নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিস্মর

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৩



বাহিরে কোথায় যেন প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হল। চমকে উঠলাম মেঘমন্দ্র গলার স্বরে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল কে যেন জলদ গম্ভীর স্বরে বলল লিখে রাখ জন্ম ১লা আষাঢ়, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ, রাত ৩টা ২৩ মিনিট………



রাত্রে আমি এক স্বপ্ন দেখেছি। এতো স্বপ্ন না এ যেন এক চলমান ছায়াছবি। কিছুতেই ভূলতে পারছি না সেনানায়ক বলীভদ্র, নগরনটী অম্ভা, রাজপুত্র চিত্রক সেন……



একি স্বপ্ন না মহাকালের স্মৃতি গহ্বর থেকে বের হয়ে আসা আমার পুরানো জীবনের কাহিনী। পূর্ব জীবন বলে কি কিছু আছে? আমি তো জানি মৃত্যুতেই সব বিলীন। কিন্তু শেষটাকেই শুরু করে আবার মহাজীবনের প্রারম্ভ কি এভাবেই হয়।



আমার স্বপ্ন যেন সেটাই ঈঙ্গিত দিয়ে গেল। এক জীবন মৃত্যু হতে অন্য জীবনের শুরু, বীজ হতে অঙ্কুর, অঙ্কুর হতে ফুল, ফুল হতে ফল আবার ফল হতে বীজ- এটাই কি জীব জীবনের পূর্নচক্র না? কিন্ত এই চক্র আমাদের পূর্নভাবে দৃশ্যমান নয়। মাঝখানের অনেকাংশ অব্যাক্ত। আমার স্বপ্ন যেন এই জীবন আর ওই জীবনের ওপর সেতু বেধে দিল। সত্যিই কি সেতু আছে? আমি বৈজ্ঞানিক। যুক্তি দিয়ে আমি কাজ করি। ইলেক্ট্রনের সুক্ষ্ম কনা নিয়ে আমার গবেষনা সেখানে অলীক কোন কিছুই আমি বিশ্বাস করি না। কিন্ত আমার স্বপ্নকে কি ব্যাখ্যা দিবেন।



ঘুম ভেঙ্গে গেছে। আস্তে করে উঠে বসলাম। যে শিশু কেদে উঠল সে কে আমি? মনে পড়ে গেল ৩৯ বছর পূর্বে ১লা আষাঢ়, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ, রাত ৩টা ২৩ মিনিট আমার জন্ম।



আমি স্বপ্নে দেখছি আমি বলীভদ্র প্রাচীন বৈশালী নগরীর মহারাজের প্রিয় সেনাপতি। সারা দেশ জুড়ে আনন্দ আহ্লাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কিছু কাল আগেই আমরা উজ্জয়নী নগরী কে যুদ্বে হারিয়ে অসংখ্য সম্পদ আর যুদ্ব বন্দী হিসাবে বেশ কিছু সুন্দর দাস দাসী নিয়ে এসেছি। ওই তো নগর নটী অম্ভা ঘুরে ঘুরে রাজার সামনে নাচছে। বুড়ো রাজা বল্লাল সেন মদের নেশায় চুড় হয়ে বসে আছে। অম্ভা কি আমার দিকে এক বার চোখের চকিত চাহনী দিয়ে গেল না?



দেবেই বা না কেন আমি এই রাজ্যর সবচেয়ে সুপুরুষ সেনাপ্রধান। ঘুঙুরের নিক্করে মাজে মাজেই আমার সামনে থেকে ঘুরে সরে যাচ্ছে। কিন্ত ওকি রাজপূত্র চিত্রক সেন ও তো একক ভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আমি বুজতে পারছি ওই লম্পট রাজপুত্রের আজ মনে ধরেছে নর্তকী অম্ভা কে কিন্তু আমি তা কেন হতে দেব? অম্ভা আমার হবে আজ রাতে, এ আমার ন্যায্য পাওনা, যেখানে অম্ভার চকিত সন্মতি আমি পেয়ে গেছি।



অম্ভার নৃত্য শেষ হল রাজকীয় ফুল বাগানের মধ্য দিয়ে ওর নিজের ঘরের দিকে যাচ্ছে, আমি ডাকলাম “অম্ভা” আমি তাকে স্পর্শ করতে গেলাম। লগু চরনে অম্ভা সরে গেল।



বলল “তুমি বুজি শিকারী, হরিনীকে কি এত সহজ়ে ধরা যায়?”



উস্মা স্বরে বললাম, ‘আমি শিকারী নই, তুমি নিষ্ঠুর বাজপাখী আমাকে খুন করেছ’।



এবার সে আমার কাছে এসে আমার উত্তেজিত বুকে হাত রেখে বলল, ‘দেখি’। তারপর দ্রুত লঘু পায়ে নাচের এক মুদ্রায় সরে গেল, ‘কই বধ তো করতে পারি নি, বোধ হয় সামান্য আহত হয়েছ। আমি আহত বাঘের কাছে যেতে পারব না’।



এ চটুলতার সামনে আমি বাকহারা হয়ে গেলাম। তখন সে আমার কাছে আসল, হরিনী চোখে মদির ভাবে আমাকে মেপে নিয়া আমার বুকের মধ্যে মাথা রেখে অস্ফুটে বলল, ‘তুমি বোধ হয় ছদ্মবেশী নাগরাজ আমি তোমাতে নিমজ্জিত’।



আমার শরীরের মধ্য দিয়ে বিদ্যুত বয়ে গেল।‘অম্ভা আমি নাগরাজ হলে আজি রাতে আমার নীল গরলের বিষে তোমাকে জর্জরিত করতে চাই’।



‘সেনা নায়ক তোমাতে দেখেই আমি নিমজ্জিত হয়ে আছি, আর কি ভাবে বলব’ অম্ভা ফিস ফিস করে বলল।



আমি বোধ হয় তখন মদের ভারে অনেক খানি তালহারা। হঠাৎ কিছু দূর থেকে কে যেন চিৎকার করল ‘অম্ভা’। তাকিয়ে দেখি রাজপূত্র চিত্রক সেন। খোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আর ক্রোধে মদমত্ত হাতীর মত হুয়াংকার করছে।



‘সেনানায়ক বলভদ্র, এইবার আমার অসির মধ্যে নিমজ্জিত হও’ আমকে কিছু বুজতে না দিয়েই আমাকে অন্যায় ভাবে আমার বুকের মধ্যে রাজপুত্র চিত্রক সেনের অসি নিমজ্জিত হয়ে গেল।



আমার দেহের সাথে আমার যেন একটা দ্বন্দ্ব চলছে, আমি আমাকে ধরে রাখতে চেষ্টা করছি কিন্ত পারছি না আমি যেন এক বায়ুহীন কারাকক্ষে বন্দী হয়ে আছি। প্রচন্ড কষ্টে আমি এখান থেকে মুক্তি লাভের চেষ্টা করছি। এই টানাটানি আমার কাছে অসহ্য হয়ে উঠল। তারপর হঠাৎ করে মুক্তি লাভ করলাম।



প্রথমে কিছু ধারনা করতে পারলাম না। রাজকীয় ফুল বাগিচায় আমি দাড়িয়ে আছি আমার পায়ের কাছে আমার মৃতদেহ পড়ে আছে। রাজপুত্র চিত্রক সেন অম্ভার হাত ধরে ধীরে নিস্ক্রান্ত হল আর কিছু রক্ষী আমার দেহটি কাধে নিয়ে চলল। বুঝলাম আমি মৃত। নর্তকী অম্ভা যে কিনা একটু আগে আমাকে নিয়ে ছলাকলা করছিলো একই ছলাকলা এখন সে রাজপুত্র চিত্রক সেনের সাথে শুরু করল। আমি নির্মিমেষ দৃষ্টিতে অম্ভার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। দেহের সাথে সাথে আমার কাম প্রবৃত্তির ও নিবৃতি হয়েছে।



এর পর আমার নতুন জীবন শুরু হল। শরীর নাই তাই রোগ শোক ও নাই। প্রথম কিছু দিন দেহবোধ ছিল আস্তে আস্তে তাও শেষ হয়ে গেল। জীবিত মানুষ স্থান, কাল আশ্রয় করে নিজের সত্ত্বাকে প্রকট করে কিন্তু প্রেতলোকে তা নেই। নিরবয়ব বলে বোধ হয় তার স্থান প্রয়োজন হয়না।



অবাধ এখানকার যাতায়াত। ঠান্ডা, গরম কোন বোধই আমাদের থাকে না। এখানকার কালের গতিও পার্থিব কালের থেকে ভিন্ন। পার্থিব এক চান্দ্র মাস আমাদের একদিনের সমান। তাই কালের বিভিন্নতার জন্য পার্থিব ঘটনা আমার কাছে অতি দ্রুত মনে হল।



রবি চন্দ্র তারা ঘুরছে কাল অগ্রসর হচ্ছে। বোধ হয় পৃথিবীর হিসাবে দুই হাজার বছর কাল অতিক্রান্ত হল তার পর এক দিন আদেশ আসল ফিরতে হবে।



অদৃশ্য শক্তির প্রেরনায় চন্দ্রলোকে আসলাম। ওখান থেকে সূক্ষ চন্দ্রালোক অবলম্বন করে আলোকের বেগে ছুটে আসলাম পৃথিবীতে। নিকষ কালো অন্ধকারে আমি প্রশান্ত জলরাশির ওপর দিয়ে একটি বড় বাগান অধ্যুষিত বাড়ীর ওপর স্থির হলাম।



তারপর এক অন্ধকার জগতে প্রবেশ করলাম। সামান্য উষ্ণ এক জলপাত্রে নিজেকে আত্মস্থ করলাম। স্থানুর মত নিশ্চল কিন্তু আনন্দময়। আমার সচেতন আত্মা কিন্তু অস্তিত্ব হারাল না। আমি যোগ নিদ্রায় নিদ্রিত হলাম।



সহসা এক দিন যোগনিদ্রা ভেঙ্গে গেল। প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি। আমি এই শান্ত নিরিবিলি উষ্ণ আধার ছেড়ে বের হতে চাচ্ছিলাম না।



যন্ত্রনা বাড়তে লাগল। সেই শ্বাস রোধকর যন্ত্রনা। সেই মৃত্যর সময়কার যন্ত্রনা। প্রচন্ড কষ্টে আমি এক পিচ্ছিল সুড়ঙ্গ পথ ধরে ধাবিত হলাম। যন্ত্রনা কান্নায় রূপ লাভ করল। কে যেন জলদ গম্ভীর স্বরে বলল, লিখে রাখ জন্ম ১লা আষাঢ়, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ, রাত ৩টা ২৩ মিনিট………



(আমার গল্প লেখার প্রথম প্রয়াস)

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

খেয়া ঘাট বলেছেন: আরেকবার পড়লাম, চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়।
+++++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আমার প্রথম গল্পে প্রথম মন্তব্য আপনি করলেন আমি কৃতজ্ঞ

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫১

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: ভালো লিখছেন ++++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাল লাগল +++

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: ওয়াও ..... বিমুগ্ধ হয়ে গেলাম .... দারুন লিখেছেন ..... এককথায় সুপার্ব...

"কে যেন জলদ গম্ভীর স্বরে বলল, লিখে রাখ জন্ম ১লা আষাঢ়, ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ, রাত ৩টা ২৩ মিনিট………"

খুব ভাল লাগলো আপনার প্রথম লেখা পড়ে আর মন্তব্য করতে পেরে...

ভাল থাকবেন .....ধন্যবাদ....।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। একটানে পড়লাম। চমৎকার।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

শের শায়রী বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে

৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

রমিত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২

শের শায়রী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

পদ্মারমাঝি০০৭ বলেছেন: প্রথম লেখা কারো এত এ-ত সুন্দর হয়!!!! আমার জানা ছিল না। আপনার ভিতর আরও কত সুন্দর যা কিছু আছে, সব টেনে বের করে দেখতে ইচ্ছে করছে। আসলেই আপনি খুব-ই সুন্দর লিখতে পারেন!!
আপনার পরের লেখাটা পড়বার অপেক্ষায় থাকলাম। আশাকরি নিরাশ করবেন না।
আবারও ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু উপহার দেবার জন্য।ভাল থাকুন আর লিখতে থাকুন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার যে কতবড় পাওয়া আমি নিজেই জানি না। আমার কৃতজ্ঞতাই জানাতে পারি শুধু

৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হু ...

প্রথম গল্প ...। :)

ভাললেগেছে


পদ্মারমাঝি০০৭ বলেছেন

আপনার ভিতর আরও কত সুন্দর যা কিছু আছে, সব টেনে বের করে দেখতে ইচ্ছে করছে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

শের শায়রী বলেছেন: এ আমার পরম পাওয়া মনিরা সুলতানা । ভাল থাকুন সব সময়

৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ata prothom proyash..daron hoyechhey

chomotkar golpo

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম

১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই প্রসংসা করার জন্য বলছি না আপনি অসাধারন লেখেন এইটাই মূল কথা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১২

শের শায়রী বলেছেন: আপ্নার অভিযোগ মাথায় নিতে ভাল লাগল

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাই প্রথম প্রয়াস কি কলম দিয়ে?? তার মানে এর আগে পেন্সিল দিয়ে অনেকবার লিখেছেন!! তারও আগে চক দিয়ে ??

মজা করলাম ভাইয়া। অনেক ভালো হয়েছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৩

ওস্তাদজী... বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর গল্প। পড়ে মন ভাল হয়ে গেল, প্রিয়তে।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: আপনি অসাধারন লেখেন +

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। কিছু শব্দের বানান ভুল চোখে লাগছিল। বাকিটা উপভোগ্য।

শুভকামনা অনেক।

দীর্ঘদিন ব্লগে বসতে পারিনি। অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্য দু:খিত।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আসলে আপনার মন্তব্য র জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ভাল থাকবেন। আমিও জানি বেশ কিছু বানান ভূল আছে। চেষ্টা থাকবে পরে শুধরে নিতে

১৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২২

হোসেন মনসুর বলেছেন: এক কথায় অসাধারন।

১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার প্রথম প্রয়াস নিঃসন্দেহে। 'জাতিস্মর' ভাবনাটা ভাবতে এমনিতেই আমার খুব ভালো লাগে। এ'নিয়ে অনেকদিন থেকেই একটা গল্প লিখবো ভাবছিলাম। এখন তো এটা লেখা আমার জন্য কঠিন হয়ে যাবে!!

বানানে বেশ ভুল থাকায় মাঝে-মধ্যে পড়ার স্বাভাবিক গতি নষ্ট হচ্ছিল.....তবে পড়ে মজা পেয়েছি। :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি ভাই বানানে অনেক ভুল আছে সেগুলো যে সারব আলস্য করে আর হয়ে ওঠে না।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীচে নোট দেয়া ছিল- গল্প লেখার প্রথম প্রয়াস- ব্যাপারটা অনেকেই উল্লেখ করেছেন, আমিও করছি- প্রথম লেখা বলে মনে হয় নি, অনেক পরিণত ও সমৃদ্ধ লেখা।

জন্মসাল ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ'র সাথে বল্লাল সেন আমলের সম্পর্ক কী? বল্লাল সেন ১১৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মারা গেছেন। এজন্য ১৩৭৯ বঙ্গাব্দ দেখে মনে হচ্ছে এটা আপনার জন্মসাল হতে পারে, সে হিসাবে আপনার বয়স এখন ৪৭+ :)

কিন্তু জাতিস্মর হিসাবে আপনার পুনর্জন্ম হলো তাহলে কত বছর পর? বল্লাল সেনের রাজত্বকালে ধরে নিই আপনি সেনাপতি ছিলেন। ধরে নিই তখন বাংলা ৪৫০ সাল। আপনার পুনর্জন্ম ১৩৭৯ সালে। আনুমানিক ৯২৯ বছর পর!! হিসাব কি ঠিক আছে? মানে, আমি কি ঠিক বুঝেছি?

একটা স্বপ্নের বর্ণনার ভেতর দিয়ে পূর্ব জনমের কাহিনি বলা হয়েছে। কথক ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন, এবং নিজেকে প্রশ্ন করছেন- যে শিশু কেঁদে উঠলো, সে কি আমি? অর্থাৎ, তিনি বর্তমানে একজন বয়স্ক পুরুষ বা যুবা, শিশু নন। এটা যদি কোনো ছায়াছবির সিকোয়েল হতো, তাহলে হয়ত অন্যভাবে দেখানো সম্ভব হতো।

একটা কথা খুব ভালো লেগেছে- 'আমার পায়ের কাছে আমার মৃতদেহ পড়ে আছে।' এখানেও ভাবছিলাম, চিত্রায়িত করা হলে এটা কীভাবে করা হতো।

কয়েক বছর আগে ইন্ডিয়াতে 'জাতিস্মর' ছবি হয়েছে- আমার কাছে ছবির নির্মাণ ও উপস্থাপনা অসাধারণ লেগেছে।

জাতিস্মর সংক্রান্ত বেশ কিছু গল্প পড়েছি, তার মধ্যে সুনীল ও বনফুলের গল্পগুলো উল্লেখযোগ্য।

এই কন্সেপ্টের উপর ৯০ দশকে একটা হিন্দি ছবি দেখেছিলাম। হিন্দি বুঝি না বলে নামটা মনে রাখতে পারি নি- তবে, নামের মধ্যে 'দোপাট্টা' শব্দটা ছিল বলে আবছা মনে পড়ে।

আপনার গল্প উপস্থাপনায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। ইতিহাস ও মিথের এমন সংমিশ্রণ অতুলনীয়।

অনেকেই বলেছেন, আমিও বলছি, আপনার বানান ভুল ও যতিচিহ্নের না-ব্যবহারে পড়তে সমস্যা হয়।

অফ টপিক : আপনার এই নিকের নাম কি আগে অন্যকিছু ছিল? আপনার নাম 'শের শায়রী' চোখে পড়ছে অল্প কয়েক মাস থেকে :( স্যরি, আমি ব্লগে খুবই অনিয়মিত ছিলাম বলে আগে লক্ষ করি নি শের শায়রী নামটা।

শুভেচ্ছা রইল।

ইতিহাসের সাথে মনে হয় পৌরাণিক মিথ যোগ করেছেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাই হিসাব পারফেক্ট :)

প্রথম প্রয়াস হিসাবে ভুল ভ্রান্তি তো কিছু থাকবেই, এটা কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লীজ :)

ভাই আমি অতি নগন্য একজন। ওই সময় মাত্র ৪/৫ মাস ব্লগে ছিলাম। এর পর ছাড়া ছাড়া ভাবে বছর খানেক ছিলাম বটে তবে নিয়মিত না, তারপর প্রায় ছয় বছর অনুপস্থিত। আবার উদয় হয়েছি। আমি ভাই শুরু থেকেই "শের শায়রী"। এই যে এখন দেখছেন আপনার মত পুরানো একজন সিনিয়র ব্লগার এই বা কম কিসে আমার জন্য?

কৃতজ্ঞতা জানুন।

১৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথম প্রয়াসেই বাজীমাত !

পুর্ণজন্মের দারুন সমন্বয়ের সাথে অপুর্ব প্রেমব্যঞ্জনায় মাখামাখি
আমার একটা কবিতা সিরিজ আছে জন্মান্তর নিয়ে... ত্রয়ী (জন্মান্তর সিরিজ কাব্য)
(সিরিজ কাব্য)

মুগ্ধ পাঠ!
অম্ভারা যুগে যুগে একই রয়ে গেল!! ;)

++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আমার প্রিয় ভাই, আমি খুব অল্প কয়েক কটি গল্প লিখছি বোধ হয় সব মিলিয়ে পাঁচটি। এক সময় "রহস্য পত্রিকা" আর সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রায় নিয়মিত লিখতাম, বিচিত্রার তুলনায় রহস্য পত্রিকায় অনেক বেশী লেখা প্রকাশ হ্যেছিল। কালের পরিক্রমায় সেগুলো হারিয়ে গেছে। অবশ্য আমার এই সব হারিয়ে গেলেও খুব বেশী ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না।

আমি অবশ্যই আপনার কবিতা সিরিজ দেখব।

হ অম্ভারা আছে বলেই আমরা ও ভ্রমর হতে পারি ;)

পাঠে কৃতজ্ঞতা।।

১৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

জুন বলেছেন: জাতিস্বরে বৌদ্ধরা বিশ্বাসী, তবে তাদের উদ্দেশ্য নির্বান লাভ আর তার পরেই তারা স্বর্গে যেতে পারে। এটা নিয়ে আমারও অনেক কৌতুহল শের শায়েরী। প্রথম গল্প বলে মনেই হলো না। বেশ পাকা হাতের লেখা। ভালোলাগা রইলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

শের শায়রী বলেছেন: বৌদ্ধদের দালাইলামা নির্বাচন "জাতিস্মর" শব্দটির সব থেকে বড় উদাহরন আপা। ইচ্ছা আছে দালাইলামাদের নির্বাচন নিয়ে একটা পোষ্ট দেব।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.