নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
দক্ষিন এশিয়ার চারটি দেশ- ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলংকা। এই চারটি দেশের মাঝে শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু জিডিপি সবচেয়ে বেশি। ২০১৯ সালে এই দেশটি'র মাথাপিছু জিডিপি ছিলো ১৩,২৯০.১২ মার্কিন ডলার। একই বছরে, এই চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিলো সবচেয়ে কম- ৪৬৫৮.০১ মার্কিন ডলার। অথচ, গড়পড়তায় বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজে বেশি সময় দিয়ে থাকেন।
একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের শ্রমিকরা বছরে গড়ে ২৪১৯ ঘণ্টা কাজ করেন। অন্য দিকে, ভারতের শ্রমিকরা বছরে গড়ে ২১৩২ ঘণ্টা, পাকিস্তানের ১৯৬৭ ঘণ্টা এবং শ্রীলংকার সর্বনিম্ন ১৯২৩ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন।
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জিডিপি'র দিক দিয়ে যত উন্নত দেশ, শ্রমিকরা তত কম কাজ করেন। এই হিসেবে, আয়ারল্যান্ডের শ্রমিকরা বছরে গড়ে ১৭৭২ ঘণ্টা কাজ করে ১০২৬২২.৪৫ মার্কিন ডলার ঘরে নিয়ে আসেন। এভাবে দেখা গিয়েছে, গবেষণায় থাকা সব দেশগুলোর মাঝে, ডেনমার্কের শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি আরামে আছেন। তাঁরা বছরে মাত্র ১৩৮১ ঘণ্টা কাজে করে ৫৪০২৭.১৫ মার্কিন ডলার আয় করেন।
তবে, চাকরী বা কাজে বাংলাদেশের চেয়েও বেশি সময় ব্যয় করে থাকেন কম্বোডিয়ার শ্রমিকরা। তাঁরা বছরে ২৪৭৫ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাংলাদেশের শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো উচিৎ। এক্ষেত্রে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
ডেনমার্কের শ্রমিকের বার্ষিক আয়ের সংখ্যটি সঠিক নয়।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
টাইপিং-এর ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
আমি ঠিক করে দিয়েছি। '৫' সংখ্যাটি দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের শ্রমিকেরা দাসের পর্যায়ে আছে; ঘরের চাকরাণীকে কি মনে করে ঘরের লোকজন?
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এটা খুবই খারাপ একটি ব্যাপার।
ঘরের চাকরাণীকে আমরা মাতিতে ঘুমাতে দেই, পাতে তুলে দেই সবচেয়ে ছোট মাংস। চেয়ারে বসাতে কুণ্ঠা বোধ করি।
অসম্ভব বাজে মেন্টালিটি এগুলো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সমাধান কি?
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
গ্রাফ বলছে, ইনকাম বাড়াতে হবে, বেকারত্বের হার কমাতে হবে। শিক্ষিতের হার যত বাড়বে, মানুষ তত সচেতন হবে।
এগুলোই সমাধান।
ধন্যবাদ।
৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৯৯৯ টাকায় ধুমাইয়া ফ্রিল্যান্সার বানানো হচ্ছে। দুনিয়ার সব কোর্স এই টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবাই এক্সপার্ট! সবাই কন্টেন্ট রাইটার, এসইও এক্সপার্ট আরো বহু কিছু! আজাইরা বিডিং ও অযোগ্য পাবলিকের যন্ত্রনায় কয়েকদিন পর ক্লায়েন্টরা পোস্ট করবে 'Everyone can bid except Bangladeshi freelancer' । কারন আবর্জনা থেকে দুরে থাকার অধিকার সবারই আছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ভালো বলেছেন। কিছু মানুষ নিজের যোগ্যতা কতটুকু তা বুঝেন না। সেই সাথে বিশ্ব বাজার সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় এই অবস্থা। কিছু ট্রেনিং সেন্টারও এর জন্যে দায়ী। তারা ঠিক ভাবে ট্রেনিং দিতে পারে না।
সাথে রয়েছে অতি মুনাফালোভী রিক্রুটারগণ।
আমার কোম্পানী কয়েকজন রিক্রুটারের সাথে গত কয়েক মাস ধরে কাজ করছে। সেখানে একেকজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের জন্যে তারা ১ মাসের সেলারি পর্যন্ত দাবী করে বসে।
এখন যদি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ২ লক্ষ টাকা হয়, কতটুকু মুনাফা করছেন তারা, একবার ভেবে দেখেন!
আমরা বিদেশী কোম্পানির সাথে কাজ করি বলে রক্ষা। আমাদের তেমন একটা গায়ে লাগে না। কিন্তু, দেশীয় ফার্মগুলোর কি অবস্থা একবার ভেবে দেখেন।
দেশীয় কোম্পানী তখন তার ডেভেলপারদের উপর অমানুষিক ভার চাপিয়ে দিয়ে এই টাকা উঠিয়ে নিয়ে আসে!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬
রানার ব্লগ বলেছেন: বেসরকারি ও বানিজ্যিক অফিস গুলা কর্মকর্তাদের তাদের কেনা দাস মনে করে। একাউন্টস থেকে শুরু করে বাসার বাজার সব করায় কর্মকর্তাদের দিয়ে। বাড়ির বাবা দাদা চোদ্দগুষ্টিদের স্যার ম্যাডাম হুজুর হুজুর করায় তারপরে বেতন দেবার দিন এদের চেহারা হয় শুকিয়ে যাওয়া গরুর গোবরের মতো। এটাই হলো মুল কারন।
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আসলে সব লেভেলে স্কিলফুল মানুষের অভাব।
ধন্যবাদ।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান,
পোস্টের শিরোনাম দিয়েছেন - "বাংলাদেশের শ্রমিকরা কর্মঠ হলেও কম আয় করেন কেন?" অথচ লেখার কোথাও এই কেন?এর খোঁজ পেলুম না। যেহেতু " কেন?" প্রসঙ্গে তুলেছেন সেহেতু কারনগুলির বিষয়ে জানালে ভালো হতো।
যা লিখেছেন তাতে শিরোনাম হওয়া উচিৎ ছিলো - "বাংলাদেশের শ্রমিকরা অন্যদের তুলনায় কর্মঠ হলেও কম আয় করেন"
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আমি আসলে প্রশ্ন রেখেছি, ভাইয়া, জানার চেষ্টা করেছি ব্লগাররা এই নিয়ে কি ভাবছেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আন্তর্জাতিক মানের শ্রমিক হতে হলে আমাদের আরও দক্ষ হতে হবে। বুদ্ধিমানরা বেশী আয় করে কম বুদ্ধির লোকদের চেয়ে।
১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বুদ্ধির সাথে আয়ের সম্পর্ক আছে বলে আমিও মনে করি।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
যারা দক্ষ, তারা ঠিকই আয় করে যাচ্ছে।
যত্র তত্র ভুইফোড় ট্রেনিং সেন্টারে গজিয়ে ওঠা বিপুল সংখক অদক্ষরা একটা বোঝা।
তবে এদের বয়স কম। ভবিশ্বতে এদের থেকে বড় একটি অংশ দক্ষ হয়ে গড়ে ওঠার সুযোগ আছে।
১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "কাল্পনিক_ভালোবাসা" -র মন্তব্যের সাথে সম্পর্কিত কিছু বলতে চাচ্ছি।
প্রযুক্তি সম্পর্কিত ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুবাদে প্রবাসেও বেশ কিছু বাঙালী লোকজনের কাজ দেখার সুযোগ আমার হয়েছে, বেশীর ভাগেরই মান খারাপ। দীর্ঘ সময় এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি বলে তারা কম-বেশী আমাকে সমীহ করেন, তবে তারা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমার গঠনমূলক সমালোচনাও খুব সম্ভবত মানতে পারেন না, তাই পেছনে আমার সমালোচনাও করেন, আমার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন করেন কেউ কেউ। অথচ তারা বেমালুম ভুলে যান যে আমি তাদের কলিগ বা বন্ধু নই, নিতান্তই তারা আমার কাছে আসেন কাজের ব্যাপারে হেল্প বা ফিডব্যাক নিতে। আমি চেষ্টা করি সততার সাথে তাদেরকে আমার মতামত জানাতে। সেটা মানাটাও কঠিন হয়ে যায় তাদের জন্য। বিষয় হলো আপনি নিজেকে হাজার রকমের উপাধি (যেমনটা কাভা উল্লেখ করেছেন) দিয়ে সুস্বজ্জ্বিত করতে পারেন, কাজ করতে না পারলে তার মূল্য ০। এই অবস্থা পুরো জাতির।
আপনি কর্মঠ হলেই হবে না, কাজের ব্যাপারে জ্ঞান ও কাজের প্রতি ভালোলাগা এবং শ্রদ্ধা দুটোই জরুরী। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২০
রাজীব নুর বলেছেন: মূলত দরিদ্র দেশ গুলোতেই বৈষম্য দেখা যায়। কারন দরিদ্র দেশ গুলোর সরকার দূর্নীতিবাজ হয়।