নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমি ছোটবেলা থেকেই মোটাসোটা, গাব্দা-গোব্দা ছিলাম। লক্ষ্য করে দেখেছি, মোটাসোটা, গাব্দা-গোব্দা ধরণের ছেলেরা হাবা ধরণের হয়ে থাকে। আমিও তা-ই ছিলাম। বাবা সরকারী চাকুরে ছিলেন। আমি যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি, বছরের একদম মাঝে আব্বুকে সিলেট থেকে ঢাকায় বদলি করা হলো। এখন, বছরের মাঝপথে কোথায় ভর্তি হবো!
আব্বু-আম্মু সেইন্ট জোসেফ, হার্মেন মাইনর, গ্রিন হেরাল্ড, সবশেষে ধানমণ্ডি বয়েজ হাই স্কুলে চেষ্টা করলেন। কেউ নিতে রাজি হলো না। শেষে, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটিরী এন্ড গার্লস স্কুলের হ্যাড মিস্ট্রেস আমার পরীক্ষা নিতে রাজি হলেন। যথা দিনে পরীক্ষা নিয়ে আমাকে ভর্তি করে দেওয়া হলো। স্কুলটা মেয়েদের হলেও কো-এডুকেশন ছিলো। তবু, আমাকে একটা মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে, এ নিয়ে অনেক দিন মন খারাপ ছিলো আমার।
স্কুলের প্রথম দিনেই বুঝে গেলাম, মেয়েরা আমাকে বেশ পছন্দ করেছে। টিফিন টাইমে আমাকে মেয়েদের গ্রুপে ডেকে নিয়ে বলে কিছু ছেলের নাম বলে সাবধান করে ক্লাস ক্যাপ্টেন বলে দিলো- "দেখ, তুই ভালো ছেলে। কিন্তু, খবরদার, এদের সাথে মিশবি না।"
এটা আবার আমার ছেলে ক্লাসমেটরা পছন্দ করলো না। টিফিনের পরে দেখি, আমি যে ক্লাসের দরজার সামনে বসেছিলাম, সেই ক্লাসের উল্টোপাশের ক্লাস রুম থেকে আমাকে একটা খাতা দেখাচ্ছে।
তাতে বড় বড় করে লেখা - 'তুই একটা বান্দর'।
আমদের ক্লাস চলছে, ওইদিকে ছেলেটা আমাকে ঐ খাতা দেখিয়েই চলেছে। আমার মাথা গরম হয়েছে গেলো। আমি আমার খাতায় লিখলাম-
'তুই একটা ইতর।'
এরপরে, মহা সুখে কিছুক্ষণ পরে পরে ওটা তাঁকে দেখাতে লাগলাম। আমার এই কার্যকলাপ আমার ক্লাসের মেয়েরা খুব পছন্দ করলো। তারা হি হি করে হাসতে লাগলো।
তাদের এই হি হি হাঁসি ওইপাশের ছেলেদের পিত্তি জ্বালিয়ে দিলো, মন হয়। কিছুক্ষণ, পরে দেখি তারা আমাকে আর ঐ খাতা দেখাচ্ছে না। ছেলেটা উঠে ক্লাসের ভিতরে কোথায় যেন গেলো। এরপরে, দেখি দরজায় উদয় হলেন ঐ ক্লাসের ম্যাডাম!
তিনি এসে আমার খাতা চেক করলেন। দেখতে পেলেন আমার লেখা। আর, যাবি কই! ভীষণ মার দিলেন সেদিন। ক্লাস শেষে, ক্লাসের সব মেয়েরা এক হলো আমার পাশে।
কয়েকজন বেশ কান্না কান্না চোখে বল্লো- তোকে এভাবে মারলো! আর, তুই হাবার মতো বসে রইলি! এবার, দেখ, আমরা কি করি।
মেয়েগুলো চলে গেলো। ক্লাস আবার শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আচানক ঘটনা।