নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
সময়কে মানূষ ছুতে না পারলেও তাকে চিহ্নিত করছিলো অনেক আগে। দিন রাতকে তারা ভাগ করেছিল খন্ড খন্ড ভাগে- সকাল, দুপুর, সন্ধ্যে, রাত, কখনো সূর্য দেখে কখনো চন্দ্র দেখে কখনো শুধু অনুমানের ওপর নির্ভর করে।কিন্তু কিভাবে কে কখন ঘড়ি আবিস্কার করেছিল তা কিন্ত কোথাও লেখা নেই ইতিহাসে পাতায় কিন্তু এ কথা সকলের ই জানা এর পিছনে আছে তিন হাজার বছরের ইতিহাস। ওই সময়ে মিশরীয়রা আবিস্কার করল জমি মাপজোক করার পদ্ধতি আর মাপজোক সন্মন্ধ্যে তাদের মধ্যে ধারনা জন্মে গেল সময়কেও তারা পরিমাপ করতে চাইল। আসল ‘সূর্য ঘড়ি’ বা ‘ছায়া ঘড়ি’।
‘সূর্যঘড়ি’ বানাতে তখন মানূষ একটা লাঠি পূতে রাখল খোলা জায়গায়। তারপর সেই লাঠিকে ঘিরে ছোট বড় নানা চক্র দিয়ে দেয়। চক্রর ওপর লিখে রাখে বিভিন্ন সংকেত যা দিয়ে নানা প্রহর বুজায়। লাঠির ওপর সূর্যের আলো পড়লে সেই আলো পড়তো মাটিতে সেখান থেকে সংকেত নির্দেশিত চক্রে আর সেখান থেকে সময় নির্ধারন হত। এমন একটি ঘড়ি আজো কিন্তু বার্লিন মিউজিয়ামে রক্ষিত।
দিনের বেলা না হয় সূর্যের আলো দেখে সময় পাওয়া গেল কিন্তু রাতের বেলা কিভাবে সময় পাওয়া যাবে ভাবিয়ে তুলল মানূষকে। চোখ গেল রাতের আকাশে। তারা রাতের আকাশে এমন এক নক্ষত্রের সন্ধান করতে লাগল যা সব সময় এক দিক থেকে অন্যদিকে যাবে। অবশেষে পাওয়া গেল। দেখতে খুব উজ্জল আর একটু লম্বা। এটা আকাশের উত্তর দিকে ওঠে আর ধীরে ধীরে দক্ষিন দিকে এগিয়ে যায়, শুধু তাই না তারা মেরু কে কেন্দ্র করে ঘড়ির কাটার মত ঘুরতে থাকে যা দিয়ে অনায়াসে সময় নির্ধারন করা যায়। এর নাম ‘ক্যাসিওপিয়া’। দেখতে অবিকল ইংরেজী W অক্ষরের মত। এই ‘তারাঘড়ি’ প্রথম আবিস্কার করে জার্মানরা।
তারা ঘড়ির পর আসে ‘পানিঘড়ি’। খ্রীষ্ট পূর্ব ১৪০০ সাল নাগাদ মিশরীয়রা প্রথম পানি ঘড়ি আবিস্কার করেন । কিভাবে কাজ করত ‘পানিঘড়ি’? একটি ফানেলের মধ্যে পানি ভরা হল, সেই ফানেলের নীচে লাগানো হল এক সরু পাইপ। ফানেলের পানি এক সরু পাইপ বেয়ে যেয়ে পড়ত একটি জারে। সেই জারের মধ্যে একটা হাল্কা কর্ক রেখে দিত তারা। পাত্রের অপর প্রান্তে লাগিয়ে দেয়া হত দাত যুক্ত একটা সময় নির্দেশক কাটা। ফানেল থেকে ধীরে ধীরে পানি চলে আসত জারে, জারে যত পানি পড়ত কর্ক ততই ভেসে উঠত। সেই সঙ্গে সময় নির্দেশক কাটা ঘুরতে আরম্ভ করত। যা বলে দিত সময়। গ্রীকরা একে বলত ‘ক্লিপসেড্রা’।
এরপর এল ‘বালুঘড়ি’। প্রায় বারোশ বছর আগে এর প্রচলন শুরু হয়। বালু ঘড়ি ছিল কিছুটা পানি ঘড়ির মত। তবে এ ঘড়ির জন্য প্রয়োজন হয় একটা ফানেল যার মাজখানটা চ্যাপ্টা। এবার ফানেলের ওপর দিয়ে কিছুটা বালি ফানেকের মধ্যে ঢেলে দিল, সেই বালি ফানেলের মাঝখানে যেয়ে বাধা পেল। অপেক্ষাকৃত সরু ও মিহি দানার বালি ফানেলের চ্যাপ্টা অংশ দিয়ে নিচে পড়া শুরু হল। ফানেলের নীচের অংশে আকা থাকত স্কেল। বালুর জমা হবার পরিমান নির্নয় করত নির্দিষ্ট সময়।
রাতের বেলা মানূষ ঘড়ির বিকল্প হিসাবে মানূষ আবিস্কার করে ফেলল ‘মোমঘড়ি’। চীন দেশেই প্র থম আবিস্কার হয় ‘মোম ঘড়ি’। সূর্য ঘড়ির পদ্ধতিতে এই ঘড়ি তারা ব্যাবহার করত। অন্ধকার ঘরে তারা একটা মোমবাতি জ্বালাত। সেই আলোর কাছাকাছি তারা রেখে দিত কোন মানদন্ড। মোমের আলো গিয়ে পড়ত সেই মানদন্ডে। মানদন্ডের সামনের অংশ আলোকিত হত আর পিছনের অংশে পড়ত তার ছায়া। মোম যত ছোট হত ছায়া তত দীর্ঘ হত। এই ছায়া পরিমাপ করে মানূষ সময় পরিমাপ করত।
যন্ত্র ঘড়ি কে আবিস্কার করেন আজো তা অজানা, ত বে অনেকে মনে করেন আর্কিমিডিসের হাতে প্রথম যন্ত্র ঘড়ি জীবন পায়। যেটুক তথ্য এই মুহুর্তে আমার হাতে আছে তাতে জানি ‘গ্রেটটম’ নামে ১২৮৮ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল লন্ডনে। ফ্রান্সের রাজা চার্লস ডি র জন্য ১৩৬০ সালে একটি ঘড়ি তৈরী হয়েছিল যা আজো সচল। আমেরিকায় প্রথম ফিউজ স্পন্সর তৈরী করেন হাত ঘড়ি।
বর্তমানে পারমানবিক ঘড়ি আছে যে ঘড়ি সেকেন্ডের দশ কোটি ভাগের এক ভাগ ও সময় হের ফের করেনা। এ রকম দুটি ঘড়ি আছে ইউ এস এন বি এস ল্যাব্রেটরিতে।
পাটেক ফিলিপ কে ধরা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী হাত ঘড়ি প্রস্তুত কোম্পানী হিসাবে। ছবির ঘড়িটি কিনতে আপনাকে মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ করতে হবে। চাইলেই আপনি এটা কিনতে পারবেন না কিন্তু আগে আপনাকে অর্ডার দিতে হবে।
সময়ের মুল্য দিতে হবে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬
শের শায়রী বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৮
এ আর হাসাইন। বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট , , , ,
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ঘড়ি সমচার
ভাল লাগল
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯
shfikul বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো পোষ্ট পড়ে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
সুফিয়ান সাওরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আরো একটি অসাধারন পোষ্ট। ভালোলাগা।
২০০ টাকায় ঘড়ি পাওয়া যায় এতো দাম দিয়ে কেনা দরকার কি!
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: আরে বালিকা এখন তো লাগবে না মাশ আল্লাহ শাদী টা হয়ে যাক তখন আপ্নিই সেই বেচারার জামা ধরে হিড় হিড় করে টেনে ছবি দেখিয়ে বলবেন আমার ওই ঘড়িটা লাগবে আমার ওই ঘড়িটা লাগবে(
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: +++++
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সচিত্র প্রতিবেদন। চমৎকার পোস্ট!
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একদিন সময় করে আপনার সবগুলো পোস্টের পি ডি এফ ফাইল তৈরি করতে হবে। আমার সংগ্রহে রেখে দিব আপনার সবগুলো পোষ্ট। যথারীতি +++++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫
শের শায়রী বলেছেন: এ আমার পরম পাওয়া। কখন ও কল্পনা ও করিনি কেউ এ রকম বলবে ভাই।
১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯
স্বপনবাজ বলেছেন: সময়ের মুল্য দিতে হবে।+++
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৬
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫১
তারছেড়া লিমন বলেছেন: ধন্যবাদ।ভাই ভাল থাকবেন।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫২
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: অসাধারণ। +++++
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৫
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: উত্তাল সময়ে একটা ভিন্ন পোস্ট পেলাম। ধন্যবাদ।