নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
গতকাল শালাবাবুকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়েছিলাম। নগরীর আম্বরখানা এলাকায় ৩৬০ আউলিয়াদের একজন মিয়া শাহ ধনমুজি (রহঃ)-এর মাজার। সেই মাজার পার হওয়ার সময়ে হঠাৎ-ই মাথায় একটি প্রশ্ন এলো- 'হযরত শাহ জালালকে মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে কি?'
আমি প্রশ্নটি একটু ঘুরিয়ে আমার শালাবাবুকে জিজ্ঞাসা করলাম- "বাংলাদেশে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ কবে হয়েছিলো? মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে প্রথম কে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন? সিলেটি মুক্তিযোদ্ধা কারো নাম বলো তো?"
আমার শালাবাবু আমার প্রশ্ন শুনে একটু টাস্কি খেয়ে গেলো! সে বললো - "দুলাভাই, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কবে হয়েছিলো তা তো সবাই জানেন, ১৯৭১ সালে! প্রথম কে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন তা জানি না। তবে, প্রথম কাতারে মনে হয় জেনারেল এম,এ,জি ওসমানী ছিলেন।"
আমি একটু হাসলাম। তারপরে বললাম- "তোমার কি মনে হয় না যে, সিলেট বা বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ সেই ৭০০ বছর আগে হয়েছিলো? যদি, মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ মানুষকে শোষণ মুক্ত করার জন্যে লড়ে থাকেন, তাহলে, হযরত শাহ জালাল এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা তো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন! কারণ, তাঁরা অনেক দূর থেকে আমাদের ভূমিতে এসেছিলেন অত্যাচারী এক রাজা থেকে এই দেশের মানুষকে মুক্ত করতে!"
তাহলে, হযরত শাহ জালাল এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের কেন মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না! বাংলাদেশের এই ক্রান্তি লগ্নে সিলেটের মানুষকে শোষণ মুক্ত করা মুক্তিযোদ্ধা হযরত শাহ জালাল (রহঃ) এবং ৩৬০ আউলিয়ার ভূমিকা স্মরণ করছি। তাঁদের ঝটিকা আক্রমণের ফলেই সিলেটে গৌড় গোবিন্দ রাজার পতন হয়।
নিচে আমার প্রডাকশন হাউজের বানানো একটি ডকুমেন্টারি- 'হযরত শাহ জালাল (রহঃ): একজন অমুসলমানের দৃষ্টিতে'।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
একজন মাত্র সৈনিকের কথাতে কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়াটা একজন বুদ্ধিমান কমান্ডারের লক্ষণ নয়।
আপনার উচিৎ ছিলো এই ব্যাপারে আরো সৈনিকের সাথে কথা বলা।
ধন্যবাদ।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: শাহ জালালরা মানুষকে মুক্তকরতে আসে নাই।মানুষের উপর ধর্মীয় শোষন চাপিয়ে দিতে এসেছিলো।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এভাবে সংজ্ঞায়নে যাওয়াটা ভুল হবে । এটা আবেগি কাজ হয়ে দাঁড়াবে , ইতিহাস নিয়ে অতি আবেগি কাজ আসলে ইতিহাসকেই গলা টিপে মারবে !!
আপনার আবেগের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল !
কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সার্বভৌমত্বের জন্য । আর শাহ জালালের ঘটনাটি একটি নিগ্রহ নির্মূলের ইতিহাস । দুটোকে মিলিয়ে ফেলা কী সমীচীন হবে ?
০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সার্বভৌমত্বের জন্য - আপনার এই মতামত আংশিক সঠিক।
কিন্তু, এই সার্বভৌমত্ব কেন দরকার হলো?
আমি সিলেটের এক স্বনামধন্য মুক্তিযোদ্ধার সাথে সম্প্রতি কথা বলেছি। তাঁর মতে - মুক্তিযোদ্ধা তিন ধরণের। তাঁদের মধ্যে একদল মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন - আদর্শবাদের জন্যে। আরেকদল যোগদান করেছিলেন- পাকিস্তানীদের শোষণ-বঞ্চনা সহ্য করতে না পেরে।
শাহ জালাল (রহঃ) আর তাঁর সাথীরা উপরের দুই দলের মধ্যেই রয়েছেন।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
মেজর শওকত আলী ছিলেন যেডফোর্সে। জুলাই মাসের শুরুতে উনাকে ৫ নং সেক্টরের ( সিলেটের ) সেক্টর কমান্ডার হিসেবে নিযুক্তি দেয়া হয়; তিনি যেডফোর্স থেকে কিছু সৈনিক নিতে চাইলেন। সবার মাঝে না'যাওয়ার ভাব দেখে আমি জানতে চাইলাম, ব্যাপার কি? বেংগল রাজিমেন্টের ১সৈনিক জানালো, সিলেটের মানুষ স্বাধীনতা চাচ্ছে বলে মনে হয় না; বিপদে আপদে সাহায্য পাবার সম্ভাবনা কম।