নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি অলৌকিক প্রেম কাহিনী

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪০



সেবার শীতটাও পড়ছিলো বেশ মারাত্মক ভাবে। আমাদের গ্রামে এত শীত নাকি কেঊ কখন ও দেখেনি শীতের পড়ন্ত বিকেল। একে তো ঠান্ডা তার ওপর কুয়াশা দশ হাত দূরের কিছু দেখা যায় না। মাগরিবের আযান দিয়ে ফেলছে। আমারা বাড়ীর পুরুষরা দরজার পুকুর পাড়ে সবাই অযু করছি নামায পড়ব বলে। এর মধ্যে মজনু কাকু আমাকে বলল “ও শের দেখ তো বাবা ওই খাল পাড় দেয়া কেডা আসতেছে”?



একটু ভাল করে ঠাহর করে দেখলাম ঠিকই তো এক লম্বা অবয়ব কুয়াশার মধ্য থেকে আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে। কাছে এসে সবাই কে ভারাট গলায় সালাম দিল আর নিজের পরিচয়ে বলল তার নাম সৈয়দ আবদুর রহমান। অনেক দূর থেকে এসেছে। যদি আজকে রাত আমরা অনুমতি দেই তো সে আমাদের বৈঠক খানায় কাটিয়ে দিতে পারে এশার নামাযের পর। আমাদের বৈঠকখানা মসজিদের সাথেই।



সৈয়দ আবদুল রহমান সাহেবের একটু বর্ননা দেই। প্রায় ষাট বছরের মত বয়স। লম্বায় ছয় ফুটের কাছাকাছি। মুখের দাড়ি প্রায় বুক পর্যন্ত এসে ঠেকছে। আর ছিল তার চোখ। আজব রকমের এক প্রশান্ত চোখ। এই রকম দীঘীর জলের মত শান্ত পবিত্র চোখ আমি কারো দেখিনি, জাগতিক মোহ থেকে মুক্ত না হলে এই ধরনের প্রশান্তি চোখে থাকেনা। কাধে একটা ঝোলা, আর গায়ে ছিল একটা হাটু পর্যন্ত লম্বা পাঞ্জাবী যে পাঞ্জাবীতে কমপক্ষে পনের ষোলটা সেলাই দেয়া।



গ্রাম গঞ্জের মানুষের কিন্তু এখনও এই আন্তরিকতা আছে কেউ এসে আতিথেয়তা চাইলে কিন্তু না করে না।হেমায়েত কাকু আন্তরিকতার সাথে ওনাকে বলল এশার নামযের পর আমাদের সাথে খেয়ে বৈঠক খানায় রাত কাটাতে পারবে।



আমাদের মসজিদখানা কিন্তু সবে ওই বছরই নতুন বানানো হয়েছে। বাড়ীর নামে মসজিদের নাম ও হয়ে গেছে ‘তহশিলদার বাড়ীর মসজিদ’। আমরা মসজিদের জন্য একজন হুজুর খুজছিলাম যিনি কিনা আমাদের নিয়মিত ই মাম হিসাবে নাময পড়াতে পারেন। হেমায়েত চাচা আমাদের বাপ চাচাদের মধ্যে সবার বড়। তাই তিনিই বাড়ীর মুরুব্বী হিসাবে সৈয়দ সাহেবের খানা দানার ইন্তেজার করে বৈঠকখানার তালা খুলে দিলেন। আর বললেন সকালে সবাই মসজিদে ফযরের নামাযের সময় হাজির হবে।



ওইদিন যেন কি হল আমাদের নিয়মিত মুয়াজ্জিন ফরাজী কেন যেন ওই দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারল না তার পরিবর্তে অন্য কারো সুরেলা আযানে বাড়ীর সবার ঘুম ভেঙ্গে গেল। যে যার মত ঘুম থেকে উঠে যেয়ে দেখলাম সৈয়দ সাহেব আযান দিয়ে এক মনে কোরান পড়ছে। সৈয়দ সাহেবের আযানের ধ্বনি আর কোরান পড়ার গলা শুনেই হেমায়েত চাচা এর অন্যান্য চাচাদের মধ্যে চোখে চোখে কথা হয়ে গেল। সবার অনুরোধে সৈয়দ সাহেবই ওইদিন ফযরের নামাযের ইমামতি করল।



নামায শেষে সবার পক্ষ থেকে হেমায়েত চাচা অনুরোধ করলেন সৈয়দ সাহেবকে আমাদের মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব নিতে। কে যেন কেন সৈয়দ সাহেব এক কথায় রাজী হয়ে গেলেন, সেদিন থেকে তিনি আমাদের কাছে হয়ে গেলেন সৈয়দ হুজুর। এই হল আমাদের মসজিদে সৈযদ হুজুরের আগমন কাহিনী।



এই বার শুনুন সৈয়দ হুজুরের জীবন কাহিনী আমদের সাথে থাকা অবস্থায়। সৈয়দ হুজুর প্রায় ই রোজা রাখতেন। শারীরিক পরিশ্রমের কোন কাজে হুজুর সবার আগে এগিয়ে আসতেন। কখনো দেখিনি কোন কাজে তাকে না বলতে। কথা খুব কম বলতেন, মাঝে মাঝে কাজের ফাকে ফাকে গুন গুন করে খোদা প্রেমের কোন গান ধরতেন সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। আর হুজুর কিন্তু মসজিদেই থাকতেন। পাঞ্জাবী ওই একটিই ছিল



এখন শুনুন কি ভাবে আমরা সৈয়দ হুজুরকে আমাদের মধ্য থেকে হারালাম।



আমার চাচাতো ভাই আবু ছোট কাল থেকেই একটু আল্লাহওয়ালা মানুষ। আমার জানা মতে ওর নামায কখনও কাযা করতে দেখি নি। কোথাও কোন ইসলামী মাহফিল হলেই সেখানে সে উপস্থিত হবেই। সেবার ভান্ডারিয়ায় বেশ বড় একটা মাহফিল হয়েছিল এখনও আমার বেশ মনে আছে। ভান্ডারিয়া সদর থেকে আমাদের বাড়ী পায়ে হেটে প্রায় তিন ঘন্টা লাগে আর নৌকায় করে যেতে ৭ ঘন্টা। তো সেদিন মাহফিল শেষ হতে হতে মাঝ রাতের কাছাকাছি আর আপনারা তো জানেনই মাহফিল সাধারনত হয় শীতের রাতে।



আবু সেই মাঝরাতে মাহফিল শেষ করে বাড়ীর কাছে আসতে আসতে ঘড়ির কাটা প্রায় তিনটার কাছে চলে এসেছে। দরজার পুকুর থেকে হাত মুখ ধুয়ে মসজিদ অতিক্রম করে বাড়ীর মধ্যে ঢোকার সময় খেয়াল করল মসজিদের মধ্যে থেকে হালকা আলোর রেশ দরজার চৌকাঠ পেরিয়ে বের হয়ে আসছে। ভাবল হুজুর বোধ হয় আলো জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছে। আসতে করে দরজা ঠেলা দিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখল সৈয়দ হুজুর মসজিদের মেঝে থেকে দু হাত ওপরে শুন্যে এক মনে জিকির করছে আর কিছু হালকা সাদা অবয়ব হুজুর কে ঘিরে বসে আছে শুন্যে।



আবুর সংজ্ঞা হারাবার উপক্রম হল। কোনক্রমে কাপতে কাপতে বাড়ী এসে সবাই কে ঘুম থেকে উঠাল আর সবিস্তারে বর্ননা করল মসজিদে সে কি দেখেছে। ঘরে ঘরে ফিসফিসানি শুরু হল আবার হেমায়েত চাচার নেতৃত্বে আমরা মসজিদে গেলাম সেই রাতে। সৈয়দ হুজুর তখনও মসজিদে তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বসে আছে।



‘হুজুর আপনি কে’? হেমায়েত চাচা অত্যন্ত তাজিমের সাথে জিজ্ঞাস করলেন।



হুজুর মনে হল কিছুটা বিভ্রান্ত এতরাতে সবাই কে এক সাথে দেখে, ‘ভাই আপনি কি বলছেন আমি তো কিছুই বুজছি না’?



হুজুর আমি আপনাকে জোর হাতে অনুরোধ করি আপনি কে আমাদের বলুন আমরা হয়ত না বুজে আপনাকে কত তকলিফ করছি, বলুন আপনি কে’? হেমায়েত চাচা হাহাকার করে উঠলেন।



হুজুর ততোধিক বিস্মিত হয়ে অনুরোধ করলেন ‘ভাই বলুন কি হয়েছে’?



বাধ্য হয়ে হেমায়েত চাচা বর্ননা করলেন আবু কি দেখেছে। অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটল তখন দাঁড়ানো থেকে সৈয়দ হুজুর সেজদায় পরে গেলেন আর জোরে জোরে কান্না করে ব লতে লাগলেন, হে আমার রব আমি কি অন্যায় করছি তোমার কাছে, হে আমার পেয়ারী তুমি তো জান ই প্রেমের আনন্দ গোপনে, কেন তুমি তোমার আমার এই গোপন প্রেম সবার কাছে প্রকাশ করে দিলে? কেন কেন’? হাহাকার করে উঠল হুজুর।



‘আমি বুজতে পারছি তুমি আর চাওনা আমি এখানে থাকি তবে তাই হোক আমি আবার তোমার পথে নামলাম, আবার নতুন কোন ঠিকানা তুমিই আমার তৈরী করে দেবে’। কাদতে কাদতে হুজুর বললেন।



তারপর সেজদা দিয়ে উঠে আমাদের বললেন, ‘শুনুন ভাইয়েরা আমি আর এখানে থাকতে পারবনা আমার অন্য কোন খানে ডাক এসে গেছে। আবু এদিকে আস আমি একটু তোমাকে দোয়া করে দেই’। হুজুর আবুর মাথায় হাত রেখে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। আমরা পরিস্কার ভাবে দেখলাম আমাদের হ্যারিকেনের আলো গুলো এক পলক ঝিলিক দিয়ে উঠল।



হুজুর আরো বললেন, ‘ আজকের ফযরের নামায পরিয়েই আমি পথে নামব এই তার ইচ্ছে’। বলে উনি ওনার ঝোলাটা গুছাতে লাগ লেন।



আমরা ওনাকে একবারও থাকার জন্য অনুরোধ করলাম না কারন আমরা জানি ওনারা এই সব অনুরোধের উপরে অবস্থান করে। আমরা হুজুরকে হারালাম।



আমাদের মসজিদে আমার চাচাত ভাই আবু এখন ইমামতি করে, সে এখন মসজিদে থাকে। তার গায়ের পাঞ্জাবীটা কিন্তু বেশ কয়েক জায়গায় ছিড়ে গেছে অতি মমতায় সে সেটাকে তালি দিয়ে ব্যবহার করছে, কিছু বললেই বলে আমার আশেকে হুজুর এভাবেই জীবন কাটাচ্ছে আমি কি ভাবে নতুন জামা পড়ব। প্রায় রাতই আল্লাহর নাম নিতে নিতে রাত শেষ করে ফেলে আবু। এই হল আমার প্রেম কাহিনী……।



ভাল কথা আপনারা কি কেউ সৈয়দ আবদুল রহমান নামে কাউকে কোন মসজিদে দেখছেন? কি বললেন কেমন দেখতে……কেন বলি নি? প্রায় ষাট বছরের মত বয়স। লম্বায় ছয় ফুটের কাছাকাছি। মুখের দাড়ি প্রায় বুক পর্যন্ত এসে ঠেকছে। আর ছিল তার চোখ। আজব রকমের এক প্রশান্ত চোখ। এই রকম দীঘীর জলের মত শান্ত পবিত্র চোখ আমি কারো দেখিনি, জাগতিক মোহ থেকে মুক্ত না হলে এই ধরনের প্রশান্তি চোখে থাকেনা। কাধে একটা ঝোলা, আর গায়ে ছিল একটা হাটু পর্যন্ত লম্বা পাঞ্জাবী যে পাঞ্জাবীতে কমপক্ষে পনের ষোলটা সেলাই দেয়া। যদি দেখেন খবরদার কিছু বলবেন না কিন্তু উনাকে…… আমাকে আস্তে করে জানবেন আমি আর একবার ওনার পেছনে দাঁড়িয়ে নামায পড়ব।



হজুর আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন কিন্তু আমাদের বুক এখনো ভরে থাকে যখনই আমরা ওনার গল্প বলি। আমরা তাকে দেখেছি, আপনিও কিন্তু খেয়াল রাখবেন………



এটি আমার গল্প লেখার দ্বিতীয় প্রয়াস। প্রথম গল্প জাতিস্মর

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

খেয়া ঘাট বলেছেন: মোবাইল থেকে পড়লাম। ভালো করে কমেনট করতে পারলামনা।+ দিলাম

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২

শের শায়রী বলেছেন: এ তো আমার অনেক সৌভাগ্য। ভাল থাকুন ব্রো

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

সবুজ মহান বলেছেন: শের ভাই এটা গল্প ছিল !!


এত চমৎকারভাবে লিখেছেন যে শেষের লাইনটা না পড়লে বুঝতেই পারতাম না এটা গল্প !

খুব ভাল লেগেছে । চালিয়ে যান ব্রাদার ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

শের শায়রী বলেছেন: আপ্নার এহেন মন্তব্য আমাকে লিখতে অনুপ্রেরনা দেয়। ভাল থাকুন

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বেশ ভাল্লাগসে ||

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

এ.ডি.এম শাফী বলেছেন: এটা যে গল্প একদম শেষ প্যারায় আসার আগে বুঝতেই পারিনি,অসাধারণ হয়েছে! ব্যতিক্রমি একটা গল্প,একধরণের পবিত্র প্রশান্তিসূচক গল্প।
একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে,আমাদের অধিকাংশ লেখক তাদের গল্প উপন্যাসে হুজুরদেরকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে,অথচ বাস্তবতা কিন্তু উল্টো। এখনো এদেশের সাধারণ মানুষের কাছে একজন হুজুর ভালো মন্দের মাপকাঠি,হয়তো এ কারণেই হুজুররাও যে মানুষ এটা ভূলে গিয়ে তাদের ছোটখাটো ভুলও বরদাস্ত করতে পারে না! এটা আসলে অদ্ভূত একটা ব্যাপার!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: + লন । পরে পরুম :)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

শের শায়রী বলেছেন: লইলাম। পইড়া কইয়েন তখন ও + আছে কিনা? :)

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

এক্সপেরিয়া বলেছেন: সুন্দর হইসে । +++++ নেন পাঁচটা প্লাস দিলাম ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

শের শায়রী বলেছেন: নিলাম ব্রো

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

কামের কথা কন!! বলেছেন: গল্প টা ভাল হয়েছে কিন্তু এমন সত্যিকার গল্প কিন্তু আছে। আসলে ভাল মানুষ পৃথিবীতে আছে তো অবশ্যই হয়ত সংখ্যায় কম। যেদিন দেখবেন আর ভাল মানুষ নাই সেটাই হবে পৃথিবীর শেষ সময়। ডেড এন্ড।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২১

শের শায়রী বলেছেন: আসলে ভাল মানুষ পৃথিবীতে আছ। সহমত

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

তুন্না বলেছেন: অসাধারন একটি গল্প লিখেছেন। ++++++++++ রইলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১০

রাইসুল নয়ন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন,
বরাবরের মতই অসাধারণ ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু ...।

বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী ... বড়ভাই :)
যাই আপনার ছেলে দুই টাকে আর একবার দেখে আসি

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনি কিন্ত আমকে এই বার চিন্তায় ফেলে দিলেন। বলুন তো আপনি কে? /:)

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চমৎকার প্রশান্তিদায়ক গল্প।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

শের শায়রী বলেছেন: কেন যেন আপনার মন্তব্যগুলো আমাকে উৎসাহিত করে। ভাল থাকুন ভাই

১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

রাসেল মাহমুদ শুভ্র বলেছেন: অনেক ভাল লাগল

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।

১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

ঝটিকা বলেছেন: আমি তো ভেনেছিলাম আপনার লাইফের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার এটি একটি। গল্প খুব ভালো হয়েছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ঝটিকা

১৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহ ভয় পাচ্ছেন কেন ? নিজের নাম দিয়া ব্লগিং করি ...।

পেত্নি না নিশ্চয়ই B-))

আর তাছাড়া আপনাদের সময় তো মেয়ে রা ক্যাডার ও ছিল না :P

আমি আপনার ফেবু ঘুরে, শুধু ছবি ই দেখছি ... =p~ =p~ =p~

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাই ডরাইছি। পেত্নি যে না সে আপনার ছবি দেখেই বুজছি। মেসেজ দিয়েছি পেয়েছেন আশা করি

১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অদ্ভুত! অদ্ভুত!! অলৌকিক গল্প পড়ে একটা সত্যিকারের অলৌকিকতা আমার(হয়তো আরো অনেকের) চোখের সামনে পরিষ্কার। কি অদ্ভুত!! প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করেনা... একটি মুহুর্তের জন্যও নয় :D

একটি কবিতার কয়েকটি লাইন আবারো তুলে দিলাম আপনার ব্লগে,

চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয় বিচ্ছেদ নয়
চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন করার আর্ত রজনী
চলে গেলে আমারো অধিক কিছু থেকে যাবে
আমার না থাকা জুড়ে।। :) :)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৫

শের শায়রী বলেছেন: অলৌকিক এক আনন্দে নিজেকে বুদ হয়ে আছি আপনার মন্তব্য পেয়ে

১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা ... আপনি ভুল নম্বর এ ডায়াল করেছেন ;)

সত্যি আমি পাইনি

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৬

শের শায়রী বলেছেন: দয়া করে একটা মেসেজ দিতেন যদি আমার ফেবুতে..........

১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বিমুগ্ধ চিত্তে পড়ে গেলাম ++++

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫

শের শায়রী বলেছেন: আমি মনে করছিলাম বোধ হয় আপনার ভাল লাগেনি তাই কোন মন্তব্য করেন নি। ভাল লাগল মন্তব্য পেয়ে

১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০

তারছেড়া লিমন বলেছেন: আমাকে আস্তে করে জানবেন আমি আর একবার ওনার পেছনে দাঁড়িয়ে নামায পড়ব+++++++++++++++++++++++

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই সারাদিন ছিলাম শাহবাগ মাত্র বাসায় ফিরে আপনার পোষ্ট পড়লাম তাই দেড়িতে মন্তব্য দিতে হল

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাই রে আফসোস লাগছে থাকতে পারলাম না। ৯০ তে এই রকম সময় কাটাইতাম তবে এর থেকে খারাপ ছিল। পুলিশের সাথে ফাইট

২০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: বরাবরের মতই ভাল লাগলো......

দারুন লিখেছেন ব্রো.... গল্প মনেই হয়নি.... মনে হয়েছে বাস্তব....

ভাল থাকবেন ... ধন্যবাদ.....

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

২১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: মারাত্মক লাগলো। সত্য ঘটনা হলেই বেশী খুশি হতাম/

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: কে জ়ানে কোন খানে এটা হয়ত সত্যি হয়েছে!!!!!

২২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১০

ফারিয়া বলেছেন: সত্য নয়!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

শের শায়রী বলেছেন: একে বারে শেষ লাইন দেখুন প্লিজ "এটি আমার গল্প লেখার দ্বিতীয় প্রয়াস।"

২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৭

রায়হান০০৭ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, এই গল্পটা আমি এর আগে কোন পত্রিকাতে পরেছিলাম , দুর্ভাগ্য আমি বাড়িতে নেই তাই লিংক দিতে পারলাম না,
কিন্তু গল্পটা স্পষ্ট আমার মনে আছে, খুব সম্ভবত সেখানে লেখা ছিল এটি একটি সত্য ঘটনা :| :| :|

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনি গল্পটি রহস্য পত্রিকায় পড়েছেন। গল্পের নাম ও "একটি অলৌকিক প্রেম কাহিনী" দেশে যেয়ে আমি আপনাকে সংখ্যার নাম বলব। লেখকের নাম রেজওয়ানুল হক শোভন। গল্পটি লৌকিক অলৌকিক বিভাগে ছাপা। আরো বেশ কিছু লেখা ওনার ওই পত্রিকায় ছাপা হয়ে ছিল।



এখন শুনুন শের শায়রী আমার বাস্তব নাম না, পৃথিবীতে একজন ই ওই নামের আছেন। আর নিজের লেখা নিজে কেউ নকল করে না। আমি অবিভূত এত দিন পর ও আপনার সেই গল্পের কথা খেয়াল আছে। ভাল থাকুন।

২৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

রায়হান০০৭ বলেছেন: রহস্য পত্রিকা এক সময় আমার অন্যতম প্রিয় পত্রিকা ছিল, সেই ৮০'র দশক এর রহস্য পত্রিকাও আমার কালেকশনে আছে, যদিও এখন আর পড়ি না, কারন আগের পত্রিকায় যে প্রান ছিল বর্তমানে তা নেই, তাই বাড়ি গেলে এখনও আগের পত্রিকা গুলোই পড়ি, এক অদ্ভুত ভাল লাগায় মনটা ছেয়ে যায় , তাই আপনার মত এমন অনেক লেখাই আমার এখনও মনে আছে।
ভাল থাকবেন :) :) :)

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: জানেন ভাই কিযে এক ভাল লাগায় মনটা ভরে গেল আপনার অভিযোগ পেয়ে :) আরো কয়েকজন আভিযোগ করছিলো কারন আমার লেখা ব্লগের গল্পের মধ্যে বেশ কয়েক্টি কোথায় যেন পড়ছে। রহস্য পত্রিকায় আমার লেখা দিয়েই লৌকিক অলৌকিক বিভাগটি শুরু হয়েছিল।

আপনাদের স্মরন থেকে মনে হচ্ছে ৫/৬ বছর আগের গল্প এখন ও আপনাদের স্মরনে। আমার ধারনা ছিল এগুলো কেউ পড়লেও মনে রাখবে না। ৫/৬ বছর হল আর লিখি না। আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই চমৎকার অলৌকিক গল্প। প্রথমে ভেবেছিলাম, আমাদের প্রচলিত প্রেম কাহিনী। পড়ে দেখি, আধ্যাত্মিক প্রেমের গল্প।

এমন প্রেমিক কিন্তু বাস্তবেও আছে বলে আমার ধারনা। তবে এনারা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতেই পছন্দ করেন।

আপনি ভৌতিক গল্প পছন্দ করেন। আমার আরো দু'টা পোষ্টের লিঙ্ক দিলাম। আর আমি আপনার জাতিস্মর পড়তে গেলাম। আপনি একফাকে পোষ্ট দু'টা পড়ে মন্তব্য করলে খুশী হবো। তবে, প্রশংসা না, সমালোচকের দৃষ্টিতে। :)
তিনটি আধা-ভৌতিক মিনি গল্প
পাচটি সন্দেহজনক ভৌতিক মিনি গল্প

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

শের শায়রী বলেছেন: এই গল্পটা রহস্য পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল অনেক আগে ভাই। ইন ফ্যাক্ট আমার এই গল্প দিয়েই সে সময় রহস্য পত্রিকায় লৌকিক অলৌকিক একটা গল্পের বিভাগ খোলা হয়। কিছু চলার পর নিজের ব্যাস্ততা এবং এই টাইপের গল্প না আসায় সে বিভাগ টা বন্ধ হয়ে যায় পরে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.