নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
বেগম রোকেয়াকে অনেকেই ভুল বুঝেন। ধর্মের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে, বেগম রোকেয়ার লেখাগুলোকে টেনে আনেন। যেমন, উপরের ছবির এই কোটেশন পড়ে মনে হয় যে, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া ধর্মের বিপক্ষে বলেছেন।......আসলে, এখানে তাঁর বক্তব্যকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বেগম রোকেয়া কখনোই ধর্মের বিপক্ষে কিছু বলেন নাই।....আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে আমি বেগম রোকেয়ার লেখার কিছু অংশ তুলে ধরবো-
.
১) ‘প্রত্যেক দেশের জাতীয় উন্নতি, আধ্যত্মিক উন্নতি ও নৈতিক উন্নতির যাবতীয় কারণসমূহের মধ্যে প্রধান কারণ হইতেছে ধর্ম। ধর্ম ব্যতিরেকে মানুষ অধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নতি কিংবা সভ্যতা লাভ করিতে পারেনা।’ (রোকেয়া রচনাবলী: ৮২)
.
২) তিনি বলেছেন, 'আমি ভগিনীদিগের কল্যান কামনা করি, তাঁহাদের ধর্মবন্ধন বা সমাজবন্ধন ছিন্ন করিয়া তাঁহাদিগকে একটা উন্মুক্ত প্রান্তরে বাহির করিতে চাহি না। মানসিক উন্নতি করিতে হইলে হিন্দুকে হিন্দুত্ব বা খ্রিস্টানকে খ্রিস্টানী ছাড়িতে হইবে এমন কোনো কথা নাই। আপন আপন সম্প্রদায়ের পার্থক্য রক্ষা করিয়াও মনটাকে স্বাধীনতা দেওয়া যায়। আমরা যে কেবল শিক্ষার অভাবে অবনত হইয়াছি, তাই বুঝিতে ও বুঝাইতে চাই'। [মতিচূর (প্রথম খণ্ড)]
৩) ‘আমার অমুসলমান ভগিনীগণ! আপনারা কেহ মনে করিবেন না যে, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে কোরান শিক্ষা দিতে বলিয়া আমি গোঁড়ামীর পরিচয় দিলাম। তাহা নহে, আমি গোঁড়ামী হইতে বহুদূরে । প্রকৃত কতা এই যে, প্রাথমিক শিক্ষা বলিতে যাহা কিছু শিক্ষা দেওয়া হয়, সে সমস্ত ব্যবস্থাই কোরানে পাওয়া যায়। আমাদের ধর্ম ও সমাজ অুন্ন রাখিবার জন্য কোরান শিক্ষা একান্ত প্রয়াজন।’
[বঙ্গীয় নারী শিক্ষা সমিতি, পৃ:২৮২]
.
'বেগম রোকেয়ার জীবনী'-তে লেখিকা শামছুন নাহার লিখেছেন যে, বেগম রোকেয়া বলেছেন - ‘শৈশব হইতে আমাদিগকে কোরান মুখস্থ করানো হয়, কিন্তু শতকরা নিরানব্বই জন তাহার একবর্ণেরও অর্থ বলিতে পারে না। যাঁহারা অর্থ শিখিয়াছেন, তাঁহারাও শোচনীয়রুপে ভ্রান্ত। ইসলামের মর্ম তাঁহাদের কাছে এক বর্ণও ধরা পড়ে নাই, ইহার চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হইতে পারে? … নারিকেলের চমৎকার স্বাদ তাহার দুর্ভেদ্য আবরণের ভিতরে আবদ্ধ। অন্ধ মানুষ সেই কঠিন আবরণ ভেদ করিবার চেষ্টা না করিয়া সারাজীবন শুধু ত্বকের উপরিভাগটাই লেহন করিয়া মরিল'.
.
আমাদের জানা প্রয়োজন যে, রোকেয়া কখনোই ইসলাম-বিরোধী ছিলেন না। তিনি ইসলামী অনুশাসনের অপব্যাখ্যা ও পর্দার নামে বাড়াবাড়ির বিরোধিতা করেছেন কেবল। ব্যক্তিগত জীবনে বেগম রোকেয়া যথেষ্ট ধার্মিক ছিলেন। তিনি জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করতেন।
আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বেগম রোকেয়ার সময়ে বাঙ্গালীর সংখ্যা যা ছিলো, এখন সেটা ২০ গুণ বেশি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০
কামাল১৮ বলেছেন: বেগম রোকেয়ার হাত ধরিয়াই তসলিমার যাত্রা শুরু।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অধীতি বলেছেন: বেগম রোকেয়ার কথাকে সবাই বিকৃত করে যে যার মত ব্যাখ্যা করেছে। এটা ভীষণ খারাপ। তিনি নারীর যে রূপ একেছেন সেটা বর্তমান সময়ে এসে ধূসর হয়ে গেছে।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অল্প কথায় বেগম রোকেয়া, আরজ আলী মাতুব্বর ও হুমায়ুন আজাদ তত্ত্ব দেয়া সহজ কাজ না। প্রচুর কাটাকাটি আছে। পরে কোনো এক সময় এই সকল বিষয়ে আলোচনা হবে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মের বিপক্ষে বললে কি হয়?
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্মের বিপক্ষে বললে কি হয়? - নিজের কাছে নিজেকে জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হয়।
ধর্ম রাজনীতি নিয়ে লিখতে তেমন জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। আর এই কারণে আমাদের দেশে ধর্ম ও রাজনীতিতে সকল মূর্খলোক জ্ঞান বিতরণ করে।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: বাবার খেয়ে, ভাইয়ের টাকায় পড়াশুনা করে, স্বামীর টাকায় ভদ্রমহিলা পুরুষের নিন্দা করছে। এখন এইগুলা অনেক বেড়ে গেছে।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার কথায় লজিক আছে। আমি আপনার আপনার কথা বিশ্বাস করি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
বেগম রোকেয়ার পর, আমাদের জাতির মাঝে সবচেয়ে প্রভাবশালী বাংগালী নারী কে?