নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদিনী মারিয়াঃ যাকে ঘিরেই শুরু হোয় রহস্যময় আলকেমীর ইতিহাস

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭



'ইহুদিনী মারিয়া', খ্রিষ্টীয় ১ম থেকে ৩য় শতকের কোন এক বছরে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়ায় জন্ম নেন। অনেকে ইহুদিনী মারিয়ার সাথে মুসা ও হারুন নবীদ্বয়ের বোন মরিয়মের সাথে মিলিয়ে ফেলেন। ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, ফেরাউন যখন ইহুদী শিশুদের বলি দিতো, তখন মরিয়মের দেওয়া বুদ্ধিতেই তাঁদের মা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মুসাকে। মরিয়মের চোখের সামনেই ফেরাউনের স্ত্রী শিশু মুসা নবীকে পানি থেকে তুলে নিজ গৃহে স্থান দিয়েছিলেন। যাহোক, আলকেমিস্ট মারিয়ার কথায় ফিরে যাই। বলা হয়ে থাকে, মারিয়া ধাতুকে সোনায় রূপান্তর করতে পারতেন।

সোনা-রুপা-হিরা-জহরত নিয়ে আমার খুব একটা আগ্রহ নেই। আমি বরাবরই মনে করি, এসব মেয়েলী ব্যাপার-স্যাপার। ব্যাপারটা 'আঙ্গুর ফল টক' জাতীয় ব্যাপার নয়। আমি ইচ্ছা করলেই, এসব কিনতে পারি। কিন্তু, তারপরও, এসবয়ে আমার আগ্রহ ছিলো না। কিন্তু, যেদিন থেকে জানতে পারলাম যে, মানুষের পক্ষেও সোনা বানানো সম্ভব, সেদিন থেকেই, আমি স্বর্ণ সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠলাম। এখানে, 'ইহুদিনী মারিয়া'-এর কোন হাত নাই।

আমার কাহিনীঃ

আমার নানী, ছোটবেলায় একবার একটি গল্প শুনিয়েছিলেন। তাঁর চাচা ছিলেন একজন সৈয়দজাদা। কোন কাজ-কর্ম করতেন না। সারাক্ষণ শুধু ধর্ম-কর্মে মশগুল থাকতেন। একদিন তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা খোরপোষের দাবীতে তাঁর কাছে গেলে, তিনি খুব চিন্ত্রিত হলেন। তারপরে, তিনি টয়লেটে গেলেন। এরপরে এসে বললেন - যাও, বাথরুমে অনেক সোনা আছে, সেখান থেকে যত ইচ্ছা তুলে নাও।

যেদিন থেকে জানতে পারলাম যে, প্রাচীন আলকেমিস্টরা ধাতু থেকে স্বর্ণ বানাতে পারতেন, সেদিন থেকেই আমার মনে জোর সন্দেহ, আমার নানীর চাচা লুকিয়ে আলকেমির চর্চা করতেন। মনে হয়, ইমাম জাফর সাদিকের একজন বংশধর হিসেবে তাঁর শিক্ষাগুলো বংশ পরম্পরায় রক্ষা করে গিয়েছেন।

ইহুদী মারিয়াঃ

আগেই বলেছি, ইহিদী মারিয়া আলকেমির চর্চা করতেন, সোনা বানাতে পারতেন। তিনি মনে করতেন যে, খোদার প্রকৃত অনুসরণের ফলেই সৃষ্টিকর্তা তাঁকে এই জ্ঞান দিয়েছিলেন। ইহুদিনী মারিয়াকে 'আলকেমির মা' ডাকা হতো। তিনি আলকেমি বিষয়ে অনেক কিছু লিখেছিলেন। কিন্তু, কালক্রমে তাঁর সব লেখাই কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। পরবর্তীকালে, জসিমস নামের আরেক নামকরা গ্রীক-মিসরিয় আলকেমিস্ট তাঁর লেখাগুলোতে মারিয়ার কথা মনে করিয়ে দেন।

মারিয়া'র আবিষ্কারঃ

মারিয়ার আবিষ্কারের মাঝে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় ছিলো - ধাতুর লিঙ্গ-বিচ্ছেদ, অর্থাৎ, তিনি ধাতুকে 'পুরুষ ধাতু' ও 'নারী ধাতু' রূপে উল্লেখ করেন। অনেকেই মনে করেন যে, হাইড্রোক্লোরিক এসিডের আবিস্কারক হচ্ছেন মারিয়া।

মারিয়া বলেছেন - একজন থেকে দুই হয়, দুই থেকে হয় তিন, এবং তৃতীয়টির মধ্যেই চতুর্থ থাকে। সুতরাং, দুইয়ের মধ্যেই একের আবাস।

তাই, আজ শ্রদ্ধা ভরে এই বিদুষী নারীকে স্মরণ করছি এই গানের মাঝে-





সূত্রঃ

১) https://jwa.org
২) https://www.thoughtco.com/
৩) http://scihi.org/
৪) Click This Link
৫) এবং ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


খৃষ্টিয় ৩য় শতককে সংখ্যায় লিখলে কত হবে? আপনি উদাহরণ হিসেবে লিখেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমি আমার লেখার ভুলটা সারিয়ে নিয়েছি।

ভুলের জন্যে ক্ষমা প্রার্থী।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান ঐতিহাসিক তথ্য সামুর পাতায় তুলে এনেছেন ।
ঠিকই বলেছেন মারিয়া ইহুদি: সে ছিল প্রথম শতাব্দীর সোনা নির্মাতা ।
এ পোষ্টে থাকা আপনার দেয়া গানটি শুনতে শুনতে আমিউ এখানে মারিয়া ইহুদি সম্পর্কে আরো কিছু কথা
ও ছবি যুক্ত করে গেলাম ।
"একটি হতে দুই হয়, দুই হতে তিন হয়, এবং তৃতীয়টির মধ্য থেকেই একজন আসে চতুর্থ হিসাবে," তাই অ্যালকেমিষ্ট
পরিচিত ম্যরি দ্য ইহুদির উদ্ধৃত স্বতঃসিদ্ধ সত্যtd (axiom) মেজিক্যাল -সাইন্সের সমস্ত লেখা জুড়েই ততটাই
রহস্যময় যেমনটি আলকেমিক্যাল প্রক্রিয়া নিজেই একটি রহস্যময় ।
Mary the Jewess - Michael Maier's Symbola aurea mensae, Frankfurt, 1617

পৌরাণিক হার্মিস ট্রিসমেজিস্টাস থেকে আইজ্যাক নিউটন পর্যন্ত আলকেমিস্টরা সীসাকে সোনায় রূপান্তরিত করতে
চেয়েছিলেন। এটি বিশ্বাস করা হয়েছিল যে উপাদানের রূপান্তরের মাধ্যমে, তারা মানুষের সীমাবদ্ধতার বাইরে জ্ঞান
অর্জন করতে পারে এবং মহান কাজগুলি তৈরি করতে পারে যা দার্শনিকের পাথর এবং জীবনের অমৃতের মাধ্যমে
নিজেকে দেবত্বের কাছাকাছি স্থানান্তরিত করবে।
মারিয়া নামে একজন প্রাচীন আলকেমিস্ট ছাড়া এর কিছুই করা সম্ভব ছিল না।
প্যানোপোলিসের জোসিমাসের মতো প্রাচীন অ্যালকেমিস্টদের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ আছে মারিয়া দ্য ইহুদি, যাকে
মারিয়া দ্য প্রফেসেস বা মারিয়া দ্য হিব্রুও বলা হয়, যিনি খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে প্রাচীন মিশরে বসবাস করতেন।

তাকে একটি অ্যালকেমিক্যাল যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের কৃতিত্ব দেওয়া হয় যা প্রকৃতিতে পাতনের প্রক্রিয়াটি অনুলিপি
করেছিল, যা অ্যালকেমিস্টরা বিশ্বাস করেছিলেন যে প্রকৃতিতে সোনার সৃষ্টির ভিত্তি ছিল। এই যন্ত্রটি আধুনিক
রসায়ন গবেষণাগারে প্রধান হয়ে উঠবে।
আমরা মারিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানি না তবে তিনি আলেকজান্দ্রিয়া শহরে একটি একাডেমি শুরু করেছিলেন
বলে মনে করা হয়, যেখানে তিনি আলকেমি শিখিয়েছিলেন। প্রায় প্রতিটি অ্যালকেমিস্টের মতো, মারিয়া পৃথিবী
থেকে বেস ধাতু থেকে সোনা তৈরি বা রূপান্তর করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন।
বেস ধাতুগুলিকে সোনায় রূপান্তরিত করার আলকেমিক্যাল প্রক্রিয়ার একটি মূল ধাপ হল পাতন, এমন একটি প্রক্রিয়া
যা মারিয়া নিখুঁত করেছেন বলে জানা যায়। এমারল্ড ট্যাবলেটে (অ্যালকেমির মূল লেখা) এটি বর্ণনা করা হয়েছে:
"এটি পৃথিবী থেকে স্বর্গে উঠে এবং আবার পৃথিবীতে নেমে আসে, যার ফলে উপরের এবং নীচের উভয়ের ক্ষমতা
নিজের মধ্যে একত্রিত হয়।"
An alchemical balneum Mariae or Maria’s bath from Coelum philosophorum Philip Ulstad,1528

মারিয়া ইহুদি তার স স্বত:সিদ্ধ সত্য এর বাইরে অন্যান্য আলকেমিক্যাল বাণী তৈরি করার জন্যও পরিচিত।
“একজন মানুষ যেমন চারটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত, তেমনি তামাও; এবং একজন মানুষ যেমন তরল, কঠিন
পদার্থ এবং আত্মার সংসর্গ থেকে পরিণত হয়, তেমনি তামাও হয়।"
পাশাপাশি:
"পুরুষ এবং মহিলার সাথে যোগ দাও, এবং তুমি যা চাইছ তাই পাবে।"
Union of Opposites – Rosarium philosophorum sive pretiosissimum donum Dei, 1550

বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যতই ঘটতে থাকে আলকেমি থেকে রসায়নের দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে কাচের পাত্র এবং তামার টিউবগুলি পাতন প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হতে থাকে।
Bain-Marie as Used by Alchemists From Manget Bibliotheca Chemica Curiosa, 1702

যদিউ এর উদ্দেশ্যের সাথে সোনা তৈরীর কোন সম্পর্ক ছিল না। কেও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হুইস্কিও তৈরি করতে পারে,
অথবা চকলেট বা অন্য কিছু ।

তাই, বলা চলে মারিয়ার সোনা তৈরীর প্রচেষ্টা একেবারে বিফলে যায়নি বলাই যায় ।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ

শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


খুবই বিস্ময়কর ও চমকপ্রদ ছিলো ইহুদিনী মারিয়ার কাজ।

আরও বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার জন্যে ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার চাচার মধ্যে একটা অলৌকিক শক্তি ছিলো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমার নানুর চাচা আরও অনেক অদ্ভুত কাজ করে গিয়েছেন!!! :)

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.