নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাচ মাষ্টার ভ্যান গঘ এবং এ্যাবসিনথি মদ

০৯ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৫২



জানিনা ডাঃ বরেন চক্রবর্তীর নাম কয়জন শুনেছেন। পেশায় একজন ডাঃ কিন্তু নেশায় একজন চিত্র ট্রাভেলগ। ছবি দেখার জন্য সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছেন। আর সেগুলোর এত মনোমুগ্ধ কর বর্ননা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লিখছেন যে, আমার মত ছবি নিয়ে নাক সিটকানো মানুষকে ও চিত্র এবং চিত্রকলা নিয়ে দেখতে আর পড়তে উৎসাহিত করেছেন। অনেকেই হয়ত উনার বিভিন্ন লেখা পড়ছেন। আমি চেষ্টা করব উনার সেই সব বর্ননা থেকে মাঝে মাঝে নিজের ব্লগে সেগুলো লিখে রেখে যেতে।



এ লেখাটার অধিকাংশ ডাক্তার বরেন চক্রবর্তীর একটা লেখা থেকে নেয়া। উনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকে ডাচ মাষ্টার ভ্যান গগ এর উপর লেখাটা



ডাচ পেইন্টার ভ্যান গগ ছিলেন একজন বোহেমিয়ান টাইপের মানুষ। তার শিল্প জীবন মাত্র ১০ বছর অর্থ্যাৎ ১৮৮০ সাল থেকে ১৮৯০ সাল পর্যন্ত। এমন পাগল মানুষ ছিলেন তিনি যত না ছবি একেছেন তার থেকে বেশী পেইন্টিং নিজ হাতে ধ্বংস করেছেন। সামান্য তম খুত পেলেই নিজের ছবি নিজে ধ্বংস করে দিতেন। তারপরো ৯০০ টি পেইন্টিং ১১০০ ড্রয়িং টিকে গেছে







ভ্যান গঘ নিজেই বলে গেছেন The Potato eaters ছবিটি তার সেরা ছবি



ভিনসেন্ট উইলিয়াম ভ্যান গগের জন্ম ১৮৫৩ সালের ৩০শে মার্চ হল্যান্ডের পশ্চিমে একটা ছোট গ্রামে। বাবা থিওডরাস ভ্যান গগ ছিলেন স্থানীয় চার্চের যাজক। ছোটবেলা থেকেই পড়া শুনায় অমনোযোগী ভ্যান গগ ছিলেন স্বশিক্ষিত চিত্রকর। নিজের শৈশব নিয়ে নিজেই বলেছেন Gloomy, cold and sterile. লেখা পড়ার জন্য তার পরিবারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থতায় পর্যবাসিত হয় তখন তাকে হেগের গোপিল এ্যান্ড চি আর্ট গ্যালারীতে সেলসম্যান হিসাবে কাজ দেয়া হয়। মালিক তার আর্টের ওপর জ্ঞান দেখে তাকে লন্ডনের আর্ট গ্যালারীতে বদলি করা হয় এখানেও ভ্যান গগ দক্ষতা দেখাতে থাকেন।





Sunflowers



Sunflowers সেই বিখ্যাত ছবি



এখানে এসেই ভ্যান গগের জীবনে ছন্দ পতন ঘটে। যে বাড়ীওয়ালার বাড়ীতে থাকতেন সেই বাড়ীওয়ালার মেয়ে ইউজিন কে প্রেম নিবেদন করেন। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যাত হন। কাজে মনোযোগ হারান ফলশ্রুতিতে চাকুরী হারান। এই সময় থেকে ভ্যান গগ এর মানসিক অস্থিরতা দেখা যায় প্রায় সময়ই কাটান পতিতালয়ে, এক পর্যায়ে ধর্মের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ধর্মবিদ্যা পড়ে চার্চেও চাকুরী নিন। কিন্তু যাজকের কাজ করার সময় অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আবারো যাজকের চাকুরী হারান।



চাকুরী হারিয়ে ভ্যান গগ তার ভাই থিয়োর কাছে চলে আসেন। থিয়ো তাকে ছবি আকা শেখার পরামর্শ দেন। সে আমালের বিখ্যাত ডাচ শিল্পী উইলিয়াম রুলফ চিত্রকলার বিভিন্ন টিপস ভ্যান গগ কে শিখাতে থাকেন।



শিল্পী হবার উদ্দাম নিয়ে তিনি বাড়ীতে আসেন এখানে এসে আর এক বিপর্যয়। বাড়ীতে এসে দেখেন তার থেকে আট বছরের বড় মামাতো বোন কী ভস ষ্ট্রিকারকে যে কিনা বিধবা আর ৮ বছরের এক ছেলের মা। এই কী ভস কে দেখে আবার প্রেমে পড়েন ভ্যান গগ বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যান কিন্তু ওই সময় ডাচ চার্চের নিয়ম অনুযায়ী একই বংশের ভাই বোনের বিয়ে নিষিদ্ধ ছিল।



ভ্যান গগ যখন কী ভস কে বিয়ের প্রস্তাব দেন তখন কী ভস মাত্র তিনটি কথায় উত্তর দেন Niet, Nooit, Nimmer. মানে No, Never and never. কিন্তু প্রেমে পাগল ভ্যান গগ এতে দমে যান নি। মামার বাড়ী ছুটে যান কী ভস কে দেখার জন্য কিন্তু মামা বলে দেন কী ভস তার সাথে দেখা করবে না। রাগে উন্মাদ ভ্যান গগ মোমবাতি জ্বালিয়ে তার ওপর হাত রেখে চিৎকার করেন “Let me see her for as long as I can keep my hand on flame.



ওই সময়ের পর ভ্যান গগ আরো উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েন। মানসিক আর সামাজিক দিক দিয়ে প্রায় উন্মাদ হয়ে যান। বার বার নানা রকম যৌন রোগ বাজাতে থাকেন। ১৮৮৩ সালে জটিল গনোরিয়া থেকে ভালো হয়ে নতুন উদ্দামে কাজ শুরু করেন।



ভ্যান গগের সাথে আর এক ডাচ মাষ্টার পল গগ্যার ছিল বেশ বন্ধুত্ব। কিন্তু পাগলের সাথে বন্ধুত্ব কত দিন আর টেকে। ১৮৮৮ সালের ২৩ শে ডিসেম্বর বন্ধু গঁগ্যার সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শেভ করার রেজার দিয়ে গঁগ্যাকে আক্রমন করে আহত করেন। বন্ধুকে আহত করেই পুলিশের ভয়ে ভ্যান গগ পতিতালয়ে চলে যান। ওই পতিতালয়ে ভ্যান গগ পতিতা র্যা চেলের সাথে তার কাটান। এই সময় ভ্যান গগের পকেটে কোন টাকা পয়সা থাকত না।



সকালে পকেটে হাত দিয়ে দেখেন কোন টাকা নেই, হাতে ছুরি নিয়ে নিজ হাতে নিজের কান কাটেন ভ্যান গগ এর পর একটা প্যাকেটে ভরে ওটা সরল মনা র্যা চেলের হাতে দেন আর বলেন, “keep this object carefully”। ব্যাচেল ভেবেছিলেন ওটা তার পাওনা টাকা। শুধু এই কান কাটার সাথে সম্পৃক্ত থেকে র্যা চেল নামক পতিতাও আজকে চিত্রশিল্পের ইতিহাসে অমর। এই কানা কাটার ছবি সহ নিজের সেলফ পোর্ট্রেট আকেন Self portrait with bandaged ear and pipe.







ভ্যান গগ হলুদ রঙের প্রতি মারাত্মক দূর্বল ছিল। শিল্পী নিজেও বলেছেন হলুদ মানেই সূর্য। শিল্প বোদ্ধারা বলেন “Foe Van gogh the color yellow symbolized the hope and the truth of God’s love”. এই হলুদ রং পছন্দ করা নিয়েও নানা মুনীর নানা মত আছে, কেউ কেউ বলতেন ভ্যান গঘ Absinthe নামে এক ধরনের তীব্র ঝাজওয়ালা মদ খেতেন এই এ্যাবসিনথি নামক মদে Thujone নামে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ আছে আর এই থুজন খেলে মানুষের “ইয়োলো ভীষন” হয়। শিল্পীর the yellow house দেখুন।







এই এ্যাবসিনথি মদের উৎপত্তি হলো Artimisia absinthium নামক এক প্রকার গাছ থেকে, এর নির্যাস কে থুজন বলা হয়। এই থুজনকে বলা হয় The green fairy. এই মদ খেলেই আপনার চোখের সামনে লাল পরী, নীল পরী, হলুদ পরীরা নাচতে থাকবে। এ্যাবসিনথি মদ নিয়ে বেশ কটি মাষ্টার পীস আছে পৃথিবীতে। এদ্যুয়ার মানের “The Absinthe drinker”







এডগার দেগারের “L’ Absinthe”







এ্যাবসিনথি মদে ৪৭ থেকে ৭৪ ভাগ এ্যাবসলুট এ্যালকোহল থাকে। এক সময় পৃথিবীর প্রায় সব শিল্পী কবিরা এই এ্যাবসিনথি মদে আসক্ত ছিলেন। তাই তাদের কে বলা হত “Bad men of that day who were devotees of the green fairy Absinthe” এই এ্যাবসিনথি তে আসক্ত কয়েকজন বিখ্যাত র নাম ফ্রান্সের কবি চার্লস পিয়ের বোদলেয়ার, আইরিশ লেখক অস্কার ওয়াইল্ড, ফ্রান্সের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হেনরি দ্যা লোত্রেক টলুজ। আজব ব্যাপার কি জানেন এই মদ যারা খেতেন সেই সব বিখ্যাত মানুষ গুলো কিন্তু বেশী দিন বাচে নি, কিন্তু যত দিন বেচেছেন তার মাঝে দুনিয়াকে তাদের মিধা প্রতিভা দিয়ে চমকিত করে গেছেন, বলা হয় বর্তমান বিশ্বের কবিদের ওপর বোদলেয়ারের প্রভাব সব থেকে বেশি, লোত্রেক মাত্র ৩৬ বছর বেছে ছিলেন, ওয়াইল্ড লিখে গেছেন An Ideal Husband এর মত প্লে। লোত্রেক একে গেছেন তার La Blanchisseuse.



এতে কি প্রমানিত হয় এবসিনথি খেলা মানুষ প্রতিভাবান হয়? অবশ্যই না। কারন এ্যাবসিনথি একটা সাইকোঅ্যাক্টিভ ড্র্যাগ। তবে অনেকের ই ধারনা এই থুজন ভ্যান গগ কে সব কিছু হলুদ দেখাত তাই তো তার আকায় হলুদ রং এর এত প্রভাব।



ভযান গঘের হার্ট ফেইলুর রোগ ছিল। সেসময়ের বিখ্যাত ডাঃ গ্যাসেট ভ্যান গঘ কে চিকিৎসা দেন। গ্যাসেট ভ্যান গঘকে Digitalis নামে যে অষুধ দেন তা Foxglove নামে এক ধরনের গাছের রস থেকে তৈরী। আর এই ডিজিটালিস ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কিন্তু ইয়োলো ভীষন। ভ্যান গঘ তার ডাঃ গ্যাসেট কে অমর করে রেখে গেছেন তার “Portrait of Dr. Gachet” চিত্রে। ডাঃ গ্যাসেটের পোর্টেট কিন্তু পৃথিবীর সর্বাধিক মূল্যবান পোর্টেটের একটি। ১৯৯০ সালে এই পোর্টেট মাত্র ৮২.৫ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়।







ডাচ মাষ্টার ভ্যান গঘকে নিয়ে আরো লেখার ইচ্ছে আছে যদি আপনাদের এই পর্ব ভালো লাগে।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লেখা, খুব ভাল লাগল। বরেন চক্কোত্তি ভাল ডাক্তার তবে লেখক হিসেবে তাঁর নাম নেই। এই বরেণ্য শিল্পিকে নিয়ে ম্যালা লেখা আছে।

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই উনার ট্রাভেলগ গুলো অসাধারন লাগে আমার কাছে। হ্যা ভাই এই ডাচ মাষ্টার কে নিয়ে অনেক লেখা আছে। সেগুলো জোড়া তালি দিয়ে কিছু একটা বানালাম।

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট , এই বিষয় এর বইয়ের লিংক দিতে পারবেন ?

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই এগুলো বিভিন্ন প্রবন্ধ থেকে জোড়াতালি দিয়ে আমি আমার মত লিখছি একে নিয়ে অ সংখ্য লেখা আছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: এই লোকতো দেখি পুরোই অস্থির টাইপের ছিলেন। তবে ছবিগুলো খুব সুন্দর।

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

শের শায়রী বলেছেন: সব তো লিখিই নাই এর অস্থিরতা পড়তে পড়তে নিজেই অস্থির হয়ে গেছিলাম। তবে কি জানেন প্রতিভাবান রা অস্থিরতার মাঝে থাকে বলেই সৃষ্টী হয় কাল জয়ী কিছু একটা।

৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপনার উপস্থিতি ভীষণ উপভোগ করতেছি। চালিয়ে যান ভাই। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। :)

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

শের শায়রী বলেছেন: আমারো ভালো লাগছে এত চমৎকার মানুষ গুলো র সাথে আছি দেখে। ভাইডি পোষ্ট দেস না কেন?

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: আর্ট না বুঝলেও পোস্ট উপভোগ করেছি।

(জিনিয়াসগুলা বেশিরভাগই পাগলা কিসিমের।)

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

শের শায়রী বলেছেন: আমিও কিছু বুজি না তবে ভালো লাগার অনুভুতি কিন্তু সবার ই এক। হ্যা ভাই এগুলা আমাদের দেশে জন্মাইলে ই হইছিলো এক্কেরে পাবনা বা ঘরের মধ্যে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হত। ভাগ্যিস হল্যান্ডে জন্মেছিল :)

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

কই ভাই পোস্ট দিছি তো, আপনে মিসাইছেন :P

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: খাড়া মিস শুধরাইতাছি

৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮

ড. জেকিল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

নীল জোসনা বলেছেন: অপেক্ষায়.............................আছি ..........

পরবর্তী পোষ্ট এর জন্য

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি দেব কয়দিন পর।

৯| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

নিয়ামুলবাসার বলেছেন: ভাল লাগল.. সংগ্রহে রাখার মতো পোষ্ট..

১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভাই থিও কে লেখা ভ্যান গগের চিঠি নিয়ে একটা বই পড়েছিলাম। ঐ চিঠিগুলোতে কিন্তু ভ্যান গগের সম্পুর্ণ অন্য মূর্তি - চিন্তাশীল, অতি সংবেদনশীল এবং কিছুটা হতাশাগ্রস্থ একজন মানুষ।

ভ্যান গগের কথা মনে পড়লে তাকে নিয়ে সেই জগৎবিখ্যাত গানটার কথা মনে পড়ে - যেটা আমরা প্রায় সবাই শুনেছি , যদিও অনেকেই জানি না যে এটা ভ্যান গগকে নিয়ে লেখা -

" Starry, starry night
Paint your palette blue and gray
Look out on a summer's day
With eyes that know the darkness in my soul......"


""ভিনসেন্ট"

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

শের শায়রী বলেছেন: রাইট ইচ্ছা আছে ষ্টারি নাইট নিয়ে পরের পর্বে লিখার।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

১১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: ছবির দেখি ম্যালা দাম। এত দাম হওয়ার কারন বুঝলাম না।


পোষ্ট শুধু ভালো না, চরম লাগলো।

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমারো আপনার মত মনে হয় একটা ছবির এত দাম কেন?

ধন্যবাদ আপনাকে

১২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

সামুস কিং বলেছেন:
অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

১৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১১

আলম 1 বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ
পরবর্তী পোষ্ট এর জন্য অপেক্ষায়.............................

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ভাই লিখব শিঘ্রী আশা করি।

১৪| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩২

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস পোস্ট! গত মাসে ভ্যান গগ মিউজিয়াম দেখে আসছি

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০০

শের শায়রী বলেছেন: লাকি আপনি। আমারো খুব দেখার ইচ্ছে দেখি যদি সুযোগ হয় কোনদিন

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

ফা হিম বলেছেন:
ছবিগুলা বড় সাদামাটা মনে হচ্ছে। এগুলো এত বিখ্যাত হল কিভাবে? আমি অবশ্য চিত্রকর্ম খুব কম বুঝি, একটু সুত্র ধরাইয়া দিলে হয়তো বুঝতাম।

পোস্টে প্লাস।

১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমিও প্রায় কিছুই বুজি না। তবে এত দাম কেন এটা আমিও ভাবি। হয়ত তখন ক্যামেরা ছিলনা এক্সপ্রেশান ধরে রাখার জন্য তাই যে যত ভালো এক্সপ্রেশান ধরতে পারত সে তত ভালো চিত্রকর ছিল। এটা আমার একান্ত নিজের ভাবনা।

না হলে এত দাম কেন?

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

ডি মুন বলেছেন: দারুণ পোস্ট। চিত্রকলা সম্বন্ধে ধারণা খুবই কম। তাই এ ধরণের পোস্টের জন্য একরকম অপেক্ষায় থাকি

ধন্যবাদ

১১ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:১৬

শের শায়রী বলেছেন: মুন ভাই কাকে কি বলছেন? আমি ভাই এ ব্যাপারে কিছু ই জানি না :) দুই চার পাতা পড়ে সেগুলো জোড়াতালি মারি।

আমিও শিখছি ভাই :)

১৭| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫২

শুঁটকি মাছ বলেছেন: মানুষ এর পাগলও হয় যে নিজের কান নিজে কেটে ফেলে!!!!!

যা হোক, ম্যালা কিছু জানলাম আপনার এই পোস্ট থেকে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

১৮| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

মেকগাইভার বলেছেন: ভ্যান গঘ থেকে রেমব্রান্ডের কাজ আমার বেশি ইন্টারেস্টিং লাগে। তার উপর একটা পোস্ট দেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

শের শায়রী বলেছেন: আগের মত আর উৎসাহ পাই না। ভ্যান গঘ আর রেম ব্রান্ট নিয়ে সামান্য কিছু পড়াশোনা আছে আদেশ শিরোধার্য ভাই। দেখি কত তাড়াতাড়ি দিতে পারি।

১৯| ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২২

ড্রীমার বলেছেন: আসল ছবিটা পেলাম না "Starry Night" !....... এটা নিয়ে চমৎকার একটা গান আছে ভিনসেন্ট গ্যগকে নিয়ে। আগ্রহীরা শুনতে পারবেন। ভাল্লাগবে..... গানটাতে গ্যগের নি:স্বঙ্গ জীবন ছাড়া পুরা লাইফের একটা ছায়া পাওয়া যাবে।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন গান টা শুনছি ভাই। অনেক ধন্যবাদ এখানে যোগ দেয়ায়।

২০| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:২০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

অনেক কিছু জানলাম।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই আপনাকে।

২১| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

রাবার বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট। প্রিয়তে ++++++++++্

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

২২| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২

বৃতি বলেছেন: সুন্দর পোস্টে ভালো লাগা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই

২৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ পোস্ট।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া জনাব

২৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শেরোচিত পোস্ট! বরাবরের মতই ভালো লাগলো!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ভাই।

২৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
সুন্দর।


বাট ভাই সান ফ্লাওয়ার পিকটা এইবার কেমন জানি লাগতাছে দেখতে :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: কেমন আছেন?

২৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হলুদ রঙ আমার ভালো লাগেনা। আমার চোখে ভ্যানগকের বিশেষত্ব হচ্ছে ভ্যানগকের ছবিতে হলুর রঙটা মন্দ লাগেনা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

শের শায়রী বলেছেন: রাইট এটাই ভ্যানগগের বিশেষত্ব।

২৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

জুন বলেছেন: যদিও ভ্যানগগের জীবন যাপন নিয়ে প্রচুর ধারনা আছে। তারপর ও আপনার পরিশীলিত মার্জিত ভাষায় শিল্পীর শিল্প নিয়ে আলোচনা অনেক ভালোলাগলো শের।
+

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক শুকরিয়া জুন আপা। কেমন আছেন আপনি?

২৮| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভ্যান গগ ও তার চিত্রকলা নিয়ে অসাধারণ লেখা।

আর জানতে চাই। লিখতে থাকুন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০২

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্য ই লিখব ভাই। আপনাদের উৎসাহই আমার প্রেরনা।।

২৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।

আপনি মনে হয়, বিভিন্ন পুরানো ইতিহাস বই কিংবা নতুন বই থেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে পোস্ট দেন। হয়তো বিভিন্ন সাইট কিংবা পত্রিকার ও সাহায্য নিতে পারেন। কিন্তু পোস্টের শেষে বা শুরুতে সেসব লিংক দিলে বা উৎস বলে দিলে ভাল
হতো।

যদিও এই পোস্টের শুরুতে বলেছেন,"ডাক্তার বরেন চক্রবর্তীর একটা লেখা থেকে নেয়া।"

সংগ্রহ করে পোস্ট দিবেন অথচ উৎস দিবেন না ! এটা কি ঠিক?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৬

শের শায়রী বলেছেন: আপনি ঠিক ই ধরেছেন, নিজের লেখার যোগ্যতা নেই, বিভিন্ন জায়গা থেকে টুকে টাকে পোষ্ট দেই। তবে আপনি যে অভিযোগ করছেন সেটা ঠিক বুজলাম না। এই পোষ্টে পরিস্কার ভাবে দুই বার উল্লেখ্য করা আছে এটা ডঃ বরেন চক্রবর্তীর একটা লেখা থেকে নেয়া। সেটা একটা পত্রিকায় পেয়েছিলাম। এর পর কিভাবে উৎস দিতে হয় আমার ঠিক জানা নাই।

আর একটু বুজিয়ে দিলে ভালো হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০| ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । তাঁর চিত্রকলা নিয়ে আরো কিছু পোস্ট দিতে পারেন ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

শের শায়রী বলেছেন: ইচ্ছা আছে ভাই দেবার। থ্যাংকস

৩১| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:০০

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: গগ মিয়া পুরাই তার ছিরা! তবে ভালো শিল্পী ছিলেন মনে হয়। পেইন্টিং এর মূল্য দেইখা মনে হইল। :( পোস্ট ভালো লাগছে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনি কোথায়?

৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: কী পরিমাণ ভাল লেগেছে বলার মত না। প্রিয়তে রইল। এইজন্য আপনার পোস্ট ভাললাগে ভাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: লিসানি ভাই মিস ইউ আ লট।

৩৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৯

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: আমাদের এক আর্টের টিচার ছিলেন "ফওজুল কবীর"। সেই ৮০'র দশকের শুরুর দিকে তিনি ভ্যান গঘের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।

আপনার লেখনী পড়ে ভ্যান গঘ আর ফওজুল কবীর স্যারের কথা মনে পড়ল।
ধন্যবাদ

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।

৩৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন:
গুড পোস্ট ...

মাস সেরা সংকলনে যাচ্ছে ...

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: গেছে তো ভাই? কোথায় আপনি?

৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪০

হাসান রাজু বলেছেন: ভ্যান গঘ আজিব এক চিড়িয়া ছিলেন।
আমি সেই তুলনায় অনেক লক্ষ্মী বলা চলে।
বুঝলাম, আমি কেন কখনো ভ্যান গঘ হতে পারিনি ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

শের শায়রী বলেছেন: পাগল আর জিনিয়াসের মধ্যে নাকি পার্থক্য এক চুল ভাই। :P পারবেন পারবেন এক কান কাটাতে পারলেই ভ্যান গঘ হওয়া যাবে =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.