নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের শিইইয়েন বেইসুয়েন গ্রামের মাটির নিচে আধুনিক বিশ্বের লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে আছে প্রাচীন পৃথিবীর এক নিদর্শন। আজ থেকে ৩০ বছর আগেও বাইরের দুনিয়া তো দূরে থাক, খোদ চীনের নাগরিকরাও এগুলোর খোঁজ জানতেন না। ১৯৯২ সালের দিকে গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ করেই ২০০০ বছরেরও পুরোনো এই কৃত্রিম গুহাগুলোর খোঁজ পেয়ে যান। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কোন প্রত্নতত্ত্ববীদ, স্থাপত্যবীদ, প্রকৌশলী কিংবা ভূতত্ত্ববীদ এগুলো কে বা কারা তৈরী করেছে সে সম্পর্কে খোঁজ দিতে পারেননি। এমনকি এটাও অজানা যে এগুলো কিভাবে বা কেন তৈরী করা হয়েছিলো, সেটাও অজানা আজকের পৃথিবীর মানুষের কাছে।
লঙ্গিউ গুহার মোট সংখ্যা ৩৬টি। এই গুহাগুলো ৩০,০০০ বর্গমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কঠিন সিল্ট পাথরের মাঝে খোদাই করে বানানো এই গুহাগুলো মাটির ৩০ মিটার নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। এগুলোর প্রতিটিতে পাথরের তৈরী ঘর, সেতু, নালা, এমনকি পুলও আছে। সেই সাথে আছে উপরের ছাদকে ঠেকা দেওয়ার জন্যে পাথরের থাম। এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গুহাকে পর্যটকদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, গবেষকদের কাছেও লঙ্গিউ গুহাগুলো এক ধাঁধা। এর কিছু কারণ আজ তুলে ধরবো।
গুহাগুলো কিভাবে বানানো হয়েছে তা কারো জানা নেই
লঙ্গিউ গুহাগুলো বানাতে যে পরিমাণ শ্রমের দরকার হয়েছে, তা সত্যিই আতংকিত করে। এই কৃত্রিম গুহাগুলো খোদাই করে তৈরি করার সময় প্রায় ১০ লক্ষ কিউবিক মিটার পাথর অপসারণ করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতি দিনে একজন শ্রমিক কতটুকু পাথর খোদাই করতে পারে হিসাব করে বিজ্ঞানীরা বের করেছেন যে, যদি ১০০০ মানুষ দিন-রাত কাজ করে তাহলে এই গুহাগুলো বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ৬ বছর। বিজ্ঞানীরা প্রত্যেক শ্রমিক সমান হারে শ্রম দিয়ে কাজ করেছে অনুমান করে হিসাবটি করেছেন। কিন্তু, তা যদি সত্যি না হয়ে শ্রমিকদের শারীরিক শক্তি কম-বেশি হয়ে থাকে আর গুহাগুলোর শৈল্পিক গঠনশৈলীর কথা চিন্তা করা হয়, তাহলে গুহাগুলো বানাতে আরো অনেক বেশি সময় লাগার কথা। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর আশে-পাশে নির্মানকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু, লঙ্গিউ গুহাগুলো এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এগুলোর নির্মানকাজে ব্যবহৃত কোন যন্ত্রপাতিই এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শুধু তা-ই নয়, একটা গুহার সাথে আরেকটা গুহার যে সামঞ্জস্যতা, নির্মানশৈলী'র নির্ভুলতা আর গঠনে সাদৃশ্যতা এতো নির্ভুল ভাবে কিভাবে করা সম্ভব হলো, আধুনিক কালের বিজ্ঞানীরা এখনো বের করতে পারেননি।
গুহাগুলো নির্মানের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না
এই যে ১০ লক্ষ কিউবিক মিটার পাথরের ভিতর খনন করা হলো, সেই পাথরগুলো কোথায় গেলো! গুহাগুলো যে এলাকায় অবস্থিত, তার আশে-পাশে সেগুলোর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। কোন চীনের কোন ইতিহাস বইতেও এর কোন রেকর্ড পাওয়া যায় না। অথচ, এমন কাজ করার জন্যে যে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন, তা লুকিয়ে করা সম্ভবপর নয় বলে মনে করা হচ্ছে। তাহলে!
গুহাগুলোর দেয়াল আর ছাঁদে খাঁজ কাটা ওসব কিসের চিহ্ন?
প্রত্নতত্ত্ববীদ আর স্থাপত্যবীদরা অবাক চোখে দেখেছেন প্রতিটি গুহার মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত কি রকম যেন খাঁজ কাটা। এরকম একই প্যাটার্নে খাঁজ কাটতে প্রয়োজন বিপুল জনশক্তি আর অফুরন্ত সময়। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে- কেন? কিসের উদ্দেশ্যে এরকম খাঁজ কাটা হলো? এগুলো কি শুধুই ডেকোরেশনের জন্যে করা হয়েছিলো? নাকি, খাঁজকাটা লাইন বা প্যাটার্নের মাঝে কোন নক্সা লুকিয়ে আছে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গিয়েছে তা হচ্ছে- এই খাঁজ কাটা লাইনগুলো সাথে স্থানীয় একটি মিউজিয়ামে থাকা খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে ৮০০ বছরের পুরানো কিছু মৃতশিল্পের উপরের দাগের অনুরূপ।
গুহাগুলোতে কোন মাছ পাওয়া যায়নি
মাটির নিচে গুহাগুলো যখন প্রথম আবিস্কার হয়, তখন সেগুলোতে পানি ছিলো। ধরা হয়, সেগুলো অনেক দিন ধরেই গুহাগুলোতে ছিলো। পানিগুলো সেঁচে ফেলে দেওয়ার সময় ভাবা হয়েছিলো এগুলো এলাকার অন্যান্য তলাহীন পুকুরগুলোর মতোই কিছু হবে। চীনের দক্ষিণের এলাকাগুলোর বাসিন্দারা এরকম অনেক পুকুর খনন করে রাখেন। জেনারেশনের পর জেনারেশন ধরে এগুলো 'তলাহীন পুকুর' নামে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত। সেগুলোতে মাছও পালন করা হয়। কিন্তু, গুহাগুলো থেকে যখন পানি সরিয়ে ফেলা হয়, তখন সেগুলোতে কোন মাছ ছিলো না, ছিলো না আর কোন প্রাণের অস্তিত্ব। সত্যিই অবাক করা বিষয়!
গুহাগুলো ২০০০ বছর ধরে অক্ষত অবস্থায় টিকে রয়েছে
ব্যাপারটা মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতোই। গুহাগুলোর বয়স ২০০০ বছরেরও বেশি। তার উপর পানির নিচে ছিলো অনেক দিন। অথচ, একটি দেয়াল ধসে পড়েনি। পিলারগুলো অক্ষত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে এখনো। গুহাগুলোর কোন কোন দেয়াল মাত্র ৫০ সে,মি, পুরু। তারপরও, সেগুলোর কিছু হয়নি এতো কাল পরেও। গত দুই হাজার বছরে, চীনের ঐ এলাকার উপর দিয়ে অনেক গিয়েছে, যুদ্ধ হয়েছে, বন্যায় প্লাবিত হয়ে অনেক পর্বতের আকৃতি পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়েছে। অথচ, লঙ্গিউ গুহা এর ব্যতিক্রম। যেন গতকালকে কেউ ওগুলো বানিয়েছে।
নির্মানকারীরা আলো ছাড়া কিভাবে কাজ করলেন!
গুহাগুলো এতোটাই গভীর যে উপর থেকে সেগুলোর নিচে মেঝের দিকে তাকালে আলকাতরার মতো কালো অন্ধকার চোখে পড়ে। এটা সত্যিই খুবই অবাক করা বিষয় যে, এতোটা গভীরেও গুহাগুলোর মেঝে, কলাম আর সিলিং-এ খাঁজ কাটা সমান্তরাল লাইনগুলো খোদাই করা হয়েছে। এ নিয়ে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধাপক জিয়া গ্যাং-এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন যে- গুহাগুলোর মুখ এতোটাই ছোট যে সেগুলো খনন করে বানানোর সময় অবশ্যই লন্ঠনের প্রয়োজন। দিনের একটা বিশেষ সময়ে, তেরছা ভাবে যখন সূর্যের আলো গুহাগুলোতে পড়ে, শুধু তখনই গুহাগুলো আলোকিত হয়। গুহাগুলোর যত নিচের দিকে যাওয়া যায়, সূর্যের আলো তত কমতে থাকে। একদম নিচে পৌঁছার পর প্রায় আর কিছুই দেখা যায় না। তাহলে, দুই সহস্র বছর পূর্বে চীনে যখন আলোকিত করার কোন যন্ত্র ছিলো না, তখন কিভাবে অন্ধকারে ঐ গুহা আর 'নক্সা'-গুলো বানানো সম্ভব হলো!
গুহাগুলো একটার সাথে আরেকটির কোন সংযোগ নেই কেন!
আগেই বলা হয়েছে, লঙ্গিউ গুহাগুলোর সংখ্যা ৩৬টি। এই সবগুলো গুহাই কিন্তু মাত্র এক বর্গ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে বিস্তৃত। এতো ঘন করে থাকা এই গুহাগুলোর একটার সাথে আরেকটির তো সংযোগ থাকার কথা। অথচ, সেগুলোর মাঝে তা নেই। প্রতিটি গুহাই আলাদা আলাদা। অনেক গুহার দেয়ালই মাত্র ৫০ সে,মি, পুরু। তারপরো, সেগুলো কেটে পাশের গুহার সাথে কোন পথ করা হয়নি বলেই সেগুলো ইচ্ছেকৃত ভাবে করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কিন্তু, কেন এমন করা হয়েছিলো সেটার উত্তর আজ অবধি পাওয়া যায়নি।
কারা গুহাগুলো বানালো?
আজ পর্যন্ত কেউ জানে না কে ওগুলো বানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন সম্রাট বা নেতার নির্দেশ ছাড়া সাধারণ গ্রামবাসীদের পক্ষে এমন বিশাল কর্মকান্ড চালানো সম্ভব নয়। যেমন- বাইরের শত্রুদের থেকে রক্ষা পেতে চীনের তৎকালীন সরকার চীনের প্রাচীর তৈরীর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, কোন সম্রাট তা করে থাকলে তো ইতিহাস বইয়ের রেকর্ডে তা থাকার কথা! অথচ, তা নেই।
গুহাগুলো আবিস্কার হওয়ার পর অনেক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, এখন পর্যন্ত এসব প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর কেউ বের করতে পারেনি। এখনো বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু, আমাদের পূর্বপুরুষদের তৈরি এই গুহাগুলো আজও রহস্যের আবর্তে ঢাকা।
গুগল ম্যাপে লঙ্গিউ গুহাঃ
আপনি যদি লঙ্গিউ গুহাগুলোর অপার সৌন্দর্য দেখতে চান, তাহলে গুগল ম্যাপে Longyou Caves লিখে সার্চ দিতে পারেন।
মূলঃ April Holloway, Ten Enduring Mysteries of China’s Longyou Caves, Click This Link
সূত্রঃ
১) চীনের সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের 'ওয়ে ব্যাক মেশিন'
২) Longyou Caves-Quzhou Tourist Attractions-Chinahotel". vhotel.org
৩) Engineering geological characteristics, failure modes and protective measures of Longyou rock caverns of 2000 years old". inist.fr. 24 (2).
৪) Longyou Grotto's, ancient-wisdom, http://www.ancient-wisdom.com/chinalongyou.htm
বিভাগঃ পুরাতত্ব
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জী, আপনি বলার পরে, আমি গুগল ম্যাপের একটি লিংক সংযুক্ত করেছি লেখার একদম শেষে।
আপনি একবার দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্লগটিম আমার মন্তব্য পড়ছেন!
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জী, আপনার দিকে টেলিস্কোপের জুম ল্যান্সের একদম সর্বোচ্চ পাওয়ার সেট করা হয়েছে।
শুভেছা নিরন্তর।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ২:০২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চমৎকার হয়েছে লেখা।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
অসাধারণ একটি পৃথিবী।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৯
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: নতুন কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
একবার পারলে ঘুরে আসুন। আমার যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। করোনার ভয়ে যেতে পারছি না।
শুভেচ্ছা।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: ওয়াও দারুন কিছু জানলাম -আমার এলিয়েন তত্ত্বতে কাজে লাগবে
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রাচীন বৌদ্ধরা বেশ কর্মঠ ছিলেন।
তাঁরা চীনে বিশাল বিশাল স্থাপত্য তৈরী করে রেখে গিয়েছেন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৩
অপ্সরা বলেছেন: আই লাইক দিস!
ঠিক এইভাবেই সুন্দর কিছু প্রাকটিস থেকে আমরা শিখি। যেমন এই ফিচারের আয়োজন করার কারনেই তুমি এত সুন্দর একটা লেখায় মন দিলে ভাইয়া।
নয়ত এমন অনেক কিছুই নিয়ে তুমি লেখো তবে লেখার জন্য লেখো বা অন্য দিকে মন দিয়ে থাকো।
কিন্তু এবারে একদম নিখুঁত করে কিছু লেখা যায় কিনা সেটার দিকে মন দিয়েছো।
যেমনই নতুন কিছু জানা হলো অনেকেরই তেমনই সুন্দর সুসংহত লাগছে লেখাটা।
ওয়েলডান!
এখন থেকে ঠিক এইভাবেই এমন কলেবরে ও তথ্য সমৃদ্ধ করেই লিখবে !
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপু, এত্তো ইন্সপায়ারিং কমেন্ট করার জন্যে।
আসলে, পৃথিবীর ইন্টারেস্টিং প্রায় সব ঘটনা নিয়ে সামুতে লেখা বিদ্যমান। আমি ফিচার লিখতাম এক সময়ে। ২০১৮-১৯ সালের দিকে। এরপরের দিকে পাঠক সংখ্যা কমে যাওয়ায় লেখায় আর মনোযোগ দেইনি।
ফিচার লেখার আইডিয়া যিনি দিয়েছেন, তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ। আমি আরও দুটো দিবো। আশা করি ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
অপ্সরা বলেছেন: ভেরী গুড!
আসলে আমরা যা দেখি তাই শিখি। সামনে সম্ভবনার দূয়ার শেখার দূয়ার খুলে না দিলে কখনও কখনও আমরা সেটা খুলতে পারি না। এই কারণেই পরিবেশ ও বংশগতী নিয়ে আজীবন চর্চা লড়াই গবেষনা চলে আসছে।
আমাদের জীবনে নিজের পরিবার যেমন শিক্ষাক্ষেত্র তেমনই আমাদের আশেপাশের পরিবেশ। আমাদেরকে বড়রা যা শেখায় তাই দিয়ে আমরা জীবনের শিক্ষা শুরু করি তারপর আশপাশ থেকেই শিখি। সেই শেখাটাই থাকে নিজের উপরে। তুমি কোনটা শিখবে।
শুদ্ধ এবং সঠিকের নির্বাচন ও কোনটা বেছে নেবো সেটা শেখা আসলে নিজের বুদ্ধিমত্তার উপরেই। অন্যের আশার না থেকে নিজের আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়া অনেক বড় ব্যপার।
এই যে আজকে ফিচারের আয়োজন হলো। অনেকেই থমকে গেলো প্রথমেই! কারন সময় ভাবনা চিন্তা ও প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের একটা হীনমন্যতা কাজ করে আমাদের মাঝে। তুমি মনে হয় সবার আগে এই ফিচারটা লিখলে। এখন নিশ্চয়ই অনেকেই লিখবে।
তবে ধন্যবাদ প্রাপ্য আর ইউ ভাইয়া আর অপু তানভীর ভাইয়ারও।
তারাও এই আয়োজন এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য ব্লগারদের প্রাণে কিছুটা আশ্বস্ততা দিয়েছে বলেই আমার মনে হয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হ্যাঁ, ব্লগারদের মাঝে একটা আড়ষ্টতা দেখা গিয়েছে ফিচার প্রতিযোগিতার ঘোষণার পরে!
সেটাই স্বাভাবিক। সামুর পাঠককে আগেও তুমি-সহ অনেকে অসাধারণ সব ফিচার উপহার দিয়েছেন। কিন্তু, এমন ঘটা করে ফিচার লেখার প্রতিযোগিতার আয়োজন গত ৬ বছরে হয়নি। তাই, সবাই প্রস্তুতি নিয়েছেন নিজের মতো করে। সেটার জন্যে সময়ও একটা ফ্যাক্টর।
অপু তানভীরের পোস্টটি অনেকের কাজে দিবে। আরইউ-ও ইন্সপাইরেশন দিয়েছেন বেশ। তাঁদেরকে ধন্যবাদ।
আমিও সাইডলাইনে বসে থাকতে পারলাম না।
আর অপেক্ষা না করে পোস্ট দিয়ে দিলাম!!!
এখন অপেক্ষার পালা, অন্যদের জন্যে।
ধন্যবাদ আবারও।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার শেয়ার!!
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব মৌলিক লেখাটার কাছাকাছি কোন কিছু লিখতে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এইতো! দুর্দান্ত লেখা আসতে শুরু করেছে। এইটাই সম্ভবত প্রথম পোস্ট ব্লগ ডে উপলক্ষ্যে।
চমৎকার লাগলো আমার কাছে।
আমার মনে হয় শিরোনামে ব্লগ ডে ফিচার টাইপ কোন কীওয়ার্ড যুক্ত করলে ভালো হ্য়।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আরও লেখা আসবে। ব্লগাররা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আপনি লিখবেন না?
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন: ওয়াও দারুন কিছু জানলাম -আমার এলিয়েন তত্ত্বতে কাজে লাগবে।
-আপনি অনুবাদ করতে গিয়ে তত্বটাকে(? ) "দখল" করে বসলেন? আপনি তো অনুবাদক নন, "লেখকের বাবা"।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি লেখকের বাবা নই, একজন অনুবাদক।
লেখার সূত্র পোস্টে আছে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১১ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে- আপনার এই কমেন্টটা আমার পোস্টের কন্টেন্টের সাথে সামঞ্জস্য হচ্ছে না।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৭
জগতারন বলেছেন:
সুন্দর পোষ্ট।
আমার কেমন যেন ভারতের (অযন্তা, মনে হয় নাম)-এর কথা মনে পড়লো।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন জনাব।
১৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৭
মোহামড বলেছেন: অনেক বড় জ্ঞানের কথা।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
আপনি লিখবেন না?
ফিচার লেখা মন হয় সম্ভব হবে না।
১৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার!
১৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১২
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ রহস্যজনক।
ভারতের অজন্তা, ইলোরার মতো মনে হয়, তবে রহস্যাবৃত্ত।
নাকি চাইনিজরা আধুনিক সময়ে এগুলো বানিয়ে দুনিয়াকে বোকা বানাতে চাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
যদি আপনি ইনভেষ্টিগেইট করে কিছু উত্তর বের করতেন (ভুল/ শুদ্ধ ), এবং গুহাগুলোর তৈরির ব্যাপারে আপার যেকোন ধরণের ধারণা/ আইডিয়া ও মতামত প্রকাশ করতেন, তা'হলে ভালো হতো!