নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
প্রিয় শাইয়্যান,
আজ শনিবার তোমার বেশ ব্যস্ততায় যাচ্ছে। এটা ভালো। তুমি মৃত্যুকে ভুলে থাকতে পারছো। মৃত্যু ভয় ঠিক এই মূহুর্তে তোমার মাঝে আর কাজ করছে না। তোমার মাঝে একটার আশার সঞ্চার হয়েছে, মহান খোদাতায়ালা তোমার মৃত্যুকে নবীদের মতো সহজ করে দিবেন।
মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল হযরত মুসা আলাইহিস সালামের জান কবচ করার আগের কালে মানুষের কাছে প্রকাশ্যে নিজ রূপ ধরে আসতেন। মুসা নবীর কাছেও এভাবে এসেছিলেন। কিন্তু, মুসা নবী তাঁকে এমন চড় মেরেছিলেন যে তাতে মৃত্যুর ফেরেশতার একটি চোখ খুলে পড়ে যায়। তখন আজরাইল গিয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিলে, আল্লাহ মুসার কাছে তাঁর মারফত এই খবর পাঠান যে- মুসা যেন একটা ষাঁড়ের পশমের উপর হাত রাখেন। আর, মুসা'র হাতের নিচে যত পশম ঢাকা পড়বে, ততো বছর তাঁর মৃত্যু হবে না। এটা শুনে মুসা জিজ্ঞাসা করলেন- ''এরপরে কি হবে?" তিনি উত্তরে জানতে পারলেন যে, এতো দীর্ঘ কাল বেঁচে থাকার পরে তাঁর মৃত্যু হবে। মুসা তা শুনে আজরাইলকে বললেন- "তাহলে আমার জান এখনই কবচ করুন।"
দেখেছো, শাইয়্যান? মৃত্যু তো হবেই, তা যত দেরীতে আসুক না কেন! কিন্তু, সেটা যেন সম্মানের হয়।
মৃত্যুর ফেরেশতা একবার হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে গেলেন। ইবরাহীম নবীকে বললেন- "আল্লাহ আপনার জান এমন ভাবে কবচ করতে বলেছেন যাতে আপনার কোন কষ্ট না হয়।" নবী ইবরাহীম আজরাইলকে ফেরত পাঠালেন। আল্লাহ এবারে আজরাইলকে বললেন- "তুমি ইবরাহীমকে গিয়ে বলো যে- বন্ধু বন্ধুর সাথে দেখা করতে চেয়েছেন।" আজরাইল ফিরে গিয়ে ইবরাহীমকে এই কথা বললে, তিনি উত্তরে বললেন- "তোমার উপর যে নির্দেশ আছে তা পূরণ করো।"
কি বীরের মতো উত্তর! হযরত দাউদ (আঃ)-এর মৃত্যুর কথা তোমার মনে আছে, শাইয়্যান? কি নীরবেই না তিনি মৃত্যুবরণ করেন!
হযরত দাউদ (আঃ)-এর আত্মসম্মান বোধ খুব বেশি ছিলো। তিনি বাইরে যাওয়ার সময়ে তাঁর ঘরের দরজা সব সময়ে লাগিয়ে যেতেন। এ থেকে বুঝা যায়, তাঁর সময়ে ঘরের দরজা খুলে রাখার চল ছিলো। একবার ঘরে ফিরে দাউদ নবী দেখলেন যে- একজন ব্যক্তি তাঁর ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে আছেন। পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই সেি লোকটি বললেন- ''আমি সেই ব্যক্তি যে কোণ রাজা-বাদশাহকে ভয় পায় না এবং কোন প্রতিবন্ধকতাই আমাকে আটকে রাখতে পারে না।" দাউদ নবী বুঝতে পারলেন যে, ব্যক্তিটি মৃত্যুর ফেরেশতা। তখন দাউদ নবী বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলেণ। সেখানেই তাঁর জান কবচ করা হয়।
শাইয়্যান,
তুমি আল্লাহর কাছে দোয়া করো- এভাবেই যেন তোমার মৃত্যু হয়- সহজ ও সম্মানের সাথে। মৃত্যুর ফেরেশতা যেন তোমার কাছে এসে সালাম দেন। আল্লাহ তোমার দোয়া কবুল করবেন।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব চমতকার করে কঠিন সত্য একটা বিষয়কে উপস্থাপন করেছেন। নবীদের এই কাহিনী জানা ছিল না আগে। অনেক ধন্যবাদ আপনার মাধ্যমে এত সুন্দর একটা বিষয় জানা হল।
আল্লাহ ঈমানী মৃত্যু দিন আমাদের এই দোয়া করি।
৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯
নতুন বলেছেন: মৃত্যু যেহেতু অনিবার্য় তাই কখন ভয়ে থাকার কোন কারন নাই।
cardiac arrest এ মৃত্যুই আমার মতে সবচেয়ে ভালো পথ হবে।
বিছানায় পরে থেকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষে যেন কারুর করতে না হয়।
৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত মুসার (আঃ) কাছে আজরাইল ফেরেশতা জান কবচ করতে এসেছিলেন মানুষের বেশে। পরিচয় শোনার পরে মুসা (আঃ) আজরাইলকে একটা এমন জোরে থাপ্পড় দেন যে তার এক চোখ কানা হয়ে যায়। আজরাইল গিয়ে আল্লাহর কাছে বিচার দেয়। পরে সে আবার এসে আল্লাহর বাণী শুনায়। তখন তাকে দুইটা সুযোগ দেয়া হয়। হজরত মুসা (আঃ) মৃত্যুকে বরণ করে নেন। আরেকবার হজরত মুসার (আঃ) থাপ্পড় খেয়ে আরেক কাফের জায়গাতেই মরে গিয়েছিল। পরে মুসা (আঃ) ফেরাউনের ভয়ে সেই দেশ ছেড়ে পালান। তবে একটা ঝগড়া মিটাতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটে। মুসা (আঃ) কোন দোষ ছিল না। ৩০ জন লোকের শক্তি ছিল হজরত মুসার (আঃ)।
অনেক নবী অনেক কষ্ট পেয়ে মারা গেছেন। একজন নবীকে কড়াত দিয়ে চিরে হত্যা করা হয়েছিল। বনি ইসরাইলের লোকেরা আরও কয়েকজন নবীকে হত্যা করেছিল। তবে তাদের জান কবচ হয় শান্তির সাথে।
৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: নবী মোহাম্মদের মৃত্যু খুব শুখের হয় নাই।মৃত্যুর পরের ঘটনা আরো মর্মান্তিক।
আমরাও বাইরে যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে যাই।তার অর্থ এই নয় যে এখন সবাই দরজা খোলা রাখে।যুক্তির কি বহর।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পোস্টটি ভালো লাগলো। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের প্রতি সদয় হোন এই প্রার্থনাই করছি। ধন্যবাদ।
৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
মেহবুবা বলেছেন: অনন্ত জীবনে যেন ভাল থাকতে পারি, মোমিনের মৃত্যু লাভের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
আল্লাহ্ সবাইকে ভাল রাখুক সেই দোয়া করি আল্লাহর কাছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খুবই ভালো লিখেছেন। যদি ব্লগ পোস্টে মার্ক দেওয়ার দায়িত্ব আমার হতো, তাহলে আমি এই পোস্টে অত্যন্ত গর্বের সাথে ১০০ তে ৯৭ মার্ক দিতাম। ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমার কাছে ৯৭ মার্কের বিপরীতে জবাবদিহি চাইলে - আমি দুই পৃষ্টা লিখে গ্রহণযোগ্য জবাবদিহি দিতাম। যার কারণে অবশ্যই ব্লগ কর্তৃপক্ষ আপনার লেখাটি ৯৭ থেকে ৯৯ মার্ক করে দিতো।
অনেক অনেক দিন পর দুনিয়া ও আখেরাত নিয়ে একটি চমৎকার লেখা পড়েছি। আমি ড. এম আলী ভাই ও আহমেদ জী এস ভাইকে অনুরোধ করবো আপনার লেখাটি যেনো তাঁরা পড়েন।
রাব্বুল আল আমীনের কাছে প্রার্থনা তিনি যেনো আমাদের ঈমানের সাথে মৃত্যু কবুল করেন।