নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

MTFE প্রসঙ্গঃ দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তি হওয়া প্রয়োজন

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫৪



লিংকডইনে দেখতে পেলাম, MTFE-এর ভারত শাখায় ইউসুফ বক্সওয়ালা যখন আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক হলেন, তখন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে MTFE একটি শুভেচ্ছা কার্ড পাঠায়। তাতে, ১০-টি ব্যংকের সাথে এই কোম্পানির লেনদেন আছে উল্লেখ করে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এইসব ব্যাংক তখন বা এখন চুপ করে আছে কেন?

দৈনিক প্রথম আলো আর দৈনিক কালবেলা দেরীতে হলেও ভালো রিপোর্টিং করছে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলংকার মানুষদের কোটি কোটি ডলার মেরে দেওয়া পুঞ্জি এপ MTFE নিয়ে। একটু খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, এই কোম্পানীটি ২০২৩ সালে শ্রীলংকার প্রিমিয়ার লীগে স্পন্সর ছিলো। আরো একটু স্টাডি করে দেখলাম, জোনাস লুডউইগ নামে আইসল্যান্ডেও একজন সি,ই,ও আছেন। তাহলে, পুরো পৃথিবী জুড়ে এদের দৌরাত্ম্য? এটা এতো দিন জানা গেলো না কেন?

আরো বড় প্রশ্ন হচ্ছে, ডলার না হয় বিদেশে চলে গিয়েছে, কিন্তু, এই ডলারকে পুঞ্জি করে যারা উঁচু লেভেলে ব্যবসা করেছে, যারা এতো দিন এই এপের মাধ্যমে অন্যদের টাকা মেরে দিয়ে ধনবান হয়েছে, সেই মানুষগুলো এখন কোথায়? তাদের টাকাপয়সা কোথায় রেখেছে তারা? আর, মানুষকে প্রলোভন দেখানো নিচের মানুষগুলোর শাস্তি কি? সবাই সরকার এবং এডমিনিস্ট্রেশনকে দোষ দিচ্ছেন, কিন্তু এই এপগুলোতে অনৈতিক ভাবে পুঞ্জি খাটানো মানুষগুলোর কি কোন দোষ নেই! আর, ঐসব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কি কোন শাস্তি হবে না?





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এরকম হাজারো ওয়েব সাইট, এ্যাপস আছে সেগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপনে মানুষ ফাঁদে পা দেয়। সবার আগে আম পাবলিকে সচেতন করতে হবে, বিদেশীরা বার বার এই বাংলাদেশকেই টার্গেট করে কারণ এই দেশের মানুষ বোকা এবং লোভী।

ফিলিপাইনের একটা গ্রুপ আমেরিকান ছদ্দবেশে আমাকে পাঁচ মিলিয়ন ডলার অফার করেছে আর এই পাঁচ মিলিয়ন ডলার পেতে আমাকে আগে ৭৫০ ডলার পে করতে হবে। =p~ প্রায় একমাস ধরে আমি ওদের এই সেই করে শুধু ঘুরাচ্ছি আর উল্টা ওদের ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করছি। আশাকরি পরবর্তী দুই সাপ্তাহের মধ্যে ওদের ট্র্যাপে ফেলতে পারবো। B-)
সে এক লম্বা কাহিনী এটা নিয়ে পোস্ট করলে বিশাল এক পোস্ট হয়ে যাবে।

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি ওদেরকে রিপ্লাই করেছেন!!! সারছে!

সেরেছে!!! আপনার ল্যাপটপে মেইলঅয়্যার ঢুকে পড়ে নাই তো? সাবধান!

শুভেচ্ছা।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ লোভী। এদের কখনো শিক্ষা হয় না

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ভাসমান মানুষদের দল!!!

ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সেরেছে!!! আপনার ল্যাপটপে মেইলঅয়্যার ঢুকে পড়ে নাই তো? সাবধান!

নাহ, ওরা মুলত স্ক্যামার, হ্যকার নয়। ওরা নানা গল্প ফেঁদে মানুষকে লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া আমি ওদের কোন লিংক, এটাচমেন্ট ওপেন করি না।

সবাধন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভালো রিপোর্টিং করলেও দৈনিক প্রথম আলো গং নেপত্থে অনেকটা প্রতারকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে গেছে।
ওরা প্রচলিত মিডিয়াতে বা পৃন্টেড পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয় না। মুলত ছিল ইসলামী স্ক্যামার। টার্গেট খাটি ইসলামী লেবাসধারি নানা গল্প ফেঁদে মানুষকে কথিত সুদ বিহীন লোভ দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া গোষ্ঠি ছিল MTFE গং।

সেই সময়টায় প্রথমআলো ডেইলিস্টার মানবজমিন বিরতিহীন ভাবে গুজব ছড়াচ্ছিল যে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’
ইসলামী ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে হাজারকোটি টাকা, খালী হয়ে যাচ্ছে, দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে ইসলামী ব্যাংক।
ধর্মপ্রাণ গ্রাহকরা তখন পাগলের মত কোটি কোটি টাকা উত্তলন করে বাসায় নিয়ে রাখা শুরু করে।
তখনই মোক্ষম সুযোগটা নেয় কথিত সুদ বিহীন দাড়ীটুপি মোচছাটা টাকনু ওয়ালা MTFE গং


অতচ ব্যাঙ্কটির দেউলিয়া হওয়ার গুজব ছিল ভিত্তিহীন।
বছর শেষে ইসলামী ব্যাংক পিএলসির নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা প্রবৃদ্ধি ২৮.২৮%।
২০২২ সালের জন্য শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
শুধু শেয়ার বিনিয়োগ না, ব্যাঙ্কটি গ্রাহকদের জমা (ডিপোজিট)ও বেড়েছে যদিও প্রথম আলো-ডেইলিস্টার কোন প্রমান ছাড়াই উলংগ মিথ্যা বলে গেছে 'দিন দিন কমছে'।

২০০৮ সালে ইসলামী ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ছিল ২৫,০০০/- কোটি টাকা,
২০১৭ তে এস আলমের শেয়ার প্রাধান্যে আসে।
২০১৯ এ করোনার আগে মোট ডিপোজিট ছিল ৮২, ০০০/- কোটি টাকা প্রায়
বর্তমানে কথিত ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ প্রভাবে এত টাকা সরিয়ে নেয়ার পরও ২০২২ শেষে ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ১,৪৭,০০০/ কোটি টাকা প্রায়।
উম্মুক্ত শেয়ার বাজারে ভুল হিসেব দেয়া সম্ভব নয়। বিদেশী(ভারতীয়) অডিটিং ফার্ম।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকলে কেন তারা এগুলোতে টাকা রাখে? এরা লোভী; এদের এমন হওয়াই উচিত।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী- এর মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ।

এ্যাপটি মুলত হুজুর, মোল্লা, মৌলভী এবং মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষিকাদের টার্গেট করে মার্কেটিং করেছিলো যে কারণে খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। এই এ্যাপের বেশিভাগ গ্রহাক বরিশাল এবং সাতক্ষীরা অঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মানুষজন।

যেভাবে এমটিএফই অ্যাপে প্রতারণার শিকার হলেন বরিশালের শত শত মানুষ

এমটিএফইতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত সাতক্ষীরার মানুষও

আমার আনুমান যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে, ব্লগার সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইয়ের দুই একজন পরিচিত লোকও এই কোম্পানীতে টাকা খুইয়েছেন। আমার সাবকনসাস মাইন্ড তাই বলে।

যাই হোক, যে বা যারাই এই অপকর্মের সাথে জড়িতে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হাউক।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.