নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি সহস্রবুদ্বি, চর্যাপদের কাহ্নপার কথা বলি ( এক হাজার বছরের পুরনো একটুকরো ইতিহাস)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪



ঐতিহাসিক শ্যামলকান্তি নাথের একটি পুরানো বই পড়তে যেয়ে সহস্রবুদ্বি নামে এর বাঙালির স্মৃতি কথা পেলাম। পড়তে পড়তে বারবার মনে হচ্ছিল আমিই যেন সহস্রবুদ্বি। পড়া শেষ হল কিন্তু এখনও আমি সহস্রবুদ্বির সাথে বসবাস করছি। সহস্রবুদ্বির সাথে আমার বসবাসের মাঝেই শুনুন আমার কথা

আমার নাম সহস্রবুদ্বি। নিবাস বাংলাদেশ। জন্ম ১০০০ খ্রীষ্টাব্দে। এখন আমার ৩৬ বছর বয়স। এ বছর রাজা মহীপালের রাজত্ব শেষ হল। রাজপুত্র ন্যায়পাল সিংহাসনে বসবেন কিছু দিনের মধ্যে। পাল রাজাদের গৌরব সূর্য প্রায় অস্তমিত। রাজা মহীপালের দরবারে আমি এক সামান্য কর্মচারী হলেও অভিজ্ঞতা অনেক। আমার কালের শ্রেষ্ট সঙ্গীত নির্ভর সাহিত্য চর্যাপদ। এ কালের কবিদের সবাই জানে সিদ্বাচার্য বলে। ৯২৫ থেকে ১০০০ সাল পর্যন্ত যারা চর্যাগিতী লিখে নাম করেছিল তাদের মধ্যে আমার প্রিয় দোহা লেখক হলেন কাহ্নপা, তবে গোরখপা, জলন্ধরপা, তিলোপা, নারোপা এবং মৈত্রীপা ও আছে। নামের শেষে “পা” মানে পদ। যেমন মৈত্রীপা মানে মৈত্রীপদ। এমন ভাবেই এ যুগের সিদ্বাচার্যদের নাম লেখা হয়েছে। কাহ্নপার একটা দোহা মনে পরে গেল।



সুন তরু বর গঅণ কুঠার।
ছেবহ সো তরু মূল ন ডাল।

“মানে হলঃ শুন্য গাছ। আকাশ যেন কুঠার। কেঠে ফেল সেই গাছ কান্ড আর ডালপালা না রেখে।“

আমাদের চর্যাগীতির লেখকরা সাধন পুজো করতেন। সন্ধ্যাভাষায় গান বাধতেন নানা রাগরাগিনী অবলম্বন করে। এ দের কেউ কেউ বাঙালী হিসাবে গর্বও করত। যেমন গুর্জরী রাগে একজন গান বেধেছিলেন

বাজ নাব পাড়ী পঊআ খালে বাহিঊ
অদঅ বাঙ্গালে লুড়িঊ।।
আজ ভুসুক বাঙ্গালী হল



আমার জন্মের বছর ১০০০ খ্রীষ্টাব্দে প্রথমবার ভারত আক্রমন করেন সর্বকালের কুখ্যাত লুটেরা সুলতান মাহমুদ। ঠিক তার দুবছর আগে সিংহাসনে বসেন সুলতান। সিংহাসনে বসেই প্রতিজ্ঞা করেন ফি বছর ভারত আক্রমন করবেন। কথা রেখে ছিলেন তিনি। ২০/২১ বছরের মধ্যে ১২ বার লুন্ঠন করেন ভারত। প্রথম অভিযানে পেশোয়ারের কাছে কয়েকটি দুর্গ দখল করে নেন, দ্বিতীয় আক্রমনে দূলিসাৎ করেন সেগুলো। যদিও রাজা জয়পাল খুবই চেষ্টা করেন প্রতিরোধ করার। কিন্তূ মামুদের ১৫ হাজার সৈন্যসামন্তের তোড়ে ভেসে যায় জয়পালের ১২ হাজার অশ্বারোহি, ৩০ হাজার পদাতিক, আর ৩০০ হাতির বিরাট বহর। তবে মামুদ আমার কাছে বিভীষিকা হয়ে আছেন অন্য কারনে। আমার বয়স তখন ১১ বছর। সুলতান বর্বর অভিযান চালালেন থানেশ্বর মন্দিরে, নগর ধবংস করেই থামলেননা, ভাঙ্গলেন মূর্তি, মন্দির, লূট করলেন দেবোত্তর সম্পত্তি, ধনদৌলত মনি মুক্তা।



প্রথম অভিযানের স্মৃতি হিসাবে সাত বছর পর সুলতান মামুদ তার বিজয় কৃতির স্মারক হিসাবে চালু করলেন “দিনার” নামে স্বর্নমুদ্রা। তবে আমরা আশ্চর্য হলাম যখন “দিরহাম” মূদ্রাগুলো প্রবর্তন করেন। এই তো কয়েক বছর আগে হিজরি ৪১৮-১৯ বা ১০২৮ খ্রীষ্টাব্দে। লাহোর জয় করে তিনি এর নাম দেন মামুদপুর। সেখান কার টাকশাল থেকে রুপোর মুদ্রা ছারলেন বাজারে, দুই ভাষায় দুই লিপিতে। এর এক পিঠে উপনিষেদের একশ্বর বন্দনা, অন্য পিঠে কুরান এর দুয়া। আরবি ভাষার কুফিক লিপিতে লেখা কোরান থেকে ইসলামি কলেমা ছাড়াও মূদ্রা প্রবর্তক, টাকশালের নাম এবং তারিখ। “আমিন-ঊদ-দ্দৌলা ওয়া আমিন উল মিল্লত বিসমিল্লাহ আল দিরহাম জরব বে মাহমুদ পুর সনহ ৪১৮। অপর পিঠে দেবনাগরী ভাষায় লিখা আছে “অব্যক্তমেকম মুহাম্মদ অবতার……নৃপতি মাহমুদঃ।“



ওদিকে আমার জন্মের বছর খানেকের মধ্যে পূর্বী চালুক্যদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়ে রাজ্যটা টুকরো টাকরা হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় হাল টেনে ধরেন দার্ণাবের ছেলে শক্তিবর্মন। ফিরে আসে শান্তি ও শৃঙ্খলার বাতাবরন। তবে দক্ষিন্যাত্যর সব চেয়ে বড় ঘটনা হল ১০০০ সালেই। চোলরাজ রাজারাজ, যিনি ইতিমধ্যেই নিজেকে একছত্র অধিপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।, জয় করেছেন, কলিঙ্গ, মালদ্বীপ এমন কি সিংহল। তার এক মহান কৃতি তাঞ্জাবুরের এক মনোমুগদ্বকর শিবমন্দির নির্মান। তার নামেই পরিচিত হয় এই কারুকাজ করা মন্দিরটি। পরে নাম পালটে হয় বৃহদীশ্বর।



মন্দিরের কথা যখন ঊঠল তখন খাজুরাহোর দেয়ালয়ের কথা কিভাবে ভূলি।খাজুরাহো গ্রামে এই মন্দিরগুলো তৈরী করেন চান্দেল্লা রাজারা। বিষ্ণূর বৈকুন্ঠরুপী মুর্তি যে মন্দিরে এখনো পুজো হচ্ছে তার নাম লক্ষন মন্দির।রাজা যশোবর্মন তৈরী করেছেন এটি ৯৫০-৫৫ খ্রীষ্টাব্দে। ১০০২ সালে অন্য এক চন্দ্রেল্ল নৃপতি ধঙ্গ তৈরী করেন বিশ্বনাথ মন্দির। মন্দিরের গায়ে যেমন দেবদেবীদের মূর্তি আছে তেমনি আছে সুর সুন্দরীদের ছবি কেউ কেউ আয়নায় প্রসাধনে ব্যাস্ত, কারো পায়ে কাটা ফুটে যাওয়ায় কাটা তুলতে ব্যাস্ত, এমন অপরূপ ছবি আমি কোথাও দেখিনি।



ঠিক এই সময় মালব দেশের ধারায় রাজ্যভিষেক হল ভোজরাজার। এই সময় বলতে আমি কিন্ত আমার জন্ম সময়কেই উল্লেখ্য করছি। তিনি কিন্ত অনেক শক্তি রাখতেন তার বাব সিন্ধুরাজের চেয়ে। অভিষেকের আট বছর পর তিনি সাহাযা করেন শাহিপালকে সুলতান মাহমুদের বিরুদ্বে। এরা কিন্ত ছিলেন পরমার বংশের রাজা। ভোজরাজা ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী। অলঙ্কারশাস্ত্র, ব্যাকরন, চিকিৎসাশাস্ত্র, জোত্যিবিদ্যা, যোগশাস্ত্র ছাড়াও ধর্মশাস্ত্র ছাড়াও অনেক বই লিখছেন। এমন কি বঙ্গালদেশের দুজন ধর্মশাস্ত্র লেখক জিতেন্দ্রিয় এবং বালক তার মন্তব্য নিয়ে বই লিখছেন।



এবার আমার প্রিয় সিদ্বাচার্য কাহ্নপার গল্প বলি। কাহ্নপার আসল নাম আচার্য কৃষ্ণচারী। দেশ সোমপুর, রাজা দেবপালের প্রতিষ্টিত সোম্পুর বিহারের ভিক্ষু ছিলেন। জলধারপা ছিলেন তার গুরু। বার বছর সাধনা করার পর এক ভূমিকম্পের দিনে তার মনে হল সে বজ্র দেবতার সাক্ষাতকার পেয়েছেন।তার মা ডাকিনি বললেন খোকা, “ভূমিকম্প অশুভ লক্ষন। তাই উল্লসিত হোয়না দেবতার সাক্ষাতকার পেয়েছ বলে”।



কাহ্নপার গর্ব আর বিনাশ নিয়েও কিছু গল্প আছে, একদিন পাথরে পা রাখা মাত্র পাথরটি ডুবে গেল, কাহ্নপার মনে হল আমি চুড়ান্ত সিদ্বি লাভ করছি, তার মনে গর্ব এল। তার পর যখন পা তুললেন দেখলেন তার পা মাটির এক হাত ঊপর, তখন তার আগের চেয়েও গর্ব হল, তারপর আকাশে সপ্তছত্র দেখা দিল, সাত ডমড়ুর ধবনি আপনা থেকে বেঝে ঊঠল, এই সব দেখে কাহ্নপা ভাবল তার সিদ্বিলাভ হয়ে গেছে। শিষ্যদের ডেকে বললেন তিনি সিদ্বি লাভ করছেন। সমুদ্রতীরে এসে শিষ্যদের রেখে তিনি সমুদ্রের উপর দিয়ে হাটতে লাগলেন। প্রচন্ড অহ্ঙ্কারে ভাবলেন আমি যা করতে পারি আমার গুরু জলন্ধারপা ও তা পারেনা।এ কথা ভাবতেই সমুদ্রের জ্বলে ডুবে গেলেন। জলের অতলে তলিয়ে যেতে যেতে দেখলেন তার গুরু জলন্ধরপা তার সামনে এসে হাজির। গুরু জিজ্ঞেস করলেন কি হয়েছে তোমার? কাহ্নপা বুজতে পারলেন অহঙ্কার তার সমস্ত কিছু হরন করছে। গুরু জলন্ধরপা একটু হেসে বলেন অহঙ্কার আর ঈর্ষা মানুষের সব গুন নষ্ট করে। এই বলেই জলন্ধরপা মিলিয়ে গেলেন।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাজ নাব পাড়ী পঊআ খালে বাহিঊ
অদঅ বাঙ্গালে লুড়িঊ।।
আজ ভুসুক বাঙ্গালী হল

এই কথাটি একটু তর্জমা করে দিলে ভালো হয় ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: বজ্রনৌকা পেড়ে পদ্মখালে বাওয়া হল, অদ্বয় বাঙ্গালের দ্বারা দেশ লুঠ হল। আজ ভুসুকে বাঙ্গালি হল। ( আক্ষরিক অনুবাদ)।
ভাল থাকেন ভ্রাতা।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আপ্নিত ভালই চর্যাপদ জানেন দেখছি

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

শের শায়রী বলেছেন: দূর মিয়া ও রকম সবাই জানে, দুই চার লাইন জানলেই চর্যাপদ জানা হয় না।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

শাহরিয়ার এম বলেছেন: ভালো তো!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ব্রো

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত জানেন কিভাবে ,? এত কষ্ট কেমন করে করেন ?


++++++++++ :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

শের শায়রী বলেছেন: এত সুন্দর একটা কমেন্ট করলেন। আর কি কোন কষ্ট আছে? ভাল থাকুন ম্যাম।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫

মাক্স বলেছেন: অহঙ্কার আর ঈর্ষা মানুষের সব গুন নষ্ট করে। +++++++++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: "অহঙ্কার আর ঈর্ষা মানুষের সব গুন নষ্ট করে" লিখাটা লেখার পর থেকেই মাথায় গুরছে। ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: সুন্দর বিষয়বস্তু ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ঘুমন্ত ভাই

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

ইলুসন বলেছেন:

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ নিন ভাই

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৯

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: আপনি সহ প্রিয় ব্লগারদের সম্মান জানিয়ে পোস্ট দিয়েছি, ভালো থাকবেন...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: ভীষন ভাল লাগল এত এত বাঘা ব্লগারদের সাথে নাম দেখে, আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

শিরিষ গাছ বলেছেন: যে বইটি পড়ে পোস্ট টি লেখার তাগিদ অনুভব করেছেন। বইটি নিশ্চয় ভালো হবে। নাম উল্লেখ করলে ভালো হয়। যদি পারি সংগ্রহ করে পড়ব। ঐতিহাসিক শ্যামলকান্তি নাথের বইটির কথা বললাম। পোস্ট ভালো লাগল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ব্রো আমি জানি না ওই বই এখন আর পাবেন কিনা, অনেক পুরানো বই, ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত। একটি পাতলা বই নাম "হাজার বছর আগে"। ভাল থাকবেন।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অসাধারণ! অসাধারণ!! অসাধারণ!!!


অনেক অনেক ভালো লাগল শায়েরী ভাই তবে মন্দিরগুলোর ঠিকানা সঠিক চিনতে পারলাম না।


অঃটঃ এখন আপনি কোথায়? দেশের বাড়ীতে এসেছেন নাকি?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: ভ্রাতা ৫ তারিখ দেশে আসছি, ২ সপ্তাহের জন্য এখন আমার প্রিয় বরিশাল। :) :D । ভাল আছেন তো।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

আয়মানভষ্কি বলেছেন: ইন্ডিয়া থেকে প্রকাশিত বই যাচাই না করে এভাবে দেবেন না। যদি ইন্ডিয়ান হন তাহলে ভিন্ন কথা। সুলতান মাহমুদের মত মহান বীর ও মানবতার বন্ধুকে লুটেরা বলে ইতরগুলো! পৌত্তলিক হিন্দু সমাজের উচ্চশ্রেনী যারা সংখ্যায় নগন্য কিন্তু ধর্মের ধূর্তামিতে সব সম্পদ মন্দিরের আশ্রয়ে কুক্ষিগত করতো অবশ্যই তাদের কাছে মাহমুদ আতঙ্ক ছিলো কিন্তু তিনি ছিলেন ওই সমাজব্যবস্থার নিপীড়িত সর্বস্বহারানো অথচ সংখ্যায় বিপুল "ছোটজাত" দের কাছে দেবতা সমতুল্য।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বাংলাদেশী। আমি আসলে অত বুজে শুনে লিখি না, কিছু একটা পড়লাম, লিখলাম, লিখতে ভাল লাগে বলে, আর আমার লেখা এত মূল্যবান কিছু না যে আমার লেখা পরে মানুষ মহান কোন বীর কে লুটেরা মনে করবে, অথবা লুটেরা কে মহান বীর মনে করবে, এই তো আপনি যেমন আমার ভূলটা শুধরে দিলেন। না লিখলে কি ভাবে জান তাম এটা? ধন্যবাদ আবারো। ভাল থাকুন।

১২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

শিশেন সাগর বলেছেন: nice concept. hope u should continue

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো। চেষ্টা করব

১৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

এস বাসার বলেছেন: সুপার্ভ! ধন্যবাদ।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন

১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৪

নিভৃতা বলেছেন: অহংকার পতনের মূল। যে অহংকার করে সে যদি তা বুঝিত। আজ নাগরিলিপির পোস্ট দিয়ে আমার অনেক উপকার হলো। অনেক অজানাকে জানা হলো।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে এতসুন্দর জ্ঞানসমৃদ্ধ একটা পোস্টেের লিংক আমাকে দেয়ার জন্য।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.