নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘Principle of Natural Justice’ – “ন্যায় বিচারের নীতি” এ সম্পর্ক জ্ঞান আমাদের কতটুকু আছে ?! কেন এ জ্ঞান এতই গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রতিটি সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ব্যক্তির মস্তিস্কে থাকা একান্তভাবে বাঞ্ছনীয় ?
“ন্যায় বিচার” ( নীতি- শব্দ বাদ রাখলাম) শোনার সাথে সাথেই আইন-আদালত-আইনজীবি-বিচারক ইত্যাদি গুরুতর শব্দ মাথায় ঘুরপাক, টেনসন তৈরী, মনে ভীতি আসতে পারে। কিন্তু এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
একজন সুস্থ্য, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম মানুষ জীবনভর প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত দেন কিংবা সিদ্ধান্তগ্রহনে সহায়ক এর ভূমিকায় থাকেন। ‘সাধারণ মানুষের’ কোন একটি সিদ্ধান্ত প্রদান আর ‘বিচারকের’ একটি রায় দেয়ার মাঝে পার্থক্য আছে কি ? চিন্তায় ‘রায়’ শব্দে বিশেষ গুরুত্ববহ স্থান পেলেও, ‘সিদ্ধান্ত’ শব্দটি কোন ক্রমেই কম গুরুত্ববাহী এটি ভাববার অবকাশ নেই। কারন একটি ‘রায়’ যেমন এক বা একাধিক ব্যক্তি ও বিষয়াবলীকে সম্পৃক্ত করে পরিবর্তন ঘটায়, তেমনিভাবে একটি ‘সিদ্ধান্ত’ও সমভাবে ব্যক্তি বা বিষয়কে পরিবর্তন বা প্রভাবিত করে থাকে।
এবার সরাসরি ‘ন্যায় বিচারের নীতি’র বাক্যের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিই। যদিও ব্যাপারটি আমার মত স্বল্প শিক্ষিত মানুষের জন্য বিশাল কিছু আর অসম্ভব প্রয়াস এবং এ কারনে “পন্ডিতি ফলাচ্ছি” বলে অনেকে আমার দিকে মুখ বাঁকাতেও পারেন।
যাহোক, আশ্চর্যজনক যে, মূলত: “ন্যায় বিচারের নীতি” বিচার সংশ্লিষ্ট আইনের কোন লিখিত “নীতি” নয়, কোন বইতে এ কথা ক’টি “আইন” হিসেবে লেখা নেই। এর অবস্থান ও উদ্ভব “প্রকৃতি” থেকে, প্রাকৃতিক আইন হিসেবেই এ আইন পরিচিত !! কিন্তু বিচারিক পদ্ধতিতে সুক্ষ্মদর্শী ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায্য রায়/সিদ্ধান্ত প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখার কারনে, “ন্যায় বিচারের নীতি” এক অমূল্য পরশমণি হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল আদালতে অত্যন্ত সমীহ সহকারে অনুসৃত হয়।
৩ টি মূলনীতি অনুসরনের মাধ্যমে “ন্যায় বিচারে নীতি” পরিস্ফুটিত হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দানে সহায়তা করে থাকে।
প্রথমত : পক্ষপাতহীন বা নিরপেক্ষতা।
দ্বিতীয়ত : অভিযুক্ত এর পক্ষে স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহনে অবাধ সুযোগ প্রদান।
তৃতীয়ত : অভিযোগকারীর পক্ষের কারো সিদ্ধান্ত/বিচার পরিচালনায় অংশগ্রহণ না করা।
এর পর এ নীতির সর্বপ্রিয় বিষয়টি হল, প্রদানকৃত “সিদ্ধান্ত” টি’র অধিক সংখ্যক ব্যক্তির গ্রহণীয়তা।
সংসার ও সমাজে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে “সিদ্ধান্ত” দিয়ে থাকি। আর সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে অনেক ক্ষেত্রেই “ন্যায় বিচারের নীতি”র এ মূলনীতি গুলো আমরা খতিয়ে দেখিনা, অনুসরণও করিনা। আমরা সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষেত্রে যে অবচেতন মনে ভুল করছিনা, এ বিষয়ে কি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি ??!!
ভাল করার সামর্থ্য না-ই থাক, কিন্তু ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে আমরা যেন কোন মানুষের ক্ষতি না করি।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
সামছুল আলম কচি বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ! অামার লেখার শুরুতে অামি বলেছি, ``একজন সুস্থ্য, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম মানুষ জীবনভর প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত দেন কিংবা সিদ্ধান্তগ্রহনে সহায়ক এর ভূমিকায় থাকেন। ‘সাধারণ মানুষের’ কোন একটি সিদ্ধান্ত প্রদান আর ‘বিচারকের’ একটি রায় দেয়ার মাঝে পার্থক্য আছে কি ? চিন্তায় ‘রায়’ শব্দে বিশেষ গুরুত্ববহ স্থান পেলেও, ‘সিদ্ধান্ত’ শব্দটি কোন ক্রমেই কম গুরুত্ববাহী এটি ভাববার অবকাশ নেই। কারন একটি ‘রায়’ যেমন এক বা একাধিক ব্যক্তি ও বিষয়াবলীকে সম্পৃক্ত করে পরিবর্তন ঘটায়, তেমনিভাবে একটি ‘সিদ্ধান্ত’ও সমভাবে ব্যক্তি বা বিষয়কে পরিবর্তন বা প্রভাবিত করে থাকে''।
অামরা প্রতিনিয়ত `সিদ্ধান্ত' দিই। এ সিদ্ধান্ত দেয়ার সময় “ন্যায় বিচারের নীতি” কে অনুসরন করার অনুরোধ জানিয়েছি, যেন ভুল কিংবা ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত না দিই। তবে হা, সিদ্ধান্ত প্রদানকারীর এত গভীরতা নিয়ে ভাববার সময় থাকেনা; থাকেনা সে জ্ঞান। সরি !
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সামছুল আলম কচি ,
ভালো একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন । কিন্তু একটা খটকা থেকে গেলো !
"ন্যায় বিচারের নীতি" ৩টি মূলনীতির উপর ভিত্তি করে আদালতে অনুসৃত হয় বলে উল্লেখ করেছেন । সাধারন মানুষের কাছে ঐ ৩টি নীতির ১ম টি ছাড়া বাকী দুটির প্রাসঙ্গিকতা কতোটুকু ? কেননা শুরুতেই আপনি স্বাভাবিক মানুষের সিদ্ধান্তকে আদালতের রায়ের তুল্য বলেছেন । বলেছেন, 'সিদ্ধান্ত"ও সমভাবে ব্যক্তি বা বিষয়কে পরিবর্তন ও প্রভাবিত করে থাকে । অথচ সাধারণ ও স্বাভাবিক মানুষ কোন নীতির আলোকে ন্যায় বিচার করবেন তা বলেন নি কোথাও । ন্যায় বিচার কি কেবল আদালতের এক্তিয়ার ভুক্ত, না কি ব্যক্তি মানুষের বেলাতেও তা প্রযোজ্য হওয়া উচিৎ । পরিবার, সমাজ কে সংহত ও শুদ্ধ ( যতোখানি সম্ভব ) করতেও তো ন্যায় বিচারের প্রয়োজন হয় !
আমার মনে হয় , এবিষয়টি অনুল্লেখ্য থাকার কারনে লেখাটি অনেকটা অসমাপ্ত ।
শুভেচ্ছান্তে ।