নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
৬১ হিজরীতে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পরে ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামের সমর্থক-অনুসারীরা কেউ সমাজে প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে কথা বলতে পারতো না। মসজিদের ইমামরা ইয়াজিদের আনুগত্য প্রকাশ করতো, শহরের কাজীরা রাজতন্ত্রের সকল অপকর্মের বৈধতা দিয়ে দিতো।
ইয়াজিদের পিতা মুয়াবিয়ার সময় থেকেই তার অধীন মসজিদসমূহে হযরত আলী আলাইহিস সালামকে গালি দেয়া হত। সেই সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা)-এর বংশধরদের ভালোবাসতো মক্কা-মদীনায় এমন মানুষের সংখ্যা বিশ জনও ছিল না। তাই, ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) মসজিদের পরিবর্তে একটি ঘর নির্মান করেন। এই ঘরে বসে তিনি কারাবালার ঘটনা বর্ণনা করতেন, তাই এই ঘরটাকে ‘বাইতুল হুজন’ বা দুঃখের ঘর বলা হতো।
মসজিদে যেহেতু কারবালার ঘটনা আলোচনা করার সুযোগ ছিলো না, সেহেতু ইমাম হোসাইন (আঃ)-এর সমর্থক-অনুসারীরা নিজ নিজ এলাকায় শুধু ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামকে কেন্দ্র করে বিশেষ ঘর নির্মাণ করতেন। যে প্রথাটা তখন থেকে এখনও সমগ্র বিশ্বে বিদ্যমান। সেই বিশেষ ঘরগুলোকে আরব-পারস্যে হোসাইনিয়া, পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশে আশুরাখানা/ইমামবাড়া(ইমামবারগাহ)/পাক পান্জাতন মোকাম বলা হয়।
আমি এই ইতিহাস জানতাম না। মহানবী (সা)-এর এক বংশধরের কাছ থেকে এটা জানার পরে ঠিক করেছি যে, তাজিয়া মিছিল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো। আমি কখনো তাজিয়া মিছিলে যাই নাই। এইবার যাবো বলে ঠিক করেছি।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: ঋণাত্মক শুন্য, কুরআনে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে একজনের পাপের বোঝা অন্যজন বহন করবে না। এখন আপনি বলুন আপনি প্রথম যে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন সেটি কি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক নয়?
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫
রানার ব্লগ বলেছেন: এই তাজিয়া মিছিল আমার কাছে হাস্যকর এবং উদ্ভট মনে হয় । একে কোন ভাবেই শোক প্রকাশ বলে না ।
৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইমাম হোসেন (রা) শহীদ হয়ে জান্নাতের উঁচু মাকামে আছেন। আমরা কি তাঁর সুখে শোক প্রকাশ করব? আমাদের মৃত আত্মিয়-স্বজনের কেউ গুণাহগার থাকলে আমরা তাদের জন্য কান্নাকটি করে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে পারি।
৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: তাজিয়া মিছলে যান। যাওয়াই উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এই হাদিস গুলি মাথায় রাখতে পারেন যখন তাজিয়া মিছিলে যাবেন।
উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মৃত ব্যক্তিকে তার কবরের মধ্যে তার জন্য মাতম করে কান্না করার দরুন শাস্তি দেওয়া হয়।’’ (বুখারী ও মুসলিম) অন্য এক বর্ণনায় আছে, যতক্ষণ তার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, [ততক্ষণ মৃত-ব্যক্তির আযাব হয়।] [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৮৮, ১২৯০, ১২৯২, মুসলিম ৯২৭, তিরমিযী ১০০২, নাসায়ী ১৮৫৩, ১৮৫৮, ইবনু মাজাহ ১৫৯৩, আহমাদ ২৯০৩৮৮, ৪৮৫০, ৪৯৩৯, ৫২৪০, ৬১৪৭
ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে [শোকের সময়] গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
* [অর্থাৎ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে মৃত ব্যক্তির বীরত্ব, দানশীলতা ও বিভিন্ন গুণ বর্ণনা করে, যেমন: ও আমার বাঘ! ও আমার চাঁদ! ও আমার রাজা! ইত্যাদি]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৯৪, ১২৯৭, ১২৯৮, ৩৫১৯, মুসলিম ১০৩, তিরমিযী ৯৯৯, নাসায়ী ১৮৬২, ১৮৬৪, ১৫৮৪, আহমাদ ৩৬৫০, ৪১০০, ৪১০৩, ৪৩৪৮, ৪৪১৬
আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, [তাঁর পিতা] আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু যন্ত্রণায় কাতর হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আর [ঐ সময়] তাঁর মাথা তাঁর এক স্ত্রীর কোলে রাখা ছিল এবং সে চিৎকার করে কান্না করতে লাগল। তিনি [অজ্ঞান থাকার কারণে] তাকে বাধা দিতে পারলেন না। সুতরাং যখন তিনি চেতনা ফিরে পেলেন, তখন বলে উঠলেন, ’আমি সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত, যে মহিলা থেকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলা থেকে সম্পর্কমুক্ত হয়েছেন, যে শোকে উচ্চ স্বরে মাতম করে কান্না করে, মাথা মুণ্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] মুসলিম ১০৪, নাসায়ী ১৮৬১, ১৮৬৩, ১৮৬৫-১৮৬৭, আবূ দাউদ ৩১৩০, ইবনু মাজাহ ১৫৮৬, আহমাদ ১৯০৪১, ১৯০৫৩, ১৯১১৯, ১৯১২৯, ১৯১৯১, ১৯২৩০
মুগীরাহ ইবনে শু’বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছি যে, ’’যার জন্য মাতম করে কান্না করা হয়, তাকে কিয়ামতের দিনে তার জন্য মাতম করার দরুন শাস্তি দেওয়া হবে।’’ (বুখারী, মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১২৯১, মুসলিম ৪, ৯৩৩, তিরমিযী ১০০০, আহমাদ ১৭৬৭৪, ১৭৭১৯, ১৭৭৩৭, ১৭৭৭৩
উম্মে আত্বিআহ নুসাইবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’বায়আতের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এই অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য মাতম করব না।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[1] সহীহুল বুখারী ১৩০৬, ৪৮৯২, ৭২১৫, মুসলিম ৯৩৬, নাসায়ী ৪১৭৯, ৪১৮০, আবূ দাউদ ৩১২৭, আহমাদ ২০২৬৭, ২৬৭৫৩, ২৬৭৬০