নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই মুরুব্বীরা এখনো আছে

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬


মাদের ছোটবেলায় কৈশরকাল আর যৌবনের প্রারম্ভিক সময়কালের প্রায় পুরোটাই গেছে মুরুব্বীদের চাপের উপরে।
বাঙ্গালীর আদি চরিত্র সবলের- দুর্বলের উপরে, ক্ষমতাবান অক্ষমের উপরে, অর্থবান দরিদ্রদের উপরে যেমন চাপিয়ে দেয় ঠিক তেমনি মুরব্বীরাও ছোটদের উপর এমন চাপিয়ে দিত। এতে কোন অপরাধ গ্লানিবোধ মায়া মমতা স্পর্শ করত না তাদের। ছোটরা মানেই 'কাম কাজের পোলা-মাইয়া'; এইটা নিয়ে আস, ওইটা নিয়ে আস, এইখানে যা ওইখানে যাও- সামনে পাইলেই দৌড়ের উপরে রাখা। বড়দের কথা একটু দাঁড়িয়ে শুনতে গেলেই; এই পিচ্চি পোলাপাইন বড়দের মধ্যে কি কিংবা বড়দের কথা শুনছ কেন? ভাগো এখান থেকে।
আর যদি বড়দের কথার মাঝে নিজের একটু স্বাধীন মতামত পেশ করত তবেতো কথাই নে; কথা যত যৌক্তিক হোক না কেন। বড়দের বচন ছিল, বাচ্চা পুলাপান এত কথা বলতে হবে কেন? দেখছ না মুরুব্বীরা কথা বলছে? তোমার কাছে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করেছে?
কেউ আবার এক কাঠি সরেস হয়ে বলত, আইজকালকার পুলাপান বেশী পাকনা হয়ে গেছে।

রের মধ্যে আমাদের ছিল পরিপূর্ণ পরাধীনতা। এমন কি বাইরেও সালাম, আদব লেহাজ, পোষাক, চলন বলন, বন্ধু আড্ডা এই নিয়ে বড়দের কটুক্তি ওয়াজ নসিহত ছিলই।
বাইরে একটু নিভৃতে সমবয়সী বন্ধুদের আড্ডাতেই ছিল একটু প্রশান্তি। সেখানে মন খুলে কথা বলা যায়, ইচ্ছে মত খিস্তি খেউড় করা যায়, রাজ্যের যত দুরন্তপনায় সেখানে কোন বাঁধা নিষেধ ছিল না। তাই সারাক্ষন পরে থাকত মন সেখানে।
আমাদের গ্রাম মফস্বলের মানুষেরা এখন আধুনিক বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হয়েছে- আগে যেটাকে ট্যবু হিসেবে ভাবা হত এখন সেটা নিতান্তই এলেবেলে হয়ে গেছে। আমরা দেশ বিদেশ ঘুরে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছি - সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছি। দেশে কিংবা বাইরে মনন মানসিকতায় অনেক বেশী আধুনিক ও উন্নত চিন্তা চেতনার অধিকারি হয়েছি সত্য কিন্তু জেনিটিক্যালি আমাদের সেই আদিম চরিত্র থেক এখনো বের হতে পারিনি।

ছোটদেরকে আমরা এখনো ছোটই ভাবি।এখনো ভাবি ওরা সবকিছু করবে ঠিক আছে কিন্তু আমাদের (মুরুব্বীদের) গাইডে। মুরুব্বীরা যে বিষয়ে পড়তে বলবে সে বিষয়ে পড়বে, যে ভাবে এইম ইন লাইফ ঠিক করতে বলবে সেভাবে ভবিষ্যতকে সাজাবে। মুরুব্বী যদি চায় সে ডাক্তার হবে তবে সে ডাক্তারী পড়বে- ইঞ্জিনিয়ার চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং। বিয়েটাও করতে হবে তাদের মতে, জাত পাত পরিবার ছাড়া সুরৎ, শিক্ষা অর্থ দেখা শেষে দেশের বাড়ি ভাষা আচার ব্যাবহার সব দেখে সিদ্ধান্ত নিবে তারাই। এমনকি ভাই-বোন কয়টা, তারা কি ছোট না বড় এই নিয়েও ক্যাচালের অবকাশ থাকে। সবকিছু শেষে শুধু বিয়ের খাবারে মাংশ শক্ত হল কেন এই নিয়ে মুরুব্বীরাই বিয়ে ভেঙ্গে দিল। বর কনে কিছু বলতে গেলেই- ধমক দিয়ে চুপ- তোমরা কি বোঝ চুপ কর।
আমাদের ব্লগে এমন কিছু মুক্তিযোদ্ধা এখনো সক্রিয় যারা নিতান্ত কিশোর বয়সে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা মুরুব্বীদের না জানিয়ে গোপনে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। যুদ্ধ বিজয়ের পরে যারা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন দেখেছিলেন- কিন্তু তখুনি গর্ত থেকে বেরিয়ে আসলেন সব মুরুব্বীরা। একদল মুরুব্বী দেশ পরিচালনার পুরো ভার তাদের হাতে নিয়ে নিলেন আরেক দল হলেন বিশ্লেষক, বিশেষজ্ঞ আর মন্ত্রনা দাতা।

বার এককথা পুলাপান কি বোঝে ওদের রক্ত গরম ছিল যুদ্ধ-টুদ্ধ করছে, এখন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাক। পড়াশুনা করুক খেলাধুলা করুক, দেশটা মুরুব্বীরা সামলাক- ওরা এই গুরুদায়িত্ব নিতে পারবে না।
গত ৫৩ বছর দেশটা এই মুরুব্বীদের দ্বারা পরিচালিত হল। সেইসব কিশোর সদ্য যুবক একদিন মুরুব্বী হল-তারাও আগেকার মুরুব্বীদের একই চরিত্রের উত্তরাধিকার হল।
নতুন বাংলাদেশে নতুন একদল উদ্যোম টগবগে রক্তের কিশোর তরুন ফের জেগে উঠল। নাহ্‌ এইভাবে আর দেশ চলে না। তথাকতিথ ফার্মের মুরগীরাও ফার্মের আয়েসী ঘর থেকে বেরিয়ে আসল। 'বুক পেতেছি গুলি কর' স্লোগান দিয়ে অত্যাধুনিক রাইফেলের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। তাদের তেজ ক্ষোভ দ্রোহের আগুনে পড়ে ছাড়খার হয়ে গেল একঝাক মুরুব্বীদের সাজানো বেহেশ্তি বাগান।

মাদের এই নীতিহীন বিবেক বর্জিত সীমাহীন দুর্নীতি গুম হত্যা অত্যাচার লুন্ঠন বাক স্বাধীনতা হরন ভয়ঙ্কর এই স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আপামোর জনতা। আমি অঁজ পাড়া গায়ের নিরক্ষর কৃষক থেকে শুরু করে টপ কর্পোরেট বস, এমনকি সেনাবাহিনীর বহু অফিসারের সাথে কথা বলে এর বিরুদ্ধে তাদের চাপা ক্ষোভ দেখেছি। অন্যদল বাদ দিলাম শত শত আওয়ামী কর্মীরা বেজায় নাখোশ ছিল- তাদের অন্তরে দহন হচ্ছিল হচ্ছিল রক্তক্ষরণ।
আজ যখন দেশকে নতুন এক সুর্যোদয়ের সপ্ন দেখাচ্ছে তখনই ফের সেই মুরুব্বীরা জেগে উঠলেন, তাদেরকে হেয় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে তাদের বুদ্ধির অপরিপক্কতা,অযোগ্যতা সহ নানা উপহাসে এত বেশী নসিহত দিচ্ছেন যে তারা কোনদিন কিশোর যুবক ছিলেনই না। তারা মায়ের গর্ভ থেকে বের হয়েছেন পরিপক্ক বেরেন ( মগজ) আর পক্ক বা বিরল কেশে- হাতে তখন ধরা ছিল সব ডিগ্রী আর অভিজ্ঞতার কাগজপত্র।

হেলাল হাফিজের "এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।" এই একটা লাইন আগুনের মত ছড়িয়ে গিয়েছিল বাঙ্গালী তরুনের রক্তে। কৌশরের শেষ বেলা আর যৌবন হল ভাঙ্গা গড়ার বয়স , দুরন্তপনা করার বয়স, প্রেমে পড়ার বয়স, যুদ্ধ করার বয়স।

একটা ছেলে বিয়ের আগেই সত্যিকারে পুরুষ থাকে তেমনি একটা মেয়েও। বিয়ের পরে সন্তান হয় পরিবার হয় দায়িত্ব বাড়ে আর মানুষ ধীরে ধীরে স্বার্থপর হয়।
নেতিয়ে পড়া যৌবনে শুধু মাথায় বুদ্ধিটাই (মুখ্য ক্ষেত্রে কূটবুদ্ধি) গিজগিজ করে বাকি সব কিছুতে আগে নিজে বাঁচি নীতিতে সবাই অটল থাকে। এরপরে চলে নসিহত আর কিচ্ছু হবে না, কিচ্ছু হবে না রব।
আমাদের এক জীবনে তো দেখলাম, আসলে আমরা কতটুকু কি 'ছিঁড়তে' পারি। এবার ওরা না হয় ভুল করুক- বারবার ভুল করুক, ভুল করে শিখুক। এ দেশটা ভবিষ্যত প্রজন্মের। ওরা ওদের মত দেশটাকে গড়া-পেটা করে নিক।
এর থেকে আসুন আমরা মুরুব্বীরা প্রজন্মের পর প্রজন্মের এই 'চাপিয়ে' দেয়ার রীতি আর 'পুলাপাইন কি বোঝে' এই মতবাদটা পাল্টে ফেলি।
মনে রাখবেন;
মিছিলের সব হাত/কণ্ঠ/পা এক নয়।
সেখানে সংসারী থাকে, সংসার বিরাগী থাকে,
কেউ আসে রাজপথে সাজাতে সংসার।
কেউ আসে জ্বালিয়ে বা জ্বালাতে সংসার ...
এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

****
* সুপ্রিয় ব্লগার, বিশেষ একটা সমস্যার কারণে ইদানিং নিয়মিত ব্লগে আসতে পারছিনা, কারো লেখায় সেভাবে মন্তব্য করতে পারছি না বলে আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার এই লেখার মন্তব্যের উত্তর দিতেও হয়তোবা কিছুসময় দেরি হতে পারে সে কারণে ভাববেন না যে আমি মন্তব্যের উত্তর দেয়ার ব্যাপারে উদাসীন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছি। ধন্যবাদ

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত সুন্দর একটা লেখা মাশাআল্লহ।

খালি মুরুব্বি নি
আফসোস লীগেরা যা শুরু করছে। বাচ্চাদের নিয়ে কত মন্দ মিম বানাচ্ছে। কত কথাই না বলছে উল্টা পাল্টা। এমনকি একজন সম্মানিত ব্যক্তি ইউনুস স্যারকেও ছাড় দিচ্ছে না। মুরুব্বিরা কই ছিল এতদিন, চুপ করে ঘরের কোণায় বইয়া থাকলে একজন স্বৈরাচারীকে গদি ছাড়া করা যেত না। স্যালুট আমার তরুণ প্রজন্ম। তোরা এগিয়ে যা বাবারা। দোয়া রইলো। ঘাবড়ে যাস না।

২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনার মতো আমারও মত। মুরুব্বীদের অভিজ্ঞতার মুল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে - তাদের দেখানো পথেই তো ভবিষ্যত পেওজন্ম এগিয়ে যাব। তবে এজন্য সময় দিতে হবে ছাড় দিতে হবে আরথাকবে অনুপ্রেরণা ও আর সঠিক পরিচালনার জন্য দিকনির্দেশনা। শুধু সমালোচনা করে; ওরা কিছু বোঝেনা জানে না, আমরা সব বুঝি আর জানি এই ভেবে সারাক্ষন বিরূপ সমালোচনা করলে চলবে না।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

পুরানমানব বলেছেন: এই সকল মুরুব্বীগো ভইরা দেওয়ার সময় আইসা পড়িছে।
মুরুব্বি মুরুব্বি , উহুউউউউ B-)

২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: না এতটা বললে হবে না। অভিজ্ঞতার মুল্যায়ন অবশ্যই করতে হবে কিন্তু কাউকে খাটো বা অব-মূল্যায়ন করে নয়।
ওদেরকে সামনে এগুনোর পথ করে দিতে হবে- ভুল হলে হবে। সেটার বিরূপ সমালচনা না করে গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। আমরাও ভুল করে ঠেকে শিখেছি, ওরাও ভুল করে ঠেকে শিখবে।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছাত্র-জনতা-সেনা অভ্যুত্থানও কিন্তু দেশি-বিদেশি মুরব্বির পরিকল্পনা ও অর্থায়নে হয়েছিল। এক বা দুই দশক পর এসব নিশ্চয়ই উন্মক্ত হবে।
যে বৈষম্যের কথা বলে আন্দোলন করলো তারা কেন সেই বৈষম্য সৃষ্টি করলো । বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর মাদ্রাসার কোন প্রতিনিধিকে দেখলাম না উপদেষ্টা পরিষদে ।
ভুল আর অপরাধের মাঝে পার্থক্য থাকে। সরকারের পতন করেছে বলে যা ইচ্ছে তাই করার অধিকার রাখে না ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: যাদের কাজ তারা করেছে- সবাই যদি এমন কিছুর বিনিময়ে বৈষম্যহীন পুরস্কার আশা করে তবে মুশকিল।
ঢাকায় বেসরকারী স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েদের সাথে তাদের মায়েরা যে ভাবে ও উপায়ে; কখনো চারদেয়ালের মধ্যেই প্রতিবাদ করেছে সন্তান স্বামীকে উদ্দীপ্ত করেছে, কখনো সশরিরে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করেছে কিংবা নিজের সবটুকু উজার করে সহযোগীতা ও সহ্মর্মীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেটা বিরল দৃষ্টান্ত ছিল। তাহলে তাদেরও কাউকে উপদেষ্টা বানানো উচিত- নয় কি?

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫১

আজব লিংকন বলেছেন: বাহ..! শেরজা দা পুরা সিক্সার.. বল বাউন্ডারি পার।
দারুণ। তবে মত বিরোধ যতই হোক, মুরুব্বিদের জন্য শ্রদ্ধা ভালোবাসা সব সময় ছিল এবং সব সময় থাকবে।

*শর্ত প্রযোজ্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: এত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত সুপ্রিয় ব্লগার।
'এজ ইস উইসডম' এটা চিরসত্য! মুরুব্বীদের যেমন সঠিক মুল্যায়ন ও সম্মান করতে হবে তেমন তাদেরও গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।
ধন্যবাদ।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: একমাত্র মুরুবী ডক্টর ইউনুসকেই দেখলাম যে তরুনদের কৃতিত্ব বার বার হাইলাইট করে তুমুল প্রসংসা করছে। আর বাদবাকিরা মুরুব্বীরা তরুনদের রক্তপাত, বিরোজিত বিজয় হাইজ্যক করে তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে মরিয়া।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: উনি বুদ্ধিমান মানুষ। কয়েক প্রজন্মের উত্থান পতন তিনি সচক্ষে দেখেছেন। কাকে কিভাবে ক্রেডিট দিতে হয় তিনি ভালমতই জানেন ও বুঝেন।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

শায়মা বলেছেন: জেনারেশন গ্যাপ......

মুরুব্বীদের সমস্যাই নতুনকে মেনে নিতে পারে না......

কিন্তু যুগ পাল্টাবেই...... কোনোভাবেই রুখে দেওয়া যায় না যুগের পরিবর্তনকে.....

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই একটা বড় সমস্যা আপু। সেজন্যই তারা প্রকৃত সম্মান, ভালবাসা পাননা এবং সঠিকভাবে মুল্যায়িত হন না।
অবশ্যই যুগ পাল্টাবে।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সময় এসেছে বদলে দেবার।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: সাথে বদলে যাবারও সময় এসেছে প্রিয় ভ্রাতা :)

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: প্রবীণের অভিজ্ঞতা আর নবিনের উদ্যোগ দুটির মিশেল হলে ভালো হয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১১

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি মুক্তিযোদ্ধা -পোড় খাওয়া ঠেকে শেখা মানুষ,এসব ব্যাপার আপনার থেকে কারা আর ভাল উপলব্ধি করবে। কিন্তু আপনাদের মত গুণীজন যদি সবকিছু থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে হাত গুটইয়ে বসে থেকে শুধু সমালোচনা করে তবে এই জাতির উন্নয়ন হবে ক্যামনে?

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: বয়সে নবীন হলে চলবেনা,চিন্তায় নবীন হতে হবে।যেটা আমাদের নবীনদের অনেকের মাঝেই নাই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: উল্টোদিকে অনেকের মাঝে আছে- যাদের নেই তারা যাদের আছে তাদের কাছ থেকে শিখবে।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩২

মামুন ইসলাম বলেছেন: বরাবরের মতই দাদু চমৎকার একটি লেখা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা। ভাল থাকুন নিরন্তর।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: সেই মুরব্বিরা এখানেও আছে। ব্লগেরই দুইজনের কথা বলি। একজন আওয়ামী লীগের অপকর্মকে ঢাকতে ব্যস্ত। আরেকজন প্রফেসর ইউনুসের সমালোচনা করতে বাকিদের ব্লগে বানান আর যতি ও বিরামের ব্যবহার শিখতে বলছেন।
এবার আসি জেন জি এর কথায়। জেন জি কে নিয়ে আগে কিন্তু আমরা কিন্তু খুব একটা ভালো কথা বলি নাই বা শুনি নাই। ওদের গ্যাজেট নির্ভরতা, পড়াশুনার অনাগ্রহ, প্রতিষ্ঠান ভাঙার অজুহাত এগুলো নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। আসলে হয়েছে কি, জেনজির রোষের ফাঁকা তলে পড়ে গেছে হাসিনা গং। ওই পচা শামুকে পা কাটা যেটাকে বলে আর কি। অবশ্য এর পেছনে নানা দেশী বিদেশি শক্তিও ছিল, মদদ দাতা হিসেবে। তবে স্বৈরাচারের পতন অত্যাবশ্যক ছিল। আজ না হয় কাল এই পতন হতোই। এখন এই পতনের কারণে জেনজিকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে ও শুদ্ধাচারের দৃষ্টিকোণ থেকে সরিয়ে দিলে এরা পরীক্ষা ছাড়া পাশের জন্য একবার শিক্ষাবোর্ড ভাঙবে। আরেকবার অটোপাশের রেজাল্টে বৈষম্য দাবি করে আরেকবার শিক্ষাবোর্ড ভাঙবে। স্কুল কলেজ ফেলে স্টেডিয়ামের সামনে সাকিবের পক্ষে- বিপক্ষে মারামারি করে একজন আরেকজনের মাথা ফাটাবে।
আওয়ামী লীগের সমস্যা ছিল ওরা সমালোচনা নিয়ে পারতো না। এখন যারা সাময়িক সময়ের জন্য দেশ চালাচ্ছে এরাও একই দোষে দুষ্ট হতে যাচ্ছে। গতকাল একজন প্রবীণ আইনজীবীকে মারামারি ও হত্যা মামলার আসামি করলো শুধু সরকারের সমালোচনা করার কারণে। গত সপ্তাহে বেসরকারি শিক্ষকদের ধর্মঘটে পুলিশ হামলা করেছে।

আমাদের ভাই ও সন্তানদের রাস্তায় ফেলে রেখে নির্ভার হয়ে বসে থাকার কোনো উপায় নেই। তাদের ভুলও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে হবে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: গঠনমুলক আলোচনা সমৃদ্ধ সুদীর্ঘ মন্তব্য।এর উত্তর দেয়া বেশ কঠিন কর্ম- মন্তব্যের উত্তরে আরেকটা পোস্ট লেখা হয়ে যাবে :)
বাঙ্গালীর ডিএনএ তে কিছু বাই ডিফল্ট সমস্যা আছে। এগুলো সহজে পরিবর্তন হবে না। দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।
আমি আপনি ওই অবস্থানে গেলে হয়তো এমনই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিতাম। তবে মন খুলে সমালোচনা যে করতে পারছি এই বা মন্দ কি!

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অভিজ্ঞতারও দাম আছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: সেটা আমি বারবার স্বীকার করেছি। অভিজ্ঞতা অর্থ শক্তি পাওয়া যায় না-কিংবা বিশেষ কোন পুস্তকে মেলে না।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: পুরান মানব আর মেঠোপথ কি ঢাবিয়ানের মাল্টি নাকি?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: সত্যি বলতে কি আমি এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই না- যে যার মাল্টি হোক তাতে আমার কোন সমস্যা নেই।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যৌবনে যাহা সম্ভব পৌঢ এবং বার্ধক্যে তাহা অসম্ভব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২০

শেরজা তপন বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও ভীতু হয়।

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

জটিল ভাই বলেছেন:
আমার অবস্থাও আপনার লিখার শেষ প্যারার মতোই :(

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

শেরজা তপন বলেছেন: এত জটিলতা নিয়ে ক্যামনে দিনাতিপাত করছেন ভ্রাতা???

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: বুড়োরা আর মাতব্বরি না করাই ভালো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২২

শেরজা তপন বলেছেন: পরামর্শ দেয়া যায়, ভালমন্দ আলোচনা করা যায় কিন্তু যুবারা কখনো মাতব্বরি পছন্দ করে না।
বি এন পির সামনে ভয়াবহ দুর্দিন অপেক্ষা করছে।

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

অরণি বলেছেন: তরুণরা দেখিয়েছে তা হাজার বছরের ইতিহাসে নেই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: একজন বয়স্ক লোক মহাকাশে গেলে সেটা স্পেশাল নিউজ হয়, এভারেস্টে উঠলে সেটাও তেমন- এটা হল ব্যতিক্রম!
কিন্তু শক্তি সামর্থ উদ্দীপনা যোশ দিয়ে কাজ করে যুবারাই। ভেঙ্গে চুড়ে গড়াই হল যবাদের কাজ।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মুরুব্বিরা আগে ছিল,এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

মাঝে মাঝে ভেক ধরবে, তারপর আবার আপন রুপে (হর্তা-কর্তা) হাজির হবে এবং দিবে তাদের প্রিয় ডায়লগ , '' এরা কি বুঝে'' :( ।ভাবখানা এমন যে, এরা বুজে দুনিয়ার সব কিছু এবং বুঝে উল্টাইয়া ফেলেছে দুনিয়ার সব কিছু :((

কি আর করা,
এটাই জীবন।
জায়গা কেউ দেয়না,নিজের জায়গা নিজেকে করে নিতে হয়।
তা সে মায়ের পেটে কিংবা দুনিয়া যেখানেই হোক না কেন।

মুরুব্বিরা তাগো জায়গা ছাড়বেনা নবীন গ জন্য , তয় মুরুব্বি মুরুব্বি -সাইডে বলে জায়গা করে নিতে হবে ফাক-ফোকরে B-))

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) চমৎকার কথা বলেছেন ব্রো। কবরে নামার আগেও এরা নসিহত করে যাবে -কিন্তু নিজেদের সময়কালে কিছুই করতে পারেনি।
অধিকার আদায় করে নিতে হয়- একথা সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.