নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
আঠারোশো আটান্ন সালের বসন্ত কলকাতার ডিরোজিও কোম্পানির প্রেসে ছাপা হয় একশো আশি পৃষ্টার একটি বাংলা বই পাঠকের হাতে পৌছুল। তাতে হাত দিয়ে দু চারটি পাতা উল্টিয়েই পাঠক বুজে গেল যে এটি একটি অসাধারন বই। নানা মহলে বইটি নিয়ে চলল আলোচনা সমালোচনা। তৎকালীন প্রধান সংবাদপত্র হিন্দু প্যাট্রিয়ট লিখল- এটি একটি অসাধারন বই। অসাধারন এই কারনে যে এই বইটি বাংলা ভাষায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। বাংলা কথা সাহিত্যকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছে। বইটির নাম “আলালের ঘরে দুলাল”। লেখক টেকচাদ ঠাকুর।
জোড়াসাকোর ঠাকুর পরিবারের সবাই তো হতবাক! টেকচাদ নামে তো কেউ নাই ঠাকুর পরিবারে, পরবর্তীতে জানা গেল এটি লেখকের ছদ্মনাম। আসল নাম প্যারীচাদ মিত্র। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায় এই বইটি বাঙালী লিখিত বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। আলালের ঘরে দুলাল প্রকাশীত হবার সাথে সাথে সাড়া পরে গিয়েছিল তৎকালীন সাহিত্য পিপাসু মহলে। এমন কি বিদেশিরাও উচ্চ প্রশংসা করেছিলেন। কিন্ত ব ইটির সবচেয়ে বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন করেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিশ্লেষন করে দেখালেন সেই সময় যারা সাহিত্যের অনুশীলন করতেন, তাদের কাছে সাহিত্যের দুটি পথ খোলা ছিল। হয় ইংরেজী সাহিত্যর অনুকরনে কিছু করা, অথবা সাংস্কৃত সাহিত্যর পথ ধরে সেই পথে কিছু সৃষ্টি করা। দেশীয় উপকরনের সাহায্যে নিজের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে নিজের মত কিছু লেখার চিন্তা করা সেই সময় লেখকদের মধ্যে ছিল অনুপস্থিত। বিদ্যাসাগর কিংবা মাইকেল কেঊই পারেনি সেই পথের সন্ধান দিতে। পেরেছেন এক মাত্র টেকচাদ ঠাকুর ওরফে প্যারীচাদ মিত্র।
প্যারীচাদের এই অসাধারনত্ব স্বীকার করে বঙ্কিম লিখলেন – “উহার পরে উৎকৃষ্ট গ্রন্থ তৎপরে কেউ প্রনীত করে থাকিতে পারেন, অথবা ভবিষ্যতে কেউ করিয়া থাকিতে পারিবেন; কিন্ত এই গ্রন্থ দ্বারা বাংলা সাহিত্যের যে উপকার হইয়াছে, আর কোন বাংলা গ্রন্থ দ্বারা সেই রূপ হয় নাই। এবং ভবিষ্যতে হইবে কিনা সন্দেহ। সাহিত্যের প্রকৃত উপকরন আমাদের ঘরেই আছে, তাহার জন্য ইংরেজী বা সংস্কৃতির কাছে ভিক্ষা চাহিতে হয়না। তিনিই প্রথম দেখাইলেন যে, যদি সাহিত্যের দ্বারা বাংলাদেশের উন্নতি করিতে হয় তবে বাংলাদেশের কথা লইয়াই সাহিত্য তৈরি করিতে হবে”। অথচ মজার ব্যাপার হচ্ছে এই বইটি প্রকাশনা একটি যুগান্তকারী ঘটনার জন্ম দেবে বা বইটি লিখে তিনি একটি মহৎ কর্মসম্পাদন করছেন- এমন কিছু ভেবে প্যারীচাদ মিত্র কিন্ত বইটি লেখা শুরু করেন নি। বইটি লেখার পটভূমি কিন্ত সম্পূর্ন ভিন্ন।
সেই সময় আর এক কৃতি বাঙালীর নাম রাধানাথ শিকদার। ইনি এভারেষ্টের উচ্চতা নির্নয় করে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন প্যারীচাদ মিত্রের ঘনিষ্ট বন্ধু।শোনা যায় রাধানাথ দীর্ঘকাল বিদেশে থাকার কারনে তিনি বাংলা ভাষা ভূলে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পরে তিনি হোচট খেলেন। বাংলা ভুলে যাওয়ায় দেশটাকে বিদেশ মনে হল। বাঙালী সমাজের সাথে একাত্ম হতে হলে পুনরায় ভাষাটিকে রপ্ত করা দরকার। তাই তিনি বিদ্যাসাগর ও অক্ষয়কুমারের লেখা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন। কিন্ত আধুনিকতার স্পর্শ পাওয়া তার মন বিদ্রোহ করে উঠল। তিনি বললেন – “যে ভাষা স্ত্রীগন বুজিবে না তাহা আবার কি ভাষা”? এই বোধ থেকেই বাল্যবন্ধু প্যারীচাদ মিত্র কে প্ররোচিত করতে লাগলেন সহজ় সর ল বাংলায় লেখার জন্য। এখানে বলে রাখা ভাল এই ঘটনার বেশ কিছু দিন আগে থেকে প্যারীচাদ “জ্ঞানান্বেষন” ও “বেঙ্গল স্পেকটেটর” নামে দুটি পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। বন্ধু রাধানাথ শিকদারের নাছোড় অনুরোধে প্যারিচাদ মিত্র উদ্যোগী হলেন সহজ বাংলায় লিখতে। কিন্তু ছাপবে কে? যেকটি বাংলা পত্রিকা আছে তারা রাশভারী বাংলা ছারা সহজ বাংলা গ্রহন করতে রাজী না। তখন দুজনের মিলিত প্রচেষ্টায় বের হল “মাসিক পত্রিকা”। এই পত্রিকায় তিনি টেকচাদ ঠাকুর ছদ্মনামে লিখলেন “আলালের ঘরে দুলাল” ধারাবাহিক ভাবে লিখলেন। তবে বইটির মোট তিরিশটি পরিচ্ছেদের মধ্যে শেষ তিনটি পরিচ্ছেদ পত্রিকাতে ছাপা হয়নি। গ্রন্থকারে প্রকাশের সময় বইটিতে সংযোজিত হয়।
ঘনিষ্টজনরা সাক্ষ্য দেয় আলালের ঘরে দুলাল লিখতে প্যারিচাদের যতটুকু অন্তরের তাগিদ ছিল তার থেকে ঢের ছিল পত্রিকার তাগিদ। একটা প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যি তিনি যেন মাসে মাসে একটা পরিচ্ছেদ লিখতেন। গ্রন্থকারে প্রকাশের সময় ও তার প্রত্যাশা ছিল খুব কম। গ্রন্থকারে প্রকাশের সময় বইটি যে তাকে সুখ্যাতি এনে দেবে এটা তিনি ভাবেনইনি; অমরত্বের চিন্তা তো দুরাশা। তাই গ্রন্থটি অযত্নের ছাপ ছিল প্রবল। ছাপা অস্পষ্ট, জাবরানো, বাধাই অত্যন্ত বাজে, বইয়ের পাতা গুলো ছিল ভূল বানানে ঠাসা। প্রথম সংস্করনে কত কপি ছাপা হয়েছিল তা আজ আর জানা যায়না তবে দ্বিতীয় সংস্করনে ১০০০ কপি ছাপা হয়েছিল।
এরপর ছাপা হয়েছিল প্যারিচাদ মিত্রের লেখা “বামারঞ্জিকা”, “কৃষিকাজ”, “যৎকিঞ্চিত” ও “মদ খাওয়ার বড় দায়” নামে চারটি গ্রন্থ। প্যারীচাদ আলালের ঘরে দুলালের দ্বিতীয় সংস্করন বিলাত থেকে ছাপাতে চেয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তার বন্ধু কাউল সাহেবকে চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোলকাতা থেকেই ছাপেন। এ সংস্করনের প্রচ্ছদ ও অলংকরন করেন শ্রী গিরীন্দ্র কুমার ঘোষ। পৃষ্টা সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছিল একশত নিরানব্বই। প্রকাশের তারিখ ১৫ই নভেম্বর ১৮৭০।
এরপর আলাল পাড়ি দিল সাত সমুদ্র তের নদী। লন্ডন থেকে বের হল “জার্নাল অভ দা ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান এসোশিয়েশন”। এই পত্রিকায় আলালের ঘরে দুলাল ধারাবাহিক ভাবে বের হতে লাগল ১৮৮২ সালের জুলাই সংখ্যা থেকে। ইংরেজী নাম ছিল “স্পয়েল্ড চাইল্ড”। অনুবাদক নরেন্দ্র নাথ মিত্র। প্যারিচাদের মৃত্যুর পর লন্ডন থেকে স্পয়েল্ড চাইল্ড পুস্তকারে প্রকাশিত হয় ১৮৯৬সালের ৪ঠা জুন। জিডি অসওয়াল্ডের সম্পাদনায়।
এতো গেল বইয়ের কথা। দৃষ্টি ফেরানো যাক লেখকের প্রতি। প্যারিচাদের জন্ম ১৮১৪সালের ২২শে জুলাই। পরিবারে লেখাপড়ার চল ছিল। ১৮৩৫নসালে তিনি যখন হিন্দু কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করে বের হয়ে আসেন তখন তিনি ২১ বছরের টগবগে তরুন। নতুন যুগের নতুন একজন মানুষই নন, বিশাল কর্মযজ্ঞে যাপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত। হিন্দু কলেজে পড়া সেরা ছাত্র। লক-রীড-স্টুয়ার্ড-ব্রাঊন পরা একজন বিদগ্ধ মানুষ। ১৮৮৬ সালে কলকাতে পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্টিত হলে অনেক লোভনীয় চাকুরী অফার প্রত্যাখ্যান করে যোগ দিলেন সহকারী লাইব্রেরীয়ান হিসাবে। আলালের ঘরে দুলালের লেখক ছাড়াও তাকে অনেক পরিচয়ে চিহ্নিত করা যায়। একাধারে তিনি ছিলেন নেতৃস্থানীয় সমাজ কর্মী, সফল ব্যাবসায়ী, সাংবাদিক। ১৮৮৩ সালের ২৩শে নবেম্ভর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে। তবে সেসব কর্মকান্ড নয় তাকে অমর করে রেখেছে আলালের ঘরে দুলাল যদিও সাহিত্যর পিছনে তিনি সময় দিয়েছেন সব চেয়ে কম। সে কারনেই রসিক ঘনিষ্টজনরা আলালের ঘরে দুলালকে বলেন উদাসীন লেখকের উৎকৃষ্ট সৃষ্টি।
কৃতজ্ঞতাঃ জাকির তালুকদারের একটি গবেষনা মূলক নিবন্ধ
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
শের শায়রী বলেছেন: এ আমার পরম পাওয়া আপানার মত এত বড় মাপের এক জন ব্লগার আমকে এ ধরনের কমেন্ট দিচ্ছেন। আমার কৃতজ্ঞতা নিন
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই এইটা কি বললেন :-& :-& :-&
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: সত্যি বলছি ভাই। আপনার পোষ্টগুলো অসাধারন। আমার মনে হয় আমাকে বোমা মারলেও অত সুন্দর লেখা বের হবে না। আমার গুলো তো জাষ্ট প্রবন্ধ টাইপের। বই পত্র হাতা হাতি করলে যে কেউ পারবে। আপনার মৌলিক লেখা গুলো চমৎকার। খুব ইচ্ছে আছে মৌলিক কিছু লেখার সাহস পাচ্ছিনা। সাহস দিন তো ভাই।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভাই আমি হলাম খিচুড়ি টাইপ ব্লগার , যখন যা ইচ্ছা লিখি । এইরকম একজন অখাদ্য টাইপ ব্লগারদের কাছ থেকে সাহস না নেয়াই ভাল রে ভাই । তবে আপনার জন্য আমার অন্তর থেকে দোয়া রইল এবং এই অধমকে আপনার পাশে পাবেন সবসময় ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: ভাল থাকবেন ব্রো।
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
আফসিন তৃষা বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
ইন্তাজ ভাই বলেছেন: কি আর মন্তব্য করব যা বলতে চাইছিলাম তা তো কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:
ঠিক বুঝতে পারছিনা আপনাকে আসলে কি মন্তব্য করা উচিত দিন দিন আপনার ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্টগুলো পড়ে আমি অবাক হচ্ছি ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: ভাই লজ্জা দিচ্ছেন। চেষ্টা থাকে আপনাদের সামনে যেন সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি। আপনাদের উদার মন্তব্য আমার জন্য প্রেরনা স্বরুপ। ভাল থাকবেন। আনন্দ। আনন্দ।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
রশীদ বলেছেন: ভাল লাগল। অনেক কিছু জানলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩
শের শায়রী বলেছেন: আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানুন
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন সংগ্রহ , এই পোস্ট বাংলা সাহিত্যর ১ম উপন্যাস ছাপা
এবং এর সটীক মুল্যায়ন সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলা হল ।
ভাললাগা থাকল
শুভকামনা
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৮
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আপনার প্রতিটি পোস্ট অসাধারণ। চমত্কার বিষয়গুলো নিয়ে লিখেন আপনি।
অত্যন্ত তথ্যবহুল এই পোস্টের জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯
কয়েস সামী বলেছেন: এই বইটা নিয়ে আগ্রহ অনেক দিনের। এই কাহিনীগুরা জানতাম না। ধন্যবাদ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
শের শায়রী বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৫
ইখতামিন বলেছেন:
আপডেটঃ আসিফ মহিউদ্দীন এখন শঙ্কামুক্ত এক পলকে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন ♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣♣ আসিফ! তুমি মৃত্যুঞ্জয়ী। তুমি অতিদ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে এসো। এই কামনায় আমি - ইখতামিন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ কাজ করেছেন একটা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
শের শায়রী বলেছেন: আপনাদের মন্তব্যে আমার পরিশ্রম সার্থক। ধন্যবাদ
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: অনেক ভাল লাগছে । তবে বাংলা উইকির কথাও একটু খেয়াল রাখবেন প্লিজ । যেটা বলেছিলাম ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫
শের শায়রী বলেছেন: শিওর নিয়েল ভাই। আপনার ওই ব্যাপারটা আমার মাথায় গুরছে। শুরু না করে শান্তি পাচ্ছিনা। ধন্যবাদ
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
চমৎকার কাজ করেছেন +
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো
১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৯
টিপু বলেছেন: প্যারীচাঁদ মিত্রের 'আলালের ঘরের দুলাল' বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কিনা তা নিয়ে সাহিত্য গবেষকদের মধ্যে মতভেদ আছে। অধিকাংশ গবেষকের মতে এটি একটি উপন্যাসোচিত রচনা। এ ধরনের রচনার সবচেয়ে আদি নিদর্শন হচ্ছে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' নববাবু বিলাস'। যেটি ১৮২১ সালে প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস লিখেছেন বঙ্কিমচন্দ্র। তাঁর 'দুগেশনন্দিনী'কেই (১৮৬৫) অধিকাংশ গবেষক বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে অভিহিত করেছেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যর জন্য। বঙ্কিমের ওই সময়ের বাংলা ঠিক সাধারনের জন্য ছিলনা।
১৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: দারুন পোস্ট ।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৫
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১
টিপু বলেছেন: এখানে তো বাংলা গদ্যশৈলীর কথা বলি নাই। বলেছি, প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস কোনটা? সেই কথাটা।
প্যারীচাঁদের বা বঙ্কিমের গদ্যের স্টাইল কতটা সাধারণের উপযোগী ছিলো সেটা অন্য আলোচনার বিষয়।
১৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩১
বল্টু মিয়া বলেছেন: আপনাকে ফেসবুকে এড করা যায় না কেন?
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
শের শায়রী বলেছেন: ভাই প্রাইভেসী সেটিংস এর জন্য, দয়া করে আমাকে একটা মেসেজ দিয়েন আমি এড করে নেব। আপনার সমস্যা হ বার জন্য আমি লজ্জিত
১৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০২
তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই কি বলবো বুঝতেপারছিনা দিন-দিন আপনার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি....... প্রতিদিন ঘুমাতে যাবার আগে আপনার লেখা না পড়লে মনে হয় কি যেন বাদ পড়ে গেল.......মিথ্যা বলছি না ভাই............. আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু শিখছি.....
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
শের শায়রী বলেছেন: ব্রো লজ্জায় ফেলে দিলেন। এতো আমার অনেক পাওয়া যে আপ্নারা মাঝে মাঝে আমার লেখা পড়েন। আমার কৃতজ্ঞতা নিন ভাই।
২০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৪
নোমান নমি বলেছেন: দারুন পোষ্ট। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ নোমান ভাই
২১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪০
সপ্নময় নীলাকাশ বলেছেন: ভাল লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: ভাল থাকবেন। আমার শুভেচ্ছা নিন
২২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
বিষণ্ণ বালক বলেছেন: এরকম আরও পোষ্ট আশা করছি। আমরা বর্তমান প্রজন্ম যখন দিনকে দিন নিজেদের শেকড়কে ভুলতে বসেছি তখন এধরনের পোস্ট ভীষণ দরকারি।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
শের শায়রী বলেছেন: আপনার এই উপলদ্বি প্রমান করে আমরা নিজেদের হারিয়ে যেতে দেব না। ভাল থাকবেন। সাথে আছি জানবেন।
২৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০০
সমানুপাতিক বলেছেন: +++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
কাউসার রুশো বলেছেন: খুব চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে দারুন একটি লেখা
বইটা সংগ্রহে আছে। সংগ্রহে আছে বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় উপন্যাস কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম পেঁচার নকশা।
হুতোম পেঁচার নকশা নিয়েও লিখবেন আশা করি।
++++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
শের শায়রী বলেছেন: রুশো ভাই খুব ই চ্ছে আছে লিখব হুতোম পেঁচার নকশা নিয়ে। আপনার উপ স্থিতি আমাকে অনুপ্রেরনা দেয়। ভাল থাকবেন।
২৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
সাদেকুর বলেছেন: ২২ নং মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
আমরা তোমাদের (বাংলা সাহিত্যের পথিকৃৎ) ভুলবনা।
+++++++++++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাল থাকবেন।
২৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
বিপদ সংকেত! বলেছেন: অসাধারণ একটা পোষ্ট, ভবিষ্যতেও আপনার কাছে থেকে এধরণের লেখা চাই। ধন্যবাদ।
২৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
বিপদ সংকেত! বলেছেন: ওহ্ হ্যা একটা কথা লিখতে ভুলে গেছি আপনাকে অনুসারিত তালিকায় এবং পোষ্টটি শোয়ার্ড করা হয়েছে। ধন্যবাদ
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
শের শায়রী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১২
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আলালের ঘরের দুলাল
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: হেই ম্যাম অনেক দিন ধ রে আপানাকে কোন মন্তব্য করতে দেখিনি, কি ব্যাপার আমার লেখা কি আর পড়ার যোগ্য না। আপনার ম ন্তব্য না দেখলে নিজের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খায়। ভাল আছেন তো? দেবী চৌধুরানী )
২৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনার ইতিহাস বিষয়ক পোষ্টগুলো আমার পড়ালেখা বিষয়ক কাজের জন্য জানা দরকার। তাই প্রিয়তে রাখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ভাবলাম অনেকগুলো তো। পরে মনোযোগ দিয়ে পড়ব।
দেবী চৌধুরানী না, মৃণালীনি দেবী
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১
শের শায়রী বলেছেন: আচ্ছা যান মৃণালীনি দেবী না কঙ্কাবতী )
৩০| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৮
রাকু হাসান বলেছেন: বাহ অনেক কিছু জানতে পারলাম
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২০
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ঠিক বুঝতে পারছিনা আপনাকে আসলে কি মন্তব্য করা উচিত দিন দিন আপনার ইতিহাস সমৃদ্ধ পোস্টগুলো পড়ে আমি অবাক হচ্ছি ।