স্যারের জন্য শ্রদ্ধা। আমারও উনার লেখা খুব ভালো লাগে। আফসোস আমরা নবীনরা উনার সান্নিধ্য পাইনি। তবে আপনারা কয়েকজন আবারও সক্রিয় হওয়াতে বেশ আনন্দিত হলাম।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৮

শের শায়রী বলেছেন: তৃতীয় পর্ব কি এখনো পড় হয় নি? ইমন ভাইর লেখার মাঝে ইমন ভাইকে খুজে পাবেন। ভালো থাকুন।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৩

সোহানী বলেছেন: শের ভাই, আপনি যে কি দড়জা দেখালেন এখন আমার নাওয়া খাওয়া শেষ.....

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৯

শের শায়রী বলেছেন: ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগল।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭

নতুন বলেছেন: আগেকার মানুষেরা এই সব জিনিস ধ্বংস না করলে এখনো সেইগুলি টিকে থাকতো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা সেক্ষেত্রে আমরা ও আমাদের সভ্যতাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিতে পারতাম বর্তমান সময়ের তুলনায়।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৪

হাবিব বলেছেন: আপনি দারুণ সব টপিকস নিয়ে লিখেন

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২

শের শায়রী বলেছেন: আসলে মনের মত টপিকস না হলে লিখেও সুখ নাই। আপনার ভালো লাগছে জেনে ভালো লাগায় ভরে গেছে মন।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার সাজানো গুছানো পোষ্ট।
এরকম পোষ্ট পড়েও শান্তি আছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ব্রাদার।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি দিন দিন আমাকে মুগ্ধ করে রাখছেন। খুব সুন্দর পোস্ট। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
লেখা চলুক, সাথেই আছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৬

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনার বর্ণনা প্রকাশ এতোটাই নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে যে, মনে হচ্ছে আপনি সেখানে অতিক্রম করছেন আর আমাদেরকে তার রূপ বর্ণনা করছেন। সুনিপুণ প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

কিছুকাল পূর্বেও 'প্রায়শ্চিত্ত শিকারের দিন' তারা তাদের কুকর্মগুলো প্রকাশ করতো। তবে তা ধীরেধীরে অন্য রূপে এসেছে টেকেছে। তারা তাদের ধর্মীয় শীর্ষ পণ্ডিতদের কাছে এসব প্রকাশ করে ক্ষমা আদায় করে নিতো স্রষ্টার কাছ থেকে। এরকমটা খৃষ্ঠানদের মধ্যেও প্রচলিত ছিল। কিন্ত এসকল বিষয়গুলো পরিবর্তন হতে হতে একসময় তা আর সঠিক মাপকাঠিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি।


ধর্মগুলো সবসময়ই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে গিয়ে অন্যদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে, কেউ বোকার মত অন্যদের ট্যাগ করে আলোচনা করে আর কেউ বুদ্ধিমানের মত পাঠক/দর্শকের মস্তিষ্ককে নিজ ইচ্ছেমতো নাড়াচাড়া করে। ধর্মগুলোর প্রতিযোগিতা মাদকাসক্তের উন্মাদনার মত।

শের শায়রী ভাই, আপনার লেখাটা আমাকে অত্যন্ত আকৃষ্ট করেছে। কিন্তু কোনভাবেই মনে হচ্ছে না এটা মুসলাম ধর্মালম্বীদের নিকট গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কারণ এটা তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। জেরুজালেম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমি, এটাকে প্রত্যেকেই চাচ্ছে নিজ অধিনে রাখতে। এখন সেটাকে যত নিজেদের অপ্রমাণিত করা যাবে তারা ততই তৃপ্তি পাবে। এরই ধারাবাহিকতায় এখনো চলছে নিরব ও গরমাগরম সংঘাত৷

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৩

শের শায়রী বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম ভাই খ্রীষ্টানদের মাঝে এখনো পাপ স্বীকারোক্তির ব্যাপারটা চালু আছে। আর ভাই আমি এটা মোতেই ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে লিখিনি। লেখার শুরুতেই বলছি হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী .... এখানে যা আছে জাষ্ট শুধু জানানোর জন্য। একজন মুসলমান হিসাবে আমার কাছে পবিত্র কোরান শরীফের ওপর কিছু নেই। কোরানে হযরত সোলায়মান (অঃ) এবং হযরত দাউদ (অঃ) নিয়ে যতটুকু লেখা আছে সেটাই আমার কাছে শেষ কথা। আমি আমার এই লেখায় জাষ্ট ইন্টারেষ্টিং কিছু তথ্য দিয়েছি, এর বেশী কিছু না।

আপনার মতামতের জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: আপনার চমৎকার সব পোষ্টে অনেক কিছুই জানার সুযোগ হচ্ছে- দারুন সব ছবি আর বর্ণনায় খুব ভালোলাগা......

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে গেলাম।

১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। তথ্যবহুল হলেও উপস্থাপনা ও বর্ণনার গুণে পড়তে ভালো লেগেছে।

শুভকামনা নিরন্তর।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! ইমন জুবায়ের ভাই!
অসাধারন গুনি একজন ব্লগার ছিলেন তিনি।
বুঁদ হয়ে পাঠ করতাম উনারপ্রতিটি লেখা!

প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করেনা কথাটা দেখছি সত্যি ;) আপনি তেমনি ফ্লেভারের দারুন সব সিরিজ করছেন্

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
+++++++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৬

শের শায়রী বলেছেন: ব্রাদার লজ্জায় ফেলে দিলেন, কিসের সাথে কি তুলনা। কোথায় ইমন ভাই আর কোথায় আমি, আমি শুধু উনাকে অনুসরন করতে পারি এবং প্রায় ক্ষেত্র বিশেষই অক্ষমভাবে। অস্বীকার করব না, আপনার মন্তব্য আমাকে এক অন্য রকম ভালো লাগার আমেজ দিয়েছে।

ব্লগের শুরু থেকেই এভাবে উৎসাহ দিয়ে এভাবে কৃতজ্ঞতার নাগপাশে সেই শুরু থেকে আবদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও আপনার উৎসাহ এভাবে পাব ইনশাল্লাহ এ বিশ্বাসও আছে। ভালো থাকুন ভায়া।।

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিং সলোমন যেহেতু মুসলমানদেরও নবী ছিলেন, এ টেম্পল সম্পর্কে কোরআনে কি কোন বর্ননা আছে?
পোস্ট ভাল লেগেছে। শুভ কামনা নিন শের শায়রী।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬

শের শায়রী বলেছেন: লিটন ভাই, কোরান হাদীসের ব্যাপারে আমি প্রায় অজ্ঞ। প্রায় কিছুই জানি না। আর যেটুকু জানি ভয় হয় ভুল কিছু বলে না জেনে পাপের ভাগী হই কিনা। ঠিক টেম্পল নিয়ে বলা হয় নি, তবে পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা কুরআনে তাঁর সম্পর্কে ৭টি সূরায় ৫১টি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

আর পবিত্র কুরানে বায়তুল মুক্বাদ্দাস নির্মাণ ও সুলায়মান (আঃ)-এর মৃত্যুর বিস্ময়কর ঘটনা নিম্নে বর্নিত আছে।

বায়তুল মুক্বাদ্দাসের নির্মাণ সর্বপ্রথম ফেরেশতাদের মাধ্যমে অথবা আদম (আঃ)-এর কোন সন্তানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় কা‘বাগৃহ নির্মাণের চল্লিশ বছর পরে। অতঃপর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে হযরত ইয়াকূব (আঃ) তা পুনর্নির্মাণ করেন। তার প্রায় হাযার বছর পরে দাঊদ (আঃ) তার পুনর্নির্মাণ শুরু করেন এবং সুলায়মান (আঃ)-এর হাতে তা সমাপ্ত হয়। কিন্তু মূল নির্মাণ কাজ শেষ হ’লেও আনুসঙ্গিক কিছু কাজ তখনও বাকী ছিল। এমন সময় হযরত সুলায়মানের মৃত্যুকাল ঘনিয়ে এল। এই কাজগুলি অবাধ্যতাপ্রবণ জিনদের উপরে ন্যস্ত ছিল। তারা হযরত সুলায়মানের ভয়ে কাজ করত। তারা তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানতে পারলে কাজ ফেলে রেখে পালাতো। ফলে নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যেত। তখন সুলায়মান (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে মৃত্যুর জন্যে প্রস্ত্তত হয়ে তাঁর কাঁচ নির্মিত মেহরাবে প্রবেশ করলেন। যাতে বাইরে থেকে ভিতরে সবকিছু দেখা যায়। তিনি বিধানানুযায়ী ইবাদতের উদ্দেশ্যে লাঠিতে ভর করে দাঁড়িয়ে গেলেন, যাতে রূহ বেরিয়ে যাবার পরেও লাঠিতে ভর দিয়ে দেহ স্বস্থানে দাঁড়িয়ে থাকে। সেটাই হ’ল। আল্লাহর হুকুমে তাঁর দেহ উক্ত লাঠিতে ভর করে এক বছর দাঁড়িয়ে থাকল। দেহ পচলো না, খসলো না বা পড়ে গেল না। জিনেরা ভয়ে কাছে যায়নি। ফলে তারা হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে কাজ শেষ করে ফেলল। এভাবে কাজ সমাপ্ত হ’লে আল্লাহর হুকুমে কিছু উই পোকার সাহায্যে লাঠি ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং সুলায়মান (আঃ)-এর লাশ মাটিতে পড়ে যায়। উক্ত কথাগুলি আল্লাহ বলেন নিম্নোক্ত ভাবে-

فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ الْمَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَى مَوْتِهِ إِلاَّ دَابَّةُ الْأَرْضِ تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ الْجِنُّ أَن لَّوْ كَانُوْا يَعْلَمُوْنَ الْغَيْبَ مَا لَبِثُوْا فِي الْعَذَابِ الْمُهِيْنِ- (سبا ১৪)-

‘অতঃপর যখন আমরা সুলায়মানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুনপোকাই জিনদেরকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল। সুলায়মানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। অতঃপর যখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন, তখন জিনেরা বুঝতে পারল যে, যদি তারা অদৃশ্য বিষয় জানতো, তাহ’লে তারা (মসজিদ নির্মাণের) এই হাড়ভাঙ্গা খাটুনির আযাবের মধ্যে আবদ্ধ থাকতো না’ (সাবা ৩৪/১৪)। সুলায়মানের মৃত্যুর এই ঘটনা আংশিক কুরআনের আলোচ্য আয়াতের এবং আংশিক ইবনে আববাস (রাঃ) প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে (ইবনে কাছীর)।

এ ব্যাপারে নীচে একটা লিঙ্ক দিলাম সেখানে দেখতে পারেন। আমার কোন ভুল হলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে ক্ষমা করুক।।

১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: দারুণ! আপনার এ জাতীয় পোস্টগুলো পড়ার মজাই আলাদা! অনেক ঐতিহাসিক এবং অজানা বিষয় তৃপ্তি করে জানা যায়। ভক্ত বনে গেছি আপনার!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩১

শের শায়রী বলেছেন: ভাইরে আমি হলাম এখান থেকে দুই লাইন ওখান থেকে তিন লাইন যোগ করে জোড়াতালি দেয়া মার্কা টাইপ রাইটার। আমার ভক্ত হবার মত কিছু নেই। সামুতেই অসাধারন কিছু লেখক আছে তাদের ফলো করলে অনেক ভালো ব্লগার হতে পারবে। তুমি ভালো লেখ কীপ গোয়িং।

১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ঘুটুরি বলেছেন: একরাশ মুগ্ধতা আপনার লেখায়, খুব সুন্দর করে লিখেছেন। বিরতি ছাড়াই পুরো লেখাটা পড়ে শেষ করেছি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২০

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: পুরোটুকু শেষ করে ফেলুন জলদি ।

পোস্টে প্লাস !

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: আসলে অপু ভাই এগুলো দিয়ে প্রিফেস লিখছি মুল ব্যাপারের ধারে কাছো এখনো যাই নি। মুল ব্যাপারটি কি সেটা আস্তে আস্তে প্রকাশ পাবে আজকে যেমন লিখছি "ইসরাইলিয়দের ইতিহাস যেভাবে তাদের উৎপত্তি প্রথম পর্ব"। এগুলো সবে মাত্র শুরু।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।।

১৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গুছানো পোষ্ট।ভাল লেগেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া জনাব।

১৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনাকে ফিরে পাওয়ার অর্থ সামুর এক রত্নকে ফিরে পাওয়া !

চমৎকার চমৎকার পোস্ট দিয়ে ব্লগ মাতিয়ে রাখুন :)


++

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই এভাবে বলবেন না প্লীজ, আপনার উদার হৃদয় আমার সামান্য লেখাকে অসামান্য প্রশংসা করায় আমার একরাশ কৃতজ্ঞতা। আমার থেকে অনেক অনেক ভালো লেখক এই সামুতে আছে। নিজে অতি সামান্য জানি।

আমি এই জায়গা থেকে দুই লাইন ওই জায়গা থেকে তিন লাইন যোগ দিয়ে জগা খিচুড়ী টাইপের কি বোর্ড রাইটার মাত্র :)

১৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: কিং সলোমন টেম্পল সম্পর্কে তথ্যবহুল এই পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানলাম। টেম্পল ৯০ ফিট দীর্ঘ (বারান্দাসহ ১০৫ ফিট), প্রস্থ ৩০ ফিট। তেমন বড় কোন স্থাপনা নয়। অথচ এটা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে আজকের হিসাবে প্রায় সাড়ে চার হাজার মিলিয়ন ডলার এবং ১,৮৪,৬০০ জন মানুষ সাত বছরে নির্মাণ করেছেন!! ধারণা করা যায়, খুবই সুক্ষ্ম কারুকাজ করা হয়েছিল মন্দিরে!! খুবই চমৎকার মন্দির ছিল নিঃসন্দেহে!

আপনি না লিখলে এত কিছু কখনোই জানা হতো না! কোন বিষয়ে লেখা নানা জায়গা থেকে খুঁজে খুঁজে পড়ার অভ্যাস কবেই চলে গেছে!!

অসাধারণ এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

শের শায়রী বলেছেন: রাইট বোন আমারো তাই ধারনা, আকার আকৃতির থেকে এর কারুকাজ ছিল দেখার মত।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.