নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় আলকেমী বা অপরসায়নের গোপন কথা

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯



আলকেমী এক রহস্যময় আধ্যায়। আলকেমী বলতে আমারা বুজি অপরসায়ন, মানে যে বিদ্যার দ্বারা অন্য কোন ধাতুকে সোনায় রূপান্তরিত করা। আলকেমী শব্দটি আরবী ‘আল-কিমিয়া’ থেকে এসেছে। আল কেমী নিয়া যারা গবেষনা করতেন তাদের বলা হয় আল কেমিষ্ট। এদের গবেষনার মুলত দুটি ধারা আছে, এক পরমায়ু লাভ করা। দ্বিতীয়ত সস্তা ধাতুকে সোনায় রূপান্তরিত করা। অলিয়াস বারকিয়াসের মতে টুবাল কেইনের সময় থেকে আলকেমীর চর্চা শুরু হয়। বাইজান্টেনিয়াম পুরোহিতদের আলকেমির পিতৃপুরুষ ধরা হয়।



তাদের মতে মিশরে সর্বপ্রথম আলকেমির চর্চা শুরু করে পুরোহিতরা। খ্রীষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দে ট্রিস ম্যাগিষ্টাস নামে এক পুরোহিতের কথা জানা যায় যিনি বিভিন্ন বিদ্যার আবিস্কারক হিসাবে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। এই খ্যাতি তাকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যায় যা তাকে ঈশ্বরের সমকক্ষ তুল্য করে। তার নাম অনুসারে ই পরবর্তীতে আল কেমী একটি “হামেটিক আর্ট” বা গোপন বিদ্যা রূপে পরিচিতি লাভ করে। আল কেমী নিয়ে রচিত বই পত্র গোপন সাংকেতিক ভাষায় লিখিত হত বিধায় এর রহস্যময়তা আরো বিস্তার লাভ করে।



আল কেমীর ইতিহাস নিয়ে ঘাটলে দেখা যায় তিন জাতি আলাদা আলাদা ভাবে এই পরশ পাথরের খোজে আত্মনিয়োগ করে এরা হল চীনা জাতি, ইন্ডিয়ান জাতি আর গ্রেকো-রোমান জাতি যেখান থেকে পরে আরাবীয়দের হাতে আসে। আরাবীয়রা আলকেমী নিয়ে এত গবেষনা করে যে আলকেমী আর আরব জাতি প্রায় অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত হয়ে পরে।



আষ্টম শতাব্দীতে আরব রসায়নবিদ জাবের বিন হাইয়াম আল কেমীকে আবার পাদ প্রদীপের নীচে নিয়ে আসেন এ ব্যাপারে তিনি প্রচুর পরীক্ষা নিরিক্ষা চালান তার ল্যাবরেটরীতে। এই আলকেমী নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে আরব রাসায়নবিদরা কিন্তু আবিস্কার করে ফেলে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড আর এ্যাকোয়া রেজিয়ার মত প্রয়োজনীয় পদার্থ। এই আবিস্কার সেই সময় আল কেমীদের সন্মানের চূড়ায় নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত এ কথা বলে যাই, বলা হয়ে থাকে আলকেমীর সাথে অ্যান্তনীয় ল্যাভয়সিয়ে আর চার্লস বয়েলের মত নামী রসায়নবিদের নাম ও জড়িত। তারা নাকি গোপনে আলকেমীর চর্চা করত



আল কেমীর ইতিহাস থেকে জানা যায় দু ধরনের আলকেমী ছিল এক দল অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে সারা জীবন নিরলস ভাবে লোহাকে সোনায় রূপান্তরিত করার চেষ্ঠা করছে আর একদল ছিল এটাকে পুজি করে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে।



আলকেমীর প্রসার শুরু হয় আলেকজান্দ্রিয়া থেকে, এখন থেকেই আলকেমী রোমান সম্রাজ্য ও ইউরোপে প্রবেশ লাভ করে। রোমান সম্রাজ্যর পতনের সময় আলকেমী কনস্ট্যান্টিপোলে ছড়িয়ে পরে। এখান থেকেই রসায়ন বিষয়ক গ্রীক গ্রন্থাবলী বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে। নিষ্ঠার সাথে অনেক আল কেমিষ্ট আলকেমীর চর্চা করলেও অনেক প্রতারনা ও ঠগবাজীর উদাহরন বিরল নয়। বস্তুত পক্ষে প্রতারনার পরিমান এত বেশী হয়ে গেছিল যে সম্রাট ডাইওক্লোটিন ( ২৮৪-৩০৫ খ্রীষ্টাব্দ) আলকেমীর সমস্ত মিশরীয় গ্রন্থাবলী পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।



বিভিন্ন বিচিত্র প্রক্রিয়ায় এই প্রতারনা করা হত। যেমন ফাপা একটি লোহার দন্ডের ভেতর স্বর্ন ঢুকিয়ে দু পাশের ছিদ্র মোম দিয়ে গলিয়ে বন্ধ করে দেয়া হত। এরপর একটি পাতিলে কিছু সস্তা ধাতু আর কিছু আজেবাজে জিনিস মিশিয়ে ওই লোহার দন্ড দ্বারা আস্তে আস্তে নাড়াত। এতে দন্ডের মোম গলে যেত আর দন্ডের ভেতর তাল করা সোনা ওই পাতিলে জমা হত।



আর একটি প্রতারনা ছিল অর্ধেক সোনা ও অর্ধেক লোহা দিয়ে তৈরী একটি পেরেক নিয়ে তাতে কালো কালি দিয়ে প্রলেপ দেয়া হত, এরপর একটি গামলায় কিছু রাসায়নিক দ্রব্যাদি দিয়ে সোনার অর্ধেক দিয়ে ওই দ্রবন নাড়ানো হত, এতে কিছু সময় পরে কালো আবরন ঊঠে যেত আর বলত যে অংশ দ্রবনে ডুবানো হয়েছে সেই অংশ সোনায় পরিনত হয়েছে। এগুলো ছিল প্রতারনার সাধারন কিছু কৌশল।



কিন্তু একবার এক পার্শি আলকেমিষ্ট যে ঘটনা তা আজো ইতিহাস হয়ে আছে। ওই পার্শি আল কেমিষ্ট দামেস্কে পৌছে প্রথমে এক হাজার দিনার স্বর্নমুদ্রা যোগার করে টুকরো টুকরো করে তার সাথে আটা ময়দা কয়লা মিশিয়ে ছোট ছোট ট্যাবলেট তৈরী করেন। এরপর ট্যাবলেট গুলো শুকিয়ে গেলে তিনি দরবেশের বেশ ধরে ওই ট্যাবলেটের নাম দেন ‘খোরসানের তবারমাক’। আর তা এক ঔষধ বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন।



এরপর বাসায় ফিরে দামী জোব্বা পরে মসজিদে যান নাময পড়তে ওখানে তার সাথে পরিচয় হয় বেশ কিছু গন্যমান্য ব্যাক্তির সাথে যাদের কে তিনি নিজে একজন আলকেমী পরিচয় দিয়ে বলেন যে একদিনে অনেক সোনা তৈরী করতে পারবেন। একথা গেল দামেস্কের উজিরের কানে তিনি একদিন ওই পার্শিকে সম্রাটের দরবারে ডেকে সম্রাটের সামনে সোনা তৈরী করতে বলেন। পার্শি সম্রাটকে বিভিন্ন জিনিসের একটি লিষ্ট দেন যার মধ্যে খোরসানের তবারমাক’ ও ছিল।



সব জিনিস খুব সহযে পাওয়া যায় কিন্তু ‘খোরসানের তবারমাক’ আর পাওয়া যায় না। পরে সুলতানের লোকেরা অনেক কষ্ট করে ‘খোরসানের তবারমাক’ এর হদিস পায় এক ঔষধ বিক্রেতার কাছে। বলা বাহুল্য এই বিক্রেতা আর কেউ না সে হল ওই ভন্ড আল কেমিষ্টে নিয়োজিত ব্যাবসায়ী। যাই হোক পার্শী ওই তবারকাম মিশিয়ে সমস্ত জিনিস পত্র জ্বাল দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে সমস্ত কিছু গলে নিচে স্বর্ন জমা হয়। রাজা হন চমৎকৃত আর পার্শী হন পুরস্কৃত।



এরপর রাজা আরো গো ধরেন তার অনেক স্বর্ন চাই। সমস্যা নাই পার্শী তো আছেই কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায় ‘খোরশানের তবারকাম’ তো আর পাওয়া যায় না। অনেক পীড়াপীড়ির পর পার্শী স্বীকার করল সে এক পাহাড়ের গুহা চেনে সেটা ভীষন দূর্গম অঞ্চলে সেখানে খোরশানের তবারকাম পাওয়া যায়। সুলতান পার্শীকেই অনুরোধ করেন তবারকাম নিয়ে আসার জন্য। পার্শী তখন প্রচুর টাকা পয়সা আর উপহার সামগ্রী নিয়ে ওই তবারকাম আনার জন্য রওনা দেয়। এ কথা না বললেও চলে ওই রাজা আর ওই পার্শী আল কেমীর চেহারা জীবনে দেখে নাই।



সূত্রঃ http://en.wikipedia.org/wiki/Alchemy

এবং আসাদুজ্জামান এজি র একটি নিবন্ধ।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

রসায়ন সাস্ত্রে আলকেমির কথা পড়েছিলাম কিন্তু আজ বিস্তারিত জেনে দারুন ভাল লাগল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

নাঈম আহমেদ বলেছেন: দারুন লেখা +++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৯

রাইসা হোসেন বলেছেন: মজা পেলাম পড়ে...গুরুত্তপূর্ণ কিছু তথ্য দাওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: ভালো লাগা সহ পোস্ট প্রিয়তে+++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: জাবির ইবনে হাইয়ানের একটা পুরান বই ছিল বাসায় , খুজে দেখতে হবে :)

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শের শায়রী বলেছেন: খুজে পেলে আমাকে জানবেন। কিসের বই

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৯

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: অনেক তথ্যপূরণ লেখা।ভাল লাগল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৩

এস. এম কামরুল হাসান পলাশ বলেছেন: আপাতত মন্তব্য দিয়ে রাখলাম। কাল সকালে পড়বো।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাই পড়ে একটু জানাবেন কেমন হল।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

বিপদ সংকেত! বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:

রসায়ন সাস্ত্রে আলকেমির কথা পড়েছিলাম কিন্তু আজ বিস্তারিত জেনে দারুন ভাল লাগল।

প্রিয় পোষ্টের তালিকায়সহ আপনাকে +++++++

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম ........

শেষের কাহিনীটাও জোশ ছিল.......সবমিলিয়ে সুপার্ব ....অনেক কিছু জানলাম....

পোষ্টে প্লাস+++++

ধন্যবাদ ভ্রাতা..।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

শের শায়রী বলেছেন: আপ্নাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল লাগলো পড়ে, চমৎকার লিখসেন ||

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

শের শায়রী বলেছেন: মুন ভাই এ রকম লেখা সম্ভব হত না যদি না আপনার মত কিছু ভাইর সমর্থন না পেতাম

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: শেষের কাহিনীটা পড়ে মজা পেলাম। সব যুগেই তাহলে প্রতারক ছিল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আমার ও শেষ টা পড়ে বেশ মজ়া লাগছে। ওগুলো আমাদের থেকে বড় জালিয়াত ছিল

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

সাদা রং- বলেছেন: সত্যজিতের কোন গল্পে এরকম কাহিনি পড়েছি।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

শের শায়রী বলেছেন: হতে পারে সত্যজিত এই ধরনের কাহিনী নিয়ে লিখতে ভালবাসতেন

১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: একটা কথা কিন্তু আপনি পরিষ্কার করেন নাই, আপনি একবারের জন্যেও বলেন নাই যে কোনও আল কেমিস্ট শেষ পর্যন্ত লোহাকে সোনায় রুপান্তর করতে পেরেছিলো কিনা। ধন্যবাদ।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

শের শায়রী বলেছেন: আমি যতটুকু পড়াশুনা করছি তাতে কেউ লোহা কে সোনায় পরিনত করতে পারেনি তবে এই আলকেমী নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে আরব রাসায়নবিদরা কিন্তু আবিস্কার করে ফেলে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড আর এ্যাকোয়া রেজিয়ার মত প্রয়োজনীয় পদার্থ।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন

১৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

এক্সপেরিয়া বলেছেন: আমিই শেষ পর্যন্ত লোহাকে সোনায় রুপান্তর করমু । হে হে হে হে

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম ;)

১৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

বইয়ের পোকা বলেছেন: অসাধারণ +++++
আগেও জানতাম এই ব্যাপারে, কিন্তু এতো ডিটেইলস জানতাম না। ধন্যাবাদ।
যতদুর জানি, এখনো পর্যন্ত কেউ পারে নি সোনা প্রস্তুত করতে।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৬| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: সত্যজিৎ রায়ের "প্রোফেসর শঙ্কু" তে আলকেমী'র ব্যাপারে জেনেছিলাম, কিন্তু এত বিস্তারিত জানতাম না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেকদিন আপনাকে দেখি না ব্রো কেমন আছেন?

১৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: +++++++

১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া। আশা করি আপনিও ভালো আছেন। প্রায় মাসখানেক বিরতির পর আবার কয়েকদিন হল আসছি। হঠাৎ করেই বিরক্তি চলে এসেছিল। যাই হোক ভালো থাকবেন ভাইয়া। আবার একটু ডুব দিতে হবে উপায় নাই :( :(

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: ওকে ভাই দেন ডুব, আবার মাথা তোলার অপেক্ষায় থাকলাম। ভাল থাকুন ততক্ষন।

১৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: দারুণ দারুণ দারুণ!
প্রিয়তে তো অবশ্যই।

একটা মিথিক্যাল ঘটনা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছি না।


এক তরুণ সাধক, সৈয়্যদ গোলামুর রহমান তখন দিওয়ানা। ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে পাহাড়ে। অগুণতি ভক্ত তৈরি হয়, পাশ কাটিয়ে চলে যান।

কিমিয়াভক্ত এক লোক পিছনে ছুটল। নিশ্চই গোলামুর রহমান সোনা বানানোর পদ্ধতি জানেন!

যতই বলা হোক, পিছু ছাড়াছাড়ি নাই। তিনি পিতলের একটা ব্রিটিশ মুদ্রাকে বন থেকে কোন এক জাতের গাছের পাতা নিয়ে সেদ্ধ করলেন। সোনা! সোনা!

কিমিয়াবিদ পাগল। ছুটে গেল স্বর্ণকারের কাছে। কষ্টিপাথর। তারপর আবার পাহাড়। সেই গাছের পাতা। বাসায় নিয়ে গিয়ে আরো ব্রিটিশ মুদ্রা নিয়ে জ্বাল দেয়া। সোনা তো আর হয় না।

আবার খোঁজ খোঁজ খোঁজ সেই আধপাগলা সাধককে।
খুঁজে পাওয়া, বাবা, সোনা তো হয় না!

পাগলরে, পাতা দিয়ে সোনা হয় না। মানুষের স্পর্শে সোনা হয়।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

শের শায়রী বলেছেন: পাগলরে, পাতা দিয়ে সোনা হয় না। মানুষের স্পর্শে সোনা হয়।

ভাই যত আপনার সংস্পর্শ পাচ্ছি কি বলব মনে হয় সেই সাধকের দেখা পেয়েছি................ ভাই অন্য কোন ভাবে নিবেন না আমি কিন্তু কথাটা আমার অন্তর থেকে বলছি।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

অহন_৮০ বলেছেন: অসাধারন হইছে

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২১| ১০ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

যবড়জং বলেছেন: আশ্চর্য প্রতরনার ইতিহাসওতো বেশ পুরোনো..চমৎকার।।।।

০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা প্রতারনা অনেক পুরানো ব্যাপার ভাই

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫১

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগা সহ পোস্ট প্রিয়তে+++++++

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই

২৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯

কিউপিড রিটার্নস বলেছেন: নাহ আপনি মশাই মাথা হ্যাং করে ছাড়বেন।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৯

শের শায়রী বলেছেন: রিষ্টার্ট দিন ঠিক হয়ে যাবে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.