নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা ঢাকা ভার্সিটির অস্ত্রবাজরা - ২য় পর্ব

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৩


সময়টা ১৯৯৩ সালের দিকে, জাকির গ্রুপ পূর্নতা পেয়ে গেল। জাকিরের সাথে যোগ হল তার বন্ধু সূর্যসেন হলের সেক্রেটারি মামুন। মামুন, জাকির ছিল আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র। কিন্তু চেইন অভ কমান্ড অনুযায়ী জাকির ছিল বস। জাকির তার গ্রুপের ছেলেদের কাছে পীর হিসাবে মান্য হত। আমি নিজে দেখেছি এক ছেলে জাকিরের নামে কি যেন বলল জাকিরের এক লেফটেন্যান্ট আড়াল থেকে তা শূনে ফেলে এরপর ওই ছেলের কপালে নেমে আসে সীমাহীন নির্যাতন।

জাকিরের পরে যাদের অবস্থান ছিল, তারা আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল তাদের নাম কিং খালেদ (মুজিব হল), গুরু রুনু (এফ রহমান হল), ডন ( জহুরুল হক হল), টিটু (মহসিন হল), ডগ শিশির (মহসিন হল), মিলন (এফ এইচ হল)। অবস্থান গত ভাবে জাকিরের পরেই ছিল রুনু আর খালেদ। রুনু ছিল ওই সময়ের খুব টাফ ফাইটার। ভীষন একটা শীতল ছেলে। সারাক্ষন তার একমাত্র কাজ ছিল রাইফেলগুলো ঘষা মাজা করা। চোখ দুটো ছিল সাপের মত। শীতল। খালেদ ছিল সবচেয়ে হ্যান্ডসাম। ভীষন ষ্টাইলিশ। ১৯৯২ সালে ছাত্র লীগের সাথে এক ফাইটে রাইফেল হাতে গুলি করা অবস্থায় ওর ছবি এসেছিল জনকন্ঠ পত্রিকায়। খালেদ ছিল কেমিষ্ট্রির ছাত্র। মিলন ছিল ম্যাথ এর ছাত্র।

এদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারনে এক সময় আমার কপালেও দূর্ভোগ নেমে আসে। আমি তখনও মুজিব হলে যদিও আমি জিয়া হলে অ্যাটাচড। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে ততদিনে আবার রতন গ্রুপ ধীরে ধীরে মুজিব হল দখল করে নেয়। জাকির গ্রুপের সবাই তখন জিয়া হলে। আমি তখন মুজিব হলের ২১৯ এ থাকি।

একদিন সন্ধ্যায় দেখলাম মুজিব হলের সেক্রেটারি জুলমত ৭ জন ছেলে নিয়ে আমার রুমে এসে সরাসরি এক টা ৩০৩ কাটা রাইফেল আর একটা কাটা শটগান আমার দিকে তাক করে পরিস্কার গলায় হুকুম করে এখনই মুজিব হল ছেড়ে দিতে হবে। এর মধ্যে একজন রাইফেলের কক করে বসল আমার পায়ের দিকে তাক করে। তখন পায়ে গুলি করা খুব কমন একটা রেওয়াজ ছিল। বিভিন্ন কারনে ওরা আমাকে সেটা করল না আমিও সুরসুর করে বের হয়ে একদম জিয়া হলে যেখানে আমার বন্ধুরা ছিল। পরে গোপনে অন্যদের দিয়ে আমার বেডিং নিয়ে আস লাম জিয়া হলে।

খালেদ রুনু, মিলন, ডন, টিটু, ডগ শিশিরের পরে ছিল আসাদ, জাহিদ, অরিফ, সুজন, নান্না, পলাশ, শিমুল। ভার্সিটিতে এরা উপরে উল্লেখিতদের পরের ব্যাচে পড়াসুনা করত। আমি নিজে দেখছি ওই সময় এই সব ক্যাডারদের হিরোজিম ছিল ব্যাপক। ক্যাম্পাস দিয়ে এর যে পাশ দিয়ে যেত সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা অন্য পাশ দিয়ে যেত। ক্যাম্পাসের যে কোন ক্যান্টিন ছিল এদের জন্য ফ্রি।

অরুন দা মধুদার ছেলে এক অসামান্য চরিত্র। একদিন লিখব দাদা কে নিয়ে। সবার সাথেই খুব ভাল ব্যাবহার করত। কিছুদিন আগে অরুনদার সাথে দেখা করতে গেলাম অনেক কথা হল, অরুন দা সেই পূর্বের মত তার কাউন্টারে নিয়ে ঘন্টা খানেক আড্ডা দিল আমার সাথে।বলল দাদা বৌদি কে নিয়ে আসবেন। কেন যেন দাদা আমাকে খুব ভাল জানতেন এখন ও জানেন। আপনাদের জন্য একটা ইন্টারেষ্টিং তথ্য জানেন কিনা দেখুন। প্রতিদিন রাতে মধুর ক্যান্টিনের বয় বেয়ারাদের বিচার সভা হয় সারা দিনে কে কয়টা কাপ ভাঙ্গছে, কার নামে কাষ্টমার অভিযোগ দিছে এগুলোর দিনের বিচার দাদা রাতে করে। শাস্তি অনুযায়ী কারো কারো কপালে চড় চাপ্পড় জুটত।

জাকির ছিল বিরাট ফাউল। ও ফাউল জাকির নামেও পরিচিত ছিল ক্যাম্পাসে। একটা ঘটনা এখনো মনে আছে ততকালীন বিমান প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে মনে হয় নাম ছিল মেহনাজ ( স্মৃতি যদি ভুল না করে)। অহংকারী আর দেমাগী হিসাবে পরিচিত ছিল। একদিন ওই মেয়ে জাকিরের এক ছোট ক্যাডারকে গালি দিয়ে বসল। জাকিরের হাতে ছিল এয়ারগান। ক্যাম্পাসে তখন এয়ারগান দিয়ে বেলুন ফুটো করার খেলা চলত। ওই মেয়ের পেছনে কোমড়ের নীচে (আমি খুব ভদ্র ভাবে বললাম) গুলি করে দিল। দূর থেকে ঠিক নিশানায় লাগল। মেয়ে যতনা আঘাত পেল কিন্তু লজ্জা পেল তার থেকে বেশী। এরপর অনেক দিন ওই মেয়ে ক্যাম্পাসে আসেনি।

এই গ্রুপ যখনি ক্যাম্পাসে যেত কমপক্ষে ৪/৫ টি রাইফেল সাথে থাকত। অস্ত্র গুলি আলাদা ক্যারি করা হত। হলে অতিরিক্ত অস্ত্র লুকানোর জায়গা হিসাবে ব্যবহৃত হত লন্ড্রী আর ক্যান্টিন। জিয়া হলে এদের মুল কক্ষ ছিল ২২১। এ ছাড়া আরো ২/৩ টি রুম ছিল। আমি জিয়া হলে জায়গা পেলাম ৫২৩ এ। ৫২৩ এ আমার রুম মেট ছিল মঞ্জু এখন এডিশনাল ডিষ্ট্রিক্ট জজ, ইউসুফ ভাই বিসিএস দিয়ে এখন ADM। দেলোয়ার ভাই ব্রাক ব্যাঙ্কের ম্যানেজার।

যাই হোক ক্যাডারদের কথা বলি। আমি হলে ক্যাডারদের বন্ধু হিসাবে কখন ও আমাকে কোন মিছিল মিটিং য়ে যেতে হয়নি। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর হলে মিছিল হত দেখতাম খালেদ, মিলন বা রুনু কোমর থেকে রাইফেল বের করে ফাকা আওয়াজ করছে, সব রুম থেকে ছেলেরা উৎসবের আমেজে হলের করিডোরে নেমে আসল। স্লোগান শুরু হয়ে যেত ক্যাডার বা কোন রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে “অস্ত্র শিক্ষা একসাথে চলবে না, চলবে না” বলে। হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ তার থেকেও বিচিত্র এই দেশের মানুষ।

১৯৯৬ সালে নির্বাচন চলে আসল। আমি জীবনের প্রথম ভোট ওইবার দেই। তার কিছুদিন আগে খালেদা জিয়া মাগুরার বিতর্কিত উপনির্বাচনে তার দল কে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে পাশ করিয়ে আনে। আমার ভীষন খারাপ লাগল। ইউ ল্যাব স্কুলে ভোট দিয়ে জিয়া হলে সমস্ত ক্যাডার বন্ধুদের পরিস্কার করে জানালাম আমি আমার ভোট কিন্তু নৌকায় দিয়ে এসেছি।

খালেদ লাফ দিয়ে উঠল, “মানে, কি বলছিস তুই?”

“শোন খালেদ আমি রাজনিতি করি না তোদের পছন্দ করি, সত্যি কথা তোদের সাথে থাকতে থাকতে ছাত্রদলের প্রতি একটা দূর্বলতা এসেছে কিন্তু আমি আমার মাথা বেচে দেই নি। খালেদা জিয়া অন্যায় করেছে তার জবাব আমি ভোটে দিয়ে আসলাম। লাফ দিস না বসে থাক, আমি দেখতে চাই আওয়ামীলীগ কি করে দেশের জন্য”। শান্ত ভাবে বললাম।

পাশ থেকে শুনলাম ডনের হুয়াংকার “তুই বেঈমানী করছিস আমাদের সাথে থেকে আওয়ামীলীগ কে ভোট দিছিস কেন”

“ডন, শের যা করছে ওর বুদ্বিতে করছে, চিল্লাবি না একদম চুপ” রুনুর শীতল গলা আমার পাশ থেকে বলে উঠল।

হ্যা আমি ছাত্রদলের ক্যাডারদের সাথে থেকেও আমি ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ কে ভোট দিয়েছিলাম আর তা প্রকাশ ও করছিলাম। কারন আমি তোদের পছন্দ করি হয়ত তোদের পার্টিকেও কিন্তু আমি কারো কাছে মাথা বেচে দেইনি আমি, আমার দেশের জন্য যাকে ভাল মনে করব তাকেই ভোট দেব। আমার কাছে আমার দেশ সবার আগে। কিন্তু এখন আমি ভাবি কাকে ভোট দেব? আমার দেশে ভাল কেউ নেই, আমাকে পছন্দ করতে হবে দুইটা খারাপের মধ্যে কোনটা কম খারাপ। (চলবে)

পরের পর্ব সমুহঃ

আমার দেখা ঢাকা ভার্সিটির অস্ত্রবাজরা - ৩য় পর্ব

আমার দেখা ঢাকা ভার্সিটির অস্ত্রবাজরা -শেষ পর্ব

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++++++++++++

কেমন আছেন ?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২৭

শের শায়রী বলেছেন: আমি ভাবছিলাম অপূর্ন ব্রো কোথায়? আমার লেখা কি আর উনাকে টানে না? আপনাকে আবার পেয়ে চিন্তা গেল। ভাল আছি ব্যক্তিগত ভাবে কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতে ভাল নেই। কি হচ্ছে এসব। আপনি কেমন আছেন ভাই?

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমি আছি । ব্লগ থেকে ইচ্ছা করেই দূরে ছিলাম :|

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

শের শায়রী বলেছেন: আপ্নারা দূরে থাকলে কিন্ত লেখনির এই ধারাটা আবেদন হারাবে। লিখুন।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২০

আমিই মিসিরআলি বলেছেন: HARATE NAHI DEBO,
songei chilam,tobe onekdin por pelam.......

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: কেডা ভাই আপনি?

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

সবুজ মহান বলেছেন: ভাল লাগছে এই সিরিজটা । ++
যতদিন হলে ছিলাম অস্ত্রবাজ ক্যাডার দেখা হয় নি । হয়তবা রাজনীতি থেকে দূরে থাকি তাই দেখা হয় নি । তবে ছাত্রনেতাদের বিছানার নিচে রামদা এইসব দেখেছি ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমাগো যুগে আমরা রামদা দেখিনি। এখন শুনি অনেকে রামদা দেখে ও অস্ত্রবাজ নাম কেনে

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫০

ঝটিকা বলেছেন: আপনার এতো সাহস!!!!

আমি আগেও আপনার একটা মন্তব্যে বলেছিলাম ছেলেরা বোকা, কারন বন্ধু হিসেবে যে কাউকে নির্বাচন করে বসে। আজ এই পোস্টে আপনার অবস্থান দেখে আবারো কথাটা বললাম। আমি যতটুকু বুঝলাম, আপনি ছাপোষা মানুষ হয়েও ঐরকম দুর্ধর্ষ ক্যাডারদের সাথে ঘনিষ্ঠতা রেখেছিলেন। কিছু মনে করবেন না, এইসব নিয়ে আমার হাবি, ভাইদের সাথেও তর্কা-তর্কি হয় :) :)

ঐসব ক্যাডার গুলোর প্রেমের দিকটাও উল্লেখ করবেন। ঐসবেও জোর জবরদস্তি খাটাতো নিশ্চয়। অবশ্য ভাইয়া/কাজিনদের কাছে কিছু কিছু শুনতাম, কয়েকজন ক্যাডার ভালো ফ্যামিলি থেকে আসা, ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক সৎ ছিল।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

শের শায়রী বলেছেন: বহিন আমার সাহস নাই আমি খুব ভীতু। আর "ছেলেরা বোকা, কারন বন্ধু হিসেবে যে কাউকে নির্বাচন করে বসে।" এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেব এই লেখার শেষ পর্বে। দারুন এক চমক খাবেন নিশ্চয়ই। আপাতত এইটুকু দেখেন
Click This Link
দুটো পরিচিত নাম পাবেন


৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০১

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: জানলাম
এটা ঠিক দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের হাতে ভালো অপশন নেই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: ঠিক

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

htusar বলেছেন: চরম লাগলো ; চালাই যান ।। +++++++++++++++++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: চালাচ্ছি ভাই

৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৮

বইয়ের পোকা বলেছেন: লেখা অসাধারণ হয়েছে। আগের পর্বের মতোই। আরো জানতে চাই।

আপনাকে ধন্যবাদ ভেতরের খবর বলার জন্য।

এমন সুন্দর একটা লেখা অথচ, এত কম সংখ্যক পাঠক!!!!!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: চেষ্টা করছি নিরপেক্ষ থেকে ওই সময়ের অস্ত্রবাজির একটা চিত্র তুলে আনতে।

৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

অচিন.... বলেছেন: darun kichu jante parlam. Thanks :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

DJ টোকাই বলেছেন: লেখা অসাধারণ হয়েছে। ভাল লাগলো।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

ঝটিকা বলেছেন: আমি আপনার এই পোস্ট দেখেছি, মন্তব্যও করেছি। বন্ধু হলে বন্ধুর পাশে দাড়ায়ই। ব্যাক্তিগত ভাবে সে যেমনই হোক। ননক্যাডার ভদ্র ছেলেরা কি প্রয়োজনে আপনার পাশে দাড়াত না?

আসলে আমি কাছে দুরের অনেক ছেলেকে দেখেছি বন্ধুর হাত ধরে নষ্ট হয়ে যেতে, জীবন ধবংশ করে ফেলতে। অনেক সময় অযাচিত বিপদে পড়ে অনেকের জীবনও সংহার হয়। আপনি না হয় নিজেকে ভালো রাখতে পেরেছেন, সবাই কি পারে? তাই আমার দৃষ্টিভংগি হচ্ছে, খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করা।
(এই বিষয় নিয়ে কয়েকটা মন্তব্য করে ফেলেছি, আর করব না। অফটপিক হয়ে যায়, অনেকে বিরক্ত হতে পারে। হয়ত আপনিও)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনার আন্তরিকতা আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে। আমার আসলে কোন বোন নেই। আপনি যা বললেন তা পূর্ন ঠিক, আমি বের হয়ে এসেছি কিন্তু অনেক অনেক ছেলের জীবন আমি দেখেছি আমার চোখের সামনে ধ্বংস হয়ে যেতে। বোনদের নিয়ে ভাইরা কখনও বিরক্ত হয় না। ভাল থেকুন। কে কি চিন্তা করল তাতে আমাদের বয়ে গেল কি বলেন? :)

১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমার দেশে ভাল কেউ নেই, আমাকে পছন্দ করতে হবে দুইটা খারাপের মধ্যে কোনটা কম খারাপ।
যুদ্ধাপরাধী কাদেরের ফাসি চাই।


সহমত

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

শের শায়রী বলেছেন: এটা আমাদের দূর্ভাগ্য আমাদের রাজনীতি ভাল কিছু নাই। আমাদের চয়েস করতে হবে কোনটা কম খারাপ। এ বড় কষ্ট

১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

এন্টিবায়োটিক বলেছেন: ভাল লেগেছে ।ক্ষমতার পরিবর্তনের সাথে কিভাবে পালায় ,আর ও লিখবেন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

শের শায়রী বলেছেন: লিখব ভাই

১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

রিফাত হাসান০২২৮ বলেছেন: ভাই আপনার লেখা দুইটা পড়লাম ... আমার দুলাভাই ৯১ ব্যাচের ... উনার কাছ থেকেও এইসব ইতিহাস শুনি .. আর আমারে খুচা দিয়া বলে "ঐদিন ককটেলবাজির পর ... (আমি ছিলাম শহীদুল্লার ভিতরে) আমারে বলে আরে মিয়া আমাদের সময় এইসব ছিল ডালভাত জানের মায়া নিয়া ক্লাসে ্যেতাম চোখের সামনে আর্মস নিয়া চলতে দেখছি "

এখনও কিন্তু ক্যাডারদের বিছানার নিচে রাম দা চাপাতি থাকে :( X( X((

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাইরে আমরা রামদা যুগে ছিলাম আমরা ছিলাম কাটা রাইফেল আমলে।

১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

আমি মুখতার বলেছেন: আমি কারো কাছে মাথা বেচে দেইনি আমি, আমার দেশের জন্য যাকে ভাল মনে করব তাকেই ভোট দেব। আমার কাছে আমার দেশ সবার আগে।


অসাধারণ ভাই!!!!!!!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:

আপনার কোনদিন ক্যাডার হইতে মনচায় নাই ?? ;)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

শের শায়রী বলেছেন: পাগল নাকি ভাই আমি বিরাট ডরপুক ওয়ালা মানূষ ;)

১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

স্পাইসিস্পাই001 বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি ২য় পর্ব দেয়ার জন্য ধন্যবাদ.....

লেখা নিয়ে কোন কথা হবে না .......

উপস্থাপনা প্রশংসনীয়.....

চলবে মানে দৌড়াবে.....

যুদ্ধাপরাধী কাদেরের ফাসি চাই।

ধন্যবাদ

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো

১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

আল ইফরান বলেছেন: ২১৯ নাম্বার এখনো বঙ্গবন্ধু হলের বিখ্যাত রুম :P :P :P
আফটার অল, হলের সবচাইতে ত্রাস দুই-তিনজন ক্যাডার এখনো সেই রুমের বাসিন্দা :-B :-B :-B
এখন উত্তর ব্লকের ১-৩ তলার পুরোটাই পলিটিক্যাল /:) /:) /:)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: কি কন ভাই! ওই রুম থেকেই রুবেল ভাই বের হয়েছে মিল্টন ভাই বের হয়েছে। রুবেল ভাই এখন এক মন্ত্রনালয়ের ডি এস। খুব দেখতে ইচ্ছে করে রুমটাকে

১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

অণুজীব বলেছেন: ভালো লাগতেছে সিরিজটা । :) +++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো

২০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১১

রাজকুট বলেছেন: +++++++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো

২১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: যুদ্ধাপরাধী কাদেরের ফাসি চাই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: যুদ্ধাপরাধী কাদেরের ফাসি চাই

২২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পড়লাম ভাইয়া ... :|


০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: শুধু পড়লে হবে না বুজাই যাচ্ছে আপনি এদের কাউকে কাউকে চিনেন বলুন না তাদের নিয়ে নাকি ভয় পাচ্ছেন? ;)

২৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল্লাগসে।
না ভোট

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: ব্রো না ভোট কোন সমাধান না। আমাদের একটা সমাধান লাগবে

২৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

শ।মসীর বলেছেন: অস্ত্র শিক্ষা একসাথে চলবে না, চলবে না” :)

সেই সব বন্ধুরা এখন কোথায় !!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

শের শায়রী বলেছেন: চতুর্থ পর্ব আসবে তাদের বর্তমান অবস্থান

২৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খেক খেক :#) ভয় আর আমি =p~

কাউকে কাউকে চিনি সেটা আগে ও বলেছি ।। বাকি সব ত আপনি বলে দিয়েছেন , তবে আমি এত খুঁটিনাটি জানতাম না।
আমি ৯৩ থেকে ক্যাম্পাস এ , আপনি খেয়াখাট যা বলেছেন ঠিক তার উল্টা দিক নিয়ে ছিল আমার জগত ... আপনারা অনেক বেশি কাছে থেকে দেখছেন সব কিছু , সাধারন ছাত্র ছাত্রী রা এত কিছু জানতো না
বিতর্ক , ডাকসু কালচারাল টিম , বি, এন,সি,সি । এই সব নিয়ে ছিল আমার ব্যস্ততা তবে আমরা মেয়েরা এইসব বিষয় আপনাদের চাইতে অনেক বেশি ভাগ্যবান ।

আমার কর্তা ক।জ হল এর ।।বিধায় কিছু টা তখন শুনতে পেতাম

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

শের শায়রী বলেছেন: কি বললেন তখন বিতর্ক , ডাকসু কালচারাল টিম , বি, এন,সি,সি এগুলো ও চলত!!!!!!!??????;) :) :D B-)। ভাল থাকুন।

২৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহা দেখছেন , আমরা যেমন আপনাদের খবর জানতাম না , আপনি আবার আমাদের খবর একটু বেশি রাখতেন ;)

আপনার ফবু ঘুরে আসলাম :#)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

শের শায়রী বলেছেন: অস্তাগফেরউল্লাহ ম্যডাম। ফুল না বারুদের গন্ধেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম;) । তারপর ও এই অপবাদ ;)। আমার ফেবু তে ঢুকতে পারেন নি নিশ্চয়ই নো ট্রেসপাসার ;)। আপানার তো ফেবু র লিঙ্ক ই নেই আমরা কেমনে আপনার ফেবু ভ্রমন করব। খুব ভাল লাগছে পুরানো সময়ের কাউকে পেয়ে, ভাল থাকুন।

২৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

প‌্যাপিলন বলেছেন: জাকির ভাই এর আচরণ আর চেহারায় কিন্তু দারুণ মিল ছিল- হালায় পুরাই ফাউল। তবে মামুন ভাইরে খুব পছন্দ করতাম, আমার দেখা ক্যাম্পাসের সেরা সাহসী, তবে রাজনৈতিক বুদ্ধি কম থাকায় অনেক সুযোগ থাকতেও কিছু করতে পারলনা। জুলমত ভাইরে চিনতাম, তবে এরকম ঠান্ডা মানুষযে এত ভয়ঙ্কর হয় সেটা ধারণা ছিল। আসলে আমার যেটা দেখা সেটা ক্যাম্পাসের রিয়াল সাহসীরা হিরুজম কমই দেখাইতো, ফালতুগুলা বেশি ভাব নিত। জাকির যে বেলুনের বন্দুক দিয়া যে মেয়েরে টার্গেট করছিল সে মেয়ে আস্তে আস্তে শমী কায়সার হইয়া গেছে :) :) মিলন ভাইয়ের (যদি এফএইচ হলের হয়ে থাকে) সাথে আমার বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল।

মুজিব হলে তাজ মার্ডার নিশ্চয় আপনার ভাল মনে আছে, নাকি সে সময় বের হয়ে গেছিলেন। জসীম উদ্দিনের মোড়ে জাকির যে মামুন ভাই কে গুলি করে মারার চেষ্টা করছিল - সেটা শুনেছি, আপনার জানা থাকলে শেয়ার কইরেন

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

শের শায়রী বলেছেন: জুলমত কিন্তু সাহসী ছিল না। ওর সাথের আখতার সাহসী ছিল। মামুন ভাই একটু ভোদাই ছিল পরে তো মারাই যায়। তাজ মার্ডার আমার সময় হয় নি। পরে জাকির আর মামুন এর সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। মামুন ভাই কে ও খুব একটা সাহসীর মধ্যে ফালানো যায়না কিন্তু।
আপনি তো অনেক কিছু জানেন দেখছি

২৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

বাংলাদেশী আইডল বলেছেন: যেন সোমালিয়ার গল্প শুনলাম । শেষ পর্যন্ত কি মানুষ হতে পেরেছেন নাকি অমানুষ হায়েনাদের আদর্শের বন্ধুতা এখন ও আছে ? কি আজব দেশ ! এ পরিবেশ থেকে যারা বড় হয় তারা জাজ হয় , আর বিচার ব্যবস্হার পুটু মারে । বিচার ব্যবস্হাকে কলুষিত করে । আপনার এক বন্ধু জাজ হয়ে গেছে শুনলাম । তার কাছ থেকে কি জাজমেন্ট আসতে পারে ?

:( :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনি কিন্তু ভুল করেছেন। আমি কিন্তু এক বারো বলিনি যে জাজ বা বিসিএস অফিসার হয়েছে সে ক্যাডার ছিল, তারা ছিল আমার ৫২৩ এর রুম মেট। আর অমানূষ হায়না গুলোর কি হলো সেটা শেষ পর্বে আসছে। দয়া করে শেষ পর্ব দেখে তারপর বলুন এরা কি হয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা তারা আমার ব ন্ধু ছিল, আছে। ভাল থাকুন। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে সব সময় গর্বিত।

২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

অনিক করিম বলেছেন: @শের ভাই আপনাদের সময় রাজনীতির থেকে বন্ধু বরো ছিল । আমাদের সময় রাজনীতি বরো

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

শের শায়রী বলেছেন: ভালো লাগল আপনার উপলদ্বি। ধন্যবাদ আপনাকে

৩০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১১

কুন্তল_এ বলেছেন: দারুণ পোষ্ট, বহু স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। ২৭নং কমেন্টে ব্লগার প্যাপিলন ভাইয়ের সাথে একমত ... সত্যিকারের ক্যাডাররা হিরোইজম কম দেখাতো, তাদের ব্যবহারও ছিল তুলনামূলকভাবে ভাল। আপনার পোস্টে উল্লিখিত রুনু কি সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়তো?

ভাল থাকবেন। :)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনি রুনুকে কিভাবে চিনেন? হ্যা রুনু ছিল সত্যিকার ক্যাডার

৩১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০

রাইসুল নয়ন বলেছেন: ভালো লাগা ++++++++

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৩২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: যুদ্ধাপরাধী কাদেরের ফাসি চাই। ফাসি চাই।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৭

শের শায়রী বলেছেন: সহমত

৩৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

প‌্যাপিলন বলেছেন: মোস্তাফিজুল ইসলাম মামুন কিন্তু আমদের সময় ভয়ন্কর হয়ে উঠেছিল। জসীম উদ্দিন, জিয়া, মুজিব হলের তিন রাস্তার মোড়ে একবার জাকির প্রকাশ্যে মামুনরে মারার এটেম্পট করসিল। বুকে ঠেকাইয়া গুলি করেওছিল কিন্তু কি কারণে গুলি বের হয়নি। এরপর মামুন দৌড়ে পালায়। (এটা আমি প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে শুনিছে ঘটনার অল্প পরেই) তারপর থেকে মামুন বেপোরোয়া হয়ে ওঠে। আমি নিজেই দেখেছি মামুন ৯৭-এ একাই মুজিব আর জসীমউদ্দিনের ছাত্রদল ক্যাডারদের একাই দৌড়ানি দিতে। তবে এটা দেখেছি যে সে সময় অস্ত্রের রাজনীতি থাকলেও ক্যাডারদের একটা কোয়ালিটি ছিল। একারনে তাদেরকে সবাই সমীহ করতো। এখন নেতা ওঠার একটাই কোয়ালিটি চামবাজি রাজনীতি। ২০০৪ সালে রাত আটটার দিকে কি কাজে একবার নীলক্ষেত গিয়ে ভাবলাম ক্যাম্পাসে অনেকদিন যাওয়া হয়না, একটু ঘুরে যাই- এফ রহমানের সামনে আসতেই দেখলাম মুহসীন আর জহু হলের ছাত্রদল এর মধ্যে লাগছে। মুহসীন হলের ছাত্রদল জহুদের ধাওয়া করে অগো গলির মধ্যে ঢুকাইছে। একটু পর জহুরা সংগঠতি হয়ে মুহসীন হলদের ধাওয়া দিয়ে মাঠের পাশের গেস্টরুমের কাচগুলো ইটা মাইরা ভাইঙ্গা আসছে। যে মুহসীন হলে ছাত্র রাজনীতির সন্ত্রাসের জন্ম, মিনি ক্যান্টনমেন্ট বলা হতো সেই মহসীন হলের ক্যাডারা ঢিল ছুইরা মারামারি করে। এফরাহমানের কোনায় দাড়িয়ে দেখছিলাম আর হাসছিলাম।

আমার মন্তব্যে কেউ যদি মনে করে থাকেন আমি সন্ত্রাসকে সাপোর্ট করছি সেটা ঠিক হবেনা। আমি যেটা আবারো বলতে চাচ্ছি তা হলো সে সময়ের ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাসীদের একটা ক্লাস ছিল। সাধারণ ছাত্রদের দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া তারা কোন ধরনের ডিস্টার্ব করতোনা। এমনও উদহারণ আছে যে খুব ভাল ছাত্ররা যাতে নির্বিঘ্নে থাকতে পারে সে বিষয়টাও তারা দেখত। ভাল রেজাল্ট করেও শিক্ষক হতে পারছিলনা এমন অনেকে আজকে ঢাবির শিক্ষক হতে পেড়েছিল প্রশাসনকে অস্ত্রবাজদের হুমকির কারণে। কিন্তু আজকালকার ক্যাডাররা কিন্তু সরকারের পৃষ্টপোষকতায় মাস্তানী করে। দল ক্ষমতায় না থাকলে কালকেই ভেজা বেড়াল হয়ে যায়। এরাই নিরীহ ছাত্রদের টর্চার করে বিভিন্ন পন্থায়। এদের চেয়ে পুরনো যুগের সন্ত্রাষনির্ভর রাজনীতি অনেক শ্রেয় ছিল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৪

শের শায়রী বলেছেন: প‌্যাপিলন আপনার ম ন্তব্য আমাকে আমার হল ছাড়ার পরের কিছু তথ্য দান করল। ধন্যবাদ

৩৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪১

তোমোদাচি বলেছেন: স্লোগান শুরু হয়ে যেত ক্যাডার বা কোন রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে “অস্ত্র শিক্ষা একসাথে চলবে না, চলবে না” বলে। হায় সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ তার থেকেও বিচিত্র এই দেশের মানুষ।

হাসতেই আছি ... =p~ =p~ =p~ =p~

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

শের শায়রী বলেছেন: ভাই এই ব্যাপার টা এখনও আমাকে মজা দেয়।

৩৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৭

শেখ রুবে০০৭ বলেছেন: আপিনি ওদের কথা এভাবে বলতাছেন। আপনার ভয় করতাছে না।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

শের শায়রী বলেছেন: কন কি ভয় করতেছে না মানে!!!!!!!! হাত পা কাপছে।

৩৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: সাথেই আছি।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৩৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: ফাউল জাকির মেহনাজকে গুলি করেছিল, তার বাবা নামকরা রাজনীতিবিদ, মারা গেছেন । আর মেহনাজের বিয়ে হয় এক রাস্ট্রদূতের সাথে । মেহনাজ ভাল আছে । এই মূহুর্তে মেহনাজ আমেরিকাতে । আমার প্রতি তার েএকটা দুর্বলতা ছিল, যা সে আমার কাছে তার বিয়ের পর প্রকাশ করে । আমি নাকি রাগী এইজন্য আগে বলতে সাহস পায়নি ।

তবে আপনি অনেক পোড় খাওয়া গুরু বা বস । আপনার অভিজ্ঞতার বহর বেশী । আমি আপনার কথা টানবো আমার লেখাতে । একটু ব্যস্ত আছি । তবে ব্লগে না বসলে আমার ঘুম হয় না । ২৪ ঘন্টা আমি অনলাইনে থাকি ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২২

শের শায়রী বলেছেন: এই টা কি কইলেন? কে পোড় খাওয়া গুরু বা বস? কার কথা টানবেন লেখাতে? /:)

৩৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: আমার মন্তব্যে কেউ যদি মনে করে থাকেন আমি সন্ত্রাসকে সাপোর্ট করছি সেটা ঠিক হবেনা। আমি যেটা আবারো বলতে চাচ্ছি তা হলো সে সময়ের ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাসীদের একটা ক্লাস ছিল। সাধারণ ছাত্রদের দু'একটি ব্যতিক্রম ছাড়া তারা কোন ধরনের ডিস্টার্ব করতোনা। এমনও উদহারণ আছে যে খুব ভাল ছাত্ররা যাতে নির্বিঘ্নে থাকতে পারে সে বিষয়টাও তারা দেখত। ভাল রেজাল্ট করেও শিক্ষক হতে পারছিলনা এমন অনেকে আজকে ঢাবির শিক্ষক হতে পেড়েছিল প্রশাসনকে অস্ত্রবাজদের হুমকির কারণে। কিন্তু আজকালকার ক্যাডাররা কিন্তু সরকারের পৃষ্টপোষকতায় মাস্তানী করে। দল ক্ষমতায় না থাকলে কালকেই ভেজা বেড়াল হয়ে যায়। এরাই নিরীহ ছাত্রদের টর্চার করে বিভিন্ন পন্থায়। এদের চেয়ে পুরনো যুগের সন্ত্রাষনির্ভর রাজনীতি অনেক শ্রেয় ছিল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: সহমত ব্রো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.