নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আপনি কি মাসিক লক্ষ টাকা বেতনের চাকরী পেতে চান? এই প্রশ্নের উত্তর যদি 'হ্যাঁ' হয়, আপনার প্রতি পরবর্তী প্রশ্ন- 'আপনি কি স্মার্ট ইংরেজি জানেন'? স্মার্ট ইংরেজি! এটা আবার কি!!!
আপনাকে আজ বলি- স্মার্ট ইংরেজি মানে অনর্গল ভাবে ইংরেজি বলে যাওয়া নয়। বরং, স্মার্ট ইংরেজি সেটাই যার মাধ্যমে আপনি ইংরেজিতে প্রশ্নোত্তর করতে পারবেন, অর্থাৎ আপনার প্রতি ছুড়ে দেওয়া প্রশ্নের উত্তর স্মার্ট ভাবে দিতে পারবেন।
একটু লক্ষ্য করলে দেখা যায়, চাকরীর ইন্টার্ভিউগুলোতে প্রশ্ন করা হয়। যে ক্যান্ডিডেট যত ভালো ভাবে সেই প্রশ্নগুলো'র উত্তর দিতে পারেন, তিনি তত চাকরী পাওয়ার দৌড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান। অথচ, এই 'ভালো' ভাবে উত্তর দেওয়ার ব্যাপারটা অনেকেই পারেন না! ফলে চাকরী পেতেও বেগ পেতে হয়! কেন এমন হয়?
ইন্টার্ভিউ রুমে খুব কম সময় পাওয়া যায় একজন চাকরীপ্রার্থীকে বুঝতে পারার জন্যে। সেজন্যে, ক্যান্ডিডেটদেরকে নিজেদের কমফোর্ট জোন থেকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়, যাতে তাদের মাঝে কি আছে তা বের করে আনা যায়। আর, তা করতে, দুই একটা এমন প্রশ্ন করা হয় যাতে ইন্টার্ভিউ রুমে চাকরীপ্রার্থী একটা 'ধাক্কা' খান, সেই প্রশ্নে ঘামতে থাকেন। ইংরেজিতে করা এই প্রশ্নগুলো চাকরীপ্রার্থীদের আরও বেশি সমস্যায় ফেলে দেয়।
এমন কয়েকটি প্রশ্ন হচ্ছে- 'What are your strengths', 'What are you good at', 'What are your weaknesses', 'What is your biggest achievement', 'When are you at your best', What qualities would you bring to the team'?
আপনি যদি স্মার্ট ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, চাকরী আপনাকে খুঁজে নিবে। কিভাবে স্মার্ট ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে? এই নিয়ে প্রশ্ন করুন কমেন্টে, আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
সবাই ভালো থাকুন নিরন্তর।
.
লেখকঃ
Mohammad Fasih-Ul Islam (Shaiyan),
Techentrepreneur, Leadership Coach,
Writer of 'ম্যাজিক ইন জব হান্টিং'।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন। আমি গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০০০-৪০০০ সিভি স্ক্রিনিং করে কয়শো চাকরীপ্রার্থী'র ইন্টার্ভিউ নিয়েছি।
অনেকেই এইসব প্রশ্নগুলোতে এসে ঠেকে গিয়েছেন।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয় আপনার দুর্বল দিক কোনটা? এটার উত্তর কিভাবে ইতিবাচকভাবে দেয়া যায়?
আরেকটা কমন এবং জটিল প্রশ্ন হল আপনি কেন আপনার বর্তমান চাকরী ছাড়তে চাচ্ছেন। কিভাবে উত্তর দেয়া উচিত এই ক্ষেত্রে?
আইস ব্রেকিং বলে একটা জিনিস আছে। ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যারা থাকে তাদের উচিত এই সুযোগ দেয়া। তা না হলে অনেক ভালো চাকরীপ্রার্থী অনেক সময় ঘাবড়ে যায়। ফলে সে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিটা পায় না। আবার নিয়োগকর্তা কোম্পানি একজন ভালো প্রার্থীকে হারায়।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
খুব ভালো দুটো প্রশ্ন উঠিয়ে এনেছেন। আমি যথা সম্ভব সংক্ষেপে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
১) আপনার দুর্বল দিক কোনটা?
এই প্রশ্নটা করা হলে অনেকে মনে মনে ঘাবড়ে যান। ভাবেন যে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়লে চাকরীতে নাও নেওয়া হতে পারে। এখানে মনে রাখা জরুরী যে, কোন মানুষই ভুলের উর্ধে নন। এটা প্রশ্নকারীও জানেন। আর, এটাও জানা যে, চাকরী প্রার্থী যথা সম্ভব নিজেকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করবেন। তারপরো, এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় কেন?
আসলে, ইন্টার্ভিউয়ার এই প্রশ্নের মাধ্যমে চাকরী প্রার্থী নিজের সম্পর্কে কতটুকু জানেন, সেটা দেখতে চান। এছাড়াও, প্রশ্নকারী দেখতে চান একজন চাকরী প্রার্থী কতটুকু খোলাখুলি ভাবে এবং সত্য কথার সাহায্যে নিজেকে তুলে ধরছেন ইন্টার্ভিউ বোর্ডের সামনে।
এক্ষেত্রে, অনেকেই যে ভুলটা করেন- নিজের দূর্বলতাকে এমন ভাবে তুলে ধরেন যে সেটাকে তার শক্তি হিসেবে মনে হয়, অথবা নিজ শক্তিকে দূর্বলতা হিসেবে ফুটিয়ে তুলেন অনেকে। এভাবে উত্তর দিয়ে ইন্টার্ভিউয়ারকে বিভ্রান্ত না করা ভালো। বরং, নিজের দূর্বলতাকে নিচের মতো করে ফুটিয়ে তোলা উচিৎ বলে আমি মনে করি-
আপনি যদি 'পাবলিক স্পিকিং'-এ দূর্বল হোন, তাহলে এভাবে বলা উচিৎ-
''আমি কম সংখ্যক মানুষের সাথে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, তবে, আমি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনিং নিচ্ছি যাতে শিখতে পারি কীভাবে অনেক শ্রোতার সামনে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়।''
তারপরে, একটু হাসির সাথে যোগ করতে হবে- ''আমার জন্যে এখন এটা আর বড় কোন সমস্যা নয়। আপনারা সময় দিলে এই নিয়ে একটি মজার গল্প শুনাতে পারি আপনাদের।'' তারপরে, কোন পাবলিক গেদারিং-এ নিজের কথা বলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরা উচিৎ।
আর, এভাবেই নিজের দূর্বলতাকে তুলে ধরা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
২য় প্রশ্নের উত্তর আমি আগামীকাল দেবো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, এ নিয়ে মন্তব্যের ঘরে আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অনেক প্রশ্ন আসতে থাকবে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তেমন একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হলাম না, ভাইয়া!!!
মনে সবাই সব কিছু জানেন!!!
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন ভালো ইন্টারভিউয়ার প্রার্থীকে তার কম্ফোর্ট যোনের বাইরে নিয়ে নয়, ভেতরে রেখেই প্রশ্ন এবং পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে প্রার্থী সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো বের করে আনতে পারেন। তাদের লক্ষ্য থাকে প্রার্থীকে ডিসক্রেডিট করে নয়, তাকে কনফিডেন্সে নিয়ে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের নৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তার অবজেক্টিভ মূল্যায়ন করে উপযুক্ততা যাচাই করে নেয়া।
৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০
নিমো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তা না হলে অনেক ভালো চাকরীপ্রার্থী অনেক সময় ঘাবড়ে যায়। ফলে সে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিটা পায় না।
ঘাবড়ে যাওয়াটাইতো এক ধরণের অযোগ্যতা, তার আর চাকুরি পাওয়ার দরকার কী ?
৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
গ্রামের কলেজের ছেলেমেয়েরা ইংরেজী বলতে পারে?
৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নিমো - এইচ আর বিশেষজ্ঞদের মতে ইন্টার্ভিউয়ের ক্ষেত্রে আইস ব্রেকিং খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। যে কোন চাকরীপ্রার্থীকে আগে কিছু হাল্কা প্রশ্ন করে তৈরি করে নিতে হয়। একজন চাকরীপ্রার্থীকে ঘাবড়ে দেয়া ইন্টার্ভিউয়ের উদ্দেশ্য না। আসল উদ্দেশ্য ঐ ব্যক্তি কাজের উপযুক্ত কি না সেটা নির্ণয় করা। এই কারণে এইচ আর বিশেষজ্ঞরা সব সময় হাল্কা আইস ব্রেকিং প্রশ্ন করে প্রার্থীর জড়তা দূর করে নিতে বলেন যেন সে খোলা মনে ইন্টার্ভিউ দিতে পারে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সব জায়গাতেই কর্পোরেট জগতে যারা ভালো এইচ আর চর্চা করেন তারা সব সময় আইস ব্রেকিং প্রশ্ন করার মাধ্যমে ইন্টার্ভিউ শুরুর কথা বলে থাকেন। নীচে একটা লিঙ্ক আছে। এই ব্যাপারে আরও কিছু বলা আছে এখানে।
Icebreaker Questions for Interviews
https://hiring.monster.com/resources/recruiting-strategies/interviewing-candidates/how-to-be-a-better-listener/
৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
লক্ষ টাকা বেতন হোক আর নাইবা হোক, স্মার্টলি ইন্টারভিউ দিতে হবে কিন্তু সেই স্মার্টনেস মানে শুধু সাবলীল ইংরেজি বলা না। যে পদের জন্য ইন্টারভিউ দিবে সে বিষয়ে জবের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও, যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে যেন লজিক্যালি এবং টু দ্যা পয়েন্ট উত্তর দিয়ে কনভারসেশন কনটিনিউ করতে পারে।
দুটো বিষয়ে মাস্ট ফোকাস থাকতে হবে, অনটাইম ইন্টারভিউতে উপস্থিত থাকা এবং কনফিডেন্টলি কথা বলা।
ইন্টারভিউ মানেই শুধু প্রশ্নের উত্তর দেয়া না, প্রশ্ন করাও । একটা সার্টেন টাইমে জানতে চাইতে পারে কোন প্রশ্ন আছে কিনা । তখন ক্যান্ডিডেট প্রশ্ন করবে তার কিছু জানার থাকলে । মনে রাখতে হবে কোনভাবেই যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী বা অতিস্মার্ট হওয়ার চেষ্টা না হয় ।
So, a well-done interview does not mean only fluent in English, this is all about a package of language, confidence, time management, basic knowledge about the role and the organisation & industry, and finally, commonsense about sensible & logical conversation.
Sometimes smart isn't enough when smarter candidates around.
৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫০
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি যদি উক্ত প্রশ্নের উত্তর বিশুদ্ধ বাংলায় দেই আমার চাকরি তাহলে হবে না?? ভাষা নিয়ে আমাদের যে ভিক্ষুক প্রবৃত্তি তা আজো গেলো না মনেহয় যাবেও না। জাপান চীন করিয়া এরা কিন্তু নিজেদের ভাষায় ভালোই এগিয়েছে। ছয় না দশ ডিজিটের স্যালারি এরা পায়।
১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: যদি এরকম হয়- তাহলে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এমনকি মন্ত্রীরাও চাকারী পাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চাকরীর ইন্টার্ভিউয়ের প্রথম ৫ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ৫ মিনিটেই অনেক কিছু পরিমাপ করা হয়ে যায়। প্রথম ৫ মিনিট ভালোভাবে টিকে গেলে বাকি অংশ ভালো হওয়ার সম্ভবনা থাকে।